#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_২
“আকাশ রাজের এমন কথাবার্তা শুনে তার দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে এক নজর তাকায়। তারপর তার হাত থেকে লেটারটা নিয়ে পড়তে আরম্ভ করে। লেটারটা পড়া শেষ হতেই আকাশের মাথার রক্ত চোটে যায়। কারন সে শান্ত হয়ে গেছে দেখে দেশে ক্ষনে ক্ষনে বিপদ নেমে আসছে। একটা সময় তার কথাতেই অনেক কিছু হতো। কিন্তু অবনীর মৃত্যুর পর সে নিজেকে এমন ভাবে গুটিয়ে নিয়েছে যার কারনে সে আজ দু’বছর ধরে শহরের মাটি পর্যন্ত চোখে দেখেনি। আর সেখানে মারামারি করা তো বহু দূরের কথা। সে আজ দু’বছর ধরে এই ড্রয়িডে থাকে। ড্রয়িড ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও সে কোথাও যায়নি। তার পড়ালেখার ইতি ঘটেছে সেই বহুকাল আগেই। তবে বর্তমানে শহরের ভয়ানক অবস্থা দেখে তার প্রচন্ড রাগ হয়। কিন্তু সে কিছু সময়ের মাঝে নিজেকে শান্ত করে ফেলে। যেটা দেখে রাজ আবার আকাশকে বলে,
–ভাই আপনার সেই রাগান্বিত চেহারাটাতেই আপনাকে মানায়। এমন মনমরা হয়ে থাকলে একদম ভালো লাগে না আপনাকে।
–তো এখন কি করতে বলছিস?
–ভাই আমি বলি কে আপনি আবার আগের রূপে ফিরে আসেন।
–না সেটা আর সম্ভব না। কারন এই সবের জন্য অবনীকে হারাতে হয়েছে আমার। আমি আর এসবের মাঝে নেই।
–ভাই আপনি ভাবীর জন্য নিজের মনুষ্যত্বকে তুচ্ছ করে দিবেন?
–আরে আজব! নিজের মনুষ্যত্বকে তুচ্ছ করছি মানে কি?
–ভাই আপনাকে আমি আঘাত করে কথা বলছি এমনটা কিন্তু নয়। আমার কথা বলার একটাই মাখসাদ আমরা আপনাকে আবার আগের মতন দেখতে পাই। আর তুচ্ছের কথাটা এজন্যই বলেছি, কারন আপনি একটা সময় অন্যায় সহ্য করতে পারতেন না। কেউ আপনার সামনে অন্যায় করলে তাকে খুন করে তার লাশ গঙ্গার জ্বলে ভাসিয়ে দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই আপনিই চুপচাপ হয়ে বসে আছেন ভাবীকে হারানোর বেদনা মনে চেপে নিয়ে। ভাই শহরের মধ্যে ভ্যাম্পায়ার আক্রমণ করেছে। তারা নাকি ইতিমধ্যে অনেক কয়জন মানুষকে খুন ও করেছে। আর সবটাই তো আপনি লেটারের মাঝে পড়েছেন। তাও কি ভাই আপনি এবার চুপসে থাকবেন?
–ঠিক আছে যা আমি আর চুপসে থাকবো না। কারন তোদের আস্থা আমার উপরে। আমি নিজেকে শান্ত করে রেখে তোদের সেই আস্থাকে নষ্ট হতে দিব না। আর তার চাইতেও বড় কথা শহরবাসী ভয়ানক বিপদের মুখে পড়েছে। তাই আমি অবশ্যই তাঁদের সাহায্য করবো। তুই আমার শহরের যাওয়ার ব্যবস্থা কর।
–ধন্যবাদ ভাই। আর যাওয়ার সময় সাথে করে ড্রয়িডের কিছু সৈন্যকে নিয়ে যাবো নাকি?
–না তার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি আমার দলের লোকদেরকে দিয়েই ভ্যাম্পায়ারকে খতম করবো। কারন আমি এই ড্রয়িডের রাজা হলেও এই ড্রয়িড আমার না। তার উপরে এই ড্রয়িডকে ঘিরে অবনীর কিছু স্মৃতি আছে। তাই ড্রয়িডের কাউকেই সঙ্গে নিতে হবে না। আমরা নিজেদের মতোই তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। কিন্তু যদি একান্তই প্রয়োজন হয় ড্রয়িডের লোকজনের, তখন না হয় তাঁদেরকে কাজে লাগালো।
–ঠিক আছে ভাই আমি আজকেই আপনার শহরে যাওয়ার এন্তেজাম করছি। আর যেই উচ্চতর কর্মকর্তা আমাদেরকে মেইল পাঠিয়েছে সাহায্যের জন্য, তাকে আমি ইনফর্ম করে দিচ্ছি আমরা আসছি।
–হুম যেভাবে যা করার কর।
.
রাজ আকাশকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করে ফেলে।
পরবর্তীতে সবাই মিলে প্রিপারেশন নেয় শহরে যাওয়ার। আকাশ ও নিজেকে তৈরী করে নেই। তারপর সবাই মিলে শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। শহরে পৌঁছাতেই সেই উচ্চতর কর্মকর্তা যার নাম কিনা তানভীর, সে আকাশ এবং সবাইকে রিসিভ করে। আকাশ তার সাথে পরিচিত হয়ে একটা জায়গায় বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। তারপর সে তার দলের ছেলেপেলে সবাইকে নিয়ে পুরোনো বাংলোতে চলে আসে। আজ দু’বছর পর সে শহর এবং তার পুরোনো বাংলো বাড়িটার চেহারা দেখেছে। বাংলোতে এসে পৌঁছাতেই রাজ আকাশকে জিজ্ঞাস করে,
–ভাই তানভীর সাহেব তো যেই ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছে ভ্যাম্পায়ারের, তাতে করে তো মনে হচ্ছে বেশ কষ্ট হবে ভ্যাম্পায়ারকে ধরতে।
–কোনো কষ্টই হবে না। তুই তানভীর সাহেবের সাথে পুনরায় কথাবার্তা বলে ভ্যাম্পায়ারকে নিয়ে যতো ইনফরমেশন আছে সব কালেক্ট কর। বাকি আমরা সেই মোতাবেক সামনে আগাবো।
–ভাই আমি এখুনি তানভীর সাহেবের সাথে কনট্যাক্ট করে ভ্যাম্পায়ারকে নিয়ে যাবতীয় ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করছি।
–হুম তাই কর।
.
আকাশের কথায় রাজ তানভীর সাহেবের সাথে কন্টাক্ট করে তার থেকে ভ্যাম্পায়ারের কোনো ইনফরমেশন থাকলে সেটা তাকে দিতে বলে। কিন্তু তানভীর সাহেবের কাছে ভ্যাম্পায়ারকে নিয়ে কোনো ধরনের ইনফরমেশন না থাকায় তিনি সেটা রাজকে দিতে পারে না। তাই রাজ পুনরায় আকাশের কাছে এসে তাকে বলে,
–ভাই তানভীর সাহেবের কাছে নাকি ভ্যাম্পায়ারকে ঘিরে কোনো ইনফরমেশন এই নেই।
.
আকাশ রাজের কথা শুনে ভাবুক হয়ে যায়। সে নিজে নিজে কিছু একটা চিন্তা করতে থাকে। তখনি তানভীর সাহেব আবার রাজকে ফোন দেয়। রাজ ফোন রিসিভ করে লাউডস্পিকার দিয়ে বলে,
–জ্বি তানভীর সাহেব বলুন?
–ভাই ভ্যাম্পায়ারকে ঘিরে তো কোনো ইনফরমেশন নেই সেটা তো আগেই জানিয়ে দিয়েছি। তবে এই মাত্র একজন পুলিশ অফিসার একজন ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়েছে।
–কি জানিয়েছে?
–ভাই যার সম্পর্কে জানিয়েছে সে নাকি একজন ডেমন হান্টার। তারা নাকি ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর মানুষকে তাঁদের হাত থেকে বাঁচায়। সেই ডেমন হান্টারটা নাকি আমাদের কিছু পুলিশ অফিসারের সামনে এসেছিলো। তারপর সেই ডেমন হান্টার তার বিষয়ে পুলিশ অফিসারকে বলে। আমি সেই পুলিশ অফিসারের মাধ্যমেই ডেমন হান্টারের সম্পর্কে মাত্র অবগত হয়েছি।
–ঠিক আছে বাকিটা আমরা দেখছি।
আপনি আমাদের উপরে সবটা ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকুন। এবার ফোন রাখছি।
.
রাজ ফোন কেটে দিয়ে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে। তখনি আকাশ রাজকে বলে,
–একটু আগে তোর কথা শুনে আমি ডেমন হান্টারকে নিয়েই ভাবছিলাম। কারন আমি এটা বই-পুস্তকে পড়েছি। ভ্যাম্পায়ার যেই সিটিতে আসবে, তার আশেপাশে অবশ্যই ডেমন হান্টার থাকবে। আর আমার ভাবনাটাই বাস্তব হয়েছে। এবার রাজ তুই এই ডেমন হান্টাররের খোঁজ লাগা। আমার সেই ডেমন হান্টারকে জলদি চাই। কারন তাকে পেলেই অনেক কিছু জানতে পারবো আমরা ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে।
–ঠিক আছে ভাই আমি ডেমন হান্টারের খোঁজ লাগাচ্ছি।
.
রাজ ডেমন হান্টারের খোঁজ করতে কয়েকজন লোককে মোতায়েন করে দেয়। অপরদিকে ডেমন হান্টারও বুঝতে পারে তাকে এলদল লোক তালাশ করছে। তাই সে সেই লোক গুলোর উল্টো খোঁজ নিয়ে নিজেই আকাশের বাংলোতে আসে তার সাথে দেখা করার জন্য। আকাশের বাংলোতে এসে সে আকাশের সাথে দেখা করে। আকাশ তার সাথে দেখা হওয়ার পরে শুরুতেই তাকে ভ্যাম্পায়ার এবং ভ্যাম্পায়ারের মাখসাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে। সে আকাশের কথার উত্তরে বলে,
–ভাই আমি ভ্যাম্পায়ার এবং তার আসল মাখসাদ সম্পর্কে কোনো কিছুই জানি না। আমাদের ডেমন হান্টার সম্প্রদায়ের একজন সোর্স খবর দিয়েছে ভ্যাম্পায়ার নাকি নিজের সম্প্রদায় গড়ার উদ্দেশ্যে শহরের দিকে এসেছে। তাই আমি শহরের মানুষকে বাঁচাতে ডেমন হান্টারের একটা টিম নিয়ে শহরে এসেছি। আর ভ্যাম্পায়ার যেই শহরেই যাক না কেন, তারা মানুষের উপরে আক্রমণ করে তাঁদের জনবল আরো বৃদ্ধি করবে এটা তাঁদের একটা রুটিন। এটা মূখ্য কোনো মাখসাদ নয়। তবে সত্যি বলতে এছাড়া ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে কোনো তথ্যই আমার কাছে নেই।
–ডেমন হান্টার এটা বললে কি করে হবে? ভ্যাম্পায়ার তো মানুষের অনেক ক্ষতি করছে। তাকে তো আটকানো উচিৎ।
–ভাই জানবো কি করে আমি তিনদিন আগেই লুফিয়ানা শহর থেকে এই শহরে এসেছি। লুফিয়ানা শহরেও অনেক ভ্যাম্পায়ার ছিলো। উপর ওয়ালার দয়ায় আমরা বেশ কয়েকজন ভ্যাম্পায়ারকে মেরেছি। তবে কিছু ভ্যাম্পায়ার বাকি ছিলো, তাই আমরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই শহরে ছড়িয়ে পড়েছি। আর এই শহরে যেই ভ্যাম্পায়ারের আবির্ভাব ঘটেছে, তার আসল মাখসাদ সম্পর্কে জানতে হলে আমাকে আরো কয়েকদিন অনেক ভালো করে স্টাডি করতে হবে। তারপর তার মাখসাদ সম্পর্কে জানতে পারবো। এছাড়া তার মাখসাদ সম্পর্কে জানা দুষ্কর।
–নাহ এতো বেশি সময় নেওয়া যাবে না। কারন সেই ভ্যাম্পায়ার এর মাধ্যেই আরো মানুষের উপরে হামলা করবে। যেটা কিনা আমি চাচ্ছি না। তাই আপনি একদিনের ভিতরে তার আসল মাখসাদ কি সেটা খুঁজে বের করেন।
–ভাই জলদি করতে গেলে আমরা নিজেরাই মারা পড়বো। তাছাড়া বর্তমানে যেই ভ্যাম্পায়ার আপনাদের শহরের লোকজনের ক্ষতি করছে, সে কোনো সাধারণ ভ্যাম্পায়ার না। সে ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের অনেক বড় মাপের একজন। তার কাজ কর্ম এমনটাই জানান দিচ্ছে আমাদেরকে। তাই সতর্কতার সহিত আমাদেরকে সব করতে হবে। না হয় নিশ্চিত আমরাই উল্টো মারা পড়বো।
–ডেমন হান্টার আমরা তার বিরুদ্ধে এক্ষুনি লড়াই করতে চলেছি সেটা কিন্তু না। আমরা শুধু এখন তার মাখসাদ সম্পর্কেই অবগত হতে চাচ্ছি। কারন তার মাখসাদ সম্পর্কে জানতে পারলে মানুষজনকে তার হাত থেকে বাঁচানো যাবে। না হয় সে মানুষকে মেরেই যাবে। তাই বলছি যে আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সেই ভ্যাম্পায়ার আসল মাখসাদ কি সেটা খুঁজে বের করেন।
.
ডেমন হান্টার আকাশের কথায় ভাবুক হয়ে যায়। কারন আকাশ ঠিক কথাই বলেছে। আর তাছাড়া ভ্যাম্পায়ার গত দুই রাতে যে ভাবে মানুষ মেরেছে, তাতে করে ডেমন হান্টারের পূর্ব-পুরুষদেরকে তারা অপমান করছে। কারন ডেমন হান্টারের নিয়ম হলো তাঁদের যাই হবে হোক মানুষকে বাঁচাতে হবে ভ্যাম্পায়ারের হাত থেকে। সেখানে তারা ভ্যাম্পায়ারের আসল মাখসাদ বা দূর্বলাতা সম্পর্কে জানতে জানতে অনেক লম্বা সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। তাই ডেমন হান্টার আকাশকে বলে,
–ঠিক আছে ভাই আমি আপনার কথা মতন আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে শহরে বিরাজ করা ভ্যাম্পায়ারের আসল মাখসাদ খুঁজে বের করছি। তবে হ্যাঁ একটা কথা, আমি যেটা করতে যাচ্ছি এতে কিন্তু আমার মৃত্যুও হতে পারে।
–মৃত্যু হতে পারে মানে কি?
–মানে হলো সেই ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে জানতে হলে সে যেই সকল মানুষের রক্ত খেয়ে তাঁদেরকে ভ্যাম্পায়ার বানিয়েছে, আমার তাঁদের মধ্যে থেকে যে কোনো একজনকে প্রয়োজন। কারন তাঁদের একজনকে পেলেই তার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে ঘ্রাণ শুকলে বের করতে পারবো সেই ভ্যাম্পায়ারের আসল মাখসাদ কি। তাই আমাকে চব্বিশ ঘন্টা সময় দিন। আমি একজন ভ্যাম্পায়ারের শিকার করে তার রক্তের মাধ্যমেই এক শিং ওয়ালা ভ্যাম্পায়ারের আসল মাখসাদ বের করবো। তবে এটাতে আমার প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমি এখানে নিজের প্রাণের মায়া করবো না। কারন আমরা থাকতে কোনো ভ্যাম্পায়ার যদি কোনো মানুষকে মেরে ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে দেয়, তাহলে এটাতে করে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা অপমান বোধ করে। তাই আমি এই জীবন-মরনের রিস্ক টা নিবই।
–ইনশাআল্লাহ আপনার কোনো কিছুই হবে না। সব কিছু ভালোয় ভালোয় হবে। আমি আশা করি আপনি সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে আমাদের কাছে ফিরে আসবেন।
–ঠিক আছে আমি চললাম। চব্বিশ ঘন্টা পূর্ণ হওয়ার আগে আপনার সাথে আবার আমার দেখা হবে।
.
ডেমন হান্টার আকাশের সাথে পূনরায় দেখা হবে বলে সে তার কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। দেখতে দেখতে আঠারো ঘন্টা কেটে যায়। আকাশ আর তার লোকজন সবাই ডেমন হান্টারের জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সময় ডেমন হান্টার কাটা-ছেঁড়া শরীর নিয়ে ক্ষত অবস্থায় আকাশের কাছে ফিরে আসে। আকাশ ডেমন হান্টারের শরীরের কন্ডিশন দেখে তাকে জিজ্ঞাস করে,
–ডেমন হান্টার আপনার এই অবস্থা কি করে হয়েছে? আপনি ঠিক আছেন তো?
–ভাই ভ্যাম্পায়ারের সাথে আমার তুমুল লড়াই হয়েছে। যেখানে ভ্যাম্পায়ারকে গাছের সাহায্যে আমাদের তৈরী করা বর্শা দিয়ে একবার মারলেই তারা মরে যায়, সেখানে আমি একজন ভ্যাম্পায়ারকে বেশ কয়বার আঘাত করেছি আমাদের বানানো বর্শা দিয়ে। কিন্তু তাকে কোনো ভাবেই মারতে পারিনি। তবে তাকে একাধিক বার আঘাত করে বেহুঁশ করে ফেলেছি। যার পর তার শরীরের রক্তের ঘ্রাণ শুকে কিছু তথ্য বের করেছি। যেটা আপনাকে জলদি জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারন সেই ভ্যাম্পায়ারের রক্ত শুকার পর থেকে আমার পেট পাকিয়ে বমি আসছে। আমার যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। ভাই এই শহরে যেই ভ্যাম্পায়ার এসেছে, তার মোকাবিলা করা অসম্ভব। কারন সে একটা ক্রাউন। ক্রাউন মানে যদিও বা মুকুট, তবে ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ে কোনো উচ্চ পদস্তরের ভ্যাম্পায়ারকে ক্রাউন বলা হয়। আর তাঁদের মাথায় ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের বানানো সম্মানিত মুকুট থাকে। যেমনটা কিনা এই ক্রাউনের মাথায় রয়েছে। তার মাথার ভয়ানক শিংটাই তাঁদের সম্প্রদায়ের বানানো মুকুট। ভাই ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের তিনটা গড অফ ভ্যাম্পায়ার রয়েছে। যারা কিনা তিনশ বছর করে করে রাজত্ব করে। একজন তিনশ বছর রাজত্ব করে। আর বাকি দু’জন তাঁদের সময় আসা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে। আর এই ক্রাউন হচ্ছে সেই গড অফ ভ্যাম্পায়ারের খুব কাছের একজন কেউ। যার কারনে ক্রাউনের অনুসারীর রক্ত শুকেও তার বিষয়ে তেমন কোনো কিছু বের করতে পারিনি। আর তার জন্যই তার অনুসারীকে মারতে আমার দম ছুটে গেছে। ভাই সব শেষ। জানিনা কি ভাবে এসব থেকে মুক্তি মিলবে মানুষের।
.
আকাশ ডেমন হান্টারের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়। “অপরদিকে ডেমন হান্টার আকাশকে ক্রাউনের বিষয়ে বলা শেষ করতেই সে হুট রক্ত বমি করতে শুরু করে। আর তার কিছুক্ষণ পরেই ডেমন হান্টার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যেটা দেখে আকাশ পুরো থতমত খেয়ে যায়…
চলবে…..
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।