#হারাতে_চাই_না_তোমায়
#পর্ব-৪৭
#লেখিকাঃ_উম্মে_বুশরা
৪ মাস পর
দেখতে দেখতে ৪ মাস চলে গেলো।মনে হলো চোখের পলকের মাঝেই চলে গেলো।দিন আসে দিন যায়।সময়ও নিজেকে মতো চলে যাচ্ছে।সময় কারো জন্য থেমে নেই।সে নিজে গতিতে চলে যাচ্ছে।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষও নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলেছে প্রতিটা দিন প্রতিটা মূহুর্ত।মিথ্যেকে হারিয়ে জিতে যায় সত্যি।প্রতিদিন সূর্য উদয় হয় নতুন কিছু নিয়ে।অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে আগামী দিন নতুন করার জন্য আজকের পুরোনো হয়। আবার রাতের আকাশে সূর্যের তেজ মিলিয়ে যায়।এভাবেই চলছে দিন।
আয়ান এখন সুস্থ।নিজে হাটতে পারে।করো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।আরুর যত্ন আর সেবায় আয়ান সুস্থ হতে বাধ্য।আরুর যত্ন ও ভালোবাসার জন্য আয়ান নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।কি ওদের সেই আগের দূরত্ব এখনো কমেনি।হয়তো দুজনের মনেই আছে দুজনের জন্য আসীম ভালোবাসা কিন্তু তা ওরা স্বীকার করে না।থাক না কিছু ভালোবাসা কিছু অনূভুতি মনে ভিতরে চাপা।সবটা যে প্রকাশ করতে হবে এমনটা তো নয়।
————
আয়ান রুমে ঢুকে দেখে আরু ব্যাগ প্যাক করছে।তা দেখে আয়ানের মুখটা ছোট হয়ে গেলো।আরু ব্যাগ গুছাতে গুছাতে দেখলো আয়ান মুখটা ছোট করে আছে।আর কেনো ছোট করে আছে তাও খুব ভালো করে জানে।আরু কিছু বললো না।অনক কাঠখড় পুরিয়ে আয়ানকে রাজি করিয়েছে।আরুকে নিশ্চুপে ব্যাগ গুছাতে দেখে আয়ান বললো,
আয়ানঃ দুদিন পর গেলে হয় না আমার সাথে?
আরুঃ আপনার দু’দিন আগে গেলে হয় না আমার সাথে?
আয়ানঃ আমার কথা আমাকে ফিরিয়ে দিবে না।
আরুঃ আপনার কথা নাম লেখা আছে?
আয়ানঃ এখন ঝগড়া করার মুড নেই।…বলছি দু’দিন পর যাও।আমিও হাতের কাজ শেষ করে যেতে পারবো।
আরুঃ মারু মানবে না।আর তাছাড়া ও এতোগুলা বছর আমার জন্য এই বিয়ে আটকিয়ে রেখেছে এখন আমি যদি না যাই তাহলে ব্যাপারটা খারাপ দেখায়।
আয়ানঃ আজিব!আমি তো তোমাকে যেতে নিষেধ করছি না।আমার সাথে যাওয়ার জন্য বলেছি।আর মারু এতো গুলা বছর অপেক্ষা করেছে।আমি করিনি?আমি কতোগুলা বছর পর তোমাকে কাছে পেয়েছি?
আরুঃ আপনি কিসের সাথে কী তুলনা করছেন?…আর আপনি আপনার দোষে এতো গুলো বছর দূরে ছিলেন।
আরু এই কথা শুনল আয়ান আর কিছু বলতে পারলো না।সেই পুরোনো কথা।সেই পুরোনো ঘা।কিন্তু তাও আয়ান নিজেকে সামলে নিলো।
আয়ানকে চুপ থাকতে দেখে আরুর মনে পরলো ও কি বলেছে?এটা হয়তো বলা ওর উচিত হয়নি।ও বলতে চায়নি।কিন্তু মুখ ফুটে বলে ফেলেছে।
আরু কিছু বলতে যাবে তার আগে আয়ান বললো,
আয়ানঃ তাহলে তুমি আজই যাবে?
আরুঃ হ্যা।আর তন্নিও আসছে।আর তাছাড়া আপনি তো রাফসান ভাইয়ার ওখানে যাবেন।আমি এখানে গেলে সমস্যা কী?
আয়ানঃ রাফসান তো তোমাকেও বলেছে যেতে।চলো আমার সাথে।
আরুঃ হ্যা বলেছে কিন্তু বর পক্ষ হয়ে।কিন্তু আমি তো কনে পক্ষ হবো।তাই এসব বলে লাভ হবে না।আমি মারিয়া দের বাসায় যাবোই।
আয়ানঃ আচ্ছা বেশ।তবে আমার কিছু কথা আছে।
আরুঃ 🤨🙄
আয়ানঃ মারিয়ার কোনো কাজিন ভাই বা বোনের হাসবেন্ড কারো সাথে কথা বলা যাবে না।কেউ কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে যাবে,ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবে,বেশি তিড়িং বিরিং করবে না,হাসাহাসি করবে না।চুপটি পাশে বসে থাকবে আর তন্নিকে সব সময় তোমার আশেপাশে রাখবে।
আরুঃ আর কিছু?
আয়ানঃ হ্যা।আমি যখন,যেই সময় কল করবো সাথে সাথে তা রিসিভ করতে হবে।এবার তুমি যেই কাজেই থাকো না কেনো?মনে থাকবে?
আরুঃ আর কিছু?
আয়ানঃ এখন মনে পরছে না পরলে পরে জানিয়ে দিবো।
আরুঃ যথাআজ্ঞা।
আয়ান একটা মলিন হাসি দিলো।
————–
আজ মারিয়ার মেহেন্দি।আরু আর তন্নি এসেছে কাল বিকালে।আসার ১ ঘন্টা পর পর আয়ানের কল।কী করছো?এটা করবে না,ওটা করবে না।ইত্যাদি বহু কথা।আর আয়ানের এমন কাজ দেখে সবাই হাসছে।আর আরু এতে মহা বিরক্ত।আয়ানকে এই ব্যাপারে কিছু বললে ও বলে,”আমি আমার বউয়ের সাথে কথা বলছি এতে কে কী বলে তা দেখে আমি কী করবো”।ব্যাস এর পর কোনো কথা বলতে পারে না আরু।
আস্তে আস্তে মানে মারিয়ার মেহেন্দি অনুষ্ঠান সুন্দর মিটে গেলো।আয়ান আসতে পারেনি।আর না অনিম।ওরা আসবে কাল হলুদে।যদিও আয়ান থকবে রাফসানের কাছে তাই আয়ান আর রাফসান জোর করে অনিমকে ওইখানে নিয়ে গেছে।বেচারা অনিম সবার বড় হওয়াতে কিছু বলতে পারেনি।
——-
আজ মারিয়া রাফসানের হলুদ।সকাল থেকে সবাই ব্যস্ত।বাড়ির মেয়ের বিয়ে বলে কথা সবাই কী বসে থাকতে পারে।আরু ঘুম থেকে উঠে সবাইকে এমন ব্যস্ত।অনেক মানুষ নতুন লাগছে কাল যাদের দেখে নি তেমন মুখ ও দেখছে।আবার বিকালের দিকে আরো কিছু আসবে।দেখে ওর মনটা একটু খারাপ হলো।ওর ও তো আশা ছিলো এভাবে সব আত্নীয় স্বজন সবাইকে এক সাথে নিয়ে ওর বিয়ে হবে।কিন্তু তা আর হলো কই?
এসব ভেবেই আর এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
বিকালে সবাই রেডি হয়ে নিলো।আরু আর তন্নিও।মারিয়া আজ বাসন্তী কালারের লেহেঙ্গা পরেছ সাথে ফুলের গহনা।
তন্নি আর আরুও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছে যার পাড় কচু পাতা রঙের।শাড়িটা ওরা পরেছে বাঙালি স্টাইলে। সাথে হালকা গহনা আর খোপায় বেলি ফুলের গাজরা।
ওদের দুজনকেই খুব সুন্দর লাগছে।আজ হয়তো অনিম আর আয়ান ওদের দেখলে হার্ট অ্যাটাক করবে।
কিছুক্ষন আরুরা দেখলো আরো কিছু নতুন মুখ আসছে।কিন্তু এদের মারিয়ার পরিবারের কেউ মনে হচ্ছে না।কারণ অপরিচিত মানুষদের দেখে আরু মারিয়ার এক কাজিনকে বলেছে এরা কারা?কিন্তু মারিয়ার কাজিন বলেছে ও চিনে না।আর ওদের পরিবারেরও কেউ না।তাই আরু আর মাথা ঘামালো না।আরুর এখানে একটু অস্বস্তি হচ্ছে তাই একটু নিরিবিলি জায়গায় গেলো।
এখন শান্তি লাগছে।প্রায় অনেকক্ষন পর আরুর মনে হলো ওর পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে।আরুর একটু ভয় লাগলো।কে হতে পারে?ভূত নয়তো আবার?আরু আস্তে আস্তে মাথা ঘুরিয়ে পিছনে ফিরতে নিলে মাথাটা করো বুকের সাথে গিয়ে লাগলো।
আরুর মাথাটা তার বুকে লাগতেই সেই মানুষটা তার এক হাত দিয়ে দিলো মাথায় আরেক হাত দিয়ে দিলো কোমরে।আরুর মাথায় রাখা হাতটা আরো জোরে চেপে ধরছে তার বুকে।এবার তার বুকটা একটু শান্তি।আহ! মনে হচ্ছে কতো দিন পর সে এই শান্তি পেয়েছে।তার বুকটা মনে হয়েছে খা খা করছিলো।
আরুর মাথটা করো বুকে লাগতে সে আরুর মাথা যখন আরো চেপে ধরে তখন আরুর সেই মানুষটার হৃদস্পন্দন শুনতে পেলো।মনে হচ্ছে অশান্ত এক হৃদ ধ্বনি যা এখন শান্ত হয়েছে।আরু কিছুটা সময় সেই ধ্বনি শুনেছে।কিন্তু যখন হুস ফিরলো ও কোথায় সাথে সাথে আরু ছটপট করছে ছুটে যাওয়ার জন্য।সেই মানুষটা এবার বিরক্ত হয়ে বললো,
আয়ানঃ আহ! আরু পাখি এতো ছটপট করছো কেনো?চুপটি করে দাঁড়াও।আমার অশান্ত হৃদয় আগল শান্ত করো।
আরু ‘আরুপাখি’ নামটা শুনে বুঝতে বাকর নেই এটা কে।তাই আরু চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।অনেকটা সময় যাওয়ার পর আয়ান বললো,
আয়ানঃ জানো কতোটা মিস করছিলাম?২ রাত মনে হয়েছে ২ বছর।দু রাত তোমার মাথা আমার বুকে রাখো নি।জানো আমার অবস্থা কী হয়েছিলো।
আরু কিছু বলছে না শুধু চুপ করে আছে।ওর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না।শুধু পরিবেশটা উপভোগ করতে চাইছে।ঠান্ডা বাতাস বইছে সেই সাথে প্রিয় মানুষটার বুকে মাথা রেখে দাড়িয়ে আছে সেই সাথে এই মানুষটার হৃদস্পন্দন।এই সময় থেকে ভালো সময় আর হতে পারে?
আরু আয়ানের বুকে মাথা রেখেই বললো,
আরুঃ আপনি এখানে কেনো?
আয়ানঃ তোমার জন্য।
আরুঃ মানে🤨।
আয়ানঃ অনেক কাহিনী।পরে জানতে পারবে।
আরুঃ না এখন বলুন।
আয়ানঃ তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছিলো না তাই চলে এসেছি।
এবার আরু আয়ানের বুক থেকে মাথা তুলে তাকালো।আয়ানও ভ্রু কুচকে ফেললো।আরু বললো,
আরুঃ সোজাসুজি বলুন সব।নাহলে কিন্তু……
অন্যঃ আয়ান রাফসান তোকে ডাকছে।
আয়ানঃ আসছি।
আরু হা করে তাকিয়ে আছে আয়ানের দিকে।ও বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে।ও ভাবছে আজ তো রাফসানেরও হলুদ তাহলে রাফসান এখানে কী করছে।আরুকে এমন ভাবতে দেখে আয়ান বললো,
আয়ানঃ কারন রাফসানও এসেছে।ওর বউকে সবাই হলুদ ছোঁয়াবে আর ও থাকবে না এটা কী হয়?তাই ও এসেছে।
আরুঃ কেউ কিছু বলেনি?
আয়ানঃ কী বলবে?ও অন্যের বউয়ের কাছে এসেছে নাকী?
আরুঃ উফ!মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব।চলুন ওখানে যাই।
আয়ান আর আরু চলে গেলো।স্টেজের দিকে।গিয়ে দেখে রাফসানদের বাসার অনেকেই আছে সাথে অনিমও আছে।আর ওর মুখটাও খুশি খুশি।আরুকে দেখে রাফসান অসহায় গলায় বললে,
রাফসানঃ আরু এই পাগলের হাত থেকে বাঁচাও না হলে বিয়ের আগেই আমি পাগল হয়ে যাবো😣(আয়ানকে উদ্দেশ্য করে)
আরুঃ কী হয়েছে ভাইয়া?
রাফসানঃ তোমার বরের জন্য আমার মান সন্মান সব ফালুদা হয়ে গেলো😣
আরুঃ সে নায় বুঝলাম।কিন্তু কী হয়েছে।
রাফসানঃ কী হয়েছে তা তোমার বউ পাগলা বরকে জিজ্ঞেস করো।
রাফসানের কথা শুনে সবাই উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো।আরু ভ্রু কুচকে আয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।আয়ান আরুর তাকানো দেখে বললো,
আয়ানঃ আমার কোনো দোষ নেই।আমার তোমাকে দেখতে ইচ্ছে হয়েছে তাই সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি।
রাফসানঃ ও মিথ্যে কথা বলেছে।ও আমাকে ব্ল্যাকমেল করে এখানে এনেছে।শুনো,
ফ্লাশব্যাক………আয়ান রাফসানের সামনে গিয়ে বলে
আয়ানঃ আজ তোর হলুদ।কাল বিয়ে।তারপর ফাস্ট লাইট।
রাফসানঃ হ্যা তো?
আয়ানঃ না বলছি।অবশ্য বলছি না ভাবছি কাল তোর ফাস্ট নাইট কেমন কাটবে?মারিয়ার সাথে রোমান্টিক ভাবে না কী মারিয়ার উত্তম মধ্যম খেয়ে।
রাফসানঃ ঝেড়ে কাশ।তোকে সুবিধার মনে হচ্ছে না।দেখ দোস্ত আমি তোর ভালো চাই সবসময়।তাই এটাও চাই কাল রাত তোর খুব সুন্দর কাটুক।
রাফসানঃ বলবি তুই?😤
আয়ান রাফসানের সামনে ওর ফোনটা ধরে।আর ফোনে ভিতরে কী কী আছে সবটা দেখায়।তা দেখে রাফসান বলে।
রাফসানঃ ভাই তুই আমাী কলিজার দোস্ত।ভই আমার এগুলা মারু দেখলে আমাকে আস্ত রাখবে না।প্লিজ ভাই।সব ডিলিট কর।
আয়ানঃ করবো যদি তুই আমার কথা শুনিস।
রাফসানঃ তোর সব কথা শুনবো তাঔ এগুলা ডিলিট কর।
আয়ানঃ ভেবে বলছিস?সব শুনবি?
রাফসানঃ হ রে ভাই।
আয়ানঃ বেশ তুই এখন সবাইকে গিয়ে বলবি তোর মারিয়ার আর তোর এক সাথে হলুদ হবে।এটা তোর ইচ্ছা।
রাফসানঃ পাগল হয়েছিস তুই?আমি এটা কিভাবে বলবো?সবাই শুনলে কী বলবে?এটা আমি পারবো না।
আয়ানঃ আমিও এগুলো মারিয়ার কাছে পাঠাতে ১ মিনিট সময় লাগবে না।
রাফসানঃ না ভাই তুই এমন করিস না🥺।তুই তে আমার ভাই।
আয়ানঃ আমি সব পারি।তাই এখন মারিয়াকে এগুলে পাঠাচ্ছি।
অনেক জোরাজোরি পর রাফসান নিজের লজ্জা সরম ত্যাগ করে ওর বাবা মা’য়ের কাছে গিয়ে বলে ও মারিয়ার সাথে ওই বাড়িতে গিয়ে ওর হলুদের অনুষ্ঠান করতপ চায়।এটা শুনে রাফসানের বাবা খানিকটা রেগে যায়।কারণ এমন হলে এগে বলতো এখন কেনো?আর কিছুক্ষন ওরে অনুষ্ঠান শুরু হবে।বর তাছাড়া এখানে সব রেডি মারিয়া দের ও সব রেডি।ওদের এখন এটা জানালে কী বলবে তাই ভাবছে রাফসানের বাবা।শেষ সব বাদ দিয়ে মারিয়া দের জানায় ওরা আসছে আর ওখানে হলুদের অনুষ্ঠান হবে বর কনের একসাথে।
রাফসান রুমে এসে মুখ কাঁদো কাঁদো করে বলে,
রাফসানঃ হয়েছে শান্তি?😬বলে এসেছি🙁
আয়ানঃ ওহহহহ ভাই রে।ইচ্ছে করছে এক খান চুমু খাই।কিন্তু দেওয়া যাবে না কারণ এই চুমু শুধু আমার বউয়ের জন্য বরাদ্দ।
রাফসানঃ সর এখান থেকে বউ পাগল কোথাকার।😤
এবার আসি আয়ানের ফোনে কী ছিলো?
আয়ানের ফোনে ছিলো,আজ থেকে এক বছর আগে রাফসান মারিয়ার সাথে ঝগড়া করে জাস্ট এমনি একটা মেয়ের সাথে কথা বলছিলো।মেসেজে,ফোনে আবার সামনা সামনি।সেই মেসেজে কিছু স্কিনসর্ট,সেই দেখা করার ১/২ ছবি।
যদিও এগুলো জাস্ট কথার এমনি কিন্তু মারিয়া এগুলো দেখলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে।সেটার ভয়ে রাফসান এমন করছে।
এসব বলেই রাফসান মুখটা কাঁদো কাঁদো করে ফেললো।আর আরু রেগে আয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।আয়ান ইনোসোন্ট ফেইস করে আরুকে বললো,
আয়ানঃ এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো🥺?ভয় করছে।….আর তাছাড়া আমি তোমাকে মিস করছিলাম তাই এমন করে এসেছি।সত্যি 🥺।
রাফসানঃ আরু ওর এসব কথায় গলবে না।ওকে আগে বলো ওর ফোন থেকে সব ডিলিট করতে।
আয়ানঃ চুপ কর শালা।নিজে মরছি নিজের জ্বালায়।আর সে আছে ডিলিট নিয়ে।
আরুঃ ওগুলো কী ডিলিট করবেন নাকী….😠
আয়ানঃ এভাবে বলার কী আছে? ভয় করছে🥺।একটু রোমেন্টিক ভাবে তো বলা যায়😒
আরুঃ, আবার😬😠
আয়ানঃ আরে করিছ🥺
এদিকে রাফসান,তন্নি,অনিম আরো অনেকে মিটমিট হাসছে আয়ানে অবস্থা দেখে।
চলবে……