#বাবুইপাখির_অনুভূতি🕊️পর্বঃ১০
#লেখিকা:#তানজিল_মীম🕊️
—
_________________
অফিসের ছাঁদের এক কিনারায় একটা চেয়ারে নীরবে বসে আছে আদ্রিয়ান। খারাপ লাগা, রাগ দুটোই হচ্ছে তাঁর। এমনটা নয় শুভকে কষ্ট দিয়ে তার খুব ভালো লাগছে। নিজের রাগ একদমই কন্ট্রোল করতে পারে না আদ্রিয়ান। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই সে খুব রাগী টাইপের। নিজের জিনিসের ওপর অন্যের হাত দেওয়া একদমই সহ্য করতে পারে না সে। শুভর তখন বেশি বয়স ছিল না আদ্রিয়ানের থেকে দু কি দেড় বছরের ছোট হবে শুভ। শুভ ছোট বেলা থেকেই প্রায় চঞ্চল আর দুষ্ট টাইপের ছিল। আদ্রিয়ানের রাগ থাকলেও সে দুষ্ট কম ছিল চুপচাপ থাকা বেশি পছন্দ করতো আদ্রিয়ান। সেখানে শুভ ছিল একদমই উল্টো। ছোট বেলায় আদ্রিয়ানের জিনিসপত্র ধরতো শুভ আর এটা নিয়ে প্রায় আদ্রিয়ানের সাথে ঝগড়া হতো শুভর। তবে ঝগড়া হলেও শেষে গিয়ে আদ্রিয়ানকে বকা খেতে হতো মায়ের কাছে কারন সে বড়। বাবাও প্রায় বকতো তাকে শুভর জন্য। একদিন তো সব লিমিট ক্রস করে ফেলে শুভ তার প্রিয় একটা খেলনা ভেঙে ফেলে শুভ। সেদিন আদ্রিয়ান রেগে গিয়ে মারে শুভকে, শুভকে মারার জন্য তার বাবা সেদিন প্রচন্ড রেগে মারে আদ্রিয়ানকে। আদ্রিয়ান সেদিন রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আর এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, না সেদিন সে বাড়ি থেকে বের হতো আর না ভয় নামক অসুখ তাকে গ্রাস করতো আর নাই বা আজ তার বাবা মা তার থেকে এতো দূরে থাকতো।
সেই রক্তের ছাপ, কুকুরের ডাক, গুলির শব্দ সাথে আর ভাবতে পারলো না আদ্রিয়ান। সেসব ভাবলেই যেন এক অস্থিরতা ফিল হয় তার। শক্ত করে নিজের মাথাটা চেপে ধরলো আদ্রিয়ান। আর ভাবতে চায় না সে।
সময়টা তখন প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। চারপাশে রোদ্দুর মাখানো হিমশীতল বাতাস বইছে। ধবধবে সাদা আকাশের মাঝ বরাবর দিয়ে উঁড়ে গেল এক ঝাঁক পাখি। তবে আপাতত সেসব দিকে বিন্দুমাত্র লক্ষ নেই আদ্রিয়ানের। সে তো চুপচাপ নিজের মাথাটা চেপে ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। এমন সময় তার কাঁধে মাথা রাখলো নিলয়। কারো হাতের স্পর্শ পেতেই আদ্রিয়ান চোখ তুলে তাকালো সামনেই নিলয়কে দেখে বললো সে,
‘ ও কি চলে গেছে নিলয়?’
উওরে আদ্রিয়ানের পাশে বসে বললো নিলয়,
‘ হুম।’
‘ আমি খুব বাজে তাই না নিলয় সবার সাথেই বাজে ব্যবহার করি?’
‘ কে বলেছে তুই বাজে আমার দোস্ত কখনো বাজে হতেই পারে না।’
উওরে শুকনো হাসলো আদ্রিয়ান তবে কিছু বললো না। আর নিলয় চেয়েছিলো শুভর কথা কিছু বলতে কিন্তু আর বলতে চেয়েও কিছু বলতে পারলো না সে। কিছুক্ষনের জন্য নেমে আসলো তাদের মধ্যে নীরবতা। হঠাৎই আদ্রিয়ান জোরে শ্বাস ফেলে বলে উঠল,
‘ চল যাই?’
‘ হুম তুই যা আমি আসছি।’
উওরে আদ্রিয়ান আর কিছু না বলে নিজের মতো উঠে দাঁড়িয়ে চলে গেল নিচে। আর নিলয় তাকিয়ে রইলো আদ্রিয়ানের যাওয়ার পানে। সে বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান খুবই আপসেট। নিলয় কিছু একটা ভেবে নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে একটা কল করলো। প্রথম কলেই অপর পাশের ব্যক্তিটি ফোন তুললো। ফোন তুলতেই নিলয় বলে উঠল,
‘ তুষার সিলেট যাওয়ার একটা টিকিট চাই আমার?’
নিলয়ের কথা শুনে অপর পাশে অফিসের লোকই তুষার। বললো সে,
‘ ওকে কবের স্যার?’
নিলয় কিছুক্ষন ভেবে নিজেই নিজেকে বললো ‘কাল তো একটা মিটিং আছে কাল নয়’ ভেবেই কানের পাশে ফোনটা ঠিক মতো বললো,
‘ হুন পরশুর।’
‘ ওকে স্যার।’
উওরে নিলয় আর কিছু না বলে ফোনটা কাটলো।’
_____
মাঝখানে কাটলো এক দিন।
সকাল প্রায় ৬ঃ০০টা। ঘুমেতে প্রায় টইটম্বুর সবাই। তবে এই মুহূর্তে সবাই বললে ভুল হবে একটু কমলাপুর রেলস্টেশনের একটা প্লাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে নীরব, অথৈ,সোহান,মীরা,সুজন, শরীফ আর আহি। যেখানে সবাই বসে বসে তাকিয়ে আছে রেললাইনের পথের দিকে সেখানে আহি বসে বসে ঘুমিয়ে আছে। পাক্কা দেড় ঘন্টা লেগেছে আহিকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তৈরি করে আনতে। কিন্তু তৈরি করলেও আহির ঘুমটা পুরোপুরি ভাঙাতে পারে নি কেউ। আসার সময় গাড়িতেও পড়ে পড়ে ঘুমিয়েছে সে,আর এখনো ঘুমিয়ে আছে। বিষয়টায় প্রায় সবাই হতাশ। কেউ বুঝতে পারছে না এত এক্সাইটিং এর মধ্যে আহি কি করে এত ঘুমাচ্ছে?’
পাক্কা বিশ মিনিটের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলে আসলো ট্রেন। ট্রেন আসার শব্দ কানে আসতেই হকচকিয়ে উঠল আহি। তারপর চটজলদি নিজের ব্যাগটাকে কাঁধে জুলিয়ে বললো সবাইকে,
‘ কি তোমরা সবাই বসে আছো যে যাবে না, ট্রেন তো চলে এসেছে?’
আহির কাজে চোখ বড় বড় করে তাকালো সবাই। নীরব তো ওর মাথায় চাটি দিয়ে বললো,
‘ একক্ষন তো তোকে ডেকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না যেই ট্রেন আসলো ওমনি তোর তাড়া শুরু হয়ে গেল।’
নীরবের কথা শুনে মাথায় হাত দিয়ে শুকনো হাসলো আহি। বলতে না বলতেই ওদের সামনে এসে হাজির হলো ট্রেন। ট্রেন থামতেই একে একে সবাই গিয়ে উঠলো ট্রেনে। আহি সবার আগে ওর পিছনে রিনি,তারপর সোহান, শরীফ,সুুজন, মীরা আর সবার পিছনে নীরব অথৈ। যদিও অথৈ সামনে আর নীরব পিছনে। অতঃপর সবাই যে যার বগির সিটে গিয়ে বসে পড়লো। জানালার ধারে চুপচাপ বসলো অথৈ। কথা কম বলা, প্রকৃতি প্রেমিক মিষ্টি একটা মেয়ে। বাকি সবাই পক পক করলেও সে চুপচাপ বসে আছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ট্রেন তার যাত্রা শুরু করে দিলো। অথৈর সোজাসুজিই বসেছে আহি আর আহির পাশে রিনি। এদিকে অথৈর পাশে বসেছে মীরা। আর তাদেরই অপজিট সাইডে বসেছে নীরব সোহান শরীফ আর সুজন। আটজনই প্রায় হুল্লোড় মাখা মুখ নিয়ে বসে।’
ট্রেনের জার্নি মোটামুটি সবারই ভালো লাগে। আর সকালের জার্নি তো আরো বেশি সুন্দর। কেবল দশ মিনিটই হবে ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে রওয়ানা হয়েছে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ছয়টা বেজে তেত্রিশ মিনিট,রোদ্দুরের ছিটেফোঁটা নেই একটুও। সকালের ঠান্ডা মৌসুমে,সিদ্ধতায় ঘেরা সূর্য্যিমামা,চারপাশের দু’দিকেই রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য সারি সারি গাছপালা,অথৈই সেগুলোর দিকেই নিশ্চুপে তাকিয়ে আছে। ফ্রেন্ডশীপ ট্যুরে এই প্রথমই যাচ্ছে সে এক অজানা ভালো লাগা কাজ করছে তাঁর ভিতর। অথৈই নীরবেই তাকিয়ে রইলো বাহিরের দিকে,বাহিরের ঠান্ডা শীতল বাতাস এসে নাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। ভিষণই ভালো লাগছে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে তাঁর ভাগ্যিস আহি রিনির কথা শুনে এখানে এসেছে সে না হলে এই মুহূর্তটা মিস করতো। যদিও রাজশাহী থেকে ট্রেনেই এসেছিল সে তবে এত সকালে নয়।’
অন্যদিকে হুট করেই নীরবের চোখ যায় অথৈর দিকে। মেয়েটা আসলেই খুব চুপচাপ একদম তাঁর মতো আনমনেই হাসলো সে।’
ধীরে ধীরে কাছের গাছপালাদের দূরে সরিয়ে বড় বড় মাঠের মাঝদিয়ে এগিয়ে গেল তাঁরা। হুল্লোড়, আড্ডা, ভালো লাগা অনেকটা এক্সাইটিং নিয়েই চললো তাঁরা সিলেটের শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে…
____
গায়ে কালো কোট প্যান্ট পড়ে গাড়ি করে চলছে আদ্রিয়ান কোথায় যাচ্ছে নিজেও জানে না। কিছুক্ষন আগেই হুট করে নিলয় ফোন করে বললো তাঁকে তাড়াতাড়ি তৈরি হতে কোথাও একটা নিয়ে যাবে তাকে?’ কিছুটা হতাশা ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো আদ্রিয়ান,
‘ আমরা কোথায় যাচ্ছি নিলয়?’
ড্রাইভিং সিটে বসে ড্রাইভ করছিল নিলয় আদ্রিয়ানের কথা শুনে সামনের দিকে তাকিয়ে থেকেই বললো সে,
‘ গেলেই দেখতে পাবি আর আমরা নয় শুধু তুই যাচ্ছিস।’
নিলয়ের কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে বললো আদ্রিয়ান,
‘ শুধু আমি মানে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল বলে তো আমার মনে পড়ছে না তাহলে?’
‘ তুই না বড্ড প্রশ্ন কলিস বুঝলি, গেলেই তো দেখতে পাবি তাই না।’
উওরে আদ্রিয়ান কিছু বলতে চেয়েও আর বলতে পারলো না চুপ হয়ে গেল সে।’
কিছুক্ষনের মধ্যেই নিলয় গাড়ি থামালো ঢাকা এয়ারপোর্টের সামনে। নিলয়কে এমন একটা জায়গায় গাড়ি থামাতে দেখে বললো আদ্রিয়ান,
‘ এয়ারপোর্টে কেন?’
উওরে নিলয় কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায় গাড়ি ডিঁকির কাছে। তারপর গাড়ির ডিঁকি খুলে আদ্রিয়ানের ব্যাগ বের করলো। ততক্ষণে আদ্রিয়ানও গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। নিলয়ের কাজে সে বেশ চমকে গিয়ে বললো,
‘ তুই একজেকলি কি করতে চাইছিস বলতো আর আমার ব্যাগ আনলি কখন?’
‘ এগুলো সব কাল রাতেই গুছিয়ে রেখেছিলাম আমি, এখন আর কথা না বারিয়ে এই টিকিটগুলো ধর আর সিলেট থেকে ঘুরে আয়।’ (পকেট থেকে টিকিট বের করে আদ্রিয়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
এবার যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেল আদ্রিয়ান, বিস্ময় ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো সে,
‘ তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে অফিসে এত কাজ রেখে আমি সিলেট যাবো তাড়াতাড়ি বাড়ি চল।’
বলেই গাড়ি দরজা খুলতে নিলো আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ান দরজা খুলতেই নিলয় চটজলদি গিয়ে গাড়ির দরজা চেপে ধরে বললো,
‘ কাজ আছে বলেই তো সিলেট পাঠাচ্ছি না হলে তো ইতালি পাঠাতাম এখন কথা না বারিয়ে তাড়াতাড়ি যা তো আর কিছুক্ষনের মধ্যেই তোর ফ্লাইট তোর জন্য উইন্ডো সিট বুকিং করেছি। মনটা একটু ফ্রেশ করে আয় তোর জন্য শ্রীমঙ্গলের একটা সুন্দর রিসোর্ট বুক করেছি যেটা তোর জন্য একদম পারফেক্ট!’
বলেই এক প্রকার ধাক্কা মেরে যেতে বললো নিলয় আদ্রিয়ানকে। নিলয়ের কাজে আদ্রিয়ান কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,
‘ কিন্তু অফিস?’
‘ টেনশন নিস না আমি তো আছি দু’ তিন দিন নিরালায় থেকে মনটা ফ্রেশ করে আয় তোর ভালো লাগবে।’
উওরে আদ্রিয়ান আর কিছু না বলে নিজের ব্যাগপত্র নিয়ে চলে গেল এয়ারপোর্টের ভিতরে। হয়তো একটু নিরিবিলি জায়গায় থাকলে তার মনটা ফ্রেশ থাকবে আর একদিক দিয়ে তো ভালোই হবে কামছেকাম দু-তিন দিন নিশ্চিত থাকা যাবে ওই বদমাইশ মেয়েটাকে তার দেখতে হবে না। এরকম নানা কিছু ভেবে চলে গেল আদ্রিয়ান। আর নিলয়ও চুপচাপ দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইলো আদ্রিয়ানের যাওয়ার পানে।’
অতঃপর, প্লেনে উঠে তিন নাম্বার সারির কিনারায় থাকা উইন্ডো সিটে বসলো আদ্রিয়ান। সিটটা বেশ পছন্দ হয়েছে তাঁর। ধীরে ধীরে লোক সংখ্যা বেড়ে গেল প্লেনের ভিতর সাথে মাইকে এনাউন্সমেন্টও করা হলো আর দশ মিনিটের মধ্যেই প্লেন সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে।’
আর বলতে না বলতেই কিছুক্ষনের মধ্যেই প্লেন তার সিলেট যাওয়ার যাত্রা শুরু করলো।’
ধীরে ধীরে প্লেন জমিন ছেড়ে আকাশের শুন্য হাওয়ায় ভাসতে লাগলো। আদ্রিয়ান চুপচাপ বসে রইলো নিজের সিট দিয়ে। মেঘের কোলে ভাসছে সে, যদিও এইরকম প্লেনের উঠার অভিজ্ঞতা নতুন নয় তার কাছে। তারপরও একরাশ ভালো লাগার শিহরণ নিয়েই চললো সে।’
______
ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাড়ে দশটা ছাড়িয়ে গেছে। আহিদের ট্রেন এসে থেমেছে কিছুক্ষনই হলো। একে একে সবাই স্টেশন থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে রওয়ানা হলো হোটেল বা রিসোর্টের উদ্দেশ্যে।’ তারপর সেখান থেকেই ব্রেকফাস্ট সেরে রওয়ানা দিবে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে।’
আর অন্যদিকে আরেকজন প্লেন থেকে নামতেই একজন লোক এসে বললো তাকে মিস্টার ‘আদ্রিয়ান মাহামুদ’ উওরে আদ্রিয়ানও মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো, আদ্রিয়ানের কথা শুনে লোকটি খুশি হয়ে আদ্রিয়ানের হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে বললো,
‘ আমাকে নিলয় স্যার পাঠিয়েছে?’
বিনিময়ে আদ্রিয়ান খুশি হয়ে বললো,
‘ ওহ!’
‘ হুম চলুন আমার সাথে ওদিকেই আমার গাড়ি?’
‘ ওকে।’
বলেই আদ্রিয়ান চললো লোকটার সাথে। তারপর গাড়িতে উঠে চললো সে নিলয়ের বুক করা সেই রিসোর্টের কাছে।’…..
!
!
!
!
!
#চলবে…..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে, আচ্ছা গল্প কি খুব প্যাঁচাচ্ছি আমি? একটু ধৈর্য ধরিও সবাই গল্প কিন্তু লং হবে আগেই বলে দিলাম। মনটা ভিষণ খারাপ আজ একবার ভেবেছিলাম আজ গল্প দিবো না কিন্তু তারপরও দিলাম]
#tanjil_mim♥️