#হারাতে_চাই_না_তোমায়
#পর্ব-২৫
#লেখিকাঃ_উম্মে_বুশরা
——-
৫ বছর পর
কথায় আছে সময় ও স্রোত করো জন্য অপেক্ষা করে না।সময় সময়ের নিজ গতিতে চলে।তাকে কেউ আটকাতে পারে না।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষও নিজ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।কেউ করো জন্য বসে নেই।সময়ের সাথে কিছু মানুষ অতীত ভুলে সামনে আগায় আবার কিছু মানুষ সেই অতীত আকড়ে ধরে পরে থাকে।যা হাজার ভুলতে চেয়েও পারে না।
তেমনি সবার জীবনের পালাক্রমে ৫ বছর চলে গেছে।এই ৫ বছর করো কাছে ৫ দিন তো আবার কারো কাছে ৫ যুগ।হাসি,কান্না,রাগ,অভিমান,ঝগড়া নিয়ে সবার জীবন থেকে পার হয়ে গেছে ৫ বছর।
———
রাফসান আর আয়ানের পড়াশোনা শেষে এখন নিজেদের ব্যবসা তে যোগ দিয়েছে।
তন্নি আর মারিয়া এইবার অনার্স ফাইনাল দিবে।আর
আরিশা বিদেশে পড়াশোনা আরো এক বছর আগে শেষ হয়েছে।দেশে আসবে আসবে করেও এখনে আসছে না।
———
রাফসান পড়াশোনা শেষ হয়েছে ২ বছর।এখন নিজেদের ব্যবসা সামলায়।যেহেতু ওর আর মারিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে ছিলো তাই রাফসান চেয়েছিলো আরো ১ বছর আগে বিয়ের কাজ সেরে ফেলতে।কিন্তু মারিয়া সাফ সাফ মানা করে দিয়েছে।কারণ হিসেবে বলেছে,
”’আরু যতো দিন না পর্যন্ত না আসছে ততো দিন আমি বিয়ে করবো না।””।মারিয়ার এই কথা শুনে আরিশা অনেক বার বুঝনোর চেষ্টা করেছে ওর জন্য যেনে অপেক্ষা না করে।ও কবে আসবে তার ঠিক নেই।কিন্তু মারিয়া তা মানতে নারাজ।সবাই মারিয়াকে অনেক বুঝিয়েছে কি ও কারো কথ মানে নি।তাই সবাই ওর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।আরিশাও বলেছে ও চেষ্টা করবে।
তন্নিদের এবার অনার্স ফাইনাল।এই কয়েক বছরে অনিম আর তন্নির জীবনে নতুন কিছু শুরু হয়নি।ওদের দেখলে কেউ বলতেই পারবে না ওদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।ওরা নিজেরা নিজেদের মতো চলছে।ওদের জীবনে নতুন কিছু শুরু হয়নি বললে ভুল হবে তন্নি তা করতে চায়নি।কারণ তন্নির রাগ,অভিমান এখনো কমে নি।এই ৫ বছরে অনিম অনেক চেষ্টা করেছে সব ঠিকঠাক করতে কিন্তু তন্নি কোনে সুযোগ দেয়নি।অনিম যা করেছে তার জন্য তন্নি অনিমকে ক্ষমা করবেনা।যদিও অনিম তার ভুলের জন্য অনেকবার ক্ষমা চেয়েছে।কিন্তু তন্নি মুখে কোনো রা করে নি।ওইদিনের পর থেকে কোথাও বের হতে হলে অনিমকে শুধু টেক্সট করে দেয় ও কোথায় যাচ্ছে।এছাড়া আর কোনো কথা বলে না।তন্নির রাগ,অভিমান কমতো যদি অনিম ওকে নিজের মুখে ‘ভালোবাসি’ বলতো কিন্তু অনিম তা একবারো বলেনি।যদিও অনিমের কর্মকান্ডে এই ৫ বছরে তন্নি বুজেছে যে অনিম ওকে ভালোবাসে।কিন্তু তাতে কি মুখে তো স্বীকার করেনি এখনো।তাতেই যেনো তন্নির রাগ আরো বাড়ছে।আসলে অনিমের ক্ষমা চাওয়ার কারন হলো,’ওদের এনগেজমেন্টের প্রায় ৬ মাস পর অনিম একদিন বাজারে এসেছিলো।অনিম বাজারে এসে দেখে তন্নির বাবাকে।ওনাকে দেখে অনিম এগিয়ে গিয়ে সালাম দিয়ে কেমন আছে এসব জিজ্ঞেস করছে আর আরো কিছু কথা বলছে।অনিমদের কথা বলার এক পর্যায়ে তন্নির বাবর পাশে একটা ছেলে এসে দাঁড়ালো। ছেলেটাকে দেখে অনিমের ভ্রু কুচকে এলো।ওর মন বলছে ছেলেটাকে কোথাও দেখেছে কিন্তু মনে করতে পারছে না।অনিমের ভাবনার মাঝেই তন্নির বাবা বললো এটা তন্নির ফুফাতো ভাই।নাম শাকিল।এবং জানলো তন্নিকে নাকী শাকিল নিজের বোনের মতো ভলোবাসে।অনিম আর শাকিল পরিচয় হয়ে কথা বলার পর এখন যাওয়ার সময় হয়েছে।অনিম বিদায় নিতে গেলেই তন্নির বাবা আটকায়।অনিমকে জোর করে তন্নিদের বাসায় নিয়ে যায়।অনেক বার জোর করাতে অনিমও আর বাধা দেয় নি।তন্নিদের বাসায় অনিমরা পৌঁছলে বাসায় ঢুকতেই অনিমের একটা কল আসাতে ও একটু পিছনে পরে যায়।যার ফলে বাসার ভিতরে কী হচ্ছে বুজতে পারেনি।অনিম ১ মিনিটের মাথায় কথা বলে ভিতরে ঢুকে শুনে তন্নি খুশি হয়ে ‘শাকিল ভইয়া’ বলে দৌড়ে এসে শাকিলের হাত জড়িয়ে ধরে।শাকিলও বোনকে আদরের সহিত মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।অনিম একটু পিছনে পরাতে তন্নি অনিমকে দেখতে পায়নি।অনিমও তন্নির গলার শব্দ পেয়ে হাসি মুখে সামনে তাকিয়ে দেখে তন্নি শাকিলের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।এটা দেখার পর অনিমের হাসি মুখে রাগের রক্তিম আভা ফুটে উঠলো।অনিমের ইচ্ছে করছে তন্নিকে কষে একটা থাপ্পড় মারতে।কিন্তু ও এখন কোনো ঝামেলা চায় না তাই চোখ বন্ধ করে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।অনিম চোখ বন্ধ করে রাগ নিয়ন্ত্রণে যখন এনেছে তখন ওর চোখের সামনে ভেসে উঠলো ওইদিন শপিংমলের কাহিনী।এবং সাথে সাথে চোখ মেলে শাকিলের দিকে তাকিয়ে দেখে সেই ছেলেটা।অনিম ভাবছে তাহলে এটা শাকিল ছিলো।এবং বুঝলো কী ভুল করেছিলো ওইদিন।কিন্তু তন্নিতো ওর ভুল একবারো ভাঙায় না।অনিমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তন্নির মা ভিতরে আসতে বললো।অনিম ভিতরে এলো।তন্নিও এতোক্ষন হাসি মুখে ছিলো যখন অনিমের নাম শুনলো তখন ওইদিকে তাকিয়ে দেখে অনিম দাঁড়িয়ে আছে।অনিমকে দেখে তন্নির মুখ থেকে হাসি উবে গেলো আর সাথে সাথে শাকিলের হাত ছেড়ে দিলো।তন্নিকে এমন করতে দেখে অনিমের মাঝে অপরাধ বোধ তৈরী হলো।তন্নি একবার অনিমের দিকে তাকালো।তাকিয়ে দেখে অনিম কেমন অপরাধী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।তন্নি আর দাঁড়িয়ে না থেকে রুমে চলে গেলো।তন্নিকে এভাবে যেতে দেখে সবাই অবাক হলো।আবার ভাবলো হয়তো অনিমকে দেখেছে তাই লজ্জায় ভিতরে চলে গেলো।এই বলপ সবাই হাসলো কতোক্ষ। কিন্তু অনিম জানে কেনো তন্নি এভাবে চলে গেলো।অনিমের এখন কষ্ট হচ্ছে।তন্নি আর একবারো এলো না অনিম যতোক্ষন ছিলো।অনিম অনেকবার চেষ্টা করেছিলো ওর সাথে দেখা করার কিন্তু পারেনি।শেষে হতাশ হয়ে চলে গেলো।’ সেই পর থেকে অনিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে তন্নির রাগ ভাঙ্গীয়ে ওর মনে জায়গা করার।কিন্তু তন্নি যেনো মনে করে নিয়েছে অনিমকে কোনো সুযোগ দেবে না।কিন্তু অনিমও হাল ছাড়েনি।প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে।অনিমের পরিবার একবার বলেছিলো ওদের বিয়ের কাজ সেরে নিতে কিন্তু তন্নিও বলে দিয়েছে ‘আরু না আসা পর্যন্ত ও বিয়ে করবে না’।অনিমও এই কথা শুনে কিছু বলেনি।কারণ অনিমও চায় না বোনের অনুপস্থিতিতে ওর বিয়েটা হোক।তাই তন্নিকে কেউ জোর করেনি।পড়াশোনাও শেষ হোক আরুও আসুক তখন ভাবা যাবে।
———
আয়ান এখন অন্য এক আয়ান হয়ে উঠেছে।এই আয়ানকে এখন কেউ চিনবে না।সব কিছুতেই আয়ানের পরিবর্তন এসেছে।চলাফেরা,চেহারা,দায়িত্ব সব কিছুতেই।শুধু পরিবর্তন আসে নি আরুর প্রতি ভালেবাসার।আয়ান এখন ওর বাবার অফিসের দায়িত্ব নিয়েছে।বন্ধুদের সাথে আড্ডাও এখন বাতিলের খাতায়।আগে স্টাইল করে দাড়ি রাখতো কিন্তু এখন চাপ দাড়ি রাখে।তাতে যেনো চেহারা সৌন্দর্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।এখন যে দেখবে এক দেখায় ক্রাস খাবে।কিন্তু আয়ান আগের থেকে গম্ভীর,আরো বেশি রগচটা হয়ে গেছে।কারো সাথে দরকার ছাড়া কথা বলে না।আয়ানের রাগের জন্য অফিসের সবাই ওকে ভয় পায়।কেউ ভুল করলে তার উপর দিয়ে যানো ভূমিকম্প যায়।আয়ান দিনের বেলা যতোই শক্ত থকুক না কেন রাতে সেই শক্ত আবরণ সরে গিয়ে যেনো একটা উন্মাদ হয়ে হয়ে উঠে।মাঝে মাঝে নিজেকে আঘাত করতেও দুইবার ভাবে না।দিনের আয়ানের সাথে রাতের আয়ানের কোনো মিল নেই।
৩ বছর আগে থেকে আয়ান এমন হয়ে গেছে।[কী কারন তা সামনে জানতে পারবেন]
আরুর স্মৃতি এখন আয়ানকে বড্ড যন্ত্রণা দেয়।রাতের নিস্তব্ধতা যখন ছড়িয়ে পরে তখন আয়ানও অন্য আয়ানে পরিনত হয়।যেখানে কষ্ট।সুখের কোনো চিহ্ন নেই।আয়ানের পুরো রুমে এখন শুধু আরুর ছবি।সেই ছবির দিকে তাকিয়ে চোখর পানি ফেলে আর পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করে।কিছু স্মৃতি খুব সুখকর ছিল আবার কিছু স্মৃতি এতোই যন্ত্রণার ছিল যে ভাবতেই বুকটা কষ্টে ভরে ওঠে।কতোটা যন্ত্রণা দিয়েছিলো ও আরুকে সে-সব ভাবে আর চোখের পানি ফেলে।আরুর সেইদিন বলা কথা গুলো আয়ানের মনে যেনো দাক কেটে রয়েছে।আরু বলেছিলো,””আমার প্রতি তোমার করা অবহেলা গুলো তোমাকে পোড়াবে।আমাকে মিস করবে তুমি।আমার কাছে ফিরতে চাইবে কিন্তু তখন আমি থাকবো না আর তোমার কাছে ফিরবো।””
আয়ান চিৎকার করে বলছে আর কাঁদছে,””আরু দেখো সত্যি আমি আজকে পুরছি।তোমার সব কথা সত্যি মিলে গেছে।আমার কাছে ফিরে এসো কথা দিচ্ছি কোনো দিন তোমাকে কষ্ট দিবো না।প্লিজ ফিরে এসো।””
আয়ানের সেই দিনের কান্নাতে ওর বাবা মা ভয় পেয়েছিলো কি কারণ তারা জানতে চেয়েছে কিন্তু আয়ান বলেনি।কিন্তু আয়ান দিন দিন কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছিলো তা দেখে আয়ানের বাবা মা আর ধৌর্য না ধরে রাফসানকে ডেকে পাঠায়।কি কারণে আয়ান এমন করছে তা বলতে।রাফসান প্রথমে বলতে চায় নি পরে আয়ানের বাবা মা’র জোড়াজুড়িতে সবটা বলে দেয়।সব শুনে আয়ানের বাবা মা স্তব্ধ হয়ে যায়।ভাবতে পারছে তাদের ছেলে এমন কাজ করছে।তাদের ছেলের প্রতি রাগ বেরে উঠছে।কিন্তু পরক্ষনে ছেলের এমন পাগলামি দেখে কষ্টে বুক ভরে উঠে।
—
এই ৩ বছরে আয়ান একই পাগলামি করে রাতের বেলা কিন্তু দিনের বেলা ওকে দেখলে বুঝা যায় না রাতে কী হয়েছে।আজো আয়ানের রুম থেকে সেই চিৎকার ভেসে আসছে।আয়ানের চিৎকার শুনে আয়ানের বাবা মা এসে দরজার সামনে দাঁড়ায়।কিন্তু দরজা ভিতর থেকে লক।ওনারা দরজায় কড়া নাড়লো আর বললো,
আফিয়া রহমানঃ বাবা কী করছিস তুই।দরজাটা খুল।
আতিক রহমানঃ এমন পাগলামি করলে সব ঠিক হবে না আয়ান।মাথা ঠান্ডা করো।আর এসব পাগলামি বাদ দাও।
কোনো শব্দ আসছে না রুম থেকে।কিছুক্ষন পর আয়ান বললো,
আয়ানঃ আমি ঠিক আছি।তোমারা যাও।গিয়ে ঘুমিয়ে পরো।
আফিয়া রাহমানঃ তুই আগে দরজাটা খুল বাবা।
আয়ানঃ বললাম তো যাও।আমি ঠিক আছি।
আয়ানের বাবা মা রুমে চলে আসে।কারণ তারা জানে ছেলেকে বলে কোনো লাভ হবে না।আয়ানের মা রুমে এসে ওর বাবাকে বললেন,
আফিয়া রাহমানঃ কিছু একটা করো না।এভাবে ছেলেটাকে দেখতে আর ভালো লাগছে না।
আতিক রহমানঃ কী করবো বলো।কিছু মাথায় আসছে না আমার।
আফিয়া রাহমানঃ আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়।
আতিক রহমানঃ কী?
আফিয়া রাহমানঃ…………………….
আতিক রহমানঃ কী বলছো তুমি?তোমার মাথ ঠিক আছে?
আফিয়া রাহমানঃ ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে এর চেয়ে ভালো আর কোনো উপায় নেই।…আর এই কথাটা অনেকদিন আগে থেকেই আমার মাথায় এসেছে।
আতিক রহমানঃ ওরা আমাদের কথা মানবে এটা তোমার কেন মনে হলো?সব শুনার পর উনারা যদি অন্য কোনো স্টেপ নেয় তখন?
আফিয়া রাহমানঃ আমরা চেষ্টা করে তো দেখতে পারি।
আতিক রহমানঃ বেশ কাল না হয় যাবো তৈরি থেকো।
এই বলে উনারা ঘুমিয়ে পরলো।
————————
রাত এখন ১০ টা
আরু ফোনে কথা বলছে ওর মা’য়ের সাথে।
আদিরা আহমেদঃ তুই কী ফিরে আসবি না দেশে?
আরিশাঃ আসবো তো।কেনো?
আদিরা আহমেদঃ তাহলে এখনো আসছিস না কেনো?
আরিশাঃ আমি এখানে একটু গুছিয়ে নি তারপর আসবো।
আদিরা আহমেদঃ কী গোছানো লাগবে তোর?আমাদের একবারো দেখতে ইচ্ছে করে না তোর?সেই যে গিয়েছিস একবারো আসতে মন চায় না?তোর জন্য অনিম এখনো বিয়ে করতে চায় না।
আরিশাঃ মন চায় না কে বললো?আসবো।আর ভাইয়াকে বলো বিয়ে করে নিতে।আমার জন্য কেন অপেক্ষা করছে।আমি তো বলছি বিয়ে করে নিতে।
আদিরা আহমেদঃ আমরা সবাই তোর অপেক্ষায় বসে আছি আর তুই বলছিস তোকে ছাড়া সব করতে।আমরা সার্থপর নই।……আচ্ছা বেশ তোর আসতে হবে না।মরে গেলে মরা মুখটা দেখতে আছিস।
বলেই ফোন কেটে দিলেন।আরু পরেছে বিপাকে।কী করবে এখন।ও দেশে গেলে যদি আবার ওর অতীত সামনে আসে।এতো গুলো বছর তো ভালোই ছিলো এখন আবার যদি তা সামনে এসে র মনকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।আরুর ভাবনার মাঝেই কেউ ওর কাঁধে হাত রাখে।তাকিয়ে দেখে ইশিকা।
ইশিকাঃ অতীতের ভয়ে আর কতো দিন পালিয়ে থাকবি?
আরুঃ পালাচ্ছি না তো।শুধু ওইটাকে আর সামনে আনতে দিতে চাই না।
ইশিকাঃ তো এটাকে পালিয়ে বলা বলে না?
আরুঃ জানি না আমি।
ইশিকাঃ তুই তো শক্ত হয়েছিস তাই না?তাহলে তুই দেশে যাবি যদি তোর অতীত সামনে আসে তাহলে তাকে দেখিয়ে দিবি তুই সব ভুলে ভালো আছিস।
আরুঃ কিন্তু….
ইশিকাঃ আর কোনো কথা নয়।তুই দেশে যাবি এটাই সিউর।….ফুফা ফুপির কতা চিন্তা কর।
আরুঃ…….. বেশ যাবো।
ইশিকাঃ গুড।জানা এটা এখন সবাইকে।
ইশিকা চলে গেলো।আরুর আবার কল করলো ওর মা’কে,
আরুঃ আমি আসছি মা।এবার খুশি তো।
আদিরা আহমেদঃ খুব
আরু ফোন কেটে দিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
১ সপ্তাহ পর,
দুপুরে আয়ান অফিসে বসে কাজ করছিলো তখন ওর একটা কল আসে।রিসিভ করে যা শুনে তাতে ওর মুখের হাসি ফুটে উঠে।আয়ান শুধু বলে,’ফলো রেখো আর সব খবর ঠিকটাক মতো দিয়ো’।কল কেটে দিয়ে আয়ান বলে,
ওয়েলকাম জান।গেট রেডি নতুন করে আমার লাভ টর্চারের জন্য।
চলবে…….