#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________47
ক্লাবের ভিতরে পা রাখতেই একটা বাজে গন্ধ এসে লাগলো নিদ্রর নাকে । সে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো, যে বাজে গন্ধ’টা কোথা থেকে আসছে । ক্লাবে নিদ্র এখন একা । এখনো কেও ক্লাবে আসেনি । থেকে থেকে বাতাসের সাথে গন্ধ’টা বেরিয়ে আসছে । নিদ্র নাকে রুমাল চেপে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো । ক্লাবের গোপন রুমের দরজার কাছে এসে দারালো নিদ্র । এই রুম থেকেই গন্ধ বেরিয়ে আসছে । নিদ্র দরজা’টা হালকা খুললো । এরপর তাড়াতারি আবার দরজা লাগিয়ে অক অক করতে করতে ক্লাবের ওয়াসরুমে চলে গেল । ওয়াসরুমে গিয়ে বোমি করলো নিদ্র । এরপর চোখে মুখে পানি দিয়ে ক্লাব থেকে বেরিয়ে রাশেদকে কল করলো সে । রাশেদ কল রিসিপ করতেই নিদ্র সবাইকে ক্লাবে আসতে বললো । ত্রিশ মিনিটের ভিতরে সবাই এসে পৌছালো ক্লাবের সামনে । নিদ্র ক্লাবের সামনের দোকানে বসে ছিল । জেক,সাব্বির,রাশেদ,রাহুল,সুজনকে দেখা মাত্র দোকান থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । এরপর রাশেদের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে নিদ্র বলে উঠলো ।
:+কি হাল করে রেখেছিস ওর । আমি তোকে বলেছিলাম । আমি না আসা প্রজন্ত ও যাতে ভালো থাকে । আর তুই কি,,,,,,। ধাত ।(নিদ্র)
এই বলে দোকানের সামনের একটা বেঞ্জে বসে পড়লো নিদ্র । রাহুল,জেক আর সাব্বির কিছু বুঝতে পাড়লো না । জেক রাশেদকে বলে উঠলো ।
:+কি হয়েছে রে ।(জেক)
জেকের কথা শুনে রাশেদ মাথা চুলকে বললো ।
:+ওই বেটাকে পিটিয়ে রুমে যে ভারছি । আর ওর কাছে যাই নি । আসলে তোরা না থাকায় আমরা দু’জন ক্লাবে আসতাম না । আর ওর কথা আমরা ভুলেই গেছি । এখন ওর মনে হয় কিছু হয়ছে, এ জন্য নিদ্র রেগে গেছে ।(রাশেদ)
রাশেদের কথা শুনে সাব্বির নিদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো ।
:+ওর কিছু হয়েছে, এতে রাগার কি আছে । তোকে যখন মেরেছিল, তখন ওর এটা ভাবার প্রয়োজন ছিল । এখন যেহেতু মরে গেছে । সেহেতু একটা নিরাপদ স্থান দেখে পুতে ফেলতে হবে । নাহলে অনেক সমস্যা হবে ।(সাব্বির)
সাব্বিরের কথা শুনে ভ্রুকুঞ্চন করে সাব্বিরের দিকে তাকালো নিদ্র । এরপর অনুনয় করে বলে উঠলো ।
:+ও এখনো বেচে আছে,, মরে নি । তোরা প্লিজ ওর কিছু একটা বেবস্থা কর । আমি নাহলে চাচিকে মুখ দেখাতে পারবো না । আমি উনাকে কথা দিয়ে এসছি । যে আমি ওকে ডুবাই পাঠিয়ে দেবো । প্লিজ তোরা ওকে সুস্থ করার বেবস্থা কর ।(নিদ্র)
নিদ্রর এমন কথা শুনে রাশেদ রেগে আগুন হয়ে গেল । সে রাগে গজগজিয়ে বলে উঠলো ।
:+সালাকে সুস্থ করার কোন মানে নেই । ও ওই ভাবেই পচে মরুক ।(রাশেদ)
জেক পাস থেকে বলে উঠলো ।
:+সব সময় রাগা রাগি করা ভালো না রাশেদ । একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়েও কিছু ভাবতে হয় । ওই ছেলে নিদ্রদের আত্মীয় হয় । নিদ্রর, চাচির, ভাইয়ের ছেলে,, ওই ছেলেটা । নিদ্র যেহেতু ওর চাচিকে মানে ওর হবু শাশুড়ী মাকে কথা দিয়েছে ওকে ডুবাই পাঠাবে । তাহলে আর দেরি করা ঠিক হবে না । এখনি ওর বেবস্থা করতে হবে । ও যা শাস্থি পাওয়ার এই ২০/২২ দিনে পেয়ে গেছে ।(জেক)
জেকর কথা শুনে রাশেদ রাগ দেখিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । সুজন এসে নিদ্রর পাসে বসে বললো ।
:+তাহলে এখন কি করবো । তোর হবু শাশুড়ীর কথা রাখতে হবে তাহলে ।(সুজন)
নিদ্র মুখ তুলে সুজনের দিকে তাকালো । রাহুল বলে উঠলো ।
:+আগে আমরা দেখে আসি ওকে । তারপর দেখা যাবে কি করা যায় ।(রাহুল)
এই বলে রাহুল ক্লাবের দিকে পা বারাতে নিলে, নিদ্র বলে উঠলো ।
:+ক্লাবে ভিতরে যাওয়ার দারকার নেই তোদের । যে বাজে গন্ধ বের হচ্ছে । আমি বুমি করে ফেলছি । দুই/তিন জন লোক ভারা করে ক্লাব এবং ওকে পরিস্কার করতে বল । তারপর ওকে একটা হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে জেক একটু ভেবে বলে উঠলো ।
:+তাহলে বিষয়’টা যটিল । ওকে,,, লোকই ভাড়া করা হোক ।(জেক)
নিদ্র বসা থেকে দারিয়ে বললো ।
:+আমি এখন কলেজে যাবো । ২টা বেজে আসছে । কিউটির কলেজ নিশ্চয় ছুটি হয়ে গেছে ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র বাইকে উঠে বসলো । সুজন এসে নিদ্রর কাছে দারিয়ে বললো ।
:+ভাবিকে তো আমি দেখলাম না ভাই । আমাকে একটু দেখাস । ওরা তে দেখেছে ।(সুজন)
নিদ্র সুজনের গালে আস্তে করে একটা চড় মেরে বললো ।
:+কাল আপনাদের সকলের দাওয়াত আমাদের বাসায় । কাল আসলেই দেখতে পারবেন আপনাদের ভাবিকে ।(নিদ্র)
নিদ্র কথা শুনে জেক পিছন থেকে বলে উঠলো ।
:+লাঞ্চ না ডিনারের দাওয়াত ।(জেক)
নিদ্র একটু পিছনে তাকিয়ে বললো ।
:+ডিনারের । আচ্ছা আমি এখন যাই । আজ আর ক্লাবে আসা হবে না আমার । তোরা সব কিছু ঠিক করেনিস ।(নিদ্র)
সুজন বলে উঠলো ।
:+হ্যাঁ,,,,,যা যা ভাবি দারিয়ে আছে হয়তো ।(সুজন)
নিদ্র মুচকি হেসে বাইকে স্টার্ড দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । আর জেক, সুজন, রাহুল, সাব্বির, ৫/৬জন লোক ভাড়া করলো ক্লাব পরিস্কার করার জন্য । আর নিরবকে পরিস্কার করে হসপিটালে ভর্তি করার জন্য ।
★
কলেজের গেটের কাছে বাইক পার্ক করে দারিয়ে আছে নিদ্র । কলেজ ছুটির বেল সবে মাত্র বেজেছে । নিদ্র এদিক ওদিক তাকাচ্ছে । অনেক স্টুডেন্ট বিভিন্ন ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে আসছে । নিদ্র ফাস্ট ইয়ারের ক্লাস রুমের দিকে তাকালো । এখনো সেই রুম থেকে একটা স্টুডেন্টও বের হয়নি । কিছুখন যাওয়ার ওর সেই রুম থেকে একে একে স্টুডেন্ট বের হতে লাগলো । জুইর ডান হাত ধরে তৃপ্তি বেরিয়ে আসলো ক্লাস রুম থেকে । নিদ্রর মুখে সুরক্ষার হাসি ফুটে উঠলো । জুই আর তৃপ্তি দোতলা থেকে সিরি বেয়ে নিচে নামলো । নিচে নেমে গেটের দিকে তাকালো তৃপ্তি । নিদ্রকে গেটের কাছে বুকে দু’হাত গুজে দারিয়ে থাকতে দেখে তৃপ্তির মুখে হাসি ফুটে উঠে । সে জুইর হাত ধরে টেনে নিদ্রর কাছে নিয়ে আসতে লাগলো । নিদ্রর কাছে এসে নিজের হাতের বই জুইর হাতে দিয়ে দিলো তৃপ্তি । এরপর নিদ্রর হাত ধরে তৃপ্তি বলে উঠলো ।
:+আমার বই কিনতে হবে ভাইয়া । স্যার আজ বইয়ের জন্য আমাকে ধরছে ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তিকে নিজের সামনে দার করিয়ে বললো ।
:+তারপর আপনি কি বললেন স্যারকে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে তৃপ্তি বলে উঠলো ।
:+আমি বলছি? স্যার আমি তো আজ নতুন আসছি । কাল থেকে বই নিয়ে আসবো ।(তৃপ্তি)
নিদ্র এবার তৃপ্তির দু’কাধে নিজের দু’হাত রেখে বললো ।
:+তারপর ।(নিদ্র)
তৃপ্তি, নিদ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+স্যার বললো, ঠিক আছে বসো । কাল থেকে বই নিয়ে আসবে । আর আমার নামও জিজ্ঞেস করে ছিল স্যার । আমি তাকে আমার নামও বলেছি ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শেষ হতে নিদ্র তৃপ্তির থেকে সরে দারিয়ে বললো ।
:+গুড । তাহলে এবার বাড়ি যাওয়া যাক ।(নিদ্র)
:+না ।(তৃপ্তি)
নিদ্র কথা শুনে চট করে বলে উঠলো তৃপ্তি । নিদ্র ভ্র-কুঁচকে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+না মানে । বাড়িতে যাবি না ।(নিদ্র)
তৃপ্তি, জুইর কাছে গিয়ে জুইর হাত ধরে বললো ।
:+যাবো । তবে আগে বই কিনবো, তারপর একবারে বাসায় যাবো । সে জন্যই তো আমি জুইকে সাথে করে নিয়ে আসছি ।(তৃপ্তি)
নিদ্র একটু ভেবে বললো ।
:+ঠিক আছে, তাহলে বই কিনে বাসায় যাবো । চল ।(নিদ্র)
জুই বলে উঠলো ।
:+ভাইয়া কলেজের সামনের বুক স্টোর থেকে বই কিনেছি আমি । বেশি দুরে যাওয়া লাগবে না । ওখান থেকেই কিনে নেওয়া যাবে ।(জুই)
নিদ্র তৃপ্তির দিকে একবার তাকালো এরপর আবার জুইর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+ঠিক আছে, তাহলে ওখানেই চল । বাইক এখানে থাক ।(নিদ্র)
অতপর নিদ্র, তৃপ্তি, জুই আসলো বুক স্টোরে । জুই আর তৃপ্তি দেখে দেখে বই কিনে নিলো । আর নিদ্র সুদু দারিয়ে দারিয়ে তাদের দেখছিল । বইয়ের বিল মিটিয়ে দিলো নিদ্র । এবার তৃপ্তি সব বই নিদ্রর হাতে ধরিয়ে দিলো । বই গুলো হাতে করে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা না । তাই নিদ্র বই গুলো কাধে তুলে নিলো । সব বই এক বারে কিনে নিয়েছে তৃপ্তি । এক কাজ বার বার করতে ভালো লাগে না তার । বাইকের কাছে এসে বাইকের পিছনে বই গুলো ভালো করে বেধে নিলো নিদ্র । এরপর জুইকে একটা রিকশা ধরিয়ে দিলো নিদ্র । জুই, তৃপ্তির সাথে কথা সেরে বায় বায় বলে চলে গেল । নিদ্র বাইকের উপর উঠে বসলো । এরপর তৃপ্তিও বাইকের পিছনে উঠে বসলো । আর তৃপ্তির পিছনে বই । নিদ্র বাইক স্টার্ড দিতে, তৃপ্তি চোখ মুখ বুঝে নিদ্রকে জরিয়ে ধরলো । নিদ্র বাইক এনে দার করালো একটা VIVO সরুমের সামনে । কারন নিদ্রর একটা ফোন কেনা দরকার । তার ফোন তো ভেঙে ফেলেছিল, তাকে যখন গ্রামে নিরবের ভাড়া করা ছেলেরা পিটিয়ে ছিল । বাইক দারাতেই তৃপ্তি চোখ খুললো । নিদ্র তৃপ্তিকে নিয়ে ViVO সরুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । তৃপ্তি এবার বলে উঠলো ।
:+আমাকে এখানে নিয়ে আসছো কেন ভাইয়া ।(তৃপ্তি)
নিদ্র, তৃপ্তিকে নিজের কাছে টেনে এনে বললো ।
:+ফোন কিনবো তাই এখানে নিয়ে আসছি ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র সামনে তাকিয়ে এক লোককে বললো ।
:+ মার্কেটে নতুন যেটা আসছে ওটা বের করুন ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে লোকটি ২/৩ টা ফোন নামিয়ে দিলো নিদ্রর সামনে । নিদ্র বললো ।
:+আরো কয়’টা নামান ।(নিদ্র)
সরুমের লোকটি বলে উঠলো ।
:+স্যার আপনি কয়’টা ফোন কিনবেন ।(লোক)
লোকটির কথা শুনে নিদ্র বিরক্ত অনুভব করলো । তাও সে আস্তে করে বললো ।
:+দুই’টা ।(নিদ্র)
তৃপ্তি ভ্র-কুঁচকে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+দু’টা কেন ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তির দিকে একবার তাকিয়ে আবার ফোন উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে বললো ।
:+এখান থেকে দু’টা ফোন পছন্দ কর । একটা আমার জন্য । আর একটা আমার বৌয়ের জন্য ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে তৃপ্তির মন খারাপ হয়ে গেল । সে তো ভেবেছিল একটা ফোন তার জন্য কিনবে নিদ্র । তৃপ্তি গাল ফুলিয়ে বলে উঠলো ।
:+আমি পছন্দ করে দেবো কেন । আমাকে তো কিনে দিবে না ।(তৃপ্তি)
নিদ্র অন্য দিকে ফিরে মুচকি হাসলো । এরপর তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বললো ।
:+তোর এখনো ফোন চালানোর বয়স হয়নি । তুই এখন এখান থেকে দু’টো ফোন পছন্দ কর ।(নিদ্র)
নিদ্র কড়া গলার কথা শুনে তৃপ্তির মুখ কালো হয়ে গেল । সে গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে দারিয়ে রইলো । নিদ্র তা দেখে ধমক দিয়ে বললো ।
:+কি হলো । বলছি না এখান থেকে দু’টো ফোন পছন্দ কর ।(নিদ্র)
নিদ্রর ধমক খেয়ে কেপে উঠলো তৃপ্তি । সে কাপা হাতে দু’টো ফোন দেখিয়ে দিলো । নিদ্র ফোন ২টার দিকে তাকালো । বেস সুন্দর ফোন দু’টো । নিদ্র লোক টিকে বললো ।
:+এই দু’টো দিন ।(নিদ্র)
নিদ্র কথা মতো লোকটি ফোন দু’টো পেক করে দিলো । নিদ্র পেকেট’টা তৃপ্তির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো ।
:+এখানে চুপচাপ দারিয়ে থাক । এখান থেকে একদম নড়া চড়া করবি না । আমি একটু আসছি ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র সেখান থেকে চলে গেল । তৃপ্তির মন চাচ্ছে ফোনের পেকে’টা ছুরে ফেলে দিতে । তার জন্য তো ফোন কিনেনি নিদ্র । তাহলে সে কেন পেকেট ধরে রাখবো । তৃপ্তি হাত আলগা করে পেকে’টা ছেরে দিলো । ঠাস করে পেকে’টা ফ্লোরে পরে গেল । তৃপ্তি এদিক ওদিক তাকিয়ে তাড়াতাড়ি আবার পেকে’টা হাতে তুলে নিলো । যাক এবার কিছু’টা রাগ কমেছে । ভাগ্য ভালো পেকেট থাকার কারনে ফোনের কিছু হয়নি । যাই হোক,,,। কিছুখন পর নিদ্র আবার ফিরে এলো তৃপ্তির কাছে । হাতে নিদ্রর অনেক গুলো টাকা । নিদ্র ফোনের বিল দিয়ে, তৃপ্তির হাত ধরে বললো ।
:+চল । এবার যাই ।(নিদ্র)
তৃপ্তি গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে, ফোনের পেকে’টা নিদ্রর দিকে বারিয়ে বললো ।
:+তোমার ফোন, তোমার কাছে রাখো । এটা আমি নিতে পারবো না ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্র তৃপ্তির কাধে ডান হাত রাখলো । এরপর বাম হাত দিয়ে তৃপ্তির হাত থেকে পেকে’টা নিয়ে মুচকি হেসে বললো ।
:+আমি যেন এই কথা গুলো পড়েও শুনি । পড়ে যদি আবার অন্য কথা শুনি তাহলে খবর আছে ।(নিদ্র)
এই বলে তৃপ্তিকে নিয়ে সরুম থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । তৃপ্তি বার বার সরুমের দিকে তাকাচ্ছে । তার একটা ফোন প্রাপ্য নয় কি? বাইকে উঠাও পড়ও, নিদ্রকে জরিয়ে ধরে হালকা চোখ খুলে ViVO সরুমের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তি মনে মনে বললো ।
:+একটা ফোন দোকানদার বেটাকে বিয়ে করতে হবে । তবেই আমার সখ পুরোন হবে । এই শয়তান তো আমাকে ফোন কিনে দিবে না ।(তৃপ্তু)
মনে মনে এই বলে মুখের উপর থেকে নিকাব সরিয়ে, নিদ্রর পিঠে ছোট একটা কামড় বসিয়ে দিলো তৃপ্তি । নিদ্র মুচকি হেসে বাইক চালাতে লাগলো । এই কামড়ের শোধ বাড়িতে গিয়ে তুলবে ।
—————————————–
বিকেল ৫টা বাজে………….
নীলাদের ফ্লাটে আসছে তৃপ্তি । কালকে রাতের পর থেকে এখনো নীলার সাথে দেখা হয়নি তার । নীলার রুমের দরজার কাছে আসতে তৃপ্তি দেখলো । নীলা আর সুমি বেডের উপর আধ শোয়া হয়ে তেতুলের আচার খাচ্ছে, আর টিভি দেখছে । তৃপ্তি আস্তে করে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । এরপর নীলার বেডের পাসে গিয়ে দারালো । নীলা আর সুমি খুব মনোযোগ দিয়ে হিন্দি মুভি দেখছে । এখন মুভিতে ফাইট চলছে । তাই তাদের ফুল মনোযোগ টিভির দিকে । তৃপ্তি চট করে নীলার হাত থেকে আচারের বৈয়াম’টা নিয়ে নিলো । হঠাৎ এমন হওয়ায় নীলা আর সুমি হকচকিয়ে তৃপ্তির দিকে তাকালো । তৃপ্তি মুখ বাকিয়ে বললো ।
:+আমাকে বাদ দিয়ে,আমার মায়ের হাতের আচার এতো সাদ করে খাওয়া হচ্ছে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে নীলা আর সুমি একে অপরের মুখ দেখা দেখি করলো । নীলা তৃপ্তির উপর ঝাপিয়ে পড়ার জন্য ঠিক হয়ে বসে বললো ।
:+সুইটি এটা আন্টি আমাকে দিয়েছে । এটা আমার ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি একটু পিছনে সরে বললো ।
:+আমারও এতে হক আছে । কারন এটা আমার মায়ের হাতের আচার ।(তৃপ্তি)
নীলা চট করে তৃপ্তিকে টেনে বেডের উপর ফেলে দিলো । ভাগ্য ভালো তৃপ্তি আচারের বৈয়ামের মুখ লাগিয়ে দিয়েছিল । নাহলে তৃপ্তির সাথে আচারও বেডের উপর গড়া গড়ি খেতো । তৃপ্তি শোয়া থেকে উঠতে যাবে তার আগেই । নীলা তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে তৃপ্তির কাছে থেকে আচারের বৈয়াম টানা টানি করে বললো ।
:+আন্টি এটা আমাকে দিয়েছে । তোর হক তুই বাড়িতে গিয়ে খেয়েনিস । এটা ছার ।(নীলা)
তৃপ্তি, নীলার হাতে ছোট করে কাড়ম বসিয়ে দিলো । নীলা তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে বেডের উপর শুয়ে হাত দেখতে লাগলো । এমন সময় তৃপ্তি নীলার গায়ের উপর উঠে বসে আচারের বৈয়ামের মুখ খুলে বললো ।
:+ঢেলে দেই । ঢেলে দেই ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কান্ড দেখে নীলা আতকে উঠে বললো ।
:+এই না না না । এমন করিস না ।(নীলা)
তৃপ্তি ভিলেনি হাসি দিয়ে বললো ।
:+কেন? আচার খাওয়ার খুব সখ না । আমার মায়ের হাতের আচার । আর আমাকেই ফেলে খাওয়া হচ্ছে ।(তৃপ্তি)
নীলা অসহায় মুখ করে বললো ।
:+আমি তোকে ডাকতে গেছিলাম তো । গিয়ে দেখি তুই ঘুমে । তাই আর তোকে ডাকি নি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে, তৃপ্তি কিছু বলতে যাবে । তার আগেই পাস থেকে সুমি, তৃপ্তির হাত থেকে আচারের বৈয়াম টান দিয়ে নিয়ে নিলো । নীলা তা দেখে তৃপ্তিকে গায়ের উপর থেকে বেডের উপর শুয়িয়ে দিয়ে, আকড়ে পিস্ঠে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো । এরপর জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে নীলা বললো ।
:+উফ,, একটুর জন্য বেচে গেছি । এবার কি করবি চান্দু । এবার তোকে দেখিয়ে দেখিয়ে আচার খাবো । দেখি তুই কি করতে পারিস ।(নীলা)
এই বলে নীলা, তৃপ্তিকে এমন ভাবে জরিয়ে ধরলো, যে তৃপ্তি যতো চেষ্টাই করুক ছুটতে পারবে না । নীলা, তৃপ্তিকে ওমন ভাবেই জরিয়ে ধরে আবার আধ শোয়া হলো । তৃপ্তির মাথা এখন নীলার পেটের উপর । আর তৃপ্তির দু’হাত উচু করে শক্ত করে নিজের বাম হাত দিয়ে ধরছে নীলা । আর নীলার পা দু’টো তৃপ্তির কোমড় জরিয়ে ধরে আছে । তৃপ্তি অসহায় মুখ করে নীলার দিকে তাকালো । নীলা মুচকি হেসে বললো ।
:+এমন ভাবেই তুই ঠিক আছিস । এমন ভাবেই থাক ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি মুখ কালো করে অন্য দিকে তাকালো । নীলা আর সুমি উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । নীলা বৈয়াম থেকে একটু আচার মুখে দিয়ে তৃপ্তিকে জ্বালানোর জন্য বললো ।
:+তেতুলের আচার তো সেই বানাতে পারে আন্টি । সেই মজা হয়েছে আচার’টা, তাই না সুমি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি ঢোক গিললো । তার জ্বিভে পানি লক লক করছে । তেঁতুল বলতে তৃপ্তি পাগল । সুমি টিভির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো ।
:+হ্যাঁ,,নীলা সেই মজা হয়েছে । আন্টি তো সেই রকম তেতুলের আচার বানাতে পারে ।(সুমি)
নীলা আরো একটু আচার মুখে দিয়ে বললো ।
:+আমি এমন যানলে, আরো এক বৈয়াম আচার দিতে বলতাম । আচ্ছা, সুইটি তুই যখন পরের বার গ্রামে যাবি । আন্টিকে বলবি । আমার জন্য দুই বৈয়াম তেঁতুলের আচার দিতে ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি এবার মুখ খুললো । সে বলে উঠলো ।
:+জীবনেও বলবো না । আমাকে ভাবে জরিয়ে ধরে? লোভ দেখিয়ে খাওয়া হচ্ছে । আমি জীবনেও আম্মুকে আচার দিতে বলবো না ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে নীলা আর সুমি উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । নীলা হাসতে হাসতে বললো ।
:+আমাদের সুইটির লোভ হচ্ছে বুঝি । মুখে পানি এসে গেছে বুঝি । আহারে বেচারি । তাও আমি দেবো না ।(নীলা)
বলেই আরো একটু আচার মুখে দিয়ে, আঙুল চাটা সুরু করলো নীলা । তৃপ্তি আবার ঢোক গিললো । কারো চোখের সামনে এমন ভাবে আচার খেলে । আর মুখে তাক মারলে । কেও কি করে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে । আবার সেটা যদি তেঁতুলের আচার হয় । তবে তো কথাই নেই । তৃপ্তিরও আর সজ্জ হচ্ছে না । কিন্তু সে নীলার থেকে ছুটতেও পারছে না । কিছুখন যাওয়ার পর নীলা বলে উঠলো ।
:+বাই দা ওয়ে । শুনলাম তুই আজ কলেজে গিয়েছিস । তোর তো আজ কলেজের প্রথম দিন ছিল । তা বন্ধুবী কেমন বানালী ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি অবাক হলো । সে যে কলেজে গেছে এটা নীলা যানলো কি করে? পরখনেই আবার তৃপ্তির মনে এলো । নীলা হয়তো তার খোজে নিচে গেছিল । তখন হয় তো আমেনা বলেছে । যে সে কলেজে গেছে । তৃপ্তি চুপ করে রইলো । নীলার কথার কোনো যবাব দিলো না । তৃপ্তির কোনো সারা শব্দ না পেয়ে, সুমি একটু উকি দিয়ে তৃপ্তির মুখের দিকে তাকালো । দেখলো তৃপ্তির চোখ বন্ধ । এটা দেখে সুমি নীলাকে চোখে ইসারা করলো । নীলাও তৃপ্তির মুখের দিকে তাকালো । সেও একই দৃশ্য দেখলো । নীলার মনে হলো তৃপ্তি হয় তো ঘুমিয়ে গেছে । নীলা আস্তে করে তৃপ্তির হাত ছেরে দিয়ে । তৃপ্তির কোমড় থেকে পা দু’টো নামিয়ে বেডে রাখলো । ওমনি তৃপ্তি চট করে শোয়া থেকে উঠে আচারের বৈয়াম নিয়ে রুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে, রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো । নীলা আর সুমির বুঝে উঠতে কিছু সময় লাগলো । যে এটা কি হয়ে গেছে তাদের সাথে । নীলা দরজার কাছে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করে চিৎকার করে বললো ।
:+সুইটি এটা ভলো হচ্ছে না । আন্টি আমাকে তেঁতুলের আচার দিয়েছে, তোকে না । তোর খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে তুই আন্টিকে বলে আচার নিয়ে আসতে পারতি ।(নীলা)
তৃপ্তি বাহিরে থেকে খিলখিলয়ে হেসে উঠলো । এরপর বৈয়াম থেকে একটু আচার মুখে দিয়ে বললো ।
:+উুমমমমমম । আচার তো সেই মজা হয়েছে । তা খেবেন নাকি নীলা আপু ।(তৃপ্তি)
নীলা রুমের ভিতর থেকে ঢোক গিলে বললো ।
:+আমাকে লোভ দেখানো হচ্ছে । ভালো হচ্ছে না সুইটি ।(নীলা)
এবার সুমি এসে দারালো নীলার পাসে । এদিকে তৃপ্তি আরো একটু আচার মুখে দিয়ে চোখ টিম টিম করে বললো ।
:+উুমমম । নীলা আপু,,,,, এতো টক । সাথে ঝাল । আবার তার সাথে একটু মিষ্টিও লাগছে ।(তৃপ্তি)
নীলার এবার গা জ্বলে যাচ্ছে । মুখের ভিতর পানি লক লক করছে । সুমির ও একই অবস্থা । নীলা একটা আঙুল মুখে দিয়ে ভাবছে ।
:+আমিও তো ওকে লোভ দেখিয়েছি । কিন্তু এমন ভাবেতো লোভ দেখায়নি । এই মেয়ে তো পুরো ডিটেইলসে লোভ দেখাচ্ছে ।(নীলা)
নীলা মনে মনে এই বললো । এরপর চোখ বুঝে নিজের মুখ থেকে হাতের আঙুল বের করে অসহায় ভাবে নীলা বললো ।
:+এতো লোভ দেখাস না বোইন । ঠিক আছে, আমরা ভাগ করে খাবো । দরজা’টা খোল ।(নীলা)
এপাস থেকে তৃপ্তি আঙুল চেটে বলে উঠলো ।
:+উুমমমম । ঝাল’টা একটু কম হয়ে গেছে । আরো একটু বেসি হলে ভালো হতো ।(তৃপ্তি)
কথা’টা শুনে নীলা আর সুমি একে অপরের মুখ দেখা দেখি করে ঢোক গিললো । তৃপ্তি আবার বলে উঠলো ।
:+আমি গেলাম বায় বায় । তোমরা থাকো ।(তৃপ্তি)
কথা’টা শোনার পর সুমি উচ্চ স্বরে বলে উঠলো ।
:+এই না না না । দরজা’টা খুলে যাও প্লিজ ।(সুমি)
নীলা বললো ।
:+সুইটি প্লিজ আচার দিয়ে যা । ভালো হচ্ছে না । আমি কিন্তু,,,,,,।(নীলা)
এই টুকু বলে নীলা কান পাতলো দরজায় । না বাহিরে থেকে কোন আওয়াজ আসছে না । নীলা এবার তার আম্মুকে ডাকতে লাগলো ।
:+আম্মুওওওওওওও । আম্মুওওওওওওওও । কোথায় তুমি । আম্মুওওওওওওওওও । দরজা’টা খোল ।(নীলা)
নাজমা বেগম এসে বাহিরে থেকে দরজা খুলে দিলো । নীলা তরি ঘরি করে রুম থেকে বেরিয়ে তৃপ্তিকে খুজতে লাগলো । নাজমা বেগম তা দেখে বললো ।
:+কাকে খুজচ্ছিস ।(নাজমা)
নাজমা বেগমের কথা শুনে নীলা নাজমা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+সুইটি কোথায় ।(নীলা)
নাজমা বেগম নিজের পিছন থেকে আচারের বৈয়াম বের করে একটু আচার মুখে দিয়ে বললেন ।
:+আচার তো সেই রকম মজা হয়েছে । সুইটির আম্মু তো বেস ভালো আচার বানাতে পারে ।(নাজমা)
নাজমা বেগমের হাতে আচারের বৈয়াম দেখে নীলা তেরে আসতে লাগলো নাজমা বেগমের দিকে । নাজমা বেগম হাত দিয়ে নীলাকে থামিয়ে বললো ।
:+এটা আমি এখন তুলে রাখবো । এখন আর কোনো আচার খাওয়া লাগবে না তোর । অনেক খেয়েছিস । সুইটির আমার কাছে আচারের বৈয়াম না দিলে তো আমি যানতামই না । যে তুই গ্রাম থেকে আচার নিয়ে আসছিস ।(নাজমা)
এই বলে নাজমা বেগম আচারের বৈয়াম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । আর সুমি উচ্চ স্বরে হেসে বললো ।
:+নীলা তোর আর আচার খাওয়া লাগবে না । আন্টির হাতে যেহেতু একবার পড়ছে । সেহেতু এটার কথা তুই ভুলে যা ।(সুমি)
এই বলে আঙুল চাটতে চাটতে নীলাদের ফ্লাট থেকে নেমে গেলো সুমি । আর নীলা নিজের মুখে আঙুল দিয়ে মনে মনে বললো ।
:+এটার সোদ আমি তুলবো সুইটি ।(নীলা)
————————————–
রাত ১১ বেজে ১৫ মিনিট……………
খাবার দাবার শেষ করে নিজের রুমে এসে, বেডের উপর গোল হয়ে বসে, বই গুলো খুলে একে একে দেখতে লাগলো তৃপ্তি । আর মাথার চুল এক আঙুল দিয়ে পেচিয়ে টানতে লাগলো । হঠাৎ তৃপ্তি অনুভব করলো তার পেটের উপর এক জোরা শক্ত হাত তাকে জরিয়ে ধরে নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে । তৃপ্তি মাথা কাত করে পিছনে ঘুরে লোকটিকে দেখতে যেবে, তার আগেই এক জোরা উশ্ন ঠোঁট এসে ঠেকলো তৃপ্তি ঘাড়ে । তৃপ্তি কেপে উঠে সাপের মতো মোচড় দিলো । লোকটি এবার তৃপ্তির কানের একটু নিচে আবারো ঠোঁট জোরা ছোয়ালো । তৃপ্তি শুরশুরি পেয়ে ঘাড় মোচড়ালো । এরপর ধিরে ধিরে মাথা কাত করে পিছনে ঘুরে তাকালো তৃপ্তি । চিরো চেনা পরিচয় সেই মুখ দেখে তৃপ্তি হেসে উঠলো । এরপর ঘুরে বসে বললো ।
:+এমন করছো কেন ভাইয়া । আমার শুরশুড়ি লাগছে তো ।(তৃপ্তি)
নিদ্র, তৃপ্তিকে আবার ঘুরিয়ে দিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে, তৃপ্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।
:+চোখ বন্ধ কর ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি আস্তে করে চোখ বুঝে নিলো । একটু পর তৃপ্তি অনুভব করলো তার হাতে কিছু একটা পরিয়ে দিচ্ছে নিদ্র । নিদ্র আবার তৃপ্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।
:+এবার চোখ খোল ।(নিদ্র)
নিদ্রর আদেশ পেয়ে ধিরে ধিরে চোখ খুলে নিজের হাতের দিকে তাকালো তৃপ্তি । একটা চকচকে সুন্দর ঘড়ি দেখলো সে । ঘড়ি’টা দেখে খুশিতে গজগজিয়ে উঠে, পিছনে ঘুরে নিদ্রকে জরিয়ে ধরলো তৃপ্তি । নিদ্র আস্তে করে তৃপ্তির ঘাড়ে চুমু খেয়ে বললো ।
:+এতো তাড়াতাড়ি খুশি হলে হবে । এখনো একটা সারপ্রাইজ বাকি আছে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, নিদ্রকে ছেরে দিয়ে ঠিক হয়ে বসলো তৃপ্তি । এরপর নিদ্রর দিকে প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকালো । নিদ্র নিজের পিছন থেকে একটা বক্স বের করলো । তৃপ্তি বক্স’টা দেখে চোখ বড় বড় করে বলে উঠলো ।
:+এটা ।(তৃপ্তি)
নিদ্র মুচকি হেসে বললো ।
:+হুম,,,এটা তোর জন্যই কিনেছি । তখন তো তুই বলেছিলি, তোমার ফোন, তোমার কাছে রাখো । এটা আমি নিতে পারবো না । এখন কি এটা ফিরত দিয়ে আসবো ।(নিদ্র)
তৃপ্তি চট করে নিদ্রর হাত থেকে বক্স’টা নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখলো । এরপর একটু ভেবে বললো ।
:+কিন্তু,,, তুমি তো বলে ছিলে । এই ফোন’টা তোমার বৌয়ের জন্য ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তিকে নিজের কাছে টেনে এনে বললো ।
:+হ্যাঁ,,,আমার বৌয়ের জন্যই তো ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি চোখ কপালে তুলে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+মানে,,,কি বলছো তুমি । আমি তোমার বৌ নাকি । আমাকে এই ফোন দিচ্ছো কেন তাহলে ?(তৃপ্তি)
নিদ্র আস্তে করে তৃপ্তির আরো কাছে এসে চোখে চোখ রেখে বললো ।
:+এতো মানে তোর বুঝা লাগবে না । এখন বল,,বাইকের পিছনে বসে আমার পিঠে কামড় দিয়েছিস কেন? (নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি শুকনো ঢোক গিললো । নিদ্র আরো একটু এগিয়ে বললো ।
:+MOM,, এর কাছ থেকে আমাকে ধমক খাওয়াই ছিস কেন? (নিদ্র)
নিদ্রর গরম নিশ্বাস তৃপ্তির ঠোঁটে পরছে । তৃপ্তি আস্তে করে চোখ দু’টো খিচে বুঝে নিলো । বুকের ভিতর ধুপ ধুপ করছে তৃপ্তির । ঠোঁট দু’টো কাপছে । নিদ্র মুচকি হেসে তৃপ্তির নাকের ডগায় ঠোঁট জোরা ছোয়ালো । নাকের ডগা সির সির করে কেপে উঠলো তৃপ্তির । তৃপ্তি চোখ দু’টো আরো খিচে কাপা গলায় বললো ।
:+ভা,,ভাই,, ভাইয়া । কি,,,ক,,,কর,,,করছো । আ,,,,আম,,,আমার । কে,,,কেম,,,কেমন । যে,,,যেন । লা,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)
নিদ্র আস্তে করে তৃপ্তির ঠোঁট জোরা নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরলো । তৃপ্তি কেপে উঠে নিদ্রর বুকের শার্ট খামছে ধরলো । নিদ্র নিজের হাত দু’টো, তৃপ্তির দু’গালে রাখলো । এরপর তৃপ্তির ঠোঁট নিজের মুখে পুরে নিলো । তৃপ্তি সাপের মতো মোচড় দিয়ে উঠলো । পুরো শরীরের মধ্যে দিয়ে শিহরন বয়ে গেল তৃপ্তির । নিদ্রর ঠোঁটের উশ্ন আদর পেতে লাগলো সে । একটু সময় পর ধিরে ধিরে চোখ দু’টো খুলে তাকালো তৃপ্তি । নিদ্রর চোখ দু’টো খোলা । চট করে আবার চোখ বুঝে নিলো তৃপ্তি । বেস লজ্জা লাগছে তার । কেন লাগছে? সেটা বুঝতে পারছে না সে । নিদ্র বেস অবাক হলো । মনে মনে বলে উঠলো নিদ্র ।
:+কোনো সময় এমন করেনি তো । তবে আজ কি হলো । যাই হোক,,। ওর লজ্জা কিতো মুখ’টা দেখার মতো ।(নিদ্র)
মনে মনে এই বলে আরো একটু গভিরে গেল নিদ্র । তৃপ্তি সাপের মতো মোচড়ে নিদ্রর বুকের শার্ট আরো একটু শক্ত করে খামছে ধরলো । শার্ট’টা যেন ছিরে ফেলবে তৃপ্তি । নিদ্রর উশ্ন ঠোঁটের অত্যাচার আর নিতে পারছে না সে । নিদ্র আস্তে করে নিজের সাথে মিসিয়ে নিলো তৃপ্তিকে । হঠাৎ নিদ্রর ফোন বেজে উঠলো । নিদ্র চমকে উঠে তৃপ্তিকে ছেরে দিলো । তৃপ্তি লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ঘুরে বসলো । নিদ্র বিরক্তি নিয়ে ফোন হাতে নিলো । পুরো রোমান্টিক মুহুর্ত টাই খারাপ করে দিলো । নিদ্র ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রাশেদ কল করছে । বিরক্তি নিয়ে ফোন’টা পকেটে পুরে তৃপ্তির বেডে থেকে নেমে দারালো নিদ্র । তৃপ্তি আরচোখে নিদ্রকে দেখছে । নিদ্র, তৃপ্তির দিকে একটু ঝুকে, তৃপ্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।
:+এটা ছিল তোর শাস্তি । নেক্সট টাইম আমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করার আগে । এই শাস্তির কথা ভেবে নিশ ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি লজ্জায় মুখ বাকিয়ে অন্য দিকে তাকালো । নিদ্র মুচকি হেসে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নিদ্র বেরিয়ে যেতেই তৃপ্তি ঠোঁট উল্টে বললো ।
:+ধাত,,,এমন লাগছে কেন আমার । এর আগেও তো চুমু খেয়েছে ভাইয়া । তাহলে আজ এমন লাগছে কেন আমার ।(তৃপ্তি)
এই বলে ডান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে ঠোঁট মুছলো তৃপ্তি । এরপর সাত পাচ ভাবা বন্ধ করে, ফোন আর হাত ঘড়ি নিয়ে বেস্থ হয়ে গেলো সে ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিষেধ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]