প্রজাপতির_রং🦋 Part_10

0
988

প্রজাপতির_রং🦋
Part_10
#Writer_NOVA

হঠাৎ ঘুমের ঘোরে মনে হলো কেউ আমার ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে।তার উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার উপর পরছে।তার শরীরের ঘ্রাণটাও আমার বড্ড চেনা।চোখ খুলতেই আমি চারিদিকে অন্ধকার দেখতে পেলাম।তড়িঘড়ি করে লাফিয়ে উঠলাম।হাতরে লাইটের সুইচ অন করলাম।কিন্তু আশেপাশে তাকিয়ে আমি অবাক।কেউ নেই। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এখানে কেউ ছিলো।এটাকে আমি হ্যালুসিউশন ধরে নিলাম।কারণ এরকম আমার মাঝে মাঝে হয়।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আৎকে উঠলাম।১০ টা বেজে ২২ মিনিট। এতক্ষণ ঘুমিয়েছি টেরও পাইনি।ড্রেস পাল্টিয়ে এরিনদের রুমে গেলাম।

আমিঃ এরিন,হিমি কি করছিস? নাভান কি ঘুমিয়ে গেছে?

এরিনঃ একদম ধরবি না নাভানকে।ও আজকে আমাদের সাথে থাকবে।এভাবে কেউ ছোট বাচ্চাটাকে মারে।গাল দুটো লাল টকটকে হয়ে আছে।

হিমিঃ অনেক কষ্টে ঘুম পারিয়েছি। তোকে কতবার বলছি ছেলেটাকে এভাবে মারবি না।কাঁদতে কাঁদতে হেচকি উঠে গিয়েছিলো ছেলেটার।ও যদি বুঝতো তাহলে কি এসব জিজ্ঞেস করতো।রাগ উঠলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে কেন পারিস না?

আমিঃ জানি না রে।তখন এত কথা শুনে মেজাজটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ও আবার মর্জি করছিলো।তাই নিজেকে সামলাতে পারিনি।তোরা এসে না ধরলে আরো দুটো দিতাম।এবার আমার ছেলেকে দে।তোরা তো জানিস, ওকে ছাড়া আমি ঘুমাতে পারবো না।

এরিনঃ যা ভাগ।তোকে আমি নাভানকে নিতে দিবো না।মারার সময় মনে ছিলো না। এক রাত ওকে ছাড়া থাকলে তোর শিক্ষা হবে।পরেরবার থেকে মারার সময় নিজেকে সামলাতে পারবি।

আমিঃ বোইন এমন করিস না।আমার পোলাডারে দিয়া দে🥺।

হিমিঃ দিতে পারি তবে এক শর্তে।

আমিঃ আমার ছেলে আমি নিবো তাও আবার শর্ত লাগবে।

হিমিঃ শর্তে রাজী থাকলে বল। নয়তো ভাগ।

আমিঃ কি শর্ত বল?

হিমিঃ এরিন, কাগজটা দেখা তো।

আমিঃ কিসের কাগজ?

এরিন বসা থেকে উঠে গিয়ে টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা কাগজ বের করে নিয়ে এলো।

আমিঃ কি এটা?

এরিনঃ পড়ে দেখ।

আমিঃ চাকরীর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমি কি করবো?

হিমিঃ এখানে তোকে চাকরী করতে হবে।আর এটাই হলো আমার শর্ত।তোর C.V আমরা আজ জমা দিয়ে এসেছি। আগামী পরশু ইন্টারভিউ। মার্কেটিং সম্পর্কে তোর যথেষ্ট ধারণা আছে। তাই তোকে না জানিয়ে তোর ড্রয়ার থেকে C.V নিয়ে আজ বিকেলে আমরা দুজন জমা দিয়ে এসেছি।

এরিনঃ তুই এবার ভালোয় ভালোই আগামী পরশু ইন্টারভিউ দিতে যাবি।আমার বিশ্বাস চাকরীটা তুই পাবি।কোম্পানিটা নতুন।তবে সবদিক দিয়ে ভালো আছে।

আমিঃ তোদের কে বলেছে এসব করতে? আমি তো এভাবেই ভালো আছি।

হিমিঃ দেখ নোভা, তোর আর আমাদের বিষয় কিন্তু এক নয়।তোর ছোট একটা ছেলে আছে।ও বড় হচ্ছে। ওরো তো একটা ভবিষ্যত আছে। ওর জন্য তোকে ভাবতে হবে।

এরিনঃ আর জে ক্যারিয়ারটা আমরা দুজন করি শখের বশে।পড়াশোনার পাশাপাশি হাত খরচ চলে আসে তার জন্য করি। কিন্তু তুই কিন্তু শখের বশে করিস না।তোকে করতে হয় ছেলের জন্য। যেহেতু তোর অনার্স কমপ্লিট আছে তাহলে সমস্যা কি? আমরা অবিবাহিত মেয়ে। আজ হোক কাল হোক আমাদের বিয়ে হবে।তখন হয়তো আমরা এই ক্যারিয়ারে আর থাকবো না।

আমিঃ আমি এতকিছু সামলাবো কি করে?

হিমিঃ সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে অব্দি কাজ করবি।তাতে তোর শো করতেও কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া কোম্পানিটা আমাদের কাছাকাছিই।আগে ইন্টারভিউ দে।সেখানে টিকলে তারপর বাকি চিন্তা করবি।

আমিঃ কি করবো বুঝতে পারছি না।

এরিনঃ তোর কিছু বুঝতে হবে না। আগামীকাল শুক্রবার মানে আমাদের অফ ডে।সারাদিন ভাবার সময় পাবি।তবে পরশু সকালে তোকে ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে এটাই শেষ কথা।

আমিঃ আচ্ছা, দেখি কি করা যায়।

নাভানকে কোলে করে এনে আমার রুমে শুইয়ে দিলাম।মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।হাতে থাকা বিজ্ঞপ্তির কাগজটা নিয়ে বারবার পরলাম। কোম্পানির নাম MAT । ওনারের নাম দুইটা।আরিয়ান আজওয়ার, তাজরান তাজওয়ার।নাম দুটো ভীষণ অদ্ভুত লাগলো আমার কাছে। তবে কেন জানি মনে হচ্ছে এবার অন্য কিছু ঘটতে চলেছে আমার সাথে। কিন্তু কি সেটা?

🦋🦋🦋

In Canada…………

কফির মগটা হাতে নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো রোশান।তিন দিন যাবত সে কানাডা আছে।বড় এক মন্ত্রীর সাথে জরুরি মিটিং-য়ে এসেছে।রোশানের আসার কোন ইচ্ছে ছিলো না।কিন্তু মানা করতেও পারেনি। মন্ত্রী ওকে ভীষণ ভালোবাসে।প্রায় সব মিটিংয়ে ওকে রাখে।সেদিন রাতে তমালের সাথে কথা বলার পরই মন্ত্রীর কল আসে।সকালের ফ্লাইটেই কানাডা চলে আসতে হয়েছে। এই তিনদিন প্রচুর ব্যস্ত ছিলো।একটু দম ছাড়ার সময়ও সে পাইনি।আজ কাজের চাপ কম থাকায় সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরেছে।তারা এক আবাসিক হোটেলে উঠেছে। কফিতে চুমুক দিয়ে সামনের ব্যস্ত নগরী দেখায় মনোযোগ দিলো।বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে।আলোকোজ্জ্বল নগরীতে বৃষ্টির ফোঁটায় অন্যরকম দেখাচ্ছে। কিন্তু রোশানের মন এখানে নেই। তার মনে পরে গেছে নোভার সাথে প্রথম দেখা হওয়ার দিন।সেদিনও এরকম ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ছিলো।

অতীত……….

সকাল থেকে আকাশটা কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে আছে। হুটহাট করে হালকা ধারায় বৃষ্টি ঝরছে।রোশান এলাকার কলেজের ছাত্রনেতা।কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের হাতে প্রচুর কাজ জমে আছে। তাই সেরে বাসায় ফিরছিলো।তখুনি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলো।বাধ্য হয়ে তাকে কলেজের দালানের নিচে দাঁড়াতে হলো।তার পরনে সাদা শার্ট।এই বৃষ্টিতে নির্ঘাত তিল পরে যাবে।তাই দালানের সামনের বারান্দায় এসে দাঁড়ালো।

রোশানঃ এই বৃষ্টি যে কি শুরু করছে? ধূর, বিরক্তিকর। এখন এই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে গেলে আমার সাধের শার্ট-টা নষ্ট হবে।কি আর করার? একটু অপেক্ষা করে দেখি কমে কিনা।

মাথার চুল ঝাড়তে ঝাড়তে এদিক সেদিক তাকালো।তখুনি ওর চোখে পরলো নোভার দিকে।বুকের বা পাশটা ধক করে উঠলো।না চাইতেও ভালো লাগায় তাকে ঘিরে ধরলো।নোভা ছাতা হাতে জামা-কাপড় থেকে পানি ঝারছে।ততক্ষণে ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি নেমে গেছে। হিজাবের কারণে মুখ দেখা যাচ্ছিলো না।তাই রোশান উকি ঝুকি মারছিলো।নোভার পরনে কলেজ ড্রেস। রোশান নোভাকে দেখে সিউর হলো ও ইন্টার ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হবে।কারণ এর আগে ওকে দেখেনি।রোশান ধীর পায়ে নোভার পেছনে এসে দাঁড়ালো। সামনের থেকে মুখটা ওর কাছে স্পষ্ট হলো।হুট করে রোশনকে দেখে নোভা ভয় পেয়ে গেলো।চমকে দু পা পিছিয়ে গেল।

রোশানঃ আরে ভয় পেয়ো না।আমি কিছু করবো না।

কিন্তু নোভা বিশ্বাস করলো না। চোখ দুটো ছোট ছোট করে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলো।তারপর আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।

রোশানঃ নাম কি তোমার?

নোভা কোন উত্তর দিলো না।আড়চোখে একবার রোশানের দিকে তাকালো।এমন একটা ভাব যেনো রোশানকে সে দেখেইনি।সামনের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখায় মনোযোগ দিলো।

রোশানঃ আমার নাম রোশান দেওয়ান। আমি দেওয়ান বাড়ির মেজো ছেলে। তুমি নিশ্চয়ই এবার ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী? তোমাদের বাসা কোথায়? আমি কি একা বকবক করে যাবো? তুমি কি কথা বলতে পারো না নাকি? ও হ্যালো, আমি তোমাকে বলছি।তুমি কি শুনতে পাচ্ছো? তুমি কি কানে কালা নাকি?

নোভার এতক্ষণ ভয় ভয় করছিলো।একটা অচেনা ছেলের সাথে বৃষ্টির মধ্যে একা দাঁড়িয়ে থাকলে যে কোন মেয়ের ভয় করবে।তার মধ্যে আশেপাশে কোন মানুষ নেই। কিন্তু এখন নোভার রাগ উঠছে। কানের সামনে কি পটর পটর শুরু করছে।এই ছেলেকে কি তার বায়োডাটা দিতে বলেছে সে।তবে চুপচাপ ওর কথা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে নিলো।একবার কটমট করে রোশানের দিকে তাকিয়ে আবার বৃষ্টি দেখতে মনোযোগ দিলো।

রোশানঃ তুমি আমাকে হয়তো বাঁচাল ছেলে ভাবছো।আসলে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তুমি যাতে বোর না হয়ে যাও তাই তোমার সাথে আড্ডা জমানোর চেষ্টা করতে চাইছিলাম।কিন্তু তুমি তো আমার কথা পাত্তাই দিচ্ছো না।

নোভা এবারো কোন উত্তর দিলো না। এদেরকে উত্তর দিলেই মাথায় চরে বসে। তাই খুব শান্তপর্ণে রোশানকে সাইড কাটিয়ে অন্য দিকে চলে গেল। রোশানও ওর পিছু নিলো।অন্যদিকে এসে নোভা বৃষ্টিতে হাত ভিজিয়ে দিলো।ওমনি মনটা অনেকটা ভালো হয়ে গেলো। মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো।রোশান তা কিছু দূর থেকে পিলারে হেলান দিয়ে মুগ্ধ নয়নে দেখতে লাগলো।প্রথম দেখায় নোভাকে ভীষণ ভালো লেগে গিয়েছিলো রোশানের।যাকে বলে লাভ এট ফাস্ট সাইড।তাই নিজের অজান্তে মনে মনে বিরবির করে বলে উঠেছিলো।

রোশানঃ তোমাকে আমার চাই। আমি তোমাকে আমার করেই ছারবো।প্রথম দেখায় মনে হচ্ছে তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। শতচেষ্টা করে তোমাকে আমি হাসিল করেই নিবো পাখি।হ্যাঁ,তুমি আমার পাখি।

সেদিন রোশান, নোভা একসাথে এক ছাতার নিচে বাসায় ফিরেছিলো।নোভা অবশ্য ওকে নিয়ে আসতে চাইনি।কিন্তু রোশান ওকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে নিতে বাধ্য করেছে। এরপর থেকে নোভার পিছনে ঘোরা আরম্ভ হয়েছিল। সবসময় ওকে নজরে নজরে রাখতো।দুই বার প্রপোজ করেছিলো।কিন্তু নোভা একসেপ্ট করেনি।তবুও রোশান থামেনি।পাক্কা এক বছর ওর পিছু ঘুরেছে।এক বছর পর নোভার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কথা চিন্তা করছিলো রোশান।তখুনি ঘটলো এক অঘটন।ইলেকশনের ছোট একটা বিষয় নিয়ে দুইপক্ষের মারামারি লেগে যায়। সেই ঝামেলার মূল ছিলো রোশান।তাই রোশানের বিরুদ্ধে কেস করা হয়।সেই কেসের থেকে বাঁচানোর জন্য লুকিয়ে রোশানকে আমেরিকা পাঠিয়ে দেয় ওর বাবা।দুই বছর পর যখন রোশান ফিরে তখন জানতে পারে মাসখানিক আগে নোভার বিয়ে হয়ে গেছে। প্রথমে পাগলামি করলেও পরে নিজেকে নোভার থেকে সরিয়ে নেয়।মাসখানেক দেশে থাকার পর আবার আমেরিকা চলে যায়। তারপর এক বছর পর আবার ফিরে আসে।ফিরেই মন্ত্রী পদের জন্য নমিনেশন জমা দেয়।ভাগ্যক্রমে বিপুল ভোটে জিতেও যায়।একদিন জানতে পারে নোভার স্বামী মারা গেছে। এটা শুনে যেনো রোশান ঈদের চাঁদ পেয়ে যায়।ওর বাচ্চাসহ ওকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠায়।কিন্তু নোভা ওর বাচ্চা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।আবারো পাগলোর মতো খুঁজতে থাকে ওকে।একদিন খোঁজ পেয়েও যায়।কিছু দিন নোভার গতিবিধি লক্ষ্য করে। সুযোগ বুঝে তুলেও নিয়ে যায়।কিন্তু জরুরি মিটিং-এর ডাক পরে যাওয়ায় বিয়ের আগ মুহুর্তে তাকে চলে যেতে হয়।আর নোভা বাচ্চা নিয়ে ওর ডেরা থেকে পালায়।তারপরের ঘটনা তো আমাদের সবার জানা।

বর্তমান………

কফি ঠান্ডা হয়ে পানি হয়ে গেছে।সেদিকে কোন খেয়াল নেই। রোশান কখন যে অতীতের দিনে হারিয়ে গিয়েছিলো তাই জানে না।মোবাইলের রিংটোনে তার হুশ ফিরে আসে।ভাবনা থেকে ফিরে মোবাইল হাতে নেয়।তার বাবা কল করেছে। ইদানীং বাসা থেকে বিয়ের অনেক চাপ দিচ্ছে রোশানকে।কিন্তু তারা কেন বুঝে না নোভাকে ছাড়া যে তার চলবে না।

#চলবে

এক আপু আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি আসলে সত্যি জানতাম না বাংলাদেশে যে সি বি আই এর কোন সংস্থা নেই।জানলে আমি কখনও লিখতাম না। আমি গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম,সেখানে আমায় দেখিয়েছিলো আছে।আমিও তাই দেখে গল্পে লিখে ফেলছিলাম।এখন কি গুগল ভুল তথ্য দিয়েছে নাকি আমার বুঝতে ভুল হয়েছে তাই বুঝতে পারিনি😑। তবে আপু,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে আপু আমি ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখি না প্রায় আড়াই বছর হবে।আমি সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করি না।যেখানে নিজে দেখতেই পছন্দ করি না, তাহলে গল্পে কি করে তা লিখবো বলেন? আপনি আমার বিষয় না জেনে আন্দাজে বলে দিলেন,আমি হিন্দি সিরিয়াল দেখি।
এটা কি ঠিক হয়েছে বলেন? ভুল তো আমার হতেই পারে।আমি মানুষ তাই ভুল হওয়া স্বাভাবিক। সেটা আপনি ধরিয়ে দিবেন। তাই বলে না জেনেই বলে দিবেন আমি সারাদিন ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখি 🙂।এটা কি ঠিক হলো??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here