#মেঘের_শহর
#পর্ব_১৪
Saji Afroz
.
কাল সারাদিন মেঘের দেখা না পাওয়াতে সাইয়ারার মনটা অস্থির হয়ে আছে। সারাক্ষণ ছাদের উপরে, জানালার ধারে ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে সময় কাটিয়েছে সে।
তবুও মেঘ যে কখন বাসায় এসেছে দেখতে পায়নি।
এখন মনে হচ্ছে একটু সময়ের জন্যও ভেতরে থাকা উচিত হয়নি তার।
এখন মেঘের বাসায় যেতেও সাইয়ারার কেমন যেন লাগছে। মনে হচ্ছে তাকে দেখলেই যেন তারা বুঝে ফেলবে, সে ভালোবাসে মেঘ কে।
-সাইয়ারা?
.
পেছনে ফিরে খালা কে দেখে মৃদু হাসলো সে। একটা বাটি তার দিকে এগিয়ে দিয়ে তিনি বললেন-
অন্তরা আপার কাছে পিঠে গুলো দিয়ে আয়। মিষ্টি পুলি তার বেশ প্রিয়।
.
এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! ও বাড়ি যাওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে গেল সে। এই পিঠার বাহানায় মেঘের দর্শনও হয়ে যাবে। আর তার অস্থির মনটাও স্বস্থি ফিরে পাবে।
.
বাটি টা রেখে তাকে যেতে বলল সাইয়ারা। তিনি যেতেই আয়নার সামনে এল সে। চিরুনি নিয়ে চুলগুলো আঁচড়ে নিলো। মুখে সামান্য পাউডার লাগিয়ে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিলো।
হ্যাঁ, এখন একদম পারফেক্ট!
বিড়বিড়িয়ে কথাটি বলে বাটি হাতে মেঘের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো সে।
.
.
অন্তরা আহম্মেদের পরিবারের সবার সাথে মাত্রই নাস্তা করতে বসলেন। সাইয়ারা কে দেখে তিনি হেসে তাকে ভেতরে এসে তাদের সাথে বসতে বললেন।
সাইয়ারা বসে অন্তরা আহম্মেদের দিকে বাটি টা এগিয়ে দিয়ে বলল-
খালা পাঠিয়েছেন।
.
তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন-
সকাল সকাল কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
.
সাইয়ারা প্রশ্নটি করার কারণ বুঝতে পারলো না। অন্তরা আহম্মেদ বললেন-
এত সাজুগুজু করলে সকাল সকাল। তাই জিজ্ঞাসা করছি।
.
সাইয়ারার ইচ্ছে করছে নিজেই নিজেকে মারতে। এটা কি করলো সে? সেজে আসার কি প্রয়োজন ছিল? এসব ছোটখাটো ভুলের কারণেই একদিন ধরা পড়বে সে।
তবে এখন মিথ্যে বলা ছাড়া উপায় নেই।
সে আমতাআমতা করে বলল-
হ্যাঁ বাইরে যাব একটু। কাজ আছে।
.
অন্তরা আহম্মেদ ও মিন্নী তাদের সাথে নাস্তা করতে বললে রাজি হলো সে।
খেতে খেতে মেঘের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে সাইয়ারা।
এখনো পর্যন্ত মেঘ তার সাথে কোনো কথা বলেনি। অথচ আগে সাইয়ারা কে দেখলেই হালচাল জানতে চাইত। হঠাৎ এমন পরিবর্তন কেনো?
সে খেয়াল করলো, মেঘ প্লেটের দিকে তাকিয়েই খাচ্ছে। তাই সে আড়চোখে না তাকিয়ে সরাসরি তার দিকেই তাকিয়ে রইল।
মেঘ কে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে। সাইয়ারার অশান্ত মন মেঘের অশান্ত মন কে চিনতে পেরেছে।
সাইয়ারার মন অশান্ত মেঘের জন্য। কিন্তু মেঘের কার জন্য?
.
.
.
আজ থেকেই কাজে এসেছে জিকো। তার দায়িত্ব ছোট বাচ্চাদের পড়ানো।
বিশাল এক রুমে একগাদা বাচ্চা দেখে ঘাবড়ে গেল সে। সবাই চেঁচামেচি করছে। কেউ খেলছে, কেউ গল্প করছে, কেউ হাসছে, কেউ কাঁদছে আর কেউ বা ঝগড়া করছে!
এতসব বাচ্চা কে একা সামাল কিভাবে দিবে সে!
জোরে চিৎকার করে সবাই কে থামতে বললো জিকো।
জিকোর চিৎকারে পুরো রুম স্তব্ধ হয়ে গেল। জিকোর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটলো। সে আপনমনে বলল-
এসব বাচ্চা সামলানো কোনো ব্যাপার না।
.
ক্লাস শুরু করলো সে। দুই মিনিট না যেতেই একটা বাচ্চা বলে উঠল, তার ওয়াশরুমে যেতে হবে। জিকো তাকে যেতে বললে একা যেতে পারবে না জানালো। জিকো তাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশরুমে এল।
বাথরুম সেরে এসে বাচ্চাটি জিকোর ওড়নায় হাত মুছতেই সে দূরে সরে চোখ রাঙিয়ে বলল-
এটা আমার ওড়না, কোনো তোয়ালে নয়।
.
বাচ্চাটি কিছু না বলে ফিক করে হেসে দৌড় দিলো।
ক্লাসে ফিরে এসে সবাই কে বই খুলতে বলল জিকো। ঠিক তখনি আরেকটি বাচ্চা ওয়াশরুমে যাবে বলল।
জিকো তাকে নিয়ে আবারো ওয়াশরুমে গেল। ফিরে আসার পর একই ঘটনা ঘটলে জিকো রেগে গেল। যে বাচ্চাটি ওয়াশরুমে যেতে চেয়েছে তার উদ্দেশ্যে রেগেমেগে বলল-
ফাযলামি করো? ফাযলামি? পর পর কিভাবে বাথরুম পায় সবার! না পড়ার ধান্দা এসব।
.
কাচুমাচু করে বাচ্চাটি জবাব দিলো-
সত্যি সত্যি পটি পেয়েছে।
.
জিকো ধমকের সুরে বলল-তাহলেই এখানেই করে দাও।
.
বাচ্চাটি ভয়ে বসে পড়ল। জিকো কে রাগতে দেখে পুরো ক্লাসের বাচ্চারা নিশ্চুপ হয়ে গেল।
জিকো পড়াতে শুরু করলো। একটু পরেই একটা বিশ্রি গন্ধ তার নাকে আসলো।
জিকো ভাবলো, বাইরে থেকে গন্ধ টা এসেছে। তাই সে নাকে ওড়না চেপে ধরলো। কিন্তু বেশকিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও গন্ধ না গেলে সে বিরক্তিবোধ করলো। এমন গন্ধে ক্লাস করানো অসম্ভব!
বাচ্চারাও নিজেদের নাক ধরে রেখেছে।
আচমকা একটা বাচ্চা চেঁচিয়ে বলল-
ম্যাডাম ও এখানে পটি করে দিয়েছে!
.
সব বাচ্চা হুড়মুড় করে দৌড়ে ক্লাসের বাইরে চলে গেল।
যে বাচ্চাটি এই কাজটি করেছে সে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে জিকোর দিকে তাকিয়ে বলল-
আপনি বলেছেন এখানে করে দিতে, তাই এখানেই করে দিলাম।
.
.
.
ক্লাস শেষে হুরায়রা বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেছে। আজও মেঘ তার পিছু নিয়েছে কি না বুঝতে পারছে না। তাই খুব সাবধানে হাঁটছে সে। যাকে বলে চোখ, কান খোলা রেখে হাঁটা। অবশেষে মেঘের উপস্থিতি টের পেল সে।
সিদ্ধান্ত নিলো, আজ মেঘ কে সে আর ফাঁকি দিবে না। সে চায় মেঘ তার বাড়ির ঠিকানা জানুক।
ভাবতে ভাবতেই একজন বয়স্ক মহিলা তার পথ আটকালো।
যাকে দেখে চমকে উঠল হুরায়রা।
এদিকে মেঘ হুরায়রা কে থামতে দেখে একটা বাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়লো।
হুরায়রা অবাক হয়ে মহিলাটির উদ্দেশ্যে বলল-
আপনি?
.
মহিলাটি তার কানের কাছে মুখ এনে বললেন-
তোর মনে কি চলছে আমি জানি। তাই তোকে সাবধান করতে এলাম। তুই ভুল পথে পা বাড়াচ্ছিস।
.
এদিকে মেঘ বোঝার চেষ্টা করছে তারা কি কথা বলছে। কিন্তু দূরে থাকায় সে কিছুই বুঝতে পারছে না। তবে মহিলাটাকে দেখছে সে। বয়স্ক হলে কি হবে! হুরায়রার মতোই সুন্দরী তিনি।
মহিলাটির কথা শুনে হুরায়রার চোখে পানি চলে এল। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে তিনি হনহনিয়ে চলে যেতে লাগলেন।
হুরায়রা আশেপাশে তাকিয়ে আঙুল দিয়ে চোখের কোণে জমে থাকা পানি মুছে হাঁটতে শুরু করলো।
কিছুদূর যেতেই আরেকজন মহিলা তার পথ আটকালো।
যাকে দেখে হুরায়রার মুখে হাসি ফুটলো। তিনি হুরায়রা কে জড়িয়ে ধরে বললেন-
মনের বিরুদ্ধে কিছু করবে না। মন যা বলে তাই করবে। ভালো-মন্দ বোঝার বয়স তোমার হয়েছে।
.
হুরায়রার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মহিলাটি চলে যাচ্ছে। হুরায়রা নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে সে। তার মন কি চায়? মেঘ তার জীবনে আসুক না কি…
নিজের মন কে প্রশ্ন করে আবারো হাঁটতে শুরু করলো সে।
মেঘ তার পিছু নিতে নিতে মহিলা গুলো কে হতে পারে ভাবলো।
একটা দোতলা বাড়ির ভেতরে হুরায়রা কে ঢুকতে দেখলো মেঘ।
হুরায়রা ঢুকে যেতেই মেঘ বাড়ির গেইটের সামনে এল।
বাড়ির উপরে বড় করে লেখা-
হুর ভবন
.
এই নাম দেয়ার কারণ কি ভাবছে মেঘ।
সে যা ভাবছে তা না তো?
আশেপাশে দোকানপাট আছে। তারা নিশ্চয় জানতে পারবে এই নামের কারণ।
মেঘ বাড়ির সামনে থাকা মুদি দোকানে এসে দোকানীর উদ্দেশ্যে বলল-
হুর ভবন! নাম টা বেশ সুন্দর। এই বাড়ির নাম হুর দেয়ার কারণ কি ভাবছি।
.
দোকানী একগাল হেসে বললেন-
এই বাড়ির মালিকের বাচ্চা হচ্ছিল না। পরে তারা রাস্তার ধারে একটা মেয়ে কুড়িয়ে পায়। মেয়ের মা বাবার খোঁজ করেও খুঁজে পায়নি তারা। সেই থেকে ওই মেয়ে হয়ে উঠে এ বাড়ির মেয়ে। তার নামে রাখে তারা হুরায়রা। কিন্তু মেয়ের বাবা তাকে ভালোবেসে হুর বলে ডাকে। তাই ওর নাম নিয়েই বাড়ির নাম রাখা হয়।
.
হুরায়রা রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে! তাই বুঝি এত চুপচাপ থাকে সে সারাক্ষণ? এটা নিয়ে কি তার মনে কষ্ট আছে?
ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে মেঘ বলল-
এই ঘটনা কি হুরায়রা জানে?
-আমরা জানি আর সে জানবে না? এই ঘটনা এলাকার সবাই জানে। হুরায়রাও জানে। তারা তার কাছে সত্যটা লুকোয় নি। এই নিয়ে হুরায়রার কোনো আফসোস নেই। বরং সে বলে, তার আসল মা বাবার খোঁজ তার প্রয়োজন নেই। এরাই তার মা বাবা।
কথাটি শুনে বেশ খুশি হলো মেঘ। কিন্তু বুঝতে পারলো মুখে কিছু না বললেও হুরায়রার মাঝে একটা চাপা কষ্ট আছে।
যে কষ্টটাও দূর করতে চায় সে। পৃথিবীর সমস্ত সুখ তার পায়ের কাছে নিয়ে আসতে চায় মেঘ। সে সুযোগে টা কি হুরায়রা দিবে?
.
দোকানী আবারো বলে উঠল-
কিছুদিন পর বাড়িটা তার প্রাণ হারাতে চলেছে।
.
মেঘ বলল-
বাড়ি প্রাণ হারাবে মানে?
-হুরায়রার বিয়ে হবে শুনলাম। বিয়ের পর সে চলে গেলে খালি হয়ে যাবে তো, তাই বললাম।
.
কথাটি শুনে মেঘের বুকটা ধুক করে উঠল। এটা কি শুনলো সে! হতাশ হয়ে নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলো মেঘ।
বাসায় এসে সোজা নিজের রুমে চলে এল। তার পিছু নিলো অন্তরা আহম্মেদ।
মেঘ বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে আছে দেখে তিনি ভেতরে আসলেন।
তিনি মেঘের কপালে হাত ছোঁয়াতেই সে চমকে উঠল।
অন্তরা আহম্মেদ কপালে চিন্তার রেখা টেনে বললেন-
জ্বর আছে কি না দেখছি।
-শরীর ঠিক আছে আমার।
-তবে এমন দেখাচ্ছে কেনো? কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত?
.
মেঘ কিছু না বলে হাসলো। অন্তরা আহম্মেদ তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন-
মনের মাঝে কিছু রাখবি না৷ আমাকে বলবি সব খুলে। এখন ফ্রেশ হয়ে আয়। খেতে হবে।
.
মেঘ বাধ্য ছেলের মতো হ্যাঁ সূচকভাবে মাথাটা নাড়লো।
.
.
.
বাসায় ফিরে ওড়না টা মেঝের উপরে ছুড়ে ফেললো জিকো। মোখলেসের উপর অনেক রাগ হচ্ছে তার। সারাদিন বাচ্চাদের প্যানপ্যানানি শুনতে শুনতে কানটা ঝালাপালা হয়ে গেছে।
এসব দুষ্টু বাচ্চা সামলানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। তার চেয়ে না খেয়ে থাকা উত্তম।
ফোন হাতে নিয়ে সে মোখলেসের নাম্বারে মেসেজ পাঠালো-
আমার পক্ষে এসব করা সম্ভব নয়। বাচ্চা গুলো ভীষণ দুষ্টু। আমি দুঃখিত।
.
মেসেজ টি পাঠিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেল সে। গোসল সেরে ভাত খেয়ে লম্বা একটা ঘুম দেয়া প্রয়োজন তার।
.
.
.
বিকেলে ছাদের উপরে রেলিং এর পাশে দাঁড়িয়ে আছে মেঘ। পিঠে কারো ছোঁয়া পেতেই পেছনে ফিরে অন্তরা আহম্মেদ কে দেখতে পেল।
অন্তরা আহম্মেদ কিছু বলার আগেই ওপাশের ছাদে সাইয়ারার দেখা পেলেন। মাত্রই সে এসেছে।
তাদের দেখে মিষ্টি করে হেসে হালচাল জানতে চাইলো সে। মেঘ কোনো জবাব দিলো না।
অন্তরা আহম্মেদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ছাদে শুকোতে দেওয়া কাপড় গুলো নিয়ে চলে গেল সাইয়ারা।
অন্তরা আহম্মেদ বললেন-
একটা চাকরি জোগাড় করে নে। ঘরে একটা বউ নিয়ে আসি।
.
মেঘ ভ্রু কুচকে মায়ের দিকে তাকালে তিনি বললেন-
ওভাবে কি দেখছিস? বউ থাকলে এইরকম গোমড়া মুখ করে থাকতে পারবি না।
.
মায়ের কথা শুনে হাসলো মেঘ।
তিনি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন-
সাইয়ারা কে নিয়ে আসি৷ কি বলিস?
.
মেঘ অবাক চোখে তাকিয়ে বলল-
কোথায়?
-আমাদের বাড়িতে, তোর বউ করে।
.
ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে মেঘ বলল-
তুমি কি ভাবছ আমি ওকে ভালোবাসি?
-ভালো নাই বাসতে পারিস৷ আবার বাসতেও পারিস। তবে আমি ওসব ভেবে বলিনি। ওকে আমার পছন্দ। তুই বললে আমি ওর ফুফুর সাথে কথা বলব।
.
মেঘ একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলল-
কি যে বলোনা মা!
-বিয়ে তো কাউকে করতেই হবে। সাইয়ারা হলে কি সমস্যা?
.
মায়ের প্রশ্ন শুনে মেঘ নীরব হয়ে গেল। মা তার বিয়ে নিয়ে ভাবছে। তাই হয়তো সাইয়ারার কথা বলেছে। তিনি যদি হুরায়ার কথা জানেন, নিশ্চয় মেনে নিবেন। পছন্দ করবেন হুরায়রা কে। অবশ্য অপছন্দের মতো মেয়ে হুরায়রা নয়। কিন্তু সে ও বাড়ির মেয়ে নয়। এটা জানার পরেও মেনে নিবেন তো?
অন্তরা আহম্মেদের মেঘের নাম ধরে ডাকলে ঘোর কাটলো তার। মুহুর্তের মাঝেই মেঘ সিদ্ধান্ত নিলো, মা কে সব জানাবে সে। খুব বেশি দেরী হবার আগেই মা কে সবটা জানানো প্রয়োজন।
হুরায়রার বিয়ে সে হতে দিতে পারেনা!
.
.
.
কাপড়চোপড় গুছিয়ে একটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলো হুরায়রা। কিছুদিন মেঘের কাছ থেকে তার দূরে থাকতে হবে। তাই বিষণ্ণ মন নিয়ে বিষণ্ণ শহরে পাড়ি দিচ্ছে সে!
.
চলবে