আলো_আধারের_খেলা পর্ব_০৪

0
352

আলো_আধারের_খেলা
পর্ব_০৪
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

জহির(জান্নাতে আব্বু)বাড়ি আসতেই জান্নাতের আম্মু বললো,রুয়েলরা আজও এসেছিলো জান্নাতকে দেখতে।মনে হয় ছেলেটা জান্নাতকে পছন্দ করেছে।ওর ভাই কি বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলেছিলো আপনাকে?

জহির এই কথা টা শোনামাত্র ভীষণ রেগে গেলেন।তিনি চিৎকার করে বললেন,কেনো এসেছিলো এ ছেলে?খবরদার ও ছেলে যেনো আর কোনোদিন বাড়ির মধ্যে ঢুকতে না পারে।
জান্নাতের আম্মু ভীষণ অবাক হলেন।হঠাৎ জান্নাতের আব্বুর কি হলো?তিনি রুয়েলের উপর এতো রেগে আছেন কেনো?তিনি তো রুয়েলের সাথে জান্নাতের বিয়ে দেওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী। তাহলে আজ হঠাৎ কি হলো ওনার?
জান্নাতের আব্বুর রাগ দেখে তিনি আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না।কারণ জান্নাতের আব্বুর রাগ উঠলে ভয়ে কেউ আর কথা বলে না ওনার সাথে।

এদিকে জান্নাতের দাদীও এগিয়ে আসলেন।আর তিনি এসেই সেম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন,বাবা?রুবেল(রুয়েলের ভাই) কি তোকে কিছু বলেছে।না মানে রুয়েল কেনো জানি আজও এসেছিলো আমাদের বাড়িতে।
জান্নাতের আব্বু সেই কথা শুনে বললো, তোমরা কি শুরু করেছো বলোতো?বাসায় ঢুকতেই কেনো ওই বেঈমানদের নাম নিচ্ছো?
জান্নাতের দাদী বুঝতে পারলো কিছু তো হয়েছে তা না হলে জহির এতো রেগে আছে কেনো?কেনো রুয়েলদের কথা শুনতেই পারছে না।
হঠাৎ জহির নিজেই জিজ্ঞেস করলেন,জান্নাত আবার ওদের সামনে যায় নি তো?
দাদী তখন বললো না না যায় নি।তোর মেয়ে কেমন তা তো ভালো করেই জানিস।তুই না বললে সে কি কোনো দিন কোনো ছেলের সামনে যাবে?
–ভালো করেছে।
এই বলে জান্নাতের আব্বু জান্নাতের আম্মুকে বললো,তাড়াতাড়ি ভাত দাও আমাকে।দোকানে যেতে হবে।সেই কথা শুনে জান্নাতের আম্মু ভাত বাড়তে গেলেন।
এদিকে জহির বিড়বিড় করে বকতে লাগলো রুয়েলের চাচাকে।
শালা, আমি তোকে বলেছি,না তুই বলেছিস তোর মেয়ে জান্নাতকে আমাদের রুয়েলের জন্য নিতে চাই।খবরদার অন্য কোথাও বিয়ে দিবি না মেয়েকে।আর এখন তুই নিজেই আবার অন্য মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেছিস?

জান্নাতের দাদী তখন তার ছেলের হাত ধরে বললো, বাবা!কি হয়েছে?এতো রেগে আছিস কেনো?
–সে কথা আর বলো না মা।সেদিন যে ওরা জান্নাতকে দেখতে এলো ভালোমন্দ কিছু বলবে তো?কিছুই বলে নি।আজ শুনি রুয়েলের বিয়ে ঠিক ও হয়েছে।রুয়েলের চাচাই ঠিক করেছে।আর কালকে এনগেজমেন্ট।ওরা যখন অন্য মেয়ের সাথেই বিয়ে দেবে তাহলে আমার মেয়েকে কেনো দেখতে আসলো?
–কি বলিস এসব?বিয়েও ঠিক হয়েছে?তাহলে রুয়েল আজ এসেছিলো কেনো?আমি তো ভেবেছি জান্নাত কে দেখার জন্যই এসেছে।
–বাদ দাও তো ওদের কথা।ও ফ্যামিলিতে গেলে জান্নাত নিজেকে মানিয়ে নিতেও পারতো না।ভাগ্যিস হয় নি বিয়েটা।শুধু টাকা দেখলেই হবে না,ফ্যামিলির সকল সদস্যের আচার আচরণ ও দেখতে হবে।
–সেটাই তো।রুবেলের বউ ঊর্মির সাথে জান্নাতের কখনোই মিলতো না।ঊর্মি যেভাবে চলাফেরা করে তার ছেলে মেয়েগুলোও তেমনি হয়েছে।তবে রুয়েলের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্তে বিয়েটা দেওয়া যায়।রুয়েলের আচার আচরণ আর কথাবার্তা অনেক ভালো লাগে আমার।সেজন্য রাজি ছিলাম আমি।

এদিকে জাহান দৌঁড়ে গিয়ে জান্নাতকে জড়িয়ে ধরে বললো, আপু এ যাত্রায় বেঁচে গেলি রে।বিয়েটা ক্যান্সেল হয়ে গেছে। সত্যি করে বল তো বিয়ে ভাংগার জন্য আল্লাহর কাছে কিভাবে দোয়া করেছিস?
জান্নাত সেই কথা শুনে বললো, সত্যি বিয়ে ভেংগে গেছে?আল্লাহ আমার কথা তাহলে শুনেছে।আমি জানতাম আমার দোয়া কখনোই বিফলে যাবে না।
জাহান সেই কথা শুনে বললো,তাহলে কি তুই কখনোই বিয়ে করবি না?যখনই কোনো বিয়ের ঘর আসে তখনি তুই শুধু না না করিস।তাদের সামনে যেতে চাস না।
–করবো না কেনো?অবশ্যই করবো।তবে ছেলেটাকে তো আমার লেভেলের হতে হবে।আমার মতো আল্লাহ ভক্ত হতে হবে।নামায কালাম পড়তে হবে।আমার কদর বুঝতে হবে।আমি যেভাবে চলাফেরা করি কখনোই তাতে বাঁধা দেওয়া যাবে না।
জাহান সেই কথা শুনে বললো, তবে রুয়েল ভাইয়াকে তোর সাথে কিন্তু হেব্বি মানাতো।যদি শুধু একনজর দেখতি আর না করতিস না।আমার কিন্তু খুব ভালো লেগেছে।
জান্নাত সেই কথা শুনে বললো, এসব বিদেশ থাকা ছেলেদের মোটেও আমার পছন্দ না।যখনই শুনেছি ছেলে বিদেশ থাকে তখনি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ছেলেকে কখনোই বিয়ে করবো না।যাক আল্লাহ এ যাত্রায় আমাকে বেঁচে দিলো।কবে যে রেজাল্ট টা বের হবে।আর কবে যে কলেজে ভর্তি হবো?বাড়িতে যতই বসে থাকবো ততই আব্বু আর আম্মু এভাবে বিয়ের জন্য তাড়া করবে।
জাহান তখন বললো,ধর পরের বার কোনো হুজুর ছেলে আসলো বিয়ে করতে তখন নিশ্চয় রাজি হবি?তখন তো আর না করবি না?
জান্নাত সেই কথা শুনে জাহানের মাথায় একটা চড় দিয়ে বললো, তুই যাবি এখন।আমার বিয়ে নিয়ে তোকে এতো ভাবতে হবে না।জাহান সেই কথা শুনে বললো, ভাবতে হবে না মানে!একশবার ভাবতে হবে।হাজারবার ভাবতে হবে।তোর বিয়ে খাওয়ার জন্য আমি এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি।কত আনন্দ করবো?কিভাবে সাঁজবো সব প্লান করে রেখেছি।কিন্তু বিয়ে টাই আর হচ্ছে না।
জাহানের কথা শুনে জান্নাত হাসতে লাগলো।এই মেয়ে আর কখনোই ভালো হবে না।

গভীর রাতে জান্নাতের ঘুম ভেংগে গেলো।এই সময়ে সে রেগুলার জাগা পায়।কারন সে এই সময়ে প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামায পড়ে।তবে ইদানীং এই সময়ে সে একটা স্বপ্ন প্রতিদিন দেখছে।জান্নাত বুঝতে পারছে না কিছু।সে কেনো দেখছে স্বপ্নটা?
এক সুদর্শন যুবক নামাযের ওযু করছে।আর জান্নাত ঘটি থেকে তাকে পানি ঢেলে দিচ্ছে।ছেলেটির গায়ের রং ধবধবে সাদা। আর পুরো মুখে চাপদাঁড়ি।ছেলেটি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো তাকাও আমার দিকে।জান্নাত যুবকটির দিকে তাকাতেই তার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।সে সাথে সাথে জাগা পায়।

——— ——— ——— ——— ——— ——— ——— ————- ——— ——— ——— ——— ——— ———- আজ রুয়েল আর রাইসার এনগেজমেন্ট।সেজন্য ঊর্মি(রুয়েলের ভাবী) আর হিয়া (ভাতিজি) পার্লার থেকে সেজে এসেছে।তারা এমনভাবে সেজেছে যে তাদের চেনাই যাচ্ছে না।ঊর্মি খুবই স্টাইলিশ মেয়ে।সে কখনোই বোরকা পড়ে না।আর খুবই বেপরোয়া জীবনযাপন করে।ঊর্মির মতো তার মেয়েটাও হয়েছে।এমন সব ড্রেস পড়ে যে খুবই বাজে লাগে দেখতে।রুবেল কখনোই নিষেধ করে না।কারণ সে মনে করে এসব ড্রেস আধুনিক যুগের স্টাইল। তাদের টাকা আছে দেখেই তো এসব ড্রেস কিনতে পারে।
ঊর্মি আর হিয়ার আজ খুশির সীমা নাই।অনেক বেশি আনন্দ হচ্ছে তাদের।
এদিকে রুয়েল সাজগোছ করা বাদ দিয়ে চুপচাপ মোবাইল হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।সে এখন পর্যন্ত কাউকে বলতে পারে নি যে জান্নাতকে সে বিয়ে করতে চায়।
হঠাৎ হৃদয় (ভাতিজা) প্রবেশ করলো রুয়েলের রুমে আর এসেই বললো,চাচ্চু কখন রেডি হবে তুমি?আমরা তো সবাই রেডি হয়ে বসে আছি।
রুয়েল সেই কথা শুনে বিছানায় শুয়ে থেকেই বললো, আমি যাবো না কোথাও।

রুয়েলের এই কথা শোনামাত্র হৃদয় দৌঁড়ে গিয়ে তার বাবাকে বললো,আব্বু!চাচ্চু নাকি যাবে না কোথাও।রেডি না হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।
রুবেল সেটা শোনামাত্র সোজা রুয়েলের রুমে চলে গেলো।আর বললো, কি বলছিস পাগলের মতো।যাবি না মানে?
–আসলে ভাইয়া আমি রাইসাকে বিয়ে করতে মোটেও আগ্রহী না।আমার ভালো লাগে নি ওই মেয়েকে।

রুবেল এই কথাটা শোনামাত্র ভীষণ রেগে গেলো।সে চিৎকার করে বললো,তোর কেমন মেয়ে পছন্দ একবার বলবি কি? এ যাবৎ যতগুলো মেয়ে দেখলাম একটা মেয়েও নিন্দা করার মতো ছিলো না।তবুও শুধু না না করছিস।তুই কি তাহলে বিয়ে করতে চাস না।

রুয়েল সেই কথা শুনে সোজা বলে দিলো, জান্নাতকে আমার ভালো লেগেছে।তোমরা ওকে দেখতে পারো।

রুবেল জান্নাতের নাম শোনামাত্র এতো বেশি রেগে গেলো যে ওর চিৎকার শুনে সবাই এসে হাজির হলো রুয়েলের রুমে।রুবেলকে এমন রাগান্বিত দেখে ঊর্মি বললো কি হয়েছে?এতো রেগে আছো কেনো?
রুবেল তখন রাগান্বিত লুকে বললো,ও নাকি জহিরের মেয়েকে বিয়ে করবে।ওটা কোনো মেয়ে হলো নাকি?আমাদের ফ্যামিলির সাথে ওদের ফ্যামিলি মিলবে কখনো?কোন দুঃখে যে নাদিম চাচার কথা শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম!
এই বলে রুবেল রুয়েলের একদম নিকটে চলে গেলো,আর বললো আমরা সবাই মিলে যাকে চুজ করেছি তাকেই বিয়ে করতে হবে। আমাদের পরিবারে কাকে মানাবে সেটা তোর থেকে আমরা ভালো জানি।আর একটা কথাও হবে না।চুপচাপ রেডি হয়ে নে।এই বলে রুবেল রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

রুবেল রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ঊর্মি রুয়েলকে বোঝাতে লাগলো।এভাবে জিদ করিস না রুয়েল।তোর চাচা আর ভাই কথা দিয়েছে ওদের।এখন যদি না করিস বিয়েটা তখন কি মানসম্মান থাকবে ওনাদের।তোর ভাই এর তো কখনো অবাধ্য হস নি।তাহলে আজ এরকম করছিস কেনো?রুয়েলের মাও সেম কথা বললো।তোর ভাই কি তোর খারাপ চেয়েছে কখনো?তাহলে আজ এরকম করছিস কেনো?তোর সাথে যাকে মানাবে,আমাদের ফ্যামিলিতে যাকে মানাবে তাকেই ঠিক করেছে সবাই।

রুয়েল আর একটা কথাও বললো না।সে চুপচাপ রেডি হয়ে নিলো।আজ তার বন্ধুরা কেউ আসে নি।কারণ রুয়েল বলেছে সে কিছুতেই আজ এনগেজমেন্ট পার্টিতে যাবে না।সুতরাং তোরাও কেউ আসবি না।

রুয়েল কখনোই তার ভাই এর মুখে মুখে এভাবে কথা বলে নি।তার ভাই যা যা বলে সে সেটাই শোনে।ভাইকে বাবার আসনে বসিয়ে দিয়েছে রুয়েল।ভাইকে সে বাবার মতোই শ্রদ্ধা করে।কারন তার বাবার মৃত্যুর পর ভাই ই বাবার আদর দিয়েছে।

রুয়েলের বাবা হাফিজ সিঙ্গাপুরে ব্যবসা করতেন।তার নিজস্ব একটা গ্লাসের দোকান ছিলো।ব্যবসা অনেক ভালোই চলছিলো।কিন্তু হাফিজ একা একা সামলাতে পারছিলো না।সেজন্য হাফিজ তার বড় ছেলে রুবেলকে নিয়ে যায়।এভাবেই চলছিলো তাদের ব্যবসা।হঠাৎ হাফিজ মারা যায়।সেজন্য ব্যবসা সামলানোর পুরো দায়িত্ব রুবেলের কাঁধে পড়ে।রুবেল একা হাতে ব্যবসা সামলাতে থাকে।আর রুয়েল রা রাজার মতো চলাফেরা করে দেশে।তখন রুয়েল মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে।
কিন্তু পাঁচবছর পর রুবেল রুয়েলকেও নিয়ে যায় সিংগাপুরে। রুবেল আর রুয়েল দুই ভাই খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছিলো তাদের ব্যবসা।কিছুদিনের মধ্যে তারা অনেক সম্পত্তির মালিক হয়।
কিন্তু রুবেলের বউ ঊর্মি হঠাৎ পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।সেজন্য রুবেল ভীষণ ভেংগে পড়ে।সে ঊর্মিকে ডিভোর্স দিতে চায়,সেজন্য দেশে চলে আসে।
সম্পর্কে আবার রুবেলের ফুপাতো বোন হয় ঊর্মি।ডিভোর্সের কথা শুনে রুবেলের ফুফু রুবেলের পায়ে পড়ে কাঁদতে থাকে।এবারের মতো যেনো সে ঊর্মিকে ক্ষমা করে দেয়।ও ছোটো মানুষ। বোঝে না কিছু।ঊর্মি তখন মাত্র ক্লাস নাইনে পড়ে।এইভাবে সবাই যখন রুবেল কে বোঝাতে লাগলো রুবেল আর না করতে পারলো না।সে ঊর্মিকে ক্ষমা করে দিলো।আর ওকে নিয়েই সংসার করতে লাগলো।ঊর্মি ছিলো অনেক বেশি সুন্দরী। ওর মতো সুন্দর আশেপাশে একজনও ছিলো না।রুবেল ঊর্মিকে নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করেছে।এইজন্য রুবেল দেশেই রয়ে গেলো।সে আর বিদেশ গেলো না।

এদিকে রুয়েল একাই থেকে গেলো সিংগাপুরে।আর তার বাবার ব্যবসা টা সামলাতে লাগলো।এইভাবে রুবেল ঊর্মির সাথে ভালোভাবেই সংসার করতে লাগলো।তাদের দুইটা বাচ্চাও হলো।অন্যদিকে রুয়েল কষ্ট করে রোজগার করে দেশে টাকা পাঠাতে লাগলো।রুয়েল কখনোই রুবেল কে এ নিয়ে কিছু বলে নি।সে সবসময় চাইতো তার ভাই আর ভাবি বাচ্চাদের নিয়ে সুখে থাক।রুয়েল হিয়া আর হৃদয় কে নিজেরই সন্তান মনে করতো,তাদের এতোটাই ভালোবাসতো যে, যখন যেটা আবদার করতো রুয়েল সাথে সাথে সেটা পূরন করে দিতো।বলতে গেলে হিয়া আর হৃদয় একদম বিলাসিতার মধ্যে বড় হচ্ছে।এদিকে রুয়েল নিজের কাছে একটা টাকাও জমিয়ে রাখতো না।সব টাকাই তার ভাইকে পাঠিয়ে দিতো।এতোটাই বিশ্বাস করে তার ভাইকে।আর রুবেলও রুয়েলকে খুব ভালোবাসতো।রুয়েলের পাঠানো টাকা জমিয়ে সে বাড়ি গাড়ি জমিজমা সব করেছে।আর প্রতিটা জমি দুইভাই এর নামেই দলিল হয়েছে।বলতে গেলে এই দুই ভাই এর নাম সবার মুখে মুখে।সবাই তাদের বাচ্চদের এটাই শেখায়,যে ভাই হতে হয় রুবেল আর রুয়েলের মতো।কি সুন্দর মিল তাদের।একজন বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছে আর আরেকজন দেশে সেই টাকা দিয়ে জমিজমা কিনে ভরাচ্ছে।

#চলবে,কেমন লাগলো আজকের পর্ব?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here