দেওয়ান(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৮৩

0
883

#দেওয়ান(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৮৩

.
🍂
গাল ফুলিয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছি আমি, আর আমার এমন বসার কারণটা হলো দাদী আর আমার স্বামী,, আজ ফিহার বিয়ে ঠিক হয়েছে আরিফ ভাইয়ার সাথে, আব্বু আম্মু আপু আর দুলাভাই আর তাদের ছোট পাঁচ বছরের বেবিটাও জিসান এসেছে খান বাড়িতে সকালে,, আর সন্ধ্যা দিকেই সবাই মিলে ফিহা ও আরিফ ভাইয়া বিয়ে ডেট ফিক্সড করে এক সাপ্তাহ পরে ওদের বিয়ে,, বিয়েটা মূলত আমাদের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে হবে এটা আরিফ ভাইয়া শর্ত,, ভাইয়া চাই ওর অবস্থা থেকে ওকে ফিহা মেনে নেক আর ফিহাও দেরি না করে রাজি হয়ে যায়,, তাই আপাতত ফিহা এখানেই থাকবে৷ আর আমরা ঐখান থেকে আরিফ ভাইয়াকে নিয়ে বরযাত্র নিয়ে আসবো খান বাড়িতে,,,

.

সবকিছুই ঠিক ঠাক আছে, আপু ও দুলাভাই ও এতে সম্মতি জানা, বিয়েটা যেহেতু এক সাপ্তাহ পরে তাই আমার পরিবারের সবাই আজ রাতটা থেকে সকালেই চলে যাবে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ার উদ্দেশ্য এখান অবধি সবি ঠিক ছিল কিন্তু বিপত্তি ঘটে আমাকে নিয়ে আমি কোন পক্ষের সদস্য হবো,, কারণ দুটোই আমার একদিকে আমার পরিবার তো অন্য দিকে শশুর বাড়ির কোন ফেলে কোনটাতে থাকবো,, এত শত চিন্তা অবসান ঘটিয়ে আম্মু আব্বু বলে উঠে তাদের সাথে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া চলে যেতে ভাইয়ার বিয়েতে এতে করে আরিফ ভাইয়া সম্মতি জানায় পক্ষান্তরেই আম্মু আব্বু সাথে সাথে,, আমিও মনে মনে এটাই ঠিক করে রেখেছিলাম তাই ওরা বলার সাথে সাথে আমিও খুশিতে লাফিয়ে উঠে সম্মতি দেয় যে আমি তাদের সাথে আমার বাড়িতে চলে যাবো আরিফ ভাইয়ার বিয়ে জন্য কিন্তু আমার এমন সম্মতি জানানো পিছনে ঘুর আপত্তি জায় খাঁন বাড়ির সদস্যরা সবাই যে আমাকে যেতে দিবে না কোনো কালেই,,, আমি তাদের এমন আপত্তি মূলক কথায় গভীর ভাবে শোকাহত,, তাই সেই শোকাহত সাথে সাথে মনটাও খারাপ হয়ে যায়, আমি সেই মন খারাপ ভাবটা ফেঁসে বজায় রেখে আস্তে করে ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে পরি দাদীর পাশে যেতে পারবো না বলে,,,

.

আমাকে মন খারাপ করতে দেখে আপু ও দুলাভাইয়া, দাদা, ফুপা-ফুপি, ফিহা আর নিহা আপুর ও ফয়সাল ভাইয়াকে বুঝাতে সক্ষম হলেও দাদীকে বুঝাতে অক্ষম হয় আমার পরিবারের সবাই,, দাদী এক কথা আমার সোনামা আমাকে ছাড়া কোথাও যাবে না ব্যাস,, দাদীর এমন জেদ্দি টাইপের কথা অসহায় হয়ে পরে আমার পরিবারের সবাই পরে আরিফ ভাইয়া আমাকে মন খারাপ করতে দেখে সাথে সাথে আমার গুণধর স্বামীকে ফোন দেয় যে আমাকে ওদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াতে আরিফ ভাইয়া বিয়ে জন্য,,,, কথা গুলো বলতে আরিফ ভাইয়া খানিকটা সময় লাগেছে কিন্তু আমার গুণধর স্বামী উত্তর আসতে উত্তরটা আসতে এক সেকেন্ড দেরি হয়নি,, উনার কাটকাট গলায় উত্তরে বলে দেয় যে আমি কোথাও যাবো না খান বাড়ি থেকে,, বিয়ে করতে হলে আরিফ ভাইয়া ঢাকা থেকে বিয়ে করুক নয়তো আমি কোথাও যেতে পারবো না,, আমার নাকি খান বাড়ির থেকেই আরিফ ভাইয়া বিয়ে এঁটেন্ড করবো,,,,

.

উনার এমন শক্ত গলার কথা শুনে মূহুর্তে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় আরিফ ভাইয়া আমার দিকে আমি ভাইয়ার থাকানো মানে বুঝতে পেরে চুপ করে যায়, কারণ আমিও জানি জিদ করলেও আমাকে কোথাও যেতে দিবে না আমার গুণধর স্বামী এর আগে যখন গিয়ে ছিলাম তখনই অনেক কাহিনি হয়েছিল আমাকে নিয়ে এখন আর কোনো কিছু করতে চাই না তাই আপাতত চুপ থাকায় আমার জন্য বেটার অপশন…….

.

পুরো কথা গুলো ড্রয়িংরুমে গাল ফুলিয়ে বসে ভেবে নেয় এক মনে,, এখন রাত নয়টা বাজে উনি, দাদাজান বা আয়ন ভাইয়া কেউ এখনো বাসায় আসেনি অফিস থেকে, দাদাজান ফিহার বিয়ে ডেট ফিক্সড করেই আবারও চলে যায় অফিসের কাজে,, আর উনি (রিদ) সকালে অফিসে গিয়েছিল এখনো আসেনি আর বাকি রইলো আয়ন ভাইয়া তো আমি আয়ন ভাইয়াকে কালকে লাস্ট ভার্সিটিতেই দেখেছিলাম পরে আজ অবধি আর দেখা হয়নি আয়ন ভাইয়াকে কোথায় আছে তাও জানি না ফিহাকে জিজ্ঞেসা করেছিলাম আয়ন ভাইয়ার কথা উত্তরের ফিহা বললো ওহ নাকি জানে না আয়ন ভাইয়া কোথায় আছে,, পরে এই বিষয় নিয়ে আমিও আপাতত কোনো কিছু জানি না,,,,

.

কথা গুলো চিন্তা করে উঠে দাড়ায় আমি,, সারা বাড়ি ঘুরঘুর করে এদিক থেকে ওদিক এটা মূলত আমার একটা রোজগা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাবে ঘুরঘুর করাটা,, ঘুরতে ঘুরতে হুট করেই আমার ফোনে টং করে মেসেজ শব্দ কনে আসতেই ঠোঁট উলটিয়ে ফোনে দিকে তাকায় পরে মেজেছ অপশনে ঢুকতেই কান্না চলে আসে আমার উনি আমার সাথে সবসময় এমন করে আমার কষ্টটা কখনোই বুঝতে পারে না টলমলে চোখে নিয়ে সামনের দিকে ঘুরতেই আবারও চোখে পড়ল আমার বড় আপুর বেবি জিসানকে,,,

.

জিসান আমাকে মামুনি বলেই সম্মোধন করে থাকে,, পিচ্চিটা সাথে আমার অনেক ভাব রয়েছে সেই আগের থেকে, আমার বিয়ে হওয়ার আগের থেকেই জিসান অনেকটা আমার সাথেই থাকতো, পরে যখন হুট করে আমার বিয়েটা হয়ে যায় তারপর থেকে তেমন একটা একসাথে থাকার সুযোগ পাইনি আমি, কিন্তু আজ এতটা দিন বাদে জিসানকে পেয়ে বেশ আনন্দে কাটছে দিনটা আমার তবে আমার এত শত আনন্দে তালা মারে আমার গুণধর স্বামী এখন,,

.

জিসান আমার টলমলে চোখে দেখে আদু আদু হাতে আমাকে ডেকে নিজের সামনে বসায়, আমি জিসানের ইশারা পেয়ে ওর সামনে বসে পরি আস্তে করে আমাকে ওর সামনে বসিয়ে আদু আদু হাতে আমার চোখে জল মুছে দিয়ে অদুরের সুহিত বলে উঠে…….

.

—” মামুনি তুমি কান্না করছো কেন……

.

জিসানে এমন কথায় আমিও নাক টেনে টেনে বলে ওঠি…….

.

—” তোর পঁচা আংকেলটা আমাকে শুধু কষ্ট দেয়….

.

—” কেনো…. (কপাল কুচকে)

.

—” জানি না তো….. (ঠোঁট উলটিয়ে)

.

আমার এমন কথায় জিসান আদুরে সহিত দু’হাতে আমার চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো……

.

—” কাঁহদে নাহ আমার মামুনিটা,, আংকেল আসলে আমি বকা দিয়ে দিবো কেমন…….

.

জিসানের কথায় আমি কান্না অফ করে সুমিত জানিয়ে বলে ওঠি…….

.

—” আচ্ছা ভালো করে বকে দিবে কিন্তু…..

.
আমার এমন কথায় সাথে সাথে পিছনে থেকে কেউ একজন বলে উঠে……….

.

—” কে কাকে বকে দিবে শুনি একটু…..

.

পিছনে থেকে পরিচিত কারও কন্ঠ কানে আসতেই চমকে উঠে আমি আর জিসান পিছন ঘুরে তাকায় তখনই চোখে পড়ল আমার বিশেষ গুণধর স্বামীকে নিজের কৌট হাতে নেওয়া অবস্থায়,, উনাকে (রিদ) এমত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারি উনি মাত্র অফিস থেকে ফিরেছে উনাকে দেখার সাথে সাথে আমার ফোনের মেজেছ গুলোর কথা মনে পরে যায় তাই উনাকে এক পলক দেখে কোথায় কথা না বলে চুপচাপ উঠে দাঁড়ায় আমি, আমাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে উনিও হাসি মুখে এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে,,, আমি উনাকে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে আমিও কারও কে কিছু না বলে চুপচাপ সামনে দিকে হাটতে থাকি উনার সাথে কথা বলতে চাই না বলে,,,

.

আমাকে উনার (রিদ) সাথে কথা না বলে চুপচাপ চলে যেতে দেখে উনি পিছন থেকে আমাকে উচ্চ স্বরে বলে উঠে……..

.

—” ম্যাডাম কি আমার সাথে রাগ করেছে নাকি,, তার ভাইয়ের বিয়েতে যেতে দিচ্ছি না বলে হুমমম,,,,,

.

উনার এমন কথায় ও আমি কোনো রকম রিয়েক্ট করিনি কারণ আমি রাগটা এটা নিয়ে না আমার রাগটা অন্য কিছু নিয়ে যা আমার ফোনের মেসেজ অপশনে আছে সেটা নিয়ে তাই উনার কোনো কথা উত্তর না দিয়ে আগের মতোই চুপচাপ হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছি,, আমাকে কোনো রকম রিয়েক্ট করতে না দেখে উনি (রিদ) আবারও বিনিত সুরে বলে উঠে……..

.

—” ম্যাডাম বুঝতে চাচ্ছে না কেন, ম্যাডামকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না একটা মূহুর্ত,,, সেকি আমার কষ্টটা বুঝবে……

.

উনার এমন কথায় আমি থমকে গেলাম মূহুর্তের পরে আস্তে করে উনার দিকে ঘুরে বলে উঠি……

.

—” আমি কেন বুঝবো আপনার কষ্টটা,, আপনার কত সুন্দর সুন্দর ম্যাডাম আছে অফিসে তাদের কাছে যান আমার কাছে কি হুহহহ…..

.

আমার এমন কথায় মানে বুঝতে না পেরে উনি কপাল কুচকে বলে উঠে…….

.

—” মানে……

.

উনার কপাল কুচকে তাকাতে দেখে আমার আরও রাগ উঠে যায়, একে তো এসব কাজ করে বেড়াবে দ্বিতীয়ত বুঝে ও না বুঝার ভান করবে আমার সামনে,, মনে করে আমি কিছুই বুঝিনা হুহহহ,,, কথা গুলো ভেবেই আমি উনার দিকে এক পলক রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে হনহন করে চলে যায় সেখান থেকে আর উনি আমার পিছনে থেকে কপাল কুচকে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে,,, হয়তো হঠাৎ করে আমি এমন করেছি কেন সেটাই ভাবছে কপাল কুচকে……

.

🍁
ডাইনিং টেবিলের বসে আছি আমরা সবাই রাতে খাবারটা সবাই একসাথেই বসে বসে খাচ্ছি,, সকাল হলেই আমার পরিবারের সবাই চলে যাবে শুধু আমি ছাড়া তাই আপাতত আমরা সবাই আজ একসাথেই বসে রাতে খাবার খাচ্ছি, এখানে সবাই উপস্থিত আছে শুধু আয়ন ভাইয়া ছাড়া উনি এখনো বাসায় ফিরেনি,, আর আমার গুণধর স্বামী আমার সামনেই বসে বসে খাচ্ছে আর বারবার আমার দিকে কপাল কুচকে তাকাচ্ছে হয়তো কিছু বুঝতে পারছে না তাই,, আমার একপাশে দাদীর অন্য পাশে আম্মু বসে আছি আর সামনে উনি, উনার বারবার এমন থাকানো মানে বুঝতে পেরে ও আমিও অভিমানে বশে একবারও তাকানি উনার দিকে থাকুক তাকিয়ে আমার কি,, আমি মনোযোগ সহকারে নিচের তাকিয়ে তাকিয়ে খাচ্ছিলাম আমার এমন খাওয়ার মধ্যে দিয়েই হঠাৎ করে উনি দাদীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…….

.

—” দাদী আমি বিয়ে করছি কিছু দিনের মধ্যেই……

.

উনার এমন৷ কথায় সাথে সাথে আমার হাত থেকে চামচটা পরে যায় নিচে মুখে খাবার নিয়ে চমকে উঠে উনার দিকে তাকিয়ে থাকি, শুধু যে আমি একা তাকিয়ে আছি তেমনটা কিন্তু মোটেও নয়, খাবার টেবিলের উপস্থিত সবাই আমার পরিবারের ও উনার (রিদ) পরিবারের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে উনার দিকে,, প্রত্যেকে মনে হয় উনার এমন কথায় হাজার বলষ্টিসের শক্ট খেয়েছে,, থমথমে পরিবেশ সবাই উনার দিকে অবিশ্বাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে উনি বলতে চাই সেটা শুনার জন্য,, আর দাদী উনার এমন কথায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…..

.

—” মানে কি বলতে চাইছিস তুই…….

.
—” কেন তুমি শুনতে পাওনি আমি বিয়ে করবো কিছু দিনের মধ্যে…..

.
উনার এমন কথায় দাদাজান ক্ষেপ্ত গলায় বললো……

.

—” তোর কাছে কি সবকিছু ছেলে খেলা নাকি রিদ…..

.

—” ছেলে খেলা নয় বিদায় তো বিয়েটা করতে চাইছি আমি…….

.

উনার এমন কথায় আমি আর নিজেরকে ধরে রাখতে পারিনি দুহাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভ্যা ভ্যা করে কান্না জোড়ে বসি,, আমাকে কান্না করতে দেখে মূহুর্তে সবাই আমার দিকে তাকায় অসহাস দৃষ্টিতে,, আর সাথে থেকে উনি কপাল কুচকে বলে উঠে…….

.

—” আরে কিরে বাবা তোমার কি সমস্যা আবার, তুমি কেন কান্না করছো…….

.

—” আপনি বিয়ে করবেন তো আমি কান্না করবো নাহ…… (কান্না করতে করতে)

.

—” আরেহ কেন কান্না করবে সেটাই তো প্রশ্ন করছি…..

.

—” আপনি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবেন আর আমি কান্না ও করতে পারবো না এ্যাঁহহহহ……

.

আমার এমন কান্নার উনি খানিকটা বিরক্তি নিয়ে চাপা সুরে বললো…….

.

—” আমি অন্য কাউকে বিয়ে করছি এটা তোমাকে কে বললো…..

.
উনার এমন কথায় পাশ থেকে দাদী কৌতুহলী হয়ে বলে উঠে……

.

—” মানে….

.
আর আমি কান্না জড়িত কন্ঠে বলে উঠি…….

.

—” কেন আপনি….

.
উনি দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বললো…..

.

—” তাই, আমি বলেছি তোমাকে যে আমি অন্য কাউকে বিয়ে করছি, আমি বলেছি আমি কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে করবো কাকে করবো সেটা বলিনি,,, আর দাদী আমি তোমার সোনামাকেই দ্বিতীয় বার বিয়েটা করবো…..

.

উনার এমন কথায় মূহুর্তেই কান্না অফ হয়ে যায় আমার আমি আবাক করা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে ওঠি….

.

—” সত্যিই…

.
—” হ্যাঁ…. (স্বাভাবিক কন্ঠে)

.
নিজের দুহাতে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলি…..

.

—” তাহলে ঠিক আছে…..

.
আমাদের এমন কথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে উপস্থিত সবাই,, এতক্ষণ সবাই একটা আতংককে মধ্যে ছিল উনার এমন কথায় যাহ এই মূহুর্তে আর নেই কারও ফেঁসে,, আমি ঠিক বলেই আমার ফোনের মেসেজ এর কথাটা মনে পরতেই আবারও সাথে সাথে বলে ওঠি…..

.

—” না না ঠিক নে কিছুই ঠিক নেই,,, দাদী আমি তোমার নাতিকে কখনোই বিয়ে করবো না দরকার হলে সারাজীবন আমি কুমারী থেকে যাবো তবুও বিয়ে করবো না…..

.
আমার এমন কথায় সাথে সাথে উনি রাগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বললো……

.

—” অলরেডি তুমি বিবাহিত কুমারী মেয়ে আর হতে পারবে না……

.

—” অপশন নাই কুমারী হওয়ার (কপাল কুচকে)

.

—” নাহ সেই সুযোগটা আপাতত তোমার জন্য নেই…….

.

.

(তপ্ত ভালোবাসা গল্পটি দেওয়ানা গল্পটি শেষ করে দিব ধন্যবাদ সবাইকে)
.

.

.

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here