কথা দিলাম 🌸❤️ ||পর্ব ~ ১২|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
264

কথা দিলাম 🌸❤️
||পর্ব ~ ১২||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

সিয়ারা: গাড়ি চালানোর সময় ড্রিংক করতে নেই জানেন না?

সিয়ারা গাড়িতে উঠে বসার পর আধভিক গাড়িতে এসে বসে। গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পর পরই একটা হিপ ফ্ল্যাস্ক একহাতে নিয়ে নেয় আধভিক। গাড়ি চালানোর সাথে সাথে সে ড্রিংকও করছে আবার সিয়ারার সাথে কথাও বলছে। অবশ্য সিয়ারা কোনো কথা বলছে না, সে শুধু সামনে দেখছে আর আধভিককে দেখছে। রাগ হচ্ছে তাঁর। একটা সময় এসে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলো না সিয়ারা। বাধ্য হয়ে বলেই ফেললো কথাটা।

আধভিক: জানি তো। বাট জানলেই যে মানতে হবে এমন কোনো কথা আছে নাকি? ক্যালিফোর্নিয়াতে তো এর চাইতেও বেশী স্পিডে ড্রাইভ করতাম।

সিয়ারা: মানে? সত্যি আপনার মাথায় সমস্যা আছে জানেন তো? এইভাবে ড্রিংক করে কেউ গাড়ি চালায়? তাও আবার এতো স্পিডে? এখনও কি কম স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছেন নাকি আপনি? প্রাণের ভয় নেই তাই না?

আধভিক: না।

আধভিক তাচ্ছিল্য হেসে কথাটা বললে সিয়ারা রেগে কিছু বলতে গিয়েও বললো না। একটু সময় নিয়ে ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখলো আধভিকের মুখটা।

সিয়ারা: কেন?

আধভিক: আমার কোনো পিছুটান নেই তাই। আমি মরে গেলে কাওর একটুও যায় আসবে না। আমি মরলাম নাকি বাঁচলাম সেই নিয়ে কাওর কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং মরে গেলেই হয়তো…

সিয়ারা: এইসব কি বলছেন আপনি? আপনার বাবা আপনাকে ভালোবাসেন। আর আপনি বলছেন কাওর যায় আসবে না?”

আধভিক: তুমি কিছুই জানো না সিয়ারা। এই পৃথিবীতে সবাই ভীষণ স্বার্থপর। নিঃস্বার্থ মানুষকে পাশে পাওয়া খুব কঠিন। আমার কেউ নেই, থেকেও নেই।”

সিয়ারা আধভিকের চোখে জল লক্ষ্য করলো। কেন জানো কথাগুলো শুনে ভীষন খারাপ লাগছে ওর, সাথে কৌতূহলও হচ্ছে। এটা জানার জন্য যে, কি এমন কারণে এতটা কষ্টে আছে আধভিক। বাইরে থেকে মানুষকে বা তাদের সম্পর্ক দেখে কোনো কিছু ভেবে নেওয়া ভীষণ ভুল। ভিতর থেকে দৃশ্যটা অনেক সময় একদম অন্যরকম হয়।

সিয়ারা: আপনি আমাকে শেয়ার করতে পারেন।

সিয়ারা নিজের অজান্তেই কথাটা বলে ফেলে আধভিকের দিকে তাকিয়ে। আধভিক ঝট করে সিয়ারার দিকে তাকালে দেখে সিয়ারা একদৃষ্টিতে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। ঠোঁটে এক চিল্টে হাসি খেলে যায় ওর। বলে,

আধভিক: অবশ্যই! তোমার সাথে তো নিজের লাইফ শেয়ার করার কথা ভেবে রেখেছি আমি। যেদিন প্রথম দেখেছি, সেদিন থেকেই। সো নো টেনশন, আই উইল বি ইউর অলওয়েস।

কথা শেষ করেই আধভিক সিয়ারাকে চোখ টিপ দেয়। সাথে সাথে সিয়ারা সোজা হয়ে বসে নিজের ঘোর কাটিয়ে। বিড়বিড় করে বলে,

সিয়ারা: বদ্ধ পাগলের পাল্লায় পরেছি। উফ! জীবন ওষ্ঠাগত করে ফেললো কয়েক ঘন্টায়। শুনেছি মেয়েরা বক বক করে কিন্তু এখানে দেখছি পুরোটাই উল্টো।

সিয়ারা আড় চোখে তাকিয়ে দেখলো আধভিক মলিন হাসলো ওর কথাটা শুনে। খারাপ লাগছে সিয়ারার। সে এভাবে বলতে চায়নি কিন্তু আধভিক কেন ওর কথাটা মানলো না? বরং দুটো কথা শুনিয়ে দিলো। এসব ভাবতে ভাবতেই ওরা গন্তব্যে পৌঁছে গেলো। গাড়ি থেকে নেমে সিয়ারা হাঁটা শুরু করলে আধভিক গাড়িটা পার্ক করে আসে। তাড়াতাড়ি পার্ক করে এসে সিয়ারা যেদিকে গেছে সেদিকে গেলেই আধভিক দেখতে পায় একটা এনজিও। বাইরেটা দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরায় সে। তারপর ফোনটা বার করতে গেলেই কেউ ছোঁ মেরে তার আঙুলের ফাঁক থেকে সিগারেটটা নিয়ে নেয়। আধভিক সামনে তাকাতেই দেখে সিয়ারা দাঁড়িয়ে আছে। ওর কিছু বলার আগেই সিয়ারা বলে ওঠে,

সিয়ারা: গাড়িটা আপনার ছিলো তাই সেখানে আপনি আমার কথা মানতে বাধ্য ছিলেন না। কিন্তু এই এনজিও টা আপনার নয় তাই আপনি এখানকার টিচারদের কথা মানতে বাধ্য। এইসব এখানে অ্যালাউ নয়।

সিগারেটটা ফেলে দিয়ে, পা দিয়ে সেটাকে পিষে ফেললো সিয়ারা। তারপর রাগী দৃষ্টিতে আধভিকের দিকে তাকিয়ে এনজিওর ভিতরে চলে গেলো। আধভিক এখনও হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আধভিক: বাপ রেহ! কি রাগ। ভস্ম করে দেবে মনে হলো। থাক, এখানেও আর এসব চলবে না যখন, তখন বাড়িতে নিজের ঘরই একমাত্র এসবের জন্য নিরাপদ স্থান।

আধভিক ভিতরে যেতেই দেখলো সিয়ারাকে কেন্দ্র করে অনেক ছেলে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ওকে জড়িয়ে ধরে। ওই বাচ্চাগুলোর মধ্যে কয়েকজনকে আধভিক চিনতে পারলো। আগের দিন এরাই ছিলো সিয়ারার বৃষ্টিতে ভেজার সঙ্গী হিসেবে। আধভিককে দেখতেই একজন বাচ্চা বলে উঠলো,

“আরে? এটা সেই দাদাটা না? যে কি না আগের দিন দিদির সাথে কথা বলতে এসেছিলো?”

আধভিক ধীর পায়ে বাচ্চা মেয়েটার কাছে গিয়ে পায়ে ভর করে বসে বললো,

আধভিক: একদম ঠিক বলেছো। আমিই সেই দাদাটা যে তোমাদের দিদির সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। আজকে তোমার দিদিকে এখানে নিয়ে এসেছি। তোমাদের দিদির মন খারাপ করছিলো তোমাদের জন্য, তাই।

“দিদির জন্য আমাদেরও মন খারাপ করছিলো। আমরাও দিদির অপেক্ষা করছিলাম অনেক্ষন ধরে। থ্যাংক ইউ দিদিকে নিয়ে আসার জন্য।”

বাচ্চাটা হেসে আধভিকের গালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে সিয়ারার কাছে চলে যায়। আধভিক সেদিকে তাকিয়ে নিজের গালে হাত দিয়ে হাসে, আগে এরকম ভালো লাগেনি। বাচ্চাটা খুব মিষ্টি। সব বাচ্চারা এক জায়গায় হলে সিয়ারা ওদের সবাইকে আঁকতে দেয়। তারপর সরে এসে আধভিকের কাছে দাঁড়ালে দেখে আধভিক বাচ্চাদের দিকে এক মনে তাকিয়ে আছে।

সিয়ারা: কি দেখছেন ওভাবে ওদের দিকে?

আধভিক: হম? এটাই যে এরা একসাথে কত ভালো একটা সময় কাটায়। আমি কখনও এমন সময় কাটাতে পারিনি। আমার ছোটবেলাটা হস্টেলে পড়াশোনার মধ্যেই কেটে গেছে।

সিয়ারা: আপনি হস্টেলে থাকতেন? কবে থেকে?

আধভিক: চার বছর বয়স থেকে। কলকাতায় এসেছি দিন পনেরো হবে। জীবনের আঠেরোটা বছর আমি ক্যালিফোর্নিয়াতে কাটিয়ে ফেলেছি। কলকাতার কিছুই চিনি না, জানি না।

সিয়ারার বেশ অবাক লাগছে বিষয়গুলো শুনে। আধভিককে কেমন জানো আপসেট লাগছে। গাড়িতে ওর বলা কথাগুলো কি খারাপ লেগেছে? তাই হঠাৎ করেই আপসেট হয়ে গেলো নাকি অন্য কোনো বিষয় আছে? নিজের অতীতের কথা মনে করে এমন আপসেট হয়ে পরেছেন?

আধভিককে সিয়ারা কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই হঠাৎ করেই একটা বাচ্চা ছেলে হাতে কাগজ নিয়ে ওদের দিকে ছুটে এসে, ওদের সামনে দাঁড়িয়ে পরলো। হাতটা উপরে করে কাগজটা দেখিয়ে বললো,

“দিদি এটা আমার ডিজাইন। অনেক কষ্টে করেছি এতদিনে। দেখো না ভালো হয়েছে?”

সিয়ারা ছেলেটির হাত থেকে কাগজটা নিয়ে ভালো ভাবে দেখে বললো,

সিয়ারা: বাহ, আশু! খুব সুন্দর হয়েছে ডিজাইনটা। যাক, এতদিনে তুমি তোমার ডিজাইন কমপ্লিট করতে পারলে। তুমি বলো আগে, তোমার মনের মত হয়েছে তো এবার?

আশু: হ্যাঁ দিদি। এইটা একদম আমার মনে মতো হয়েছে। যেমন ভেবেছিলাম তেমনই।

সিয়ারা: সবাইকে দেখিয়েছো?

আশু: নাহ। এবার দেখাবো, আগে তোমাকে দেখলাম। সবাই বলছিলো না আশু ডিজাইন বানাতে পারে না? এইবার গিয়ে দেখাবো ওদের। হুহ!

আশু দৌঁড়ে চলে গেলো ওর বন্ধুদের কাছে। আশু চলে যেতেই আধভিক সিয়ারাকে প্রশ্ন করলো,

আধভিক: ডিজাইনটা কিন্তু সত্যি খুব ভালো করেছে। ওর বয়সী বাচ্চার পক্ষে এত সুন্দর ডিজাইন কীভাবে সম্ভব?

উত্তরে সিয়া মরা মুচকি হেসে বলে,

সিয়ারা: ও অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলো নিজের ডিজাইনটা পারফেক্ট করার। কিন্তু প্রতিবার কিছু না কিছু ভুল রয়েই যাচ্ছিলো। তাই এইবার আমি একটু ঠিক করে দিয়েছি যেটা ও ধরতে পারেনি। অনেক পরিশ্রমী ও। যতক্ষণ না মনের মত হচ্ছে ডিজাইন ততদিন ও চেষ্টা করেই যাবে। কিন্তু সবাই ওকে নিয়ে মজা করছিলো তাই একটু সাহায্য করে দিলাম।

আধভিক: তুমি? তুমি ওদের ড্রেস ডিজাইন শেখাও?

সিয়ারা: আমি ওদের আঁকা শেখাই এখানে। কিন্তু একদিন আমি নিজে একটা ডিজাইন বানিয়েছিলাম আর সেটা ওরা দেখার পর বায়না করতে শুরু করলো ওরাও শিখবে। তাই আর কি।

আধভিক: আচ্ছা। এবার এটা যদি আশু জানতে পারে যে, তুমি ওকে হেল্প করে দিয়েছো। তখন কি হবে?

সিয়ারা: জানবে তো ও নিশ্চই। ঘরে গিয়ে নিখুঁত ভাবে খুঁটিয়ে দেখবে নিজের করা ডিজাইনটা। তখনই ধরে ফেলবে আর সাথে সেটা মুছে আমি যেমন করে দিয়েছি তেমন করবে। ব্যাস, হয়ে গেলো সম্পুর্ণ নিজের করা ডিজাইন।

আধভিক: তুমি তো দেখছি খুব বুদ্ধিমতী।

সিয়ারা: কই শাখ?

আধভিক: ডেফিনেটলি নট।

আধভিক আর সিয়ারা দুজনেই হেসে ফেলে। বাচ্চারা এরপর সিয়ারাকে ডাকলে সিয়ারা ওদের ড্রয়িং দেখা শুরু করে। সেই ফাঁকে আধভিক গিয়ে আশুকে জিজ্ঞেস করে,

আধভিক: আচ্ছা আশু? তুমি তোমার দিদির করা ডিজাইন আমাকে দেখাতে পারবে?

আশু: তুমি দেখবে? চলো আমার সাথে।

আধভিকের হাত ধরে আশু ওকে নিয়ে যায় ওদের ঘরে যেখানে ওরা থাকে। তারপর একটা ডায়েরির ভাঁজ থেকে অনেকগুলো ডিজাইনের কাগজ বার করে আধবিকের হাতে দিয়ে বলে,

আশু: এইগুলো দিদির ডিজাইন। আমি নিজের কাছে রেখেছি যাতে আমার অসুবিধা হলে সাহায্য নিতে পারি।

আধভিক এক এক করে মন দিয়ে সব ডিজাইন দেখে বেশ বিস্মিত হয়ে পরে। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে সামলে নিয়ে আশুকে কাগজগুলো ফেরত দিয়ে বলে,

আধভিক: তুমিও কি ডিজাইনার হতে চাও, তোমার দিদির মত?

আশু: হ্যাঁ। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই। কিন্তু দিদি তো ফ্যাশন ডিজাইনার নয়।

আধভিক: নয় তো কি হয়েছে? হয়ে যাবে। আচ্ছা তোমার দিদি ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে কি পড়াশোনা করেছে?

আশু: না তো। দিদি তো উচ্চ মাধ্যমিক অবধি পড়ার পর আর পড়াশোনা করেনি। দিদির বোনের পড়াশোনার জন্য দিদি কাজে লেগে পরে। দিদির বোন যেসব নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাতে অনেক খরচ তো তাই দিদি আর পড়েনি। কিসব ইনস্টিটিউটে দেবে বলেছিলো দিদির বোনকে, অনেক খরচ।

আধভিক: তোমার দিদিকে বলবে না আমি এসব জানতে চেয়েছি। ওকে?

আশু: ওকে।

আধভিক চলে আসে সিয়ারার কাছে। ভাগ্যিস আশুর বয়সটা একটু বেশি ছিলো ওদের থেকে। তাই ঠিকঠাক খবরটা পেয়ে গেছে।

সিয়ারা: কোথায় চলে গেছিলেন আপনি?

আধভিক: এই তো একটু ঘুরে দেখছিলাম জায়গাটা। কেন? আমাকে মিস করছিলে বুঝি?

আধভিক দুষ্টু হেসে কথাটা বললে সিয়ারার মুখে আবারও বিরক্তির ছাপ ফুটে ওঠে।

সিয়ারা: আমি স্যারের সাথে কথা বলে নিয়েছি স্যার বলেছেন আজকে আমাকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে, কোনো অসুবিধা নেই।

আধভিক: ওয়াও! তুমি আমার সাথে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে নিলে? এতটা একসাইটেড? গ্রেট!

সিয়ারা: এই আপনি থামুন তো। সব সময় নিজের খেয়াল থাকেন তাই না? আমি কেন আপনার সাথে যাওয়ার জন্য একসাইটেড হবো?

আধভিক: (মুখ কালো করে) সে কি? তুমি একসাইটেড নও?

সিয়ারা: আজ্ঞে না। আমার বোন আমার জন্য অপেক্ষা করছে আমাকে নিয়ে চলুন। আমি আমার স্কুটিটা আনলে নিজেই চলে যেতাম।

আধভিক: আমার ড্যাডের সাথে কথা হয়ে গেছে। দিয়ারার অডিশন দেওয়া হয়ে গেছে আর ও ফিরে গেছে বাড়ি।

সিয়ারা: কি? এইজন্য! এইজন্য আমি আপনার সাথে আস্তে চাইছিলাম না। আমার বোনটা একা একা…

আধভিক: আরে তোমার বোন বাচ্চা নয় যে বাড়ি যেতে পারবে না। আর আমাদের অ্যাসিস্টেন্ট সোহম ওকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসেছে। এবার তুমি চলো আমার সাথে।

সিয়ারা: আপনার সাথে যাবো মানে? কোথায় যাবো?

আধভিক: গেলেই জানতে পারবে। তুমি কথা দিয়েছিলে নেক্সট টাইম মিট হলে তুমি আমার সাথে যাবে। সো লেটস গো।

আধভিক সিয়ারাকে কিছু বলতে না দিয়েই হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যায়। সিয়ারা মনে মনে ভাবে,

সিয়ারা: ভারী অদ্ভুত লোক তো? দেখা হওয়ার দুদিনেই কে এমন করে? কেমন একটা অধিকার ফলাতে শুরু করেছে এখন থেকে। আর আমিও বা কি? আটাকাচ্ছি না কেন ওনাকে? কিছুতেই আটকাতে পারছি না ওনাকে। নাকি… আটকাতে চাইছি না?

সিয়ারা কথাটা ভাবতেই ওর শরীর দিয়ে একটা শিহরন বয়ে যায়। ও আধভিকের হাতের দিকে তাকায় যেটা শক্ত করে ওর হাতকে ধরে রেখেছে। সিয়ারা আধভিকের দিকে তাকায় আর ভাবে, “ছেলেটা সত্যি পাগল হয়ে গেছে।”

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here