#তোকে চাই পর্ব ৩+৪+৫

0
1660

#তোকে চাই পর্ব ৩+৪+৫
#রোদ

উনাকে ডাকার সাহস করে উঠতে পারলাম না।।যদি রেগে যান?উনাকে আমি বরাবরই ভয় পাই,,,,সেই তো প্রথম দিনের কথা,,,,


ফ্ল্যাসব্যাক,,,,,

বিয়ে পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মা আমাকে রুমে পাঠালেন, তার ফোনটা নাকি রুমেই ফেলে এসেছে,,,,আমিও নাচতে নাচতে চলে গেলাম ফোন আনতে।।।হঠাৎ শাড়ির আচঁলে টান পড়ায় পেছনে তাকিয়ে দেখলাম শাড়ির আচঁলটা গেস্টরুমের দরজায় আটকে আছে।।।নিজের মনে বকবক করতে করতে যেই না দরজাটা হালকা খুললাম,,,আমার চোখ যেনো বেরিয়ে আসার উপক্রম।।। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি।।।মনে হচ্ছিলো হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে,,,কিছু না ভেবেই চোখ বটে দিলাম এক চিৎকার,,সাথে সাথেই ভারী গলায় ধমক দিয়ে উঠলো কেউ,,,,
এই মেয়ে?? চেচাঁচ্ছ কেন??একদম চুপপপপপ

আমি ভয় পেয়ে মুখে হাত চেপে চুপপ হয়ে গেলাম।।চোখ দুটো হালকা খুলে যা দেখলাম তাতে মনে হলো পুরো বাঁশঝার টাই আমার মাথায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।।।ছি ছি একি,,, এ তো শুভ্র ভাইয়া,,,আপুদের ক্রাশ।।উনি এসব কি করছিলেন??ছিহ,,ছিহ,,,থেংক গড বেশি ক্রাশ খাইনি,,নয়তো আমার কচি হার্ট টা আজই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতো,,,হুহ।।আল্লাহ বাচাঁয়ছে।।।দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসবই ভাবছিলাম,,,আমার ভাবনার ঘোর কাটলো ওনার আরেক ধমকে,,,,
শুভ্রঃ এই মেয়ে,,,তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে??এভাবে দাড়িঁয়ে আছো কেন??

আমি ভয়ে ভয়ে কোনোরকম বললাম,,,আ,,আপনারা এ,,এখানে ক,,কি করছিলেন??

কেনো দেখতে পাওনি??রোমান্স করছিলাম।।।আর তুমি আমাদের ডিস্টার্ব করছো(চোখ গরম করে আমার দিকে তাকিয়ে)

উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার তো যায় যায় অবস্থা।গলা তো রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে কোনোরকমে একটা ঢোক গিলে বললাম,৷ স,,,সরি ভা,,,ইয়া।।আ,,,আমি ইচ্ছা করে ডিস্টার্ব করিনি।।আসলে,,,

চুপপপপপপপ একদম চুপপ,,,(উনার ধমকে আমি রীতিমতো কেঁপে উঠলাম,,মুখটা কাঁদো কাদোঁ করে দাড়িয়ে আছি ,,,মনে হচ্ছে এখনই কান্না দেবীর আগমন ঘটবে,,,,ঠিক তখনি পেছনে থেকে কেউ বলে উঠলো,,,,

শুভ্র?? শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটাকে বকছো কেন??

নীলি তুমি চুপ করো,,,দোষ যখন করেছে,, ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে।।

আমি শাস্তির কথা শুনে এবার কেঁদেই দিলাম,,,,কাঁদো কাদোঁ গলায় বললাম,,,ভাইয়া প্লিজজজ আমায় মারবেন না,,,আমি আর জীবনেও কাউকে ডিস্টার্ব করবো না,,,,,আর কাউকে বলবোও না যে আপনা…

আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনি আবার ধমক দিয়ে উঠলেন,,,
এইই,,,চুপপ।।খবরদার কানবা না,,,কান্না করলে আরো কঠিন শাস্তি দিবো,,,হুহ।।।

আমি এবার চুপ হয়ে ফুফাতে ফুফাতে বললাম,,,,ক,,,কি শা,,শাস্তি দ,,,দিবেন আমায়???

তোমার শাস্তি হলো,, ১৫ মিনিট দরজার বাইরে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে।।

কথাটা শুনে আমি বিস্ফারিত চোখে তাকালাম ওনার দিকে,,,ব্যাটা লুচু বলে কি??এতো জায়গা থাকতে দরজার বাইরে দাড়িয়ে থাকতে যাবো কেনো আজিব।।।তাই ভয়ে ভয়ে বললাম,,,ক,,কেন???

কারন তুমি আমার রোমান্টিক টাইম স্পয়েল করেছো সো,,এখন তুমি বাইরে দাড়িয়ে পাহাড়া দিবে,,,যেনো অন্য কেউ ডিস্টার্ব করতে না পারে গট ইট???

আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম।।পাশের আপুটা বলে উঠলো,,,,শুভ্র তুমি না দিনদিন শেমলেস হয়ে যাচ্ছো,,বাচ্চা মেয়েটার সামনে কি বলছো এসব,,,চলো তো সবাই খুঁজবে,,,,

নাহ জান,,,,আমার পাওনা রয়ে গেছে তো।।।বলে উনার দিকে এগিয়ে গিয়েও হঠাৎ থেমে গেলেন,,,,আমার দিকে তাকিয়ে একটা রাম ধমক দিয়ে বাইরে গিয়ে দাড়াতে বললেন,,,,আমিও বাধ্য মেয়ের মতো দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে বাইরে দাড়িয়ে পড়লাম।।।আর বিরবির করে উনার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করতে লাগলাম।।ব্যাটা রোমান্স করবি ভালো কথা,,দরজায় যে লক নামক একটা জিনিস আছে সেটা কি জানিস না নাকি,,,আবার আমাকে বকে,,যত্তোসব আবাল জনগন,,,হুহহ,,,৷ সেটাই ছিলো উনার সাথে আমার প্রথম কথা বলা,,,,


দরজায় কড়া নড়ায় আমার ভাবনার সুতো কাটলো।।।মামানি আমায় ডাকছে,,,,,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৭ঃ৩০ বেজে গেছে।।এতো সময় কিভাবে চলে গেলো বুঝতেই পারি নি।।তাই আর দেরি না করে,,, উনার ঘুমন্ত মুখটাকে একটু ছোঁয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে,,, একটা দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে নিচে চলে এলাম।।।মা আর আপু কিচেনেই ছিলো।।মামানি আমাকে দেখেই বুকে টেনে নিলেন।।এতোক্ষণে আমার বিক্ষিপ্ত মনটা যেনো একটু ঠান্ডা পরশ পেলো।।আপু তো রীতিমতো বড় বউয়ের দায়িত্ব কাধেঁ নিয়ে নিয়েছে।।নেবেই না বা কেনো, সে তো বরাবরই শান্ত-শিষ্ট,, সংসারী মেয়ে।।আর আমি ঠিক তার উল্টো।।।আপুকে সবসময় মজা করে বলতাম,,,আপু বিয়ে তো তোর দেবরকেই করবো।।।নয়তো শশুর বাড়িতে ঝামেলা করলে বাচাঁবে কে আমায়???আপু জবাবে শুধু মিষ্টি হাসতো।।।নিয়তির খেলায়,,আজ আমি সত্যিই আপুর দেবরের বউ।।।কিন্তু এই নিয়তিটাই যে আমার জীবনের কাল হবে কেই বা জানতো।।মামানি আর আপু টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে,,আমি শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি,,,এখানেও বাসার মতোই আদর পাচ্ছি,,ছোট বাচ্চাটার মতো,,কিন্তু যাকে পাওয়ার তাড়না আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সে তো আমায় সহ্যই করতে পারে না।।মামানির ডাকে ফিরে তাকালাম,,,এক কাপ কফি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,,
যা মা,,, শুভ্রকে কফিটা দিয়ে,,,চটপট নিচে আসতে বল।।।

ভয় মাখা ধুরুধুরু বুক নিয়ে এগিয়ে গেলাম রুমের দিকে।।উনি এখনো একইভাবে ঘুমোচ্ছেন।।কয়েকবার ডাকার পরও যখন শুনলেন না,,তখন কিছুটা বিরক্ত হয়ে উনাকে হালকা ধাক্কা দিতেই চোখ খুললেন,,,কিছুক্ষণ ভ্রু কুচঁকে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই,,,ঝট করে উঠে বসলেন।।।উনার চোখে রাগটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।।ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,,,আ,,,আপনার ক,,,,কফি,,মা,,,,,আর কিছু বলার সুযোগ আমি পেলাম না,,,তার আগেই গরম কফিতে জলসে গেলো আমার হাত।।।বাবা,,মা,,আপু আর ভাইয়ার আদরের পরীটি ছিলাম আমি,,,ফুলের টোকাও পড়তে দেয়নি আমার গায়ে,,,আর আজ??আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি,,,চোখ থেকে পানি পড়ছে অবিরল।।মানুষ…
#চলবে..


(বাঙালীদের দেখি নেক্সট ব্যারাম হয়ছে।।সবাই #নেক্সট রোগে আক্রান্ত।।।এতো নেক্সট নেক্সট না করে একটু তো উৎসাহ দিতেই পারো ভাইয়া আপুরা।।।🙄)

#তোকে চাই❤
#writer: রোদেলা❤
#part: 4
মানুষ এতোটা নিষ্ঠুর কি করে হতে পারে??আমি যে একজন মানুষ,,আমারও যে কষ্ট হয় এটা হয়তো উনি ভুলেই গেছেন।।।নিজের কষ্টটাকে আমার কষ্ট দিয়ে ঢাকার কি অসাধারন প্রচেষ্টা!!!!আমি কিছু বলার ভাষায় খুজেঁ পাচ্ছি না,,,সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে বদ্দউম্মাত বলে মনে হচ্ছে,,,,হঠাৎ ই আমার পোড়ে লাল হয়ে যাওয়া হাতটা চেপে ধরলেন,,,ব্যথায় কুকিয়ে উঠলাম আমি,,কিন্তু সেদিকে তার খেয়ালই নেই।।মনে হচ্ছে,, আমার ব্যথাতেই পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন তিনি,,,আমার চোখের পানিকে উপেক্ষা করে আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলেন,,,,

এই এই মেয়ে,,,কথা কানে যায় না??আমার থেকে দূরে থাকতে বলি নি???এতো বেহায়া কেনো তুমি???বাবাকে তো হাত করেছো টাকার লোভে,,,এখন আমাকে হাত করতে চাও??(আরো শক্ত করে চেপে ধরে)লাস্ট বারের মতো ওয়ার্ন করছি তোমায়,,,,বিয়ে তো করেছো,,বাট কাছে আসার চেষ্টাও করবে না,,,আমার কাছে আসার অধিকার শুধু এবং শুধুই নিলীর,, বুঝতে পারছো তুমি??(হাত ছেড়ে দিয়ে চিৎকার করে)তোমাদের মতো সো কল্ড মিডিলক্লাস মেয়েদের বলেও কোনো লাভ নেই,,,তোমরা হয়তো এসব উত্তরাধিকারসূত্রেই পাও,,,তাই না??(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)

এবার আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না।।।নিজের পরিবারকে কেউ আমারই সামনে নিঃসংকোচে অপমান করছে আর আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না,,,,অনেক হয়েছে আর নয়,,,নিজের রাগ,,,ক্ষোভ,,অভিমান সবকিছুকে ভিত্তি করে অসীম সাহস নিয়ে উনার কলার চেপে ধরলাম।।।উনার রক্তচক্ষু চাহনী আমার নজর এড়ায়নি,,,কিন্তু নাহ,,,আজ আর ভয় নয়,,,এই আধুনিক যুগে এসে,,, মধ্যযুগের মহিলাদের মতো স্বামীর অত্যাচার মুখ বুঁজে সহ্য করবো এমন শিক্ষা বাবা আমায় দেয় নি।।।

আপনার সাহস কি করে হয় আমার ফ্যামেলি নিয়ে কথা বলার??আমি চুপ করে আছি তারমানে এই নয় আপনি যা খুশি তাই বলবেন,,,,লিসেন মিস্টার শুভ্র,,,এতো নেকা সাজার চেষ্টা করবেন না।।কি যেনো বলছিলেন?আমি আপনাকে লোভে পরে বিয়ে করেছি,,,ইচ্ছা করলে আটকাতে পারতাম,,,আপনার জীবন নষ্ট করেছি,,ব্লা ব্লা।।।তাহলে এই একই প্রশ্ন যদি আমি আপনাকে করি তাহলে??কেনো নষ্ট করলেন আমার জীবন???কেনো??যদি নিলীমাকে এতোই ভালোবাসেন,, সেটা বিয়ে করার সময় মনে ছিলো না??ইচ্ছা করলে তো আপনিও আটকাতে পারতেন বিয়েটা,,,কেনো আটকান নি??কিসের লোভে??শরীরের??

রোদদদদদদদ,,,,,,

চেচাঁবেন না,,,,আপনার চেচাঁনোতে আমার কথা থামবে না,,,,অনেক বলেছেন,,,,এবার আমার পালা,,,,

তোমার সাহস কি করে হয় আমার কলার ধরার??

সাহস??(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)সাহসের দেখেছেন কি??আগে আমার প্রশ্নের জবাবগুলো দেন।।।কেনো করলেন বিয়েটা??নিশ্চয় বলবেন বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে,,,ওদের চাপে,,,,,আরো কতো কিছু।।।তো মিস্টার শুভ্র,,বাপ -মা কি আপনার একার আছে??আমরা কি আকাশ থেকে টুপ করে পড়েছি নাকি??নাকি আপনার বাবা-মায়ের ইমোশন আছে,,,কষ্ট আছে।। আর আমার বাবা মার নেই??তারা কি পাথর???নাকি টাকা দিয়ে ওগুলোও অনলি মি করে রেখেছেন???আর কি যেনো বলছিলেন??টাকা??হুহ,,,আই স্পিট অন ইউর মানি।।আপনার টাকা ছুঁয়ে নিজের হাত নোংরা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই।।।আর আপনার কাছে যাওয়ার কথা???হাসালেন আমায়,,,,আপনি ভাবলেন কি করে,,আপনি বলবেন আর আমি ডেং ডেং করে আপনার কাছে চলে যাবো???আমি আপনার মতো থার্ডক্লাস রুচি বহন করি না,,,,আরে,,আমি আপনাকে ওয়ার্ন করছি,,,ডোন্ট ট্রাই টু টাচ মি।।আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না।।নিহাত,,বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি,,,নয়তো আপনার মতো লো ক্লাস মেন্টালিটির কোনো লোককে,,, আমি রোদ তাকিয়েও দেখতাম না।।আর হ্যা,,,এতোদিন কিছু বলিনি তারমানে এই নয় যে আমি কথা বলতে পারি না,,,,আমি চুপ করে ছিলাম শুধুমাত্র আপনার কথা ভেবে।।।ভেবেছিলাম নীলিমা আপুকে হারিয়ে আপনি ডিপ্রেসড,,,,বাট আই ওয়াজ রং আপনি ডিপ্রেসড নন,,,,ইউ আর মেন্টালি সিক।।আর কোনো সাইকো কে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না,,,,ইউ গট ইট???
বলেই কলার ছেড়ে দ্রুত নিচে চলে আসলাম,,,ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার বিন্দুমাত্র শক্তি আর নেই,,,রুম থেকে বেরিয়েই কয়েক দফা জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিলাম,,,,মাই গড😱রোদদদ,,,আই এম প্রাউড অফ ইউ,,,ওয়াহ্,,,ব্রেফ গার্ল,,,পুরাই নো বলে ছক্কা মেরে দিয়েছিস,,,,ওয়ে হোয়ে,,,সাইকোটার মুখটা দেখার মতো ছিলো।।ইচ্ছে করছে লুঙ্গি ডান্স দেই।ইশশশ,,,,আরে কে কোথায় আছিস আমার প্রশংসা কর,,,অতি খুশি লাগে কেরে???এসব ভাবতে ভাবতে বিশ্বজয়ী একটা হাসি নিয়ে নাচতে নাচতে নিচে চলে আসলাম,,,

কি রে ছোট নাতবউ??এতো খুশি লাগছে কেন তোকে??বর বেশি বেশি আদর করেছে নাকি??(মুখ টিপে হেসে)

আমি অধিক আনন্দে হিতাহিত ঞ্জান হারিয়ে দাদিকে জড়িয়ে ধরে বলে ফেললাম,,,,না গো বর আমাকে নয়,,,আমি বরকে আদর করে এলাম,,,,

তাই বুঝি??

হুমমম,,,,বলেই বুঝতে পারলাম।।।রং জায়গায় রং কথা বলে ফেলছি।।।ছি,,ছি,,আংকেল,,ভাইয়া,,,আন্টি সবার সামনে কি বলে ফেললাম।।।আল্লাহ মাটি ফাঁক করে দাও,,,নয়তো আকাশে ফোটো করে দাও,,,আমি আর বাচঁতে চাই না।।।আড়চোখে সবাইকে দেখছি,,, সবাই মিটিমিটি হাসছে,,ইভেন মামুও।।।আজকে বুঝতে পারছি লজ্জা কাকে বলে,,কত প্রকার ও কি কি??এর আগেও আমার ফলিশনেসের জন্য এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে আমায়,,,সেদিনও এই খাটাশ টার জন্য,,,,আর আজও,,😥

ফ্ল্যাসব্যাক,,,,

সেদিন শুভ্র ভাইয়ারা ফুল ফ্যামিলি আমাদের বাসায় ইনভাইটেট ছিলো।।আপু আর অভ্র ভাইয়ার বিয়ের কথা চলছিল তখন,,,,এক্সাম শেষে কলেজ থেকে বাসায় ফিরেই যেই না তাড়াহুড়ো করে রুমে ডুকতে যাবো,,কেউ একজন পিছন থেকে হেচঁকা টান দিয়ে পাশের গেস্টরুমে ডুকিয়ে দরজা দিয়ে দিলো,,,,ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে চিৎকার করতেই একজোড়া হাত আমায় দেয়ালের সাথে চেপে ধরে,, শক্ত হাতে মুখ চেপে ধরলো,,,,ভয়ে মনে হচ্ছিলো হৃৎপিণ্ড নামক জিনিসটা যকোনো টাইম বেরিয়ে আসবে,,,,চোখটা মিটমিট করে যা দেখলাম তাতে ভয় চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে শেষ সীমানায় গিয়ে পৌছাঁলো।।হ্যাং মেরে দাড়িয়ে আছি,,,,
#চলবে…..
(যাদের আমিতে চুলকানী আছে,,,তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।। আপনার মূল্যবান সময়টুকুর একটা অংশ আমাকে কিভাবে অপমান করবেন সেটা ভেবে কাটান বলে,,,আই এম সো প্রাউড ফর দেট😁😁)

#তোকে চাই❤
#writer:রোদেলা❤
#part:5

হ্যাং মেরে দাঁড়িয়ে আছি,,,যাকে আমি যমের মতো ভয় পাই,, সে যদি অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় আমাকে দেয়ালে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে,,তবে তা ভয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সুইটেবল বলে আমি মনে করি।।।শরীরে বাথ টাওয়াল জড়িয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন শুভ্র ভাইয়া,,,উন্মুক্ত বুকে লেপ্টে থাকা লোম আর বিন্দু বিন্দু জল জানান দিচ্ছে,,, মাত্রই শাওয়ার নিয়েছেন তিনি।।ফরসা মুখটাকে হালকা লাল হয়ে থাকা চোখদুটো আরো আকর্ষনীয় করে তুলছে,,,কিন্তু প্রশ্নটা হলো,, আমাকে এখানে কেনো আনা হয়েছে??আর এভাবে চেপে ধরে থাকার কারনটাই বা কি???মেয়ে হিসেবে অবশ্যই আমার রেগে যাওয়া উচিত কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমার রাগ ভয়ের নিচে চাপা পড়ে আপাতত তান্দুরী চিকেনে পরিনত হয়েছে।।।আমি যেভাবে ভয়ে কাঁপা-কাঁপি করছি,,আমার ধারনা,, রাগের যদি কোনো ক্রোমোজোম থেকে থাকে তাহলে তারাও ইতোমধ্যে এই ব্যাটার ভয়ে রীতিমতো কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিয়েছে।।এই ব্যাটা যে লুচু নাম্বার ওয়ান,,,সে সন্দেহ আমার প্রথম দিনই ঘুচে গেছে।।উনি যে হাই লেবেলের বেশরম সেটাও আজ জানা হয়ে গেলো।।।ভয়ে-লজ্জায় না পারছি ওনাকে কিছু বলতে,, না পারছি উনার দিকে তাকাতে,,, এভাবে বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকাও আমার পক্ষে সম্ভব না,,,হাত-পা অসম্ভব ঠান্ডা হয়ে আসছে।।তার ওপর নেমকহারাম হার্টটা আমার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে ইতোমধ্যে ।।উনিও কিছু বলছেন না,,,তাই ভয়ে ভয়ে আমিই বলে উঠলাম,,,,

আ,,,আমাকে এ,,,এখানে কেনো এ,,,এনেছেন??

গুড কোশ্চেন,,,,তোমাকে এখানে আনার পিছনে আমার বড় সড় একটা প্লেন আছে,,,(শয়তানী হাসি দিয়ে).

ম,,মানে?ক,,,কি পপপপ্লেন,,,(কাদোঁ গলায়)

এই মেয়ে কাঁপছো কেন??(রাগী গলায়)

আ,,আ,,আপনি প,,প্লিজজ,,,আমার সাথে এ,,এমন কিছু করবেন না।(কাঁদো কাঁদো হয়ে)

এমন কিছু মানে?(ভ্রু কুঁচকে) লাইক সিরিয়াসলি??(চিৎকার করে)এই মেয়ে??তোমার মাথায় কি আসলেই কয়েকটা তাড় ছিঁড়া নাকি??হাউ কেন ইউ থিংক এবাউড ইট??সারাদিন সিরিয়াল দেখলে তো এসব চিন্তায় মাথায় ঘুরবে,,,ফুপ্পিকে জানাতেই হবে,,,

আমি থতমত খেয়ে গেলাম,,,,প্রচুর লজ্জা লাগছে,,ছি ছি সত্যি তো আমি অনেক বেশি ভেবে ফেলেছি,,,কিন্তু আমি মোটেও সারাদিন সিরিয়াল দেখি না,,হুহ।।।আচ্ছা উনি মাকে কি জন্য বিচার দিবে??আল্লাহ বাঁচাও আমায়,,,,,

ক,,,কি বলবেন ম,,,মাকে?

বাচ্চা মেয়ের মাথায় যে এসব বাজে চিন্তা-ভাবনা ঘুরে বেড়ায় সেটা তো মা হিসেবে ফুপ্পির জানার পুরো অধিকার আছে,,,আর ভাই হিসেবে বিষয়টা উনাকে জানানো আমার কর্তব্য,,,তাই না??(চোখ টিপে)

ন,,,না।। প,,,প্লিজ মাকে কিছু বলবেন না।।প্লিজজজ,,,,,বি,,,বিশ্বাস করুন আমি মোটেও ওমন কিছু ভাবি নি,,,(মাথা নিচু করে করুন গলায়)

কেমন কিছু??

ওই তো,,,(বলতে গিয়েই দেখি উনি মুখ চেপে হাসছেন,,,তাই আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম)

আচ্ছা তুমি চাচ্ছো যে,, আমি তোমার মাকে কিছু না বলি,,রাইট??

হুমম হুমম(তাড়াহুড়ো করে)

ওক্কে বলবো না,,,

সত্যিই(খুশি হয়ে)

হুমমম,,,বাট একটা শর্ত আছে,,,তোমাকে আমার জন্য একটা কাজ করতে হবে,,,,ইউ কেন টেক ইট লাইক আ ডিল,,,ইউ নো না??গিভ এন্ড টেক,,,,(বাঁকা হাসি দিয়ে)

ক,,কি করতে হ,,,হবে??

সিম্পল,,,তোমার রুমে একটা পার্সেল রেখে আসছি,,ওইটা তুমি কাল কলেজ যাওয়ার সময় নীলিকে দেবে,,,,

আমি ওনাকে কোথায় পাবো??(অবাক হয়ে)

আমাদের ভার্সিটি গিয়ে দিয়ে আসবা,,,

কিহ্।।।আপনার মাথা খারাপ??আমি একা কিভাবে??আর আপনার জিএফ আপনি যেতে পারেন না?(রেগে গিয়ে)

আমি যেতে পারবো না কজ বাবা আমাকে কাল এক মিনিটের জন্যও ছাড়বে না,,,তাছাড়া ম্যাডাম আমার উপর রেগে আছে ওর মানও ভাঙাতে হবে,, সো ইউ আর দ্যা বেটার অপশন ফর মি,,(চোখ টিপে)

আমি যাবো না।।(অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে)

ওকে যেয়ো না,,আমি যাচ্ছি ফুপ্পির কাছে,,কতো কিছু বলার আছে,,,,(যেতে নিলে)

এই নাহ নাহ,,,আমি যাবো(মুখ গোমরা করে)

গুড গার্ল

হাঠৎই অভ্র ভাইয়া রুমে ডুকে আমাদের এভাবে দেখে অবাক হয়ে দাড়িয়ে পড়ে,,, ভাইয়াদের জন্য চা নিয়ে এসে আপু শুভ্র ভাইয়াকে এভাবে দেখে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে চোখ চেপে ধরে চিৎকার দিয়ে ওঠে,,,তারপর বাকিসব ইতিহাস।।আপুর চিৎকারে আর কাপ ভাঙার শব্দে সবাই রুমে এসে হাজির।।সবাই চোখে একঝাঁক প্রশ্ন নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আর আমি???সে আর নাই বা বলি।।অবশেষে নীরবতা ভেঙে আম্মু গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো,,,

রোদ??তুমি এই সময় এখানে কি করছিলে???

আআ,,আসলে,,পার,,পার (শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থেমে গেলাম)

কি পার,পার করছিস?(ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করলো আপু)

তারপর আমি যা,বলেছিলাম তাতে করে শুভ্র ভাইয়াসহ সবারই চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়েছিলো,,,আমি তাদেরকে বলেছিলাম, আমি এখানে গোসলের পারমিশন নিতে আসছিলাম।।।জানি কথাটা শুনে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু কি করা??পার্ দিয়ে অন্য কোনো ওয়ার্ড আসছিলোই না,,,আর উনার টাওয়ালটা দেখে গোসল ওয়ার্ডটাই ফট করে বেরিয়ে গেলো।।।এরপর শুভ্র ভাইয়া ওনাদের কিছু বুঝিয়েছিলেন,,,কি বুঝিয়েছিলেন তা আমি এখনও জানতে পারি নি,,,,তারপর থেকেই সবাই এই বিষয়টা নিয়ে মজা নেয় আর হুহা করে হাসাহাসি করে।।।


দাদীর কথায় বাস্তবে ফিরে এলাম,,,

ওইতো আমার দাদুভাই চলে এসেছে,,,কি গো দাদুভাই মুখটা এমন করে রেখেছো কেন??আদর কম হয়েছে নাকি??(মুখ টিপে হেসে)

ইশশশ,,,এবার আমার লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো।।দাদীটাও না,,,কি দরকার ছিলো এভাবে লজ্জায় ফেলার??এবার আমি আড়চোখে ওনার দিকে তাকালাম,,,উনার রিয়েকশনটা দেখতে চাচ্ছি।।কিন্তু আমাকে ব্যর্থ হতে হলো,,,উনার মুখে রাগ বা লজ্জা কিছুই খোঁজে পাচ্ছিলাম না।।।দাদীকে কিছু না বলে চুপচাপ পাঁচ মিনিটের মধ্যে খেয়ে উঠে গেলেন।।।আমি ব্যাপারটা নিতে পারছিলাম না।।আমার ধারনা মতো এই মুহূর্তে উনার আমার প্রতি প্রচুর রেগে থাকার কথা,,,কিন্তু এখানে তো কাহিনীই উল্টায় গেছে।।।শাস্তি পেতে হবে না ভেবে আমার খুশি হওয়ার কথা কিন্তু এই মুহূর্তে আমি খুশি হতে পারছি না,,,একটা খটকা রয়ে যাচ্ছে।।।এরমধ্যে মামু বলে উঠলেন,,,

রোদ মা??কাল কিন্তু তোমাদের বাড়ি যাওয়ার কথা,, সব গুছিয়ে নিও।।।শুভ্রকে আমি বলে দিবো।।অভ্র-রুহি,, তোমরাও তৈরি হয়ে নিও,,,

আমরা,সবাই সম্মতি জানাতেই মামু লেপটপটা হাতে নিয়ে অফিসে চলে গেলেন।।।সারাটা দিন আপু আর মামানিকে কাজে হেল্প আর দাদীর সাথে দুষ্টামি করে কেটে গেলো,,,কিন্তু অবচেতন মন শুধু একটা কথায়,ভাবছে,,,,এই ব্যাটার মাথায় চলছে টা কি??এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র তো উনি নন।।।রাতে আরেকটু জ্বালিয়ে বাজিয়ে দেখতে হবে,, ব্যাপারটা কি।।


রাত প্রায় ১২ টা বাজতে চললো উনার কোনো খোঁজ নেই।।সেই সকালে বেরিয়েছিলেন আর ফিরেননি।।।এবার বেশ দুশ্চিন্তা হচ্ছে,,,,উনার নাম্বার আমার কাছে আছে,,,কিন্তু আমার পক্ষে উনাকে ফোন দেওয়া পসিবল নয়,,ফার্স্টলি উনি আমার ফোন পিক করবেন না এন্ড সেকেন্ডলি উনাকে ফোন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।।।ইউ অল নো,,,ইগু ইজ আ বিগ ম্যাটার।।।ঠিক ১২ঃ৩০ মিনিটে উনি বাসায় ফিরলেন,,এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন।।উনাকে বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছে।।আমার খুব ইচ্ছা করছিলো উনার সাথে কথা বলি,,কিন্তু উনার সাথে কথা বলার মতো কোনো টপিকই আমাদের মধ্যে নেই,,কি বলা যায় ভাবছি,,,

এই যে মিস্টার??

ইচ্ছা করেই কাঁচা ঘুমটা ভাঙলাম যেনো রেগে যায়,,কিন্তু উনি আমার ইচ্ছায় এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে,, ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,কিছু বলবা??

উনার কথাটা স্বাভাবিক হলেও তার সেই অতি স্বাভাবিক কথাটা আমার কাছে অতি অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে।।।আমি উনার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,,

কি ব্যাপার??আপনি এখানে শুয়েছেন কেন??

তো কই শুবো?

তা আমি কি জানি??আমি এখন ঘুমাবো,,আর আমি আপনার সাথে এক বিছানায় কিছুতেই শোবে না,, সো ইউ কেন গো নাও।।

অনেকটা ঝাঁঝালো কন্ঠেই বললাম,,,কিন্তু এবারও রাগ না করে ,, কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে একটা বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লেন।।।এবার আমি অবাকের চরম সীমাই পৌঁছে গেলাম।।হচ্ছে টা কি এসব??উনি কি করতে চাইছেন??চুপিচুপি আমাকে মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার প্লেন করছেন না তো??হায় আল্লাহ,, কি হবে এখন??সেদিন রাতে ঘুমেরা আর চোখে ধরা দিলো না,,,সকাল সকাল উঠে নামায পড়ে নিলাম,,,উনি বাচ্চাদের মতো ঘুমোচ্ছেন,,খুব নিষ্পাপ লাগছে দেখতে কিন্তু মুখে একটা ক্লান্তির ছাপ।।।আচ্ছা উনার কিছু হয়েছে কি??হঠাৎ এমন পরিবর্তন কি আদৌ মেনে নেওয়া যায়??


ব্রেকফাস্ট করেই বেরিয়ে পড়লাম আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে।। খুবই ভালো লাগছে,, বাবা-মার সাথে পুরো একটা দিন থাকবো ভাবতেই নাচতে ইচ্ছা করছে,,,,আবার, পুষে রাখা অভিমানটাও চাড়া দিয়ে উঠছে বার বার।।উনি পুরো রাস্তা নির্বাক ছিলেন,,, গম্ভীর মুখে গাড়ী ড্রাইভ করে গেছেন শুধু,,,উনার এমন ব্যবহার আমায় বড্ড ভাবাচ্ছে।।বাইরের দৃশ্য আর পিছনের ছিটে বসে থাকা আপু আর ভাইয়ার খুনসুটি ঝগড়া ইনজয় করতে করতেই বাড়ি পৌঁছে গেছি।।।বাড়ি এসে বাবা-মাকে ভালোমন্দ জিগ্যেস করা ছাড়া আর একটা কথাও বলেননি উনি।।সকাল থেকে ই চুপচাপ বসে আছেন রুমে।।।দুপুরে কোনোরকম খেয়ে আবার রুমে চলে গেছেন।।।সবাই ড্রয়িংরুমে আড্ডা দিচ্ছিলো কিন্তু আমার মন পড়ে আছে উনার কাছে।।আচ্ছা উনার সাথে কি আমার কথা বলা উচিত???আর কিছু না ভেবে চলে গেলাম রুমে।।উনি কপালে হাত রেখে বিছানায় শুয়ে ছিলেন।।।কোনোরকম বনিতা না করে বলে উঠলাম,,,

এই যে শুনছেন??

হুমম (চোখ মেলে তাকিয়ে) কিছু বলবে?

আপনি কি ঠিক আছেন?? মানে,,বলছিলাম যে,,আপনাকে মোটেও ঠিক লাগছে না,,,কোনো সমস্যা হচ্ছে আপনার??চাইলে আমাকে বলতে পারেন(এক নিশ্বাসে বলে গেলাম)

রোদ,,,

উনার ডাকে আমি কেঁপে উঠলাম।।। এতো নরম আর করুন সুরে কেউ আমায় ডাকে নি এর আগে।।উনার কন্ঠটাই যেনো হাজারো আকুতি মিশে আছে,,,

রোদ,,,আমার সাথে একটু বাইরে কোথাও যাবে প্লিজজ???

#চলবে

(উইথআউট পারমিশন কেউ গল্প কপি করবেন না প্লিজ।।কি আশ্চর্যের ব্যাপার,,আমার গল্পগুলো কপি পোষ্টেই বেশি রেসপন্স পায়,,,ইট হার্ট’স মি😔😔)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here