#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৭
“মাগরিবের ওয়াক্ত পেরিয়ে দিন দুনিয়া অন্ধকার হয়ে এসেছে। তার মানে ভ্যাম্পায়াররা এখন খোলা মাঠে বেরিয়ে আসবে। আর খোলা মাঠে বেরিয়ে আসার পরেই হয়তো ভয়ানক এক লড়াই শুরু হবে ভ্যাম্পায়ার আর মানুষের। সবার অপেক্ষার প্রহর কাটে ভ্যাম্পায়ারদের আগমনে। দিনের আলো নিভে গিয়ে অন্ধকার হওয়ার কিছু সময় পরেই ভ্যাম্পায়াররা জমিনের যেই জায়গায় আকাশ থেকে তীব্র আলোকরশ্মি এসে জমিনের সাথে সংযোগ করেছিল এবং আকাশরা তাঁদের জন্য যেখানে অপেক্ষা করছে সেই জায়গার কিছুটা দূরে একটা জায়গায় এসে একত্রে হতে আরম্ভ করে। দেখতে দেখতে অগণিত ভ্যাম্পায়ার এসে একত্রে হয়। তাঁদের সাথে সাথে প্লাটিনাম থেকে আশা দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলোও রয়েছে। তারা সবাই একত্রে হয়ে মানুষদের উপরে হামলা করবে, এমন সময় তারা তাঁদের নিকটবর্তী কোনো জায়গা থেকে মানুষের শরীর ঘ্রাণ পেতে আরম্ভ করে। তাই তারা সবাই মিলে আশেপাশে মানুষের খোঁজ করতে আরম্ভ করে। মানুষের খোঁজ করতে করতে তারা সেই জায়গায় এসে পৌঁছায় যেখানে আকাশরা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই জায়গায় এসে আকাশদেরকে দেখে গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের মাথা পুরো বিগড়ে যায়। কারন তাঁদের সঙ্গী রুস্তমের হত্যাকারী তার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যে থেকে লিঙ্কন বাকি সমস্ত ভ্যাম্পায়ারদেরকে আদেশ করে,
–এই তোরা সবাই ওদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়। আর প্লাটিনামের লোকজন তোরা আমার সাথেই থাক। রুস্তমের হত্যাকারী আমাদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের আর কষ্ট করে তাঁদেরকে খুঁজে বের করতে হবে না। তোরা সবাই মিলে ওদের উপরে হামলা করে সব কয়টার শরীরের রক্ত চুষে নে।
.
লিঙ্কন নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ারের কথা মতন সবাই আকাশদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে তাঁদের দিকে তেড়েফুঁড়ে যেতে আরম্ভ করে। “অপরদিকে আকাশরাও পরিপূর্ণ রেডি হয়ে আছে ভ্যাম্পায়ারদেরকে মারার জন্য। কিন্তু একটু আগের বলা গড অফ ভ্যাম্পায়ারের কথাটা আকাশ শুনে ভাবতে আরম্ভ করে, যে লিঙ্কন কোন রুস্তমের হত্যাকারী বলে মনে করছে তাঁদেরকে। তারা তো রুস্তম নামক কাউকেই হত্যা করেনি। তাহলে লিঙ্কন তাকে কোন রুস্তমের হত্যাকারী বানাচ্ছে। আকাশ বিষয়টা নিয়ে চিন্ত-ভাবনা করতে আরম্ভ করে, কিন্তু ভ্যাম্পায়াররা আকাশের চিন্তা-ভাবনায় অবসান ঘটিয়ে তাঁদের একদম কাছাকাছি চলে আসে তাঁদের উপরে হামলা করার জন্য। আকাশের লোকজন ও ভ্যাম্পায়ারদের দিকে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের তৈরী গুলি দ্বারা ফায়ার করতে আরম্ভ করে। এতে করে অনেক ভ্যাম্পায়ার জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ভ্যাম্পায়ের সংখ্যা এতো বেশি যে তাঁদেরকে আকাশের লোকজন গুলি ছুঁড়েও আঁটকে রাখতে পারে না। তারা তীব্র গতিতে সবার দিকে তেড়ে আসতে শুরু করে। পাশ থাকে দাঁড়িয়ে অবনী এই রূপ দৃশ্য দেখে একাই ভ্যাম্পায়ারদের দিকে অগ্রসর হতে আরম্ভ করে। তারপর ভ্যাম্পায়ারের একদম নিকটবর্তী হয়ে তাঁদের কয়েকজনের দিকে হাত উত্তলন করে ইশারা করে। এতে করে ভ্যাম্পায়াররা অবনীর সামনে থেকে বহু দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। “অপরপাশ থেকে গড অফ ভ্যাম্পায়ার দু’জন অবনীর এই দৃশ্য থেকে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। তবে তারা ঘাবড়ে গেলেও হার মানতে রাজি নয়। তাই লিঙ্কন নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ার ক্রাউন এবং প্লাটিনাম থেকে আসা বড় বড় দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলোকে আদেশ করে,
–এই তোরা সবাই গিয়েও ওদের উপরে আক্রমণ কর। আজ দেখি ওরা কি করে আমাদের হাত থেকে বেঁচে ফিরে।
.
ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কনের আদেশে ক্রাউন এবং দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলো বাকি ভ্যাম্পায়ারদের সাথে মিলে আকাশদের উপরে হামলা করার জন্য তাঁদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। যেটা দেখে অবনী তাঁদের সামনে নিজের অলৌকিক শক্তির দ্বারা একটা শক্তিশালী দেয়াল দাঁড় করিয়ে দেয়। দেয়াল দাঁড় করিয়ে দিয়ে সবাইকে সুরক্ষায় রেখে অবনী দেয়াল ভেদ করে একাই দেয়ালের অপরপ্রান্তে চলে যায়। আকাশ এবং বাকি সবাই অবনীর এমন কর্মকান্ড দেখে থতমত খেয়ে যায়। কিন্তু অবনীর মাথায় যে ভূত শোয়ার হয়েছে সেটা কেউ জানে না। অবনীর এমন কর্মকান্ডে সমস্ত ভ্যাম্পায়াররা মিলে এবার অবনীকে টার্গেট করে তার দিকে এগিয়ে আসে। এমন সময় অবনী হুট করে অদৃশ্য হয়ে গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কনের একদম সামনে চলে যায়। তারপর তার সামনে গিয়ে নিজের শক্তির প্রয়োগ করে লিঙ্কনের গলা চেপে ধরে তাকে হাতের ইশারায় হাওয়ায় ভাসিয়ে ফেলে। সমস্ত ভ্যাম্পায়ার অবনীর এই অদ্ভুত শক্তি দেখে যে যার মতন স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পরে। তখনি অবনী লিঙ্কনকে বলে,
–এই নিকৃষ্ট প্রজাতির লিডার, তোরা কি কারনে মানুষের উপরে হামলা করতে শুরু করেছিস?
মানুষ তোদের কি ক্ষতি করেছে? আর বিশেষ করে আমার প্রিয় মানুষটার উপরে তোরা হামলা করেছিস কেন?
.
অবনী লিঙ্কনের গলা চেপে ধরায় লিঙ্কন সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে না। সে মুরগী জবাই করলে যেভাবে ছটফট করে সেভাবে ছটফট করছে। তাই অবনী লিঙ্কনকে ছেড়ে দিয়ে আবারো বলে,
–নে তোকে ছেড়ে দিলাম। এবার তুই শান্ত ভাবে আমার কথার উত্তর দে। না হয়তো তোর অবস্থা নাজেহাল করে ছেড়ে দিব আমি। তোরা কি কারনে মানুষের উপরে হামলা করতে শুরু করেছিস? মানুষ তোদের কি ক্ষতি করেছে? আর বিশেষ করে আমার প্রিয় মানুষটা তোদের কি এমন ক্ষতি করেছে? যাতে করে তোরা সবাই মিলে আজ তার উপরে হামলা করতে যাচ্ছিলি?
–আমরা খামোখা মানুষের উপরে হামলা করি না। আমরা তো ছয়শত বছর ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। মানুষের ক্ষতি করলে আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজন নিজের আহারের তাগিদে করে। তবে আমরা তাঁদের জন্য রক্ত জবা গাছ উৎপাদন করে রেখেছি। যাতে করে তাঁদের আহার করতে সমস্যা না হয়, আর মানুষ মেরে তাঁদের রক্ত ও খেতে না হয়। কিন্তু বর্তমানে মানবজাতি আমাদের একজন গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে মেরে ফেলেছে। যার কারনে আজ আমরা সবাই মিলে মানুষের উপরে হামলা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছি।
–এই নিকৃষ্ট ভ্যাম্পায়ার তোদের উপরে মানুষ খামোখা হামলা করতে যাবে কেন? মানুষের কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, যে তোদের মতন নরপশুর সাথে লাগতে যাবে?
–সেটা তারাই ভালো জানে। তবে তারা গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে মেরেছে সেটাই খালি জানি আমরা। তাই আমরা থামবো না। যাকেই সামনে পাবো তাকে মেরে ফেলবো।
–শোন সেটা আমি থাকতে কোনোদিন ও হবে না।
সব কয়টাকে জবাই করে এক গর্তে ফেলে আগুনে জ্বালিয়ে দিব তোদের শরীর। আর বিশেষ করে আমার প্রিয় মানুষের দিকে নজর দিলে তোদের অবস্থা দেখার মতন থাকবে না।
–এই মেয়ে কিসের এতো দেমাগ রে তোর?
তুই কিসের ভিত্তিতে আমাদেরকে থ্রেট করছিস?
–দেমাগের তো এখনো কিছুই দেখিস নি। আমি দেমাগ দেখাতে শুরু করলে তোরা নিতে পারবি না। আর বাকি রইলো থ্রেট করা, শোন আমি তোদের থ্রেট করছি না। আর করবোও না। আমি যা করবো সব কাজে করবো। তাই সহজ ভাষায় বলছি মানুষ থেকে দূরে থাক। আর বিশেষ করে আমার প্রিয় মানুষটার থেকে।
–আমরা রুস্তমের খুনিকে মেরে তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়বো। রুস্তমের খুনিকে না মারা পর্যন্ত আমরা কেউ শান্ত হবো না।
–ঠিক আছে তোরা তোদের বদলা নে। তবে আমি প্রমাণ করে দিচ্ছি তোরা যাদের পিছনে লেগেছিস তাঁদের থেকে কেউ রুস্তমের হত্যাকারী না।
–হুম আমাদের ও প্রমাণ চাই। যদি তুই এটা প্রমাণ করতে পারিস তোর শক্তির মাধ্যমে তৈরী করা দেয়ালের পিছনের লোকজন গুলো নির্দোষ, তাহলে আমরা এখান থেকে মাথা নুইয়ে চলে যাবো। কারন আমাদের ও ইচ্ছে নেই অহেতুক মানুষের প্রাণ নেওয়ার। কারন আমরা ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের রচয়িতা। আমরাই যদি অন্যায় ব্যভিচার করি মানুষের উপরে, তাহলে আমাদের অনুসারীরা কি করবে।
–ওয়েট আমি এক্ষুনি তোদের ধারণা ভুল বলে প্রমাণ করছি।
.
অবনী আকাশদেরকে লিঙ্কনের কাছে নির্দোষ প্রমাণ করবে বলে জলদি আকাশের কাছে ছুটে যায়। তারপর আকাশকে বলে,
.
–আপনারা সবাই নিজের শরীর থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত বের করে আমার হাতের কোষে দিন। প্রিয় আপনিও দিন। আমি সবার রক্ত নিয়ে গিয়ে তাঁদেরকে দিব।
.
অবনীর কথায় সবাই নিজের হাত কেটে কয়েক ফোঁটা করে রক্ত অবনীর হাতের কোষের মধ্যে দেয়। অবনী সবার রক্ত কোষ করে নিয়ে গিয়ে ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কনের কাছে গিয়ে বলে,
–তোর হাত সামনে আগা। আমি সবার শরীরের রক্ত একত্রে করে নিয়ে এসেছি। তুই সবার রক্ত একবারে পান কর। তাহলেই তুই কে দোষী আর কে নির্দোষ সেটা জানতে পারবি। কারন তোদের মধ্যে তো রক্ত পান করে সমস্ত কিছু জেনে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। তাই আমি সবার রক্ত একত্রে করে নিয়ে এসেছি।
.
অবনীর কথায় লিঙ্কন নিজের হাত সামনে এগিয়ে দেয়। আর অবনী সমস্ত রক্ত লিঙ্কনের হাতে ঢেলে দেয় লিঙ্কন রক্ত গুলো খাওয়ার জন্য। লিঙ্কন অবনীর হাত থেকে নিজের হাতের কোষে রক্ত নিয়ে পান করতেই তার প্রচন্ড রাগ উঠে যায়। কারন তারা যাদেরকে মারার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তারা সবাই নির্দোষ। রুস্তমকে মেরেছে অন্যকেউ। কিন্তু ক্রাউন তাঁদেরকে আকাশদের কথা বলেছে। যার কারনে গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কন রাগান্বিত ভাব নিয়ে ক্রাউনের দিকে এগিয়ে যায়। তারপর তার গলা চেপে ধরে তাকে বলে,
–ক্রাউন তোর কতো বড় সাহস, তুই আমাদেরকে গোমড়াহ করার চেষ্টা করেছিস। তার উপরে আমাদেরকে দিয়ে এতো বড় অন্যায় করাতে চেয়েছিস। আমরা গড অফ ভ্যাম্পায়ারা যেখানে নিজেদের মনুষ্যত্ব আর নীতিকে বিসর্জন দেই না, সেখানে তুই আমাদেরকে দিয়ে এতো বড় অনিষ্ট করতে চেয়েছিলি। তোর এই ভুলের মাশুল তোকে দিতে হবে। তবে তার আগে রুস্তমের হত্যাকারী কে তুই সত্যি করে বল।
–প্রিন্স আমাদের উপরেও এরা হামলা করেছিল। তাই ভেবেছি তারাই হয়তো আমাদের রুস্তম প্রিন্সকে মেরেছে। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে তাহলে এর পিছনে অন্য কারোর হাত আছে।
–জলদি রুস্তমের হত্যাকারীকে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই। আমরা এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রুস্তমের হত্যাকারীকে খুঁজে নিয়ে আমাদের সামনে বলি দিয়ে তার অপবিত্র রক্ত আমাদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে পান করাবি। এরপর তোর কি শাস্তি হবে সেটা আমরা ঠিক করবো। আর নায় হয়তো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যদি রুস্তমের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে না পারিস, তাহলে তোর বলি চড়িয়ে দিব আমি।
–যেমন আদেশ করবেন প্রিন্স তেমনটাই হবে।
–এবার যা দলবল নিয়ে কাজে লেগে পড়।
আর এই যে নারী তোর নাম আমার জানা নেই। তবে আমরা অনেক বড় ভুল করেছি তোদের উপরে হামলা করে। তাই আমি সবার পক্ষ হতে তোর অভিমুখে ক্ষমা চাচ্ছি। তুই এবং তোর লোকজন অনুগ্রহ করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দে।
–দুনিয়ায় সর্বসেরা জাতি মানুষ এই ভুল করে, সেখানে তোরা তো অন্যকিছু। যাক গে ভুলে গেলাম আগের সব। তবে আগামীতে যেনো কোনো মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয় কোনো ভ্যাম্পায়ার দ্বারা।
–কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে রুস্তমের আসল হত্যাকারীকে আমরা ছাড়বো না।
–সেটা তোদের নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে অন্যায় ভাবে কোনো মানুষের প্রাণ গেলে পরের বার তোদের বিরুদ্ধে আমাদের বিদ্রোহটা আরো ভয়ানক হবে। এবার চললাম…
.
পরে অবনী সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। লিঙ্কন ক্রাউনকে রুস্তমের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে বলে লিঙ্কন আর বাকি আরেকজন গড অফ ভ্যাম্পায়ার ঘুমানোর জন্য নিজের স্থানে চলে যায়। সবাই যে যার মতন চলে গিয়েছে। কিন্তু ক্রাউন এখনো তার অনুসারীকে নিয়ে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। কারন তার ভিতরে ক্রোধের আগুন জ্বলছে। লিঙ্কন ভরা মজলিসের সকলের সামনে তার গলা চেপে ধরে তাকে অপমান করেছে। যার জন্য ক্রাউনের মনের ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে আরম্ভ করেছে। তাই সে ভিতরে ভিতরে একটা প্ল্যান সাজায়। লিঙ্কন তো তাকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রুস্তমের হত্যাকারীকে ধরে নিয়ে গিয়ে তার সামনে বলি দিতে বলেছে। না হয়তো লিঙ্কন তাকেই বলি দিয়ে দিব। অবশ্য চব্বিশ ঘণ্টা কেন চব্বিশ বছর খুঁজলেও রুস্তমের হত্যাকারীকে নিয়ে গিয়ে ক্রাউন লিঙ্কনের সামনে বলি দিতে পারবে না। কারন রুস্তমের হত্যাকারী সে নিজেই। তাই ক্রাউন তাঁদের গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের পিছনেই একটা ষড়যন্ত্র সাজায়। এবং তাঁদেরকেই মেরে ফেলার জন্য ফন্দি আঁটে। তবে ক্রাউনের ষড়যন্ত্রের শেষ কিন্তু এখনো হয়নি। সে গড অফ ভ্যাম্পায়াদেরকে মারার সাথে সাথে আকাশ এবং তার সমস্ত লোকজনকেও মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র সাজায় একমাত্র অবনীকে বাদ দিয়ে রেখে৷ কারন অবনীকে দূর থেকে প্রথম দেখাতেই সে ভালোবেসে ফেলেছে। তার উপরে অবনীর আধ্যাত্মিক শক্তি দেখে সে অবনীর উপরে আরো বিমোহিত হয়ে যায়। তার যেই করেই হোক অবনীকে লাগবে। সে সবাইকে মেরে ফেলে অবনীকে নিজের করে নিয়ে জীবনের নতুন এক
অধ্যায় শুরু করতে চায়। আর সেটা সে খুব জলদিই করবে। তারপর সে হবে ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের রাজা এবং তার রানী হবে অবনী। কিন্তু ক্রাউনের কোনো আইডিয়াই নেই, যে সে যাকে নিজের রানী বানাতে চাচ্ছে সে একটা জলজ্যান্ত আগুনের গোলা। তাকে নিজের করে পেতে হলে আসমান-জমিন এক করে দিয়ে নতুন ইতিহাসের সূচনা করতে হবে….
চলবে….
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।
সবাই লাইক কমেন্ট করে নিজের মতামত জানিয়ে যাবেন।