গল্প – ইরার কথা
পর্ব – ১১
ইন্দিরা রোড থেকে বসুন্ধরা শপিংমল খুব কাছে। পায়ে হাঁটার পথ। ইচ্ছে করলে হেঁটে।যাওয়া যেত কিন্ত অতটা সময় হাতে নেই তাই একটা রিকশা নিলাম। এখন বাজে বিকেল চারটা। বাসায় আরিয়ানকে একা রেখে এসেছি মিনুর কাছে। এটা এক চিন্তা। এই চিন্তা নিয়ে আমায় ঘুরতে হবে, কেনাকাটা করতে হবে। কিন্ত মন আমার পড়ে থাকবে ছেলের কাছে। ছেলেটা ঘুমিয়েছে। জেগে থাকলেও আমার সাথে যাবার জন্য বায়না করত না। ওর অভ্যেস হয়ে গেছে একলা থাকার। মিনুকে সব বলে এসেছি যেন সারাক্ষন ওর পাশে থাকে।
আমার ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।এর মধ্যে টুকটাক যাই লাগে কেনা হয়ে যাবে।
হু হু করে উড়ে যাচ্ছে রিকশা শেষ বিকেলের সোনা রঙা রোদ মেখে। আজ পরেছি শ্বেত শুভ্র রঙা সালোয়ার কামিজ। ওড়না মাথায় দিয়েছি। আয়নায় যখন দেখলাম তখন এক চিলতে হাসিটা ঠোঁট ছুঁয়ে ঝরে পড়েছে দ্বিগুন ভালো লাগায়।
বিয়ের পর পর রাতুলের সাথে এমন করে কত ঘুরতাম।
শুক্রবার এলেই ঘোরা হত বেশী। রিকশায় করে ঘন্টার পর ঘন্টা বেরিয়েছি। কোন ক্লান্তি নেই। আমি সারাক্ষন ওর হাতটা ধরে থাকতাম। তখন বুকের ভেতর এক ধরনের অস্থির সুখ অনুভব করতাম। রাতুল আমার পাশে আছে এটাই যেন বিরাট ব্যাপার।
মাঝে মাঝে রিকশা থামিয়ে আমরা ফুচকা চটপটি খেতাম। কত অ্প্রয়োজনীয় কথা হত। অল্পতেই রাগ করতাম। মান অভিমানও ছিল।
আবার খুশীও লাগত সামান্য কিছুতেই।
সুখ ছিল হাতের মুঠোয়।
রাতুলের ভালবাসার জন্য কি যে পাগল ছিলাম।
কিসে ওর ভালো লাগত প্রখর নজর থাকত সেখানে।
উথলে পড়া ভালবাসাটা থই থই করত ওর মুখখানা দেখলে।
এখন ইচ্ছে করলেই ওর সাথে আর ফুচকা খাওয়া হয় না। রিকশায় ঘোরা হয় না। ব্যস্ততা ছুটি দিয়েছে আমাকে।
চোখ বন্ধ করলে এখনও সব দেখি।
সব।
অস্পষ্ট বিদগ্ধ স্মৃতির পরত লুকিয়ে আছে
সময়ের ভাঁজে। যাকে ইচ্ছে করলে খোলা যায় না।
ধরা যায় না।
মনে আছে ডুবো ডুবো সূর্যিটা এক আকাশ রঙ ছড়িয়ে যখন পশ্চিমে হেলে পড়ত তবুও বাড়ি ফেরা হত না। অবেলার দোরে ঠায় হয়েছে সেসব দিনের।
ছোট ছোট আনন্দগুলো পাগলামিতে পরিনত হওয়া সেই সময়ের আকাশটা আর আসে না। তবুও আমি অপেক্ষা করি। এই বুঝি ফিরে আসবে আমার রঙচটা দিন। কিন্ত অবুঝ মনকে কে বোঝাবে এত আশার ঘরে আলোটা যে নেই।
নিভে গেছে অনেক আগে।
কতবার নিগুঢ় সন্ধ্যায় রিকশার ঝাকুনি খেতে অযথাই ঘর ছেড়ে বেরুতে ইচ্ছে হত, কিন্ত তখন রাতুল অফিসে।
কত হলি ডেতে ওর পাশে বসে ফুচকার প্লেট নিয়ে দুষ্টমি করার ইচ্ছেটা মাথায় আসত কিন্ত রাতুল তখন ট্যুরে।
ওর ট্যুর এলে আমি মনেপ্রাণে প্রার্থনা করতাম ওর সব যেন বাতিল হয়ে যায়।
অথবা কোন একটা ঝামেলা যেন হয়ে যায়।
কিন্ত হত না।
এরপর অফিস ট্যুর পার্টি আড্ডা গেট টুগেদার শব্দগুলো আস্তে আস্তে খুব অল্প সময়ে আমার একাকী জীবনে ভিড় করতে লাগল।
আমি ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে লাগলাম ওর কাছ থেকে।
ছোট ছোট কিছু কথা এখনও মনে পড়ে।
একবার ঘুরতে ঘুরতে মানিক মিয়া এভিনিউতে রিকশা থামিয়েছি। এখানে প্রায় আসা হত ফুচকা খেতে। এক ফুচকাওয়ালা ছিল নাম তার মানিক। প্রায় কথা বলতাম। পরে জেনেছি নাম মানিক পরদেশ।
: পরদেশ কেন রে?
দাঁত কেলিয়ে মানিক বলত।
: ভিন দেশে আইয়া পড়ছি যে হের লাইগা।
শুনে রাতুল হাসত। আমিও।
: তুই তো খুব বুদ্ধিমান রে মানিক।
রাতুলের কথাতে মানিক পরদেশ আরো হাসে।
বত্রিশ পাটির সবগুলো দাঁত বের হয়ে আসত।
শুকনা শরীর। বেটে খাট ছেলেটার সাথে কেমন জানি একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ওর বাড়ি ময়ৃমনসিংহের ফুলপুরে।
বয়স বিশ বাইশ বছর হবে।
মা বাবাকে ফেলে ঢাকায় চলে এসেছে কারন তার ভালবাসার মানুষ হাসনাকে খুঁজতে।
আমরা ফুচকা খেতে বসলে মানিক গান ধরত। দুঃখের গান। সুরের আবেগে তার চোখ ছলছল। কখনও দু চার ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে।।
: একদিন ঠিহিই হেরে খুইজা পামু আমি।
মানিক তার মনের মানুষকে হয়তো খুঁজে পেয়েছিল নয়তো না।
কারন এর এক বছরের মাথায় সেই মানিককে আর খুঁজে পাইনি আমরাও।
বসুন্ধরার কাছাকাছি চলে এসেছি প্রায়। এখন এপ্রিল চলছে। গরমের শুরু সবে। সিগনালে আটকে গেলাম। দরদর ঘাম ঝরছে। লোকজন মহা বিরক্ত সিগনালে আটকে। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষজন দেখি। অত বিরক্তি কেন যে আসে এদের। অবশ্য বিরক্তির কারন হকারদের উৎপাত। এরা সবখানে জ্বালায়। আমি বসে বসে এসব দেখলেও মাথায় কিলবিল করছে রাতুল তাশরিফ আর শেহনাজ।
শেহনাজের সাথে কথা হচ্ছে না গত দুদিন ধরে। আর রাতুলও আমার সাথে খুব ভালো বিহেভ করল। হঠাৎ করেই। কিন্ত কাল রাতেও অদ্ভুত কান্ডটা করার পর এমন ভালো বিহেভের নিশ্চয় উদ্দেশ্য আছে।
আচ্ছা রাতুল কি শেহনাজ ভাবী কিংবা সিয়াম ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে। আমার মনে হচ্ছে রাতুলই সব এলোমেলো করে দিচ্ছে তলে তলে যা আমি জানতেও পারছি না।
রাখলে রাখুক।
করুক গিয়ে ওর যা ইচ্ছে। আমি ওসবের কেয়ার করি না।
ঝামেলা বা সমস্যা হলে হোক। আমি আমার কাজটাই করব। যা থাকে কপালে।
রিকশা ছুটছে আবারও। সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে এক একজন পাগলা ঘোড়া হয়ে উঠে। সেটা গাড়ি বা রিকশা যাই হোক।
প্রচণ্ড এক ঝাকুনি। আমি উফ করে উঠি।
রিকশাওয়ালা পেছন ফিরে হাসে।
আমি রেগে যায়।
: কি সমস্যা আপনার, এভাবে কেউ উড়ে চলে?প্লেন চালাচ্ছন?
: আফা আমনে একটু দইরা বইবেন না?
আমার রাগ গেলো বেড়ে। তবুও প্রকাশ করলাম না।
: আপনি আস্তে চালান।
বসুন্ধরার সামনে প্রচুর ভিড়। গাড়ি পুলিশ ক্রেতায় সরগরম। একসময় এতটা ভিড় ছিলো না এখানে। সর্ব সাধারন মানুষেরও আনাগোনা কম ছিল। তবে বর্তমানে সেটা নেই।
সব শ্রেনীর মানুষ এখন ভিড় করে এখানে। জমায়েত হয়। কেউ কেনে। কেউ দেখে। কেউ ঘুরতে আসে।
কখনও দলবেঁধে।
সারি সারি গাড়ি ঢুকছে। ভিড়ের মাঝে হাঁটা মুশকিল। কোন রকমে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলাম। গ্রাউন্ড ফ্লোরে কসমেটিকস এর শপ। কিছু দরকারী জিনিস কিনে উপরে চলে আসি। দুটো শপিং ব্যাগ হয়েছে। ব্যাকপ্যাকটা পিঠে ঝুলিয়ে হেঁটে হেঁটে দেখছি। লেটেস্ট আইটেমে ঠাসা একেকটা শপ। ক্রেতার সংখ্যা খুব বেশী না যতটা বেশী শপিংমলের সামনে। ওখানে উঠতি বয়সীরা আড্ডা দিতে আসে।
কিছু কিডস আইটেম দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে।
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠে। ভাইব্রেট করা ছিল ফোন। কয়েকবার বাজার পর আমি টের পেলাম।
হাতে নিয়ে দেখি শেহনাজের কল।
: ইরা, কি করছো তুমি?
শেহনাজ সম্ভবত বাইরে। অনেক লোকের আওয়াজ পাচ্ছি।
: কিছু না।
: ইরা আমি এখন পান্থপথে আছি।
আমার মন খুশীতে নেচে উঠে। শেহনাজের সাথে দেখা করাটা খুব জরুরী। অনেক কথা জমে আছে। কিন্ত ওর সাথে দেখা করতে গেলে যদি বাসায় ফিরতে দেরী হয়। ছেলেটা বাসায় একা আছে।
মনটা দমে যাচ্ছে।কিন্ত কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করলাম নাহ! ওর সাথে দেখাটা খুব জরুরী।তারচেয়ে এদিকের কাজ শর্ট করে ফেলি।
আমি বিপুল উৎসাহ নিয়ে শেহনাজের সাথে মিট করার চিন্তাটা ফাইনাল করে ফেলি।
: ওহ! তাই?
: হুম।
: শেহনাজ আমি বসুন্ধরায় আছি
একবার আসতে পারবা?
ওপাশে শেহনাজ প্রায় চেচিয়ে উঠে। আনন্দিত কন্ঠে বললো।
: তাই? কখন আসছো তুমি?
: এই তো আধঘন্টা হবে।
ওহ, তবে আমার আসতে আধঘন্টার মত লাগবে।
: তুমি সোজা ফুডকোর্টে চলে আসবা। এসে কল দিও।
: ঠিক আছে।
আমি লাইন কল কেটে দিলাম।
শেহনাজ আসার আগে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারতে হবে। ঝটপট পা চালিয়ে আরিয়ানের জন্য দুটো টিশার্ট আর প্যান্ট নিলাম। রাতুলের জন্য শার্ট দেখছি। কিছু ফর্মাল শার্ট চোখে পড়ল। কিনে ফেললাম ব্লু আর লাইট ভায়োলেট কালারের দুইটা শার্ট।
শাড়ির দোকানে ঢুকলাম। দেখলাম প্রচুর ভিড়।
পরে ভালো করে খোঁজ নেবার পর জানলাম আজ একজন সেলিব্রেটির বার্থ ডে। তাই গোটা শপটাকে চমৎকার করে সাজানো হয়েছে।
একজন মেয়ে লাইভে হাই হ্যালোতে ব্যস্ত। পাশের টেবিলে কেক, ফুল চকলেট সাজানো। মোটামুটি প্রস্ততি শেষ।
বিষয়টা ভালোই লাগল। সব কাজের একটা সন্মান থাকা উচিত। সেটা যে ক্যাটাগরির হোক।
একজন মেকআপ আর্টিস্ট বা বিউটিশিয়ান। তার কাজ হলো মেকআপ করা। লাইভে এসে মেকআপের খুঁটিনাটি তুলে ধরা। এটাকে ছোট করে।দেখার কোন সুযোগ নাই। কারন কাজ মানে কাজ। তা যতই তুচ্ছ হোক।
কিন্ত আমরা অনেকেই আজকাল অনলাইনে মেয়েদের কাজকে বাজে বলি। প্রোডাক্ট বিক্রির কাজকে ছোট চোখে দেখি। আজেবাজে কথা বলি। তাদের হকার বলে সম্বোধন করি।
আচ্ছা একবারও কি ভেবেছি এই কাজটা যে বা যারা করেন বা করছেন তারা কি অন্যায় কিছু করছেন নাকি খারাপ কিছু করছেন।
যে অত সমালোচনা করতে হবে।
একজন মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় আমরা কথা।বলি।
একজন মানুষের ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে কথা বলি।
কাউকে হেয় করি। অপদস্থ করি।অথচ একবারও ভাবি না এগুলো কত নিচু কাজ।
কাউকে সন্মান করতে না পারলে অসন্মান করা উচিত না।
প্রশংসা না করতে পারলে চুপ থাকবেন।
ভালোটা করতে বাধে?
এড়িয়ে যান।
কবে যে সবাই এমন বুঝবে।
আমি দেখলাম লাইভের প্রেজেন্টার মেয়েটা চমৎকার করে কথা বলছে।তার শিক্ষা রুচি কিংবা প্রোডাক্ট নিয়ে বলা কথাগুলো হয়তো ব্যবসায়িক কিন্ত এটাও একটা শিল্প। নিজেকে উপস্থাপনের কৌশল কতটা আধুনিক করা যায়। কতটা দর্শকদের ধরে রাখা যায় এটা এক বিশাল ব্যাপার।
এখানেও যোগ্যতার বিষয় চলে আসে।
লাল হাফসিল্কের জামদানি পড়া মেয়েটি লাইভে শাড়ি দেখাচ্ছে।
আমি পাশ কাটিয়ে শাড়ির কর্নারে হাজির হই।
অনেক সুন্দর কালেকশান এদের।
: বেগুনী জামদানীটা কত?
আমার হাতে ধরা শাড়িটা অপুর্ব সুন্দর। নিখুঁত বুনন আর নকশায়।
শপের মেয়েটি হাসিমুখে এগিয়ে আসে। গলায় আইডি ঝোলানো। সুন্দর হাসির মেয়েটির নাম অনামিকা।
: জ্বি ম্যাম এটা চার হাজার টাকা।
: কিছুটা কমানো যাবে?
মেয়েটি ইতস্তত করছে।
: জ্বি না ম্যাম।
সে অসহায় দৃষ্টিতে দুরে একজনকে ইশারা করল।
ছেলেটি ছুটে আসে।
তার বিনীত আচরন মুগ্ধকর। কিন্ত এটা ব্যবসা লাভ ক্ষতির বিষয়। আমারও লাভ ক্ষতির বিষয় জড়িত। কারন পয়সা থাকলেই খরচ করতে হবে এটা বেহুদা। বরং দেখে শুনে যাচাই বাছাই করে কেনা উচিত।
ক্রেতা মুনাফা বাজার জড়িত এদের ব্যবসায়ে।
: ম্যাম আপনি শাড়িটা নেবেন?
আমি মাপা হাসিতে সায় দিলাম।
ছেলেটি ইঙ্গিতে কথা বলছে মেয়েটির সাথে।
: ম্যাম খুব সামান্য অনার করা যাবে যদি আপনি নেন।
বেগুনী শাড়িটার প্যাকিং হল। আমি গুনে গুনে তিন হাজার পাচশ টাকা দিলাম।
এই পাচশ টাকা রাতুল এলে কমানো যেতো না। কারন ওর ভাষায় সব জায়গায় দরাদরি করা যায় না।
আমি বলি দরাদরি কেন সব জায়গায় সবই করা যায় শুধু জানা থাকতে হবে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত না।
ফুডকোর্টে বসে আছি দশ মিনিট হল। কারন পাঁচ মিনিট আগে শেহনাজ বলেছে ও এখন গ্রাউন্ড ফ্লোরে।
মোট পাঁচটা শপিংব্যাগ আমার টেবিলে রাখা। ব্যাকপ্যাকটা ও সামনে আছে। বেশ ক্লান্ত এই মুহুর্তে। ওয়েটার এসে ফেরত গেছে। খাবারের অর্ডার পরে হবে এটা বলাতে।
চারপাশে উঠতি বয়সী ছেলেপেলের ভিড়। সব টেবিলে খাবার পরিবেশন হচ্ছে। সুন্দর সুন্দর মুখ। সুখী চেহারার। আনন্দিত চেহারার।
খাবারের ঘ্রান লাগছে। তবুও রিলাক্স মুডে সবাইকে দেখছি।
হঠাৎ চোখ গেলো বেশ দুরের একটা টেবিলে। প্রথমে মনে হল ভুল দেখছি। ভালো করে তাকিয়ে দেখি রাতুল বসে আছে। সাথে খুব সুন্দর করে একটা মেয়ে। টপস আর জিন্স পড়া। ধবধবে ফর্সা মতন দেখতে। রাতুল সেই ফর্সা মেয়েটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।
টেবিলে অনেক পদের খাবার। ভালো আয়োজন। বিষয়টা কি বুঝলাম না। তবে মুহুর্তে বুঝলাম আমার ভেতরে একটা কিন্ত খচখচ করছে।
আমার ভেতরটা কেমন জানি থমকে গেলো।
একটা চাপা ক্ষোভ একটা যন্ত্রনায় চুপ হয়ে গেলাম।
আচ্ছা আমি কি ভুল দেখছি নাকি ভুল ভাবছি।
নিজেকে সামলে নিতে আরো একটু সময় নিলাম।
আবারও দেখি। নাহ! ভুল নয়। রাতুল আমার সামনে এবং সাথে কেউ।
কিন্ত কে এই মেয়েটি?
….. তামান্না হাসান