খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_২৪ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
439

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_২৪
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

হিম শীতল করা হওয়া মেহেভীনের শরীর কাঁপিয়ে তুলছে। ধরণীতে বাবা নামক বটগাছটা এত জঘন্যতম হতে পারে, তা মেহেভীনের কল্পনার বাহিরে ছিল। সে তো বাবার ভালোবাসা চেয়েছিল। কিন্তু তার বাবা তার মৃত্যু চাইল! এমন বাবাও ধরনীর বুকে আছে। মেহেভীনের মা দিব্বি দিয়ে, মেহেভীনকে বাসার বাহিরে বের করে দিয়েছে। না চাইতেও তাকে আসতে হয়েছে। গুটি গুটি পায়ের মেহেভীন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তখনই মুনতাসিম হন্তদন্ত হয়ে মেহেভীনের সামনে উপস্থিত হয়৷ চেহারায় বিধ্বস্তার ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। সে রাগান্বিত হয়ে উচ্চ স্বরে বলল,

–আপনার সমস্যাটা কি? আপনি সব সময় আমার সাথে এমন করেন কেন? আমাকে কি মানুষ মনে হয় না। আমি কি এতটাই তুচ্ছতাচ্ছিল্যের জিনিস। প্রতিনিয়ত আমাকে ভেঙে চূড়ে চুরমার করে দিচ্ছেন। আপনার জ্বালিয়ে দেওয়া আগুনে জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে যাই। তবুও আপনাকে আহত করার চেষ্টা কখনোই করি নি। মানুষ এতটা স্বার্থপর হয় কিভাবে কাল থেকে শতশতবার আপনাকে ফোন দিয়েছি। আপনি কেন আমার ফোন তুলেনি। মেহেভীন নিষ্পলক চাহনিতে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। সমস্ত মুখশ্রীতে রক্তিম আভা ফুটে উঠেছে। মেহেভীনের শান্ত চাহনি মুনতাসিমের উথাল-পাতাল করা হৃদয়টা শান্ত করে দিল। মনটা কু ডেকে বলছে। ভালো কিছু হবে না অনর্থ হয়ে যাবে। নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করো মুনতাসিম ফুয়াদ। মেহেভীন শান্ত কণ্ঠে বলল,

–মানুষ এতটা সুন্দর ভাবে ঠকাতে পারে৷ সেটা আপনাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না। সুযোগের সৎ ব্যবহার করলেন। আর কতজনকে ঠকিয়েছেন আপনি? একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন। আল্লাহ তায়ালা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না৷ আপনি যেভাবে আমাকে ঠকিয়েছেন৷ একদিন আপনি-ও ঠিক একই ভাবে ঠকবেন। আমার অনুভূতিরা কবেই ম’রে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে একটু সতেজ হয়ে উঠেছিল। জেগে উঠার আগেই অনুভূতি গুলোকে দাফন করে দিলেন আপনি। আমার মধ্যে অনেক ভুল আছে। সবকিছু জানার পরে-ও কেন আমার ভেতরে এসে, অনুভূতি তৈরি করে সেগুলোকে দাফন করে দিলেন৷ মেহেভীনের কথায় নিস্তব্ধ হয়ে গেল মুনতাসিম। অজানা ভয়ে বুকটা হাহাকার করে উঠছে৷ মেহেভীন এসব কি বলছে! সে কি কোনো কারনে আবার তাকে ভুল বুঝল। মুনতাসিন শান্ত কণ্ঠে জবাব দিল,

–আপনি এসব কি বলছেন। আমার যদি কোনো ভুল পান। তাহলে সেটা আমাকে বলুন। আমি সেই ভুলটা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমি চাইনা আমার কোনো কাজে আপনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। যদি হয়ে থাকেন। তাহলে সেটা আমাকে জানান। আমি ধরনীর বুক থেকে তাকে গায়েব করে দিব। তবুও আপনার এক বিন্দু কষ্ট আমি সহ্য করব না।

–আপনি আমার সামনে থেকে সরে যান। আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না। আপনার সাথে কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে। পুরুষ জাতিকে বিশ্বাস করাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এরা নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। অথচ আপনার জন্য নিজ জন্মদাতা পিতার কাছে কি জঘন্যতম অপবাদ টাই না পেলাম।

–আমার অপরাধ?

–আপনি একজন বিবাহিত পুরুষ দু’দিন পরে বাচ্চার বাবা হবেন। ঘরে অর্ধাঙ্গিনী থাকা সত্বেও পর নারীর পেছনে কেন ঘুরেন। কেন তাকে প্রেমালাপ কথা বার্তা শোনান। দুর্বলতার সুযোগ নিলেন। এতটা বাজে ভাবে আঘাত না করলে-ও পারতেন।

–আপনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আপনাকে কতবার বলব আমি বিবাহিত না। আপনাকে কিভাবে বোঝালে বুঝবেন। আমি শুধু… কথা গুলো বলতে গিয়েও থেমে গেল। মেহেভীনের দমিয়ে রাখা ক্রোধ গুলো বের হয়ে আসলো। চারিদিকের এত এত মানসিক চাপ তাকে দিশেহারা করে দিয়েছে। জীবনটা তার কাছে মূল্যহীন লাগছে৷ সে বজ্রকণ্ঠে বলল,

–চরিত্রহীন পুরুষ কোথাকার! ঘরে বউ রেখে পরনারীর পেছনে ঘুরতে আপনার লজ্জা করে না৷ আপনার মতো পুরুষকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া উচিৎ। এলাকার লোক কি জানে, তাদের মহৎ নেতা কতবড় চরিত্রহীন। ভালো মানুষির মুখোশ পরে থাকেন। আসলেই এমপি মন্ত্রীরা এক নারীতে আসক্ত থাকে না। এদের কোনো শখের নারী হয় না। সকল নারীই এদের শখের নারী। আপনি যদি আমার সামনে থেকে না গিয়েছেন। আমি লোক জড় করে আপনার অবস্থা খারাপ করে ফেলব। মেহেভীনের কথায় মুনতাসিমের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। ফর্সা মুখশ্রী ভয়ংকর ভাবে রক্তিম বর্ন ধারণ করল৷ বজ্র কণ্ঠে বলল,

–ডাকেন কাকে ডাকবেন। কার এত ক্ষমতা মুনতাসিম ফুয়াদের বিচার করবে। আমি অপেক্ষা করছি। নিজেকে আপনি কি মনে করেন। আমার চরিত্রের সার্টিফিকেট দেওয়ার আপনি কে? বেশি মূল্য পেয়েছেন তাই নিজেকে মহান কিছু ভাবতে শুরু করেছেন। আমি যদি বিবাহিত হয়েও থাকি। তাহলে আপনার সমস্যা কোথায়? আপনি কেন আমার সাথে এমন ব্যবহার করছেন। আমি কি এমন ব্যবহার করার মতো কোনো কাজ করেছি। না আমি আপনাকে বলেছি আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনার সাথে আমার প্রণয়ের সম্পর্ক থাকলে, এসব কথা বললে সহ্য করা যেত। কিন্তু আপনার সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আপনি কেন এমন আচরণ করছেন! মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। কথা বলার শক্তি যেন সে হারিয়েছে। আসলেই তো মুনতাসিম তাকে কখনোই ভালোবাসার কথা বলেনি। তবে ভালোবাসার দিক গুলো প্রকাশ পেয়েছে বলেই সে কথা গুলো বলেছে। মেহেভীনকে নিরুত্তর দেখে মুনতাসিম দু’হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে। ক্রোধে পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। মেহেভীন চেঁচিয়ে বলল,

–মিথ্যেবাদী, ঠক, জালিয়াত, ভন্ড, প্রতারক আমাকে ভালোবাসেননি। তাহলে আমার কাছে কেনো এসেছিলেন? আমার অনুভূতি নিয়ে কেনো খেললেন? আপনার মতো চরিত্রহীন লোকের মুখ আমি দেখতে চাই না৷ যে মেয়ের স্বামী এমন চরিত্রহীন যে মেয়ের সারাজীবনই বরবাদ। মেহেভীনের কথায় মুনতাসিম ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। শীতের মাঝে-ও তরতর করে ঘামছে। ক্রোধের মস্তকে প্রেয়সী আঘাত পাবে। এমন কথা স্মরণ রাখতে যেন ভুলল না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে, ঘুষি মা’র’লো। মুহুর্তের মধ্যে হাতটা রক্তাক্ত হয়ে গেল। মুনতাসিমের এমন কান্ডে চমকে গেল মেহেভীন। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করল। আশেপাশে ভিড় জমা হয়ে গিয়েছে। মুনতাসিমের ভয়ে কারো মুখ দিয়ে টু ও শব্দ বের হচ্ছে না। কয়েকজন কানাঘুষো শুরু করে দিয়েছে। একজন বৃদ্ধ মেহেভীনের দিকে এগিয়ে এসে ধীর কণ্ঠে বলল,

–কি হয়েছে মা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে দু’জন চিৎকার চেঁচামেচি করছ কেন?

–আমি চিৎকার চেঁচামেচি করতে চেয়েছিলাম। আপনাদের ভালোবাসার নেতা আমার পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছে। সে একজন বিবাহিত পুরুষ হয়ে পরনারীর পেছনে ঘুরে। তার বউ এসে আমাকে সবকিছু জানায়। একটা মেয়ে হয়ে আমার উচিৎ এই চরিত্রহীন পুরুষকে প্রশ্রয় না দেওয়া। যদি আবেগ বশত দিয়ে ফেলি। তখন আমার নামের সাথে কলঙ্ক লেগে যাবে। একটা নারী কখনোই শরীরে কলঙ্ক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাইবে না। আমি মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সংসার কিছুতেই ভাঙতে পারব না। দু’দিন পরে এই লোক বাবা হবে। তিনি তার বউকে সময় না দিয়ে, পরনারীর পেছনে ছুটছে। তার অর্ধাঙ্গিনীর ভেতরে কি হচ্ছে একটা বার ভাবুন। আমি নিজেও সরে যাচ্ছি। আর প্রতিটি নারীকে উদ্দেশ্য করে বলে যাচ্ছি। এই চরিত্রহীন পুরুষকে যেন কেউ প্রশ্রয় না দেয়। কথা গুলো বলেই মেহেভীন বিলম্ব করল না। দ্রুত ভিড় ঠেলে বের হয়ে গেল। মুনতাসিম গাছের সাথে এক হাত ধরে মেহেভীনের যাওয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। রক্তাক্ত আঁখিযুগল, চেহারায় অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। তাইয়ান অসহায় দৃষ্টিতে মুনতাসিমের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। গার্ডদের ইশারা করতেই ভিড় কমিয়ে ফেলা হলো। কেউ কেউ মেহেভীনের কথা বিশ্বাস করল। কেউ কেউ মানতে নারাজ মুনতাসিম এমন কাজ করতে পারে না। মুনতাসিমের বুকটা ভারি হয়ে আসতে শুরু করল। সে তাচ্ছিল্য করে বলল,

–আপনার কাছে নিজেকে বড্ড সস্তা বানিয়ে ফেলছিলাম। যার পরিনাম এমনটা হবার কথাই ছিল। সস্তা জিনিসের দাম বরাবরের মতোই কম থাকে। আপনি না আমায় ভালোবাসতেন। তাহলে আমাকে বিশ্বাস কেন করলেন না। ভালোবাসার আগে বিশ্বাস আর ভরসা করাটা জরুরি। ওহে আমার শখের নারী সর্বকালের সর্ব সুখ আপনার হোক। তবুও আপনি ক্ষমার অযোগ্য। আপনি ছেড়ে যাওয়ার বাহানা খুঁজ ছিলেন। আর আমি রাগ করে তা সহজ করে দিলাম। কাউকে ভালোবাসলে এক সমুদ্র সমান বিশ্বাস আর ভরসা নিয়ে বাসবেন। তাহলে আপনার করা আঘাতে কারো ছোট্ট হৃদয়টা চূর্ণবিচূর্ণ হবে না। এতদিন ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলাম। আপনি আমায় সস্তা ভেবে উড়িয়ে দিলেন। এবার আপনি আমার অবহেলা দেখবেন। একটা মুহূর্ত বাঁচার মতো বাঁচতে দিব না। আমাকে বিনা দোষে ভুল বোঝার কারনে জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে যাবেন। ভেতরটা দাউ দাউ করে জ্বলবে আপনার। আগুন নেভানোর জন্য আমি আসব না। আমার ভালোবাসা যতটা তীব্র ছিল। আমার অবহেলা ভয়ংকর রকমের সুন্দর। আপনি আমার মুখ দেখতে চান না। আমার এই মুখ আপনি কোনোদিন দেখতে পাবেন না। একদিন আপনি নিজে ছুটে আসবেন আমার কাছে। ভালোবাসা ভিক্ষা চাইবেন। সেদিন আমি ভয়ংকর রকমের পাষাণ হব। আপনার ভেতরটা পোড়াতে পোড়াতে কয়লা করে ফেলব। কথা গুলো বলেই বাসার দিকে অগ্রসর হলো।

চৌধুরী বাড়িতে আনন্দ যেন ঝরে ঝরে পড়ছে। কিন্তু যার জন্য এত আনন্দ এত উল্লাস। তার ভেতরটা পুড়তে পুড়তে কয়লা হয়ে গিয়েছে। মুখের হাসি পরিস্থিতি শুষে নিয়েছে। ছেলের বিধ্বস্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে, রিয়াদ চৌধুরীর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। মুনতাসিমের আঁখিযুগলের দিকে তাকিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেল বাবার হৃদয়। ভয়ংকর ভাবে মুনতাসিমের আঁখিযুগল রক্তিম হয়ে আছে। ছেলের এমন বিভর্স চেহারা আগে কখনো দেখেননি তিনি। রিয়াদ চৌধুরী মুনতাসিমের কাছে এগিয়ে আসতে চাইলে। মুনতাসিম তাকে উপেক্ষা করে চলে গেল। ভেতরটা এতটা দুর্বল হয়ে গেল কেন তার? মেয়েটা আসলেই জাদুকরী নিমিষেই মনটা বিষাদে ভরিয়ে দেয়। আবার মুহুর্তের মধ্যে সমস্ত সুখ তার মুখশ্রীতে এনে দেয়। পরিস্থিতির কাছে সে হেরে গেল। আর দেখতে পাবে না চাঁদ মুখটা। শুনতে পারবে না মায়াবী কণ্ঠ স্বরটা। করতে পারবে না পাগলামি। হতে চাইবে না ছোট বাচ্চা। হয়ে যাবে আগের ন্যায় কঠিন। তার আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা টা অত্যন্ত জরুরী। মুনতাসিম তাইয়াকে ফোন দিয়ে নিজের কক্ষে নিয়ে আসে। তাইয়ানের উপস্থিতি অনুভব করতেই মুনতাসিম বলল,

–আমার নামে মেহেভীনকে কে কি বলেছে তাইয়ান। তাড়াতাড়ি খোঁজ নিয়ে জানাও। ইলেকশন নিয়ে এতটা ব্যস্ত ছিলাম যে এদিকে খেয়াল করিনি। কে সে যে এত বড় জঘন্যতম অপরাধ করেছে। তাকে সামনে পেলে আমি জ্যা’ন্ত পুঁ’তে ফেলব।

–আপনি ম্যাডামকে ভুল বুঝবেন না স্যার। ম্যাডাম অনেক ভালো। সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে। আমার মনে হয় কারো প্রচারনায় এমন কাজ করে ফেলছে। আপনাকে নিয়ে কটুক্তি করার সময় ম্যাডামের কণ্ঠ স্বর কাঁপছিল। আমি ম্যাডামের আঁখিযুগলে আপনার জন্য তীব্র ভালোবাসা আর অভিমান দেখেছি। তাইয়ানের কথা শেষ হবার আগেই মুনতাসিম বালিশের পাশে রাখা নিজের ব’ন্দু’ক টা তাইয়ানের বুক বরাবর তাক করল। তাইয়ান ভীত দৃষ্টিতে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। নিজের বোকামির জন্য নিজেকেই তিরস্কার করল তাইয়ান। ভুল সময়ে ভুল কথা বলে ফেলছে। মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাইয়ান। ধীর কণ্ঠে বলল,

–স্যরি স্যার আমি আপনাকে আঘাত করতে চাইনি৷ আমার ভুল হয়েছে। আমি এমন অন্যায় আচরন কখনো করব না।

–গেট আউট ফর্ম হেয়ার। কালকের মধ্যে সব তথ্য চাই। তাইয়ানের কণ্ঠনালি দিয়ে আর একটা বাক্য উচ্চারিত হলো না। সে দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ করল।

পরের দিন সকাল বেলা মুনতাসিমের নামে টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। বিবাহিত হয়েও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে পরনারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মন্ত্রী মুনতাসিম ফুয়াদ। বিবাহের খবর এতদিন আড়ালে রাখলেও। মুনতাসিম ফুয়াদের স্ত্রী সঠিক তথ্য ফাঁস করে দেন। পরকীয়া প্রেমিকার সাথে রাস্তায় ঝামেলা করছিলেন তিনি। এমন সময় সঠিক সত্যটা সকলের সামনে বেড়িয়ে আসে। কেউ কেউ বলছে মেয়েটি মিথ্যা কথা বলছে। আবার কেউ কেউ বলছে সত্য বলছে। সবকিছু এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। সঠিক তথ্য নিয়ে হাজির হব আমি আনিকা তাসনিম।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here