#মৃত_কাঠগোলাপ – শেষ পর্ব

0
969

#মৃত_কাঠগোলাপ – শেষ পর্ব
#আভা_ইসলাম_রাত্রি
__________________________
‘ তুই আয়েশীকে সব বলে দিয়েছিস? ‘
ধ্রুবর হাতে ছুরি। সেই ছু’রি ক্রমাগত ধ্রুব ওসমানের মুখ থেকে গলদেশ অব্দি ছুঁয়ে দিচ্ছে। ওসমান আজ ভয় পাচ্ছে না। অদ্ভুত এক সাহস ওসমানের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ওসমান খিটখিটিয়ে বলে, ‘ হ্যাঁ, আমি সব বলে দিয়েছি ম্যামকে। আপনার পা’প আর কত এই পৃথিবী সহ্য করবে? এবার অন্তত থামুন। আর কত? ‘
ধ্রুব ছুড়ি এবার ওসমানের গালে ঠেকালো। দাবিয়ে দিল ছুড়ির অগ্রভাগ ওসমানের গালে। ওসমানের গাল কেটে র’ক্ত ফিনকি দিয়ে বের হল। ওসমান চোখ খিঁচে নেয়। ধ্রুব হিড়হিড় করে বলে, আমার খেয়ে, আমার পড়ে, আমারই পিঠে ছু’ড়ি মেরেছিস। এত বড় অপরাধ করলি, শা’স্তি পাবি না, তা কি করে হয়? ‘
ওসমান ধ্রুবর চোখে চোখ রেখে স্পষ্ট কণ্ঠে বলে, ‘ মে’রে ফেলুন আমায়। আমি পরোয়া করিনা। আপনার কাছে থেকে পা’পের ভাগীদার হওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া ঢের ভালো। ‘
ধ্রুব হাসে। বলে, ‘ তবে ম’রেই যা। ‘
অতঃপর ছু’ড়ির এক ঘা বসিয়ে দেয় ওসমানের গলায়। ওসমানের গলা কে’টে বিভক্ত হয়। মাথা ঘাড় থেকে আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে। এক ফোঁটা র’ক্ত ধ্রুবর নাকের মধ্যে ছুঁড়ে পড়ে। ধ্রুব হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে রক্ত মুছে ওসমানের কাটা মাথার কাছে এসে দাঁড়ায়। বলে, ‘ আমার সাথে বি’শ্বাসঘাতকতা শাস্তি হয় মৃ’ত্যু! ভয়ঙ্কর মৃ’ত্যু! ‘

ধ্রুব লাশকে ঠিকানা লাগাতে বলে সে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। এখন আয়েশীর কাছে যাবে ধ্রুব। আয়েশী সব জেনে গেছে! ভালোই করেছে। এখন আর ধ্রুবকে আয়েশীর সামনে অভিনয় করতে হবে না। ধ্রুব যেমন আয়েশী ধ্রুবকে তেমনই দেখবে। হা হা হা!

‘ রক্তজবা! দরজা খুলো না। এই রক্তজবা। দরজা খুলো। আমি এসে গেছি। তোমার ধ্রুব এসে গেছে না? রাগ করছ কেন? দরজা খুলো। ‘
আয়েশী দরজা খুলে না। ধ্রুবর ভ্রু কুঁচকে যায়। ধ্রুব এবার দরজায় জোরে জোরে ধাক্কায়। ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ আসে না। ধ্রুব রেগে একাকার হয়। দরজা বন্ধ করে এতক্ষণ কি করছে?
ধ্রুব দরজায় গায়ের শক্তিতে এক ধাক্কা দেয়। দরজা ভেঙে পড়ে।
অতঃপর ধ্রুব থমকে যায়!
আয়েশীর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। আয়েশীর পা জোড়া নি’থর হয়ে আছে। হাত দুদিকে ঝুলছে। মুখ থেকে সাদা ফ্যানা বের হচ্ছে। ধ্রুবর মস্তিষ্ক ঘুরে উঠে। চোখ দুখানা বোধহয় কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। গলা কেপে উঠল। ধ্রুব ঘাড় হালকা কাত করে ফ্যালফ্যাল চোখে আয়েশীর ঝুলানো দেহের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে, ‘ রক্তজবা? ‘
ধ্রুবর রক্তজবা আজ উত্তর দেয়না। কেমন যেন ঠান্ডা পাথরের ন্যায় চোখ বুজে আছে। ধ্রুব হেলেদুলে আয়েশীর কাছে আসে। কাঁপা হাত উঁচু করে আয়েশীর হাত ছুঁয়ে দেখে। ঠাণ্ডা হাত। শ্বাসপ্রশ্বাস লক্ষ করে। নিঃশ্বাস নেই। রক্তজবা নিঃশ্বাস নিচ্ছে না কেন? যে নিঃশ্বাসের স্পর্শে ধ্রুবর পশম সোজা হয়ে যায়, আজ সে নিঃশ্বাস এত ঠান্ডা কেন? ধ্রুবর চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে। এই প্রথম ধ্রুবর মত নিষ্ঠুর, কঠিন, পাথরের তৈরি হৃদয়ের অধিকারী মানুষের চোখে জল এসেছে। ধ্রুব মাথা উচু করে আয়েশীর দিকে চেয়ে বলে, ‘ কেন করলে এমন, রক্তজবা? ‘

ধ্রুবর চিৎকারে বাড়ির সকল সার্ভেন্ট এসে জড়ো হয়েছে ধ্রুবর কক্ষে। আয়েশীর নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে সবার চোখ কপালে উঠে গেছে। সবাই মুখে হাত চেপে বলে উঠে, ‘ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। ‘
আয়েশীর খুব কাছের সার্ভেন্ট হিয়া এগিয়ে আসে। ধ্রুব তখনো নিথর দৃষ্টিতে আয়েশীর দিকে চেয়ে। চোখের পলক ফেলতে ধ্রুব ভুলেই গেছে যেন। হিয়া ধ্রুবর কাছে দাঁড়িয়ে ভয়ার্ত কন্ঠে বলে, ‘ স্যার, আয়েশী ম্যামকে নিচে নামান। উনার কষ্ট হচ্ছে। ‘
হিয়ার কথায় টনক নড়ে ধ্রুবর। যেন হঠাৎ করে ধ্রুবর শকুনি মস্তিষ্ক সচল হয়ে উঠেছে। ধ্রুব উন্মাদের ন্যায় আচরণ করতে থাকে। আয়েশীর পা নিজের দুহাতে আগলে নিয়ে বিলাপ করে, ‘ এই রক্তজবা, এই আমার প্রাণের টুকরা। একবার ধ্রুব বলে ডাকো। সত্যি বলছি, আমি আর তোমায় আ’ঘাত করব না। তোমায় ভীষন ভীষন ভালোবাসবো। সামান্য একটু আ’ঘাত করেছি বলে এভাবে আমায় শাস্তি দেবে? এতবড় অ’ন্যায় কি করে করলে তুমি? এই রক্তজবা?’

আফসোস, ধ্রুবর রক্তজবা আজ নিরুত্তর! ধ্রুব আয়েশীর পায়ে একটা চেয়ার রেখে আয়েশীকে ঠায় দেয়। আয়েশীর গলা থেকে শাড়ির গিট খুলে আয়েশীকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দেয়। আয়েশীর সারামুখে চুমু এঁকে আয়েশীর গলায় মুখ গুঁজে ডুকরে কেঁদে উঠে। বারবার বলে,
‘ এই রক্তজবা? এই? এই? একবার উঠ। এমন করে শুয়ে আছো কেন? আমার ভয় লাগছে। এই প্রথম আমার ভয় লাগছে। ধ্রুব ইউহান শেখ ভয় পাচ্ছ। তোমাকে নিয়ে। বুঝেছ? উঠ আয়েশী! এতবড় শাস্তি আমায় দিও না। দোহাই তোমায়। ‘
হিয়া এগিয়ে আসে। আয়েশীর মাথার কাছে এসে বসে। ধ্রুব এখনো আয়েশীর গলায় মুখ গুঁজে ক্ষমা চাইছে বারবার। অথচ আজ আয়েশী ধ্রুবকে ক্ষমা করবে না। আয়েশীর মৃ’ত্যু ধ্রুবর জন্যে সেরা শাস্তি ছিল। বাড়ির সকল সার্ভেন্ট আজ কান্না করছে। বাড়ির লক্ষ্মী তাদের সামনে আ’ত্ম’হত্যা করেছে। ইশ, কি ভীষন কষ্টের সংবাদ। সবার চোখে জল। একে একে সবাই মনে করতে লাগল, আয়েশীর উদারতা, মহত্ত, ভালোবাসা!
হিয়া চোখের জল ফেলে। ধ্রুব এখনও আয়েশীর গলায় মুখ গুঁজে আছে। হিয়ার হঠাৎ চোখ পড়ে আয়েশীর শাড়ির কোমড়ে গুঁজে রাখা একটি চিরকুট! হিয়া ধ্রুবকে জানায়,
‘ স্যার, একটি চিরকুট! ‘
ধ্রুব চিরকুট লক্ষ্য করে। আয়েশীর কোমড়ে হাত ছুঁয়ে চিরকুট হাতে নেয়। ধ্রুবর হাত স্পষ্ট কাঁপছে। না জানি চিরকুটে কি লেখা আছে? ধ্রুবর ভীষন ভয় করছে। চিরকুট খুলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। ধ্রুব চিরকুট পড়ে। লেখা সেখানে,
‘ আমি মা’রা যাচ্ছি। জানি অবাক হবে। তোমায় শা’স্তি না দিয়ে আমিই বা কেন মা’রা যাচ্ছি। আসলে তোমাকে কেমন করে শা’স্তি দেওয়া যায় আমার জানা নেই। তুমি আদৌ শা’স্তি পাওয়ার যোগ্য না! সকল শা’স্তি তোমার হিং’স্রতার কাছে তুচ্ছ! তোমার পাপের শা’স্তি আদৌ এই পৃথিবীর আছে কি না জানা নেই। আমি জানি, এই পৃথিবীতে তুমি একজন মানুষকে ভীষন ভালোবাসো। আর সে হলো আমি, আয়েশী! আমি চাইলে তোমায় কঠিন থেকে কঠিন শা’স্তি দিতে পারতাম। তবে ভাবলাম, শা’স্তি দিয়ে লাভই বা কি? তুমি কখনো শুধরাবে না। তোমার জন্মই হয়েছে পা’পের জন্য। পৃথিবীতে ত্রাস চালানোর জন্যে। আমাদের সন্তান আসছে। হ্যাঁ, আমি ঠিক বলেছি। তুমি ঠিক তোমার বাবার মত ধ্রুব। তোমার বাবা যেমন তোমাকে অ’ত্যাচার করেছে। তেমনি তুমি আমাকে, আমার সন্তানকে অত্যা’চার করবে। আমার সন্তান তোমার আদর্শে বড় হবে। একসময় তোমার ন্যায় এই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পা’পী ব্যক্তি হবে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। আবারো এক আয়েশীর জগৎ ধ্বংস হবে। মৃদুলের ন্যায় পবিত্র প্রেমিকের খু’ন হবে। নিখুঁত মায়াজালে ফাঁসিয়ে নিবে এক নিষ্পাপ মেয়েকে। আমি চাইনা আমার ছেলে বাঁচুক, তোমার মত পাপ করুক। আমি চাইলে পালাতে পারতাম। তবে আমি জানি, আমি তা পারব না। আমি পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকি না কেন,তুমি ঠিক আমাকে খুঁজে নেবে। শা’স্তি দেবে, আমাকে, আমার সন্তানকে। সবশেষে বন্দী হবো তোমার ইন্দ্রজালে আমি এবং আমার সন্তান। আমি চাইনা আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি, জিন্দা লা’শ হয়ে গেছি, আমার সন্তানের কারণে অন্য কেউ এমন কষ্ট পাক। জানি, আমি খুব খারাপ মা। তবে একটা পা’পের জগৎ ধ্বংস করতে আমার এই স্বার্থ ত্যাগ ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তুষার ভাই ঠিক বলেছে, আমি একজন খা’রাপ মেয়ে, খা’রাপ বোন। আজ আমি বলছি, আমি একজন খারা’প স্ত্রী এবং একজন খা’রাপ মাও বটে! তবে আমি আজ জিতে গেছি, ধ্রুব! তোমায় বি’ভৎস ভাবে হারিয়ে আজ আমি কি দুর্দান্ত ভাবেই বা জিতে গেলাম। আমি নেই, আমাদের সন্তানও আর নেই, ধ্রুব। আমাদের সন্তান আর নেই! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ধ্রুব! ভীষন কষ্ট! যে কষ্ট আমি ভোগ করেছি, সেই একই কষ্ট তুমি ভুগবে ধ্রুব। আজ বুঝবে তুমি, কি হারিয়েছ! চলে যাচ্ছি আমি। বিদায়! ‘

ধ্রুব চিরকুট পড়ে স্তব্ধ হয়ে যায়। চোখের কার্নিশ বেয়ে টুপ করে এক ফোঁটা জল গড়ায়! ধ্রুব ফ্যালফ্যাল চোখে আয়েশীর পেটে হাত রাখে। বিড়বিড় করে বলে,
‘ আমাদের সন্তানকে তুমি মেরে ফেললে? আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে? এতটা খারাপ কি করে হলে তুমি? ‘

অতঃপর পুলিশ আসে। আয়েশীর ম’র’দেহ পোস্ট ম’র্টেম করা হয়। দাফন করা হয়। অথচ এতসব হয়ে গেল। ধ্রুব এখনো নির্বিকার হয়ে নিজের কক্ষে বসে আছে। অন্ধকার এক কক্ষ, যেখানে আলোর ছিঁটেফোঁটা নেই। এমন কক্ষে ধ্রুব আয়েশীর একখানা ছবি ও প্রেগন্যান্সি রিপোর্ট নিয়ে বসে আছে। ধ্রুবর মত শক্ত ব্যক্তি আজ কাঁদছে। ভেতর ভেতর গুমরে ম’রছে। আজ ধ্রুব বুঝতে পারছে, তার পাপের শাস্তি! মৃদুল ম’রে যাওয়ায়, আয়েশী কতটা কষ্ট পেয়েছি আজ ধ্রুব বুঝতে পারছে। নিজের প্রিয় মানুষ নিজেকে ছেড়ে চলে গেল, বুক কতটা পুড়ে আজ ধ্রুব বুঝতে পারছে। আর বুঝতে পারছে বলেই ধ্রুবর ম’রে যেতে ইচ্ছে করছে। আয়েশী কেন ধ্রুবকে নিজের হাতে মে’রে ফেলল না? আয়েশীর হাতে ম’রন ধ্রুবর জন্যে উপহার হত। আয়েশী ধ্রুবর থেকে নিজেকে কেড়ে নিয়ে ধ্রুবকে সর্বোচ্চ শা’স্তি কেন দিল? ধ্রুব কি করবে এখন? ধ্রুবর এই জগৎ নিয়ে আর একটুও আগ্রহ নেই। বেঁচে থাকলে আয়েশী ও নিজের সন্তানের কথা ভেবে, অপরাধবোধে ধ্রুব ধুঁকে ধুঁকে মরবে। তার চেয়ে বরং ম’রে যাওয়াই ঢের ভালো! হ্যাঁ! ঠিক ভেবেছে ধ্রুব!

ধ্রুব ইউহান শেখ আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। আজকের তাজা খবর! দেশের সকল টিভি চ্যানেলে এই নিউজ ছড়িয়ে গেছে। ধ্রুবর লা’শ ধোয়া হচ্ছে। ধ্রুবর চোখে বুজে রাখা। মুখে হাসি! আর মাত্র কিছুক্ষণ! তারপরই আয়েশীর কাছে, নিজের প্রিয়তমার কাছে, রক্তজবার কাছে পৌঁছে যাবে ধ্রুব। এর চেয়ে সুখের আর কিইবা হতে পারে! ধ্রুবর তর সইছে না। সবাই কেন ধ্রুবকে দ্রুত ক’বর দিচ্ছে না। ধ্রুবর লা শ দাফন করা হল। আয়েশীর কবরের ডান পাশে ধ্রুবকে কবর দেওয়া হল। দাফন কার্য শেষ করে সবাই চলে গেছে। ধ্রুব মিটমিটিয়ে হাসছে। অবশেষে সে শুয়ে আছে নিজের প্রিয়তমার পাশে। আজ থেকে ধ্রুব এবং আয়েশীকে আর কেউ আলাদা করতে পারবে না। কেউ না! ইশ, মকরে গিয়েও ধ্রুব আয়েশীর পিছু ছাড়লো না। আয়েশীর মেয়েটা শেষপর্যন্ত সুখী হতে পারলো না। জনমভর দুঃখকে সঙ্গী করে নিল। ইশ! কি ভীষন গা জ্বলে যাওয়া দুঃখ!

বৃষ্টি পড়ছে। ঝড়ো হাওয়া বইছে। কোথা হতে একটি মৃত কাঠগোলাপ ঝড়ে পড়ে ধ্রুব এবং আয়েশীর ককবরের ঠিক মাঝখানে। ধ্রুব চেয়ে আছে আয়েশীর দিকে! আয়েশীর চোখে ভয়! রক্ষে কি এবারেও হলো না?

ছোটবেলায় আমরা এক গল্প শুনতাম! এক ছিল রাজা, এক ছিল রানী! দুজন ম’রে গেছে। খতম কাহিনী। ধ্রুব-আয়েশীর কাহিনীটা খানিক এমনই। তাদের গল্পে বিচ্ছেদ ছিল না। কারণ ম’রে গিয়েও ধ্রুব আয়েশীর সাথে আছে। আয়েশীকে ভালোবাসছে। তবে তাদের মৃ’ত্যুর পরের কাহিনী আমাদের অজানা। তাদের কাহিনীটা এবার শুধু ধ্রুব আয়েশীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ! আমরা কেউ জানব না, মৃ’ত্যুর পরে তাদের কি হয়েছিল! কেমন আছে তারা?

পুনশ্চ…
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না! চাই সে ভালোবাসা হোক কিংবা দুঃখ হোক অথবা যন্ত্রণা হোক! ভালোবাসা, কারো কাছে সুখের নাম, কারো কাছে কেড়ে নেওয়ার নাম, কারো কাছে বেঁচে থাকার সম্বল, আবার কারো কাছে এক চিমটি য’ন্ত্রণার নাম! ধ্রুবর কাছে ভালোবাসা অর্থ কি ছিল? ধ্রুব, এক ম’রণঘাতী অ’সুখের নাম! ধ্রুব এক য’ন্ত্রণার নাম! ধ্রুব এক ভ’য়ংকর পুরুষের নাম! ধ্রুব মৃ’ত্যুর অন্য রূপ! অতঃপর এক ধ্রুব নামক মৃত্যুরও মৃত্যু হল! ধ্রুব ম’রে গিয়েও জিতে গেল। আর আয়েশী? হেরে গেল কি?

#সমাপ্ত
গল্পকে গল্পের মত নিতে শিখুন। আমি এখানে আত্মহত্যাকে প্রমোট করছি না। শুধু একটি গল্পের মর্মান্তিক সমাপ্তি বুঝাতে চেয়েছি।
অবশেষে শেষ হলো আমার লেখা পাঠকপ্রিয় এক গল্প! সবাই এই গল্পকে যেমন ভালোবেসেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ! আশা করি, আমার চলমান গল্প, #প্রিয়_ডাক্তার পড়ে দেখবেন! ভালো লাগবে।
আজ সবাই প্লিজ ভালো খারাপ মন্তব্য করবেন। আমি রিভিউ চাই, চাই মানে চাই। কেউ আমার গল্প নিয়ে রিভিউ দেয়না। আমার খারাপ লাগে। আজ আপনারা আপনাদের প্রিয় এই গল্প নিয়ে রিভিউ দিবেন। আমার গ্রুপে দিতে পারেন,অথবা বিভিন্ন রিভিউ গ্রুপেও দিয়ে আমাকে মেনশন করতে পারেন। ভালোবাসা!

গত পর্বের কমেন্ট বিজয়ী,
@এলোমেলো স্বপ্নকন্যা
@maksuda ratna
@triyasha roy sreya
@reha zaman
@farhana tabassum
@আফরিন ঐশী
@farhana tabassum
@Mithali Sarker
@wasifa jahan sara
@lalita khatun
@kamrun nessa
@nil akasher pori
শেষ পর্বের কমেন্ট বিজয়ী তিনদিন পর আমার পেইজে পোস্ট করা হবে।

আমার গ্রুপ,
কল্পনা-কলমে ~ ‘আভা ইসলাম রাত্রি’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here