দৃষ্টির_আলাপন #পর্বঃ১৩ #আদওয়া_ইবশার

0
443

#দৃষ্টির_আলাপন
#পর্বঃ১৩
#আদওয়া_ইবশার

মিষ্টি এক সকাল। বাতাসে হালকা শীত শীত আমেজ। শৈত্যপ্রবাহ খুব বেশি দূরে না। এইতো আর কিছুদিন। হেমন্ত মশাই এখনই তল্পিতল্পা গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদায় নেবার। তার বিদাইয়ের খুশিতে শীত মহাশয়’ও ধুমধাম প্রস্তুতি নিচ্ছে নাইয়োর আসার। মানুষজনকে এখনই সকাল-সন্ধ্যা নিয়ম করে জানিয়ে দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা। সকাল সকাল দৃষ্টি বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে কাওকে কিছু না বলেই। উদ্দেশ্য আজীজ শিকদারের পার্টি অফিস। ভেবেছিল সকাল সকাল নিশ্চিন্তে নিজের কাজ সমাপন করে বাসার কেউ তার অনুপস্থিতি বোঝার আগেই আবার ফিরে যাবে। কিন্তু তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে এতো তাড়াতাড়িই করে ফেলেছে যে,পার্টি অফিসে এখনো তালা ঝুলছে। নেতা আসার আগেই দুয়ারে জনতা এসে হাজির। কতক্ষণ অফিসের সামনে চিন্তিত বদনে পায়চারি করে কাটিয়ে দেয় দৃষ্টি। কাটায় কাটায় ঠিক দশটা বাজতেই দূর থেকে দেখতে পায় কয়েকজন লোক এদিকেই এগিয়ে আসছে। মুখ গুলো দৃষ্টি গতকাল সমাবেশে দেখেছে। তাই আর চিনতে অসুবিধা হয়নি ওনারা এই পার্টি অফিসের লোক। দ্রুত পায়ে কিছুটা আড়ালে সড়ে দাঁড়ায় দৃষ্টি। লোক গুলো অফিসে ঢোকার কিছুক্ষণ পরই সেখানে উপস্থিত হয় আজীজ শিকদার। সাথে রক্তিম শিকদার নেই দেখে একটু আশ্বস্ত হয় দৃষ্টি। চট করে বেরিয়ে আসে আড়াল থেকে। দ্রুতগতিতে দুই,তিন পা এগিয়ে আবার থেমে যায় অজানা এক সংকোচে। নিজ মনেই ভাবে কাজটা কি তার ঠিক হচ্ছে? একটু বেশিই কি পাগলামি হয়ে যাচ্ছেনা! পরোক্ষনে আবারও নিজ মনেই ভাবে, ভালোবাসা আর যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য সব করা যায়। এই দুটো জায়গায় ভয়, লজ্জা, সংকোচ থাকলে কখনো জয়লাভ করা যায় না। মন থেকে সমস্ত ভাবনা ঝেড়ে মাথা ঝাকায় দৃষ্টি। বুক ফুলিয়ে দম নেয় দীর্ঘক্ষণ। বড় বড় কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে হালকা করে। মনে সাহস জুগিয়ে এগিয়ে যায় অফিসের প্রবেশদ্বারে। দরজার সামনে যেতেই আটকে দেয় একজন। ঘাবড়ে যায় দৃষ্টি। প্রায় আজীজ শিকদারের বয়সী একজন লোক দরজায় হাত ঠেকিয়ে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে তাকিয়ে। জানতে চায়,

“কি ব্যাপার! কি চায় এখানে?”

একটু অপ্রস্তুত দেখায় দৃষ্টিকে। কি বলবে ভেবে পায়না। অস্বস্তিতে গাঁট হয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে শুকনো ঢোক গিলে বলে,

“জ্বি মানে! আজীজ শিকদারের সাথে দেখা করতে এসেছি।”

কিছু একটা ভেবে আবারও প্রশ্ন করে লোকটা,

“আজীজ শিকদারের কাছে কি দরকার?”

ঠিক তখনই ভিতর থেকে কোনো এক পুরুষালী গলা শুনতে পায় দৃষ্টি। বলছে,

“কি ব্যাপার জাফর ভাই! কার সাথে কথা বলছেন? কে এসেছে?”

তৎক্ষণাৎ দৃষ্টির সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা উত্তর দেয়,

“একটা মেয়ে এসেছে। বলে কি না আপনার সাথে দেখা করবে।”

কথাটা শুনতে পেয়ে আজীজ শিকদার নিজেই বেরিয়ে আসে ভিতর থেকে। অত্যন্ত নম্র কন্ঠে সালাম দেয় দৃষ্টি। হাসি মুখে সালামের জবাব দেয় আজীজ শিকদার। দুই পা এগিয়ে এসে স্বহাস্যে জানতে চায়,

“বলো মা! আমার কাছে কি দরকারে এসেছো তুমি?”

কন্ঠে একটু অস্বস্তি নিয়ে মাথা নিচু করে দৃষ্টি বলে,

“আপনার সাথে আমার একটা জরুরী কথা ছিল স্যার। যদি অনুমতি দিতেন তবে বলতাম!”

মেয়েটার এতো নম্র আচরণ দেখে মুগ্ধ হয় আজীজ শিকদার। অভয় দিয়ে বলে,

“আচ্ছা! যা বলার বলো। কিন্তু এভাবে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে লোকে মন্দ ভাববে। নির্ভয়ে তুমি ভিতরে এসে আমার সাথে বসে সবটা বলতে পারো,

আজীজ শিকদারের সাবলীল আচরণে দৃষ্টির এতোক্ষণের অস্বস্তিটা যেন কর্পূরের ন্যায় উড়ে যায়। প্রফুল্ল চিত্তে আজীজ শিকদারের পিছন পিছন ভিতরে গিয়ে মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে বসে। একবার পুরো রুমটাতে নজর বুলিয়ে দেখে নেয় মানুষজনের উপস্থিতি। আজীজ শিকদার সহ ইতিমধ্যেই সাত-আটজন চলে এসেছে। এতো গুলো মানুষের সামনে কথাটা বলতে একটু অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি হলেও জড়তা ভেঙ্গে বলে দৃষ্টি,

“আপনার কাছে আমার একটা আবদার আছে স্যার।”

“কি আবদার?”

জানতে চায় আজীজ শিকদার। দৃষ্টি আবারও বলে,

“আপনি তো এবার এমপি পদে নির্বাচন করছেন! প্রায় সব জনগণের দুঃখ-কষ্ট দেখে ওনাদের আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচিত হবার পর সব সমস্যার সমাধান করবেন। একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে আমারও আপনার কাছে একটা আবদার আছে। যদিও আমি আপনার এলাকার ভোটার না। এমনকি এখনো কোনো এলাকারই ভোটার হয়নি। তবে আমার খালার বাসা এখানে। আপনি যদি আমার আবদারটা রাখেন তবে আমি কথা দিচ্ছি আপনাকে আমার খালামনির বাসার সব গুলো ভোট পাইয়ে দিব।”

দৃষ্টির এমন কথায় একটু অবাক হয় আজীজ শিকদার। মেয়েটাকে দেখে ওনি প্রথমেই একটু হলেও বুঝতে পেরেছিল একটা চঞ্চল পাখি। তবে প্রথম দিকের একদম নম্র আচরণ দেখে আবার মনে হয়েছিল মেয়েটা একদম শান্তশিষ্ট। এখন আবার কথা শুনে মনে হচ্ছে চঞ্চলা হরিণী। একেক সময় একেক রকম মনে হচ্ছে। ভাবনায় পরে গেছেন আজীজ শিকদার মেয়েটাকে ঠিক কি বলে আখ্যায়িত করবেন! দৃষ্টিকে নিজের দিকে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিজের ভাবনাটা এক পাশে রেখে আবারও হেসে জবাব দেন আজীজ শিকদার,

“আচ্ছা! আগে বলো শুনি তোমার কি আবদার। যদি সাধ্যের মাঝে হয় তবে অবশ্যই রাখব।”

“না না! আগে বলা যাবেনা। আবদারটা খুব বেশি কিছু না। অবশ্যই আপনার সাধ্যের মধ্যেই। আপনি আগে কথা দিন আমার আবদার রাখবেন তবেই আমি বলব।অন্যথায় বলার পর যদি আপনি না রাখেন তবে আমি খুব কষ্ট পাব।”

দৃষ্টির কথার ধরনে শব্দ করে হেসে ফেলেন আজীজ শিকদার। দলের অন্য লোক গুলোর মুখের ভাব-ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছে কাজ ফেলে বাচ্চা এক মেয়ের সাথে নেতার এমন খোশগল্পে তারা বিরক্ত। তবে সেদিকে দৃষ্টি বা আজীজ শিকদার কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

“আচ্ছা রাখব। এবার বলো শুনি কি আবদার!”

এবার একটু নড়েচড়ে বসে দৃষ্টি। আবারও উপস্থিত সকলের দিকে এক পলক তাকিয়ে দেখে নেয় সকলকে। পরপর কয়েকটা ঢোক গিলে শুকনো গলাটা ভিজিয়ে নেয়। চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে একদমে বলে,

“আমি আপনার ছেলে রক্তিম শিকদারকে ভালোবাসি। কিন্তু আপনার বদরাগি ছেলে আমার ভালোবাসার কোনো মূল্যই দিচ্ছেনা। সে কখনো বুঝতেই চায়না আমার অনুভূতি গুলোকে। নিরুপায় হয়ে এখন আপনার কাছে এসেছি আমি। আমার আবদারটা হলো আপনি যদি এমপি পদে জিততে পারেন তবে আপনার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিবেন। দয়া করে এখন আবার আমাকে ভুল বুঝে আপনার ছেলের মতোই দূর দূর করবেন না। আমার এই আবদার আপনাকে রাখতেই হবে।”

কি বলবে আজীজ শিকদার! নিজের কানকেই বিশ্বাস হচ্ছেনা। বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে গিয়ে একদম স্তব্ধ। শুধু আজীজ শিকদার একা না। উপস্থিত প্রতিটা মানুষেই বাকরুদ্ধ। একটু আগে যেন দৃষ্টি কোনো আবদার রাখেনি। সরাসরি একটা বো মা ফাটিয়েছে পার্টি অফিসে। যার কবলে পরে প্রত্যেকেই অনুভূতিশূণ্য জড়বস্তুর ন্যায় ঠাই বসে আছে নিজ নিজ জায়গায়। পাঁচ মিনিট, মিনিট। ঠিক এভাবে সময় গড়াতে গড়াতে কতক্ষণ হয়েছে সেদিকে কারো খেয়াল নেয়। দৃষ্টি নিজেও সাহস জুগিয়ে ফট করে কথা গুলো বলে দিলেও এখন ভয়, লজ্জায় জড়োসড়ো। মাথা নিচু করে খিঁচে চোখ বন্ধ রেখে কলিজা ফাটানো একটা ধমক খাবার অপেক্ষায়। তবে দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে কানে পৌঁছায় আজীজ শিকদারের শান্ত গলা,

“তোমার নাম কি মা?”

মাথাটা কিঞ্চিৎ উচু করে এক পলক তাকায় আজীজ শিকদারের মুখের দিকে। পরপর আবারও নিচু মস্তকে মিনমিনে স্বরে জবাব দেয়,

“দৃষ্টি। দৃষ্টি মেহেজাবিন।”

“বাড়ি কোথায়?”

“ময়মনসিংহ। বাবা সাদেক দিলোয়ার। মা দিলশান আরা। আমরা দুই ভাই বোন। আমি এবার ভার্সিটি এডমিশন দিয়েছি। আপাতত রেজাল্টের অপেক্ষায়। আর আমার ভাই দিহান সে ক্লাস ফাইভ এর স্টুডেন্ট।”

এক নাগাড়ে কথা গুলো গড়গড় করে বলে থামে দৃষ্টি। আবার এক পলক আজীজ শিকদারের দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলে,

“আপনি হয়তো আবারও আমার ফ্যামিলি সম্পর্কে কিছু জানতে চাইতেন। তাই আগেই বলে দিয়েছি সবকিছু। কিছু ভুল করে থাকলে স্যরি।”

আজীজ শিকদারের থমথমে মুখে এবার একটু হাসি দেখা দেয়। আবারও প্রশ্ন করেন,

“বয়স কত তোমার।”

“কিছুদিন আগেই আঠারো হয়েছে।”

“আর আমার ছেলের বয়স কত জানো?”

দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে না জানায় দৃষ্টি। একটু চুপ থেকে আজীজ শিকদার বলেন,

“এই ডিসেম্বরে ত্রিশ পূর্ণ করে একত্রিশে পা রাখবে। তোমার থেকে গুণে গুণে বারো বছরের বড়।”

এরপর আরও একটু থামে। গভীর একটা নিশ্বাস নিয়ে স্বরণ করিয়ে দেয় নির্মম এক সত্য,

“তাছাড়া সবথেকে বড় কথা আমার ছেলে বিবাহিত। পাঁচ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় ওর স্ত্রী মা রা গেছে। এখন তুমি বলো। রক্তিম বিবাহিত। তোমার আগেই তার জীবনে এক নারীর আগমন ঘটেছে। হয়তো সে এখন পৃথিবীতে নেই। তবে তাকে ঘিরে যে স্মৃতি গুলো তৈরি হয়েছিল সেগুলো এখনো তাজা। যে পুরুষের সবটা জুড়ে তোমার আগে অন্য এক নারীর বসবাস ছিল তাকে তুমি মানতে পারবে?আর তোমার পরিবার! তারা কখনো তোমার মতো এতো অল্প বয়সী সুন্দরী একটা মেয়েকে কখনো আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিবে? তোমার বয়সটা অল্প মা। এই পৃথিবীর ভালো-মন্দ কিছুই এখনো জানোনা তুমি। আমি চাইনা তোমার মতো ফুটফুটে একটা চাঁদ আবেগপ্রবল হয়ে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে মৃ ত্যু র আগ পযর্ন্ত জীবন নিয়ে আফসোস করুক। তোমার জীবনটা মাত্র শুরু। এখনই ঠিক-ভুল কোনো কিছু বিচার না করে এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবেনা।”

সম্পূর্ণ কথা গুলো অত্যন্ত মনযোগ সহকারে শুনে দৃষ্টি। কিয়ৎক্ষণ মৌনতা বজায় রেখে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ছেড়ে মাথা উচু করে বলে,

“আমি আপনার ছেলের অতীত সম্পর্কে প্রথম থেকেই সব জানি স্যার। আমার ঐসব নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কারণ যা ছিল তা অতীত। অতীত ধরে বসে থাকলে আমাদের চলেনা। তবুও যদি ওনার স্ত্রী বেঁচে থাকতো আর যদি ওনারা সেপারেশনে থাকত আমি তবুও আপনার ছেলের পিছু ঘুরতাম না এটা ভেবে যে, হয়তো কোনো একদিন দুজন সব ভুলে আবার এক হতে পারে। কিন্তু এখন তো সে সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ এসব জেনে বুঝে কখনো কারো প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়না স্যার। বয়স ভেদেও কখনো ভালোবাসা আসেনা। আমি শুধু জানি আমি আপনার ছেলেকে ভালোবাসি। এবং সেই ভালোবাসার গভীরতা ঠিচ কতটুকু হলে একটা মেয়ে এভাবে নির্লজ্জের মতো সেই ছেলেটার বাবার সামনে বসে অকপটে সবটা স্বীকার করতে পারে একবার ভাবুন। আর বাকী রইল আমার পরিবারের কথা। আমার পরিবারের যদি মনে হয় ঐসব অতীত, সমাজ সম্পর্ক, বয়স এগুলোর ঊর্ধ্বে তাদের মেয়ের সুখ তবে অবশ্যই মানবে। আপনি শুধু বলুন আপনি আমাকে নিজের ছেলের পুত্রবধূ হিসেবে মানবেন কি না আর আপনার ছেলেকে মানাবেন কি না। বাকীটা আমার পরিবারের দিক সম্পূর্ণ আমি সামলে নিব।”

সর্বদা শান্ত মস্তিষ্কে সব কিছু সামাল দেওয়া আজীজ শিকদার এবারও শান্ত। নিজের একমাত্র বাউন্ডুলে ছেল কেন্দ্রিক এতো বড় একটা ঘটনার পরও যথেষ্ট শান্ত দেখাচ্ছেন তাকে। অল্প বয়সী একটা মেয়ে এভাবে সম্পূর্ণ নিয়ম নীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে ভালোবাসার লোভে ছেলের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখছে। বিষয়টা উপস্থিত সকলের কাছে অষ্টম আশ্চর্য মনে হলেও আজীজ শিকদারকে এমন নির্লিপ্ত দেখে তারা আরও বিস্মিত। হজম হচ্ছেনা বিষয়টা কারো। দৃষ্টির মতো অন্য সবাই ভেবেছিল হয়তো মেয়েটাকে ধমকে বের করে দিবে। কিন্তু ঘটনা ঘটল উল্টো। আজীজ শিকদার আবারও প্রমাণ দিল নিজের ধৈর্যের। এবং সব শেষে সবাইকে একদম অবাকতার চরম পর্যায় পৌঁছে দিয়ে বলল,

“আচ্ছে বেশ! তুমি যদি তোমার পরিবারকে মানাতে পারো আর আমার ছেলের সাথে সংসার করতে পারো। তবে আমি কথা দিচ্ছি, নির্বাচনের পর এই বিষয়ে রক্তিমের সাথে কথা বলব আমি।”

আজীজ শিকদারের কথাটা বলতে দেরি। কিন্তু দৃষ্টির ঠোঁটের কোণে প্রাপ্তির উল্লাসে এক ফালি হাসি উকি দিতে একটুকুও দেরী করেনি। বরং চিকন ঠোঁট দুটোর সাথে হেসে ওঠে নির্মল চোখ দুটোও। এক লাফে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ার মতো করে বলে,

“আমার শশুর সবার ভাই।”

অফিসে থাকা অল্প বয়সী ছেলে গুলো হয়তো এই আধ পাগল মেয়েটার এমন স্লোগানে মজা পায়। যার দরুন নিজেরাও মিটি মিটি হেসে বলে,

“আজীজ ভাই, আজীজ ভাই।”

চলবে……..

( আজকের পর্ব লিখতে গিয়ে আমার আবেগ কাজ করছিল। বিবেক কাজ করে নাই। দয়া করে কেউ ব কা ব কি কইরেন না )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here