#এটা গল্প হলেও পারতো
#পর্ব ২১(প্রথম অংশ)
মানব চরিত্র বড়োই জটিল, কারোর তুচ্ছ আঘাতেই বিরাট পরিবর্তন হয়, কারোর আবার হাজার আঘাতের পরেও মানসিকতার কোনো বদল হয় না। অর্ক এই দ্বিতীয় শ্রেণীর, নিজের স্টুডেন্ডদের বন্ধু হয়ে ওঠার যে অভ্যাস তাকে বিপদে ফেলেছিলো একবার, সে অভ্যাস ত্যাগ করা তার অন্তত এ জীবনে আর হয়ে উঠবে না সেটুকু বুঝে গেছে অদিতি। তাই প্রায় প্রতি রবিবারই যখন স্টুডেন্ডদের দল বিভিন্ন রকমের আবদার নিয়ে স্যারের বাড়ি উপস্থিত হয়, তখন অর্কর অনুরোধে চা করতে করতে অদিতি মজা করে,
দেখো! আবার কেউ তাকে তোমার স্পেশাল স্টুডেন্ট না ভেবে বসে!
অর্ক মুচকি হাসে,
উঁহু! এখন ওরা সবাই স্পেশাল, আজ যার কথায় নোটস দি, কাল আর সে বললে দিই না!
সেই যে সমরেশ একদিন একটা কথা বলেছিলেন, যার নয়ে হয়নি তার নব্বইয়েও হবে না, সেই কথাটা অন্তত অর্কর ক্ষেত্রে একশো শতাংশ সত্যি। যে মোবাইল বন্ধ রাখা, সাইলেন্ট রাখা নিয়ে অদিতির সঙ্গে তার অশান্তি এতো বড়ো বিপদ ডেকে এনেছিলো তাদের জীবনে, সেই মোবাইল তার এখনও বন্ধ বা সাইলেন্টই থাকে প্রায়!
চরিত্রে বদল অবশ্য অদিতিরও হয় নি একটুও! অর্কর ফোন বন্ধ থাকলেই সে চিন্তিত হয় এখনও, বাড়ি ফিরলেই তার চিন্তা রাগের আকার নেয়, এবং যথারীতি প্রবল চিৎকারে পরিবর্তিত হয়। সে রাগ দুই বা তিন দিন থাকে খুব বেশি হলে তার মধ্যেই অর্ক তাকে ভবিষ্যতে আর কখনো না হওয়ার যে কথা দিয়ে এসেছে এতদিন, সেই কথাই আবার একবার নতুন করে দিয়ে মিটমাট করে নেয়।
তাই অর্কর ফোন বন্ধ থাকলে রুমা যতটা না বিরক্ত হন, তার থেকেও বেশি বিরক্ত হন অদিতির চিন্তিত মুখ দেখলে,
টেনশন করাটা বন্ধ করতো এবার! সব জানিস, সব বুঝিস, তাও একই জিনিস বারবার! আমাদের সময়ে ফোন ছিলো না, সেই ভালো ছিলো বুঝি এখন।
এই সব টানাপোড়েন নিয়েই এগিয়ে চলছিলো অর্ক, অদিতির সংসার, আর পাঁচটা স্বামী, স্ত্রীর সংসারের মতোই! কখনো রাগ, ঝগড়া, কখনো বা আনন্দে ভালোবাসায়। ইতিমধ্যে সময়ের চাকা গড়িয়েছে, কেটে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটা বছর, ওদের কারোর সঙ্গেই আর দেখা হয়নি অর্ক বা অদিতির। রিয়ার চিকিৎসা শুরুর খবর অরিন্দমের মুখে শুনেছে বার কয়েক, তার পরে আস্তে আস্তে সে খবরও আর পাওয়া যায় নি। রিয়ার মা অরিন্দমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন শেষের দিকে।
সময় এগিয়ে চলছিলো, ইতিমধ্যে সমরেশের স্ট্রোক হয় বছর তিনেক আগে। প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় পড়ে গিয়েছেন সমরেশ, ওখানে থেকে একা দেখাশোনা করা রুমার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাবা, মা কে কলকাতায় নিজের কাছে রেখেছে অর্ক। অদিতির বাবা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকেও নিয়ে আসা হয়েছিলো এখানেই। তাই দু কামরার ফ্ল্যাটে আর এতজন না ধরায়, অরিন্দমের দেওয়া খোঁজেই ওর পাড়াতেই একটা থ্রি বেডরুম ফ্ল্যাট কিনে বছর দুয়েক হলো ওরা উঠে এসেছিলো। যদিও অদিতির বাবা বছর খানেক আগে মারা গিয়েছেন, সমরেশ এখনও বিছানায় শয্যাশায়ী। একমাত্র রুমা এখনও বেশ শক্ত সমর্থ আছেন, সমরেশ কে দেখাশুনা নিজেই করেন, সাহায্যের জন্যে একজন মাঝবয়সী মহিলা আছেন।
ছেলেকে দক্ষিণ কলকাতার এক নামকরা স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে বছর দুয়েক আগে, এতদিন ছোটো থাকায় ও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে বসে থাকতো ওখানে। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে অনেকেই বসে থাকে, তাদের সঙ্গে বেশ একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এই দু বছরে। ঘরে বসে শাড়ি, কুর্তি কেনা থেকে শুরু করে, পিকনিক, সিনেমা দেখা, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, কোনোটাই বাদ যায় না।
এ বছরই প্রথম ছেলে কে একাই পুল কারে করে স্কুলে পাঠাচ্ছে অদিতি, প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগতো, গাড়ি ফিরতে একটু দেরি হলেই ফোন করতো ড্রাইভার কে, ইদানিং মাস পাঁচেক হয়ে যাওয়ার পরে ভয় একটু হলেও কমেছে। ঘরের আড্ডাটা কে মিস করে ভীষণ, তাই মাঝে মাঝেই ফোনে কথা হয় সবার সঙ্গে। বন্ধুরা মাঝে মাঝেই ফোন করে ডাকে,
এই অদিতি চলে আয়! কিন্তু ওরই আর যেতে ইচ্ছে করে না, সকালে উঠে ছেলে কে রেডী করতে করতেই সব এনার্জি চলে যায়! নিজের যাওয়াটা আর হয়ে ওঠে না। রুমাও মাঝে মাঝেই বলেন,
তুই বড্ড কুঁড়ে! একটু মাঝে মাঝে বেরতেও পারিস তো! দু বছর তো দিব্যি যাচ্ছিলি! আর বছর দুয়েক যেতে পারতিস, অতো টুকু ছেলে কে একা ছেড়ে দিলি!
অদিতি হাসে,
ধুর! আমার আর যেতে ইচ্ছে করে না! আর ওকেও এবার একটু বড়ো হতে দাও মা, কতো বাচ্চা ওর থেকেও ছোটো, তারাও একাই যায়!
অর্কও ইদানিং ওর সঙ্গে মজা করে, রুমা কে বলে,
দিতির শাড়ির স্টকটা এবছর বড্ড কম হয়ে গেছে, তাই না মা? দু একদিন ঘুরে এলেই আবার ঠিক হয়ে যেতো!
তবু দিতি বেরোয় না! অর্ক, ছেলে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরে এই সময়টুকু ওর নিজের, বেশ আরাম করে গুছিয়ে গল্পের বই নিয়ে বসে কখনো, কখনো বা এক কাপ চা নিয়ে টিভির সামনে জনপ্রিয় কোনো ওয়েব সিরিজ খুলে। গত মাস পাঁচেক ধরে এই যে যা খুশি করার নিজের সময়টুকু ও পেয়েছে, সেটা কে লুটেপুটে নিতে চায় ও!
সামনের শনিবার ছেলের ফার্স্ট টার্মের রেজাল্ট বেরোবে, টিচারের সঙ্গে মিটিং আছে স্কুলে, স্কুল থেকে নোটিশ এসেছে পি টি এম এর, সেটাকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিলো ও।
এই বারের আণ্টি কেমন রে? খুব রাগী?
ছেলে কে প্রশ্ন করলো অদিতি, ছেলে তখুনি স্কুল থেকে ফিরেছে, ট্রাই সাইকেলে ঘরের মধ্যে পাক খেতে খেতে উত্তর দিলো,
না তো! একটুও বকে না! শুধু ঋজু কে বকে, ও কোনো কথা শোনে না তাই!
রুমা হেসে ফেললেন,
তাই! তুই খুব শান্ত, তাই না! খুব ভালো ছেলে!
ঠাম্মার ইয়ার্কি বোঝার মতো ক্ষমতা নাতির ছিলো না, গর্বের সঙ্গে বললো,
হ্যাঁ, আণ্টি বলে তো! খাতায় গুড দিয়েছে দেখো!
অদিতি হেসে ফেললো,
রাখ এবার সাইকেল, স্নান করে নে! বেলা হয়েছে অনেক!
মনের মধ্যে অনেক প্ল্যান ভেবে ফেললো, রেজাল্ট নিতে যেতে খুব কুঁড়েমি লাগছে! অর্ক কে যে করেই হোক ম্যানেজ করতে হবে! সন্ধ্যে বেলায় অর্ক বাড়িতে ফিরতেই অদিতি ধরে বসলো,
যাও না প্লিজ! বেশিক্ষন লাগবে না, রেজাল্ট টা নিয়েই কলেজে চলে যাবে!!
অর্ক মাথা নাড়লো,
অসম্ভব! কতক্ষন বসে থাকতে হয়! আমার পরশু প্রথমেই ক্লাস আছে! তুমি যাও না, বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডাও হবে আর টিচার কে তো দেখোই নি এবার, একবার দেখেও এসো কেমন তিনি।
সত্যিই অন্যবার ছেলের ছুটির সময় টিচারের সঙ্গে দেখা হতো, এখন ও আর যায়না বলে ছেলের ক্লাস টিচার কে দেখেই নি অদিতি। তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার লোভটাও ও ছাড়তে পারলো না, তাই শনিবার শেষ পর্যন্ত ছেলে কে রুমার কাছে রেখে অর্কর সঙ্গে স্কুলে রওনা হলো ও। ওর ছেলের স্কুলে বাচ্চা কে পি টি এমে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। অর্ক ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পর ও নিচে দাঁড়িয়ে থাকা গার্ড কে জিজ্ঞেস করে ছেলের ক্লাসে উঠে এলো তিন তলায়। টিচারের সঙ্গে কথোপকথন হলো, রেজাল্ট দিয়ে বললেন,
একটু অঙ্কের টিচারের সঙ্গে কথা বলে যাবেন যাবার আগে, প্লিজ!
অদিতি মাথা নাড়লো, গার্ড কে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো, তিনি দোতলায় বসেন, অন্য একটি ক্লাসের ক্লাস টিচার।
মে আই কাম ইন ম্যাম?
বিনীত গলায় উল্টো দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকা অন্য একজন গার্জিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে থাকা ছেলের অঙ্কের টিচার কে জিজ্ঞেস করলো অদিতি, ভদ্রমহিলা ঘুরে তাকাতেই বসে থাকা গার্ডিয়ান কে দেখেই একদম চমকে গেলো ও, এ তো সেই মহিলা! যিনি পাঁচ বছর আগে ওদের বাড়িতে এসেছিলেন, রিয়ার বাবার বান্ধবী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন!
ইয়েস্! প্লিজ কাম ইন!
ভদ্রমহিলার দিকে আর না তাকিয়েই মাথা নিচু করে ঘরে ঢুকে এলো অদিতি, সামনে পর পর বেঞ্চে অভিভাবকরা বসে আছেন, সেদিকে তাকাতেই ওর দিকে হাত উঠলো,
এই! এদিকে আয় অদিতি!
নিচু গলায় ডাক শুনে অদিতি দুজন কে এক্সকিউজ মি বলে টপকে এসে বসে পড়লো সীমার পাশে, সীমা ওর রুমে বসে, মেয়ে ওর ছেলের থেকে এক ক্লাস নিচে পড়ে। বসেই একটু নিচু গলায় জিজ্ঞেস করলো,
এই মহিলা কে চিনিস? নাম কি?
সীমা মাথা নাড়লো,
হ্যাঁ, চিনি তো, শর্মিলা কুন্ডু। আমার মেয়ের সঙ্গেই পড়ে ওর মেয়ে।
অদিতি একটু অন্য মনস্ক হলো, মেয়ে আছে বলেছিলো বটে! কিন্তু সেতো পাঁচ বছর আগের কথা! এতদিনে তো এতো ছোট থাকার কথা নয়! ওকে চুপ করে থাকতে দেখে সীমা প্রশ্ন করলো,
কেনো রে? তুই চিনিস নাকি!
অদিতি মাথা হেলাল,
হুঁ, চিনি মানে একবার দেখেছি এইটুকুই! এর বেশি কিছু না!
ভদ্রমহিলা বেরিয়ে গেলেন, সীমা উঠে দাঁড়ালো, এবার ওর টার্ন।
রাতে বাড়িতে এসে অর্ক কে বললো দিতি,
ওই মহিলা যিনি আমাদের বাড়িতে এসে ছিলেন না রিয়ার ব্যাপারে ইনফরমেশন দিতে, তাকে দেখলাম আজ। পি টি এমে এসেছিলো, মেয়ে নাকি সীমার মেয়ের সঙ্গে পড়ে! আচ্ছা! এতো ছোট মেয়ে কি করে হলো বলতো?
অর্ক খাতা দেখছিলো, গলায় বিরক্তি এনে বললো,
তোমার যত ভুল ভাল কথা! আমি ওর মেয়ের বয়স হিসাব করে রেখেছি নাকি! খেয়ে দেয়ে কাজ নেই তোমার! মেয়ে ছোটো না বড়ো তাতে আমাদের কি!
অর্কর বিরক্তি দেখে ওকে আর বিরক্ত না করে রুমার কাছে চলে এলো ও,
কি করে হলো বলতো মা! আমার তো হিসাব মিলছে না!
রুমা একটু ভাবলেন,
হতেও পারে, মেয়ে কতো বড়ো ছিলো, সেতো আর জিজ্ঞেস করিস নি তখন! আবার বিয়ে করে থাকতেও পারে হয়তো!
অদিতির মন মেয়েলি উৎসাহে খচ খচ করতে লাগলো,রুমার কথাই ঠিক! ঠিক আবার বিয়ে করেছেন মহিলা! রিয়ার বাবা কেই নাকি? এই মেয়েটা কি এ পক্ষের! প্রবল উৎসাহে সীমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে শর্মিলা কে খুঁজে বার করলো, কিন্তু প্রোফাইল পিকচার ছাড়া আর কিছু দেখা গেলো না। অগত্যা দ্বারস্থ হলো আবার সীমার
সীমা তোর ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ওই শর্মিলা কুণ্ডুর প্রোফাইল টা একবার দেখতে চাই, প্লিজ কাউকে বলিস না!
কেনো রে? কেস টা কি,? আচ্ছা, সোমবার স্কুলে চলে আয় তাহলে!
আবার অহেতুক ঝামেলায় জড়াতে চাইছো দিতি! কি দরকার এতদিন পরে আর এসব করে!
সোমবার স্কুলে যাওয়ার কথা শুনেই বললো অর্ক, অদিতি ঘাড় নাড়লো,
আরে! ঝামেলায় কেনো জড়াবো! ও কি জানতে পারবে নাকি যে আমি ওর প্রোফাইল দেখছি!
এবার রুমা এগিয়ে এলেন,
যাক না! তোর কি অসুবিধা! সব ব্যাপারেই কি তোকে মতামত দিতে হবে? এতে তো কারো ক্ষতি হচ্ছে না! ওতো বাড়ি থেকে বেরোনো ছেড়েই দিয়েছে, এই সুযোগে তাও একটু বেরোনো তো হবে!
যা খুশি করো! পরে কোনো গন্ডগোল হলে আমাকে বলতে এসো না!
ধৈর্য্য ধরছিলো না আর, সোমবার ছেলের সঙ্গেই পুল কারে ম্যানেজ করে উঠে বসলো দিতি। সীমার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে প্রোফাইলটা খুলে দেখতে লাগলো, পর পর ফটো একসঙ্গে চার জনের,দুই মেয়ে আর হাসব্যান্ড। সঙ্গের বয়স্ক ভদ্রলোক কে হাসব্যান্ড এবং একজন কে তারই মেয়ের বন্ধু বলে আইডেন্টিফাই করলো সীমা। এবার মেয়ে ছোটো হবার রহস্য টা পরিষ্কার হলো দিতি র কাছে। বড়ো মেয়েটি তারমানে আগের পক্ষের! তবে কি শেষ পর্যন্ত বিয়েই করেছেন মহিলা রিয়ার বাবা কে! ইনি কি রিয়ার বাবাই!
আচ্ছা, মহিলা ম্যারেড তুই জানিস শিওর?
সীমা ঘাড় নাড়লো,
শিওর কি করে হবো! আমি কি দেখেছি নাকি ওর বর কে কখনো! ছবি দেখে তো তাই মনে হয়। আসলে আমার সঙ্গে খুব বেশি কথা নেই, ওই মিউচুয়াল ফ্রেন্ড অনেক, তাই রিকোয়েস্ট দেখে অ্যাড করেছিলাম।
কার কথা বলছিস?
পাশ থেকে জিজ্ঞেস করলো প্রিয়াঙ্কা, ওর ছেলেও সীমার মেয়ের সঙ্গে পড়ে। সীমার মুখে শর্মিলার নাম শুনেই মুচকি হাসলো ও,
আরে, হ্যাঁ! ওটা ওর বরই! বেশ বয়সের ডিফারেন্স আছে দুজনের, মাঝে মাঝে মেয়ে কে ড্রপ করতে আসে স্কুলে।
দুজনের কথা শুনতে শুনতেই প্রোফাইলটা স্ক্রল করতে করতে প্রায় এক বছর পুরোনো একটা অ্যালবামের নিচে এসে থমকে গেলো অদিতি, এটা সঙ্গে কে! তিয়াসা না! যদিও বিয়ের সাজে তিয়াসা কে একদম অন্য রকম লাগছে, তবু আইডেন্টিফাই করতে কোনো অসুবিধা নেই! যদিও কিছুটা অদ্ভুত ব্যাপার, তিয়াসা কে ট্যাগ করা নেই! ওর কি প্রোফাইল নেই তাহলে! অ্যালবামের ক্যাপশন, ” বোন ঝির বিয়ে”।
ক্রমশ
(কেমন লাগলো এই পর্ব, জানাবেন কিন্তু ❤️)