#Your_psychoPart_17+18

0
667

#Your_psychoPart_17+18
#A_Devils_Love

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.”৴

.”৴

.”৴

পরেরদিন ভার্সিটি থেকে সবাই একসাথে বের হচ্ছে তখন একটা ছেলে ভার্সিটির সবার সামনে একটা একটা মেয়েকে হাটু গেড়ে প্রপোজ করে।

মেয়েটা খুশি যেন আজ ধরা খায় না।

খুশিতে লাফানো শুরু করে দিয়েছে
দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়েটাও ছেলেটাকে পছন্দ করতো।

তারপর ছেলেটা ওকে রিং পরিয়ে দেওয়ার জন্য ওর হাত চাইলো।

মেয়েটাও হাত বারিয়ে দিলো, আর ছেলেটা পরিয়ে দিলো।

ছেলেটা উঠে দাঁড়ানোর সাথে সাথে মেয়েটা ওকে জড়িয়ে ধরলো।

সানা: বাহ কি মোহাব্বত। কাশ আমারেও কেউ এভাবে প্রপোজ করতো😭

রশ্নি: সেহের ভাই রে বলুমনে তোরে এভাবে প্রপোজ করতে।

সানা: করলেও কি না করলেও কি।

রশ্নি: এভাবে বলতাছস কেন? আর তুই পোলাটারে আর কতদিন এভাবে ঝুলাই রাখবি? এবার তো বেচারারে একটু ভালুপাসা দে।

রশ্নি কথা টা মজা করে বললেও সানা খুব সিরিয়াস ভাবেই রিপ্লাই করলো।

সানা: রশ্নি তুই পাগল হয়ে গেছস?
কি বলতাছস এসব? তুই জানস না আমাদের ফ্যামিলি লাভ ম্যারেজ পছন্দ করে না।

রশ্নি: মামা তুই রাগতাছস কেন?

সানা কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেল।

রশ্নি: যা চলে গেল।
প্রকৃতির কি নিয়ম তাই না, যার ভালোবাসার মানুষ আছে তার ফ্যামিলি মাইনা নেয় না,আর আমার কেউ নাই আবার আমার মা বাপেই আমারে প্রেম কইরা পালায় যাইতে কয়🙂

হুয়াই পিতিবি হুয়াই! হুয়াই ইউ আর ছো নিষ্ঠুর?😫

তখন সুপ্তি আসলো!

সুপ্তি: কিরে বান্দরনি ওই কিরণ মালার আবার কি হইলো?

রশ্নি সুপ্তিকে এতক্ষনে ঘটে যাওয়া সব বললো।

সুপ্তি: ঠিকই তো বলে ওর ফ্যামিলি। তুই জানস না বিয়ের আগে প্রেম করা বাজে ছেলে মেয়েদের কাজ। ভালো মেয়েরা বিয়ের আগে প্রেম করে না।

রশ্নি: জি একদম ঠিক বলেছেন মাতে
শ্রী সুপ্তি রানী ধর!

রশ্নি+সুপ্তি: 🤣🤣

তারপর দুইজন আবার একসাথে জোরে জোরে হেসে দিলো।
.

ছুটির সময় আরিয়ান রশ্নিকে নিতে এসে সারপ্রাইজ দেয়।

রশ্নি আরিয়ানকে ওর সব ফ্রেন্ডস দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আরিয়ানও খুব তাড়াতাড়িই ওদের সাথে মিশে যায়।

ইয়াশ দূরে থেকে সব দুই হাত গুঁজে দেখছে।

আরিয়ান: চল তাহলে এখন যাওয়া যাক।

রশ্নি: হুম চল।

রশ্নি যেই না আরিয়ানের গাড়িতে উঠিয়ে যাবে তার আগেই কোথাথেকে ইয়াশ এসে ওর হাত টেনে ধরে।

যার ফলে রশ্নি গিয়ে ইয়াশের বুকে আছড়ে পড়ে।

রশ্নি: আউচ্ (নাক ডলতে ডলতে)

ইয়াশ: রশ্নির এখন আমার সাথে যেতে হবে সো আসছি।

বলে টেনে নিয়ে যেতে থাকে।

রশ্নি: আরেহ এই জল্লাদ চৌধুরী কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়? ছাড়ুন বলছি! আআআ ছাড়ুন।

ইয়াশ রশ্নির গাল চেপে ধরলো।

ইয়াশ: মুখ দিয়ে আর একটা কথা বের হলে জাস্ট প্যারাক গেঁথে দিব।

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি শুকনো ঢোক গিললো।
রশ্নি জানে এটা করা ইয়াশের জন্য কোনো বড়সড় ব্যাপার না। তাই আপাতত চুপ রইলো।

ইয়াশ গাড়ির দরজা খুলে রশ্নিকে ভিতরে ধাক্কা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলো।

তারপর নিজেও গিয়ে বসল।

রশ্নি: আহ! আমার সাথে এমন কেন করছেন? কি করেছি আমি?

ইয়াশ কিছু না বলে হাই স্প্রিডে ড্রাইভ করা শুরু করলো।
কিছুক্ষন পর এসে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামলো।

তারপর রশ্নিকে আবার টেনে ভিতরে নিয়ে গিয়ে একটা টেবিলে বসিয়ে দিল।

ইয়াশ: বলো কি খাবে?

রশ্নি: এ্যা?😐

ইয়াশের এখন প্রুচুর রাগ হচ্ছে তাই কন্ট্রোল করার জন্য চোখ বন্ধ করে নিলো।
ইয়াশ: বললাম কি খাবে? (দাঁতে দাঁত চেপে)

রশ্নি: আপনি আমাকে এখানে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে এসেছেন?

ইয়াশ: হাইড এন্ড সি সিক খেলার জন্য নিশ্চই নিয়ে আসবো না।

রশ্নি: তাই বলে এমনে টানা হ‍্যাচরা করার কি দরকার ছিল সাইকো হালা🙂–(মনে মনে)

ইয়াশ: এবার কি আমার মেন্টাল ডিসব‍্যালেন্স হয়ে যাবে।

রশ্নি: না না বলছি হ্যা হ‍্যা সাব স্যান্ডইইচ ওকে ডান।

রশ্নির তাড়াতাড়ি মাথায় যা আসলো তাই বলে দিল। কারন ও জানে, এর আরেকটু দেরি হলে ইয়াশ সত্যিই ওর মুখে প‍্যারাক গেঁথে দিতো।

কিছুক্ষন পর স্যান্ডুইচ এর সাথে আইসক্রিম আর কোকও আসে।

রশ্নি: ভাইয়া আইসক্রিম মেবি ভুলে আমাদের টেবিলে দেওয়া হয়েছে।

ইয়াশ: তোমার জন্যই অর্ডার করেছি।

রশ্নি: কিইইইইই…..কিইইইইইই……কিইই…?😱
রশ্নি পুরো স্টার জলশার একটর গুলোর মতো এক্সপ্রেশন দিলো-_-

কিন্তু ইয়াশের কোনো পাত্তা নেই ও চুপচাপ ভদ্র বাচ্চাদের মতো বসে আছে।

রশ্নি: আমার বিস্বাস হচ্ছে না আপনি আমাকে আইসক্রিম খাওয়ার পারমিশন দিচ্ছেন?😱

ইয়াশ: মাঝে মধ্যে খেলে কিছু হয় না।

রশ্নি: 😍

রশ্নি আরামসে খাচ্ছে আর ইয়াশ ওকে দেখছে।

রশ্নি: এভাবে তাকিয়ে না থেকে আপনিও খেয়ে নিন।

ইয়াশ: তোমার ফোনটা দাও।

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নির কোক নাকে মুখে উঠে গেল।

রশ্নি: সরি?

ইয়াশ: ফোন দাও তোমার।

রশ্নি: কিনু?

ইয়াশ কিছু না বলে রশ্নির হাত থেকে ফোনটা কেরে নিলো।

ইয়াশ দেখলো লক স্ক্রিনে “Don’t touch my phone” লিখা ওয়ালপেপার আর নিচে একটা ডেঞ্জার সিম্বল।

ইয়াশ: লেম!
পাসওয়ার্ড বলো।

রশ্নি: ওটা আবার কি😐

ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে তাকালো।

রশ্নি: ভুলে গিয়েছি😭

ইয়াশ: তুমি কি তোমার শরীরের আরো কোথাও আমার নাম দেখতে চাও?

রশ্নি: বেদের মেয়ে জোৎস্না আমায় ফাঁকি দিয়েছে কারন ও Xoss na!🙄

ইয়াশ: হোয়াট?

রশ্নি: এটাই পাসওয়ার্ড🙄

ইয়াশ: ডিসগাস্টিং!

ইয়াশ লক খুলার সাথে সাথে স্ক্রিনে শিনচ‍্যানএর ওয়ালপেপার ভেসে আসে।

ইয়াশ: টু মাচ লেইম।

ইয়াশ রশ্নির ফোন চেক করছে আর এদিকে রশ্নির ঘেমে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে

.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_18

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.

.

.
কিছুক্ষন পর ইয়াশ ফোনটা দিয়ে দিলো।

তবে ইয়াশ কোনো রিয়েক্ট করছে না
দেখে রশ্নির আরো অবাক লাগছে।

তাহলে কি ইয়াশ ওর আইডি থেকে সব ছেলে ফ্রেন্ডদের আনফ্রেন্ড করে দিলো? যদি আইডির পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিয়ে থাকে তাহলে?

আপাতত এই ছোট মাথাটা এত কিছু ভাবার জন্য প্রস্তুত নয়।

রশ্নি আস্তে আস্তে ওর ফোনটা হাতে নিলো।
এখনো ইয়াশ কিছু বললো না।
রশ্নি তাড়াতাড়ি সব চেক করা শুরু করে দিলো।

না সব তো ঠিক আছে।
ইয়াশ মেসেজও চেক করেনি।

করলে টপএ থাকা অন্তরএর দেওয়া নিউ মেসেজটা সিন করতো, কিন্তু তা করেনি।

তাহলে ও ফোনটা নিয়ে করেছেটা কি?

রশ্নি এসব ভাবতে ভাবতেই ইয়াশ বলে উঠলো
— আমি তোমার মত অন্যের পার্সনাল জিনিসে হাত ঢুকাই না।

রশ্নি: 🙄

ইয়াশ: আর আমার মাইন্ড অতটাও চিপ না। একটা মেয়ের, ছেলে ফ্রেন্ড থাকতেই পারে।

রশ্নি: কত্ত ভালো!🥺

হঠাৎ ইয়াশ রশ্নির গাল চেপে ধরলো।

ইয়াশ: যা খুশি করো, কখনো তোমার ইনডেপেন্ডেন্সির মাঝে বাধা হবো না কিন্তু যদি কখনো লিমিট ক্রস করার চেষ্টা করো তখন বুঝবে আসল ফ্রিডমের মানে কি।

রশ্নি হা করে তাকিয়ে আছে কারন ইয়াশের বলা কোনো কথাই ওর মাথায় ঢুকে নি।

ইয়াশ: এখন বাসায় চলো।
বলে আবার টানতে শুরু করলো।
তারপর বিল দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল।

.

সানার আজ একটু ভালো লাগছে না। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় এসে শুয়ে পড়লো।

কিছুক্ষন পর সানা নিজের পাশে কিছু একটা অনুভব করতে পারলো।

তাই তাড়াতাড়ি চেক করার জন্য উঠতে গেল।
কিন্তু তার আগেই হাতে টান অনুভব করে
এতে সানা গিয়ে উঁচু নিচু কিছু একটার সাথে বাড়ি খায়।

মাথা তুলে দেখে সেহের ওর বিছানায় শুয়ে আছে।

এমনিই সানার মেজাজ খারাপ ছিল। কারনটাও সেহেরই ছিল।
তার উপর আবার ও এখানে।

সেহের সানাকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে এমন ভাবে শুয়ে আছে যেন এটা ওরই রুম।

সানা: ছাড়ুন আমায়।

সেহের: হুশশশশশ……
বলে সেহের সানার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।

সানা: সেহের ভালো হচ্ছে না কিন্তু। ছাড়ুন আমায় নাহলে কিন্তু আমি।

সেহের: নাহলে কি করবে?

সানা: আমি চিৎকার করবো।

সেহের: তাই?

সেহের সানার হাত দুইদিকে চেপে ধরে ওর উপরে উঠে বসলো।
তারপর ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো।

সানা ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে কিন্তু সেহেরের সামনে ও ছোট একটা বিড়াল ছানার ন‍্যায়।

কিছুক্ষন পর সেহের ওর ঠোট ছেড়ে দিয়ে গলায় চুমু দেওয়া শুরু করলো।

সেহের এর কপালে গরম পানি জাতি কিছু পরায় সেহের মুখ তুলে দেখে সানা কান্না করছে।

সেহের তাড়াতাড়ি ওর উপর থেকে সরে আসলো।

সেহের সানাকে ধরতে যাবে তার আগেই সানা ঠাস করে সেহেরের গালে চড় বসিয়ে দেয়।

সেহের গালে হাত দিয়ে সানার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

সানা: লজ্জা করে না আপনার? একটা অচেনা অজানা মেয়ের রুমে ঢুকে তার সাথে এমন অসভ্য আচরণ করতে?

সেহের: সানা কি বলছো এসব?

সানা: ভুল কিছু বলেছি নাকি? আমি আপনার প্রেমিকা নাকি বউ যে আমার সাথে এমন আচরণ করেন?

সেহের: আমি ভালোবাসি তোমায়।

সানা: আমি আপনাকে ভালোবাসি নাহ।

সেহের: তাহলে কাকে বাসো?

সানা: জাকেই বাসি না কেন কিন্তু আপনাকে বাসি না।

সানা আর বলতে পারল না এর আগেই সেহের ওর ঠোট চেপে ধরলো।

সেহের: আমাকে ভালো না বাসলেও আমি অন্য কাউকেও বাসতে দিব না।

সানা: ফোর্স করছেন নাকি।

সেহের: যা খুশি বলতে পারো।

সানা: মন টাকে জোর করে বেঁধে রাখতে পারবেন তো।

সেহের: তুমি……

— সানাআআআআ!!!!

কারো চিৎকার শুনে দোনজন পিছনে ফিরে তাকালো।

সানার এখন গলা শুকিয়ে আসছে কারন পিছনে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন সে আর কেউ না
সানার নিজেরই মা।

সানা: আম্মু তুমি….
সানার মা: কে এই ছেলে?
সানা: আমি সব বুঝিয়ে বলছি…

সানার মা এসে সানাকে জোরে থাপ্পড় মেরে দিলেন।

থাপ্পড়ের আওয়ার এতই জোরে ছিল যা শুনে সানার ভাইও ওর রুমে চলে আসলো।

আর একটা অপরিচিত ছেলেকে এখানে দেখে সেও ক্ষেপে গেল।

সানভি(সানার ভাই): মা কে এই ছেলে?

সানার আম্মু: আমিও তো তাই জিজ্ঞেস করছি। এখানে এসে দেখি এই ছেলেটা সানার রুমে।

সানা: আম্মু আমার কথাটা তো শুনো।

সানার আম্মু আবার সানাকে থাপ্পড় মারলো।

সানার আম্মু: আজ তোর বাবা বাড়ি ফিরুক একবার।

সানভি গিয়ে সেহেরের কলার ধরতে গেল।
কিন্তু তার আগেই সেহের ওর হাতটা ধরে ফেলল।

সানভি: ডোন্ট টাচ মি।

সানভি: চোরের মার আবার বড় গলা। বল কি হোস তুই ওর।

সেহের: ভদ্র ভাবে কথা বলুন।
আর আন্টি।

সেহের সানার মার সামনে গেল।

সেহের: আন্টি আমি ওকে খুব ভালোবাসি। বিয়ে করতে চাই। আমি কথা দিচ্ছি ওকে সব সময় সুখী রাখবো।

সানভি: সানা…. কবের থেকে চলছে এসব?

সানা: ভাইয়া আমি…

সানার মা: তুই চুপ কর।

আর তুমি। শুনো আমার মেয়ের আগের থেকে অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক করা আছে তাই ওর সেখানেই বিয়ে হবে আর তোমার জন্যও এখন এখান থেকে চলে যাওয়াটাই ঠিক হবে।

সেহের: কিন্তু আন্টি বুঝার চেষ্টা করুন আমি ওকে সত্যিই অনেক পছন্দ করি।

সানভি: এই তুই আমাদের বাড়ি থেকে বের হবি নাকি আমি পুলিশ ডাকবো।

সেহের: লিসেন্ট ব্রো তোমাদের বাড়িতে থাকার আমার কোনো ইচ্ছেও নেই।
আর প্রিয় হবু শাশুড়ি আম্মাজান।

এতক্ষন ভালো ভাবে বলছিলাম বুঝলেন না তো। এখন উল্টো রাস্তাটাই অপনাতে হবে।

বিয়ে তো সানার হবেই তবে সেটা আমার সাথে।

আর শ্যালক মশাই! তোমাকে বলছি। তোমার চোখের সামনে দিয়ে তোমার বোনকে নিয়ে যাবো পারলে ঠেকিয়ে দেখায়ও।

বলে সানার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে
হুর হুর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।

সানভি পাশে থাকা ফ্লাওয়ার ভাস টা ছুড়ে ফেলে দিলো।

সানভি: খুব বার বেড়েছিস তুই তাই না। আমাদের পিঠ পিছে এগুলো করে বেরাস।

সানা: বিশ্বাস কর ভাইয়া আমি কিছু করি নি।

সানভি সানার একটাও কথা না শুনে ওকে নিয়ে গিয়ে অন্য একটা রুমে বন্ধ করে দিলো।
.

.

.
বেশ কিছুদিন পর—★

এই কিছুদিনে ওদের মাঝে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।

আরিয়ানের সাথে সবার খুব ঘনিষ্ঠতা হয়ে গিয়েছে।

ইয়াশ এখন আর বেশি রশ্নিকে সময় দেয় না বেশির ভাগ সময় নোভার সাথে কাটায়।
এটা রশ্নির কাছে একটুও ভালো লাগে না।

এটার জন্য রশ্নি এখন বেশির ভাগ সময় খিটখিটে মেজাজে থাকে

শুভ অনুর সম্পর্ক টা আগের থেকে আরো ভালো হয়েছে।

আর সেদিন থেকে সানা আর ভার্সিটিতে আসে না। সেহেরেরও কোনো খোঁজ খবর নেই।

সবাই সানাকে খুব মিস করে। একদিন সবাই মিলে ওদের বাড়িতে গিয়েছিল কিন্তু সানার আম্মু বলে ও নাকি ওর নানু বাসায়।

তাই সবাই আর বেশি মাথা ঘামায় না।

.

রশ্নি আর আরিয়ান একসাথে হেঁটে যাচ্ছে,
আজও রশ্নির মেজাজটা খিটখিটে★

আরিয়ান: নে দোস্ত কোক টা খা তোর না পছন্দ।

রশ্নি: এখন মুড নেই।

আরিয়ান: আরেহ খা না।

রশ্নি: আহা বললাম নাহ একবার খাবো না।

আরিয়ান: প্লিজ….

রশ্নি: আমি কিন্তু এই বোতলটা এবার তোর মাথায়েই ভাঙ্গুম।
একদম আলগা পীড়িত দেখাতে আসবি না খাইতে মন চাইলে নিজে থেকে নিয়েই খামু। আজাইরা।

রশ্নি আজকাল সবাইকে এভাবেই ইগনোর করে।
কিন্তু আরিয়ানের তা পছন্দ না। বড্ড রাগ হয় তার।

রশ্নি আরিয়ানের দিকে না তাকিয়েই সামনে হাটা শুরু করলো।

হঠাৎ পিছন থেকে এক জোড়া হাত এসে রশ্নির মুখে একটা রুমাল চেপে ধরে।

রশ্নি তাড়াতাড়ি করে হাত মুচড়ে ধরে পিছনে ঘুরে।
কিন্তু কিছু করতে যাবে তার আগেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে।

.

যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে একটা কাজী অফিসে আবিষ্কার করে।

আর সামনে আরিয়ান বসে আছে।
ওর ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি।

রশ্নি– কিচ্ছে তোর? মুখ বেকাইয়া হাসোস কেন?🙄

আরিয়ান: চুপ। তোকে এখানে কিডন্যাপ করে আনা হয়েছে আর এখন কিছুক্ষনের মধ্যেই তোর বিয়ে হতে চলেছে আমার ভাইয়ের সাথে।

রশ্নি: চালিয়ে যা একদিন কাপিল শার্মাকেও ছাড়িয়ে যাবি!😂👌

আরিয়ান: হেসে নে কারন কিছুক্ষন বাদেই তোর জীবন নরকে পরিণত হতে যাচ্ছে।

রশ্নি: অনেক ফাইজলামি হয়েছে এবার আমি বাসায় গেলাম। ওকে বায়।

বলে রশ্নি উঠে পিছনে ঘুরে দেখে দুইটা লোক ওর দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছে।

রশ্নি আবার আরিয়ানের দিকে ঘুরে বসলো।

রশ্নি: কেন করতাছস এসব? (গম্ভীর কণ্ঠে)

আমি বলছি জান!

কথাটা কে বলল তা দেখার জন্য রশ্নি পিছনে ফিরে তাকালো।

আর পিছনে ফিরে ওর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।

কারন ওর সামনে যে স্বয়ং নাহিদ দাঁড়িয়ে আছে।

রশ্নি: নাহিদ আপনি?

নাহিদ একটা শয়তানি হাসি দিল।

নাহিদ: মনে আছে যেদিন আমাকে সবার সামনে অপমান করেছিলে সেদিন আমি বলেছিলাম এর বদলা আমি নিব সো নাও আই এম ব্যাক।

রশ্নি খেয়াল করে দেখল নাহিদের একটা হাত ভাঙা।

নাহিদ রশ্নির দৃষ্টি অনুসরণ করে
বললো: আর হ্যা এটার রিভেঞ্জও নিব

সেদিন তোর আশিক ইয়াশ আমার হাত ভেঙে দিয়েছল আজ সেটারও প্রতিশোধ নিব।

রশ্নি অবাক হয়ে সবটা শুনলো।

রশ্নি: আরিয়ান তুইও এসবে জড়িত ছিলি?

আরিয়ান: সব টা তো আমারই সাজানো।
সেদিন ভাই আমাকে সবটা বলে আর তখনই আমি এই প্ল্যানটা বানাই।

রশ্নি: মানে এটাই তোর বড় ভাই ছিল যার কথা তুই বলতি? আর তুই আমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড হয়েও আমার সাথে এমনটা করতে পারলি?

আরিয়ান: হ্যা পারলাম কারন তোরা আমার ভাইকে আঘাত করেছিস।
আর এখন তোকে তার দাম দিতে হবে সারাজীবন।
ভাই একে এখন তুমিই সামলে নিও
বলে সেখান থেকে চলে গেল।

রশ্নি: huh, নাইস ডায়লগ। কিন্তু তা তো হচ্ছে না খুকুমনারা।

রশ্নি বন্দুক তাক করে রাখা লোকটার হাতে হঠাৎ এক লাথি দিলো।

আর সাথে সাথে তার হাত থেকে গান টা নীচে পরে গেল।

রশ্নি তাড়াতাড়ি সেটা তুলে নিলো।

রশ্নি: Roshnike sath panga nhi😎

নাহিদ আবার বাঁকা হাসলো।

নাহিদ: আমি জানতাম তো তুমি এমন কিছু একটাই করবে। তাই তোমার জন্য অন্য ব্যবস্থা আছে।

নাহিদ একটা ছেলেকে ইশারা করে কিছু একটা আনতে বললো।

ছেলেটা হাতে করে একটা মধ্য বয়স্ক দম্পতির ছবি নিয়ে আসলো।

নাহিদ সেটা রশ্নির সামনে ধরলো।

নাহিদ: চিনতে পারছো তো?

রশ্নি ভ্রু কুচকালো।

নাহিদ: আমিও কি জিজ্ঞেস করছি
নিজের মা বাবাকে আবার কে না চিনবে?

রশ্নি অবাক হলো কারন এটা ওর মা বাবার ছবি না।
সৌভিক খান আর শাহানা বেগমের ছবি।

রশ্নি বুঝলো ওরা ভুল মানুষের ছবি এনেছে।

নাহিদ: যদি এখন এই ম্যারেজ রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন না করেছ তো এরা আর জীবিত থাকবে না।

রশ্নি: মেরে দে…নাহলে আমি নিজেই কিছুদিন পর এদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিতাম।

নাহিদ: তোর মা বাবাকে মেরে দিলে তোর কিছু যায় আসবে না?

রশ্নি: উম একটু একটু খারাব তো লাগবেই তবে তার জন্য তো আমি আর তোকে বিয়ে করে নিতে পারি না তাই না? ডু ইউ নো হোয়াট? আমি না এই পৃথিবীতে সব থেকে বেশি নিজেকে ভালোবাসি।

আর কারো জন্য তো আর নিজেকে স্যাক্রিফাইস করতে পারবো না তাই না।

নাহিদ: তাহলে তাই হোক।
এই ঠেকা এর মাথায় এর বন্দুক।

সত্যিই একজন এসে রশ্নির মাথায় বন্দুক ঠেকলো আর দুটো মেয়ে পিছন থেকে ওকে চেপে ধরলো।

এই মোটা মোটা মেয়েগুলোর সাথে রশ্নি পেরে উঠছে না।

নাহিদ: সাইন করবি নাকি না?

রশ্নি কি করবে বুঝতে পারছে না।

যদি সত্যিই নাহিদ গুলি চালিয়ে দেয়?
রশ্নি আসলেই নিজেকে সব থেকে বেশি ভালোবাসে।
তাহলে এখন কি করবে?

রশনি: আইডিয়া! এখন সাইন করে দেই। পরে না হয় এটাকে গলা টিপে মেরে দিব। আর আমার পয়সা ওয়ালা বাপ তো আছেই! আমাকে ঠিক জেইল থেকে ছাড়িয়ে নিবে –[মনে মনে]

রশ্নি অনেকটা সাহস জুগিয়ে কলমটা হাতে নিলো।

নাহিদের ঠোঁটের কোণে বিজয়ের বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো।
.

.

.
To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here