#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৩
–ক্রাউনের অনুসারীর রক্ত শুকেও তার বিষয়ে তেমন কোনো কিছু বের করতে পারিনি। আর তার জন্যই তার অনুসারীকে মারতে আমার দম ছুটে গেছে। ভাই সব শেষ। জানিনা কি ভাবে এসব থেকে মুক্তি মিলবে মানুষের।
.
আকাশ ডেমন হান্টারের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়। “অপরদিকে ডেমন হান্টার আকাশকে ক্রাউনের বিষয়ে বলা শেষ করতেই সে হুট রক্ত বমি করতে শুরু করে। আর তার কিছুক্ষণ পরেই ডেমন হান্টার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যেটা দেখে আকাশ পুরো থতমত খেয়ে যায়! তবে সে চুপসে বসে থাকে না। সে ডেমন হান্টারের কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাস করে কি হয়েছে। তার কথার উত্তরে ডেমন হান্টার বলে,
–ভাই আমার সময় হয়তো ফুরিয়ে এসেছে। আমি ভ্যাম্পায়ারের রক্তের ঘ্রাণ নেওয়ার পর থেকেই আমার পেট পাকিয়ে বমি আসছে। তার উপরে রক্ত শুকার পরেও তেমন কিছু বের করতে পারিনি। যেটার মানে দাঁড়াচ্ছে ক্রাউন এবং ক্রাউনের অনুসারীগণ অনেক শক্তিশালী। যার কারনে আমার সাথে যে কোনো একটা খারাপ কিছু ঘটবে। ভাই আপনি এই যে গাছের টুকরো টা নিন। এটা আপনার উপকারে আসবে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে ডেমন হান্টারের বাকি সদস্যরা চলে আসবে। আপনি একদম টেনশন করবেন না।
তারা আমার মতন করে আপনাকেও সঙ্গ দিবে। কারন আপনার আমাদের দু’জনের শত্রুই ভ্যাম্পায়ার। আমাদের দু’জনের লড়াইটাই ভ্যাম্পায়ের বিরুদ্ধে। তাই তারা আপনাকে নিজের সব টুকু দিয়ে সাহায্য করবে।
–আরেহ আপনার কিছু হবে না। আমরা আপনাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।
.
আকাশের কথার প্রতিত্তোরে ডেমন হান্টার কোনো সাড়াশব্দ করে না। যার কারনে আকাশ ডেমন হান্টারেকে হাত দিয়ে নাড়িয়ে ডাকতে থাকে। কিন্তু ডেমন হান্টার কোনো উত্তর দেয় না। তবে তার নিশ্বাস চলছে এখনো। আকাশ ডেমন হান্টারের কেনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাজকে বলে,
–রাজ জলদি ডেমন হান্টারকে হসপিটালে নিয়ে যা। উনার যেনো কিছু না হয়। কারন ভ্যাম্পায়ারকে খতম করতে উনার অনেক সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন।
–ঠিক আছে ভাই আমি উনাকে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি।
–হুম জলদি।
আর আমি কিছুক্ষণ পর আসছি।
.
রাজ নিজেদের কয়েকজন লোক সহ ডেমন হান্টারকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। “এদিকে আকাশ বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। কারন রক্তের ঘ্রাণ শুকার কারনেই ডেমন হান্টারের যেই অবস্থা হয়েছে, তাতে করে স্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে ভ্যাম্পায়াররা কতোটা শক্তিশালী। আকাশ এই ভ্যাম্পায়ারে বিরুদ্ধে কি করে লড়াই করবে সেটা নিয়ে সে বেশ চিন্তিত। তাই সে বসে বসে এসব থেকে পরিত্রাণ পাবে কি করে সেটা নিয়ে ভাবছে। এমন সময় রাজ তাকে ফোন দেয়। সে ফোন রিসিভ করে রাজকে জিজ্ঞাস করে,
–কি হয়েছে রাজ?
–ভাই ডেমন হান্টারকে হসপিটালে নিয়ে যেতে যেতে সে পথের মধ্যেই নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে।
–কিহহহ!
–হুম ভাই ডেমন হান্টার মারা গেছে।
–আচ্ছা তুই উনার লাশ নিয়ে বাংলোতে ফিরে আয়।
–ঠিক আছে ভাই।
.
তারপর আকাশ ফোন কেটে দিয়ে আরো চিন্তিত হয়ে পড়ে। এভাবে কিছুক্ষণ কাটার পরে রাজ ডেমন হান্টারের লাশ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। রাজ বাড়িতে আসার সাথে সাথেই একদল লোক আকাশের বাংলোতে প্রবেশ করে। যারা কিনা সবাই ডেমন হান্টারের মতন কালো পোশাক-আশাকে পরিধান করে আছে। যেটা দেখে সবাই বুঝে ফেলে এরাও ডেমন হান্টার। তাই কেউ তাঁদেরকে কিছু বলে না। লোক গুলো থেকে একজন আকাশের সামনে এসে বলে
–ভাই আমরা ডেমন হান্টার। আমরা আপনার সম্পর্কে সব কিছুই জানি। তাই আমরা আপনার সঙ্গ দিতে এসেছি। এবং আমাদের প্রতিনিধিকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছি।
–সেটা আপনাদের পোশাক-আশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
–ভাই আমাদের প্রতিনিধির লাশকে আমাদের হাতে শপে দিন। আমরা উনার শেষ ক্রিয়াধারা করে আপনার সাথে এসে দেখা করছি।
–আসলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বেচারা আমার জন্যই হয়তো নিজের প্রাণ হারিয়েছে।
–ভাই অনুশোচনা করে কোনো লাভ নেই। লিখনে যা ছিলো তাই হয়েছে। আর তাছাড়া আমরা হান্টাররা কখনো কারোর মৃত্যু নিয়ে আফসোস করি না। বরং আরো অহংকার করি। কারন আমাদের পূর্ব-পুরুষরা নিজদের সব টুকু দিয়ে ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এবং অনেকে লড়াই করতে গিয়ে নিজের প্রাণ ও দিয়ে দিয়েছে। আমাদের সম্প্রদায়ে ভ্যাম্পায়ারের সাথে লড়াই করতে গিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিটাকে বীরপুরুষ বলে মনে করা হয়।
–সম্মান জানাই আপনাদের কাজকে।
–আচ্ছা এবার আমরা আমাদের প্রতিনিধির লাশকে নিয়ে যাচ্ছি। লাশের ক্রিয়াধারা শেষ করে আমরা সকলেই আপনার সাথে এসে দেখা করবো।
–ঠিক আছে।
.
ডেমন হান্টার তার প্রতিনিধির লাশকে নিয়ে আকাশের বাংলো থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে আকাশ আর সবাই মিলে ভ্যাম্পায়ারকে কি করে হারাবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। আলোচনা চলা কালীন মুজাহিদ আকাশকে বলে,
–ভাই যা বুঝতেছি ভ্যাম্পায়ারকে হারানো বা দমানো আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। যেখানে ডেমন হান্টার রক্তের ঘ্রাণ শুকার কারনে নিজের প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে, সেখানে আমরা তো কিছুই না। তাই আমার মতে ড্রয়িড থেকে সোলজার আনা উচিৎ।
–মুজাহিদ আমরা সেই মানুষ যারা কিনা ড্রয়িডকে হারিয়েছি। সেখানে ভ্যাম্পায়ার কিছুই না। তবে হ্যাঁ ড্রয়িড থেকেও ভ্যাম্পায়ার অনেক শক্তিশালী। তবে আমাদের এতোটা খারাপ সময় ও আসেনি, যে আমাদেরকে ড্রয়িড থেকে সোলজার আনতে হবে।
–তা ঠিক আছে। কিন্তু ভাই ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে তো কোনো আইডিয়া নেই আমাদের। তো কি করে তাঁদেরকে পরাজয় করবো?
–সেসব পরে দেখা যাবে। আগে ডেমন হান্টাররা তাঁদের প্রতিনিধির লাশের ক্রিয়াধারা করে আসুক। তারপর তাঁদের সাথে একটা পরামর্শ করবো।
–ঠিক আছে ভাই।
.
আকাশরা ভ্যাম্পায়ারের বিষয়টা আপাতত এক সাইডে রেখে ডেমন হান্টারদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। বেশ কয়েক ঘন্টা যাওয়ার পর ডেমন হান্টাররা লাশের ক্রিয়াধারা শেষ করে আকাশের সাথে কথা বলার জন্য ফিরে আসে। ডেমন হান্টাররা আসতেই আকাশ আলোচনা বসায় তাঁদেরকে নিয়ে। আলোচনার শুরুতেই আকাশ ডেমন হান্টারদেরকে বলে,
–আচ্ছা এখন কি করে ভ্যাম্পায়ারকে শেষ করা যায় সেটা বলুন। আপনাদের এক্সাক্টলি প্ল্যান কি?
.
আকাশের কথার প্রতিত্তোরে রাফায়েত নামক একজন ডেমন হান্টার আকাশকে বলে উঠে,
–ভাই আমাদের কাছে আপাতত এক্সাক্টলি কোনো প্ল্যান নেই। তার উপরে ভ্যাম্পায়ারকে শেষ করা তো দূরের কথা, তার একটা পশম ও বাঁকা করতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। কারন আমরা আমাদের লাইফে এতো ভ্যাম্পায়ারকে মেরেছি, যার লিস্ট করে শেষ করা যাবে না। তবে বর্তমানে যেই ভ্যাম্পায়ার আপনাদের শহরে এসেছে, তার শক্তির প্রদর্শন দেখে আমাদের আস্থা উঠে গেছে। তার উপরে আমাদের গাছের টুকরো দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। যেখানে এই গাছের টুকরো ব্যবহার করে আমরা হাজার হাজার ভ্যাম্পায়ারকে শেষ করেছি। এছাড়া তার অনুসারীর রক্তের ঘ্রাণ শুকার কারনে আমাদের প্রতিনিধি শেষ। সেখানে ক্রাউনে মুখোমুখি হলে আমাদের অস্তিত্বই তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।
–তাই বলে কি আমরা হাত-পা গুটে বসে থাকবো?
–না ভাই তা করবো না। তবে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে।
–সেই অন্য কিছু টা কি?
–ভাই প্রথমে আমাদেরকে তাঁদের দূর্বলতা সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর আমরা তাঁদের সেই দূর্বলতায় আঘাত করবো। আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে। সেটা দিয়ে হয়তো কিছু একটা করা যেতে পারে।
–কি প্ল্যান?
–ভাই তারা দিনের আলোকে খুব ভয় পায়। তাঁদের শরীরে দিনের আলো পড়লেই শরীর ঝলসাতে শুরু করে। তাই আমাদেরকে যা করার দিনের বেলায় করতে হবে। আর তাঁদের মোকাবেলা করার জন্য
কোনে একটা স্পেশাল অস্ত্র তৈরী করতে হবে। কারন আমাদের গাছের অস্ত্র এখন কাজে আসছে না।
–ডেমন হান্টার দেখুন তারা নিজেরাও জানে, যে দিনের আলো তাঁদের জন্য ঝলসানো আগুনের মতন। তাই তারা কখনোই দিনের বেলায় বের হবে না। আর আমরা হাজার চেষ্টা করলেও হয়তো তাঁদেরকে দিনের বেলায় বাহিরে আনতে পারবো না। তবে হ্যাঁ দিন হোক বা রাত, সব অবস্থাতেই তাঁদের মোকাবেলা করার জন্য এক ধরনের অস্ত্র আমি তৈরী করতে পারবো।
–কেমন অস্ত্র ভাই?
–আলট্রা ভায়োলেট কিরণের কারনে কোনো ভ্যাম্পায়ার সূর্যের আলোয় যেতে পারে না। আমরা এমনি এক আলট্রা ভায়োলেট কিরণের সাহায্যে এক ধরনের অস্ত্র তৈরী করবো। যেই অস্ত্রের বুলেটের মধ্যে সূর্যের চাইতেও অনেক বেশি কিরণ হবে। মানে হলো বুলেটের বদলে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের এক জাতীয় সিরাম থাকবে অস্ত্রের ভিতরে। সেই অস্ত্র দিয়ে কোনো ভ্যাম্পায়ারকে মারলে তারা ঝলসে যাবে। যেমনটা তাঁদের সাথে দিনের আলোয় বের হলে হয়।
–ভাই বেশ ভালো বুদ্ধি। কিন্তু আপনারা এই আলট্রা ভায়োলেট কিরণ পাবেন কোথায়?
–সে আপনাদের ভাবতে হবে না। সেটা আমি দেখে নিচ্ছি। এই মুজাহিদ তুই জলদি ড্রয়িডে যা। ড্রয়িডে যাওয়ার পর গোলাকার বৃত্তের ন্যায় যেই আলোকরশ্মি টা আছে, যেটা কিনা আমার চারপাশে সব সময় ঘুরঘুর করে। তোরা সেই বৃত্তের ন্যায় গোলাকার আলোকরশ্মির সাহায্যে ড্ররিয়ের সাইনটিস্টদেরকে দিয়ে সিরাম তৈরী কর। তারপর সেটা দিয়ে আমরা ভ্যাম্পায়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।
–ঠিক আছে ভাই আমি এক্ষুনি যাচ্ছি।
.
মুজাহিদ আকাশের কথা মতন কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ড্রয়িডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এদিকে আকাশের মাথায় নতুন একটা প্রশ্ন এসে হানা দেয়।
অবশ্য এটা সে আগেই জেনেছে। কিন্তু এই বিষয়ে সে কাউকে কোনো প্রশ্ন করেনি। তবে এবার সেটা সে ডেমন হান্টারদেরকে জিজ্ঞাস করে,
–আচ্ছা আমি গোপন সুত্রে জেনেছিলাম হাজার খানিক মানুষ নাকি এক শিঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটা ময়দানে একত্রে হয়েছিলো। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে শহরের মানুষজন তো আগ থেকেই ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে জানতো। যার কারনে তারা একজোট হয়ে ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিলো। তাহলে টিভি-নিউজ কেন ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে এতো পরে সংবাদ প্রচার করেছে?
–ভাই কেউ এই জানতো না ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে। আর যারা ভ্যাম্পায়ারের সাথে লড়াই করতে গিয়েছিলো তারা কোনো মানুষ না। তার হচ্ছে ভিন্ন এক প্রজাতি। যাদের নাম হচ্ছে জম্বুক। তবে তারা দেখতে মানুষের মতোই। কিন্তু তাঁদের কাছে স্পেশাল একটা শক্তি রয়েছে। তারা চাইলে নিজের রূপ পরিবর্তন করে বিশাল আকৃতির শিয়ালের রূপ ধারণ করতে পারে। ভ্যাম্পায়াররা সেই জম্বুকদের ও শত্রু। এছাড়া জম্বুক রা যে ভালো সেটাও কিন্তু নয়। জম্বুকের ও একটা লিডার আছে ক্রাউনের মতন। সে যাকে কামড় দেয় সেই জম্বুক হয়ে যায়। মূখ্য কথা হচ্ছে সেদিন যারা লড়াই করতে গিয়েছিলো তাঁদের সম্পর্কে কেউ এই জানে না। কারন তারা জম্বুক হলেও মানুষের সাথে চলাফেরা করে। কিন্তু যেদিন তারা লড়াই করতে গিয়ে ভ্যাম্পায়ারের হাতে শিকার হয়েছে, সেদিন এই দেশবাসী ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তবে দেশবাসী জম্বুকদের ব্যাপারে এখনো কোনো কিছুই জানে না। তারা শুধু জানে কোনো একটা জায়গায় অনেক মানুষজনের সমাগম ছিলো। যেই সমাগমের মধ্যে হুট করেই ভ্যাম্পায়াররা এসে হামলা করেছে।
–তার মানে হচ্ছে ভ্যাম্পায়ার একটা সম্প্রদায়, আর জম্বুক একটা সম্প্রদায়। এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে সব সময় লড়াই চলতে থাকে। তবে এই দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই মানুষদেরকে উপরে প্রাণ নেওয়া হামলা করে।
–জ্বি এই দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই মানুষদের উপরে প্রাণ নেওয়া হামলা করে। কিন্তু জম্বুকদের একটা ভালো দিক আছে। তারা আমাদের উপরে হামলা করে না। কারন আমরা তাঁদের শত্রুর বিরুদ্ধেই লড়াই করি। আর তারা মানুষদের ও ক্ষতি কম করে। তারা নিজের চাহিদা মেটায় ভ্যাম্পায়ারকে মেরে।
–সে যাই হবে হোক। আমরা দুই সম্প্রদায়ের লোককেই শেষ করবো। কারন তারা উভয়েই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। তবে আমরা আগে ভ্যাম্পায়ারকে শেষ করবো। আর তার জন্য আমাদেরকে আজকের দিনটা অপেক্ষা করতে হবে। আমার লোক অস্ত্র বানাতে চলে গেছে। আশা করি তারা আজ রাতের মধ্যেই অস্ত্র বানিয়ে নিয়ে চলে আসবে। তাই আমরা সবাই মিলে আগামীকাল ভ্যাম্পায়ারের উপরে হামলা করবো। তারপর আমরা খুঁজে খুঁজে একেক করে তাঁদের সব কয়টাকে মারবো।
–ঠিক আছে তাহলে আজকের মতন আমরা চলে যাচ্ছি। আমরা আবার আগামীকাল আসবো।
–জ্বি আচ্ছা।
.
তারপর ডেমন হান্টাররা চলে যায়।
আর আকাশ এবং আকাশের লোকজন সবাই মুজাহিদদের বানিয়ে আনা অস্ত্রের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। দেখতে দেখতে রাত হয়ে গিয়েছে।
দিনের আলো নিভে গিয়ে আঁধার হতেই ক্রাউন কবরের মতন চারকোনা কফিন থেকে বেরিয় আসে। সে বেরিয়ে আসতেই দেখে তার অনুসারীরা তার আহারের জন্য কয়েকজন মানুষকে উঠিয়ে এনেছে। ক্রাউন সেই মানুষ গুলোকে দেখে খুশি হওয়ার বদলে হুট করে আরো রেগে যায়। যেটা দেখে তার অনুসারীরা ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। তখনি ক্রাউন তার অনুসারীদেরকে বলে,
–আমার বিরুদ্ধে কেউ কঠোর ষড়যন্ত্র করছে। যেটার আভাস আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই পেয়ে গেছি। তাই আজকে তোদের সাথে আমি পথে নেমে মানুষজনের উপরে হামলা করবো। আমার আজকে অগণিত মানুষের রক্ত চাই। এই অল্প সংখ্যক লোকের রক্ত খেয়ে আজ আমার খিদে নিবারণ হবে না। তবে তোরা এখন যাদেরকে ধরে এনেছিস তাঁদের রক্ত আগে খেয়ে নেই। পরবর্তীতে রাস্তায় নেমে আরো মানুষের উপরে হামলা করবো।
.
ক্রাউন তার চিন্তা-ধারা মোতাবেক তার অনুসারীদের ধরে আনা লোকজনের রক্ত পান করে। তারপর সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নেমে পরে আরো মানুষকে মেরে তাঁদেরকে নিজের আহার বানানোর জন্য। “অপরদিক রাতের বেলায় মুজাহিদ ড্রয়িড থেকে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের সিয়াম নিয়ে আকাশের বাংলোতে আসার জন্য রওয়ানা হয়। তখনি তাঁদের মাঝ পথে ক্রাউন এবং তার লোকজন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মুজাহিদ চালাকি করে ড্রাইভারকে বলে তাঁদের গাড়িকে ঘুরিয়ে নিয়ে অন্য পথ ধরে বাংলোতে পৌঁছানোর জন্য রওয়ানা হয়। ড্রাইভার গাড়ি ফুল স্পিডে চালাচ্ছে। তবে ক্রাউন ও কোনো অংশে কম নয়। সে তার অনুসারীদেরকে নিয়ে মুজাহিদের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে। কিন্তু ক্রাউন আর তার লোকজন মুজাহিদকে ধরতে পারে না। তারা মুজাহিদদের উপরে আক্রমণ করার আগেই ড্রাইভার গাড়ি তেড়ে নিয়ে এসে আকাশের বাংলোতে হাজির হয়। আকাশের বাংলোতে হাজির হওয়ার পরেই তারা গাড়ি থেকে নেমে জলদি বাংলোর ভিতরে ঢুকে পরে। “অপরদিকে ক্রাউন মুজাহিদদের গাড়ি পাকড়াও করতে না পারলেও ক্রাউন তাঁদের পিছন পিছন বাংলো পর্যন্ত চলে আসে। বাংলো পর্যন্ত আসার পরেই ক্রাউন তার অনুসারীদেরকে আদেশ করে বাংলোর ভিতর থেকে গিয়ে তার আহার গুলোকে ধরে আনতে। ক্রাউনের অনুসারীরা ক্রাউনের আদেশ মেনে আকাশের বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করার জন্য বাংলোর দরজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা দরজার প্রায় মুখোমুখি চলে গিয়েছে। তখনি আকাশ ভিতর থেকে বাংলোর দরজা খুলে বিশাল একটা অস্ত্র হাতে করে নিয়ে এসে দরজার সামনে দাঁড়ায়….
চলবে…..
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।