ইরার কথা পর্ব – ১৩

0
327

গল্প – ইরার কথা

পর্ব – ১৩

“সারপ্রাইজ টু ইউ”
এত রাতে মেসেজ কেন। খানিকটা কৌতুহল হয়। কারন দ্বিপ্রহর পেরিয়েছে। পুরো পৃথিবী তমসার শরীরে জবুথবু। আমিও ভীষন ক্লান্ত। যেন ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে। তবুও কি এক আকর্ষনে ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলটা তুলে নিই। সবুজ বাতিটা জ্বলছে। ফুলেল বিছানায় অসাড় শরীরটা তুলে অন করি মোবাইলটা। নামটা অচেনা। ভ্রু কুচকে গেলো। একটা কাঁটার যন্ত্রনা তো ভেতরে আছেই। এরপর নিথর রাত্রির স্তব্ধতা ভেঙে টুংটাং শব্দে পরপর অনেকগুলো টেক্সট চলে এল।

আশ্চর্য। এত মেসেজ কে পাঠাচ্ছে, আর কেন পাঠাচ্ছে । বিষয়টা কেমন যেন মনে হচ্ছে। কাঁপা হাতে মেসেজ সিন করি। বিস্ময়ের চুড়ান্ত সীমায় আমি দাঁড়িয়ে আছি। এসব কি। ছিঃ ছিঃ। এতো রাতুলের পিক। সাথে অপূর্ব সুন্দরী এক মেয়ে। বয়স বাইশ তেইশ হবে। মেয়েটার সাথে রাতুল কি নোংরা ভাবে লেগে আছে। লজ্জা ঘৃনায় আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। আমার চোখে তা চরম বিস্ময়কর দৃশ্য। পিকগুলো দেখে কতক্ষন স্থানুর মত বসে রইলাম। এও কি সম্ভব। রাতুল কি করে পারল এত বড় মিথ্যেটা লুকাতে। তার জঘন্য নোংরা চেহারাটা আমায় এভাবে দেখতে হবে আমি কল্পনাও করিনি। আমি মিনিট খানেক স্থির হয়ে বসে আছি। অজস্র কথার সু্ঁচ বুকের ভেতর। না বলা, না বলতে পারার যন্ত্রনাটা এখন ফুলে ফেঁপে উঠবে। একসময় তা ক্ষোভে রূপ নিবে।

খুব অনিচ্ছায় আমি এক এক করে সুন্দরী মেয়েটার সাথে রাতুলের ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন মুহুর্তের পিকগুলো দেখছি। রাতুল প্রতিটা পিকে হাসি হাসি মুখে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে আছে। ওর বেগুনী রঙের শার্ট আর মেয়েটার বেগুনী রঙের জর্জেট শাড়ি ভালবাসার উথাল পাথাল নমুনা। মেয়েটার ভালবাসার অনুরাগ চোখের ভাষায়। আমি পড়ে ফেললাম এক নিমিষে। দাঁতে দাঁত ঘষে রাগটা পুষে রাখলাম। এত বড় স্পর্ধা রাতুলের।
এত বড় সাহস। চিট করেছে সে আমার সাথে।
ঠকিয়েছে এই সংসারটাকে। আমি আরিয়ান সব মুহুর্তে ধুলোয় মিশে যাচ্ছি।
বিশ্বাস মায়া প্রতিশ্রুতির অপমান করেছে রাতুল। ও অপমান করেছে আমার সরলতাকে।

হঠাৎ মনে হল সাথের মেয়েটাকে আমার খুব পরিচিত লাগছে। ভীষন চেনা চেহারাটা। কোথায় দেখেছি মনে পড়ছে না তো। চোখ বন্ধ করে ফেলি। চিন্তার ভাঁজ কপালে।
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। খুব চেষ্টা করলাম মনে করতে কিন্ত কিছুতেই মনে আসছে না।
একটু অস্থির লাগল এই না মনে করতে পারাতে।
হ্যা মনে পড়েছে। শপিংমলে এই মেয়েটাই ছিল রাতুলের সাথে। আমি স্পষ্ট দেখেছি। খুব স্পষ্ট।
আমার চোখ এড়ায়নি। এই মেয়েটাই সেই মেয়েটা।
কিন্ত কেন, কেন রাতুল।
ফাল্গুনী বাতাসটা অস্পৃশ্য। আমার স্বপ্নজালে ঘোর কা্ঁটার বেড়া দিয়েছে। যতবার চোখ বন্ধ করছি রাতুল আর আমার একান্ত সময়গুলো ভেসে উঠছে। রাতুল আমার জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে এতটা সুখী। এটা হতেই পারে না।
চৌকস হাসিটা রাতুলের মুখে। আবেদনের মাত্রাটায় অনেক গভীর ইঙ্গিত। মেয়েটাও হাসছে। রাতুলের হাতটা মেয়েটার শরীর ছুঁয়েছে। মাথাটা দুলে উঠল আরেকবার। না, এটা হতেই পারে না। কিছুতেই না। আমার অস্তিত্বে ফাটল ধরেছে বিশ্বাসকে লুকিয়ে? কতটা সুক্ষ কাজ। কি নিঁখুত অভিনয় রাতুলের। কিন্ত আমার পৃথিবীতে তো সরলতার ভালবাসাটা এত সহজে হারতে পারে না। কিছুতেই না। রাতুলকে এর সব হিসাব দিতে হবে। কড়ায় গন্ডায় আমি এর শোধ নেবো।
আমি যাবো এক্ষুনি যাবো রাতুলের কাছে।
কিন্ত এখন এত রাতে কি করে যাবো।
কিভাবে যাবো।
কি করে যাবো।
আমি ঘামছি। নোনতা পানির ধারা আমার শরীর বেয়ে ঝরছে।

রিকশাটা বাতাসে উড়ে যাচ্ছে। আমার চুল এলোমেলো। শান্ত জলের টলমল ঢেউয়ের মতন একটু পরপর কেঁপে কেঁপে উঠছি। আমি কি হেরে যাচ্ছি নিজের কাছে। আমার অস্তিত্বের কাছে।
নিজের মূল্যবোধ বিকিয়ে দিয়ে সুখ কিনতে চেয়েছি এটাই কি সবচেয়ে বড় ভুল হলো?
রাতুলের কাছে নিজের অবস্থান ভুল চিনেয়েছি।
খুব ভুল। খুব ভুল।

রিকশাটা প্রানপনে ছুটে যাচ্ছে। চোখে ভাসছে লাল ইটের প্রাচীর ঘেরা বিশ্বাসের একটা ঘর। নিপাট উঠোন। সবুজের লতানো ব্যলকনি। রৌদ্র তাপে পুড়ে যায় মার্বেল পাথরের শক্ত জমিন। নিথর অবয়বে তখন দেখি সীমানার দেয়াল। অসহ্য সুন্দরের মোড়ক। রঙতুলির বিছানা। রাতুলের বেঘোর আদর। তৃষ্ণার্ত ঠোঁট। আমার কাঁপন। আমি ভাবতে থাকি এক একটা ক্ষনের গড়া শতাব্দীর সম্পর্ক তুচ্ছ মোহের তাপে জ্বলে যাবে, আর আমি নির্বাক তা চেয়ে চেয়ে দেখব। হয়না এটা। হতে পারে না।

সিঁড়িগুলো ভাঙতে বড্ড সময় লাগে। আমি নিঃশ্বাসের দাপটে তুমুল শক্তি নিয়ে খুব দ্রুত উঠছি।
ঠকঠক!!!

দরজা খুলছে না রাতুল। আবার ঠকঠক। ধড়াম করে দরজাটা খুলে যায়। রাতুল উদোম শরীরে বোকার মত চেয়ে আছে। ওকে ধাক্কা।দিয়ে ভেতরে ঢুকি। সোজা বেডরুমে। একটা ঘুণপোকার খটখট শব্দ মস্তিস্কের নিউরনে নির্ঘুম।
বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে আছে মেয়েটা। আধখোলা শরীর। রাতুল খুব নিঃশব্দে আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি একটুও টের পাইনি।
: ইরা কি চাও এখানে তুমি?
আততায়ীর দৃষ্টি রাতুলের চোখে।
আমি নিরবে ওর শরীরের দিকে তাকালাম। অজস্র সুখের রঙ তার মুখে। সে ক্রুদ্ধ চোখে আমাকে টেনে ধরেছে। আমি যন্ত্রনায় নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্ত পারলাম না। তারপর হঠাৎ একটা চড় আমার মুখে পড়ল। প্রচন্ড জোরে। আমি ঝাকি খেয়ে স্থির হয়ে গেলাম। তাল সামলাতে পারলাম না। রাতুল রাগে ফোসফাস করছে।
: এই মুহুর্তে তুমি বের হয়ে যাও।
চড় খেয়ে আমি সটান দাঁড়িয়ে আছি।
মেয়েটা রাতপোশাকে বিছানা থেকে নেমে এল। প্রায় বিবসনা। আমার তাকাতে লজ্জা লাগছে।
মেয়েটা রাতুলকে গভীর আলিঙনে জড়িয়ে ধরল।
আমি ধীরে ধীরে চোখটা বন্ধ করে ফেলি।
কাঁদছি আমি। খুব কষ্টে কাঁদছি।

ফুঁপিয়ে ফু্পিয়ে কান্নার মাঝে সজোরে একটা টান।
: ইরা, এ্যাই ইরা কি হলো তোর কাঁদছিস কেন?
চোখটা মেলে তাকিয়ে দেখি বাবা আমার মুখের উপর ঝু্কে আছে। আমি চারপাশে বোকার মত তাকাচ্ছি।

: কি দেখছিস রে?
বাবার মুখের হাসিটা দেখে খেয়াল হল। আরে আমি তো এখানে। তাহলে এতক্ষন এসব কি দেখলাম। স্বপ্ন ছিল সব।
একটা চিন্তার ছাপ সারামুখে।
: ইরা কিরে কাঁদছিল কেন?
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলি।
: কই কাঁদছিলাম।
বাবা হেসে ফেললেন। সামনের পাটিতে একটাও দাঁত নাই। তবুও কি সুন্দর করে হাসছেন। পবিত্র একটা মুখ। মায়ার একটা মানুষ।
: তুই অনেক্ষন ধরে কাঁদছিলি। কি স্বপ্ন দেখেছিস?
কি দেখলি, তোর মাকে?
বাবার শেষ কথাটা তীরের মত বিধল। আমি চুপ হয়ে গেলাম। কি বলব বাবাকে। কি ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন আমাকে যে তাড়া করে ফিরছে এটা কি করে বোঝাই।
মা, মা।
পরক্ষনে মায়ের কথা মনে হল।
সত্যিই তো মাকে দেখিনা কতদিন। কত মিষ্টি মুখখানা ছিল।
কতদিন সেই মুখটা দেখিনা।
ভুলে গেছি?
মনে হয়।
ভালবাসার মানুষগুলো এভাবেই বুঝি স্মৃতি হয়ে যায়।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ছয়টা বাজে। রাতের ঘুমটা ভালো হয়নি। সারারাত এপাশ ওপাশ করেছি। একটা দুঃস্বপ্ন তাড়িয়ে ফিরছে কদিন ধরে। এটা যন্ত্রনার। খুব যন্ত্রনার।কেন যে রাতুলের বিষয়টা ঝেড়ে ফেলতে পারছি না। কেন পারছি না।জানি না।

খুব ঠান্ডা বাতাস। আমি স্লিপার জোড়া পড়ে বাইরে এলাম। কেমন কুয়াশার মত সাদা আচ্ছাদন। বিস্ময় আমি হা করে দেখছি। এই ফাল্গুনেও শীতের আমেজ যায়নি।
কিচিরমিচির পাখির ডাক। অজস্র পাখি। কি নিশ্চুপ প্রকৃতি। মন ভালো হয়ে যায়। কিন্ত মন আমার ভালো নেই। একটুও ভালো নেই

দুপুর একটার দিকে তাশরিফ ফোন দেয়। আরিয়ানকে খাওয়ানো শেষ তখন। টেবিলে সবাই তখন খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। আমি ফোনটা হাতে ডাইনিং থেকে সরে আসি।
: হাই ইরা।
তাশরিফ খুব এক্সাইটেড। ওর গলা শুনে তাই মনে হল।
আমিও আছি দারুন উত্তেজনায়।
বিন্দু বিন্দু সঞ্চয় করা শক্তির জোর এখন পাহাড় সমান। বাধার তোড় মানছে না মন।
এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
: হ্যালো।
: তারপর কি অবস্থা, কেমন অনুভুতি হচ্ছে?
: আসলে এই অনুভুতির তুলনা কিসে হয় জানি না তবে আমি খুশী এবং আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এটুকু সুযোগ করে দেবার জন্য।
তাশরিফ হাসতে লাগল।
: ওরে বাহ এতটা কৃতজ্ঞতা এখনই। আগে কাজটা করি তারপর দেখা যাক।
: জ্বি।
: ইরা শুনুন আপনি ঠিক সময়ে বের হবেন। মনে থাকে যেন।
: ওহ, শিওর।

আমার পৃথিবীর সবটুকু আনন্দ এখন আমার চারপাশে। আমি স্পর্শ পাচ্ছি। ছুঁয়ে দেবার বাহানায় সত্যিই অস্থির হয়ে যাচ্ছি। আমি বদলে যাবো আমার নিজস্ব মননে। পাল্টে ফেলব অহেতুক ধারনা। রাতুল চাইবে কি চাইবে না সেটা যতটা না মাথায় আসছে তার চেয়ে বেশী ভাবছি রাতুলকে মানতে হবে। মানিয়ে নেবার ক্ষমতা বা ট্র্যাডিশন মেয়েরা কেন একা তৈরী করবে। সংসারের দায় একা মেয়েরা কেন নেবে।
পুরুষদের অধিশ্বর মেয়েরাই বানিয়েছে। কর্তব্যের খাতিরে মেয়েরা সংসারের বোঝা টানে আর পুরুষরা ছড়ি ঘোরায়।
একতরফা। কিন্ত কেন।
মেয়েরা সংসারের অনেক বড় শক্তি। আজ এই শক্তির পরীক্ষা হয়ে।যাক।

মুচকি হাসিটা ঠোঁটের কোনায় লেগে রইল।

গেরুয়া রঙের সালোয়ার কামিজটা আজই প্রথম পড়লাম। চুলগুলো টাইট করে খোঁপা করেছি। নো মেকআপ। জাস্ট ন্যুড লুকসে থাকব আজ। সানস্ক্রিন লোশন আগেই মেখেছি। শেষ মুহুর্তে ঠোঁটে সামান্য ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলাম।
সাদাব বলেছিল ওর গাড়ি পাঠিয়ে দেবে তাই অপেক্ষায় আছি।
তিনটা বেজে গেছে। ড্রয়িংরুমে বসে আছি। আশ্চর্য আজ সকাল থেকে রাতুল একটা ফোন দেয়নি। কোন মেসেজও না। আমি কি কোথাও ভুল করে ফেললাম রাতুলকে না জানিয়ে। আচ্ছা রাতুলের তো আসার কথা। ও পাঁচটায় আসবে। আর আমি তার অনেক আগেই বেরিয়ে যাবো।
ওখানে গিয়ে তাকে ফোন দিয়ে বলব আমি একটা কাজে আটকে গেছি তুমি আরিয়ান আর মিনুকে নিয়ে বাসায় চলে যাও। আমি পরে আসছি।

রাতুল কি এতে ঝামেলা করবে? আমার মনে খুতখুত তবুও রয়ে যায়।
সাদাবের সাথে ফোনে কথা হল।
ও বললো গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। ঘড়িতে সময় তখন তিনটা বিশ।
বেশ উশখুশ করছি। রাতুলকে কি একটা মেসেজ করবো যে আমি বাইরে যাচ্ছি। নাহ! থাক। তার চেয়ে কাজটা করে নিই। যা থাকে কপালে।

তিনটা ত্রিশে নিচে গাড়ির হর্ন পেলাম। খুব চেনা হর্ন। কিন্ত আসার কথা সাদাবের গাড়ির। এবং এটা সাদাবের গাড়ির হর্নও নয়। তাহলে, কে এসেছে। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ হলো।

তারপর আমি ঝটপট সাদাবকে কল করি।
: ইরা আমি তো গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। এখনও পৌছায়নি?
আমি শুকনো মুখে না করলাম।
ঠিক এমন সময় রাতুলের মেসেজ।
” ইরা আমি নিচে আছি, তুমি চলে এসো।
মেসেজটা পড়ার পর সারা শরীর ঝিম ঝিম করছে আমার। রাতুল এখন এই সময় কেন এসেছে? তার মানে কি।

আমি ধপ করে সোফায় বসে পড়ি। আমার অবশ লাগছে সারা শরীরে।
এই সময় আরিয়ান ছুটতে ছুটতে এসে হাজির।
: মা, বাবা এসেছে। আমরা আজ বাসায় চলে যাবো তাই না?
আমি মাথা নত করে রইলাম। চোখজোড়ায় টলমল পানি। পরাজিত মানুষের চোখের পানি। এটা আরিয়ানকে দেখানো যাবে না। কিছুতেই না।

বিঃদ্র- প্রিয় পাঠক “ইরার কথা” গল্পটির জন্য আপনাদের সমুদ্রের মত ভালবাসায় আমি সত্যিই আবেগী হয়ে যাই। আমি কৃতজ্ঞ, আমি গর্বিত।
একজন লেখকের এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না।
তবে আবারও দুঃখিত একটু দেরী করে পোস্ট দেবার জন্য। আপনারা আমার অনু্প্ররনা, আমার শক্তি, আমি প্রতিটা পর্বে আপনাদের এই নিঃস্বার্থ ভালবাসার জন্য অপেক্ষা করি,
অনেক কমেন্ট, অনেক সাহসী কথা আপনারা আমাকে লিখে ভালবাসা প্রকাশ করেন, কিন্ত আলাদা করে সবার কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া সম্ভব হয় না বলে দুঃখ প্রকাশ করছি,
তবে লিখবেন এমন কমেন্ট আরো বেশী বেশী এটুকু দাবী রইল,,,
বিনিময়ে আপনাদের ভালবাসাটাও ফিরিয়ে দেবো।, কথা দিলাম,
সবাইকে আবারও 🥰🥰🥰🥰

……. তামান্না হাসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here