কথা দিলাম ‘ 🌸❤️ ||পর্ব ~ ৪৭|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
230

‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪৭||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

সিয়ারা আধভিকের বুক থেকে মাথা তুলে দেখে আধভিক বেডের হেডবোর্ডে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।

সিয়ারা: কি হয়েছে? বলবে না আমাকে?

আধভিক সিয়ারার প্রশ্নটা শুনে চোখ খোলে। তারপর মাথা সোজা করে ওর দিকে তাকিয়ে বলে,

আধভিক: বলবো, তার আগে তুমি বলো তুমি রাগ করবে না? ঠাণ্ডা মাথায় পুরো বিষয়টা শুনবে?

সিয়ারা: ঠিক আছে।

সিয়ারা বাধ্য মেয়ের মত মাথা নাড়লো যা দেখে আধভিক হালকা হাসলো। তারপর বলা শুরু করলো,

আধভিক: আজকে তানিশা হঠাৎ করেই আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। আমি জানতাম না ও আসবে, এটাও জানতাম না ও কীভাবে জানলে আমি ওখানে আছি। যা মনে হচ্ছে ফলো করেছে আমাকে। তানিশাই হোয়াইন অর্ডার করেছিলো, আমি কিছুই করিনি।

সিয়ারা: তানিশা?

আধভিক: হম। তানিশা…তানিশা দেবকে ফিরে পাওয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে। ও আমাকে এটার জন্যেই রিকুয়েস্ট করতে এসেছিলো যাতে আমি দেবের সাথে কথা বলি এই বিষয়ে।

সিয়ারা: কিন্তু দেব তো তানিশা কে পছন্দ করে বলে মনে হয় না আমার। তবে দেবের ও’কে অপছন্দ করার কারণটা কি? আগে তো ওরা রিলেশনে ছিলো তাই না?

আধভিক: না। ওরা কখনও রিলেশনে ছিলোই না।

সিয়ারা: কি? ওহ হ্যাঁ, দেব তো বলছিলো সেদিন। এটাও বলছিলো যে তোমাদের মধ্যেও ঝগড়া হয়েছে তানিশার কারণে।

আধভিক: হম। সিয়ু, তানিশা এমন একটা মেয়ে যে কি না সব করতে পারে নিজের স্বার্থের জন্য। আমি আর দেব যখন ক্লাসমেট ছিলাম তখন তানিশাও আমাদের ক্লাসেই ছিলো। প্রথম থেকেই ওর টার্গেট হতো সেসব ছেলেরা যাদের টাকা আছে, যাঁরা বড়লোক।

সিয়ারা: ও’কে দেখে তো মনে হলো ও অনেক হায়ার স্ট্যান্ডার্ড বিলং করে।

আধভিক: হ্যাঁ সেই জন্যেই ওর বন্ধু বলো পার্টনার বলো সবাই সেইম স্ট্যান্ডার্ড থেকেই বিলং করুক সেটাই চাইতো ও। টাকা পয়সার দরকার ওর ছিলো না, ও শুধু নিজের স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে চাইতো আর কিছুই না। এতদূর সব ঠিক ছিলো কিন্তু তারপর…(ইতস্তত বোধ করতে লাগলো)

সিয়ারা: তারপর?

আধভিক: তারপর..তারপর আমাদের বন্ধুত্বটা একটু মজবুত হতেই তানিশা আমাকে একদিন জোর করে ওর সাথে ক্লাবে যেতে। আর ওখানে গিয়ে..

আধভিক বলতে চেয়েও আটকে যাচ্ছে। ও যে ভয় পাচ্ছে সেটা সিয়ারা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে যার কারণে ওর মনেও একটু ভয়ের সৃষ্টি হয়।

সিয়ারা: আভি তুমি আমাকে নিশ্চিন্তে বলতে পারো। যদি অতীতে তেমন কিছু হয়েও থাকে আমি কিছু মনে করব না কারণ তখন আমি ছিলাম না।

আধভিক: তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছুই নয়। আমি যতই নেশা করি না কেন কোনো মেয়ের কাছে কখনওই যাইনি। না আমি আর না দেব।

সিয়ারা: দেব? দেবও তোমার সাথেই গেছিলো সেদিন? (অবাক হয়ে)

আধভিক: না, সেদিন যায়নি। আসলে, তানিশার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর থেকে রোজই আমাদের ক্লাবে যাওয়া আসা লেগে থাকতো। সত্যি বলতে গেলে স্মোক থেকে নিয়ে ড্রিংক সব কিছুই তানিশা আমাদের ধরিয়ে ছিলো। রোজকার মত সেদিনও আমি ক্লাবে গেছিলাম তবে দেব যায়নি আমার সাথে। কিছুক্ষণ থাকার পর তানিশা আমাকে বলে আমার জন্য কিছু ওয়েট করছে। ক্লাবের উপরের ফ্লোরে একটা ঘরে নিয়ে যায় আমাকে তানিশা সেখানে অনেকগুলো ছেলে মেয়ে ছিলো আমাদের এজের। বেশিরভাগ আমাদের ক্লাসমেট।

সিয়ারা: কি করছিলো ওরা সবাই ওখানে? (আগ্রহী হয়ে)

আধভিক: (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) হেরোইন নিচ্ছিলো।

সিয়ারা থ হয়ে যায় কথাটা শুনে। কিছুক্ষণ সময় লাগে ওর বিষয়টা বুঝতে। বুঝে ওঠার পরে শান্ত ভাবেই জিজ্ঞেস করে,

সিয়ারা: তুমি হেরোইন নিয়েছিলে সেদিন?

আধভিক নীরবে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লো। দুজনেই কোনো কথা বলে না। কিছুক্ষণ পর আধভিক নিজেই বলতে শুরু করে আবার।

আধভিক: হেরোইন, কোকেইন সব কিছুই ট্রাই করেছি আমি। কোকেইনটা আমি হোস্টেলে নিয়েছিলাম সবার আড়ালে। হেরোইনটা ক্লাবে। সেদিন আমার হোস্টেলে ফিরতে অনেক দেরী হয়ে গেলে দেব আমাকে জিজ্ঞেস করে কারণ। আমি কোনো মতে এড়িয়ে গেছিলাম বাট কোকেইন যখন নিয়েছিলাম তখন ও বুঝে যায়। আমার হুঁশ ফিরলে ও আমাকে ভালো ভাবে বোঝায় যে তানিশার সাথে মিশতে না। আমি ওকে কোনো উত্তর দিই না।

সিয়ারা: আর সেটা কেন?

আধভিক: কারণ আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমি কোকেইন নেবো আর সেটা আমাকে একমাত্র তানিশাই দিতে পারতো। ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া কোকেইন নেওয়ার পর আমার কতোটা ভালো লেগেছিলো। আমি সব কিছু ভুলে গেছিলাম জাস্ট, সব কিছু!

সিয়ারা আধভিকের থেকে দূরে সরে যায় কথাটা শুনে। আধভিক সেটা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সিয়ারার দিকে তাকালে দেখে সিয়ারা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আধভিক আশঙ্কা নিয়ে একটা ঢোক গিলে সিয়ারার নাম ধরে জিজ্ঞেস করে,

আধভিক: সিয়ু?

সিয়ারা: গত দু বছরেও কি তুমি..??

আধভিক: নাহ। আমি সেদিনই প্রথম এবং শেষবারের জন্য ওটা নিয়েছিলাম। তবে..

সিয়ারা: (আধভিকের দিকে তাকিয়ে) তবে..??

আধভিক: একদিন দেব ইউনিভার্সিটি চেঞ্জ করে নেয়, জানি না ওর কি হলো ও একদিন এসে হঠাৎ করেই নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নেয়। আমাদের ইউনিভার্সিটি যাওয়ার ফার্স্ট দিন ছিলো সেদিন। আমি ওকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম অনেক কিন্তু ও না আমার দিকে তাকাচ্ছিলো না, আমার সাথে কোনো কথা বলছিলো।

সিয়ারা: কেন? তুমি আবার কোকেইন নিয়েছিলে তাই? দেব তখনই রেগে যায় যখন ওর কথা কেউ অমান্য করে।

আধভিক: কিন্তু আমি তো ওর বলার পর আর ওই কাজটা করিনি। হ্যাঁ আমি ওর সাথে কোনো কথা বলছিলাম না ইভেন আমি সবার থেকেই ডিটাচড ছিলাম কয়েকদিন কারণ আমি ভাবতে চেয়েছিলাম। আর এই সময়টা আমার নিজেকে দেওয়া জরুরী ছিল যাতে আমি ঠিক ভুলের বিচারটা করতে পারি।

সিয়ারা: তাহলে দেব এমন কেন করলো?? আর তুমিই বা পরে কেন যোগাযোগ করোনি ওর সাথে??

আধভিক: তানিশার কথায়। তোমার দুটো প্রশ্নের এই একটাই উত্তর সিয়ু। (মাথা নীচু করে)

সিয়ারা: আমাকে ক্লিয়ার করে বলো। আমি বুঝতে পারছি না কিছু। (উত্তেজিত হয়ে)

আধভিক: তানিশা দেবকে বলেছিলো আমি কোকেইন চাই তানিশার থেকে। দেব তাতেই রেগে যায়। আর আমাকে এসে বলে দেব তানিশাকে বলেছে ও আমার মতো একটা ড্রাগ অ্যাডিক্ট ছেলের সাথে কোনো সম্পর্কই রাখতে চায় না বন্ধুত্ত্ব দূরের কথা।

সিয়ারা: মাই গড! (মাথায় হাত দিয়ে)

আধভিক: আমরা দুজনেই তানিশা কে বিশ্বাস করেছিলাম এটা ভেবে যে তানিশার কি লাভ আমাদের মিথ্যে বলে। পরে যখন আমি এখানে এসে দেবকে দেখলাম তখন দেব আমার সাথে কথা বলতে এলে আমি ওকে এটাই জিজ্ঞেস করি, “একটা ড্রাগ অ্যাডিক্ট ছেলের সাথে কথা বলতে এসেছেন যে? আপনি তো কোনো সম্পর্কই রাখতে চাননি।” ও সঙ্গে সঙ্গে বলে “যে দোষ করে তুই আমাকেই কথা শোনাচ্ছিস? আমারই ভুল ছিলো তোর সাথে কথা বলতে আসার। যে আমি কথা তখন শোনেনি, এখন কি শুনবে?” এটার পরে আমি বলি যে আমি শুনেছিলাম ওর কথা। তারপরেই ধীরে ধীরে ক্লিয়ার হয়ে যায় বিষয়টা।

সিয়ারা: কারণটা কি এমন করার?

আধভিক: দেবের উপর তানিশার রাগ ছিলো। ও প্রথম থেকে দেবকে নিজের বয়ফ্রেন্ড বানাতে চেয়েছিল। প্রথমে আমাকে টার্গেট করেছিলো যখন দেখলো আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই মেয়েদের ব্যাপারে তখন ওর নজর দেবের উপর গিয়ে পরলো। দেব ওকে বলে দিয়েছিলো ও’ও ইন্টারেস্টেড নয় এসবে। যেটাতে তানিশার কোনো প্রবলেমই ছিলো না, ও চেয়েছিলো দেব জানো ওর সাথে থাকে অন্য মেয়েদের সাথে কথা না বলে। তাই তখন ও আমাকে দেবকে বোঝাতে বলে কিন্তু আমি দেবের সাথে দি। এইজন্যেই হয়তো ওর রাগ আমার উপরেও হয় আর ও সিদ্ধান্ত নেয় আমাদেরকে আলাদা করবে। এদিকে ও সবাইকে বলে বেরিয়েছিল ও দেবের গার্লফ্রেন্ড। তাই জন্য দেব আরওই চেঞ্জ করে ইউনিভার্সিটি। যেই ইউনিভার্সিটিতে আমাদের যাওয়ার কথা ছিলো ও যায়নি। ইভেন আমি জানতামও না ও কোন ইউনিভার্সিটি তে গেছিলো, কোথায় ছিল। কিচ্ছু জানতাম না আমি।

পিনপতন নীরবতা আবারও বিরাজ করতে শুরু করে। আধভিক নিজের মুখটা দুহাতে ঢেকে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর সিয়ারা বলে।

সিয়ারা: দেবের রাগের কারণটা জায়েজ আভি। আমি তো বুঝতে পারছি না তুমি কেন তানিশাকে হেল্প করছো? কি দরকার তোমার?

আধভিক: আমি হেল্প করছি না সিয়ু। আমি জাস্ট ওর কথাটা শুনলাম, আমি যদি ও’কে বলে দিতাম দেব রাজি নয় এসবে। ও দেবকে বিরক্ত করতে শুরু করতো যেটা হয়তো দিয়া আর দেবের সম্পর্কের জন্য ঠিক নয় এখন।

সিয়ারা: কিন্তু তুমিই তো চেয়েছিলে দিয়াকে জেলাস ফীল করাতে?

আধভিক: জেলাস ফীল করাতে নয়, দেবের প্রতি যে ওর ফীলিংস আছে সেটা ফীল করাতে। দিয়ার কষ্ট হয়েছে যখন দেবের সাথে অন্য একটা মেয়েকে দেখেছে। জেলাস ফীল তো তখন হতো যখন ওর অধিকার থাকতো। তখন ও দেবকে আটকাতেও পারতো যেটা ও পারবে না যতক্ষণ না অধিকার পাচ্ছে। ও কি সেই অধিকারটা চায়? চাইলেই বা কেন চায়? এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি দিয়াকে। আমার মনে হয় ওটাতে আমি সফল হয়েছি তাই এখন যদি তানিশা বাড়াবাড়ি করে তাহলে দিয়া সরেই যাবে দেবের জীবন থেকে।

আধভিক নিজের কথা শেষ করে সিয়ারার মুখের দিকে তাকালে দেখে সিয়ারা হাঁ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ও সেটা দেখে জিজ্ঞেস করে,

আধভিক: কি দেখছো এভাবে?

সিয়ারা: ভাবছি যে, যেই আধভিক রায় চৌধুরী ভালোবাসার মানে বুঝতো না আজ সে অন্য কাওকে ভালোবাসা বোঝানোর চেষ্টা করছে, অনুভূতি বোঝাচ্ছে? (হাসিমুখে)

আধভিক আলতো হাসে সিয়ারার কথা শুনে। হাসতে হাসতে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তারপর একটা দীর্ঘ বিশ্বাস ফেলে সিয়ারার কোমর ধরে কাছে টেনে নেয়। ডান হাত গালে রেখে সিয়ারার চোখে চোখ রেখে বলে,

আধভিক: আর এসবের কারণ তুমি। তুমি আমার জীবনে না আসলে আমি কখনও এই অনুভূতি গুলো অনুভব করতে পারতাম না। ভালোবাসা যে একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতি এটা বুঝতাম না। আজ যা যা আমি বোঝাচ্ছি তা সবই আমি তোমার জন্য অনুভব করেছি সিয়ু। আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ সো মাচ!!

আধভিক কথাগুলো বলতে বলতে সিয়ারার কাছে চলে আসে এবং ধীরে ধীরে ওর গলার স্বর পাল্টে যেতে থাকে। শেষের কথাটা একদম স্লো এবং সফ্ট ভয়েসে বলে সিয়ারার ঠোঁটে আলতো ভাবে ঠোঁট ছোঁয়ায় এবং সেখানেই সেরকম ভাবে স্থির থাকে সরে আসে না। সিয়ারার সারা শরীর জুড়ে একটা অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যায় যা আধভিক যখনই ও’কে আন্তরিক ভাবে ছোঁয় তখনই ও অনুভব করে। সিয়ারা আধ ভিকের থেকে সরে এসে বলে,

সিয়ারা: আই লাভ ইউ মোর!

বলে নিজের লজ্জা ভুলে আধভিকের ঠোঁটজোড়া নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসে। আধভিক জানো মনে মনে এটারই আশা করছিলো যা সিয়ারা ব্যর্থ হতে দেয়নি।

অন্যদিকে,

দিয়ারা দেবাংশুর পিছু নিয়ে উপস্থিত হয় দেবাংশুর ফার্ম হাউজে। দিয়ারা ঢুকতে গেলে সিকিউরিটি বাঁধা দেয় কিন্তু ও যখন বলে ও দিয়ারা, সিয়ারার বোন তখন সিকিউরিটি আর আটকায় না। শুধু বলে,

সিকিউরিটি: আমি এখানে অনেকদিন ধরে কাজ করি। দাদাবাবুকে কখনও এভাবে রাগে নেশা করে এখানে আসতে দেখিনি। না কখনও কোনো মেয়েকে আসতে দেখেছি। আমার মনে হয় একমাত্র আপনিই পারবেন দাদাবাবুর রাগ সামলাতে। ভিতরে যান আপনি।

দিয়ারা কিছুটা ভয় পেয়েই ভিতরে গেলো। ভিতরে গিয়ে ও ড্রয়িং রুমে দেখলো কেউ নেই কিন্তু পাশে তাকাতেই দেখলো দেবাংশু একটা রাউন্ড চেয়ারে বসে আছে আর ওর পিছনে যেখানে ওয়ালে অনেকগুলো সেলফ আছে আর সেখানে নানান ধরনের হার্ড ড্রিংকস এর বোতল সাজানো।

দিয়ারা: (মনে মনে — ও এখনও কেন এত রেগে আছে? আমি কি খুব বাজে কিছু বলে ফেলেছি? আমি তো আমার মনে যেটা চলছিলো সেটাই বললাম। ওর যদি আমার প্রতি কোনো ফীলিংস না থাকে তাহলে তো এত মাইন্ড করার কথা নয়।)

দিয়ারা একটু বুক ভরে শ্বাস নিয়ে দেবাংশুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো। দেবাংশু নীচের দিকে তাকিয়ে ছিলো যেই না পায়ের আওয়াজ টের পেয়ে দিয়ারার দিকে তাকালো দিয়ারার আত্মা কেঁপে উঠলো। দেবাংশুর ফর্সা মুখটা লাল হয়ে রয়েছে সাথে চোখটাও। দিয়ারাকে দেখতেই দেবাংশু উঠে দাঁড়ালো আর হাতে বোতলটা নিয়েই হালকা টলমল পায়ে ওর দিকে এগোতে শুরু করলো। দিয়ারা তা দেখে একটুও পিছয়নি নিজের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে।

দেবাংশু: কেন এসেছিস এখানে? সাথে নিজের বয়ফ্রেন্ড কেও নিয়ে এসেছিস বুঝি?

দেবাংশু দিয়ারাকে একপ্রকার স্ক্যান করতে থাকে ওর চারপাশে ঘুরে ঘুরে। দিয়ারা নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে শক্তি সঞ্চয় করে বলে,

দিয়ারা: আমি, আমি একাই এসেছি। আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই যে আস…

দিয়ারা আর কিছু বলতে পারে না তাঁর আগেই দেবাংশু ওর সামনে সজোরে হাতের বোতলটা ভেঙে ফেলে। দিয়ারা শুধু চোখ বুজে মাথাটা একটু সরিয়ে নেয় কিন্তু নিজের জায়গা থেকে সরে না।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here