#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১
“এক শিং ওয়ালা মানুষ আকৃতির কোনো এক দানবের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হাজার খানিক মানুষ নিজের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছোটাছুটি করতে আরম্ভ করে। শুরুতে এই হাজার খানিক মানুষ মিলে একটা মাঠে একত্রিত হয়েছিলো মানুষ আকৃতির দানবটার বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে। কিন্তু তার উপস্থিতি দেখতে পেয়ে সবার হাওয়া টাইট হয়ে গেছে। সকলেই ভেবেছিলো তারা যাকে মারার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছে সে আট-দশটা বাকি সাধারণ মামুষের মতোই। কিন্তু সেই ব্যক্তিটা তাঁদের সকলের চিন্তা-ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। সে দেখতে মানুষের মতন হলেও তার চেহারার আকৃতি ভয়ানক জানোয়ারের মতন। তার উপরে আবার তার মাথায় একটা শিং ও রয়েছে। যেই শিংটা কিনা রেড লাইটের মতন জ্বলছে। যেটা দেখে সবাই তাকে মারা বাদ দিয়ে রেখে নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছে। তখনি সেই এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটা কোমর থেকে লাঠি জাতীয় কিছু একটা বের করে ছুটাছুটি করা লোকদের দিকে ছুঁড়ে মারে। এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটার লাঠি ছুঁড়ে মারার প্রতিক্রিয়ায় কয়েকজন লোক সেটার আঘাতে হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে এক শিং ওয়ালা সেই লোকটা লাঠি টার দিকে হাত দিয়ে ইশারা করতেই সেই লাঠিটা আবার তার হাতে চলে আসে। যেটা দেখে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া লোক গুলো বুঝে ফেলে তাঁদের পাত্তা কাটতে চলেছে। এবং তারা ভুল কোনো ব্যক্তির সাথে পাঙ্গা নিয়ে ফেলেছে। তারা নিজের প্রাণ বাঁচাতে এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটার কাছে ক্ষমা চাইতে আরম্ভ করে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না। বরং এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটা আরো রেগে যায়। যার ফলে সে তুফানেরবেগে তেড়ে গিয়ে সব কয়টা লোকের গলায় একেক করে নিজের ধারালো দাঁত বসিয়ে দিয়ে রক্ত চুষতে আরম্ভ করে। মিনিট কয়েকের মধ্যে সে সবার শরীরের রক্ত চুষে খেয়ে সবাইকে মৃত্যুর ফেরেস্তার হাতে শপে দেয়। এরপর সে সেই জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়ে কবরের মতন চারকোনা কোনো এক কফিনের মধ্যে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটে রাতের বেলায়।
“রাত পেরিয়ে সকাল হতেই সমস্ত টিভি চ্যানেলে এই বিষয়টা নিয়ে খবর টেলিকাস্ট হতে থাকে। এক শিং ওয়ালা কোনো এক দাবন কয়েকজন মানুষের শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে খেয়ে তাঁদেরকে মেরে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটা ভ্যাম্পায়ার। তাই শহরবাসী সবাই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকবেন। বিশেষ করে রাতের বেলায় কেউ কোনো কারন ছাড়া একা একা ঘর থেকে বের হবেন না। না হয় তো আপনিও সেই এক শিং ওয়ালা দানবের শিকার হবেন। টিভি নিউজে এমন খবর টেলিকাস্ট হতে দেখে শহরবাসী পুরো ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু তাঁদের কোনো কিছুই করার নেই। মানুষ হলে যে কোনো ভাবে কিছু একটা করা যেতো। তবে সে তো শয়তান। তার বিরুদ্ধে লড়াই করা মানে নিজের প্রাণের মায়া ছেড়ে দেওয়া। পুরো দেশের মানুষজন নিজের ভিতরে আতঙ্ক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আর যারা সেই এক শিং ওয়ালা ভ্যাম্পায়ারের হাতে মরেছে, সরকারের নির্দেশে তাঁদের সবাইকে কবর খুঁড়ে দাফন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়াও ভালো ভাবে করা হয়নি। এবং দাফনের আগে মৃত ব্যক্তির কোনো আত্মীয়স্বজনকেও তাঁদের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি। কারন এতে যদি কেউ কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে একদিন কেটে যায়। একদিন পর মৃত মানুষ গুলোর আত্নীয় স্বজনদের থেকে একজন ব্যক্তি কবরের কাছে যায় তার আপন মানুষটার কবর দেখার জন্য। তখনি সে দেখে তার আপন মানুষের সাথে সাথে আশেপাশের অনেক কয়টা করব কে যেনো খুঁড়ে রেখেছে। এবং খোঁড়া কবর গুলোর ভিতরে কারোর লাশ এই নেই। তার আপন মানুষটা সহ অনেক কয়টা কবর থেকে লাশ গায়েব হয়ে গেছে। যেটা দেখে সে জলদি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসেও একই দৃশ্য দেখে, যে সব কয়টা লাশ গায়েব হয়ে গেছে কবর থেকে। পুলিশ এবং সেই ব্যক্তিটা হতভম্ব হয়ে যায় কবরের ভিতরে লাশ দেখতে না পেয়ে। তখনি কালো কাপড় পরিধান করা একটা লোক হাতে লাঠি নিয়ে তাঁদের সামনে উপস্থিত হয়। সেই লোকটাকে দেখে পুলিশ তাকে প্রশ্ন করে,
–এই আপনি কে?
–আমি একজন ডেমন হান্টার।
–ডেমন হান্টার মানে?
–মানে হলো আমরা ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করি। এবং মানুষদেরকে তাঁদের হাত থেকে বাঁচানোর ট্রাই করি।
–তো আপনি এখানে কি করছেন ভ্যাম্পায়ারদের সাথে লড়াই না করে?
–আমি আপনাদেরকে সতর্ক করতে এখানে এসেছি।
–কিসের সতর্ক?
–আপনারা একবার আকাশের দিকে খেয়াল করুন। ঐ যে দেখুন সূর্য প্রায় ডুবে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। আর কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে। তারপরেই ভ্যাম্পায়াররা জেগে উঠবে। আর মানুষদের উপরে হামলা করবে। তাই আমি আপনাদেরকে সতর্ক করতে এসেছি। আপনারা সবাই আর বেশিক্ষণ এখানে না থেকে এখান থেকে চলে যান।
–ওহ আচ্ছা বুঝলাম। আর আমরা এখান থেকে চলে যাবো। তবে তার আগে কবর খুঁড়ে লাশ গুলো কে গায়েব করেছে তাকে পাকড়াও করবো।
–স্যার সব কিছুতে পোশাকের বাহাদুরি চলে না। কিছু সময় নিজের ভালো নিজেরই বুঝতে হয়। আর শোনেন লাশ গুলোকে কেউ গায়েব করেনি। লাশ গুলো নিজেই গায়েব হয়ে গেছে।
–আমরা কোনো পোশাকের বড়াই করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি। আর লাশ গুলো নিজেই গায়েব হয়েছে মানে কি?
–মানে হলো লাশ গুলো আবার জীবিত হয়ে গেছে। তবে তারা এখন আর মানুষ নেই। তারা সকলেই ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছে। আর গতরাতে তারা নিজের কবর খুঁড়ে নিজেরাই বেরিয়ে গেছে। আপনারা খামোখা লাশ খুঁজে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না আশা করি। আর এই যে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় আপনাকে বলছি। আপনি এবং আপনার পরিবার পুরোপুরি সতর্ক থাকবেন। কারন আপনার ঘরের মৃত সদস্য রাতের বেলায় আপনাদের সামনে যেতে পারে। তখন আবেগের বসে তিনার কাছে ছুটে যাবেন না। সেই সময় নিজের আবেগ কে কন্ট্রোল করে রাখবেন। না হয়তো আপনিও মারা পড়বেন।
.
ডেমন হান্টারের কথা শুনে পুলিশ এবং মৃত ব্যক্তির আত্মীয়টা ভয় পেয়ে যায়। যেটা দেখে সেই ডেমন হান্টারটা মৃত ব্যক্তির আত্নীয়কে উদ্দেশ্য করে বলে,
–ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। আমি আপনাকে বাঁচার জন্য একটা গাছের টুকরো দিচ্ছি। এই যে নিন গাছের টুকরোটা। কোনো ধরনের সমস্যা হলে আপনি এই গাছের টুকরোটা দিয়ে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন। ভ্যাম্পায়ার আপনাদের পরিবারের উপরে অবশ্যই হামলা করবে। আর এটাই নিয়ম। কোনো পরিবারের সদস্য যখন ভ্যাম্পায়ার হয়, তখন সে সর্বপ্রথম নিজের পরিবারের মানুষের উপরে হামলা করে। কারন সে ভ্যাম্পায়ার হয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। তাই সে নিজের পরিবারকে নিজের কাছে ভিড়াতে সর্বপ্রথম নিজের পরিবারের মানুষকেই বেছে নেয়। আপনার পরিবারের সাথেও কিন্তু ব্যতিক্রম হবে না। তাই আমি আবারো বলছি সতর্ক থাকবেন। এবং এই গাছের টুকরোটার যথাযথ ব্যবহার করবেন। এবার আমি চললাম। আমার চলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
–আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিপদের সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি সেটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার মশাল দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
.
ডেমন হান্টার ধন্যবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মুচকি একটা হাসি দিয়ে পুলিশ এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ডেমন হান্টারের অদৃশ্য হওয়া দেখে উপস্থিত সবাই কিছুটা অবাক হয়। তবে তারা সেই বিষয়টা নিয়ে বেশি একটা ঘাটাঘাটি না করে সেই জায়গাটা ত্যাগ করে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। শহরবাসী সবাই ঘর বন্দী হয়ে আছে। কেউ প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হওয়ার মতন সাহস পাচ্ছে না। সরকার এই বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
তারা দেশবাসীকে কি করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে তা ভেবে পাচ্ছে না। সবাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে ভুগছে। “অন্যদিকে সেই এক শিং ওয়ালা ব্যক্তিটা রাত হতেই কবরের মতন চারকোনা কফিন থেকে বেরিয়ে এসেছে। সে কফিন থেকে বের হতেই দেখে তার অনুসারীরা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে এই যাবৎ কালে যাকে যাকে কামড়ে মেরেছে, সবাই তার অনুসারী হয়ে গেছে। সে কফিন থেকে বেরিয়েই তার অনুসারীদেরকে আদেশ করে তার জন্য একাধিক মানুষ ধরে আনতে। সে সবার রক্ত পান করবে। তার অনুসারীরা তার কথা মতন শহরের অলি-গলি খুঁজে দশ থেকে বারোজন মানুষকে উঠিয়ে নেয়। তারপর সেই মানুষ গুলোকে এক শিঙ্গের হাতে তুলে দেয়। এক শিঙ্গ বা এক শিং ওয়ালা দানবটার হাতে মানুষ গুলোকে তুলে দিতেই সেই আগের বারের ন্যায় মুহূর্তের মধ্যেই সব কয়জনের রক্ত চুষে খেয়ে নিয়ে তাঁদেরকে মেরে ফেলে। পরবর্তীতে তার অনুসারীদেরকে বলে,
–রোজ রাতে তোরা আমার জন্য মানুষ ধরে ধরে আনবি। আর নিজের চাহিদা মেটাতে আমার জন্য ধরে আনা মানুষজনদের থেকে তোরা একটা একটা নিজেরা খেয়ে নিবি। তবে মাথায় রাখবি একটা জিনিস, মানুষের রক্ত পান করার সময় কিন্তু তোরা সেই মানুষের সব রক্ত চুষে খেয়ে নিবি না। এক ফোঁটা রক্ত হলেও তোরা তার শরীরে বাঁচিয়ে রাখবি। না হয়তো সব রক্ত পান করলে তোদের মৃত্যু হবে। তাই সবাই সাবধান। তোরা একবার মৃত হয়ে আবার জীবিত হয়েছিস। এরপর যদি আর মরিস তখন কিন্তু তোদের আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।
.
এক শিঙ্গের অনুসারী সবাই তার কথা শুনে একই সাথে উত্তর দেয়।
–জ্বি আমরা সবাই আপনার কথাকে মান্য করে চলবো।
–হুম এবার গিয়ে নিজের আহারের তালাশ কর। আর আমি কফিনে ঢুকে গেলাম। আজকের মতন আমার আহার শেষ। আর হ্যাঁ যাওয়ার আগে লাশ গুলোকে সবাই নিয়ে গিয়ে শহরের মাঝ রাস্তায় ফেলে রেখে আয়। আগামীকাল এই লাশ গুলোও আমার অনুসারী হবে।
.
এক শিং ওয়ালা দানবটা এটা বলেই সে আবার কবরের মতন চারকোনা কফিনের ভেতরে ঢুকে ঘুমিয়ে পড়ে। আর তার অনুসারীরা লাশ গুলোকে উঠিয়ে এনে এক শিঙ্গের কথা মতন লাশ গুলোকে শহরের মাঝ রাস্তায় ফেলে রেখে নিজেদের আহারের তালাশ করতে থাকে। দেখতে দেখতে রাত কেটে গিয়ে সকাল হয়ে এসেছে। এক শিঙ্গের অনুসারী মাঝ রাতেই নিজেদের গা ঢাকা দিয়ে ফেলেছে। “অন্যদিকে সকাল হতেই পুলিশ শহরের মাঝ রাস্তায় ফেলে রাখা লাশ গুলোকে উদ্ধার করে। তবে তারা এই বিষয়ে বেশি একটা হাইলাইট করে না। কারন শহরের মানুষ এমনিতেই আতঙ্কে আছে। তার উপরে আজকের বিষয় জানতে পারলে আরো ভয় পাবে লোকজন। তাই পুলিশ এই বিষয়টাকে লুকিয়ে রেখে উপরের কর্মকর্তাদেরকে জানায়। উপরের কর্মকর্তারা আজকের এই বিষয়টা জানার পর অনেক কয়জন মিলে একটা বোর্ড মিটিং বসায়। কারন তাঁদের জলদি এই বিষয়টা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া প্রয়োজন। না হয়তো শহর টাকে ভ্যাম্পায়ার পুরো নড়ক বানিয়ে দিবে। সবাই মিলে মিটিং করছে কি ভাবে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ কোনো উপায় খুঁজে বের করতে পারে না। তখনি সেখানে উপস্থিত এক উচ্চতর কর্মকর্তার একজনের কথা মনে পড়ে। যে কিনা হয়তো তাঁদেরকে এসব থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই সে জলদি একজনকে ডেকে একটা লেটার লিখে সেটাকে তাড়াতাড়ি করে জায়গা মতন মেইল করে দেয়। আর মিটিংয়ে উপস্থিত সবাইকে বলে,
–আমি যাকে মেইল করেছি, একমাত্র সেই ব্যক্তিটাই আমাদেরকে এসব থেকে বাঁচাতে পারে।
.
উচ্চতর কর্মকর্তার পাঠানো মেইলটা গিয়ে প্রাপকের হাতে পৌঁছায়। তবে সে আসল প্রাপক নয়। প্রাপক মেইলটা রিসিভ করে শুরুতে সেটাকে সে রিড করে। তারপর সেটাকে সে কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে বের করে নিয়ে গিয়ে আসল প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিয়ে তাকে বলে,
–আকাশ ভাই অবনী ভাবীর মৃত্যু নিয়ে আর কতোদিন এভাবে বিরহে কাটাবেন? এবার তো আগের রূপে ফিরে আসেন। যিনি মরে গিয়েছে তিনাকে তো আর জীবিত করা সম্ভব না। তবে যারা বর্তমানে অসহায় ভাবে মরছে তাঁদেরকে কিন্তু চাইলে বাঁচানো সম্ভব।
.
বর্তমানে যে আকাশকে আগের মতন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার কথা বলছে সে আর অন্য কেউ না, সে হলো রাজ। আকাশ রাজের এমন কথাবার্তা শুনে তার দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে এক নজর তাকায়। তারপর তার হাত থেকে লেটারটা নিয়ে পড়তে আরম্ভ করে। লেটারটা পড়া শেষ হতেই আকাশের মাথার রক্ত চোটে যায়….
চলবে…..
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।