#উধয়রনী
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-৫৬||
১১৫।
আজ আহির এ আর টি গ্যালারিতে বিক্রয়ের দিন। মোটামুটি ভীড় জমেছে গ্যালারির সামনে। আহি এসেছে আজ ভিন্ন সাজে। কালো শাড়ি, কালো ঝুমকো, সাজসজ্জা বিহীন, আলগা খোঁপা বেঁধে। আহির দশটা ছবি বিক্রি হচ্ছে, আর বাকি বারোটি অন্যান্য চিত্রকরদের। আহি ক্রেতাদের সাথে তার ছবির বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলছে, তখনই তার দৃষ্টি আটকালো গ্যালারির প্রবেশমুখে। আহি তার সামনে দাঁড়ানো ক্রেতার দিকে তাকিয়ে বিনয়ী হাসি হেসে একটু সময় চেয়ে নিলো। এরপর প্রবেশমুখের কাছে যেতেই কৌতুহলি দৃষ্টিতে আহিকে খুঁজতে থাকা ওয়াসিফ দৌঁড়ে এলো তার দিকে। আহি ওয়াসিফের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলল,
“আন্টি, আজ কি এখানে ইদ হচ্ছে?”
আহি মুচকি হেসে বলল,
“তোমার কেন মনে হচ্ছে ইদ হচ্ছে?”
“মিস বলেছে, ইদ মানে আনন্দ। ইদ মানে খুশি। ইদ মানে নতুন জামা-জুতো। ইদের সময় সবাই অনে-ক অনে-ক নতুন জিনিস কিনতে আসে। বাইরে চিকচিক লাইট জ্বলে।”
আহি হাসলো। ওয়াসিফের গাল টেনে দিয়ে বলল,
“হ্যাঁ বাইরে তো চিকচিক লাইট জ্বলছে। কিন্তু আজ তো ইদ না। আর দেখো এখানে সবাই ছবি কিনতে এসেছে। জামা-জুতো এখানে পাওয়া যায় না।”
“আমিও একটা ছবি কিনবো?”
“আচ্ছা?”
আহি উঠে দাঁড়িয়ে ওয়াসিফের হাত ধরে তাকে গ্যালারির দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা কয়েকটা ছবির সামনে এনে দাঁড় করালো আর বলল,
“এখান থেকে কোনটা কিনবে?”
ওয়াসিফ আহির হাত ছেড়ে দিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইলো। গালে হাত দিয়ে ভাবুক হয়ে একবার বামে, আরেকবার ডানে কয়েক বার হেঁটে গম্ভীরমুখে বলল,
“আমার তো ছবিগুলো ভালো লাগছে না।”
আহি ওয়াসিফের সামনে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে বলল,
“তাহলে তুমি বলো, কেমন ছবি চাও?”
“আমার ডোরেমন ভালো লাগে। আমাকে ডোরেমনের ছবি এঁকে দেবে?”
আহি গালে হাত দিয়ে বলল,
“ও! বাবুর ডোরেমনের ছবি চায়?”
ওয়াসিফ মাথা নেড়ে বলল, “হুঁ, হুঁ।”
“আচ্ছা, আমি তোমার জন্য কাল ডোরেমনের ছবি এঁকে নিয়ে আসবো।”
ওয়াসিফ তার কনিষ্ঠ আঙ্গুল এগিয়ে দিয়ে বলল,
“পিংকি প্রমিজ।”
আহি মুখ চেপে হেসে ওয়াসিফের দিকে তার কনিষ্ঠ আঙ্গুল এগিয়ে দিয়ে বলল,
“পিংকি পিংকি প্রমিজ।”
ওয়াসিফের দৃষ্টি আটকালো কাচের দেয়ালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আফিফের দিকে। ওয়াসিফ সেদিকে তাকিয়ে আহিকে দেখিয়ে দিয়ে বলল,
“আমার মামা।”
আহি সেদিকে তাকাতেই তার এসিস্ট্যান্ট রুবি তার সামনে এসে বলল,
“ম্যাম, কাস্টমাররা আপনার অপেক্ষা করছেন।”
আহি উঠে দাঁড়ানোর আগেই ওয়াসিফ দৌঁড়ে গ্যালারি থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে আহিকে বলল,
“বাই, আন্টি।”
আহিও হাতের ইশারায় বিদায় দিলো ওয়াসিফকে। এরপর ক্রেতাদের কাছে চলে গেলো। এদিকে ওয়াসিফ বেরিয়ে আসতেই দেখলো আফিফ বুকে হাত গুঁজে মোটর সাইকেলের উপর বসে আছে। ওয়াসিফ তার কাঁধের ব্যাগ দোলাতে দোলাতে আফিফের সামনে এসে বুকে হাত গুঁজে দাঁড়ালো। আফিফ এতো টুকুন বাচ্চা ছেলের গম্ভীরমুখ দেখে বলল,
“আদ্য, মামা, কি হয়েছে?”
ওয়াসিফ মাথা নেড়ে অভিমানী মুখে বলল,
“মামা, তোমরা আমাকে ডোরেমনের খেলনা কিনে দাও না। আর দেখো, ওই খানের হোয়াইট হোয়াইট আন্টিটা আমাকে কি বলেছে!”
আফিফ ওয়াসিফের সামনে ঝুঁকে বলল,
“কি বলেছে?”
ওয়াসিফ এক গাল হেসে বলল,
“আমাকে ডোরেমনের ছবি এঁকে দেবে।”
আফিফ তার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে বলল,
“এখন চলো বাসায়।”
“ভেতরে যাবে না? ভেতরে অনেক সুন্দর। সব হোয়াইট হোয়াইট।”
আফিফ হতাশ দৃষ্টিতে এ আর গ্যালারির প্রবেশপথের দিকে তাকিয়ে বলল,
“না, অন্যদিন যাবো।”
আফিফ ওয়াসিফকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে চাবি ঘোরালো। হেলমেট মাথায় দিলো। এরপর একবার পেছন ফিরে তাকালো। দেখলো আহি বেরিয়ে আসছে ভেতর থেকে। পরণে কালো শাড়ি। মৌমাছির মতো লাগছে দেখতে। আফিফ মৃদু হাসলো। সামনে তাকিয়ে চালু করলো মোটর সাইকেল। চলে এলো সেই জায়গা থেকে, আর সম্মুখ দর্পণ পেছনে ফেলে আসছে আহির অস্পষ্ট প্রতিবিম্ব।
(***)
সারাদিন ধকলের পর গা এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম আহির চোখে এসে ভীড় করলো৷ ঘুম আসবে আসবে এমন মুহূর্তেই দরজায় কড়া নাড়লো সিস্টার মুরলি। আহি এলোমেলো পোশাকে দরজা খুলে দিতেই মুরলি বলল,
“ম্যাম আপনার সাথে দেখা করতে মিস্টার এন্ড মিসেস লাবীব এসেছেন। তাদের সাথে একটা মেয়ে শিশু আছে। আমরা কি তাদের ভেতরে আসার অনুমতি দেবো?”
“অবশ্যই। আমার ফ্রেন্ড। ওয়েট আমি ড্রেস চেঞ্জ করে আসছি। তুমি সুধী আর কথাকে বলো ওদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করতে।”
“ওকে ম্যাম।”
এদিকে পুষ্প আর লাবীব বাড়ির ভেতরে ঢুকেই বাড়ির খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। প্রাসাদের মতো দেখতে আহির বাংলো বাড়ি। স্বচ্ছ মেঝেতে আলোকচ্ছটা এসে পড়ছে। হলঘরটি দেখতে বেশ খোলামেলা। মাঝখান দিয়ে বড় সিঁড়ি। সিঁড়ির পেছনে দেয়ালের সাথে লাগানো কাচের আলমারি। সেখানে স্তরে স্তরে বই সাজানো। মাথার উপর বিভিন্ন রঙের ঝাড়বাতি। একপাশে বসার জন্য সোফাসেট রাখা। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে সোফাসেট ব্যবহার করা হয় না। চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সোফার পাশে কাঠের আলমারি। আহির তৈরি ছোট ছোট ভাস্কর্য ওখানে স্থান পেয়েছে। অন্যপাশে হয়তো রান্নাঘর। পাশে আরেকটা দরজা। ওখানে হয়তো ডায়নিং। উপরের তলায় দু’টো রুম। আহি আর সালমা ফাওজিয়ার জন্য। তৃতীয় তলায় আহি ছবি আঁকার জন্য বড় একটা রুম করেছে। তার পাশের রুমে লাইব্রেরি করেছে মায়ের জন্য। আর চার তলায় ছাদ।
সিস্টার মুরলি সোফার উপর থেকে চাদর সরিয়ে দিয়েই বিনয়ের সুরে বলল,
“ম্যাম, স্যার আমি দুঃখিত। আহি ম্যাম খুব একটা এখানে আসেন না। তাই সবকিছুই এভাবে রাখা।”
পুষ্প হালকা হেসে বলল,
“সমস্যা নেই, তুমি যাও।”
পুষ্প এবার পিয়ালীকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে লাবীবকে বলল,
“আমাদের বান্ধবীর যা বড়লোকি ব্যাপার-স্যাপার। আমরা দু’জন চাকরি করেও জীবনে এতোকিছু করতে পারবো না।”
লাবীব ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“সবটাই ওর সৌভাগ্য। পৈতৃক সম্পদ থাকলে পরের দুই প্রজন্ম বসে খাওয়া যায়। আমাদের খেটেখুটে পিয়ালীকে বিয়ে দিতে হবে।”
“আর যাই বলো, মেয়েটার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আনতেও দশবার ভাবতে হয়। সবগুলোই ওর যোগ্যতার নিচে। এখন আমাদের সাথে কি কোনো শিল্পপতির পরিচয় আছে, যে ওর জন্য ওমন বাড়ির সম্বন্ধ আনবো।”
“আন্টি আমাদের উপর সব দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছে।”
পুষ্প হতাশ হয়ে তার ব্যাগ থেকে একটা বায়োডাটা বের করলো। ছেলের নাম আরবান খান। যথেষ্ট সুদর্শন। নামকরা ইঞ্জিনিয়ার। ঢাকায় গাড়ি-বাড়ি আছে। আহির চেয়ে কম হলেও অন্তত আহির ভালো থাকার মতোই অবস্থা। পুষ্পের ইচ্ছে ছিলো না এই সম্বন্ধে। তবুও সে সালমা ফাওজিয়ার কথায় আহির সাথে দেখা করতে এসেছে। সালমা ফাওজিয়া মেয়েকে সরাসরি বলতে পারছেন না। তাই পুষ্পকে বলেছেন। পুষ্প আহিকে বাসায় আসতে বলেছিল, কিন্তু আহি সেখানে যাওয়ার সময় পাচ্ছিলো না, তাই পুষ্প নিজেই লাবীবকে নিয়ে এসেছে। পুষ্প মন থেকে চায়, আহি সুখী হোক। আরবান ছেলেটা দেখতে ভালোই। সালমা ফাওজিয়া খোঁজ নিয়েছেন। খারাপ কিছু পান নি। কিন্তু পুষ্পের মাথায় ঘুরছে তার ভাই উজ্জ্বলের চেহারা। সে জানে উজ্জ্বল আহিকে পছন্দ করে। যদিও উজ্জ্বলের সাথে আহির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে নি। কথাবার্তাও তেমন হয় না। আর এমন কিছু না যে আহিকে না পেলে উজ্জ্বল বিয়েই করবে না। তবে সে আহিকে পছন্দ করে। আর তার পছন্দের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আহি সিঁড়ি বেয়ে নেমে পিয়ালীকে কোলে নিয়ে বসে পড়লো। ইচ্ছেমতো আদর করলো পিয়ালীকে। পুষ্প বলল,
“আমাদের তো দেখছিসই না।”
“চুপ কর, আগে আমি আমার মা’টাকে আদর করি। আমার টুনটুনি বাবু। উম্মাহ।”
লাবীব বলল,
“টুনটুনির খালাম্মা ওরফে ফুফু একবার দিকেও নজর দেন।”
“বল না। তোরা বলতে পারতি। আমি সব ক্লিন করে রাখতাম।”
পুষ্প আশেপাশে তাকিয়ে বলল,
“সবটাই তো ক্লিন লাগছে।”
“আচ্ছা এসব বাদ দে। কি অবস্থা বল?”
“ভালোই। তোর কি অবস্থা? মাসে একবার এসে চলে যাস, দেখাও করে যাস না। আসিস সেটাও বলিস না।”
“প্রচুর কাজ। আর তোকে বলি সবসময়। মিথ্যে বলিস না তো। আর বাসায় যাই না, তুই থাকিস না তাই। তোরা দু’জন অফিসে থাকিস। আমি কোথায় পাবো তোদের?”
লাবীব বলল,
“পিয়ালীকে দেখে যেতে পারিস। মায়ের সাথেই থাকে।”
“আচ্ছা, বাদ দে। অভিযোগ রাখ এখন।”
সুধী নাস্তার ট্রে টি-টেবিলের উপর রেখে চলে গেলো। পুষ্প তা দেখে বলল,
“তুই ভালোই মেইড পেয়েছিস। আমি তো টর্চ দিয়ে খুঁজেও পাই না। আর ছোট বুয়া যাদের রাখি, ওদের ফাইফরমাশ তো হাজার খানেক। আসলে যাওয়ার তাড়া। ফাঁকিবাজি সব।”
আহি হাসলো। পুষ্প বলল,
“এদের পরিচিত কেউ থাকলে একটা মেয়ে খুঁজে দিতে বল।”
“এরা এখানের না। একটা আশ্রম থেকে এনেছি। এতিম মেয়ে। ওদের থাকার জায়গা নেই। ওরা এখানে নিজেদের বাসার মতো থাকে। ওদের ওভাবে বলতে পারবো না। তুই চাইলে আমি চিটাগং থেকে একটা এনে দিতে পারবো। মেয়েটাকে আরবি শেখাতে হবে। ওর মা আমার কাছে এসেছিল। এখন আমি তো বাসায় খুব একটা থাকি না। আলাদা আরবি শেখানোর হুজুর বাসায় আসাটা একটু সমস্যা। মুনিয়া খালাও চলে গেছেন চুনির কাছে।”
“তোর বাসায় কাজ করে কে?”
“বুয়া আসে একটা। আমি বাসায় থাকলে ফোন দেই উনাকে।”
লাবীব বলল,
“আচ্ছা, আরবি শেখাবো না হয়। দেখিস তো। অফিস থেকে ফিরে পুষ্পের সব কাজ করতে হয়। মাও অসুস্থ। সব সামলাতে পারছেন না। সামনে লিমনের জন্যও বউ আনার চিন্তাভাবনা করছে।”
“ভালো।”
পুষ্প ভালোই সুযোগ পেলো। বলেই ফেললো,
“লিমনও বিয়ে করে ফেলবে। আর তুই? টুনটুনিকে এতো আদর করিস। নিজের একটা টুনটুনি থাকাটা কতো ভালো না?”
আহি মলিন হাসলো। প্রসঙ্গ পালটে বলল,
“আচ্ছা, লিনাশা আসবে নেক্সট ফ্রাইডে। নায়ীব ভাইয়ার কাজিনের বিয়ে না-কি! মেয়েটাকে কতো বছর দেখি না। দু’জনই জার্মান সেটেল্ড হয়ে গেছে।”
“বিয়ের পর সবাই এমন কাজে-সংসারে ব্যস্ত হয়ে যায়।”
পুষ্প ভনিতা না করে বায়োডাটা এগিয়ে দিয়ে বলল,
“আন্টি বলেছে, এবার তোকে রাজি করাতে।”
আহি বায়োডাটা একনজর দেখে বলল,
“আরবান খান! শোন, আমি ঢাকায় বিয়ে করবো না।”
লাবীব বিরক্ত হয়ে বলল,
“বিয়েই করিস না তুই। এটা খুব বাজে সিদ্ধান্ত, আহি। তোর বাবা, ভাই, দাদা এমনকি দাদার সম্পর্কে কোনো আত্মীয় নেই। আন্টির উপর অনেক বড় দায়িত্ব তোকে বিয়ে দেওয়া। আমি তোর ভাইয়ের মতো, আহি। বোনকে বিয়ে দেওয়া অনেক বড় দায়িত্ব। আন্টির উপর মানসিক চাপ বাড়াস না। উনি তোর বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন।”
আহি বায়োডাটাটা একপাশে রেখে বলল,
“আচ্ছা, চিন্তা করিস না। আমি দেখবো বায়োডাটাটা। এবার একটু অন্য বিষয়ে কথা বলি।”
পুষ্প আর আহি বেশ গল্প করলো। হঠাৎ পুষ্প বলে উঠলো,
“আচ্ছা, পাঁচ বছর হয়ে যাচ্ছে পদ্মের কোনো খোঁজ নেই। জানিস কিছু?”
“না।”
“ওর নম্বর বন্ধ। আচ্ছা, ভাইয়ার নম্বর আছে তোর কাছে?”
আহি চমকে উঠলো। আফিফের নম্বর মুখস্থ আহির। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সেই নম্বরে ডায়াল করার সাহস হয় নি তার। পদ্মের সাথেও যোগাযোগ করে নি। কি দরকার খোঁজ নিয়ে? ভালোই আছে হয়তো আফিফ তার পদ্মফুলের সাথে। আহি ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“আমার কাছে কারো নম্বর নেই।”
পুষ্প বলল,
“আচ্ছা, মেয়েটার জন্য চিন্তা হয়। না জানি কেমন আছে।”
“ভালোই থাকবে। যার জীবনে আফিফের মতো মানুষ আছে, সে কি খারাপ থাকতে পারে?”
চলবে-
(অনেক কষ্ট করে আজকের পর্ব লিখছি। আঙ্গুলের চামড়া ছিঁড়ে গেছে। টাইপিং করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কাটা জায়গায় মোবাইলের ঘষা লেগে আরো চামড়া ছিঁড়ছে। আজকে যেই পর্বটা দিবো ভাবছি, পারি নাই। ওটা লিখতে গেলে পর্ব আরো বড় করতে হবে। ডোরেমনের পর্বটা। আদ্যের সাথে একটা স্পেশাল পর্ব হবে আহির। এরপর…. আজকে গল্প রিচ্যাক করি নাই। পড়ার সময় মেজর ভুল দেখলে অবশ্যই বলবেন।)