#বর্ষণের সেই রাতে পর্ব- ১৫
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
.
ফোনটা আবারো কানে নিলো আদ্রিয়ান। অনিমার নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে আদ্রিয়ান, কেমন একটা ঘোর কাজ করছে ওর মধ্যে ফোনটা রাখতে ইচ্ছে করছেনা। ব্যালকনির দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলো ও, মন দিয়ে অনিমার প্রতিটা নিঃশ্বাসের প্রতিটা প্রশ্বাসের শব্দ শুনছে, অদ্ভুত এক প্রশান্তি হচ্ছে ওর। আদ্রিয়ান ঠিক করেই নিয়েছে আজ অনিমার নিশ্বাসের শব্দ শুনেই রাতটা কাটিয়ে দেবে। তাই কানে ফোন নিয়ে চোখ বন্ধ একমনে শুনেই চলেছে, কিন্তু মাঝরাতে অনিমার গলার স্বর পেয়েই চমকে চোখ খুললো। ভালোভাবে শোনার চেষ্টা করেই বুঝতে পারলো ঘুমের ঘোরেই কথা বলছে অনিমা। মেয়েটা ঘুমের মধ্যেও কথা বলে? আবারো হেসে দিলো আদ্রিয়ান, ও আসলেই একটা বাচ্চা। কী বলছে সেটা একটু মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করলো, ভালোভাবে কান পেতে থাকার পর কিছু কিছু কথা কানে গেলো ওর। আর সেই কথাগুলো শুনে অাদ্রিয়ান স্তব্ধ হয়ে গেলো। চোখ দুটো আবারো ছলছল করে উঠলো। হাত মুঠো করে ওয়ালে জোরে পাঞ্চ করলো। ও ভাবতেও পারছেনা মানুষ এতো নিচ কীকরে হয়? এতোটাই অত্যাচার করতো মেয়েটাকে যে ঘুমের মধ্যেও সেগুলো ওর পিছু ছাড়ে না। নিজের ওপর ভীষণ রাগ হচ্ছে ওর ওকে খুজে পেতে এতো দেরী কেনো করলো ও? কেনো?
__________
সকালে ঘুম থেকে উঠে সময় দেখতে ফোনটা হাতে নিয়েই চমকে গেলো অনিমা। আদ্রিয়ান লাইনে? সিট! ও কালকে কথার মাঝেই ঘুমিয়ে পরেছিলো । তাড়াতাড়ি আধশোয়া হয়ে ফোনটা কানে দিয়ে বলল
—- ” হ্যালো?”
অাদ্রিয়ান এখনো ব্যালকনির দেয়ালে হেলান দিয়েই বসে আছে। অনিমার গলার আওয়াজ পেয়েই খানিক চমকে উঠলো তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
—- “ওহ। মহারানীর ঘুম ভাঙলো?”
অনিমা অবাক হয়ে উঠে বসে মুখের সামনে থেকে চুল সরিয়ে বলল
—- ” আপনি সারারাত লাইনে ছিলেন?”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল
—- ” কী করবো? তুমি কথা শেষ না করেই ঘুমিয়ে পরলে, আর কাউকে বাই না বলে ফোন কাটার মতো ব্যাড ম্যানার্স আমার নেই।”
—- “তাই বলে সারারাত জেগে থাকবেন?”
—- ” কী করব বাই বলা হয়নি তো।”
অনিমা হেসে দিয়ে খাটে হেলান দিয়ে বলল
—- ” পাগল আপনি? ”
আদ্রিয়ান উঠে দাড়িয়ে রুমে যেতে যেতে বলো
—- “তেরে ইস্কমে পাগাল হোনা তো কেয়া মারভি লুঙগি। ”
অনিমা ভ্রু কুচকে বললো
—- ” মানে?”
—- ” নাথিং। যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। অফিস যাবে তো।”
অনিমা বাচ্চা কন্ঠে একটু টেনে বললো
—- ” আজ ফ্রাইডে।”
আদ্রিয়ান মাথা চুলকে বলল
—- ” ইয়ে আসলে ভূলে গেছিলাম।”
—- ” তো রাখি?”
আদ্রিয়ান কিছু একটা ভেবে বলল
—- ” আব্ বলছিলাম আজ বিকেলে বেড়োবে?”
অনিমা ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল
—- “কেনো?”
—- ” এমনি, ফ্রি টাইমে ঘরে বসে বোর হওয়ার কী প্রয়োজন?”
অনিমাও আদ্রিয়ানের তালে তাল দিয়ে বলল
—- ” না কোনো প্রয়োজন নেই।”
অনিমার কথায় আদ্রিয়ান হেসে দিয়ে বললো
—- “ওকে দেন বিকেলে পিক করতে আসছি আমি?”
—- “হুম।”
—- ” ওকে নাও বাই, ব্যালেন্স যেকোনো মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে, সারারাত লাইনে ছিলাম।”
অনিমা মুচকি হেসে বলল
—- ” বাই।”
আদ্রিয়ান ফোনটা রাখতেই অনিমা হেসে দিলো। লোকটা অদ্ভুত হঠাৎ করেই ওর জীবণে এসে ওর জীবণের একটা অভিন্ন অংশ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আদ্রিয়ানকে নিজের জীবণে ধরে রাখতে পারবেতো ওও? ওর সব কাছের মানুষগুলোই তো ওকে ছেড়ে চলে যায়, যদি আদ্রিয়ানও ওকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে? আদ্রিয়ানের মায়ায় এভাবে নিজেকে জরিয়ে ঠিক করছে তো?
আর আদ্রিয়ান ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়েই মুচকি হেসে ভাবল। আমি জানি তোমার মনে কি চলছে, ভয় পেয়োনা অামি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবোনা, কোথাও না। ইন এভরি সিচিউশন, আই এম এন্ড আই উইল বি দেয়ার টু প্রটেক্ট ইউ জানপাখি।
আবারো ফোন বেজে উঠল আদ্রিয়ানের অভ্রর ফোন। রিসিভ করার পর অভ্র জানালো ওকে কয়েক মাসের জন্যে লন্ডন যেতে হবে এবং সেটা জরুরি। আদ্রিয়ান পারমিশন দিলেও ওর মুড অফ হয়ে গেলো, অভ্র ওর পিএ হলেও ওকে নিজের ভাইয়ের মতোই স্নেহ করে আদ্রিয়ান আর অভ্রও ওকে বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা করে।
____________
অরু সবে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়েছে। এরমধ্যেই ফোন বেজে উঠলো, ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে প্রতিবারের মতো এবার আর বিরক্ত হলো না অরু, কারণ এই ফোন ওর অভ্যেস হয়ে গেছে। তবুও ফোনটা রিসিভ করে বিরক্তির কন্ঠে বলল
—- “কী সমস্যা বলুনতো আপনার?”
আসিশ হেসে দিলো অরুমিতার কথা শুনে। মেয়েটাকে জ্বালিয়ে খুব বেশিই মজা পায় ও। হাসি থামিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল
—- ” আমার আবার কী সমস্যা হবে? কোনো সমস্যা নেই তো। কিন্তু আমি কল করলে তোমার এতো সমস্যা কেনো হয় সেটাইতো বুঝতে পারছি না।”
—- ” উফফ আপনাকে কিছু বলাই বেকার।”
—- ” বলোনা। শুধু আমার কথাগুলো শুনতে থাকো তাহলেই হবে।”
অরুমিতা বেশ বিরক্ত হয়ে বললো
—- ” অসহ্য।”
আশিস হেসে বলল
—- ” যাক আমার জন্যে কিছুতো ফিল করো সেটা অসহ্যই হোক।”
অরুমিতার রাগে এখন নিজের চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করছে। তাই বিরক্ত হয়ে ফোনটা রেখে আশিসের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে লাগল। কিন্তু ছেলেটা যেমনই হোক কথা বেশ ভালোই বলে, ভেবেই মুচকি হাসলো ও। পরোক্ষণেই নিজেকেই নিজে বকতে লাগল। কী ভাবছে ও? পাগল টাগল হয়ে গেলো নাকি ও? এসব চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের কাজে মন দিলো ।
ওদিকে অরু ফোনটা কাটতেই হাসতে শুরু করো আশিস। হাসির মাঝেই ওর ফোন এলো ওর ফোনের স্ক্রিণে GF-32 লেখা। বুঝলো ওর বত্রিশ নম্বর গার্লফ্রেন্ড, কিন্তু ওর বত্রিশ নম্বর গার্লফ্রেন্ডের নামটাও তো ওর মনে নেই । কিছুক্ষণ ভেবে রিসিভ করলো ফোনটা। ওপাশ থেকে বলল
—- ” হ্যালো বেবি এতো লেইট করলে কেনো?”
উফফ শুরু হয়ে গেছে নেকিরানীদের নেকমী এসব ভেবে আশিস কন্ঠটা নরম করে বলল
—- ” সরি বেবি ওয়াসরুমে ছিলাম।”
মেয়েটা নেকা কন্ঠে বলল
—- ” তাই বলে ফোন ধরতে এত্তো লেট করবে?”
আশিসের মেজাজ বেশ খারাপ হলো, এতো নেকামো শুধু মেয়েদের পক্ষেই করা সম্ভব। নিজেকে সামলে বলল
—- ” আচ্ছা বেবি এরপর থেকে ওয়াসরুমেও ফোন নিয়ে যাবো ওকে?”
মেয়েটি খুশিতে গদগদ হয়ে বলল
—- ” ওয়াও হাউ সুইট ইউ আর।”
—- “বাই দা ওয়ে তুমি কোন বেবি জেনো?”
—- ” হোয়াট আশু? ভূলে গেলে আমি লোপা।”
লোপা? এটা আবার কে? উফফ এতোজনের নাম চেহারা মনে রাখা যায়? তবুও আশিস একটু হাসার চেষ্টা করে বলল
—- ” না না ভূলবো কেনো? অাসলে তোমার রিয়াকশন কেমন হয় সেটা জানার জন্যে মজা করছিলাম।”
—- ” অঅঅ হাউ কিউট।”
—- ” ইয়াপ।”
এগুলো আশিসের কাছে বিশেষ কিছু না এটা ওর রেগুলার রুটিন। তাই প্রতিদিনের মতো নিজের সো কলড গার্লফ্রেন্ডেসদের সাথে কথা বলতে ব্যাস্ত হয়ে পরল ও।
____________
সন্ধ্যা হয়ে গেছ, সূর্যমামা বেশ কিছুক্ষণ আগেই নিজের মুখ লুকিয়ে ফেলেছে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসছে। তবে নিঃস্তব্দ নয় এই সন্ধ্যা। গ্রাম্য এলাকায় শান্ত, নিরব, আধারাস্ছন্ন মোহনীয় সন্ধ্যের দেখা পাওয়া গেলেও শহরের সন্ধ্যে হয় অন্যরকম, কোলাহল একটুও কমেনা, তবে শহরের অন্ধকারেও চারপাশের আলোকিত দোকানপাঠ আর অসংখ্য গাড়ির হেডলাইটের আলোতে চারপাশে আরেক রকমের সৌন্দর্য বিরাজ করে, সেটা যদি উচু কোনো বিল্ডিং এর ছাদ থেকে দেখা যায় তাহলেতো কোনো কথাই নেই, সেটা আজ অনিমা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে, কারণ আদ্রিয়ান ওকে নিয়ে পনেরো তলা একটা বিল্ডিং এর ছাদের কর্ণারে বসে রাতের শহরটা দেখছে। দুজনেই বেশ অনেকক্ষণ যাবত চুপ করে আছে। হঠাৎ করেই আদ্রিয়ান বলল
—- ” কী ভাবছো?”
অনিমা চারপাশটা দেখতে দেখতে বললো
—- ” কখনো রাতের শহরটা এভাবে দেখা হয়নি।”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল
—- ” তোমার ভালো লেগেছে?”
—- ” ভীষণ।”
—- ” তাহলেই হবে।”
অনিমা আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল
—- ” একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?”
আদ্রিয়ান মুখে হাসি রেখেই হালকা ভ্রু কুচকে বলল
—- “করে ফেলো।”
—- ” আপনি তো সেইরাতের পর আমার সাথে যোগাযোগ না করলেও পারতেন, হঠাৎ কী মনে করে আমার সাথে যোগাযোগ রাখার ইচ্ছে হলো?”
আদ্রিয়ান হালকা হেসে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো আর অনিমা আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে উত্তরের আশায়। আদ্রিয়ান একটা শ্বাস নিয়ে বলল
—- ” ঐ যে বললাম তোমার মায়ায় জরিয়ে
গেছি, একটা অদ্ভুত মায়াজাল, যেই জাল থেকে বেড়োনো অসম্ভব, মিস করতে শুরু করেছিলাম তোমায়। নিজেকে চেয়েও আটকাতে পারিনি।”
অনিমা অবাক হয়ে বলল
—- ” এক রাতেই এতো টান।”
আদ্রিয়ান সামনে তাকিয়ে বলল
—- ” আমি নিজেও তো জানিনা কেনো? কিন্তু বর্ষণের সেই রাতটা যে আমি চাইলেও ভূলতে পারিনা আর না পারবো”
—- ” কখনো ভূলে যাবেন নাতো আমাকে?”
আদ্রিয়ান অনিমার হাত ধরে বলল
—- ” মানুষ নিজেকে ভূলে যেতে পারে কিন্তু নিজের অস্তিত্বকে না।”
অনিমা আদ্রিয়ানের কথা না বুঝলেও এক প্রশান্তি বয়ে গেলো ওর হৃদয়ে, আলতো করে আদ্রিয়ানের কাধে মাথা দিয়ে মনে মনে ভাবছে কীকরে থাকবে এই লোকটাকে ছাড়া ও? ও তো ভীষণভাবে জরিয়ে গেছে আদ্রিয়ানের সাথে, বর্ষণের সেই রাতে ওর জীবণের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে এসেছিলো আদ্রিয়ান।
আর আদ্রিয়ান ভাবছে এতো খুজেও কোনো খোজ পাইনি তোমার। কিন্তু নিজের অজান্তেই পেয়ে গেছি তোমাকে, কীকরে ভূলবো ? তুমিতো আমার অস্তিত্ব,আমার আত্না, আমার হার্টের প্রতিটা বিট, আমার প্রতিটা নিশ্বাস। এগুলো ভূলে কোনো মানুষ বাচতে পারে?
____________
এভাবেই অনেকগুলো দিন কেটে গেলো। এরমধ্যে অনিমা সম্পূর্ণ আগের মতো হয়ে গেছে। চঞ্চলতা, দুষ্টুমি সব আবার ভর করেছে ওর ওপর। এর সম্পূর্ণ ক্রেডিট আদ্রিয়ানের ওই ওকে বিভিন্ন ভাবে খুশি রেখে, আনন্দে রেখে বদলে দিয়েছে একেবারে। তবে একবারো ওর অতীত জানতে চায়নি অনিমার কাছে, কারণ ও চায় অনিমা নিজে ওকে বলুক সব বলুক। আর অনিমাকে নিজের মনের অনুভূতির কথাও বলেনি। আর এদিকে অনিমাও ভালোবেসে ফেলেছে আদ্রিয়ানকে তবে বলতে পারেনি। কিন্তু ওদের মধ্যকার বন্ডিং এখন আরো গভীর হয়েছে, একে ওপরকে না দেখে একদিনো থাকতে পারেনা। আদ্রিয়ান অনিমাকে সবসময় বিভিন্নভাবে আনন্দে রাখে। রাতে লং ড্রাইডে নিয়ে গিয়ে, ছুটির দিনে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে, ফুচকা আইসক্রীম খাইয়ে, প্রতিদিন চকলেট গিফ্ট করে, ছোট ছোট সারপ্রাইজেস, গিফটস দিয়ে। তীব্র আর অরুমিতা মুগ্ধ হয়ে দেখে এগুলো আর সৃষ্টিকর্তার কে বারবার শুকরিয়া জানায় আদ্রিয়ানকে অনিমার জীবণে পাঠানোর জন্যে। তবে অনিমার ভয় হয় ভীষণ ভয় হয় ওরতো সুখ নামক জিনিসটা সহ্য হয়না। আবার কোনো বিপদ ঘনিয়ে আসবেনা তো ওর জীবণে?
___________
নিজের ফার্মহাউজে বসে ড্রিংক করতে করতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল রিক। বন্ধুরা চলে যেতেই কালো পোশাক পরা একটা লোক এসে বলল
—- “ভাই, মেয়েটার খোজ পেয়ে গেছি। কী করে কোথায় আছে সব।”
রিক মুখ থেকে ড্রিংকের গ্লাস নামিয়ে একটা বাকা হাসি দিলো তারপর হাত বারাতেই একটা কাগজ দিলো লোকটা ওর হাতে। কাগজটা নিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করতেই লোকটা বেরিয়ে গেলো। রিক কাগজটার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো, পরক্ষণেই মুখটা হিংস্র হয়ে গেলো, চোখ লাল হয়ে উঠল রাগে। দাতে দাত চেপে বলল
—- “এবার কোথায় পালাবে বেবি? তোমার হাইড এন্ড সিক খেলার সময় এবার শেষ। এবার এই রিক চৌধুরী তোমাকে বোঝাবে সে কতোটা ভয়ংকর। তোমার এমন হাল করবো যে রিক চৌধুরীর খাচা থেকে পালানোর চিন্তা করলেও তুমি কেপে উঠবে। বি রেডি সুইটহার্ট। আমি আসছি।”
.
#চলবে…
.
(আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই জানাবেন আর দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। আর আমাকে নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটাও বলে দিন😑 যাই হোক
হ্যাপি রিডিং😊)