#Your_psychoPart_05+6
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
রশ্নির গান শুনে ইয়াশের কেমন রিয়েক্ট করা উচিত, তা তার জানা নেই।
হি ইজ স্পিচলেস😑
কিন্তু ইয়াশ বুঝতে পারলো যে রশ্নি ওকে নিজের কোল বালিশ মনে করছে,
আর গানও ঘুমের ঘোরে গাইছে।
ইয়াশ লক্ষ্য করে দেখল;
রেহেনা বেগম এখানেই আসছেন।
তাই ইয়াশ তাড়াতাড়ি রশ্নিকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে সোজা করে দার করলো।
এতে রশ্নি কিছুটা হকচকিয়ে উঠে!
রশ্নি: আমি কুতায়?😭
তারপর রেহেনা বেগম এসে ইয়াশ আর রশ্নিকে ওটস আর কিছু ফল খেতে দিলেন।
রশ্নি: এগুলা তো হাতি,বাদর, হনুমানদের খাবার!
রশ্নি এগুলো খাবে না।
রেহেনা: খাবে না মানে কি, তোমার এটাই খেতে হবে!
ইয়াশ টেবিলের নীচে থেকে রশ্নির হাতটা চেপে ধরলো
ইয়াশ: থাক আন্টি ও যেহেতু খেতে চাইছে না তাহলে জোর করার দরকার নেই, আমি বরং ওকে রাস্তায় অন্য কিছু খাইয়ে দিবনে।
রশ্নি: রশ্নি এটাই খাবে😐
আই লাভ ওটস, আই লাভ হাতি হনুমানদের খাবার।😐
ইয়াশ ওর দিকে তাকিয়ে একটা টেডি স্মাইল দিলো।
রশ্নি কোনো মতে ওগুলো খেয়ে ইয়াশের সাথে বেরিয়ে গেল। কিন্তু রশ্নির ওগুলো খেয়ে পেট ভরে নি😑
বাড়ি থেকে বেরিয়ে রশ্নি গিয়ে নিজের বাইকে বসে স্টার্ট দিচ্ছিল,
ইয়াশ গিয়ে ওকে ধরে ফেলল।
রশ্নি: উফ আবার কি?
ইয়াশ: আমি সিরাজউদ্দৌলাকে দেখিনি কিন্তু আজ তোমাকে দেখে নিলাম।
লাইক সিরিয়াসলি! তুমি জিমে বাইক দিয়ে যাবে?
রশ্নি: তো প্রবলেম কই?😒
ইয়াশ: তাহলে জিমে যেয়ে লাভটাই কি?
নামো বাইক থেকে।
ইয়াশের ধমক খেয়ে রশ্নি তাড়াতাড়ি নেমে গেল।
ইয়াশ: জিম সেন্টার সামনেই তাই আমরা এখন সেখানে হেটে যাবো।
বলে ইয়াশ হাটতে লাগলো।
রশ্নির আর কি করার, ঐও হাটা ধরলো ইয়াশের পিছনে।
বেশ কিছুক্ষণ পর ইয়াশ লক্ষ করলো রশ্নির সাথে নেই।
পিছনে ফিরে দেখে
কিছুটা দূরে একটা দেওয়ালের পাশে মাথা ঠেকিয়ে বসে বসে ঝিমুচ্ছে।
ইয়াশ গিয়ে ওর পাশে বসলো।
— রশ্নি উঠো (ঝাকিয়ে)
পরপর কয়েকবার ডাকার পরেও রশ্নি উঠলো না।
রশ্নি: আই এ্যাম ভেরি হাংরি এন্ড স্লিপি (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ: হুম…..আমার আগেই বুঝা উচিত ছিল যে তুমি সোজা কথায় মেয়ে না।
ইয়াশ ওকে বসিয়ে পাশের দোকান থেকে এক প্যাকেট চিপস আর চকলেট কিনে নিলো।
তারপর রশ্নিকে আবার ডাকলো।
রশ্নি আধো আধো চোখ খুলে সামনে এসব খাবার দেখে লাফ দিয়ে উঠে বসলো,
রশ্নি ওগুলোর দিকে অলরেডি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে
কিন্তু ধরার আগেই ইয়াশ সেগুলো সরিয়ে নিল।
রশ্নি: নীল ভাইয়া, হোয়াট ইজ দিস বিহেভিয়ার?😡
আমার জন্য না আনলে আমার সামনে রেখেন কেন?
ইয়াশ: এগুলো তো তোমার জন্যই সুইটহার্ট,
কিন্তু এত সহজে তো পাবে না।
রশ্নি: আমি বাসায় যেয়ে টাকা দিয়ে দিব, কিন্তু প্লিজ এখন আমাকে খেতে দিন আমার খুব খিদে পেয়েছে।🤤
ইয়াশ: রশ্নি তুমি কি সত্যিই এই চকলেটটাকে খেতে চাও? (রশ্নির মুখের সামনে ঘুরিয়ে)
রশ্নি এমনিতেই ক্ষুধার্ত তার উপর আবার ওর ফেভরেট চকলেট।
রশ্নি: হ্যা।🤤
ইয়াশ: নাও।
রশ্নি নিজের হাতটা আগে বাড়িয়ে দিল দেখে ইয়াশ উঠে কিছু টা দূরে গেল।
রশ্নিও ওর কাছে গেল।
তা দেখে ইয়াশ আবার পিছিয়ে গেল!
এভাবে আস্তে আস্তে তা দৌড়ে পরিণত হলো।
ইয়াশ হাতে চকলেট নিয়ে দৌড়াচ্ছে আর রশ্নি চকলেটের পিছনে।
কিছুক্ষন বাদে ওরা ফাইনালি জিন সেন্টারে এসে পৌছালো।
সেখানে গিয়েই চকলেটের উপর হামলা করে দিলো।
ওকে দেখে মনে হচ্ছে
যেন কোনো রাক্ষসী একটা মানুষের রক্ত খাচ্ছে।
ইয়াশ: বেচারি। ইয়াশ রশ্নির মাথায় হাত রেখে বললো
এতক্ষনে রশ্নির খেয়াল হলো যে ও কি করছিল!
রশ্নি অসহায় দৃষ্টিতে ইয়াশের দিকে তাকায়!
তা দেখে ইয়াশ মুখ টিপে টিপে হাসছে।
রশ্নি: আপনার মতো মানুষ আমি দুইটা দেখি নাই।
ইয়াশ: ইয়াহ আই নো দ্যাট আই এ্যাম ইউনিক।😎
রশ্নি: ঘান্টা! (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ: কিছু বললে?
রশ্নি: না।😒
কিছুক্ষন পর শুরু হলো রশ্নির ব্যায়াম,
কিন্তু রশ্নি সেখানেও ঝিমুচ্ছে।
তাই ইয়াশ ওকে প্রমিজ করলো যে ও একটা
করে এক্সারসাইজ কমপ্লিট করবে আর ইয়াশ ওকে প্যাকেট থেকে এক পিস করে চিপস দিবে।
রশ্নি তাতেই রাজি হয়ে গেল।
আর ইয়াশএর বলা কথামতই সব করলো।
জিম থেকে বেরিয়ে
রশ্নি নীলের পিঠে চড়ে যাচ্ছে।
আর চিপস চিবুচ্ছে।
ইয়াশ: তোমার দ্বারাই এক্সারসাইজ আর চিপস খাওয়া এক সাথে সম্ভব।
রশ্নি: 😏
ফাইনালি ওরা বাসায় এসে পৌছালো।
রশ্নি নিজের রুমে এসেই ধড়াস করে বিছানায় পরে গেল।
ইয়াশদের বাসা একদমই রশ্নিদের বাড়ির পাশে,
ছাদ একদম লাগানো, ছাদ দিয়ে টপকেও যাওয়া যায়।
তাই ইয়াশ আর রশ্নিদের একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া লেগেই থাকে।
রশ্নি শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে গেল।
কিন্তু বেচারির তাতেও শান্তি হলো না😞
কিছুক্ষন পর রেহেনা বেগম রশ্নিকে ঘুম থেকে উঠালো
রশ্নি: তোমাদের প্রবলেমটা কি বলো তো! আমার ঘুম তোমাদের কি ক্ষতিটা করেছে কি?
রেহেনা: এখন তুমি ভার্সিটিতে যাবে।
রশ্নি: আজকে যাবো না। আর গিয়েও কোনো লাভ নাই পড়া লেখা তো করিই না হুদদাই পিছনে বইসা পাবজি খেলতে যাই।
রেহেনা: ফালতু কথা অনেক হয়েছে,
এবার যাও রেডি হয়ে যাও ভার্সিটিতে যাবে।
রশ্নি: সরি মাম্মাম কিন্তু তা তো হচ্ছে না।
বলে টাইটানিক পোজে, দুই দিকে হাত ছড়িয়ে বেড়ে শুয়ে পড়লো।
রেহেনা: হুহ আমিও তোর মা, সিধা আঙুলে ঘি না বের হলে তা কিভাবে বাকাতে হয় সেটা খুব ভালো করেই জানা আছে আমার।
রেহেনা বেগম গিয়ে স্পিকার বক্সে ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দেন।
রশ্নি শেষে আর সহ্য করতে না পেরে উঠে বসে।
স্পিকারের সামনেই রেহেনা বসে আছেন সো উনি যে রশ্নিকে মিউজিক অফ করতে দিবেন না সেটা রশ্নির জানা আছে।
আর এই মুহূর্তে ওর বাড়িতে থাকার আর কোনো মুডই নেই।
তাই এর থেকে ভালো ভার্সিটিতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে বসে পাবজি খেলা।
এই ভেবে রশ্নি উঠে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল
.
ভার্সিটিতে গিয়েই রশ্নি ওর বন্ধু বান্ধবদের কাছে গেল,
ওরা সবাই ক্লাসে ছিল।
রশ্নি: এ্যাই মাম্মারা।😑
ওরা নরমালি কথা বলছিল তখন সানা বলে উঠে
— এই মামা তোর গলায় এটা কিসের দাগ রে?🤨
রশ্নি গলায় হাত দিয়ে মনে পড়ে যে,
নীল ওকে সকালে কামড় দিয়েছিল আর এটা
ওই লাগটাই।
কাশিকা: দেখে লাভ বাইট মনে হচ্ছে,
রশ্নি: ধুর তোরা যে কি বলিস,😅 আমি তো জন্মগতই সিঙ্গেল😅
সুপ্তি: এই নির্ঘাত মিথ্যা বলতাছে, কারন ওই যখন মিথ্যা কয় তখন ঐ শুদ্ধ ভাষায় কথা কয়😎
কাশিকা: বেবি তুমি আমাকে শিখাতে আইসো না,
আজ পর্যন্ত ৪৬ টা প্রেম করছি সো এসবের ব্যপারে আমার খুব ভালো করেই জানা আছে।
ওরা কথা বলছিল তখনই ক্লাসে রশ্নির বাবা মানে প্রিন্সিপাল ওদের রুমে আসেন,
আর উনি একা আসেন নি সাথে আরেকজনকে নিয়ে এসেছেন।
উনি এবার বলা শুরু
করলো: সো স্টুডেন্টস, ইনি হলেন আজকের থেকে তোমাদের নিউ একাউন্টিং টিচার।
এটা শুনা মাত্র রশ্নির মাথা টা যেন ভন ভন করে ঘুরতে শুরু করলো।
রশ্নি: ওই আমারে কেও ধর!😵
.
.#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_06
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
সাদা শার্ট আর ব্ল্যাক প্যান্ট পরা ছয় ফুট দুই ইঞ্চির মাত্রাধিক একজন লোক প্রিন্সিপাল এর পাশে দাঁড়িয়ে আছে,
চিকন ফ্রেমের চশমার পিছনে সেই নীল মনি বিশিষ্ট চোখ গুলোর সেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি,
ঠোঁটের কোণে সেই পাগল করা বাঁকা হাসি,
যা আজ সেখানে উপস্থিত সকল মেয়েকে ঘায়েল করছে।
কিন্তু এই লোকটাকে দেখে যে একজনের জান বেরিয়ে যাচ্ছে, আর সে হলো আমাদের আল্ট্রা টেলেনডেট রশ্নি🥴
কারন সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে আর কেউ নয়, স্বয়ং তার সাইকো ডেভিল নীল!
রশ্নি: ওই আমারে কেও ধর!
সানা: তোর আবার কি হইলো
রশ্নি: আমার চোখে সব কিছু ঝাপসা মনে হয়,
আমার মনে সব কিছু কেন এলোমেলো লাগে😵
কাশিকা: উফ এই নিউ টিচার টা কি হট, এটারে সেট করতে হইবো। 😍
দেখ কেমন নামের মতোই নীল কালার চোখ😍
রশ্নি: সানা এই শাকচুন্নিটারে চুপ করতে ক।😡
কাশিকা: 😒
প্রিন্সিপাল আবার বলা শুরু করলো;
প্রিন্সিপাল: তোমাদের একাউন্টিং টিচার এর সাথে আমাদের ভার্সিটির নতুন ভি.পি. ও উনি
অনেক রিকুয়েস্ট করার পর তোমাদের একাউন্টিং ক্লাস নেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন, সো বি থ্যাংকস টু হিম!
কাশিকা: ওয়াও টিচার প্লাস ভি.পি.😍
রশ্নি: আমি এই বেদনাময় গেবনটা আর রাখমু না😢
মানে ডাইরেক্ট ভাইস প্রিন্সিপাল?😨 আর এরে রিকুয়েস্ট করার কি দরকার ছিল😤
এর থেইক্কা তো ভালো আমগো ডাইনি ম্যামই দুইটা ক্লাস নিত😤
সুপ্তি: দোস্ত নুডুলস খাবি? খুব ট্যাশ! (🐸)
রাতুল: হ খায়া দেখ সত্যিই জোস
রশ্নি: রাখ তোর খুব ট্যাশ নুডুলস, আমি মরি আমার জ্বালায় এরা এদিকে নুডুলস পার্টি করে😡
প্রিন্সিপাল স্যার ইয়াশকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলেন।
ইয়াশ এবার বলা শুরু করলো;
— হ্যালো এভরিওয়ান!
সবাই: হ্যালো স্যার! 😍
ইয়াশ: মাই নেইম ইজ নিলাদ্রিশ আহমেদ চৌধুরী ইয়াশ,
এন্ড ফ্রম নাও অন আই এম ইওর নিউ একাউন্টিং টিচার এন্ড দা নিউ ভি.পি. অফ দিস ভার্সিটি।
সুপ্তি: এই বেডা কি কইলো রে ইংরেজিতে?
রশ্নি: আমার বাপের মাথা।😡
কাশিকা: যাইই বলুক বাট ভয়েস টাও হট! 😍
সানা: ভয়েস আবার কেমনে হট হয়?🙄
কাশিকা: তুই বুঝবি না কারন তুই এখনই বাচ্চা।
সানা: 😒
দিপু: তোরা চুপ করবি প্লিজ?
অন্তর: দেখছিস না ক্লাসে নতুন টিচার এসেছে!
অনু: তাতে আমগো বাপের কি, আমরা তো কথা কমুই😎
দিপু: এদের বলে লাভ নেই এরা শুধরাবার নয়!
ইয়াশ: আমি কিন্তু আমাকে ক্লাসে কোনো ধরনের ডিস্টারবেনস সহ্য করবো না!
ইয়াশ যে কথাটা রশ্নিদের উদ্দেশ্য করে বললো সেটা সবাই বুঝতে পারছে।
দিপু: এর জন্যই চুপ করতে বলেছিলাম।
সুপ্তি: স্যার আজকের থেকেই ক্লাস শুরু করবেন?
ইয়াশ: হ্যা,,,,এনি প্রবলেম?
সুপ্তি:নোপ!
সুপ্তি বসে পড়লো
তারপর ইয়াশ ক্লাস নেওয়া শুরু করলো!
কিন্তু এদিকে রাতুল,অনু,সানা আর দিপু
চারজন মিলে পাবজি খেলা শুরু করে দিয়েছে,
সুপ্তি আর অন্তর খাওয়া দাওয়া নিয়ে ব্যাস্ত, আর কাশিকা পাশের বেঞ্চের ছেলের সাথে জমিয়ে প্রেম করছে
রশ্নির মাথায় কিছুই ঢুকছে না উল্টো ঘুম আসছে।
তাই রশ্নি সানার কাঁধে মাথা রেখে ঝিমুচ্ছে!
তখন ইয়াশ চিৎকার করে উঠলো!
ইয়াশের চিৎকারে সবাই সব কাজ ছেড়ে সোজা হয়ে বসে।
ইয়াশ: হে ইউ……(রশ্নির উদ্দেশ্যে)
সানা: লিসেন্ট টু মি! (আস্তে আস্তে করে বললো)
রশ্নি: ইউ আর মাই লাভ জানো তুমি! (আনমনা হয়ে)
রশ্নির কথায় ক্লাসের সবাই একসাথে হেসে দিলো।
ইয়াশ: জাস্ট শাট আপ……
সবাই: 🤫🤫
ইয়াশের চিৎকারে রশ্নি হকচকিয়ে উঠে বসে!
ইয়াশ: এই তুমি দাঁড়াও।
রশ্নি দাঁড়ালো,
ইয়াশ: নাম কি তোমার?
ইয়াশের কথায় রশ্নি যেন আকাশ থেকে পড়লো!
রশ্নি: 🙄😕🤨😳😒😨😱🥺
ইয়াশ: এমন বিদঘুটে রিয়েকশন না দিয়ে যা জিজ্ঞেস করেছি তার স্ট্রেইটলি উত্তর দাও!
রশ্নি: নীল ভাইয়া তুমি আমাকে ভুলে যেতে পারো না,
এই বুকেরই মাঝে যে আছে শুধু তোমারই নাম!🥺
অন্তর: দোস্ত এগুলা হেতি কিয়া কয়?😨
সানা: চুপ থাক, ঘুমের ঘোরে আছে।😪
(বেচারিরা তো আর জানে না যে রশ্নির বুকে সত্যিই নীলের নাম লিখা আছে😂)
ইয়াশ: হোয়াট?
সানা রশ্নির পায়ের মধ্যে জোরে একটা পাড়া দিলো,
যার ফলে রশ্নির ঘোর টা কাটলো।
রশ্নির এখন খেয়াল হলো ও এতক্ষন কি বলছিল!
রশ্নি: সরি নীল ভাইয়া!
ইয়াশ: কল্ড মি স্যার আর প্রিন্সিপাল রুমে এসো।
বলে রাগে গজগজ করতে করতে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
রশ্নি এবার কটমট করে সানার দিকে তাকালো,
রশ্নি: তোর জন্যই সব হলো!😡
সানা: আমি কি করছি?
রশ্নি: তুই গানএর লাইন গাইতে গেছিলি কেন?
সানা: আমার মন চাইছিল তাই!
রশ্নি: আমি একদিন তোর মনটারে সুপ বানায়া খাইয়া ফেলুম😡
সুপ্তি: আমারে একটু দিস, খায়া দেখুম কেমন ট্যাশ হয়।
সবাই: 🤦
ক্লাস শেষে সবাই অফিস রুমে যায়।
কিন্তু ভিতরে আসতে শুধু রশ্নিকেই বলা হয়।
রশ্নি ভিতরে গিয়ে এক কোনায় চুপসে দাঁড়িয়ে আছে।
সামনে ওর বাবা বসে আছে আর তার পাশেই ইয়াশ দুই হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে,
রাশিদ: রশ্নি আবার কি করেছে?
ইয়াশ: জিজ্ঞেস করেন কি করেনি!
এই আর এর সাঙ্গ পাঙ্গরা ভার্সিটিতেই আসে আড্ডা মারার জন্য!
পড়ালেখা তো করেই না উল্টো
পিছনের বেঞ্চে বসে পিকনিক মানায়
খাওয়া দাওয়া করে,গেইম খেলে,ঘুমায়।
মানে পিছনের বেঞ্চ নয় যেন ওদের পিকনিক স্পট!
রাশিদ: রশ্নি, স্যার যা বলছে তা কি সত্যি?
রশ্নি: স্যার কেডা?😒
রাশিদ চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালেন!
রশ্নি মাথা একবার ডান দিকে করলো একবার বাম দিকে করলো।
ইয়াশ: স্যার দেখুন কিভাবে মিথ্যে বলছে।
রশ্নি: রশ্নি মিথ্যা কথা বলে না আর সত্যের ধারের কাছেও যায় না!😎
রাশিদ: শাট আপ!
রশ্নি: হুহ পাইছে সবাই এক ডায়লগ😒– (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ: দেখুন এখনো বেয়াদবি করছে!
রশ্নি: আমি কোথায় বেয়াদবি করলাম?
রাশিদ: আবার বড়দের মুখে মুখে কথা বলছো,
রশ্নি একটু তো ভদ্র হও!
রশ্নি: রশ্নির নগরীতে এসে সহ্য, ধৈর্য, লজ্জা, ভদ্রতা আর নম্রতা খুঁজতে এসো না!
হয়তো হেরে যাবে যাবে, নয়তো হারিয়ে যাবে। 😎
রাশিদ: চুপ থাকো, তুমি জানো লজ্জা একটা মেয়ের গহনা হয়।
রশ্নি: আর পাপা তুমি তো জানোই তোমার মেয়ের গহনার এলার্জি আছে! 🥺
রাশিদ: একে নিয়ে আমি আর পারছি না!
বলে রাশিদ রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
রশ্নি এতক্ষন ইয়াশকে খেয়াল করে নি কিন্তু এখন যখন ইয়াশের দিকে চোখ পড়ল!
রশ্নি বুঝতে পারলো ও অনেক রেগে আছে কারন ওর চোখের সাদা অংশ গুলো পুরো লাল হয়ে গেছে।
ওকে দেখে রশ্নি নিজের মাথা নামিয়ে নিলো!
ইয়াশ গিয়ে রশ্নির হাত চেপে ধরে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসলো!
রশ্নি নিচের দিকে চোখ রেখেই নিজের হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে।
ইয়াশ: কে যেন একটু আগে বলেছিল,
তার নগরীতে লজ্জা বলতে কিছু নেই তাহলে এজন লজ্জা পাচ্ছো কেন!
রশ্নি: ওইসব লজ্জা টজ্জা পাচ্ছি না শুধু আপনার জুতো টা কোন ব্রান্ডের সেটা দেখছিলাম🙄
ইয়াশ: তাই না?
ইয়াশ ওকে ছেড়ে দিলো,
ইয়াশ: নাও এবার কানে ধরে ৫০ বার উঠবস করো!
রশ্নি: এহ!😟
ইয়াশ: এহ টেহ পরে হবে আগে কানে ধরো উঠবস করো,
আর তোমার জন্য তো সহজই কজ, তোমার তো আর লজ্জা টজ্জা নেই সো শুরু করে দাও।
রশ্নি: নু পিলিগ!(নো প্লিজ)😭😭
ইয়াশ চোখ রাঙ্গালো
রশ্নি: ভাল্লাগে না সবাই শুধু চোখ গরম করে তাকায়😭
রশ্নি কিছুতেই কানে ধরতে চাইছে না আর ইয়াশও দমবার পাত্র নয়, কানে ধরিয়ে তো ছাড়বেই!
ইয়াশ রশ্নিকে এক ধরণের ধমকানো শুরু করলো
হঠাৎ রশ্নির ফোন বেজে উঠলো–
Munni badnaam huyi, darling tere liye
Munni badnaam huyi, darling tere liye
Munni ke gaal gulabi, nain sharabi, chaal nawabi re
Main zandu balm huyi, darling tere liye
Munni badnaam huyi, darling tere liye
ইয়াশ চোখ বড় বড় করে রশ্নির দিকে তাকায়!
আর এদিকে রশ্নি একবার ইয়াশের দিকে তাকাচ্ছে তো একবার ফোনের দিকে!
বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে কল টা কাটার কিন্তু কিছুতেই হচ্ছে না।
.
.
.
To be continued,