রাঙিয়ে_দাও #পর্ব(৪) #লেখনীতে_শারমীন_ইসলাম

0
244

#রাঙিয়ে_দাও
#পর্ব(৪)
#লেখনীতে_শারমীন_ইসলাম

রাবেয়া খাতুনের অসুস্থতায় কেঁদে কেটে নিজের অবস্থা নাজেহাল করে ফেলেছে প্রান্তি।এই বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষকে সে প্রচন্ড ভালোবাসে।শুধু ভালোবাসে নয়। তাদের ভালো-মন্দ থাকা, সুখ-অসুখ তার অনুভূতিকে স্পর্শ করে।খুবই নিগাঢ়ভাবে স্পর্শ করে।তাদের ভালো থাকায় যেমন নিজে খুব সুখে থাকায় যে শান্তি অনুভব হয় তেমনটা অনুভাবিত করে সে।আবার তাদের কষ্টে থাকায় অসুস্থ হওয়ায় সেই অনুভাবিতরা তাকে প্রচন্ড কষ্ট অনুভব করার।এমনকি বাড়ির অপছন্দনীয় মানুষটার ক্ষেত্রে-ও একই অনুভূতি অনুভব হয় তার।

রাবেয়া খাতুনের অসুস্থতায় প্রান্তি আবারও আপনজন হারানোর ভয়টা উপলব্ধি করেছে।নানিমার অসুস্থতার এই দু’দিন শুধু মনে হয়েছে এই বুঝি তাকে ভালোবাসার আরও একজন মানুষ কমে গেলো।যদিও নিজের মাকে হারিয়ে ফেলার উপলব্ধি সে অতটুকু বয়সে উপলব্ধি করতে পারিনি।তবে এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারে।মনেহয় তারও একজন মা থাকলে-ও পারতো।যাকে শুধুই মা বলে ডাকা যাবে।শুধুই মা।যেমনটা আদ্র -নিদ্র মেজো মামিকে ডাকে।আবিশা তার মাকে ডাকে।প্রজ্ঞা আপু আর ওই মানুষটাও ডাকে।যদিও বড়আম্মা তাকে মায়ের মতোই ভালোবাসে।আলগে রাখে।প্রান্তি জানেনা তার মা বেঁচে থাকলে তাঁকে কেমনটা ভালোবাসতেন।বড়আম্মা যতোটা ভালোবাসে তারচেয়ে বাসতো কিনা?

তবে বড়আম্মা নামক মানুষটা তাকে নিজ সন্তানের মতো ভালোবাসে।তবুও কোথা-ও না কোথা-ও মায়ের অভাবটা কিছুটা হলেও অনুভব করে প্রান্তি।মা ডাকটার শূন্যতা সে অনুভব করে।হয়তো একেক সম্পর্কের স্নেহ ভালোবাসা আদর চাহিদাটা একেক রকম।ভিন্নতর হয়।সাথে মনের চাহিদা আর স্বাদটা-ও।সেটা হয়তো অন্য সম্পর্কের মানুষ সবটা দিয়ে চেষ্টা করলেও সেই স্বাদটা মনোচাহিটা সম্পূর্ণ পূরন হয়না।করতে পারে-না কেউ । চাইলেও পাওয়া যায়না সেই স্বাদ,গন্ধটা।সেজন্য হয়তো হৃদয়ের এতো ব্যাকুলতা।

রাবেয়া খাতুনের নিস্প্রভ ঘুমান্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে এসব ভেবে চলেছে প্রান্তি।সত্যি বলতে এসব অদ্ভুত ভাবনাগুলো আগে কখনো তার মাথায় আসেনি।হঠাৎই নানিআম্মার ঘুমান্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে ভাবনাগুলো মাথায় আসলো।নানিআম্মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে অদ্ভুতভাবে প্রান্তির মায়ের নামটা জপে চলেছে ।সেখান থেকেই ভাবনাগুলো উদয় হলো তার।তপ্ত শ্বাস ফেলে ভাবনার লম্বা সূতোটা কাটলো প্রান্তি।

নানিআম্মা কোনো কারনে তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।সে গোসল করার জন্য ওয়াশরুমে ছিল।বিধায় আসতে একটু দেরি হয়েছে।এসেই দেখে নানিআম্মা ঘুমিয়ে পড়েছেন।ঔষধের কড়া ডোজের প্রতিক্রিয়া সরূপ এই ঘুম।না-হলে এই অসময়ে নানিআম্মা কখনোই ঘুমাতে পছন্দ করেন না।

—কিরে বাঁধনহারা।এখনো বুঝি মন খুব খারাপ?

ছোটো মামার কথায় তারদিকে ফিরলো প্রান্তি।সবসময় উচ্ছলিত থাকা মানুষটার মুখটা এই দু’দিনে কেমন জেন চুপসে গিয়েছে।অবশ্যই নানিআম্মার অসুস্থতায় বাড়ির সবারই একই হাল।একই অবস্থা।পুনরায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হাবিবকে উদ্দেশ্য করে মুখে কিছু না বলে মাথা নাড়িয়ে না জানালো প্রান্তি।অর্থাৎ তার মন খারাপনেই।প্রান্তিকে মাথা নাড়িয়ে কথাটা বলতে দেখে শুষ্ক ঠোঁট মৃদু হাসলো হাবিব।ফের এগিয়ে আসতে আসতে বললো।

—কিন্তু আমার বাঁধনহারা পাখিটার মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে তার এখনো মনটা খুবই খারাপ!

এগিয়ে এসে মায়ের আরামদায়ক বিছানার পাশ ঘেঁষে গিয়ে দাঁড়ালো হাবিব।যেখানে মায়ের শিহরে বসে আছে প্রান্তি।কাছে এসে প্রান্তির মাথায় স্নেহের হাত রাখলো সে।ফের মায়ের ঘুমান্ত মুখের দিকে ক্ষীন সময় তাকিয়ে প্রান্তিকে উদ্দেশ্য করে আদূরেস্বরে বললো।

—নানীআম্মা তো এখন সুস্থ হয়ে গেছে তবু্ও কেনো মন খারাপ করে আছিস পাখিটা?আমার বাঁধনহারা পাখিটা এরকম নিশ্চুপ থাকলে মানায়।নাকি এরকম মন খারাপ করে থাকলে তাঁকে ভালো দেখায়।

হাবিবের পেটের কাছের টিশার্টটা আলতো হাতে খামচে ধরল প্রান্তি।ফের নিজের মাথাটাও সপে দিল সেখানে।নিঃশব্দে চোখের পানি গড়ালো।ফের ভাঙা গলায় বললো।—তোমরা আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো ছোটো মামা?মা থাকলে বুঝি তোমাদের থেকেও বেশি ভালোবাসতেন।তবে কেনো মা চলে গেলেন?চলেই যখন গেলেন তখন আবার নানি আম্মাকে কেনো ডাকছেন?
নিজে আমাকে আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত রেখে এখন কেনোই বা নানিআম্মার আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করতে চাইছেন?নানিআম্মার কিছু হয়ে গেলে আমার যে খুব কষ্ট হবে।থাকবো কি করে আমি?

অসুস্থ হওয়ার পর মা আজ দু’দিন ধরে বেশ এই একই কথা আওড়াচ্ছেন।পারুল আমাকে ডাকছে,কিন্তু তোর দায়িত্ব পালন না করে আমি তোর কাছে যাবো কিকরে পারুল?আপাকে ভিষন ভালোবাসতেন মা।শুধু মা একা নয় আব্বাসহ এই বাড়ির সবাই।এটা জানা হাবিবের।আর আপাকে ভেবে ভেবে হয়তো আবার-ও এই অসুস্থততা বাঁধিয়েছেন মা।আর সেই ভ্রম থেকে বারবার এই কথা গুলো আওড়ে যাচ্ছেন।আর সেটারই প্রভাব পড়েছে মেয়েটার উপর।

প্রান্তির মাথার ঘন-কালো চুলের ভাজে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিয়ে ফের মাথা নিচু করে আদর দিলো হাবিব। সৌহার্দ্যপূর্ন গলায় বললো।—তোর নানিআম্মা আপাকে খুব বেশি ভালোবাসতেনতো তাই অসুস্থততার ভ্রমথেকে এগুলো বলছেন।মরা মানুষ আবার জীবত মানুষকে তারকাছে ডাকতে পারে নাকি?কি-করে ডাকবে পাখি? এগুলো ভেবে ভেবে আর অযথা মন খারাপ করিস-না।
আমার বাঁধনহারা পাখিটার এরকম মন খারাপ করে থাকাটা আমাকে শান্তি দেয়না।মায়ের বয়স হয়েছে তো এখন একটু আধটু অসুস্থতো হবেনই।

কথাগুলো প্রান্তিকে সান্তনাসরূপ বললেও মায়ের অসুস্থতায় নিজেও আপনজন হারানোর ভয়ে কুঁকড়ে আছে হাবিব।মা যে প্রত্যেকটা সন্তানের কতোটা জুড়ে থাকেন।শুধু সন্তানেরাই জানেন।পিতামাতা যেমনই হয়ে থাকুক তাদের ছত্রছায়া সন্তানের জন্য কি?সেটা একটা পিতাহারা সন্তান ছাড়া কেউ বোঝেনা।সে সম্পূর্ণ নাহলে ও কিছুটা বুঝেছে বাবা চলে যাওয়ার পর।

—কাঁদিস না।নানিআম্মা উঠে যাবেন।আর উঠে গিয়ে যদি দেখেন তুই কাঁদছিস তবে তো আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।তোর নানিআম্মাতো এখন মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেছেন ঠিক আছেন।ঘুম থেকে উঠলে আগের ন্যায় দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া শুরু করে দিবি।দেখবি তিনি সবটুকু ভালো হয়ে গেছেন। চল এখন নানিআম্মাকে ঘুমাতে দে।

হাবিবের কথায় সম্মতি জানালো প্রান্তি।ফের চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো।উঠতেই নজর চলে গেলো ছোটো মামার মুখপানে।মামার চোখে পানি দেখে কিছুটা আশ্চর্য হয়ে বললো—তুমি কাঁদছো ছোটো মামা?

মুখে মৃদু হাসি টেনে চোখের পানি মুছে নিল হাবিব।ফের ডান হাতটা বুকে সঁপে রেখে বললো।–মা যে আমার।তিনি অসুস্থ হলে এখানে কষ্ট অনুভব হয়,ব্যথা পায় যে।

প্রান্তি বুঝলো অবাস্তব অগ্রহণযোগ্য প্রশ্ন করে ফেলেছে সে।নানিআম্মার সাথে তার থেকেও এই মানুষটার যে আপন সম্পর্ক।সেখানে এই প্রশ্ন বেমানান।আবারও দু’জনে বিছানায় শয়নরত রমনীর দিকে তাকিয়ে শান্ত পায়ে নিঃশব্দে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।

.

সময়টা বিকাল।ড্রয়িংরুমের ডাবল সোফায় বসে আছে প্রহান।প্রান্তির বাবা এসেছেন দাদিআম্মাকে দেখতে উনার সাথেই এতোসময় কথা বলছিলো সে।দাদিআম্মা ঘুমিয়ে ছিলেন বিধায় ড্রয়িংরুমে বসে সবার সাথে কথা বলছিলেন তিনি।মা আর চাচিরাও উনার আপ্যায়নে চা নাস্তা তৈরী করছেন।বাবা চাচারা কেউ বাসায় নেই। বিধায় উনার সাথে সময়টা তাঁকে কাটাতে হচ্ছে।আর তার মায়ের আদূরে বিড়ালটাও এখনো দুপুরের ঘুম ঘুমাচ্ছে।বিধায় বাাবা আসার খবরটা এখনো শোনেনি।

—ভাই সাহেব আম্মা উঠেছেন।নামাজ পড়ছেন।নামাজ শেষ হলে আপনাকে রুমে ডাকছি।এখন আপতত চা নাস্তা সারতে থাকুন।

কথাটা বলে প্রান্তির মেজো মামি নাস্তা র ট্রে টা সোফার সামনে কাঁচের টেবিলটার উপর রাখলেন।প্রান্তির বাবা মানুষটা খুবই সহজ সরল আর শান্ত মানুষ।নিজের ব্যবহারের মাধুর্য্যতা বজায় রেখে তিনিও বেশ সরলস্বরে বললেন–আম্মা উঠেছেন যখন তারসাথে সাক্ষাৎটা করেই তারপর নাহয় নাস্তাটা সারি ভাবি।

প্রান্তির মেজো মামি মিষ্টি করে হাসলেন।—আচ্ছা ঠিক আছে।

নাস্তার ট্রেটা নিয়ে আবারও চলে গেলেন প্রান্তির মামি।তিনি চলে যেতেই আবারও কথা শুরু করলেন প্রান্তির বাবা।প্রহান কথা কম বললেও উনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে।কথার একপর্যায়ে দাদিআম্মার রুমেথেকে প্রান্তির বাবার ডাক এলো।তিনি প্রহানের সাথে কথা স্থগিত রেখে সেদিকে পা বাড়ালেন।প্রান্তির বাবা চলে যেতেই প্রহানও উঠে দাঁড়ালো। মূহুর্তের বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠলো।এদিকে কেউ নেই দেখে প্রহানই দরজাটা খুলতে গেলো।দাদিআম্মা অসুস্থ হওয়ার খবর শুনতেই আত্মীয় স্বজনেরা এসে দেখা করে যাচ্ছেন।সেরকমই ভেবে দরজাটা খুলতেই অপরিচিত দুটো মুখ নজরে পড়ল প্রহানের।অপরিচিত নর নারীদের উদ্দেশ্য গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো।

—কাকে চাই?

অপরিচিত নর নারী দু’জন কিছুসময় প্রহানের মুখের দিকে তাকিয়ে বললো—এবাড়িতে একটা মেয়ে আছে না?সেদিন মেয়েটাকে রাস্তায় দেখেছিলাম,খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম সে এই বাড়িরই মেয়ে।মেয়েটাকে আমাদের বেশ পছন্দ হয়েছে।তাই আসলাম।তুমি কি মেয়েটার ভাই।

অপরিচিত মানুষ দুজনের কথাগুলো বুঝতে বেশ কিছু সময় লাগলো প্রহানের।এবাড়িতে মেয়ে বলতে প্রান্তি।আর তারজন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এনারা।অদ্ভুত শান্ত আর গম্ভীর নজরে অনেকটা সময় তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো প্রহান।ফের অতি গম্ভীর্য গলায় বলে উঠলো।

—আপনারা ভুল বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।এই বাড়িতে বিয়ের উপযুক্ত এমন কোনো মেয়ে নেই।

–কিন্তু আমরাতো ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি এই বাড়িরই মেয়ে সে।

—আপনাদের জানতে ভুল হয়েছে!আপনারা আসতে পারেন।

প্রহানের কথা শুনে ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকের কপাল কুঁচকে গেলো।উনারা শিওর হয়ে এসেছেন।মেয়েটা এই বাড়িরই।এমনকি বাড়ির সামনের দোকানদারও বললো এই বাড়িরই মেয়ে সে।তবে ছেলেটা কেনো বলছে ভুল বাড়িতে এসেছেন।তবে মেয়েটাকে কি এখন বিয়ে দিতে চাইছে না?সেটা তো বলে দিলেই হয়!অপরিচিত নর নারী দু’জন চলে যেতেই দরজা আঁটকে দিলো প্রহান।
দরজা আটকে পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখলো প্রান্তি পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।প্রান্তি সবশুনেছে।আর আশ্চর্যও হয়েছে।প্রহান পিছে ফিরতেই সে অবাক হয়ে শুধালো।

—এই বাড়িতে বিয়ের উপযুক্ত কোনো মেয়ে নেই?

প্রহান বুঝলো প্রশ্নটা তাঁকে করা হয়ে তাই শান্তস্বরেই বললো–কে আছে?

—কেনো আমি।আমাকে বিয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়না আপনার।

—নাহহ।তবে তোর যদি এতো বিয়ের শখ থেকে থাকে তবে উনাদের গিয়ে ডেকে নিয়ে আয়,যা!

কথাটা বলে হনহন করে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো প্রহান।ষ্টুপিড মেয়ে একটা!কথাটা প্রান্তির কান এড়ালোনা।সে কপাল কুঁচকে প্রহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।বুঝলোনা সে এমন কি বলছে।মামা মামিদের সাথে কোথাও গেলে।সেখানের পরিচিত মুখ বা অপরিচিত সকল মানুষই তো বলে।মেয়ে উপযুক্ত হয়েছে বিয়ে দেবেন না।এমনকি আশেপাশের মানুষও তো তাই বলে।সেই হিসাবে তো ও কথাটা বলেছে।নিজে বিয়ে করার জন্য তো বলেনি।তবে দোষের কি বললো যে মানুষটা তাঁকে ষ্টুপিড বলে চলে গেলো।আশ্চর্য!অবশ্যই তার ভালো মন্দ কোন কথাটাই বা সহ্য হয় ওই কাঠখোট্টা মানুষটার।ফের অস্পষ্ট স্বরে বললো।

—আমাকে সহ্য করতে পারেন না তাই না।আপনার বউ দেখবেন আমার থেকে-ও অসহ্যকর হবে।এটা প্রান্তির বদদোয়া আপনার জন্য।

চলবে….

প্রচন্ড জ্বর কাশিতে ভুগছি।যার কারনে লিখতে অসুবিধা হচ্ছে। বিধায় পর্ব ছোট হয়েছে।আপতত আজ একটুতে খুশী থাকার চেষ্টা করবেন পাঠক পাঠিকারা।

ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here