#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_২৯
( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )
পূর্বাশার শক্ত বাক্যের বিনিময়ে হাসলো জায়ান। জোড় গলায় বলল – আপনি ঠিক যতবার আমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন, আমি ঠিক ততবার আপনার সম্মুখে ভালোবাসার দাবি নিয়ে হাজির হবো। আমিও দেখি আপনি ঠিক কতবার প্রত্যাখ্যান করতে পারেন আমার ভালোবাসা।
পূর্বাশা কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে তাকিয়ে রইলো জায়ানের পানে। তবে কথা বাড়ালো না আর। কথা বাড়িয়ে কোনো লাভ আছে কি? নেই তো। এই পুরুষ যখন ভালোবাসা দাবি নিয়ে তার সম্মুখে দাঁড়িয়েছে তখন তা প্রমানের জন্য সকল অভিনয়ের গন্ডি পাড় করবে সে। মাঝে মাঝে জায়ানের কথা শুনে পূর্বাশার কেমন যেন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু পরক্ষনেই তার হৃদয়টা তার ইচ্ছের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলে ওঠে।
“প্রতারকদের অভিনয় একটু বেশিই সূক্ষ্ম হয় একদম বাস্তবের মতো। মনে হয় যেন এর থেকে সত্যি পৃথিবীতে তার জন্য আর কিছুই নেই। কিন্তু দিন শেষে তা অভিনয়, প্রতারনার বেড়াজালে আবদ্ধ। যা অন্য কারো হৃদয়ে দহনের লেলিহান শিখা প্রস্তুতে বাধ্য।’
ঠিক যেমন নক্ষত্র করেছিল। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো পূর্বাশার। আর দাঁড়াতে ইচ্ছে হলো না মেয়েটার জায়ানের সম্মুখে। পিছন ঘুরে সে চলে গেল হোস্টেলের ভিতরের দিকটায়। যাওয়ার আগে একবার ফিরেও তাকালো না জায়ানের পানে, বিদায়ও নিল না তার থেকে। জায়ানও আর ডাকলো না পূর্বাশাকে। মনে তার অনেক প্রশ্ন কিন্তু উত্তর জানা নেই একটারও। তৃষামও মুখ খোলে না আর পূর্বাশার তো কথাই নেই। তাহলে সে কিভাবে জানবে সবটা? কিভাবে জানবে পূর্বাশার হৃদয়ঘটিত ঘটনাগুলো।
______________________________________
দীর্ঘ এক আঁধারে ঘেরা রজনীর অবসান ঘটিয়ে সূর্যের দেখা মিললো। তীব্র আলোর ঝলকানি ভরে উঠেছে চারদিকটা। রাতের গভীরতায় নিস্তব্ধ শহরটা জেগে উঠতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। ঐ যে শহুরে কোলাহল, যানবাহনের প্যা পো ধ্বনি, দোকানিদের পন্য বিক্রির বাক বিতণ্ডা শোনা যাচ্ছে। জায়ানও আজ সকাল সকালই দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে হাজির হলো পূর্বাশার হোস্টেলের সম্মুখে। ঠোঁট কামড়ে হাত ঘড়িটা দেখছে সে বারংবার, মেয়েটা বের হচ্ছে না কেন এখনও? ক্ষানিক বাদেই হোস্টেল থেকে বেরিয়ে এলো পূর্বাশা, সাথে রয়েছে তার সেনজেই, জেফি আর সুজাও। জায়ান সময় ব্যয় করলো না এক দন্ডও। হাতের খাবারের প্যাকেট হাতে নিয়ে এগিয়ে গেল পূর্বাশার পানে। খাবারের প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল মেয়েটার দিকে, নরম কন্ঠে বলল – খাবার!
ভ্রু কুঁচকালো পূর্বাশা। এ আবার কেমন খাবার দেওয়া। হুট করে কোথা থেকে এসে একটা খাবারের প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়ে বলল খাবার। ভ্রু জোড়া কুঁচকে রেখেই পূর্বাশা প্রশ্ন করলো – আমি কি আপনার কাছে খাবার চেয়েছি?
– না
জায়ানের সোজাসাপ্টা উত্তর। কিছুটা মেজাজ বিগড়ালো পূর্বাশার। কিঞ্চিৎ ক্রোধ নিয়ে বলল – তাহলে এনেছেন কেন?
– ভালোবাসা বাড়াতে।
– যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে ভালোবাসা বাড়বে কিভাবে?
– আমার ভালোবাসা প্রয়োগে।
দাঁতে দাঁত চাপলো পূর্বাশা অতঃপর বলল – আপনার মনে হচ্ছে না আপনি এখন একটু বেশি করছেন।
জায়ান উপর নিচ মাথা ঝাঁকালো। মুখে বলল – হ্যা অবশ্যই মনে হচ্ছে।
– তাহলে কেন করছেন এমন?
জায়ান শীতল দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে। আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে বলল – কারন আমি আপনাকে পৃথিবীর সকল নিয়ম শৃঙ্খলার বেড়াজাল ভেঙেই বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবসি পূর্বাশা ।
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল পূর্বাশা, বলল – কেন এমন পাগলামী শুরু করছেন বলুন তো? আমি তো বারবার বলছি আমি আপনাকে ভালোবাসি না, ভালোবাসি না। তারপরও এভাবে পাগলামী করার মানে আছে কোনো?
– এখন ভালোবাসেন না। ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই বাসবেন।
– কোনো দিন বাসবো না।
জায়ান নিজের দুই ওষ্ঠ ফাঁক করলো, উত্তর দিতে চাইলো পূর্বাশার কথার। কিন্তু ঠিক তখনই তার খেয়াল হলো পূর্বাশা একা নেই এখানে, তার পাশে সেনজেই জেফি সুজা দাঁড়ানো। কেমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রয়েছে তার পানে। মনে হচ্ছে যেন তার কন্ঠ থেকে একটা অক্ষর নিঃসৃত হলেই তা বাতাসের বেগে গিলে নিবে এই তিনজন। জায়ানের মুখশ্রী থমথমে হলো। থমথমে কন্ঠে সে বলল – আপনারা এখানে এখনও দাড়িয়ে কেন? দেখছেন না ব্যক্তিগত কথা বলছি। অন্য কারো প্রেম মিশ্রিত ব্যক্তিগত বাক্যালাপ শুনতে লজ্জা করছে না আপনাদের?
চমকে উঠলো সেনজেই, জেফি আর সুজা। অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো তিনজনই, দ্রুত পূর্বাশা আর জায়ানকে রেখে তারা দূরে সরে দাঁড়ালো। জায়ান থমথমে মুখশ্রীর পরিবর্তন ঘটলো। কোমল মুখশ্রীতে সে তাকালো পূর্বাশার পানে এবং বলল – হ্যা কি যেন বলছিলেন আপনি? আবার বলুন।
পূর্বাশা কটমট করলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল – কিছু না।
কথাটুকু বলেই হনহন করে হাঁটা ধরলো ক্লাসের দিকে। জায়ান ছুটলো পূর্বাশার পিছু পিছু। ডেকে বলল – খাবারটা তো নিয়ে যান।
পূর্বাশা খাবার নিল না। শুনলো না জায়ানের কোনো কথা। জায়ানের প্রতিটি ডাককে উপেক্ষা করে ঢুকলো ক্লাসরুমে। জায়ানও ঢুকলো মেয়েটার পিছন পিছন তারই শ্রেনিকক্ষে। ধপ করে বসলো পূর্বাশার পাশে। অবাক হলো মেয়েটা। ভ্রু কুঁচকে শুধালো – আপনি এখানে কেন?
জায়ান ভাবলেশহীন। নির্বিকার কন্ঠে বলল – আজ আপনার সাথে ক্লাস করবো আমি।
– কিন্তু আপনি তো অন্য সেমিস্টারে।
– তো?
পূর্বাশা বলতে চাইলো আরও কিছু। কিন্তু তার আগেই তার বেঞ্চের পাশে এসে দাঁড়ালো সেনজেই, সুজা আর জেফি। অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলো তিনজনই। আমতা আমতা করে জেফি পূর্বাশার পাশের খালি চেয়ার দেখিয়ে বলল – আমার এখানে বসবো।
– এখানে জিজ্ঞেস করার কি আছে? বসে যাও।
পূর্বাশার উত্তরের তীব্র প্রতিবাদ করলো জায়ান। উত্তর দিল – না, পিছনে গিয়ে বসুন।
সেনজেই ঠোঁট টেনে একটু হাসার চেষ্টা করলো অতঃপর বলল – এখানে সিট খালি আছে তো।
কপালে ভাজ ফেললো জায়ান। তাকলো মেয়ে তিনটার দিকে। গম্ভীর কন্ঠে বলল – আপনারা তো দেখছি ভারী নির্লজ্জ মেয়ে মানুষ। এক জোড়া প্রেমিক জুগলের পাশে বসে তাদের প্রেমালাপ শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন।
সেনজেই, জেফি কিংবা সুজা আর কথা বাড়ালো না কেউ। নিঃশব্দে পিছনের দিকে গিয়ে বসলো তারা। সেনজেই, জেফি আর সুজা পিছনে যেতেই পূর্বাশা ফিরে তাকালো জায়ানের পানে। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো – প্রেমিক জুগল কে?
– কেন তুমি আর আমি।
জায়ানের মুখে হঠাৎ “তুমি” ডাকটা শুনে চমকালো পূর্বাশা। একটু আগেও তো তাকে আপনি আপনি করেই কথা বলছিলো। হঠাৎ কি হলো যে একদম আপনি থেকে তুমিতে চলে এসেছে? ছেলেটা কি এখন একটু বেশিই করছে না? আবার প্রেমিকা বলছে। দাঁতে চাপলো পূর্বাশা। কটমট করে বলল – প্রথমত আমি আপনার প্রেমিকা নই। আর দ্বিতীয়ত আপনি আমাকে তুমি করে কেন বলছেন?
– প্রথমত তুমি আমার প্রেমিকা। আর দ্বিতীয়ত ভেবে দেখলাম এত সুন্দর সুন্দর প্রেমালাপ তুমি সম্বোধন ছাড়া ঠিক জমে না। আপনি শব্দটা দিয়ে কেমন মনে বড় বড় মনে হয়।
পূর্বাশা ক্রোধিত হলো। মেজাজ বিগড়ালো তার। জায়ান তো এমন ছিল না? হঠাৎ এমন কেন করছে। চীনে এসেছে আজ একদম কম দিনও না। এত দিনে তো কখনও মনে হয়নি জায়ান ছ্যাঁচড়া? আরও বারংবার তার ব্যাবহার বুঝিয়ে দিয়েছে সে চড়ম ব্যক্তিত্ত্বসম্পন্ন, ইগো সম্পূর্ণ, নাক উঁচু একটা ছেলে। তাহলে হঠাৎ কেন এত পরিবর্তন? শুধুমাত্র কি তার সম্মুখে ভালোবাসার অভিনয় করার তাগিদে এত পরিবর্তন? পূর্বাশা তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। শক্ত কন্ঠে বলল – আপনার মনে হচ্ছে না আপনি এখন ছ্যাঁচড়ামো করছেন?
– গতকাল গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম “মেয়ে পটানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কোনটা প্রয়োজন?” গুগল উত্তর দিয়েছে “ছ্যাচড়ামো” এখন তোমাকে পটাতে হলে ছ্যাচড়ামো না করে কি আর উপায় আছে কোনো?
ভ্রু কুঁচকালো পূর্বাশা, বলল – কোন গুগলে এমন উদ্ভট কথা লেখা আছে?
– জায়ান গুগলে।
পূর্বাশা ফুঁসে উঠলো। না এই ছেলেকে আর কিছু বলে লাভ নেই কোনো। আগে যদি জানতো এই নাক উঁচু ছেলের মধ্যে এতটা ছ্যাঁচড়ামোতে ভরপুর তাহলে কোনোদিনই সে এই ছেলের সাথে কথাই বলতো না। ছেলেটা ইদানীং নক্ষত্রের চেয়েও বেশি ছ্যাঁচড়ামো করছে। পূর্বাশা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। নাহ এখানে সে আর এক দন্ডও বসবে না। মেয়েটা নিজের স্থান ছেড়ে উঠে চলে যেতে চাইলো। কিন্তু পারলো না, পিছন থেকে তার হাত টেনে ধরে রেখেছে জায়ান। পূর্বাশা এবার যেন ক্ষেপে গেল আরও। দাঁতে দাঁত চেপে বলল – কোন সাহসে আপনি আমার হাত ধরেছেন?
জায়ান সরু দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে অতঃপর বলল – যে সাহসে এর আগে কোলে তুলেছিলাম সেই সাহসে।
পূর্বাশা অপ্রস্তত হলো। এই ছেলে এখন তাকে কোলে তোলার খোটা দিবে? আর তখন তো সে অসুস্থ ছিল তাই কোলে তুলছে। আর তাও সে তো বলেনি কোলে তুলতে বলেনি নিজে তুলেছে। আমতা আমতা শুরু করলো পূর্বাশা। আমতা আমতা করে বলল – তখন আমি অসুস্থ ছিলাম।
– হ কজের সময় কাজী কাজ ফুরালে পাজী। নিজে প্রয়োজনে একদম কোলে উঠেও বসতে পারে। আর নিজের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পর হাত ধরলেও সাহসের প্রশ্ন আসে।
পূর্বাশা অবাক না হয়ে পারলো না। এই ছেলে বাংলাদেশে না জন্মে বাংলাদেশে না থেকেও বাংলা জানে। সে না হয় জানুক তাই বলে বাংলা প্রবাদ বাক্যও মুখস্থ তার? আর সবচেয়ে বড় কথা সে যখন অসুস্থ ছিল তখন কি সে নিজে থেকে লাফিয়ে জায়ানের কোলে উঠে গিয়েছিল নাকি? সে নিজেই তুলে নিয়েছিল। বারন করলেও নামিয়ে দেয়নি। পূর্বাশা তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। তীক্ষ্ম কন্ঠেই বলল – আমি নিজে থেকে উঠেছি নাকি আপনার কোলে? আপনিই তুলেছিলেন।
– সেই তো, তখন আমি নিজে থেকে কোলে নিয়েছি। এখন নিজে থেকে হাত ধরেছি। এখানে সাহসের প্রশ্ন তুমি করবে কেন?
পূর্বাশা রেগেমেগে বলতে গেল কিছু কিন্তু পারলো না। তার আগেই ক্লাসে প্রফেসর চলে এলো। সকল শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানিয়ে বসে পড়লো চেয়ারে। পূর্বাশাও বসে পড়লো ধপ করে, বলল না আর কিছুই। জায়ান একটা বই নিয়ে মুখ লুকালো। প্রফেসরদের কাছে সে পরিচিত মুখ। তার উপর তার ক্লাস চলাকালীন সময়ে সে ক্লাস বাদ দিয়ে অন্য ক্লাসে এসে বসে রয়েছে। যা তার স্বভাবে কখনও ছিল না। এখন এই মেয়ের জন্য তাও করতে হচ্ছে। তবুও এই পাষান রমনী তাকে বুঝতে চাইছে না। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল জায়ান। প্রফেসর তাকে দেখে ফেললেই নির্ঘাত একশত প্রশ্ন ছুড়বে তার পানে। জুনিয়রদের সম্মুখে, পুরো ক্লাসের সম্মুখে লজ্জায় পড়তে হবে তাকে। বই দিয়ে বেশ ভালোভাবে নিজেকে ঢেকে নিয়েছিল জায়ান। কিন্তু সে হয়তো ভুলে বসেছিল তার বন্ধু নামক দুটো শ’ত্রু আছে। যারা তাকে শান্তি দিতে ইচ্ছুক নয় একদম। জায়ানের শান্তির জীবনে অশান্তি ডেকে আনতে ক্লাসের সম্মুখে এসে দাঁড়ালো তৃষাম আর চ্যাং। চ্যাং হেসে প্রফেরকে বলল – গুড মর্নিং স্যার।
প্রফেসর তাকালেন তাদের দিকে। ভ্রু কুঁচকে বললেন – গুড মর্নিং। কিন্তু তোমরা এখানে? তোমাদের এখন ক্লাস আছে না?
তৃষাম দাঁত কেলিয়ে একটা শয়তানী হাসি দিল। বেশ উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল – আছে তো স্যার। কিন্তু আমাদের বন্ধু জায়ান, ঐ যে ক্লাস টপার সুদর্শন জায়ান ইবনে জাফর চৌধুরী নিজের ক্লাস ছেড়ে আপনার এই ক্লাসের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। ওকে নিতেই এসেছি আমরা।
চলবে…….
ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link
[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]