#নিশীভাতি
#৩৩ম_পর্ব
“ইটস ওকে। বাসায় যেয়ে ৭৮ নম্বর পৃষ্ঠাটা খুলো। ওখানে একটি কঠিন প্রশ্ন আছে। প্রশ্নটির উত্তর আমার চাই”
মৃণালের কথা শুনে তাজ্জব হলো হুমায়রা। কপালে ভাঁজ পড়লো। স্বচ্ছ গোলগোল নেত্র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামযুবকের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে অসীম বিস্ময়, কৌতুহল। মৃণাল ক্লাসের ভালো ছাত্রদের একজন। কলেজেও তার বেশ সুনাম আছে। সে নাকি পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বুঝে না। খুব একটা বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডাবাজিতেও তাকে দেখা যায় না। কারণ তার সময় থাকে না। সেই ছেলে যদি এই প্রশ্নের উত্তর না জানে তবে হুমায়রা কি করে জানবে। এই কথাটাই প্রথম হানা দিলো মস্তিষ্কে। হুমায়রা বিব্রত হলো কিঞ্চিত। মৃণাল এখনো শানিত নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছে। বইটা হাতে নিতে নিতে স্মিত বললো,
“আমিতো খুব ভালো ছাত্রী নই। মনে হয় না অতো কঠিন প্রশ্নের উত্তর আমি পারবো। আপনি বরং অন্যকাউকে জিজ্ঞেস করুন”
মৃণাল ভ্রু কুচকালো। কিছুটা ঝাঁঝিয়ে বললো,
“প্রশ্নটা তুমি পড়েছো? তাহলে বলছো কি করে তুমি পারবে না? আর আমাকে আপনি বলছো কেনো? আমি কি তোমার বড়?”
মৃণালের প্রশ্নের উত্তর নেই হুমায়রার কাছে। সে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। বেশ বিব্রতবোধ হচ্ছে। দাঁতের ধারে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে নিচের ঠোঁট।ওড়নার ত্রিকোন দলিত হচ্ছে হাতের মাঝে। মৃণাল এবার কিঞ্চিত নরম গলায় বললো,
“প্রশ্নটা খুব কঠিন, উত্তরটা আমার খুবই দরকার। এই প্রথম আমি কারোর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছি। তোমার যদি চট করে উত্তর দিতে ইচ্ছে না হয়, সময় নিও। আমি অপেক্ষা করবো। তবে একটা উত্তর দিও। ভুল হোক বা সঠিক, উত্তরটা দিও”
মৃণালের কথায় যেনো আকুলতা ছিলো। এই উত্তরটা না পেলে যেনো খুব বড় একটা ক্ষতি হয়ে যাবে। হুমায়রার অস্বস্তি লাগলো। ইতোমধ্যে গাড়ি চলে আসলো। হুমায়রা তাই অপেক্ষা করলো না। মৃদু স্বরে বললো,
“চেষ্টা করবো”
বলেই গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ি নিজ গন্তব্যের জন্য রওনা দিলো। মৃণালের অবিক্ষিপ্ত দৃষ্টি এখনো দেখে যাচ্ছে কালো গাড়িটিকে। ঠোঁটের কোনে মৃদু দুর্বোধ্য হাসি।
*****
খরধার শীতে জমে গেছে রাত। অনুভূতি যেনো শুন্য। পুরানো শীতের কাপড়গুলোয় এখন আর শীত মানছে না। মোটরসাইকেলটা হাসপাতালের সামনে পার্ক করে চায়ের টঙে দাঁড়ালো রাশাদ। গলা বসে গেছে। তাই আদা চা দিতে বললো টঙের ছেলেটাকে। ইলহার ডিউটি শেষ হতে দশমিনিট বাকি। এই ফাঁকে চা খাওয়াও হয়ে যাবে। দু হাত ঘষছে সে। দৃষ্টি কুয়াশায় আবৃত রাস্তায়। হঠাৎ কানে এলো,
“ইশ! ম্যাডামের মুখটা দেখার মতো ছিলো। কেমনে গালিগুলো সহ্য করলো”
“দোষ তো উনার-ই। মাতাব্বরি করছে, গালিও খাইছে। রাশেদা ম্যাডাম ধোঁয়া শুরু করলে যে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দেয় জানিস না”
“তা ঠিক। তবুও আমার ইলহা ম্যাডামের জন্য খারাপ লাগতেছিলো। ম্যাডাম আসলেই নরম প্রকৃতির”
ইলহার নামটি শুনতেই রাশাদের দৃষ্টি সেদিকে গেলো। তার পাশেই হাসপাতালের দুজন ওয়ার্ডবয় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। পরণে ইউনিফর্ম থাকায় রাশাদের চিনতে কষ্ট হলো না। তারা কি তার বউকে নিয়ে কথা বলছে! ইলহা কি কোনো কারণে আজ অপদস্ত হয়েছে! ইতোমধ্যে তার চা চলে এসেছে। সে চায়ে চুমুক দিলো চিন্তিত চিত্তে। ওয়ার্ডবয়গুলো ইলহাকে নিয়েই কথা বলছিলো। ক্ষণসময় বাদে ইলহার ফোন আসলো। চায়ের টাকা মিটিয়ে রাশাদ প্রস্থান করলো।
ইলহার সাথে দেখা হলো হাসপাতাল গেটে। ক্লান্ত মুখখানা দেখেই মৃদু হাসলো রাশাদ। তার ব্যাগটা কাঁধ থেকে নিলো সে। কোমল স্বরে শুধালো,
“কেমন গেলো দিন?”
“এইতো”
ইলহার ম্লান উত্তর। রাশাদের শুধাতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু কিছু একটা ভেবে আর শুধালো না। এর মাঝেই একটি লোক ছুটে এলো ইলহার কাছে। লোকটি দুপুরের সেই রোগীর স্বামী। লোকটির মুখবিবরে প্রসন্নতার ছোঁয়া। ইলহাকে দেখেই একটি মিষ্টির প্যাকেট এগিয়ে দিলো সে। কৃতজ্ঞ স্বরে বললো,
“ডাক্তার আফা, এইডা ধরেন। আমার মাইয়্যা হইছে”
ইলহা লোকটির মুখের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো। তারপর ইতস্তত স্বরে বলল,
“এটার প্রয়োজন ছিলো না”
“কি কন! আজকেরা আপনি না থাকলে আমার বউ বাচ্চার কি হইতো শুধু মাবুদ ই জানে! আপনের জন্য এই প্যাকেটটা নিয়ত করে কিনিছি। আর এইডা আপনার নিতেই হইবো।”
“এটা আমার দায়িত্ব ছিলো। আর বাঁচানোর মালিক উপর ওয়ালা। আমি হয়তো নিছক উছিলা”
তবুও লোকটি মানলো না। খুব জোর করেই মিষ্টির প্যাকেটটা ধরিয়ে দিলো ইলহার হাতে। ইলহা বাধ্য হয়ে নিলো। লোকটি গদগদ স্বরে শুধালো,
“আপনের নাম কি আফা? আমার মাইয়্যার নাম আমি আপনার নামে রাখুম”
ইলহার বিস্ময় আকাশ ছুঁলো। অবাক কন্ঠে শুধালো,
“কেনো? আমার নামে কেন?”
“আমি জানি মাবুদ বাচাইবো বইলেই আপনেরে উছিলা বানাইছে। তবুও আমার এই বিপদে আপনে যে উপকার করিছেন আমি জীবনে ভুলাম না। তাই আমার মাইয়্যার নামও আপনার নামে রাখুম। আর সারাজীবন আপনার লাইগ্যা দোয়া করুম যেনো আপনারে আল্লাহ ভালা রাহে”
লোকটির শেষ কথাটায় সারাদিনের জীর্ণতা কোথায় যেনো কেটে গেলো। অন্তর দিকে কেউ যেন বললো,
“তুই ভুল করিস নি”
না তাকিয়েও পাশের মানুষটির গর্বিত দৃষ্টিও অনুভব করলো সে। ইলহা তার নাম বললো। লোকটি আরোও একবার ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলো। রাশাদ এবার ইলহার নরম হাতটি নিজ হাতে পুরলো। মৃদু স্বরে বললো,
“ডাক্তার ম্যাডাম, এবার যাওয়া যাক?”
ইলহা উত্তরস্বরুপ তার বাহু আঁকড়ে ধরলো। ঠোঁটের কোনের স্বচ্ছ হাসিটাকে প্রশস্থ করে বললো,
“যো হুকুম নাতীসাহেব”
*****
রাশাদরা বাসায় পৌছালো বেশ দেরীতে। কুয়াশার মাঝে বাইক চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। খুব সতর্কতার সাথে বাইক চালিয়েছে রাশাদ। বাসার সবার খাওয়া হয়ে গেছে। রাশাদ এসেই কলপাড়ে গেলো। ঠান্ডা পানি দিয়ে হাতমুখ ধুলো। হাতপা জমে গেছে আবার। অনুভূতি এখন কাজ করছে না। এর মাঝে আতিয়া খাতুন চাঁদর মুড়ে বেড়িয়ে এলেন। চিন্তিত স্বরে শুধালেন,
“এতো দেরি হইলো যে?”
“যে কুয়াশা, কিচ্ছু দেখা যায় না”
“যায়ে বয় আমি খানা দেই”
“আমি গরম করে আনছি দাদী, আপনি কষ্ট কইরেন না”
আতিয়া খাতুন রান্নাঘরর যেতে গেলে বাধা দিলো ইলহা। সেই খাবার গরম করতে গেলো। আতিয়া বেগম কিছু বললেন না। রাশাদ তত সময়ে খেতে বসলো। ইলহা খাবার গরম করে রাশাদকে খাবার বেড়ে দিতে গেলে সে বাধা দিলো,
“আমাকে বেড়ে দিতে হবে না। আমি নিয়ে নিবো, আপনি খেতে বসুন।”
ইলহা মৃদু হাসলো। মানুষটির এই দিকটাই সবথেকে অধিক মুগ্ধ করে তাকে। সে সর্বদাই ইলহাকে আগে রাখে। ইলহা তার পাশে খেতে বসলো। রাশাদ মাছের পেটের টুকরাটা তুলে দিলো ইলহার প্লেটে। ইলহা বাধা দিতে গেলে বললো,
“নিজেকে দেখেছেন? শরীরে একরত্তি মাংস নেই। ডাক্তার যদি সুস্থ না থাকে রোগী সুস্থ হবে কি করে?”
ব্যাপারটি দৃষ্টি এড়ালো না আতিয়া খাতুনের। ইলহার প্রতি রাশাদের এই প্রগাঢ় ভালোবাসা তার দৃষ্টি এড়ালো না। বিপরীতে ইলহার চোখেও রাশাদের প্রতি অব্যক্ত ভালোবাসা লক্ষ করলেন তিনি। তারা মোটেই কাওছার বা জুবাইদার মতো নয়। নয়তো দুজনের ব্যক্তিত্ব, বেড়েওঠার পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা হলেও বোঝাপড়ার সমীকরণ খাপে খাপ। তাই দুপুরের দুশ্চিন্তাগুলো মিলিয়ে গেলো নিমিষেই। যেখানে দুজনের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মানের কমতি নেই সেখানে দাম্ভিকতার ফাটল ধরার অবকাশ নেই।
রাশাদ খেয়ে হাত ধুতে গেলো। ইলহা সব গুছাচ্ছিলো। আতিয়া খাতুন তখন বললেন,
“লিমনের বিয়া, আমগোর দাওয়াত আছে। তা বউ তুমি বৃহস্পতিবার দিনকেরা ছুটি নিও কেমন”
“আমার এই সপ্তাহে ছুটি হবে না দাদী। আমি এই মাসেই কোনো ছুটি পাবো না। আসলে আজ একটু ঝামেলা হয়ে গেছে। তাই আমাকে শাস্তিস্বরূপ আগামী দুসপ্তাহ টানা ডিউটি করতে হবে। আর নতুন চাকরী, আমি চাইলেও ছুটির জন্য বলতে পারবো না এই মাসে”
“এইডা কেমন কথা? কয়ডা টাকার জন্য কি অমানুষের লাহান খাটাইবো? না না বউ তুমি চাকরি ছাড়। এই চামারের হাসপাতালে তোমার চাকরির দরকার নেই”
ইলহা কিছু বলার আগেই রাশাদ বলে উঠলো,
“দাদী সব চাকরি ই এমন। একটু মানিয়ে নিতে তো হবেই। দিনশেষে মাইনে তো মুখ দেখে দিবে না”
“তাই বলে লিমনের বিয়াতে বউ যাইবো না?”
“এখন কিছু পেতে হলে তো কিছু খোয়াতেই হবে। লিমন তো আর রক্তের কেউ নয় যে বিয়েতে না গেলে নাক কাটা যাবে”
“তুই পোলা মানুষ, তুই বুঝোছ কচু। জানোস হক্কলে বউরে দেখার জন্য বয়ে আছে। এহন ই কয় বড়লোকের বেটি বলে তাগোর লগে কথা কয় না। তখন আরোও কথা কইবো”
আতিয়া খাতুনের কন্ঠে আক্ষেপ। ইলহা পড়লো বিপাকে। আজকের ঘটনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তার এ মাসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে কতৃপক্ষ থেকে। রাশাদ পানি খেয়ে বললো,
“তাদের এতো ইলহাকে দেখতে ইচ্ছে হলে বলে দিবে হাসপাতালে যেয়ে দেখে নিতে। লিমনের বিয়ের জন্য ইলহা কোনো ছুটি নিবে না। সে কোনো রাজা মহারাজ না, যে তার বিয়েতে সরকারী ছুটি ঘোষণা হয়েছে। চলেন ইলহা। রাত হয়েছে ঘুমাতে যাবো”
রাশাদের কথাটা মনোপুত হলো না আতয়া খাতুনের। কিন্তু রাশাদের উপর জোরও করতে পারলেন না। তার অপ্রসন্ন মুখখানা দৃষ্টি এড়ালো না ইলহার৷ কিন্তু তার স্বামী এই ব্যাপারগুলোয় ইস্পাতের মতো কঠিন। সে কোনো কথাই শুনবে না।
*****
প্রতিদিনের মতো আজও দেরিতেই ঘরে ফিরলো ফাইজান। ভোটের বেশিদিন বাকি নেই। এখন ক্যাম্পিং চলছে জোরদার। প্রতিদিন তার আগমণ ঘটে রাত একটার পর। আজ কিছু ইন্টারভিউ ছিলো। তাই একটু বেশি দেরী হয়ে গেছে। চামেলী মাঝে মাঝে দরজা খুলে তো মাঝে মাঝে হুমায়রা। আজ দরজাটা চামেলী খুললো। ঘরে ঢুকতে প্রথম প্রশ্ন ছিলো,
“ভাবী কই তোর?”
“হে পড়ে, ডাকুম?”
“না”
চামেলী হুমায়রাকে ডাকলো না। হাই তুলতে তুলতে বললো,
“খানা দিম?”
“হুমায়রা খেয়েছে?”
“হ”
“তাহলে লাগবে না, আমরা খেয়ে এসেছি। তুই ঘুমিয়ে পড়”
বলেই নিজ ঘরের দিকে পা বাড়ালো। চামেলী মাথা নাড়িয়ে দরজা দিয়ে দিলো।
হিটার চলছে ঘরে। শীত টের পাওয়া যাচ্ছে না। সব দরজা জানালা বন্ধ, পর্দা টানা। গুনগুন শব্দে মুখরিত ঘর। ফাইজান উঁকি দিলো হুমায়রার ঘরে। সে পড়ছে। তাই তাকে বিরক্ত করলো না। আগে কাপড় নিয়ে গোসলে গেলো। হুমায়রা তখনও পড়ায় মগ্ন। তাই ফাইজানের উপস্থিতি টের পেলো না।
হুমায়রা মৃণালের পদার্থবিজ্ঞান বইটি খুললো। ৭৮ পাতায় তেমন কঠিন কোনো প্রশ্ন খুজে পেলো না। যা পেলো তা খুব সহজ। এই সাধারণ অংক ক্লাস নাইন টেনের ছেলেপুলেরাও পারে। হুমায়রা বুঝলো না কেন মৃণাল এই সাধারণ অংক পারলো না৷ উপরন্তু এমনভাবে তার কাছে উত্তর চাইলো যেন এর উপর তার জীবনমরণ নির্ভর করছে। হুমায়রা মোটেই বুঝতে পারলো না এতো অদ্ভুত আকুলতা, অস্থিরতার কারণ। এরমাঝে বই এর উপর পানি পড়লো। বিন্দু বিন্দু পানি। হুমায়রা পেছনে চাইতেই ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো। ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে ফাইজান। পরণে কেবল একটি ট্রাউজার। শ্যাম গায়ে লেপ্টে আছে পানির বিন্দুকণা। ভেজা চুল গুলো থেকেও পানি চুয়ে পড়ছে। সে হুমায়রার দিকে ঝুকে দাঁড়িয়ে আছে। মুখবিবরে কৌতুহল। হুমায়রা নিজেকে সামলে নিলো। দৃষ্টি সরিয়ে অপ্রস্তুত স্বরে শুধালো,
“আপনার খাওয়া হয়ে গেছে?”
“আমি খেয়ে এসেছি। কি পড়ছেন এতো মনোযোগ দিয়ে সে ঘরে হাতি আসলো না মানুষ টের পাচ্ছেন না?”
এতো বাঁকা প্রশ্নের কি হেতু জানা নেই। তবুও হুমায়রা ধীর স্বরে বললো,
“কালকে একটা পরীক্ষা আছে। তাই আর কি”
“ঘুমাবেন না?”
“আরেকটু বাকি আছে। আপনি শুয়ে পড়ুন”
“আপনাকে ছাড়া আমার ঘুম আসে না হুমায়রা, এই কমাসে টের পেয়েছেন নিশ্চয়ই”
অকপট স্বীকারোক্তি ফাইজানের। হুমায়রা এমন উত্তরের জন্য প্রস্তুত ছিলো না। ফলে সাথে সাথেই দৃষ্টি নামিয়ে নিলো সে। অনুভূতিটা খুব বিচিত্র। এক অদ্ভুত শীতলতা যেনো অনুভূত হলো। ফলে মৃদু স্বরে বললো,
“আপনি যান আমি আসছি”
ফাইজান নিঃশব্দে হাসলো৷ অষ্টাদশীর শুভ্রগালের রক্তিম লালিমাটি মন্দ লাগছে না। ঘর থেকে বের হতে নিলেই পায়ে কিছু একটা বাঁধলো। নিচে তাকাতেই একটি ভাঁজ করা কাগজ চোখে বাঁধলো ফাইজানের। কাগজটি তুললো সে। কৌতুহলের বশেই খুললো কাগজটি। দু লাইন পড়তেই চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো ফাইজানের। কারণ এটি যে সে কাগজ নয়৷ রীতিমত প্রেমপত্র, তাও তার বউকে উদ্দেশ্য করে লেখা…….
চলবে
(ভালো লাগলে রেসপন্স করবেন। আপনাদের রেসপন্স আমাকে ভালো লিখতে সহায়তা করে)
মুশফিকা রহমান মৈথি