দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৬০

0
151

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬০
🍂
আমি ট্রেনে উঠে বসার খানিক বাদে ট্রেনে ছেড়ে দেয় গন্তব্যের উদ্দেশে, আমি ট্রেনটিকে চলতে দেখে অনূভুতি শূন্য চোখে তাকায় জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে, বড্ড কান্না পাচ্ছে সবকিছুতেই কিন্তুু কিসের এতো জড়তা নিজের মধ্যে সেটাই বুঝতে পারছি না আমি তাই সেই জড়তা নিয়েই বসে আছি জড়সড় হয়ে সিটের মধ্যে,,,,

.
ট্রেনের হালকা আচ্ছন্ন অন্ধকার রুমেটি বসে আছি আমি, আমার পাশের সিটে বসে আছে মধ্যে বয়স্ক একটি মহিলা, মহিলাটিকে নিয়ে আপাতত আমার কোনো চিন্তা ভাবনায় আসছে না আর নাহ হচ্ছে অন্য কোনো বিষয়ে অনূভুতি, আমি অনূভুতি শূন্য চোখে এক পলক মহিলাটিকে দেখে আবারও আস্তে করে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকায়, বাহিরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর আবেশেয় চোখে ঘুম নেমে আসে আমার, আমি আস্তে করে চোখ দুটো বন্ধ করতেই তলিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে….

.
হঠাৎ বিকট শব্দ কানে আসতেই ঘুম থেকে ধুর পরিয়ে উঠলাম আমি, ধুর পরিয়ে অবস্থায় চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিজের অবস্থান বুঝার চেষ্টা করতেই মনে পরলো ভুলে যাওয়া সবকিছু, আমি ট্রেনে সিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম খানিটা সময়ে জন্য কিন্তুু হঠাৎ করে কোথায় থেকে শব্দটি আসলো আমাদের চলন্ত ট্রেনের মধ্যে তা বুঝার জন্য জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাতেই বুঝতে পারি আমদের ট্রেনটি থামা অবস্থায়, মানে আমি যে ট্রেনটিতে এখন চড়ে বসে আছি সেটি এখন মাঝ রাস্তায় আটকা পড়ে আছে, ট্রেনটিকে চলতে না দেখে কপাল কুচকে এলো আমার পড়ো মূহুর্তেই মনে হতে লাগলো ট্রেনটি কোনো কারণে সমস্যাও তোহ হতে পারে আর এজন্যই হয়তো মাঝ রাস্তায় ট্রেনটি আটকা পড়ে আছে, সমস্যা বিষয়টি মাথায় আসতেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় পাশে, হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় ট্রেনের কক্ষটি ভিতরে সবাই বেশ আতংকে আছে তা তাদের ফেস দেখেই বুঝতে পারছি আমি, তাই সবার দিকে আমি এক পলক তাকিয়ে থেকে আস্তে করে আবারও চোখ বন্ধ করে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম,,,

.
আমি ঘুমের মধ্যে হালকা নড়েচড়ে উঠতেই নিজেকে আবিষ্কার করি কারও শক্ত হাতে বেড়াজালে মধ্যে, কেউ আমাকে তাঁর দুই হাতে শক্ত করে চেপে ধরে আছে নিজের বুকের মধ্যে,, আমি ঘুমের মধ্যে নিজেকে কারও বুকে আবিষ্কার করতেই খানিকটা নড়াচড়া করার চেষ্টা করতেই সে আবারও তাঁর বুকের মধ্যে আমার মাথাটিকে শক্ত হাতে চেপে ধরে নিজের সাথে, ব্যাক্তিটি এমন করায় আমার মনে হচ্ছে যেন এই মূহুর্তে তার কাছ থেকে কেউ তাঁর যত্নে সহকারে আগলিয়ে রাখে কিছু ছুটাতে যাচ্ছে আর সে তার আগলিয়ে রাখছে জোর করে,,,

.
আমি তখনো ঘুমের রেশ তেমন একটা কাটাতে পারিনি তাই ঘুম ঘুম চোখে ব্যাক্তিটি বুকে মাথা রাখা অবস্থায় সামনের দিকে তাকায় আমি, চোখে সামনে কিছু দেখতে না পেয়ে ভালো করে তাকায় আমি তখনি বুঝতে পারি নিজের অবস্থান, আমি এই মূহুর্তে একটি কার্র এর মধ্যে পিছনে সিটে কারও বুকে মাথা দিয়ে বসে আছি, আর আমাদের সাথে আছে একজন ড্রাইবার চাচা উনি সামনে বসে বেশ মনোযোগ সহকারে গাড়ি চালাচ্ছেন, কিন্তুু চাচাকে দেখে অদ্ভুত ভাবে মনে হচ্ছে আমি তাকে হয়তো চিনি, চিনা বিষয়টি মাথায় আসতেই চমকে উঠলাম আমি, কারণ শুধু চাচাকেই এই মূহুর্তে আমার চেনা মনে হচ্ছে না তার সাথে সাথে এই গাড়িটিও চেনা মনে হচ্ছে আর যার বুক মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছি তাকেও আমার অনেক চেনা চেনা লাগছে,,,

.

চেনা চিনির ধাপটা পাশে রেখেই উৎসমুখর হয়ে ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে আস্তে করে মাথা খানিকটা উঁচু করে চোখ তুলে তাকায় শক্ত হাতের ব্যাক্তিটির দিকে, তখনই সাথে সাথে চোখে পড়ল উনাকে মানে আমার গুণধর স্বামীকে, উনাকে দেখার সাথে সাথে ভয়ে সিটিয়ে যায় আমি উনার বুকে তাকা অবস্থায়, আমি উনার বুকে আবারও নিজের মাথা গজিয়ে শক্ত করে উনার শার্টের কলার চেপে ধরেই হু হু হু শব্দ করে কান্না করে বসি,, নিজের মনে অবস্থা এই মূহুর্তে উনাকে বুঝাতে পারবো না আমি, আর না উনি (রিদ) শুনতে চাইবেন, তাই অদ্ভুত ভাবে ফেঁসে যাওয়া বিষয়টি মনে করেই ভিষণ কান্না পাচ্ছে আমার,,,,

.

আমাকে কান্না করতে দেখে চোখ খুলে রেগে সাথে সাথে ধাক্কা মেরে পাশের সিটে ফেলে দেয় উনি, আমি তাল সামলাতে না পেরে গাড়িটি দরজায় বাড়ি খায়, আমি তেমন একটা ব্যাথা না পেলেও মাথায় আংশিক ব্যাথা পায়, মাথা ব্যাথা পাওয়ার সাথে সাথে ঝিম ধরে বসি আমি মাথা ব্যাথায়, কারণ আমার এক্সিডেন্ট এর ফলে আমি এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো চাপ নিতে পারি না মাথায় তাই হয়তো উনার দেওয়া সামান্য আঘাতেই মাথায় হাত দিয়ে ঝিম ধরে বসে পরি আমি,,

.

আমাকে এমন করে বসতে দেখে উনি রেগে ড্রাইবার চাচাকে বলে মাঝ রাস্তা গাড়ি থামিয়ে, হাতে পানির বোতল নিয়ে আমাকে টেনে বাহির করে গাড়ি থেকে পরে হাতে থাকা বোতলটির পানি আমার মাথা ওপর ডেলে দিতে লাগলো সম্পূর্ণ পানি আমার মাথার ওপর ডেলে দিয়ে প্রচন্ড জোরে খালি বোতলটি পাশে রাস্তায় ছুড়ে মারে, আর আমি উনার এমন কাজে মূহুর্তেই কেঁপে ওঠে ভিজা ভিজা চোখে তাকায় উনার দিকে, আমার শরীরে যে কালো বোকরাটি ছিল সেটি এখনো আছে তবে আমার মুখে কোনো রকম মুখুশ নেই তাই উনি আমার মাথা ঠান্ডা করার জন্য যে পানিটুকু ডেলে দেয় সেই পানি আমার সম্পূর্ণ মাথা ভিজার সাথে সাথে আমার শরীরেও পানিতে ভিজে গেছে,,, আমি ভিজা চোখ মুখ নিয়ে উনার দিকে ভয় ভয় নজর তাকিয়ে থেকে কাঁপা কাঁপা গলায় কিছু বলতে যাব তখনি উনি আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে পাশ থেকে চিৎকার করে বলে ওঠে…..

.

—” শাটআপ, জাস্ট শাট আপ,,,

.
উনাকে এমন হঠাৎ চিৎকার করে ওঠতে দেখে আমি ভয়ে চমকে উঠি, তাই নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলছি , উনি আমাকে এমন কান্না করতে দেখে রেগে তেড়ে এসে আমার দুবাহু শক্ত হাতে চেপে ধরে নিজের মুখোমুখি করে দাঁতে দাঁত পিষে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,

.

—” পাখা গজিয়েছে তোর তাই মরার শক হয়ছে, এবার কেটে দেয় তোকে তোর উড়ুন্ত পাখনার সাথে,,, আমার অবাধ্য হুশ তুই,,,

.

উনার এমন কথায় আমি মূহুর্তেই কেঁপে ওঠি, তাই নিজের মাথাটা নিচু করে চুপচাপ কান্না করতে থাকি, আমাকে চুপ থাকতে দেখে উনি আবারও রেগে গজগজ করতে করতে বলে উঠে…..

.

—” তোকে বলেছিলাম না তোর কাছে আমি ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই, তোকে আমিতেই থাকতে হবে তুই থাকতে বাধ্য, তাহলে এই কাজটা করলি কেন কে দিল তোকে সেই পারমিশনননন,,,

.
লাস্ট কথাটা চিৎকার করে বলেই আমার বাহু চেপে ধরায় অবস্থায় পিছন দিকে এক প্রকার ধাক্কা মেরে নিজের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, আমি তাল সামলাতে না পেরে দুকদম পিছিয়ে যায়,, আর নিজের হাত দিয়ে বোকরার দুপাশ চেপে ধরে মাথা নিচু করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে কাঁপা কাঁপা গলায় আস্তে করে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি,,,,,,

,

—” আপনি, আপনি দিয়েছেন সেই পারমিশন

.
আমার এমন কথায় উনি মূহুর্তেই চোখ মুখ হিচকে অবিশ্বাস গলায় উচ্চ স্বরে বলে উঠে,,,,

.
—” কিহহহ,

.
—” হুমমম (নিজেকে শক্ত করে)

.
আমার কথাটা বালার সাথে সাথে উনি আবারও আমার দিকে তেড়ে এসে আমার দুবাহু শক্ত করে চেপে ধরে নিজের মুখোমুখি করে আমার চোখে মুখে তার দৃষ্টি স্থির করে বলে উঠে,,,,

,
—” আমি তোকে পারমিশন দিয়েছি আমার থেকে দূরে যেতে হেঁ, আর কত জ্বালাবি তুই আমাকে এবার শান্তি চাই আমার, তোকে থামাতে থামতে আমি ক্রান্ত, তোকে আমি আর কতো ভাবে বুঝাবো যে তুই আমার কতটা জুড়ে আছিস, কেন বুঝতে পারছি না আমার মনের অবস্থাটা, কেন আমাকে ছেড়ে বার বার চলে যেতে চাস,,,,

.
উনার কথা পেক্ষিতে আমি উনার চোখের দিকে তাকিয়ে করুণ সুরে চোখের পানি ঝরা অবস্থায় বলে ওঠি….

.

—” আপনার জন্য আমি সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যেতে চাই, আমি আর পারছি না সবকিছু মেনে নিতে আমারও কষ্ট হয় যখন আপনারা আমাকে নিয়ে খেলেন, আর আমি চলে গেলে তো আপনার খুশি হওয়ার কথা তাই না, তাহলে কেন আমাকে আটকাচ্ছেন বার বার আমি তো আপনার জীবনের বিষাক্ত কাটা হয়ে থাকতে পারছি না তাই তো আপনাকে মুক্ত করে দিচ্ছি ,,

.

আমার কথা গুলো বলার সাথে সাথে আমার গাল চেপে ধরে টগবগে উঠা রক্ত লাল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে রাগে রি রি করতে করতে বলে উঠে….

.
—” কাহিনি শুরু করছিস আমার সাথে, আমার প্রাণটা তোর মধ্যে বসবাস আর সেই আমি তোকে আমার কাছ থেকে দূরে রাখতে চাইবো, তুই আমাকে মুক্তি দিবি, দান বীর হয়চ্ছো তুই, তোর কাছে আমি কখনো মুক্তি চেড়েছি, আর যেদিন থেকে তোকে নিয়ে ভাবতে বসেছি সেই দিন থেকে তোকে আমি আঁকলিয়ে রেখেছি কারও নজরে পরতেও দেয়নি আমি, তোকে বাধ্য করেছি আমাতে থাকতে তাহলে কেন তুই বুঝতে চাস না আমি তোকে কতটা চাই,,,
তাহলে সেখানে তুই অন্য কাউকে কিভাবে বিয়ে জন্য চাইতে পারলি হেঁ….

.

উনার এমন চাওয়া পাওয়ার কথা গুলো শুনেই মূহুর্তেই রাগটা চেপে বসে নিজের মধ্যে, একটা শান্ত মানুষ যখন রেগে যায় তখন কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা শুধু একটা সামনে মানুষই বুঝতে পারে, আর আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে আমি আমার জীবনে কখনো কারও সাথে উচু গলায় কথা বলেছি কিনা সেটাই সন্দেহ আছে আর আজ সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে চরম পযার্য়ে রাগে গিয়ে উনাকে নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করে এক ধাক্কায় নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, আমার এমন হঠাৎ ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে উনি খানিকটা পিছিয়ে যায় পরে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে রাগে কটমট করতে করতে কিছু বলতে যাবে আমি উনাকে কিছু বলতে না দিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে পাগলের মতো নিজের সর্বোচ্ছো দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠে,,,,

.

—-” কিচ্ছু চাই না আমার, না আপনাকে নাহ অন্য কাউকে, কিছুই চাই না আমার, চাই না, চাই না, চাই না, কিছুই নাহহহহ, আপনি শুনেছেন আমার কথা, চাই না আমার কাউকে, আপনারা সবাই শুধু আমাকে কষ্ট দিতে জানেন কেউ বুঝতে চান নাহ আমি কি চাই,,,

.

কথা গুলো বলেই আমি উনার সামনে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে পরি, ত্রিশ সেকেন্ড চুপ থেকে কান্না করে আবারও চোখ তুলে তাকায় উনার দিকে, উনি তখনো আমার দিকে রেগে চোখ মুখ শক্ত করে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে দাড়িয়ে আছে,, আমি উনার দিকে কিছুক্ষণ কান্না দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আবারও নিজের মাথাটা নিচু করে রাস্তায় নিজের দৃষ্টি স্থির করে কান্না করতে করতে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…….

.

—” আমি কিছুই ভুলিনি আপনার করা সবকিছু গত একটা বছরের অত্যাচার, আর আমি সেটাও ভুলিনি যেটা আপনি বিয়ের দিন করে ছিলেন সাথে বলেও ছিলেন আমাকে মনে পরে আমাদের বাড়িতে আপনার বলা সবকয়টা কথা, আমি কিন্তুু কিছুই ভুলিনি তারপরও আপনার পরিবারের সম্মান রাখতে আর আপনাকে একটা ভালো জীবন দিতে আমাকে অবুঝ অবস্থায় এখানে আসতে হয় আপনার কাছে, আমি এতো কিছু করেও তারপরও কিসের এতো রাগ সবার আমার ওপর কি করেছি আমি সবার সাথে, আপনারা কেউ অস্থির থাকলে সেটার ভুক্তভোগী হতে হয় আমাকে সেটারও জন্য দায়ী হতে হয় আমাকে সেটা কেন,,, আপনারা সবাই যে যেভাবে বলেন আমি সেই ভাবেই নাচতে থাকি উফফ পযন্ত করি না, এতেও কেন আমার ভাগে সবসময় কষ্টটা বরাদ্দ থাকে বলতে পারবেন আপনি,,, আসলে আপনারা সবাই স্বার্থপর নিজের জন্য আমাকে ব্যবহার করতে চান, আমি কি চাই সেটা জানার প্রয়োজন বোধ করেন নাহহহ,,,, তাই আমার কাউকে চাই না কিছুই লাগবে না আমার সব-কয়টা দূরে থাকুন আমার থেকে, আমি একা থাকতে চাই আমাকে আমার মতো থাকতে দিন প্লিজ প্লিজ প্লিজ…

.

কথা গুলো বলেই হাঁটু গেড়া অবস্থায় রাস্তায় বসে উনার সামনে কান্না করতে থাকি উনি আমার সব-কয়টা কথা শুনে রেগে দ্রুত গতিতে আমার দিকে তেড়ে এসে আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে একহাত দিয়ে আমার চুলের মুঠো ধরে অন্য হাতে আমার গলা শক্ত চেপে ধরে…….

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here