খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_০৮ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
685

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_০৮
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

নিস্তব্ধতার রেশ যখন সবাইকে ঘিরে ধরতে ব্যস্ত। তখনই প্রাপ্তি সুযোগ পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে চলে যাবার জন্য অগ্রসর হলো। সবাই মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। তখনই মেহেভীনের নজর যায় প্রাপ্তির দিকে, প্রাপ্তি দৌড় দিতে চাইলে মেহেভীন খপ করে প্রাপ্তির হাত ধরে ফেলে। রক্তিম আঁখিযুগল প্রাপ্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আল্লাহ তায়ালা যদি চোখ দিয়ে খু’ন করার শক্তি দিত। তাহলে প্রাপ্তি এতক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতো।

–কোথায় পালাচ্ছ আপু? এত সহজে তোমাকে ছেড়ে দিব ভাবছ! আমার সবকিছুর হিসাব আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে, তারপরে এখানে থেকে পালাবে। এর আগে পালানোর চেষ্টা করলে পা ভে’ঙে রেখে দিব। মেহেভীনের কথা শেষ হবার সাথে সাথে প্রাপ্তি মেহেভীনের গালে প্রহার করতে চাইলে, মেহেভীন প্রাপ্তির হাত ধরে ফেলে। অদ্ভুত ভাবে মেহেভীন ভেতর থেকে দিগুণ শক্তি অনুভব করল। নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না৷ প্রাপ্তির গালে ক’ষে থা’প্প’ড় বসিয়ে দিল। উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে গেল। মেহেভীনের মতো মেয়ে এমন কাজ করতে পারে! তা সবার ধারণার বাহিরে ছিল। প্রাপ্তি মেহেভীনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করল। মেহেভীন পড়ে যেতে চাইলে শেহনাজ এসে তাকে ধরে ফেলল। মেহেভীন নিয়ন্ত্রণ হারা হয়ে গিয়েছে। সমস্ত শরীর ভূমিকম্পের ন্যায় কাঁপছে। রাগান্বিত হয়ে প্রাপ্তির দিকে ছুটে যেতে চাইছে। কিন্তু শেহনাজ তাকে ধরে রাখায় যেতে পারছে না। তাকে আঁটকে রাখার যুদ্ধে নেমে পড়ল নাকি শেহনাজ।

–তুই কাকে ক্ষমতার পাওয়ার দেখাচ্ছিস মেহেভীন? তুমি জানিস আমি চাইলে তোর কি করতে পারি৷ আজ তুমি সফল হয়েছিস কার জন্য শুধু মাত্র আমার জন্য। সেই তুই আমার গালে প্রহার করলি! এর ফলাফল কতটা ভয়ংকর হতে চলেছে। তা তোর ধারণার বাইরে তোর সবকিছু কেঁড়ে নিব আমি৷ অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে দেখে, আয়মান দৌড়ে প্রাপ্তি কাছে গেল। প্রাপ্তিকে টানতে টানতে নিজের কক্ষের দিকে এগিয়ে নিতে চাইলে, প্রাপ্তি হাত ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে নেয়। কথা শোনানোর জন্য প্রস্তুত হয় প্রাপ্তি। মেহেভীন ও শেহনাজকে ছাড়িয়ে দেয় নিজের থেকে। মেহেভীন সামনের দিকে অগ্রসর হতেই, একজোড়া হাত এসে মেহেভীনকে ধরে ফেলে। মেহেভীন তাকিয়ে দেখে ফরিদ রহমান তার হাত ধরে আছে। বাবাকে দেখে সমস্ত রাগ নিমিষেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল৷ চুপসে এল রণচণ্ডী রুপ ধারণ করা মুখশ্রী।

–তুই এখানে কার অনুমতি নিয়ে এসেছিস?

–আব্বু আমি আম্মুর থেকে অনুমতি নিয়ে আসছি।

–চুপ কর বে’য়াদব মেয়ে! আবার গর্ব করে বলছে। দূরে গিয়ে অভদ্রতা শিখে এসেছিস। দোষ তো তোর তুই কেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করিসনি। নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে বেঁচে যেতে চাইছিস? আজকে বাসায় চল আগে, তারপরে তোর একটা ব্যবস্থা করব আমি। বাবার কথায় লজ্জাবতী পাতার ন্যায় মাথা নুইয়ে গেল। বাবার প্রতি ভিষণ অভিমান জমলো মনের গহীনে। সে তো স্বীকার করছে। দোষ তার ও আছে। তাই বলে যে বেইমানি করেছে। তাকে তো আর ছাড় দেওয়া যায় না৷ সুযোগ পেয়ে সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ভুললেন না সাহেলা চৌধুরী।

–দেখেছেন ভাই মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেননি। কেমন করে নিজের বড় বোনের গায়ে হাত তুলল। আবার বড় বড় কথা বলছে। আপনার মেয়ের কত টাকা চাই। আমাদের বললে আমরা দিয়ে দিতাম। এভাবে কোন সাহসে আমাদের বাড়ির বউয়ের শরীরে প্রহার করে।

–আপনি-ও আপনার বাড়ির বউকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেননি। তা-না হলে এভাবে ছোট বোনের টাকা চুরি করে নেয়। আমার মেয়েকে আমি কথা শোনাব৷ বাহিরের কাউকে কথা বলতে বলিনি আমি।

–এই পালিয়ে যাওয়া মেয়েকে নিয়ে এত অহংকার! না জানি কার সাথে কি করতে গিয়েছিল। আবার আপনাদের মুখ পোড়াতে আসছে।

–সাবধানে কথা বলবেন। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়ে কথা বলার অধিকার আমি আপনাকে দেইনি। আপনি নিজের চরিত্র দেখুন। অতীতের কাহিনি বলব কেঁচো খুঁজতে গিয়ে কেউটো বের না হয়ে আসে আবার। আপনার বাড়ির বউকে বলেন। আমার মেয়ের টাকা গুলো যেন ফেরত দেয়৷ ফরিদ রহমানের কথায় সমস্ত মুখে আঁধার ঘনিয়ে আসে সাহেলা চৌধুরীর। মুখ দিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে না। বাকরুদ্ধতা যেন তাকে সম্পূর্ণ রুপে গ্রাস করে ফেলছে। প্রাপ্তি মুখটা ছোট করে নিজের কক্ষ থেকে টাকা গুলো বের করে নিয়ে আসলো। সবার সামনে মাফ চেয়ে টাকা গুলো ফেরত দিল। মেহেভীন ছাড় দিতে চাইনি। ফরিদ রহমান অজানা কারনে প্রাপ্তিতে শাস্তি দিতে নিষেধ করেছে। ভেতরটা তার ভয়ে কাবু হয়ে আসছে।

আঁধারকে বিদায় জানিয়ে প্রভাতের আলোয় আলোকিত হয়েছে সমস্ত ধরনী। কালকে মেহেভীন মলিন মুখশ্রী নিয়ে বাসায় ফিরেছে। ক্রোধে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সে। নিজের ওপরে ভিষণ রাগ হচ্ছে, কেনো সে এত বোকামি করল। কথায় থাকে না কঠিন মুহূর্তে বুদ্ধি কাজে আসে না। সেই মুহুর্ত চলে যাবার পর হাজার রকমের বুদ্ধি বের হয়৷ কিন্তু তা অকেজো হয়ে যায় কেনো কাজেই আসে না। মেহেভীনের সফলতার খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে গিয়েছে। সবাই প্রশংসা করছে। এমন সময় খবর আসলো। প্রাপ্ত ছাঁদ থেকে পড়ে গিয়েছে। অবস্থা খুব একটা ভালো না। আয়মানকে রাস্তার কিছু ছেলে ধরে মা’র’ছে। দু’জনের অবস্থা খুব একটা ভালো না৷ এক রাতের ব্যবধানে এতকিছু হয়ে গেল। সবকিছুই কি কাল্পনিক ভাবে হয়েছে! নাকি এর পেছনে কারো হাত আছে। কথা গুলো মেহেভীনকে ভিষণ করে ভাবাচ্ছে। প্রাপ্তির জন্য এতটুকু ও মায়া লাগছে না৷ মেহেভীনের বাবা প্রাপ্তির বাবার সাথে হসপিটালের চলে গিয়েছে। প্রাপ্তির মায়ের সাথে মেহেভীনের আম্মু হাসপাতালে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেহেভীনের সবকিছু বিষাদ লাগছে। সে বাসায় থেকে বের হয়ে গেল। প্রাপ্তি নামক অশান্তি তার জীবনের সব শান্তি কেঁড়ে নিয়েছে। এই মেয়েটা কেই সে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো। অথচ মেয়েটা তার প্রতি কতটা অবিচার করল! কথা গুলো ভাবতে ভাবতে মেইন রোডে চলছে আসছে মেহেভীন।

মাশরাফি স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাসার দিকে আসছিল। তখনই চায়ের দোকানের সামনে হিমেলের সাথে দেখা। হিমেল হাতে সি’গা’রে’ট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাশরাফিকে দেখে সি’গা’রে’ট’টা মাশরাফির দিকে এগিয়ে দিল। মাশরাফি প্রথমে ভয়ে নাকচ করে দিল। সেদিনের মারের কথা মনে হলে এখনো দম বন্ধ হয়ে আসে। হিমেল অনেক করে বোঝানোর পরে, নিতে রাজি হলো। কাঁপা কাঁপা হাত বাড়ালো সিগারেট হাতে নেওয়ার জন্য। আশেপাশে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে নিল। অথচ রাস্তার ওপাশে একজোড়া রক্তিম আঁখিযুগল তার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে৷ সেদিকেই তার নজর পড়েনি। আচমকা সেদিকে নজর যেতেই কলিজা শুকিয়ে আসলো। মুনতাসিমের কিছু বলতে হলো না৷ চোখের গরমেই কাবু হয়ে গেল মাশরাফি। দ্রুত স্থান ত্যাগ করল। মাশরাফি চলে যেতেই মুনতাসিম নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

চারিদিকে টুংটাং প্রতিধ্বনিত মুখরিত। এত কোলাহলের মধ্যে মেহেভীন একটু নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ খুঁজছে। মনের মধ্যে শান্তি নেই তার৷ অশান্ত হৃদয় নিয়ে ছুটে চলেছে অজানা গন্তব্যে। বাবা-মা বাসায় আসলে তবে তার শান্তি মিলবে। বাবা কথা বলছে না। কথাটা স্মরন হতেই বুকটা চিনচিন করে উঠলো। অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটতে গিয়ে কখন যে রাস্তার মাঝে চলে আসছে। সেদিকে তার খেয়াল নেই। শতশত গাড়ির চলাচল চারদিকে। একটা গাড়ি মেহেভীনের দিকে ধেয়ে আসছিল। তখনই কেউ একজন হাত ধরে সরিয়ে নিয়ে আসে। আকষ্মিক ঘটনায় মেহেভীন স্তব্ধ হয়ে গেল। পেছনে ফিরে চেনা মুখশ্রী দেখে স্বস্তির শ্বাস ছাড়লো মেহেভীন।

–জামাই হারিয়ে গিয়েছে ম্যাডাম। এভাবে দেউলিয়া হয়ে রাস্তার মাঝে নেমে এসেছেন কেন? মনে খুব বেশি ব্যথা করছে? আমাকে বললেই পারতেন। আমি নিজ দায়িত্বে আপনার স্বামীকে আপনার হাতে তুলে দিতাম। মুনতাসিমের কথা রাগান্বিত হয়ে গেল মেহেভীন। এই মানুষটা এতটা বেশি কথা বলে কেন! বেশি কথা বলা মানুষ তার একদম পছন্দ না। সে তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছে বলে, তাকে যা খুশি তাই বলবে!

–আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ। প্রাণে বাঁচিয়েছেন বলে, নিজেকে কি মনে করেন? আমাকে যা খুশি তাই বলা যায়৷ বেশি কথা বলা মানুষ একদম পছন্দ না আমার৷ এরপরে আমার সামনে বেশি কথা বলার চেষ্টা ও করবেন না।

–বেশি কথা বলা মানুষটা যখন চুপ হয়ে যাবে। সেই নিরবতা টা আপনি নিতে পারবেন না ম্যাডাম। নিরবতা বড্ড ভয়ংকর। আপনার মানতে কষ্ট হবে। দম বন্ধ হয়ে আসবে। আগের মানুষটাকে ফিরে পেতে চাইবেন৷ কিন্তু শত চেষ্টা করে আগের রুপে ফেরাতে পারবেন না। মানুষ একবার পরিবর্তন হয়ে গেলে, তার মনে জায়গা দখল করার মতো কঠিন কাজ ধরণীর বুকে নেই।

–আপনি কি বোঝাতে চাইছেন?

–সব কথা যদি সবাই সহজে বুঝে যেত। তাহলে হৃদয়টা জ্বলে পুড়ে এতটা দগ্ধ হয়ে যেত না। বলতে না পারার আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিচ্ছে। হারিয়ে ফেলার ভয় সমস্ত শরীরকে কাবু করে ফেলছে৷ মেহেভীন তাকিয়ে দেখল মুনতাসিম অদ্ভুত ভাবে ঘামছে। শরীর জুড়ে অস্থিরতা কাজ করছে। শরীরের শিরা-উপশিরা ভয়ে কাঁপছে। মানুষটার এত অস্থিরতা, ভয় হয়ে কাবু হয়ে আসা, তার সামনে এত কথা বলা। মানুষটার এই একটাই রুপ নাকি আরো কোনো রুপ আছে। যে রুপের কথা মানুষটা তার সামনে বলতে চাইছে না৷

–আপনি এত ঘামছেন কেন?

–প্রচন্ড গরম পড়েছে তাই।

–আপনার বাসা এখানে? আপনি কোথায় থাকেন? এদিকে কি করতে আসছেন?

–আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। চাইলে আমাকে কোলে নিয়ে আপনার বাসায় যেতে পারেন। আমি আপনার কোলে বসে খেতে খেতে উত্তর দিব। মেহেভীন নিজের ললাটে নিজেই প্রহার করল। একটা পাগলের সাথে কথা বলছে সে। এমন উল্টা পাল্টা কথা ছাড়া তার থেকে ভালো কিছুই আশা করা যাবে না। মেহেভীনকে নিরব দেখে মুনতাসিম আবার বলে উঠলো,

–যদি-ও আপনার বয়সটা বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু আপনার তো বাচ্চা নেই। তাই আপনি চাইলে আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরবার চেষ্টা করতে পারেন। আমি কিছু মনে করব না।

–আপনার মতো আস্ত একটা হাতিকে কোলে নিতে হলে, আমাকে আবার জন্ম নিতে হবে। আমার ভুল হয়েছে আপনার সাথে কথা বলা৷ কেন যে বারবার আপনার সাথে আমার দেখা হয়। বিরক্ততে মুখশ্রী কুঁচকে এল মেহেভীনের। তখনই মাতাল করা সুগন্ধি এসে ঠেকল মেহেভীনের নাকে। গন্ধটা তার পূর্ব পরিচিত সে এই ফুলটা ভিষণ ভালোবাসে। ছোট বেলায় এই ফুলের জন্য কতশত পাগলামি করত।
মেহেভীনের ভাবনার মাঝেই মুনতাসিম শিউলি ফুলের মালা মেহেভীনের সামনে ধরে বলল,

–ফুলের জন্য ফুল নিয়ে এসেছি৷ আপনার শিউলি ফুল ভালো লাগে৷ মেহেভীন ফুল দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। আবেগে উৎফুল্ল হয়ে গেল। চট করে মুনতাসিমের হাত থেকে শিউলি ফুলের মালাটা হাতে তুলে নিল। মেহেভীনের হাসোজ্জল মুখশ্রী দেখে, মুনতাসিমের বুকটা প্রশান্তিতে ভয়ে গেল। তোলপাড় করা হৃদয়টা শান্ত নদীর ন্যায় স্থির হয়ে গেল। প্রেয়সীর মুখশ্রীতে এক টুকরো হাসি তুলে দিতে পেরেছে। এটাই তার কাছে সবথেকে বড় পাওয়া। মনটা নিজের হয়েও অন্যের ভালো থাকার উপরে নিজের ভালো থাকা নির্ভর করে। মেহেভীন মালাটা খোঁপায় পড়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। মুনতাসিম মেহেভীনের হাত থেকে মালাটা নিয়ে পড়িয়ে দিল। মেয়েরা অল্পতেই খুশি মেয়েদের খুশি করার বেশি কিছু লাগে না। আর সবচেয়ে যেটা পেলে খুশি হয়। সেটা হচ্ছে ফুল। যে মেয়ে ফুল ভালোবাসে না৷ সে মেয়ে কোনো মেয়েই না। মুনতাসিম মনোমুগ্ধকর হয়ে বলল,

“ফুলের সুন্দর্য কেও হারিয়ে মানিয়ে দিবে। আমার ব্যক্তিগত ফুল। ফুলের চেয়েও বেশি সুন্দর। আমার ব্যক্তিগত ফুল। ”

চলবে…..

(কিছু কথা বলি ধৈর্য নিয়ে পড়বেন। আপনারা যেমন আশা করেন। লেখিকা নিয়মিত গল্প দিক। ঠিক তেমনই আমারও ইচ্ছে করে আমার পাঠক হাজার হাজার রেসপন্স করুক। অতিরিক্ত রেসপন্স দেখলে লেখার আগ্রহ এমনিতেই বেড়ে যায়। তখন বলতে হয় না লেখিকা নিজ দায়িত্ব প্রতিদিন গল্প দেয়। আপনরা যেমন আমার কাছে প্রতিদিন গল্প আশা করেন। ঠিক তেমনই আপনি আপনাদের কাছে প্রতিদিন এক হাজার রেসপন্স আশা করি। আমি ভিষণ ভাবে রাইটিং ব্লকে পড়ছি। রাইটিং ব্লক কতটা বাজে জিনিস। তা বলে বোঝাতে পারব না। কালকে একটা পর্ব লিখার জন্য মস্তিষ্কের সাথে যুদ্ধ করেছি। তবুও একটি পর্ব লিখতে পারি নাই। ভেতর থেকে শব্দ না আসলে গল্পটা আমি কিভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে লিখব। সেটা আপনারাই বলে দিবেন। আমি ভিষণ ভাবে পারিবারিক সমস্যার মধ্যে আছি। একটু শান্তির জন্য গল্প লেখা শুরু করি। কিন্তু আপনারা আমাকে শান্তি দেন কোথায়। আমার বোন বাসায় আসছে। ফোন হাতে দেয় না। সব সময় নিজের কাছে রাখে। লিখতে লাগলে তাকিয়ে থাকে। লেখার সময় কেউ তাকিয়ে থাকলে ভেতর থেকে শব্দ আসতে চায় না। দুপুর থেকে যুদ্ধ করে আজকের পর্বটা লিখেছি। মন খারাপ করবেন জন্য নিজের কথা না ভেবে বড় করে লিখেছি। এবার অনন্ত আমার অবস্থাটা বুঝবেন। আর সবাই রেসপন্স করবেন। যেন রেসপন্স দেখে শান্তি পেয়ে প্রতিদিন গল্প দিতে পারি। প্রচুর পারিবারিক সমস্যার মধ্যে আছি। সবাই দোয়া করবেন। যেন সমস্যা দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।)

পরের পর্বটি সবার আগে পড়তে পেইজটি ফলো করে সাথে থাকুন👉 গল্পের ভান্ডার

আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হতে ভুলবেন না👉 লেখক-লেখিকার গল্পের ভান্ডার�

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here