ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_১৮

0
532

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_১৮

সকালে হালকা রোদ চখে পড়ল। পাশ ফিরে দেখলাম আদিত্য শোয়া তাও আমার পাশে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি এটা আদিত্যর রুম। আমি আর আদিত্য এক ঘরে এক বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম।ওহ্ নো।হায় আল্লাহ একি হয়ে গেল। বিছানা থেকে উঠতেই যাব আমার শাড়ি আঁচলে টান পড়ল। আদিত্যর পিঠের নিচে আঁচল পড়েছে। আস্তে আস্তে টান দিলাম বেড়িয়ে আসল আঁচল।
কোনো রকমের রুম থেকে বের হলাম।যদি কেউ দেখে ফেলে কি ভাববে তখন। আমি তো নিচের ঘরে শুয়ে ছিলাম। তাহলে এখানে আনল কে। আদিত্য নয় তো।ওই তো বার বার এই রুমে আসতে বলেছিল।ও এই কাজ করেছে।

যাওয়ার পথে পিছন থেকে বলল,
,অর্নব, ভাবী কোথায় যাচ্ছ তুমি। আমি কিন্তু দেখে ফেলেছি । তুমি আর দাভাই একসাথে ছিলে তাই না। কাল রাতে ত দেখলাম দাভাই তোমাকে কোলে করে নিয়ে রুমে যাচ্ছে।আর তুমি বেঘোর ঘুমের ছিলে। কিছু টের পাওনি না।
, এসব তুমি কি বলছ অর্নব। তোমার দাভাই।
,হ্যা দাভাই।দাভাই কিন্তু খুব রোমান্টিক মুডে ছিল।কি ,,,কি খবর। হুম।
অসভ্য একটা। রেগে।
,দেখ অর্নব একদম আমার সাথে ফাজলামি করবে না। আমি তোমার অনেক বড় বুঝছ। ঠিক টাইমে বিয়ে হলে তোমার বয়সী বাচ্ছা থাকত।
, ভাবী মিথ্যা কথা বলনা প্লিজ। তোমাকে দেখতে কি সুন্দর। একদম অপরুপ সুন্দরী। দাভাই বিয়ে না করলে তোমাকেই পটিয়ে বিয়ে করে নিতাম হি হি হি।
, অর্নব। বয়সের তুলনায় একটু বেশি পেকে গেছ।
, ভাবী তুমি না।দাভাই কোথায়।
, রুমে।
,হি হি হি। এখানো ঘুমায়।
,যাও এখান থেকে। আমার কাজ আছে।
, ওকে।বাই।আজ তোমার হাতের রান্না খাবো।
, ওকে।

সকালের নাস্তা বানাচ্ছি। আলিশা এসে বলল।
, তুমি কাল কোথায় ছিলে।
,কেন। তোমার গলায় এরকম লাল দাগ কেন।আদি কোথায়।
রেগে।
অবাক হয়ে। এগুলো কি বলছে। আমার গলা শুকিয়ে গেল। রাতে কিছু করেনিত।হায় আল্লাহ। আমি শিওর কিছু হয়নি। তাহলে দাগ চুলকে ছিলাম বলে হয়েছে।আর সবাই ভাবছে আমি।ওহ
আমি এরিয়ে গেলাম কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না।
,না কিছু হয়নি এলার্জি।
এখনো রেগে আছে।বড় বড় করে আমায় উপর থেকে নিচ অব্দি দেখল।
সব নাস্তা টেবিলে দিয়েছি। সবাই খাচ্ছে আর আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে।হে আল্লাহ কোথায় এসে পরলাম।
আদিত্য এসে নিচে চোখ রেখে খেতে শুরু করলো।যেন এদিকে কোনো নজরই নেই।সে তার মত খেয়ে অফিসে চলে গেল।
সবার কাজে সবাই চলে গেল।
সামনে ঈদ আসছে সবাই শপিং করবে। কিন্তু আমার ওদিকে অনেক কাজ পড়ে আছে কি হবে।
সবাই শপিং নিয়ে মেতে আছে। কোথায় গিয়ে শপিং করবে।
সবার কাছে বিশ্বের দামি ব্র্যান্ড পছন্দ। তার মধ্যে হলো origin brand যেটা সকল কিছুর হাতের নাগালের বাইরে।
সারাদিন বাড়ির সব কাজ করলাম। হঠাৎ আদিত্য ফোন দিল।
,হ্যালো।
,কি করো
,কাজ করি‌
, তোমাকে যেন আর না দেখি নিচের ঘরে শুয়েছ।
,কেন।
, আমি যা বলব তা তোমায় শুনতে হবে। আমি তোমার স্বামী।তাই।
,পারব না।
,পারতে হবে। বুঝেছ।আর বাজে ব্যবহারের জন্য sorry
, ঠিক আছে।
,কি ঠিক আছে হুম।
, রাখ ছি এখন অনেক কাজ আছে।
, তোমার শরীর ঠিক আছে তো। বিকালে রেডি থেকো।ডক্টর এর কাছে যাব।
, আমি ঠিক আছি ওষুধ লাগিয়েছি। কেটে দিলাম।

আদিত্য বিরক্ত হয়ে গেল। এহন কান্ডে। ভাবেনি sorry বলার পরও avoid করবে।ওর রাগ ভাঙাতে হবে।

রান্না কিছু দরকারি জিনিস লাগবে। কমলার মা কে জিজ্ঞেস করলাম।
বলল
, ভাবী ওগুলো তো store রুমে আছে।
,ও তুমি বাকি রান্না বসাও আমি আসছি।
, ঠিক আছে।

Store রুমে ঢুকলাম ভিতরের চারপাশে ময়লা। মাঝখানে পরিষ্কার আছে। বস্তা ভর্তি রান্নার চাল ডাল আর বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। চারপাশটা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম।
আলমারির পিছনে কিছু পড়া আছে। দেখতে একটু ছবির
ফ্রেম এর মতো ময়লা মাখা রয়েছে। হাতে নিলাম কাচ ভেঙে গেছে।
কিন্তু একটু আঁচল দিয়ে মুছা দিলাম।ফ্রেমে ছবি টি দেখে আমি স্তম্ভিত। আমার বাক শক্তি হারিয়ে গেছে।হাত থেকে ফ্রেম টা পড়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে গেল।

চলবে,
কপি করা নিষেধ। কেমন লেগেছে সবার কাছে। পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক করে রাখ।
তোমাদের অপেক্ষার অবসান ঘটল।💁🏻‍♀️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here