#যে_গল্পের_নাম_ছিলনা পর্ব ২৮
-Farhina Jannat
২৮.
বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই রাইয়্যান বলল, “আরেকটু হলেই তো দিয়েছিলি ভেজাল পাকিয়ে! কাজটা মোটেও ভাল করিসনি। এখন এর শাস্তিস্বরূপ কফি বানিয়ে খাওয়া আমাকে, তবে তার আগে বোরকাটা খুলে নিতে পারিস!”
কোন উত্তর দিলোনা সিদ্রা, বিরক্তি নিয়ে উঠে গেলো নিজের ঘরে। ড্রেসটা খুলে ওর মনে হল, বিশাল একটা বোঝা নামল শরীর থেকে। আজকেই প্রথম আর আজকেই শেষ, এটা কেন আর কোন ভারী ড্রেসই পরবো না আমি, সিদ্ধান্ত নিল সিদ্রা। ফ্রেশ হয়ে বেছে বেছে তুলনামূলক সবথেকে নরমাল থ্রিপিসটা পরে নিচে এলো আবার।
“কোনটা? আপনারটা না আমারটা?” রাইয়্যানের কাছে এসে জানতে চাইল সিদ্রা।
“মানে কি?” টিভিতে কি একটা দেখে হাসছিল রাইয়্যান, সিদ্রার প্রশ্ন শুনে মাথা ঘুরিয়ে তাকাল ওর দিকে।
“কফি, কোন ভাবে বানাবো সেটা জানতে চাইছি”
“ও! ইউজ করতে জানিসনা টানিসনা, শেষে আমার অত দামী কফি মেকারটা নষ্ট করবি।তার থেকে বরং তোর মত করেই বানিয়ে আন” উত্তর দিল রাইয়্যান।
মনে মনে হাসলো সিদ্রা। বুঝতে পারছে ওর কফি ভালোই পছন্দ হয়েছে লোকটার, তবু একটু বাজিয়ে দেখল,
“না না, আমি অত খারাপ স্টুডেন্ট না, আমি পারব কফি মেকারে বানাতে, এক্ষুনি বানিয়ে আনছি”
“যেটা বলেছি সেটা কর, এত অতিরিক্ত প্যাঁচাল পাড়িস কেন?” বিরক্ত কণ্ঠে বলল রাইয়্যান। মুচকি হেসে কফি বানাতে গেল সিদ্রা।
কফির মগটা এনে টেবিলে রেখে ভেবে রাখা কথাটা বলার সিদ্ধান্ত নিল সিদ্রা, কিন্তু কিভাবে শুরু করবে বুঝতে পারছেনা। ও যে দাঁড়িয়ে আছে, খেয়াল করলো রাইয়্যান।
“কিছু বলবি?”
“হুম! ভেবেছিলাম নিজের জন্য আপনাকে কোন খরচ করাব না, কিন্তু আজ যখন আপনি এতসব ফালতু জিনিস কিনে এত টাকা খরচ করে ফেলেছেন, তখন আমি কি কিছু চাইতে পারি?”
“হুম পারিস, কিন্তু আশা করি এমন কিছু চাইবিনা যেটা আমি তোকে দিবনা” কফিতে চুমুক দিল রাইয়্যান।
“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি আপনার কাছে আমার মুক্তি চাইতে আসিনি, আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন” বলল সিদ্রা, “আপনাদের লাইব্রেরিতে আমি না কোন কুরআন শরীফ দেখেছি আর না কোন ইসলামিক বই। যদিও আমি মুখস্থই তেলাওয়াত করতে পারি, তবুও অর্থসহ একটা কুরআন শরীফ পেলে ভাল হত, আর সাথে কিছু ইসলামিক বই”
রাইয়্যান এত অবাক হল, কিছুক্ষণ কথা বলতে পারলোনা। এই ওর চাওয়া! অথচ আমি ভেবে কূল পাচ্ছিলাম না যে কি না কি চাইবে।
“আয় আমার সাথে” বলে কফির মগ রেখে লাইব্রেরির দিকে এগোল রাইয়্যান।
কোণার একটা বুক সেল্ফ এর সব উপরের তাকটা অন্যগুলোর মত কাঁচের না, পাল্লা দেয়া, ওইটাই খুলল রাইয়্যান।
“এটা নিশ্চয় খুলে দেখিসনি”
আরে তাইতো, মায়ারেফুল কুরআন সহ অনেকগুলো তাফসীর গ্রন্থ আছে। হাফেজী কুরআন শরীফ ও চোখে পড়ল একটা, খুশি হল সিদ্রা।
“জাজাকাল্লাহ! আমি আসলেই দেখিনি এটা, কিন্তু……..”
“ইসলামিক বই তো, ঠিক আছে। নাম লিখে দিস, এনে দিব”
এত সহজে লোকটা ওর কথা মেনে নিবে কল্পনাও করেনি, কিছুটা অবাক হয়েই লাইব্রেরি থেকে রাইয়্যানের পেছন পেছন বের হয়ে এলো সিদ্রা। বসার ঘরে ফিরে এসে রাইয়্যান পা বাড়াল সোফার দিকে আর সিদ্রা সিঁড়ির দিকে। আমাকে কুরআন শরীফ দেখাতে গিয়ে তো উনার কফি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে, গরম করে দিব নাকি, মনে মনে ভাবল সিদ্রা। ধুর! এতো দরদ দেখিয়ে কি হবে, খাক উনি ঠাণ্ডা কফি, আমার কি?
রাইয়্যান পেছন থেকে বলে উঠল, “গুড জব!” ঘুরে দাঁড়াল সিদ্রা, জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল রাইয়্যানের দিকে।
“বুবুর সামনে ব্যাপারটা সুন্দর করে ম্যানেজ করেছিস” বলল রাইয়্যান, “তুই বুবুর সামনে আমাকে তুমি করে বলতে পারিস, আমি কিছু মনে করব না”
“আপনার মনে করা না করায় কিছু এসে যায়না। আমি আপনার মত ক্ষণে ক্ষণে ডাক বদল করতে পারব না। আর আমি আমার কাছের মানুষদের ছাড়া অন্যদের তুমি বলিনা” কাটাকাটা স্বরে জবাব দিল সিদ্রা।
“তো, বুবু তোর কাছের মানুষ?” একপাশের ভ্রু সামান্য উঁচু করে জিজ্ঞেস করল রাইয়্যান।
“অবশ্যই। বুবু আমাকে মাত্র দুবার দেখেছে আর তাতেই কত ভালবেসে ফেলেছে দেখেছেন? আমার কাছের মানুষ হওয়ার জন্য সেটুকুই এনাফ”
“সে তো আমি তোকে বউ বলে পরিচয় দিয়েছি বলে। তোর কি মনে হয় আসল কথা জানলে বুবু তোকে এমন ভালবাসতো?”
বড়সড় একটা ধাক্কা খেল সিদ্রা, কিন্তু রাইয়্যানের সামনে প্রকাশ করল না সেটা, উলটে বলল, “আসল কথা তো খালাও জানে, তাইনা?” শক্ত কন্ঠে জবাবটা দিয়েই সিঁড়ির দিকে এগোল সিদ্রা, কিন্তু মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে ওর। সত্যিই তো, লোকটা ভুল কিছু বলেনি। বুবু আমাকে ভালবাসছে শুধু ওই কারণেই, আমার নিজের তো এতে কোন ক্রেডিট নেই!
বরাবরের মত হতভম্ব হয়ে গেল রাইয়্যান। আসলেই তো, খালা সবকিছু জেনেও এই মেয়েকে এত ভালবাসছে, বুবুও কি তেমনটাই করবে! শুধু আমিই কি…….. আনমনে কফির মগটা নিয়ে চুমুক দিয়েই মুখ বিকৃত করে ফেলল, এহহে! পুরো পানি হয়ে গেছে।
মধ্যরাত। খোলা জানালা দিয়ে হু হু করে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকছে অন্ধকার ঘরে। সেজদায় পড়ে আছে সিদ্রা, কেঁপে কেঁপে উঠছে গোটা শরীর, কাঁদছে ও। আর মেনে নিতে পারছেনা ও এসব। এতদিন যাও সব কষ্ট সহ্য করে নিচ্ছিল, কিন্তু এই বউ সেজে থাকার বাড়াবাড়িটা যেন সহ্যের সব সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। আজ বুবুর বাড়িতে ও যেমন অপ্রস্তুত হয়েছে, সত্যিই কি এভাবে কাটাতে হবে ওকে বাকি জীবন? কিভাবে সহ্য করবে ও? আল্লাহ্র কাছে আজ সেই ফরিয়াদই জানাচ্ছে সিদ্রা।
***
বারান্দায় থাকা ইজি চেয়ারটাতে গা এলিয়ে দিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিদ্রা। রেশমের মত চুলগুলো চেয়ারের গা বেয়ে মেঝেতে লুটোচ্ছে। এত নিশ্চিন্তে ভেজা চুল খুলে শুয়ে আছে কারণ লোকটা নেই, ঢাকায় গেছে, কালকে আসবে। এতদিন কখন যেতো, কোথায় যেতো, কখন আসবে কিছুই জানত না সিদ্রা। পরশু হঠাৎ যাওয়ার আগে বলে গেল, কারণ নাকি বুবু জিজ্ঞেস করলে যদি উত্তর না দিতে পারে, তাহলে বুবু সন্দেহ করবে।
কোলের ওপর রিয়াদুস সালেহীনের প্রথম খন্ড রাখা। ইসলামিক বই বলতে আপাতত শুধু রিয়াদুস সালেহীন এর চারটা খন্ডই আনিয়েছে সিদ্রা। বিষয়ভিত্তিক হাদীসের এই গ্রন্থটিতে কোন দুর্বল হাদীস নেই, সব সিহাহ সিত্তাহ থেকে নির্বাচিত সহী হাদীস। অপরিসীম ঈমানী শক্তি পাওয়া যায় এর প্রতিটা হাদীস থেকে, সবর করার শক্তি এখন ও এই গ্রন্থ থেকেই পায়।
কেটে গেছে আরো কিছু দিন, কিন্তু নতুন কিছুই ঘটেনি। এক জায়গাতেই থমকে আছে সিদ্রার জীবন। আজ ও বই না পড়ে চা বাগানের শোভা দেখছিল, কিন্তু আসলেই কি তাই? এই বারান্দার মনোরম চা বাগানের দৃশ্য প্রথমদিনের মতই কি মনে দোলা দিচ্ছে ওর? প্রথমদিন বারান্দায় বেরিয়েই মুগ্ধ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল সিদ্রা। মনে পড়ে গিয়েছিল কয়েক বছর আগের দার্জিলিং ভ্রমণের স্মৃতি। দাখিল পরীক্ষার পর সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছিল ওরা। অফিসের বাৎসরিক লটারিটা জিতেছিল ওর আব্বু, সেখানে কাপল দার্জিলিং ট্রিপের সুযোগ ছিল। তার সাথে নিজেদের খরচে ওদের দুই বোনকেও নিয়ে গিয়েছিল। চা বাগান আর পাহাড়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল সিদ্রা। মনে হয়েছিল, সারাজীবন এমন একটা বাড়িতে কাটালে কেমন হয়, যেখানে জানালা খুললেই মেঘের ছোঁয়া পাওয়া যাবে, দু চোখ ভরে উপভোগ করা যাবে পাহাড় আর চা বাগানের সৌন্দর্য। আল্লাহ্ কি তবে ওর মনের ওই চাওয়াটাই কবুল করে নিয়েছিলেন!
কিন্তু আব্বু বলেছিল, “সুন্দর জিনিস মাঝেমাঝে দেখলেই তার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, প্রতিদিন দেখতে থাকলে সেটার আর আলাদা করে কোন গুরুত্ব থাকেনা” সেদিন আব্বুর কথা মানতে মন চায়নি কিন্তু আজ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছে। এই যে এত সুন্দর দৃশ্য, আজ কি ওর মন ভোলাতে পারছে? সিলেটের চা বাগান দেখার জন্য কতইনা বায়নাক্কা করেছে, ভাগ্যের ফেরে আজ সেখানেই বাস করতে হচ্ছে ওকে। অথচ আজ এ অপার সৌন্দর্যের সিদ্রার কাছে কোন মূল্যই নেই।
আর বই! বই পড়ার কত আগ্রহ! নতুন বইয়ের তালাশে থাকতো সবসময় সিদ্রা। যেদিন খালা প্রথম লাইব্রেরির দরজাটা খুলে দিয়েছিল, চোখ কপালে উঠেছিল ওর। বন্দিজীবনে অন্তত নিজের পছন্দের কিছু করতে পারবে ভেবেই আনন্দ পেয়েছিল। কিন্তু এখন আর বই পড়তে ভাল লাগেনা ওর। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে যায়, এক বর্ণ মাথায় ঢুকেনা। আবার কখনো দৃষ্টি থাকে বইয়ের দিকে, কিন্তু মন পড়ে থাকে অন্যখানে। জীবন যেখানে থমকে গেছে, নেই কোন স্বপ্ন, আশা কিংবা ভবিষ্যৎ, সেখানে কোন কিছুই কি আর ভাল লাগতে পারে?
অনেক ভেবেছে সিদ্রা, কোন কূল-কিনারা পায়নি। পালিয়ে গেলে লোকটা মুনিরাকে মেরে ফেলবে, আর সত্যি কথা খুলে বললে লোকটা যদি ওকে ছেড়ে দিয়ে মুনিরাকে ধরে আনে, তখন? আমি তো সেটাও সহ্য করতে পারবোনা। তার থেকে এই ভালো, জীবন আর কয়দিনের! নাহয় কাটিয়ে দিব এভাবেই, যা কিছু পাওয়া হলনা এ জীবনে, আল্লাহ্র কাছে নাহয় আখিরাতে চেয়ে নিব। আমার বোন বরং এসব থেকে দূরে থাক। আমি প্রতিনিয়ত দুয়া করছি, আল্লাহ্ ওকে যেন সহি বুঝ দান করেনন, ও যেন ওর ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে। নিজের ভাগ্য নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিয়েছে তাই, ছেড়ে দিয়েছে সব এখন আল্লাহ্র হাতে।
এখন ভাবছে ও বুবুর কথা। বুবুর কথামতো এখন মাঝেমাঝেই দুপুরের পর খালার সাথে বুবুর বাসায় যায় সিদ্রা। যদিও কি বলতে কি বলে ফেলবে, এই ভয় থাকে, কিন্তু এতদিনে একজন গল্প করার মত মানুষ পাওয়া গেছে, না গিয়ে পারেনা ও। আর লোকটাও কোন আপত্তি করেনি, শুধু মনে করিয়ে দিয়েছে, ভুলভাল কিছু বললে তার পরিণতি কি হবে। তবে বুবু যথেষ্ট বিবেচক একজন মানুষ। জানে যে বাবা মার কথা তুললে মন খারাপ হবে সিদ্রার, তাই সে বিষয় কখনো তুলেনা। তবে ওদের রিলেশন কখন হল, কিভাবে হল, সে বিষয়ে অনেক কৌতূহল বুবুর, প্রথমদিকে সেসব নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন করতো। সবসময় শুধু একটা কথা বলেই এড়িয়ে গেছে সিদ্রা, “শয়তানে ধরেছিল বুবু, পাপের সাগরে ডুবে যাচ্ছি বুঝতে পারিনি। তখন শয়তানের পাল্লায় যা করেছি করেছি, এখন ওইসব পাপের কথা আমি মুখে আনতে পারব না। আমাকে তুমি প্লিজ জিজ্ঞেস করোনা, পারলে তোমার ভাইয়ের থেকে জেনে নিও” অনেকবার চেষ্টা করে বুবু অবশেষে ক্ষান্ত দিয়েছে।
অনেকটা এই কারণেই দুপুরবেলায় যায় ও, বুবু ওইসময় রোগী দেখতে ব্যস্ত থাকে। সিদ্রা চুপচাপ বসে বসে বুবুর ডাক্তারি দেখে। রোগীরা সবাই এই চা বাগানের শ্রমিক। উপজাতি তো, ওদের কথা একটুও বুঝতে পারেনা সিদ্রা। অথচ বুবু কি সুন্দর করে ওই ভাষাতেই ওদের সাথে কথা বলে, হা করে তাকিয়ে থাকে ও। নতুন কেউ এলেই বুবু ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় মালকিন বলে। শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মানুষগুলোর, এত লজ্জা লাগে সিদ্রার ব্যাপারটা। ওই লোক আর বুবুর প্রতি মানুষগুলোর ভালবাসা খুব ভালভাবে টের পায় ও। প্রতিদিন কেউ না কেউ এটাসেটা নিয়ে আসে বুবুর জন্য, যার বেশিরভাগই রান্না করা খাবার। গরীব মানুষ, এর বেশি দেবার ক্ষমতা নেই, কিন্তু তার ভেতরের ভালবাসার গভীরতাটা অনুভব করতে পারে সিদ্রা। রোগী দেখা শেষ হবার পর ওগুলো খেতে খেতে গল্প করে ওরা।
বুবু বলেছে ওকে, এই সব শ্রমিকদের চিকিৎসা ফ্রি। বুবুকে কোম্পানি থেকে বিশাল এমাউন্টের স্যালারি দেয়া হয়, বলতে গিয়ে হেসে ফেলেছিল বুবু, “আমার কিছুই লাগেনা জানিস, সবকিছু তো ভাইটুই ব্যবস্থা করে দেয়। বছর বছর শুধু আমার ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ছে”
গতকাল বুবুকে এমনিই জিজ্ঞেস করেছিল ও, বিয়ে করেনি কেন বুবু? বলেই বুঝেছিল, প্রশ্নটা করা উচিত হয়নি, কারণ মুখটা ভারী হয়ে গিয়েছিল বুবুর। কিন্তু বুবু এড়িয়ে না গিয়ে বলেছিল, “অনেক লম্বা কাহিনী, সময় করে একদিন বলবো তোকে” এখন সেটাই ভাবছে সিদ্রা, কি এমন কাহিনী থাকতে পারে বুবুর জীবনে?