মেঘবতী_কন্যা পর্ব ২২

0
1096

#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ২২
#সুমাইয়া আক্তার মিম

‘স্যার আগামীকাল একটি ড্রাগস ডিলার গ্ৰুপ আমাদের শহরে ড্রাগস প্রাচার করার ইনফর্মেশন পাওয়া গিয়েছে। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এখনি আমাদের কাজ শুরু করে দিবো।’

দুজন গার্ড কথাগুলো বলে মাথা নিচু করে নিলো।বারিশ ভ্রু স্পর্শ করে বাঁকা হেসে বললো,

‘শহরে কিছু নর্দমার কীট পতঙ্গ জম্ম নিয়েছে‌। তল্লাশি লাগাও এর মূল কীট কোথা থেকে এসেছে,এই শহরে ড্রাগস ব্যবসা করার মতো দুঃসাহস কে করেছে। খুব সাহস উদয় হয়েছে,বারিশ খানের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাঁরই শহরে এতো কোটি টাকার ড্রাগস ডিল করার মতো।’

বারিশের কথা শুনে গার্ড ভিত গলায় বললো,

‘আগামীকাল, রাতের দিকে এই কাজটি করা হবে। আমাদের লোকজন সম্পূর্ণ এরিয়াতে ছড়িয়ে রয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি রয়েছে কিন্তু সব ডিলার অন্য দেশের মূলতঃ এই দেশটি চিহ্নিত করা হয়েছে শুধু মাত্র ডিলের জন্য আর কিছু অপকর্ম সম্পূর্ণ করার জন্য। নেটওয়ার্ক খুব বড়, কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে ঘুরে নিজেদের কাজের পরিনতি দেওয়া। ঘরে ঘরে খুব সহজে ড্রাগস পৌঁছে দিচ্ছে নিজেদের পরিচয় হাইট রেখে।’

খুব ভয়ের সাথে কথাগুলো বলে থামলেন।গার্ডের কথা শুনে উচ্চ স্বরে হেসে দিলো বারিশ। মিনিটে দাঁত কিরমির করে হিসহিসিয়ে বলে উঠলো,

‘খুব ভুল করেছে,না জেনে না বুঝে বাঘের এরিয়াতে পা রেখে। মেহমানদের খুব যত্ন করে খাতির দারি করবে যাতে কোনো কমতি না হয়।একটু এদিক সেদিক হলে তোমাদের কারোর নিস্তার নেই।গট ইট!’

সকলে ভয়ে মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো।বারিশ বাঁকা হেসে নিজের গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে বের হয়ে নিজের কেবিনের উদ্দেশ্য পা বাড়ালো।

প্রতিটি অন্যায় কাজের শাস্তি খুব নিখুঁত ভাবে দেয় বারিশ। শুধু নিউ ইয়র্ক নয় বিভিন্ন জায়গায় কোণায় কোণায় এমন কীট পতঙ্গ আছে যারা চারিদিকে নিজেদের নোংরা বিচ ছড়িয়ে পৃথিবীকে করছে নোংরা। তাদের খুব নিখুঁত ভাবে শাস্তি দেয় বেঁচে ফিরলে কখনো দ্বিতীয় বার এসব কাজে নিজেকে জড়ানোর মতো দুঃসাহস করবে না। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।বারিশের শহরে এসব করার দুঃসাহস কারোর নেই যারা করেছে স্বয়ং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে ।সবাই বারিশকে খুব ভালো করে চিনেন। একজন পুপলার বিজনেস আইকন হওয়ার পাশাপাশি সে সকলের আইডল।তাঁর কাজের মাধ্যমে সকলের ক্রাশ আইকন এর পাশাপাশি খুব খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রথমে নিজ ভাষায় শাস্তি দিবে পরবর্তীতে আইনের আওতায় তোলে দিবে অন্যায়কারিকে ।আইনের আওতায় দেওয়া অনেকটা বলা যায়, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে আইসিইউতে রাখার মতো।বেশিরভাগ অন্যায় কারির জঘন্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে খুব নিষ্ঠুর এবং কঠোর ভাবে। পরবর্তীতে কেউ দুঃসাহস করবে না খারাপ কাজ করার জন্য। কখনো বারিশ নিজ হাত ময়লা করেনি কাউকে মেরে, কারন সে যে ওয়াদাবদ্ধ তাঁর রূপজানের কাছে।

.
একজন গার্ড দরজা খোলে দিতে বারিশ ঘড়ি দেখতে দেখতে রুমে প্রবেশ করলো।বড্ড লেইট হয়ে গিয়েছে,সেই কখন গিয়েছে। রুমে প্রবেশ করতে চোখ গেলো সোফায় বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টিয়ে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকা তাঁর রূপজানের দিকে। তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছে মেয়েটা।বারিশ মৃদু হেসে রূপের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।কী অপরূপ মায়াবতী! নিজের মায়া দিয়ে তিলে তিলে গ্ৰাস করছে তাকে।বারিশের ভালোবাসার তিব্র আগুন যদি একটু আঁচ করেছে তো একদম নুইয়ে যাবে মেয়েটা। আলতো হাতে কপালে আঁচড়ে পড়া চুল গুলো পেছনে গুজে দিয়ে একমনে তাকিয়ে রইলো। কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে গায়ের জ্যাকেটটি প্রেয়সীর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে পুনরায় গালে চুমু খেয়ে কোলে তুলে নিলো। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে মনে মনে বলে উঠলো,

‘এই সবকিছু শুধুমাত্র তোমারই জন্য রূপজান। আর কতোদিন অপেক্ষা করাবে আমাকে।তোমার জন্য একটু একটু করে সফলতার বিশাল তাজমহল তৈরি করেছি ।শুধু মাত্র তোমার জন্য। যতো সফলতা,নাম,খ্যাতি, বিজনেস সব তোমার জন্য। তুমি চাইতে বলে সম্পূর্ণ বিশ্বে সকলের কাছে আরো একটি নাম তৈরি করেছি মি.সুপার হিরো। হুম তোমার লিখে রাখা গল্পের সুপার হিরো যাকে কল্পনা করে প্রতিটি লিখায় প্রাণ দিয়েছিলে তুমি।তোমার মতো করে নিজেকে তৈরি করেছি। সুপার হিরো কখনো সুপার ভিলেন হয় না তাইতো কখনো নিজ হাত ময়লা করেনি।এই হাত শুধু বারিশের রূপজানকে ভালোবাসবে।এই হাত কী নোংরা হতে পারে!নোপ।’

বারিশের বুকের সাথে লেপ্টে রূপ ঘুমিয়ে আছে।এসব কোনো কথা তাঁর কানে পৌঁছাচ্ছে না।বারিশ মৃদু হেসে মুখটা রূপের খুব নিকটে আনিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো,

‘কী মনে করেছিলে আমি কিছু জানি না। উহুম,তোমার লুকিয়ে লিখে রাখা সম্পূর্ণ গল্প আকারে তোমার রাখা কথা, পছন্দ, অপছন্দ,আমাকে নিয়ে সৃষ্টি হওয়া অনুভূতি সব আমার জানা রয়েছে মেরি জান। শুধু মাত্র তোমার মুখে প্রকাশ্য বাকি। আমি তোমাকে ফোর্স করবো না কারণ আমি জানি দিন শেষে তুমি আমার এবং তা নিজ থেকে ছুটে আসবে তুমি আমার কাছে।’

বারিশ কথা গুলো বলে বাঁকা হেসে বাড়ির পথে পা বাড়ালো।বারিশ এক রহস্যের নাম। খুব জটিলের মাঝে অদ্ভুত সুন্দর এক রহস্য মানব।এই রহস্যের বেড়াজাল কারোর জানা নেই।এই রহস্য উন্মোচন হবে শুধুমাত্র ভালোবাসায় তৃপ্ত হয়ে। তাঁর মনে কী চলছে তা সকলের অজানা। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

_
পরেরদিন সকাল বেলা ব্রেকফাস্ট সেরে রুমে গাল ফুলিয়ে বসে আছে রূপ। আজকে এতোটা দিন হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত এখানকার কোথাও ঠিক ভাবে ঘুরে দেখেনি সে। কয়েকবার বের হয়েছে শুধুমাত্র শপিং,ডিনার আর হালকা ঘোরাফেরা ব্যাস এতো টুকু।বারিশ তাকে সবসময় সময় দেয় এখানে সেখানে ঘুরিয়ে আনিয়েছে তবুও এমন একঘেয়েমি ভালো লাগছে না তাঁর। আজকে তাঁর মনে অনেক ঘোরা ঘোরা ফিল হচ্ছে।তাই সে ভেবে নিয়েছে আজ সারাদিন সে ঘুরবে। প্রতিদিন বারিশের সাথে অফিসে বসে থাকতে ভালো লাগে না,হয় ভার্সিটি নয়তো বাড়িতে নয়তো বারিশের অফিসে। এটা জেনো তাঁর জীবনের রুটিন হয়ে গিয়েছে।বাড়িতে সকলের সাথে বেশ কাটছে তাঁর দিন হাঁসি আনন্দে। সাথে রয়েছে বারিশের ভিন্ন রোমান্টিক টর্চার এবং পড়া নামক প্যারা তো রয়েছেই। তবুও খুব ভালো লাগে সবকিছু, আজকাল জেনো ভালোলাগা জিনসটা তরতর করে বেড়ে চলছে তাঁর জীবনে।বাড়ি থেকে অফিসে আজকাল বেশি সময় বারিশের সাথে পার করতে হয় তাকে। যেহেতু ক্লাস কম, তাই তাকে বারিশের সাথে অফিসে কাটাতে হয়। রূপের কাছে মনে হয় রোজ রোজ এমন অফিসে বসে থাকার চেয়ে ভালো হতো ভার্সিটি কমপ্লিট না করে অফিসে আসা যাওয়ার চাকরি নিয়ে নিলে।কিছু বললে বারিশের একটি উক্তি চলবে, তোমার থেকে এক মিনিট দূরত্ব আমার একদম সহ্য হয় না। অধৈর্য কোলবালিশ।

আজকে বারিশের অফিসে ইমপ্যটেন্ট মিটিং রয়েছে, এখন কী সে বলবে যে আমার কেমন ঘোরা ঘোরা ফিল হচ্ছে চলুন আজ অফিসে না গিয়ে ঘুরতে যাই। কিন্তু বললো না,বারিশ অফিসের জন্য ফর্মাল লুকে ঘুরে ঘুরে রেডি হচ্ছে। কয়েকবার ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করল রূপের কিছু লাগবে কিনা।প্রতিবারই রূপ মাথা নাড়িয়ে না বললো।বারিশ রেডি হয়ে রূপকে রেডি হয়ে নিতে বললো। আজকেও কি তাকে অফিসে নিয়ে সং সাজিয়ে বসিয়ে রাখবে! দূর ভালো লাগে না।জীবনটা শুকনো বাঁশ পাতার থেকেও জঘন্য নিরামিষ করে দিয়েছে।মুখ কালো করে রেডি হতে চলে গেলো রূপ।বারিশ রূপের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে টেবিলের উপর থেকে মোবাইল নিয়ে তাঁর পিএ রোহানকে কল করলো,

‘আজকে আফ্রিকার ডিল সাইন হচ্ছে না। সকলকে আগামীকাল আজকের টাইম দিয়ে দিবে। কোনো রকম হেরফের হলে ডিল ক্যানসেল জানিয়ে দিবে।’

অপর পাশ থেকে রোহান বলে উঠলো,

‘ওকে স্যার ওনারা চলে এসেছে আমি জানিয়ে দিচ্ছি বিষয়টি। ওনারা ডিলটি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। আপনার একটি ডিলের জন্য যতো অপেক্ষা করার প্রয়োজন করবে শুধু মাত্র ডিলটি চাইছে।’

রোহানের কথা শুনে বারিশ বাঁকা হেসে বলে উঠলো,

‘বারিশ খানের সাথে একটি ডিল করতে হলে অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়। অপেক্ষাকৃত ব্যাক্তি আমার খুব পছন্দ। অধৈর্য ব্যক্তি কাজে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না।আর আজকের রাতের কাজটি সম্পূর্ণ চাই কোনো জেনো ভুল না হয়।প্রতিটি আপডেট সময় মতো দিতে থাকবে।’

রোহানের কথার অপেক্ষা না করেই কলটি গট করে কেটে দিলো বারিশ। রোহান মনে মনে নিজের স্যারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।

_
কথা শেষ করে পেছনে তাকাতে দেখতে পেলো রূপ মিররের সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিজেকে দেখছে। সাদা রঙের লং গ্ৰাউনে অসাধারণ লাগছে রূপকে।বারিশ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। রূপের সামনে গিয়ে এক টানে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কোমড় জড়িয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো,

‘অসাধারন লাগছে পরীজান, পুরাই নেশালো।এতো করে বারবার মিরর দেখতে হবে না। মিররের নজর লেগে যাবে। আমি চাই না আমি ছাড়া কেউ তোমাকে নজর দিক।’

বারিশের কথা শুনে রূপ লজ্জায় লজ্জাবতী গাছের পাতার মতো নুইয়ে পড়ে। মিনমিন করে বলে উঠলো,

‘মিরর কীভাবে নজর দেয় তাঁর কী প্রাণ আছে !’

বারিশ নিচু হয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,

‘আছে তো!এই যে হা করে তোমাকে দেখছে।নজর দিচ্ছে।এটা ঠিক না মেরি জান’

বারিশের ফিসফিসানো কথা শুনে কেঁপে উঠলো রূপ। কিছু একটা ভেবে বড় বড় চোখ করে বলে উঠলো,

‘হুম তো! দাদীজান বলেছে আয়ানাতে জীন-ভূত থাক।এরা নাকি সুন্দরী মেয়েদের সৌন্দর্য গায়েব করে দেয়। দেখুন তো আমি কী অসুন্দর হয়ে গিয়েছি কিনা!ইশ্ এইজন্য আম্মি বারবার বলে রূপ বেশি বেশি আয়না দেখবে না।’

রূপের ভ্রু কুঁচকে নাক ফুলিয়ে বাচ্চাদের মতো কথা শুনে আনমনে হেসে দিলো বারিশ। রূপের নাক টেনে বললো,

‘উহু আমার রূপজানের উপর শুধু আমার নজরদারি চলবে আর কারোর না।’

বারিশের কথা শুনে রূপ মাথা নিচু করে হেসে দিলো।বারিশ আগের মতো রূপের কোমড় জড়িয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। কিছুক্ষণ পর রূপ মিনমিনে বলে উঠলো,

‘এই শুনছে!’

বারিশ আগের মতো স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো,

‘তোমার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে,লং ড্রাইভে যাবে। তাইতো !এটাই বলবে।এখন আমরা ঘুরতে বের হবো।রাতের ডিনার শেষে বাড়িতে ব্যাক করবো।হ্যাপি।’

বারিশের কথা শুনে রূপ উত্তেজিত হয়ে চোখ বড় বড় করে বলে উঠলো,

‘আপনি কী করে বুঝলেন আজকে আমার খুব ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে।’

রূপের উৎফুল্ল গলার কথা শুনে বারিশ রূপের নাকের সাথে নাক ঘষে আলতো করে কপালে চুমু খেয়ে বললো,

‘খুব বেশি ভালোবাসি তাই।’

বারিশের কথা শুনে রূপ লজ্জায় মাথা নিচু করে হেসে দিলো।বারিশ রূপের লজ্জা মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রূপের কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো,

‘সো যাওয়া যাক।’

‘আপনার ইমপ্যটেন্ট মিটিং!’

বারিশ রূপের কানের পিছনে চুল গুজে দিয়ে শান্ত গলায় বললো,

‘তোমার থেকে বেশি ইমপ্যটেন্ট কিছু নেই।’

রূপ পুনরায় আর কিছু বললো না। মনে মনে খুশিতে গদগদ হয়ে অতঃপর দুজনে মিলে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।


অন্যদিকে;;ছায়ান সিত্তিস আজ ভীষণ খুশ মেজাজে রয়েছে। আজকে তাঁর ইন্টারন্যাশনাল খেলার সেমি ফাইনাল ছিল, নির্দ্বিধায় সে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। আজকে বিরোধী পক্ষের খুব জোর মেরেছে, বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। বুকের বাম সাইটের হাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পায়ের অবস্থাও খুব নাজেহাল। এমন ভয়ংকর মা’র দেখে উপস্থিত সকলের অবস্থা ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।নিজের হোটেল রুমে প্রবেশ করতে মি.রিপন এসে বলে উঠলো,

‘বস সব তৈরি। আপনি একবার দেখে নিন।’

ছায়ান সিগারেটে ফুক দিয়ে সোফায় রাখা বড় বড় খুলে রাখা বাক্স গুলোর ভেতরের জিনিসগুলোতে হাত বুলিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে উঠলো,

‘আহ্ অপেক্ষা!এই অপেক্ষা জিনিসটা আমার পছন্দ না।খুবই অধৈর্য ব্যক্তি আমি অপেক্ষা করা মোটেও ভালো লাগে না।ডিলারদের আগাম পৌঁছে থাকতে বলবে। আমার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হবে। উফ্!’

একটা ড্রাগসের প্যাকেট ছিরে নাকের কাছে নিয়ে পাগলের মতো শুঁকতে লাগলো।মি.রিপন শুকনো ঢোক গিলে সেখান থেকে কেটে পরলো। টাকার নেশায় মানুষকে কতোটা কুৎসিত বানিয়ে তোলে এই ছায়ান সিত্তিস তাঁর পরিষ্কার প্রমান ।টাকা পৃথিবীতে আছে বলে লালসা ভরা শুকুরের উৎপত্তি বেশি। টাকার নেশায় মানুষ মানুষকে ভুলতে বসে, হিংস্র হায়েনার ন্যায় ঘায়েল করে।

.
আজকের রাতে খুব ভয়ংকর কিছু ঘটতে চলেছে যা মোড় নিবে নতুন কোনো গল্পে। শুরু হবে হাজারো হিংস্রতার রেষারেষি। তৈরি হবে এক নতুন রহস্যের গোলক ধাঁধা। ভালোবাসা অদ্ভুত এক জিনিস,যা জম্ম দেয় নতুন সূচনা আবার জম্ম দেয় এক কঠিন হিংস্রতা।

#চলবে,,,❣️
[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মিম✵]
❌কার্টেসী ছাড়া কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌
[আজকের পর্ব পড়ে আবার কেউ বারিশকে মাফিয়া টাফিয়া মনে করবেন না। এটা মাফিয়া গল্প নয়। এখানে নায়েকের চরিত্রে বারিশের চরিএটা কিছুটা রহস্যময় হবে। আমি প্রথমে বলেছি গল্পটি কিছুটা থ্রিলার কিছুটা মিস্ট্রি আর খুব রোমান্টিক একটি থিম নিয়ে লিখছি।মিস্ট্র থ্রিলার গল্পের সৌন্দর্য বাড়ায়।শুধুমাত্র সাধারণের মাঝে অসাধারণ করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা। গল্পটা গভীর ভাবে অনুভব করে পরলে রহস্য বোঝা খুবই সহজ। আস্তে আস্তে গল্পে বারিশের চরিত্র আপনাদের রহস্য মনে হবে।তাই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ রইল ধন্যবাদ। আজকের পর্বটা সম্পর্কে দুই লাইন গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি আপনাদের কাছে। সকলে গঠন মূলক মন্তব্য করবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here