#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৫৯
🍂
আমার কেন জানি কোনো কিছুই মানতে ইচ্ছা করছে না এমনকি আপুর কথা গুলো রাখতেও আমার ইচ্ছা করছে না শুধু মনে হচ্ছে আজ খুব স্বার্থপর হতে ইচ্ছে করছে বড্ড অসহায় লাগছে নিজের চিল্লায়ে চিল্লায়ে বলতে ইচ্ছা করছে আমি কাউকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারবো না, সাথে উনাকেও ছেড়েও যেতে পারবো নাহ……..
.
অন্ধকার রুমটিতে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে হাঁটুতে মুখ গজিয়ে কিছুক্ষণ কান্না করার পর নিজেকে শান্ত করে উঠে দাঁড়ায় আমি, তারপর নিজের হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখে জল মুছে নিলাম ভালো করে, আজ সবকিছুর ইতি টানতে হবে আমার এখানেই, কারণ উনি ডলি আপুকে বিয়ে করতে চাই তো আমি ওদের মাঝখানে বিষাক্ত কাটা কেন বিষ ফুটে থাকবো কোন আশায় তাই আমার কাউকে চাই না, কিছুই চাই না আমার কারও কাছ থেকে, আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানেই আবার চলে যাব, এবারের যাওয়াটা হবে শেষ যাওয়া, আর কখনোই উনার জীবনে আসতে চাইবো না আমি, আর কেন বাহ আসতে চাইবো, আমি তো সবটা জানি শুরু থেকেই কিভাবে আমাদের বিয়েটা হয়ে সেটাও জানি তাহলে এতো কিসের আশা উনার ওপর আমার, আমি তো শুরু থেকেই চাইতাম উনার জীবনের অন্য কেউ আসুক আর আমি তাদের এক করে অনেক দূরে চলে যাব, তাহলে এখন কেন সবটা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারছি না আমি কেন আমার এতো কষ্ট হচ্ছে,,
.
কথা গুলো ভেবেই নিজের রুমে দিকে পা বাড়ায় আমি, নিজের রুমে এসে ভালো করে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরি আমি, এক পলক নিজেকে দেখে কিছু একটা ভেবে আমার ফোনটা হাতে তুলে নেই আমি, ডলি আপুকে দিয়া কথা রাখতে আর উনার সুখের জন্য সবাইকে ছাড়তে হবে আমাকে, তাই নিজের ফোন থেকে আমার ছোট বেলার বেস্টফ্রেন্ড রাইমাকে একটা কল করে সবকিছু ঠিক করে নিলাম আমি, আপাতত ওর কাছেই কিছুদিন থাকবো পরে নাহ হয় ঐখান থেকেই কি করা যায় সবটা ভেবে দেখবো আমি, এখন আপাতত এই বাড়িটা ছাড়তেই হবে সেটাই মূল বিষয়,, রাইমা সাথে কথা বলেই আমি কল কেটে আবারও আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে পযবেক্ষন করছি চোখ মুখ হালকা ফোলা ফোলা আছে এখনো পর্যন্ত, হাত মুখ ধুয়ার ফলে মুখে কোনো রকম মেকআপ নেই গায়ে শুধু সবুজ শাড়ীটা জরিয়ে আছে,
.
তাই আর অতিরিক্ত কিছু না ভেবেই বেড়িয়ে পরি ছাঁদে উদ্দেশ্য দাদা-দাদি কাছে যাবো বাকিটা সময় তাদের কাছে থাকতে চাই হয়তো এটাই আমার শেষ থাকা হবে উনাদের সাথে, মা-বাবাকে তো পরেও পাচ্ছি আমি কিন্তুু তাদের আর কখনোই পাবো না, এইসব কিছু ভেবে ধীর গতিতে হেঁটে ছাঁদে ওঠে দাঁড়ায় আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক পলক সবাইকে পযবেক্ষন করতে হুট করেই সামনে এসে হাজির হয়ে পরে আয়ন ভাইয়া বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে তাঁকে, হয়তো কিছু নিয়ে বেশ টেনশনে আছে ভাইয়া, আর হঠাৎ করেই আয়ন ভাইয়া আমার সামনে দাঁড়িয়ে পরতেই সাথে সাথে ভয়ে চমকে উঠে আমি, আমাকে চমকে উঠতে দেখে আয়ন ভাইয়া দ্রুততার সঙ্গে খানিকটা এগিয়ে এসে আমার দুহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চিন্তাত সুরে বলে উঠে…
.
—” তুমি ঠিক আছো তো মায়ুপাখি, তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, আর এতক্ষণ কোথায় ছিলে তুমি, সেই কবে থেকে পাগল পাগল হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি আমি তোমাকে, কই ছিলে তুমি,,,,
.
আয়ন ভাইয়া আমাকে নিয়ে এতটা অস্থির হতে দেখে মুহূর্তেই ডলি আপুর বলা কথা গুলো মনে পরে যায় আমার, আয়ন ভাইয়াকে আমি বিয়ে করতে পারবো এই বিষয়টা ভেবেই আমি স্থির হয়ে শান্ত দৃষ্টিতে আয়ন ভাইয়া চোখে মুখে নিজের দৃষ্টি স্থির করি, আমাকে স্থির দৃষ্টিতে ভাইয়ার দিকে এমন করে তাকাতে দেখে আয়ন ভাইয়ার হয়তো কিছু বুঝতে পেরেছেন আমার মনের অস্থিরতাটা তাই আয়ন ভাইয়া আমার দুহাত শক্ত করে চেপে ধরেই খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে শান্ত ভাবে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……
.
—” মায়ুপাখি এমন করছো কেন তুমি, কি হয়েছে তোমার, কেউ কিছু বলেছে তোমাকে আমাকে বলো তুমি, তোমাকে আজ এতটা অগোছালো লাগছে কেন, মায়ুপাখি সত্যিটা বলো না কি হয়েছে তোমার বলবে না আমাকে হুমমম…..
.
আয়ন ভাইয়ার এমন আবেগাপ্লুত হয়ে বলা কথা গুলো শুনেই আমি নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারিনি ভাইয়া হাতে নিজের হাতটা রাখা অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই শক্ত গলায় বলে ওঠি……
.
—” আমাকে বিয়ে করবে আয়ন ভাইয়া, আমি তোমার ভাইয়ে থেকে মুক্তি পেতে চাই এখন, আমার আর কিছুই ভালো লাগছে না, প্লিজ আমি আর উনার জীবনের বিষাক্ত কাটা হয়ে থাকতে পারছি না, আর না বাড়াতে চাচ্ছি কোনো রকম তিক্ততা উনার জীবনের , তাই আমি এই সম্পর্কের বেড়া জালটাই নিজেকে আর জড়িয়ে রাখতে চাই না আমার এখন মুক্তি চাই, তুমি দিতে পারবে আমাকে তোমার ভাইয়ে কাছ থেকে মুক্তি বলো,,,,,
.
আমার এমন শক্ত গলায় কথা গুলো শুনেই মূহুর্তেই আয়ন ভাইয়া হাত থেকে আমার হাত দুটো ছেড়ে দেয়, আমার হাত দুটো ছেড়ে দিতেই আমি আবারও আয়ন ভাইয়া দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির করি, আয়ন ভাইয়া অনেকটাই শক্ট এর মধ্যে আছে তা উনার ফেস দেখে বুঝতে পারছি আমি, হয়তো আমার থেকে এমন কিছু শুনার জন্য মোটেও আশা করি নি ভাইয়া, তাই আবাক হয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার চোখে মুখে দিকে, আমি ভাইকে এমন করে তাকাতে দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম নিশ্চুপে আমি , আমি জানি আয়ন ভাইয়া এটা কখনোই করবে না শত হলেও নিজের ভাই বলে কথা, তাই আমি আবারও শক্ত গলায় বলে উঠি….
.
—” তোমার কিছু করতে হবে না আয়ন ভাইয়া আমি আমার সবটা করতে পারবো…
.
কথা গুলো বলেই আমি আয়ন ভাইয়ার উত্তরের অপেক্ষা না করে পাশে কাটিয়ে এক কদম পা বাড়াতেই পিছন থেকে আয়ন ভাইয়া আমার দিকে না ঘুরেই শান্ত ভাবে বলে উঠে……
.
—” আমি সবটাই পারবো করতে তোমার জন্য তুমি যা চাও তাই হবে মায়ুপাখি….
.
আয়ন ভাইয়া কথা গুলো শুনেই অনূভুতি শূন্য হয়ে পিছনে না ফিরে চাপা সুরে বলে উঠে,,,,,
.
— ” আশায় রইলাম আমি….
.
বলেই আয়ন ভাইয়ার আর কোনো কথা শুনার প্রয়োজন বোধ করিছি না আমি, তাই আরও এক কদম সামনে দিকে পা বাড়ায়তে চোখ পড়লো উনাকে মানে আমার স্বামীকে, উনি হিংস্র ভাবে টগবগে ওঠা রক্ত লাল চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, হয়তো আমার আর আয়ন ভাইয়া সব কথায় শুনেছেন উনি,
আর শুনাই কথা কারণ উনি (রিদ) আমার থেকে দশ কদম সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর আয়ন ভাইয়া আমার থেকে দুই কদম পিছনে দাঁড়িয়ে আছে,, আমি তাদের মাঝখানে অনূভুতি শূন্য চোখে তাকিয়ে আছি উনাড দিকে করুণ চোখে,,
তখনি উনি প্রচন্ড রাগে হাতে থাকা ওয়াইন এর গ্লাসটা শক্ত করে চেপে ধরে মূহুর্তেই ভেঙ্গে ফেলে, উনি হঠাৎ করে এমন কিছু করবে আমি ভাবতেও পারিনি, গ্লাসটা ভাঙ্গা সাথে সাথে অর্নর গল অঝর দ্বারা রক্ত ঝরতে লাগলো উনার (রিদ)হাতে থেকে সাথে বেশ কিছু কাঁচ ভাঙ্গা ঢুকেছে তা আমি এখান থেকেই দেখতে পারছি,
উনাকে এমন করতে দেখে মূহুর্তেই আমার কান্না চলে আসে উনার (রিদ) জন্য, তাই নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে কান্না করে দিয়ে উনার দিকে দ্রুত পা বাড়াতেই কিন্তুু মাঝ পথে এসে আমার পা থেমে যায় অটোমেটিকলি ডলি আপুকে দেখে, ডলি আপু পাশ থেকে দ্রুত এসে উনার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বেশ উত্তেজিত কন্ঠে উনাকে অনেক কিছুই বলছেন, কিন্তু তখনো উনার দৃষ্টি ছিল সামনে আমার দিকে, আমিও ডলি আপুকে দেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে পরি উনার সামনেই এর চেয়ে আর আগানো ক্ষমতা আমার নেই আমি চাইলেও পারবো না সেটা করতে,
.
ডলি আপুর উনার হাতটা বেশ মনোযোগ সহকারে দেখতে দেখতে আচমকাই দৃষ্টি পরে আমার দিকে,, আমাকে উনার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে কপাল কুচকে এলো ডলি আপুর পরে আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নিজের চোখ তুলে তাকায় উনার (রিদ) দিকে, উনার দৃষ্টিও আমার দিকে স্থির দেখে সাথে সাথে রেগে যায় ডলি আপুর, কিন্তুু উনার সামনে আমাকে কিছু বলতে না পারায় ডলি আপুর উনার একহাতে বাহু নিজের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে চোখ গরম করে তাকায় আমার দিকে,, আমি ডলি আপুর এমন দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে উনাকে আর একবার এক পলক দেখে নিয়ে চুপচাপ ওখান থেকে ধীর পায়ে কাউকে কিছু না বলে চলে আসি দাদীর পাশে, দাদীর পাশে দাঁড়াতেই দাদীর হাসি মুখে আমাকে একহাতে জরিয়ে নেই নিজের বুকের মধ্যে, পরে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে….
.
—” কি হয়েছে সোনামা মুখটা এমন শুকনো শুকনো লাগছে কেন হুমমম….
.
দাদীর এমন কথায় আমি দাদীকে শক্ত করে দু’হাতে জরিয়ে ধরে বুকের ওপর মাথা রেখেই আবারও সামনের দিকে তাকিয়ে উনার (রিদ) ওপর নিজের কাতর দৃষ্টি স্থির করি,,, সাথে সাথে দুজনের চোখাচোখি হয়, উনি তখনো হিংস্র ভাবেই তাকিয়ে ছিল আমার দিকে আর ডলি আপুর উনার বাহুতে মাথা রেখেই দাঁড়িয়ে ছিল, উনি এতটা রেগে দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে যে ডলি আপুর যে উনার পাশে দাড়িয়ে আছে উনার বাহুতে মাথা রেখে সেটা হয়তো খেয়াল করেনি উনি (রিদ) তা উনার আচরণেই বুঝতে পারছি আমি,,, কিন্তুু উনার এতো কিসের রাগ আমার ওপর কি চাই উনি আমার থেকে, উনি যা চাই সবটা তো দিচ্ছি উনাকে আমি তাহলে আর কি চাই উনার,, এমন সব কথা গুলো চিন্তা ভাবনায় করতেই আবারও দাদী আমার মাথায় আদুরে একহাত বলিয়ে দিতে দিতে নরম সুরে বললো,,,,,,
.
—” সোনামা…
.
দাদীর আবেগাপ্লুত কণ্ঠে কথা শুনে আমি আস্তে করে বলে ওঠি……
.
—” কিছু হয়নি তো দাদী, আমার মুখটা নাহ মেকআপে কারণে চুকলাচ্ছিল বড্ড তাই ধুয়ে এসেছি তো, আর মুখে মেকাপ না তাকায় তোমার কাছে আমাকে শুকনো শুকনো লাগছে তুমি বুঝতে পারছো না এটা,,,,
.
—” তাই বুঝি… (হাসি মুখে)
.
—” হুমমম…. (শান্ত ভাবে)
.
.
.
🍁
কথা গুলো বলেই আবারও সামনের দিকে তাকায় আমি, ছাঁদের সবটা পযবেক্ষন করা জন্য চারপাশে চোখ বুলায় আমি, চারপাশে চোখ বুলিয়ে স্টেজের মেহেদীর অনুষ্ঠানের দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির করতে যবো তখনি চোখ পড়লো ছাঁদের কর্ণানে একপাশে ফিহা আর আরিফ ভাইয়া ওপর দুজনকে একসাথে দেখে চোখ ছোট ছোট হয়ে আসে আমার, তাই ভালো করে তাকাতেই চোখে পড়ল ফিহা আরিফ ভাইয়াকে শক্ত ভাবে চেপে ধরে আছে দেয়ালের সাথে,
.
ফিহার চোখ মুখ সুখ সুখ ভাব থাকলেও আরিফ ভাইয়া চোখে মুখে ছিল বেশ বিরক্তি হয়তো ফিহাকে নিয়েই তার বিরক্তি কারণটা,, ফিহা বেশ কিছু কথা আরিফ ভাইয়াকে বলছে,,, দ্রুতটা বেশি হওয়ায় কিছুই শুনতে পারছি না আমি, আরিফ ভাইয়া বিরক্তি নিয়ে সবটা শুনে রেগে ফিহাকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে শক্ত গলায় অনেক কিছু শুনাই ফিহাকে পরে ফিহার কোনো রকম কথা না শুনেই ঐখান থেকে সাথে সাথে হনহনিয়ে চলে আসে স্টেজর দিকে ভাইয়া, আর আরিফ ভাইয়া এমন আচরণে সাথে সাথে কান্না করে দেয় ফিহা টলমলে চোখে তাকিয়ে থাকে আরিফ ভাইয়া চলে যাওয়া দিকে,
.
আরিফ ভাইয়া যদি একবার পিছন ফিরে তাকাতো তাহলে হয়তো দেখতো পারতো ফিহার অশ্রু সিক্ত দুই নয়ন, সবিই ঠিক আছে কিন্তুু ফিহার সাথে আরিফ ভাইয়া এমন খারাপ আরচণ কেন করলো আর ফিহাই বা ভাইয়া সাথে এমন করছিলো কেন, সবটাই আমার মাথায় প্রশ্ন আকারে ঘুরপাক খাচ্ছিলো, নিজের সব প্রশ্ন নিজের মাথায় রেখেই আজানা আবেশে চোখ বন্ধ করে রাখি দাদীর বুকে, আমার কিছুই ভালো লাগছে না এই মূহুর্তে তাই আরিফ ভাই আর ফিহার বিষয়টা ঘাঁটাতে ইচ্ছা করছে না আমার,, তাই আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি দাদীর বুকে মাথা রেখে,,,,,
.
.
.
এখন ভোর চারটা বাজে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে একপাশে অনূভুতিহীন হয়ে বসে আছি গন্তব্য হীন মঞ্জিলের উদ্দেশ্য বেড়িয়েছি পরেছি আমি ,, কিছুক্ষন আগেই এখানে এসে পৌঁছায় আমি খাঁন বাড়ির থেকে বেড় হতে সবটাই সাহায্য করে ডলি আপুর ও তার পরিবার, উনার সাহায্য না করলে হয়তো কখনোই খাঁন বাড়ির থেকে পালানোতে সফলতা অর্জন করতে পারতাম না আমি,,
.
ডলি আপুর কোনো রকম একটা গাড়িতে ওঠিয়ে দিয়েই তাড়া দিয়ে পাঠিয়ে দেয় আমাকে আমি কোথায় যাচ্ছি সেটার খবরও নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি ডলি আপুর,,, শুধু গাড়িটাকে বলে দেয় যেন আমি যেখানে যেতে চাই যেখানেই পৌঁছে দিতে আমাকে, গাড়িটি ও যথাযত ভাবেই আমাকে এখানে পৌঁছে দেয়, আর তখন থেকেই এখানে একা বসে আছি, তবে এই মূহুর্তে আমার একটুও ভয় কাজ করছে না কোনো রকম কারণ আমার চারপাশে অনেক মানুষজন পুলিশ ও রয়েছে এখানে, যারা যায় ভোর চারটার ট্রেনে যাবে তারা সবাই আমার মতোই বসে আছে রেলস্টেশনের চারপাশে ,,,
.
আর পুলিশটা এই মূহুর্তে নাইট ডিউটি পালন করছে তারা, আর আমি গোল গোল চোখ সবটা পযবেক্ষন করে একপাশে চুপ করে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি আমাকে চেনার কোনো উপায় নেই কারও কাছে, কারণ আমার পড়ানো রয়েছে কালো বোকরা মুখুশ বাঁধা অবস্থায় সাথে হাত মুজা পা মুজা তো রয়েছেই, আমাকে এসব পরিয়েই বাসার থেকে বেড় করতে সাহায্য করছেন ডলি আপুর পরিবার,,
.
আর আমি আশার সময় উনাকে এক পলক দেখেও জন্য উনার (রিদ) রুমে গিয়ে যায় কিন্তুু উনি তখনোও উনার রুমে ছিল না হয়তো কোথায় গিয়ে ছিল তাই শেষ দেখাটাও দেখতে পারি নি আমি, বাকি সবাইকে দেখে এসেছি সবাই যার যার রুমে ঘুমোচ্ছেন বেশ ক্রান্ত হয়ে শান্ত মতো তাই সবাইকে রুমে গিয়ে এক পলক দেখতে আমার কোনো ঝামেলা পোহাতে হলো না,,,
.
আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই ঝকঝকা ঝক শব্দ করে সামনে এসে হাজির হয়ে পরে আমার চলে যাওয়া ট্রেনটি, আমি এক পলক ট্রেনটি দিকে তাকিয়ে থেকে হাতের থাকা ছোট ব্যাগটি নিয়ে আস্তে করে উঠি পরি ট্রেনে মধ্যে, পরে নিজের সিট খুঁজে বসে পরি আস্তে করে সেখানে, আমি ট্রেনে উঠে বসার খানিক বাদে ট্রেনে ছেড়ে দেয় গন্তব্যের উদ্দেশে, আমি ট্রেনটিকে চলতে দেখে অনূভুতি শূন্য চোখে তাকায় জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে, বড্ড কান্না পাচ্ছে সবকিছুতেই কিন্তুু কিসের এতো জড়তা নিজের মধ্যে সেটাই বুঝতে পারছি না আমি তাই সেই জড়তা নিয়েই বসে আছি জড়সড় হয়ে সিটের মধ্যে,,,
চলবে………