ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৯

0
637

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৯

জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি। তোমায় কখনো ভোলা হবে না প্রিয়। তোমার শুন্যতা পোড়াবে আমায়।

,,,
আদিত্য শেহ্জাহান খানের বাড়ির সদর দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ির সবাই আমাদের দিকে রেগে তাকিয়ে আছে।
বাড়িতে একটা হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গেল। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করায়।কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে আদিত্য এই ভাবে কাউকে বিয়ে করে নিয়ে আসবে।
পারা প্রতিবেশী সবাই জেনে গেছে যে আদিত্য হঠাৎ করে বউ নিয়ে এসেছে বাড়ি।একে একে সবাই আসল কেমন বউ নিয়ে এসছে দেখতে।

এক এক জন এক এক কথা বলছে।কেউ কেউ বলছে এই রকম একটা মেয়েকে আদিত্যর মত বড় লোক বিয়ে করতে পারে। আদিত্যর নোখের যোগ্যও নয়। দেখতে ও ত ভালো না। কোনো ভাবেই আদিত্যর সাথে মানায় না। কোন বস্তি থেকে নিয়ে এসছে।এর থেকে ত একটা কাজের লোকেও ভালো দেখায়। সবাই বলে কি দেখে বিয়ে করছে। নিশ্চয়ই আদিত্যকে এই মেয়ে ফাঁসিয়েছে নয় ত ওর মত একটা ছেলে এই রকম খ্যাত মার্কা মেয়ে কে বিয়ে করে। সবাই যেন আমাকে সহ্য করতেই পারছে না। সবার চোখের বি*ষ হয়ে গেছি।
আর সবাই তো কেউ এই সম্পর্ক মেনে নেবেই না।

আদিত্যর মামা মামী ত রেগে আগুন হয়ে গেছে।এত কাল এত স্নেহ ভালবাসা দিয়ে কাকে বড় করেছে।আজ তাদের ভালোবাসার কোন দাম নেই।

ওর নানী, দাদু ভাই এ তুই কি করেছিস।
,দেখ নানু আমি বাড়িতে বউ নিয়ে এসছি।কেন এত দিন ত তোমারাই আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলে।আজ ত তাই করেছি।
ওর মামী,তুই চুপ করবি আদি। আমি এই মেয়ে কে এই বাড়িতে ঢুকতে দেব না।আর না ত ওকে আমি এই বাড়ির বউ মানব।
,মামী মা প্লিজ সবার সামনে এগুলো কি বলছ।ও ত এই বাড়ির বউ।
,না ,,,,আ। ওকে আমি মানি না। তুই ওকে বের করে দে।ওর কি যোগ্যতা আছে আমাদের বাড়িতর বউ হওয়ার। কোনো যোগ্যতা নেই।
ওর মামা, তুমি যা ইচ্ছা তাই করবে আমরা তাই মেনে নেব ভাবলে কি করে হ্যা। শোন আদিত্য বিয়ে যখন করেছ। এখন ডিবোর্স দিয়ে দেও। আমার বন্ধু রাশেদ কে বলছি ও তোমার এখুনি ডিবোর্স করিয়ে দেবে কোনো সমস্যা নেই।
,না মামা ওকে বিয়ে করে ছি ডিবোর্স দেওয়ার জন্য না।
, আবার তুমি আমার মুখে মুখে কথা বলছ। আমাদের কোন দাম তোমার কাছে নেই।আর লোক হাঁসিও না। ওকে চলে যেতে বল।
,না ও কোথাও যাবে না এই বাড়িতেই থাকবে।
ওর নানী, তোমার মা ইচ্ছা তাই কর।
মামী মা সোফায় বসে মাথায় হাত দিয়ে আছে।আর বলছে এই মেয়ে একবার এই বাড়িতে ঢুকুক ওর জীবন আমি জাহা*ন্নাম বানিয়ে দেব।

ওর মামা আমার সামনে এসে দাড়িয়ে বলল,
,এই মেয়ে কি দিয়ে ফাসিয়েছ আমাদের আদিত্য কে। টাকা লোভ তাই না কত টাকা লাগবে বল আর এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। তোমাদের মত মেয়ের কোন যোগ্যতা নেই নিজের চেহারা আয়নায় দেখেছ। আদিত্যর সাথে মানায় না। তোমরা থাকবে রাস্তায় আর কি‌ না আসো বড় লোকদের ফাঁসাতে। বেড়িয়ে যাও এখান থেকে। এই নাও ব্রিককেস এর ভিতর অনেক টাকা তোমার কল্পনার থেকে ও বেশি।
টাকা গুলো আমার মুখে মেরে দিয়ে বলছে। আমার খুব ছোট লাগছে।এই ভাগ্য নিয়ে আমি জন্মেছি। জানিনা কোন পাপের শাস্তি পাচ্ছি। এতক্ষণ সবার কথা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছি।
ওর বোন এসে আমার গালে একটা থাপ্পড় মেরে দিয়ে বলছে,
,এই মেয়ে তুমি এখানে। তোমার সাহস তো কম নয়। আমার ভাইকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করছ। তোমরা টাকা জন্য সব করতে পার।কারো জীবন নষ্ট,কারো সংসার ভাংতেও করতেও দ্বিধা করো না। তোমাদের লাজ লজ্জা বলতে কি কিছুই নেই।

সব শুনেছি আর চোখের পানি ফেলছি। আমার জীবন টা এমন হওয়ার ছিল। খুব রাগ হচ্ছে নিজের উপর। এদিকে ওই বজ্জতাটা খুব relax মুডে সোফায় বসে আছে।আর আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি এর আসল উদ্দেশ্য কি। মনে মনে বলছি আর চোখের পানি মুছি।কি ভেবেছ আমি দুর্বল। কখনোই না। আমি ওই টিপিক্যাল বাংলা সিনেমা আর সিরিয়ালের নায়িকাদের মতো কখনোই না।

বাঁকা হাসি দিয়ে ,I know?? Who is I’m.হা হা হা ।

সবাই আমার হাসি দেখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।হোলটা কি। আদিত্য বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।
পারা প্রতিবেশী সবাই এক ধ্যানে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন ভাবে মনে হয় আমি কোন alien ।

সত্যি কি তাই আমি Alien 👽 হা হা হা হা হা।

চলবে,
(কেমন হল জানাবেন পেজটি লাইক দিয়ে রাখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here