প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [১০] প্রভা আফরিন

0
503

প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [১০]
প্রভা আফরিন

যাত্রাপথের সম্পূর্ণ সময়টাতে যাবীনের কানে হেডফোন লাগানো ছিল। গান মোটেও বাজছিল না। তবে সে ভাবখানা এমনই করছিল যে নিবিড় মনে তেমন কিছুই উপভোগ করছে। মনে সন্দেহ জেগেছিল, যদি তার গান শোনার মাঝে দুই ভাই তাকে নিয়ে কিছু বলাবলি করে! যদি শুনতে না পায়! তাই একটু চালাকি করতে হলো। এতে যেমন সে খুবই স্বতঃস্ফূর্ত আছে সেটা বোঝানো গেল, আবার একইসাথে সম্মুখের কালো গগলস পরা ব্যক্তিটাকেও উপেক্ষা করা গেল। তবুও মনের মাঝে খুঁতখুঁতে ভাব এড়ানো যায় না। ফ্রন্ট মিররে নিশান্তের কালো গ্লাসে আঁটা চোখদুটি দেখা যাচ্ছিল না। বোঝা যাচ্ছিল না চোখের মণি কোথায় নিবদ্ধ। পথেই হবে নিশ্চয়ই। নয়তো এমন ফাস্টার এন্ড স্মুথলি ড্রাইভ করছে কী করে! যাবীন নিজেকেই বলে। আঁড়চোখে নিশান্তের মুখের একপাশ দেখতে পায় ও। চোয়ালের পেশি স্বভাবসুলভ টানটান ছিল। অনন্তের সঙ্গে হালকা স্বরে ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে আলাপ করছে। যাবীনের অতি অপছন্দের খেলা। বিশ্বকাপে মেসিকে সাপোর্ট করা ছাড়া ফুটবলের আর কিছুতেই আগ্রহ নেই ওর। শেখ বাড়ি আর্জেন্টিনা সাপোর্টার, আজাদ বাড়ি ব্রাজিল। দুই দল মুখোমুখি মাঠে নামলেই একমাত্র এ দুই বাড়ির মাঝে বিস্তর বিতর্ক দেখা যায়। সেও এক অন্যরকম আনন্দের।

ভাবনার মাঝেই গাড়ি ব্রেক কষল। চালক এতটাই বেগে ব্রেক কষল যে পেছনে নধর দেহখানি গদির ওপর অসাবধানে, নির্ভাবনায় ফেলে রাখা যাবীন সামলাতে পারল না। সজোরে মুখটা গিয়ে ধাক্কা খেল সামনের সিটে। কিছুক্ষণের জন্য হতবুদ্ধি হলো যাবীন। নাকে ব্যথা পেল ভীষণ। কপাল কুচকে, নাক ডলে তীব্র অসন্তোষে তাকাল নিশান্তের দিকে। অনন্ত নিজেও একটা ঝাঁকুনি খেয়েছে। সিট বেল্ট থাকায় রক্ষে। ও যাবীনকে একবার খেয়াল করে ভাইকে বলল,
“এটা কী হলো, ভাই!”

“অনেকদিন পর স্পিডে ড্রাইভ করলাম। থামতে ইচ্ছে করছিল না। তাই গন্তব্যে এসেও গতি কমাতে পারিনি। মাই মিস্টেক!”

অতি নির্বিকার স্বরে বলল নিশান্ত। যাবীনের বিশ্বাস হলো না। ওর মনে হলো ওঠার সময় সে যেমন সজোরে দরজা আটকেছিল তারই শোধ তুলল এই রুক্ষমূর্তি মানব। যাবীন গাড়ি থেকে নামল চাপা রাগ নিয়ে। নাকে ব্যথা দেওয়ার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এবারও সজোরে দরজা বন্ধ করল। নিশান্তকে রাগ দেখাতে পারছে না, তার জিনিসপত্রের ওপরই নাহয় দেখাক। নিশান্ত স্থির চোখে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। এরপর গাড়িটা পার্কিং করতে চলে গেল। অনন্ত নিকটে এসে বলল,
“বেশি ব্যথা পেয়েছিস?”

“না, শুধু আমার নাকটা বোচা হয়ে গেছে।”

অনন্ত দু্ষ্টু হেসে বলল, “তুই তো আগেরই বুচি।”

যাবীন চোখ পাকায়। নারীসুলভ সৌন্দর্যের মাঝে তার নাকের গড়ন যথেষ্ট উন্নত ও প্রশংসিত। বোচা নাকের শোভা পর্যন্ত ওর নাকের প্রশংসা করে বলত,
“ইশ আমার নাকটা যদি তোমার মতো সুন্দর হতো!”

যাবীন ওকে বলত, “তুই কী জানিস? তোর নাকটা বোচা বলেই তোকে অসম্ভব কিউট দেখায়। মুখের গড়ন অনুযায়ী তোর নাক মানানসই।”

তবুও শোভা মানত না। বিগলিত স্বরে বলত, “উহুম, তোমার নাকটা আসলেই খুব পারফেক্ট। না বোচা, না মোটা, আর না খাঁড়া।”
যাবীন তখন আত্মতুষ্টির ক্ষীণ হাসি দেখাতো। সেই নাককে অনন্ত বোচা বলে! ও প্রতিবাদ করে বলল,
“একদমই না। মা বলে আমার বংশে সবচেয়ে সুন্দর নাকের নকশা আমি পেয়েছি। বরং তোদের নাক মোটা। দৃষ্টিও মোটা করে ফেলেছিস নাকি?”

নিশান্ত আসছিল সদর দরজার দিকে। যাবীনের শেষ কথাটা কানে গেল তার৷ পাত্তা দিতো না সে। কিন্তু ‘তোদের’ শব্দটি দ্বারা বহুবচন করেছে যাবীন। তাই ব্যঙ্গের স্বরে জবাবটি দিল সে,
“তোমার বয়ফ্রেন্ডের দুইনলা বন্দুকের মতো নাকের চেয়ে নিশ্চয়ই ভালো!”

যাবীন থতমত খেয়ে গেল। দুইচোখে প্রবল বিব্রতের স্রোত নিয়ে একবার অনন্তের দিকে চাইল। শ’য়’তানটা ওর অবস্থার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে! রাঙা, পেলব ঠোঁটে কিঞ্চিৎ ঢেউ তুলে যাবীন প্রত্যুত্তর খোঁজে। ওর আগেই মনে রাখা উচিত ছিল এই ত্যাড়া ব্যক্তি খোঁচা মারতে ওস্তাদ। পাঁচ, দশ বছর পরে হলেও কথার প্রসঙ্গে খোঁচাটা মেরেই ছাড়বে। কিন্তু নিশান্ত তো আর জানে না তখনকার বর্ণনাগুলো ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তাকেই কেন্দ্র করে দেওয়া। যদি জানত! যাবীন চেয়েও হাসি লুকাতে ব্যর্থ হয়। তা দেখে নিশান্তের ভ্রু বক্র হয়। তীক্ষ্ণ, সন্ধানী চোখে পর্যবেক্ষণ করে বলল,
“হাসছ কেন?”

যাবীন উত্তর দিল না। মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্নের উত্তর ঝুলিয়ে রেখে অন্যের মনে খুঁতখুঁতে ভাব জাগিয়ে তোলা যায়। তা থাকুক একটু।
ভেতর থেকে আফিয়ার গলা পাওয়া যাচ্ছে,
“তোরা বাইরে কী করছিস? ভেতরে আয়।”
“আসছি আম্মু।” বলে অনন্ত ভেতরের দিকে পা বাড়াল। যাবীনও পিছু নিতে গেল। হঠাৎই টান পড়ল আঁচলে। কী আশ্চর্য! নিশান্ত তো আঁচল ধরার মতো মানুষ নয়। তবে এই সাহসটা কার হলো? যাবীন পিছু ফিরতেই দেখল পাশের বাড়ির পশমী সাদা কুকুরটা ওর ওড়নার কোণা কামড়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভীত মানবী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে একলাফে নিশান্তের ছায়াতলে চলে গেল। কুকুরে তার ভীষণ ভয়। নিশান্তের বলিষ্ঠ, সু-উচ্চ দেহের পেছনে নিজের লতানো দেহটিকে আড়াল করে ও ওড়না ধরে টানতে লাগল। টফি ছাড়ে না। বরং আরো এগিয়ে আসে। যাবীন জড়োসড়ো হয়ে আরো পিছিয়ে যায়। কে জানে এই কুকুরটা কেন শুধু ছুটে আসে ওকে দেখলে। সম্পূর্ণ ঘটনা অবলোকন করে এবার নিশান্তের ঠোঁটে চাপা হাসি উঁকি দিল। যাবীন তা দেখে কিঞ্চিৎ বিপর্যস্ত ও রাগত স্বরে বলল,
“হাসছেন কেন?”

জবাব দিল না নিশান্তও। যে পন্থা একটু আগে যাবীন অনুসরণ করেছিল সেও যে তাই করল। আলগোছে চাইল পিঠপিছে লুকিয়ে থাকা মানবীর ভয়ার্ত মুখপানে। ক্ষয়াটে বেলার রোদ ঝিলিক দিচ্ছে যাবীনের মাঝ বরাবর করা লম্বা সিঁথির ওপর। যেন কৃষ্ণকেশ ঘেরা সরু পথের আলোকরেখা। ঝিরিঝিরি বাতাসে কাঁপছে চুলের ডগা। ভয়ের রেশ ও দিনান্তের রংমিলান্তির ক্ষণ যাবীনের তারুণ্য ঝলমল করা কোমল ত্বকে অপরূপ এক মেরুপ্রভা সৃষ্টি করেছে যেন। যা তার মুখশ্রীকে আরো সম্মোহনী করে তুলেছে।
দুজনের মাঝে সম্পর্ক যেমনই হোক, নারীরূপ চিনবে না, বুঝবে না এতটা অবোধ নয় নিশান্তের চোখ। তবে সে সংযম ও সীমাবদ্ধতা জানে। মানেও। চোখ সরিয়ে টফির সামনে ঝুঁকে বসল ও। টফির মুখ থেকে ওড়না ছাড়িয়ে দিয়ে মাথা চুলকে দিতে দিতে বলল,
“তোমাকে বোধহয় পছন্দ করেছে। ফ্রেন্ডশিপ করতে চায়। কিংবা তুমি ওকে ভয় পাও সেটা বুঝতে পেরেই মজা নিচ্ছে। টফি খুবই ইন্টেলিজেন্ট বয়।”

টফি জিভ বের করে লেজ নাড়ায়৷ যাবীন দায়ে পড়া হাসি হেসে চলে যেতে চায়। তা দেখে টফি চিকন সুরে ডেকে ওঠে দুইবার। নিশান্ত বলল,
“ও তোমার সঙ্গ চাইছে। কাম অন। ফ্রেন্ডশিপ করো।”

“কীভাবে ফ্রেন্ডশিপ করে?” যাবীন নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে।

নিশান্ত হাত বাড়িয়ে দিতেই তার মেলে ধরা তালুতে সামনের ডান পা তুলে দিল টফি। বুঝল কুকুরটাকে ভালোভাবে ট্রেইন করা হয়েছে। যাবীনকে বলল,
“এটা হ্যান্ডশেক। ওর সঙ্গে হাত মেলাও। ঘাড় চুলকে দাও। সেটাই ওর কাছে আদরের সম্ভাষণ।”

যাবীন ভয়ে ভয়ে এগিয়ে এলো। নিশান্তের প্রতি কুকুরটার বাধ্যতা দেখে যেমন একটু আগ্রহ হচ্ছে তেমনই চিরায়ত ভয়টাও তাড়াতে পারছে না। নিশান্তের পাশে নিচু হয়ে বসে ইতস্তত করল হাত বাড়াতে। ওকে অবাক করে দিয়ে টফি নিজেই আগে হাত উঁচিয়ে ধরল। অর্থাৎ সে আসলেই বন্ধুত্ব করতে চাইছে। যাবীন হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে। এরপর মাথায় হাত রাখে। টফি পুলকিত হয়। আদর পেয়ে গা ঘেঁষে বসে পড়ে যাবীনের পাশে। গলাটা আরেকটু উঁচিয়ে দিয়ে যেন নির্দেশ করে গলা চুলকে দিতে। যাবীনের ভয়টা ধীরে ধীরে কেটে যেতে লাগল। টফির কাণ্ডে ওর ঠোঁটে খেলে গেল মিঠে হাসি।
______________

শোভার মনে হচ্ছে ও নরম ঘাসের ওপর পা মেলে হাঁটছে। কিন্তু স্থানটা কোথায় চিনতে পারছে না। অথচ অচেনা এই স্থানে সে স্বাচ্ছন্দ্যেই হাঁটছে। পায়ের ওপর দেহের কোনো ভার পরছে না৷ যেন দেহটি আর নেই। অথচ প্রত্যেকটা ইন্দ্রিয়ের অনুভূতি সে পাচ্ছে। এতটা স্থির, শীতল, শান্তভাব তার মাঝে কোনোকালেই ছিল না। আজ এলো কেমন করে? শোভা হাঁটতে হাঁটতে খাদের কিনারায় চলে এলো। বুঝল ও পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একটু দূরেই কলকল ধ্বনি তুলে বয়ে চলেছে একটি স্বচ্ছ ঝরণা ধারা হতে সৃষ্ট নদী। শোভাকে কে যেন সে জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
পানিতে ভিজে জুবুথুবু হয়ে জ্ঞান ফিরল শোভার। পিটপিট করে চোখ মেলতে মনে হলো ভারী কিছু এঁটে আছে মাথার ওপর। ঠাহর করার চেষ্টা করল নিজের অবস্থান। একটা বাহু তাকে আগলে ধরে রেখেছে। স্পর্শটা চেনা, নাকে পরিচিত পারফিউমের ঘ্রাণ ধাক্কা দেয়। শোভা আবারো পিটপিট করে চোখে মেলে। ঠিক ধরেছে। দিলশান তাকে আগলে রেখেছে নিজের বাহুতে। কিন্তু কী হয়েছিল ওর! জ্ঞান হারিয়েছিল!
যতদূর মনে পড়ে ভেটেনারি হাসপাতালে একটা কোমড় ভাঙা বিড়ালের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে ফাঁকা, ঝঞ্জাটহীন রাস্তায় স্কুটি ছোটাচ্ছিল ও। মাথায় চেপেছিল সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফেরার তাড়া। ভাইয়াকে কথা দিয়েছে। রাখতে না পারলে ভাইয়া আর বিশ্বাস করবে না। তখনই ফাঁকা রাস্তায় রং সাইডে একটা বাইক ছুটে আসতে দেখা গেল। দুজন হেলমেট পরা আরোহী ছিল তাতে। উগ্রভাবে ছুটন্ত বাইকটা যখন শোভার স্কুটির নিকটবর্তী হয় তখনই প্রবল এক ঝাঁকুনি খায় ও। এরপর আর কিছু মনে নেই। দিলশান শোভার গালে চাপড় দিয়ে ডাকে,
“শোভা! আর ইউ অলরাইট?”

শোভা একদমই ঠিক নেই। বাহুতে, হাঁটুতে, কপালে যন্ত্রণা হচ্ছে। মাথাটা কী ভীষণ ভারী! তাতে ওর স্বভাবসুলভ ব্যক্তিত্ব ফিকে হলো না। হেসে হাত নাড়ার চেষ্টা করে বলল,
“হাই দিলশান!”

দিলশান কপাল কুচকায়। মেয়েটা তো আচ্ছা ত্যাদড়! এমন অবস্থাতেও চোখে দুষ্টুমির আভাস! ও শুধরে দিতে বলল,
“দিলশান ভাই।”

শোভা মাথা তোলার চেষ্টা করে। সে এখনো পথের ওপরই পড়ে আছে। দেহের অর্ধেকটা মাটিতে, অর্ধেকটা দিলশানের বাহুতে। চারিদিকে সবে সন্ধ্যা ঘনিয়েছে অর্থাৎ খুব একটা সময় যায়নি তার জ্ঞান হারানো ও ফেরার মাঝে। দিলশানের কথার প্রতিবাদের শোভা বাঁকা স্বরে বলল,
“ভাই! আপনি আমার কোন সম্পর্কের ভাই?”
“আমার মা তোমার কী হয়?”
“আন্টি।”
“আন্টির ছেলে সম্পর্কে কী হয়?”
“আপনি চাইলে অনেক কিছুই হতে পারে।”
শোভার ঠোঁটে একটা সরল, তরল আদুরে হাসি ফোটে৷ দিলশান থতমত খেয়ে গেল। এমন ধড়িবাজ মেয়ে সে দুটো দেখেনি। নিষ্পাপ মুখ করে তাকে টিজ করছে! আহত বিধায় ওকে হাত থেকে নামিয়েও দিতে পারছে না। কঠিন স্বরে বলল,
“তুমি কী বলছো বুঝতে পারছো? নাকি এক্সিডেন্টে মাথাটা গেছে?”
“মাথা গেলে তো বোধহয় আপনাকেই আগে ভুলে যেতাম। কিংবা নিজের স্বভাব। দুটোর একটাও যেহেতু হয়নি। সুতরাং আমি ফাইন।”
“তুমি কী ইমম্যাচিওর? অবুঝ?”
“আপনার আমাকে কোন দিক দিয়ে অবুঝ মনে হয়?”
দিলশান হতাশ গলায় বলল,
“তুমি না, আসলে আমিই অবুঝ ছিলাম। তোমার এই কিউট ফেইসের আড়ালে যে একটা ডেভিল বিহেভ লুকিয়ে আছে তা ধরতে সময় লেগেছে। তুমি আসলে একটা মিনি মনস্টার।”
শোভা অভূতপূর্ব খুশি হলো। যেন এতদিনে নিজেও নিজের ভালো একটা নাম পেল। ও ভুলে গেল নিজের অবস্থা ও পরিস্থিতি। উচ্ছ্বসিত স্বরে বলল,
“মিনি মনস্টার! সো কিউট! কিন্তু আপনি যে মনস্টার বলার আগে স্বীকার করে ফেললেন আমাকে দেখতে কিউট লাগে।”
দিলশান হতভম্ব চোখে চেয়ে থাকে। বলে,
“এমন পাজি মেয়ে আমি ইহজনমে দুটি দেখিনি।”
শোভা চোখ টিপে বলল,
“আর দেখবেনও না। আমাকেই দেখুন শুধু।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here