#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_১০
🍂
এই তুই আমার কানে দুল দেখেছিস, নীল কানে দুলটা, অনেকক্ষন ধরে খুঁজে পাচ্ছি না, তুই দেখেছিস,,,
সোফা উপর দুই পা তুলে সোফার বসার জাইগায় মাথা রেখে চুল গুলো ফ্লোরে ফেলে মনোযোগ সহকারে ফোন টিপছি আমি,, ফিহার কথা মনোযোগ নষ্ট হল আমার ঘাড় ঘুরিয়ে বিরক্তি নিয়ে তাকায় ওর দিকে মেয়েটা সবসময় ভুল সময়ে এন্ট্রি নিবেই এটা ওর একটা প্রধান কাজ হয়ে গেছে,,, ওর দিকে তাকিয়ে পা নামিয়ে ঠিক হয়ে বসি আমি,,, তারপর বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করি তর কোন দলটা,,,,
ও আমার থেকে ডাবল বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে তুই আমার নীল দুলটা চিনতে পারছিস না,,, আরে আমার ওই নীল দুলটার কথা বলছি আর কি,,,,ওর এমন উল্টা প্রশ্নে আমি পাল্টা উত্তর দিলাম,,,,
তোর ঔই নীল দুলটা যেটা মার্কেট থেকে কিনে এনেছিলে,,,, ফিহা সাথে সাথে বলে উঠলো হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ওটাই তুই দেখেছিস,,,
আমি আবার বলি, বড় আকৃতির দুলটা যে ছিল ওটা না,,,,
ও আবার সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে বলে হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ওটাই ছিল,,,,,
আমি বলি ওহ আচ্ছা বলেই,,, নড়েচড়ে বসে কনফিডেন্সের সাথে বলি উঠি, বড় বড় পাথরের গোলাকার রিংটা ছিল যে ওটার কথা বলছিস না তুই,,,,
ফিহা এবার মহা খুশি হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট প্রসারিত করে হাসে যার অর্থ অনাকাঙ্খিত জিনিসটি পাওয়ার আশায় আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে উঠে,, হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ঔটাই তর কাছে, দে আমাকে দুলটা,,,
তারপর আমি আবার স্বাভাবিক ভাবে বলে উঠি তুই যে একদিন পড়ে ছিল ওইটা না,,,,
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ওইটাই খুশি হয়ে,,,(ফিহা)
আমি নড়েচড়ে বসে ওর দিকে তাকিয়ে বলে উঠি ওটা তহ আমি দেখি নি,,,, তুই অন্য কোথাও গিয়ে দেখ,,,
ফিহা বোকার মতো চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,, কি বলবে ও নিজেও বুঝতে পারছে না,,, ওকে এভাবে বোকা বানাবো নিজেই হয়তো ভাবি নি তাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
তারপর রেগে কোমরে দু হাত দিয়ে বলি উঠে, তুই আমাকে এইভাবে বোকা বানালি, তোর কাছে ছিল না তো আমাকে আগেই বলতে পারতি,,, এভাবে আমার সময় নস্ট করলি কেন বল,,,
ওর কথা শুনে দুই হাত উপরে তুলে একটা হার্মি দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বলে উঠি, তর উল্টা প্রশ্নে পাল্টা উত্তর দিলাম আর কি,,,,তুই আমাকে দুলের সাথে পরিচয় না করিয়ে বলছিস দুল দেখেছি কিনা তাই আমি তোকে প্রশ্ন করে করে শিয়র হয়ে বলে দিলাম যে আমি দেখিনি,,,, সিম্পল
তুই কি আমাকে বোকা পেয়েছিস বলে প্রচন্ড রেগে সোফা বালিশের কুশন আমার উপর ছুড়ে মারে,,,,(ফিহা)
আমি ওর দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলি ব্রেকআপ তর সাথে আমার,,, যা ভাগ এখান থেকে,,,
ব্রেকআপ,,, (কনফিউজড হয়ে) এখানে ব্রেকআপ কোথা থেকে আসলো রে,,, আর তোর সাথে আমার ভালোবাসা কবে ছিল যে এখন ব্রেকআপ হবে,,,(ফিহা)
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠি আমি,,, কেন তুই তো বলেছিস যে ভালোবাসার মানুষ রাগ করলে, ঝগড়া করলে, বা মারলে নাকি তাদের সাথে ব্রেকআপ করা হয়,, তো তোর সাথে ব্রেকআপ আমার, দাদী বলে পরিবারের সবাইকে ভালোবাসতে হয় আর তুইও আমার পরিবার তাই, তোকেও আমি ভালোবেসি, আর তুই আমাকে মেরেছিস তাই তর সাথে আমার ব্রেকাআপ, দেখ আমি আগে শুধু দাদা-দাদিকে ভালোবাসতাম,,, কিন্তুু এখন তকে, নিহা আপুকে, ফুপি-ফুপাকে, আয়ন ভাইয়াকেও ভালোবাসি,,, তাই আমার পেট টাও কত বড় হয়ে গেছে দেখ দেখ,, আগে শুধু পেটের ভিতর দাদা দাদী ভালোবাসা থাকতো এখন তোদের ও ভালোবাসা আছে,,,, তাই তর সাথে ব্রেকাআপ করে আমার পেট থেকে তকে বের করে দিলে আমার পেটা একটু ছোট হবে বুঝেছিস,,,,
মানুষের বুকে থাকে আর তর বুঝি পেটের ভিতর থাকে ভালোবাসা,,,, (কনফিউজ হয়ে) (ফিহা)
আমি স্বাভাবিকভাবেই বলে উঠি,,, হ্যাঁ আমার বুকটা ছোট তাই সবার জায়গা নেয় না এজন্য পেটের ভিতর রাখি সবাইকে,,, তকেও রেখে ছিলাম কিন্তুু তুই আমাকে মেরেছিস তাই তকে বের করে দিয়েছি,,,, যা ভাগ এখান থেকে,,, তখনই কেউ হু হু করে হেসে উঠে আমি পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলাম আয়ন ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের সামনে,,,তারপর হাসতে হাসতে আমাদের সামনে এসে বলে ফিহা তর রুমে গিয়ে ভালো করে দেখ আছে হয়তো কোথাও বলেই আমার পাশে বসে পরে আর ফিহা রেগেমেগে নিজের রুমে দিকে হাঁটা ধরে,,,,
ভাইয়া হাসতে হাসতে বলে তুমি আমাদের সবাইকে পেটের ভিতরে রাখলে অথচ রিদকে রাখলে না কেন,, সে তো তোমার স্বামী হয়,,, তাহলে
মুহূর্তে আমার মধ্যে বই বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেছে,,, রিদ নামটি শুনতেই আমার মধ্যে এক জরতা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে, আমি ভয়ে ভয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলি উনাকে আমি ভালবাসতে পারব না,,, আর না উনাকে আমার পেটের ভিতর রাখতে পারব,, যদি উনাকে আমার পেটে ভিতর রাখি তাহলে উনি আমার পেটের ভেতর থেকে ছুরি মারবে আর বলবে আমাকে বের কর নয়তো তর পেট আমি ফুটো করে দিব,,, তারপর আমাকে ঔ ফুটো পেট নিয়ে চলতে হবে,,, তখন আমাকে কেউ আর ভালোবাসবে না,,আপনিও তো ভালোবাসবেন না আমাকে,,, তাই উনি বাদ হুহ,,,
আয়ন মায়ের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে,,, মেয়েটা কি বুঝে না কখন কাকে কি বলতে হবে,,, এমনিতে মেয়েটার কথায় তার সামনে মানুষকে অস্থিরতাই ভোগায় আর এখন তার কি ভালোবাসা ও চাই,,, কিন্তুু তার চাওয়াটা একরকম আর আমার চাওয়াটা অন্য রকম,,,, আচ্ছা এই চাওয়াটা কি খুব খারাপ ওদের মাঝে,,,, কিন্তুু রিদ তো ওকে চাই না,, আর না মায়া,,, তাহলে ক্ষতি কি আমার চাওয়াটার মধ্যে,,, না আমার রিদ আর মায়ার ফিলিংস সম্পর্কে জানতে হবে,,, মায়া ফিলিংস সম্পর্কে কিছু যাই আসে না কিন্তুু যদি রিদ এ মাঝে বিন্দু মাএ ফিলিংস থাকে তাহলে আমি কখনোই মায়ার দিকে তাকাবো না আর যদি না থাকে তাহলে আমি এ সম্পর্ক ঠিকে থাকতে দিব না মায়াকে আমার করে নিব,,,,এসব ভাবনা চিন্তার মধ্যে প্রশ্ন করে বসে আয়ন,, তুমি কি রিদকে ভালবাসো
না,,,, (আমি)
কেন,,,,, (আয়ান)
আমার অনেক ভয় লাগে উনাকে,,,, উনার অনেক রাগ জাননে আল্লাহ,, আমি তো শেষ,,, (আমি)
বিচলিত কণ্ঠে আয়ন বলে ওঠে তাহলে কি তোমাকে রিদ কখনো গায়ে হাত তুলেছে,,, বকেছে কখনো,,,
আমি ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে না বোধক বুঝালাম, তারপর ওনাকে বলে ওঠি,,, না উনি আমাকে কখনো মেরেছে আর না কখনো বকেছে কিন্তু প্রথম যেদিন এই বাড়িতে এসেছিলাম ঐদিন অনেক কথা শুনিয়েছেন, এ পর থেকে আমি ওনার সামনে কখনো যাইনি আর উনিও আমার সামনে কখনো আসেনি আমি ওনাকে কখনো দেখিনি,,,,
অবাক করা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠেন তুমি কখনো রিদকে দেখনি কখনো ওর সাথে কথা বলিনি,,,
আমি শুধু মাথা নাড়ালাম যার অর্থ না আমি দেখি নি,,, আমার জবাব পাওয়ার সাথে সাথে আমার দিকে কতক্ষন তাকিয়ে থেকে,, তারপর উপরের দিকে হাঁটা ধরলেন কিছু না বলে,,, হয়তো উনার জবাব পেয়ে গেছেন তার জন্য এখানে থাকার প্রয়োজন বোধ করে নি,,,,
💞💞💞
বিয়ে মানে আনন্দ আর আনন্দ জিনিসটা আমার খুব আনন্দের তাই আমার এই আনন্দ দ্বিগুণ করতে নিহা আপুর ওডবি শ্বশুরবাড়ির মানুষ এসেছে,,, উনার ফ্যামিলির মানে সবার সাথে পরিচয় হতে,,, বিয়ে বলে কথা,,, এখানে সবাই উপস্থিত আছেন,,, দাদা-দাদি, ফুপা-ফুপি, আয়ন ভাইয়া, নিহা আপু, ফিহা, বসে সবার সাথে কথা বলছে, উনি নেই কারণ উনি এসব ঝামেলায় নিজেকে ঝরায় না তাই,,,, আর আমি বিশাল ড্রইংরুমের এক কর্নারে ওদের থেকে দূরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবাইকে পর্যবেক্ষণ করছি,,,নেহা আপু শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছেন আপুর শ্বশুর শাশুড়ি, নেহা আপুর ওটবী, সাথে রয়েছে আরো দুইটা ছেলের যাদের বয়স আয়ন ভাইয়া বয়সে হবে ,,, আরো রয়েছে দুজন স্বামী স্ত্রী যারা নেহা আপুর চাচা শ্বশুর -চাচী শ্বাশুড়ী, আমার বয়সে একটা মেয়ে আছে, সাথে আছে দাদাশ্বশুর দাদী-শ্বাশুড়িও,,,,সবাই মিলে গল্পে মেতে উঠেছেন নেহা ফয়সাল ভাইকে (হবু হাযবেন্ড)দেখে বারবার মিষ্টি করে হেসে যাচ্ছেন আর লজ্জায় লাল হয়ে উঠছেন,,, অবশ্য বিষয়টি কারো চোখে পড়ছে না কিন্তু দূর থেকে আমি ঠিকই লক্ষ্য করছি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আহা এ বুঝি প্রেম লজ্জা,,,
কিন্তু আয়ন ভাইয়া বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে কাকে যেন খোঁজার চেষ্টা করছে বিষয়টি আমি লক্ষ্য করতেই দাদীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠে, নানুজান মায়া কোথায়, ওকে তো দেখছেনা ও কোথায়,,,,
দাদী বিচলিত হয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বলে ওঠে,,, হ্যাঁ তাইতো আমার সোনামা কোথায়, আমার সোনামাকে তো আমি দেখছি না,,, এ তোমরা আমার সোনাকে নিয়ে আসো,,, আমি মেহমান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আমার সোনামাকে লক্ষ করি নি,,, এখনি নিয়ে আসো আমার মাকে যাও,,, দাদীর কথা শুনে নিহা আপুর শশুর বাড়ির মানুষ আবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর আয়ন ভাইয়া ঠোঁট প্রসারিত করে হাসল,,,,
সার্ভেন্ট এসে আমাকে ডাকতে আমি গুটি গুটি পায়ে তাদের দিকে এগোতে লাগলাম ভয়ে চুপ করে রইলাম কারণ নতুন মেহমান দেখলে আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় না তাই,,,,
আমি দাদির কাছে যেতেই দাদী আমাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল এতক্ষণ কোথায় ছিলিস সোনামা,,,,আমি কিছু বললাম না চুপ করে রইলাম,,, দাদী ব্যাপারটা বুঝে গেছে তাই একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে এক হাতে জড়িয়ে রাখলেন,,, তারপর সবার সাথে কথা বলতে লাগলেন,,,,
তখন পাশ থেকে বৃদ্ধা মহিলাটি বলে ওঠেন হেনা মেয়েটি কে হয় তোমার,,, দাদি কিছু বলতে যাবে তখনি পাশ থেকে ফুপি বলে উঠে রিদ এ মামাতো বোন হয়,,, আমার মা বাবার সাথে থাকে, আর আমার বাবা মা আর আমারাও ওকে খুব ভালোবাসি তাই ওকে সোনামা বলে ডাকি,,,, দাদির রাগি ভাবে তাকাই ফুপি দিকে কিন্তুু কিছু বলে না, আমাকে বুকে সাথে চেপে ধরে রাখে,,, তখন বৃদ্ধা মহিলাটি আবার বলে ওঠেন হেনা মেয়েটি তো বারি মিষ্টি মেয়ে,,, আর এদিকে আয় তো আমাদের কাছে বস মা আয়,,,,আমি দাদীর দিকে অসহায় ভাবে তাকাতেই দাদী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ইশারা করে যেতে,,, আমি ওনাদের কাছে বসতেই আমার নাম জিজ্ঞাসা করেন আমি বাধ্য মেয়ের মতো বলি,,, তারপর আমাকে এটা সেটা বলে প্রশ্ন করতে লাগলেন আমি সব এক এক করে বাধ্য মেয়ের মত সব বলতে থাকি,,,, কথার এক পর্যায়ে উনি বলে ওঠেন, হেনা আমাকে কি তোমার সোনামা কে দিবা,,, আমার না অনেক পছন্দ হয়েছে মিষ্টি মেয়েটাকে,,, তুমি বললে আমি আমার দুই নাতি মাঝে যেকোনো এক নাতির বউ করে নিতাম আরকি,,,, কি বল,,,
উনার এমন কথায় নড়েচড়ে বসেন আয়ন ভাইয়া,,, একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার দাদীর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,, দাদী কিছু বলবে তখনই পিছন থেকে বিকট শব্দ কানে আসতেই সবাই চমকে উঠলাম পরে পিছনে তাকিয়ে দেখি সুন্দরপুরুষটা দাঁড়িয়ে আছে আর ফ্লোরে ভেঙে পড়ে আছে আমার সু্ন্দর রমনী মাটির মূর্তি,,,
উনার এমন কাজে আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না দৌড়ে উনার কাছে গিয়ে টলমল চোখে একবার মূর্তির দিকে তো একবার ওনার দিকে তাকিয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না,,, ভ্যা ভ্যা ভ্যা জোরে জোরে কান্না করে দিলাম,,, আর সাথে বলে উঠি আমার পরিটা, আমার পরিটা, বলে কান্না জুড়ে দিলাম তখনই দাদী দৌড়ে এসে আমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে বলে উঠেন যে কি করেছিস রিদ এটা,,,,
আমার সোনামার পরিটা ভেঙে দিলি,,, তকে না বলেছি আমার সোনামা থেকে দূরে থাকতে আর তুই আমার সোনামাকে কস্ট কেন দিস বল,,, রিদ নামটি শুনতে ভয়ে আমি হিতাহিত ক্ষান হারিয়ে দাদীর পিছনে লুকিয়ে পরি,,, আর কান্না করতে লাগলাম এবার কান্নাটা কিসের তা আমি নিজের ও বুঝতে পারছি না,,, এটা কি মূর্তি জন্য নাকি উনার ভয়ে নাকি এতদিন ধরে উনাকে না চিনে উনার নামে উনাকে উল্টা পাল্টা কথা বলছি সে জন্য,,, কিছুই বুঝতে পারছি না,,,,,, তখনি আমার কানে আরো একটা বিকট শব্দ আসে তখন দাদীর পেছন থেকে উকি মেরে দেখি আমার আরো একটা মূর্তি ভেঙেছন উনি,,, এবার আর আমি কিছু বলিনি চুপ করে আবার দাদীর পিছনে লুকিয়ে পরি,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,