গল্প – ইরার কথা
পর্ব – ৭
বেইলি রোডে ঠিক ঘড়ির কাঁটায় চারটা পনের মিনিটে এসেছি। আর ” অবনী ” তে ঢুকেছি চারটা বিশ মিনিটে। বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টের অভাব নাই। দুনিয়ার কর্ম কান্ড এখানে চলে। গান নাটক আড্ডার জমজমাট জায়গা এটা। তাই খানাপিনাও চলে তুমুলে।
আমিও তুমুল উত্তেজনায় চলে এলাম একা একা এতোটা দুর।
তবে টেনশান জড়তা ভয় একসাথে
মাথায় ঘুরছে।
সিএনজিতে আসতে যতটা সময় লেগেছে ততটাই অজানা একটা ভয় ছিল।
আরিয়ান আর মিনুকে বাবার বাসায় রেখে সেখান থেকে ছুটে এসেছি। রাতুল জানে না এসবের কিছু।
যদি জানে কুরুক্ষেত্র বাঁধবে।
যাহোক কাঁচের ডোর ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই দেখি অনেক লোকজন। উৎসবমুখর আয়োজন।
তবে টেবিল খালি নাই একটাও।
কাপল টেবিলের সংখ্যাই বেশী। মিউজিক চলছে।মনকাড়া সুরে।
এমন মুখরিত পরিবেশে কাউকে খুঁজে বের করা কঠিন নয়। তাই ভেতরে ভেতরে খুব এক্সাইটেড বোধ করছি। একটা কিছু ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি। যাই হোক শুরুটা তো হবে। স্বপ্ন স্বপ্ন আর কি।
সেকেন্ড মিনিট পার হয়। তারপর আমার আগ্রহ অপেক্ষায় যোগ হয় উৎকণ্ঠা।
আমি চারদিকে চোখ বুলিয়ে তাশরিফ রায়হানের টিকিটা পেলাম না। এত এত লোকজনের মাঝে দাঁড়িয়ে নিজেকে কেমন যেন অসহায় বোধ করছি। কোথাও কি ভুল করে ফেললাম। কি জানি।
ডানপাশের একটা কর্নার ফাঁকা দেখে ধুপ করে বসে পড়ি। দেখি কি হয়। হাতব্যাগটা টেবিলে রাখতেই ওয়েটার ছুটে আসে। আমি মোবাইলে ডাটা অন করে মেসেজ চেক করছি।
নাহ কোন মেসেজ নাই। কি অদ্ভুত রে বাবা।
: ম্যাম অর্ডার প্লিজ।
পরিপাটি পোশাকের ওয়েটার সামনে। কখন এলো টেরই পেলাম না। এরা চোখের পলকে চলে আসে। অনেকটা জ্বিন ভুতের মত। আসলে জ্বিন ভুত নয়। খাঁটি মানুষ। ভদ্র মানুষ। চোখে মুখে নম্রতা ও ভদ্রতা।
কথার লেবেলও সেই।
: এখন নয়।
: ওকে ম্যাম।
স্মিত হাসিটা ঠোঁটের কোনে রেখে ওয়েটার চলে যায়।
ফাঁকা টেবিলে একা বসে আছি। আমি আছি কঠিন চিন্তায়। কিন্ত সেটা বুঝতে না দিয়ে হাসি হাসি মুখে বসে আছি। এখানে যারা এসেছে প্রত্যেকে এমন সুখী সুখী ভাব নিয়ে বসে আছে। হাসছে মুখ টিপে। কেউ আবার ভালবাসার পূর্ন দৃষ্টিতে তার পাশের মানুষকে দেখছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব ভালবাসা এই কফিশপে উপচে পড়ছে। আজকাল অবশ্য লোক দেখানো জিনিসের প্রচলন বেশী। শো অফ করা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমিও কি শো অফ করছি? এই যে আমার অভিনয় করা অংশ চলছে তাতে বাইরের কারোর বোঝার সাধ্য নাই ভেতরে কি ঝড় বইছে।
ইতিমধ্যে লোকজন কেউ কেউ আমাকে লক্ষ্য করা শুরু করেছে গোয়েন্দার চোখে।একা একটি মেয়ে কারোর জন্য অপেক্ষায় আছে। এটা দেখার জন্য অনেকেই উদগ্রীব থাকে। যেন একা একা বসে থাকা খুব অন্যায়।
আমার পরনে কালো রঙের সুতির সালোয়ার কামিজ। কালো আমার প্রিয় রঙ। চুলগুলো আটো করে খোঁপা করা। একদম সিম্পল। নো মেকআপ। এমনকি লিপস্টিকও না। সবসময় এমন থাকতেই পছন্দ করি।
বেশী সাজগোজ কিংবা মেকআপে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। এটা অনেকেই বোঝে না। মানে না
তাদের ধারনা মেয়ে মানেই সাজ পোশাক। বাড়াবাড়ি রকমের মেকআপ।
অথচ হওয়া উচিত উল্টোটা। একটু গুছিয়ে পরিপাটি হয়ে থাকাটাই কিন্ত মার্জিত একটা ব্যক্তিত্বের পার্ট।
সবসময় এত রঙ এত জাঁকজমক বিষয়গুলো এভয়েড করলেই হয়।
এতে যেমন অনেক সময় নষ্ট হয়। তেমনি টাকাও নষ্ট হয়।
মিউজিক বাড়ল। সুরের মায়ায় জমে উঠছে কফি শপের পরিবেশ। কাপলদের খুনসুটি আমাকে তাকিয়ে দেখতে হচ্ছে। ইচ্ছে না করলেও দেখতে হয়। এটাই বাস্তবতা। যদিও তা দেখা অনুচিত।
ওদের ফিসফসানি। আড়চোখে তাকানো। দুষ্টমি হাসিঠাট্টায় প্রেম প্রেম ভাব বিনিময় বিরামহীন গতিতে চলে। আর আমি ঘড়ির কাঁটায় সময় দেখি। লোকটা কি আমাকে মিথ্যে বললো।
কোন মেসেজ নাই মোবাইলে।
বিষয়টা কি।
এসবের অর্থ বুঝলাম না।
হঠাৎ করে আমার মনে হল পুরো বিষয়টা কি আদৌ সত্য? না জেনে না বুঝে লোকটার কথায় বিশ্বাস করে আমি এতদুর একা চলে আসলাম।
বোকামি হলো কিনা।
এসব চিন্তার মাঝে কল এলো রাতুলের।
টেনশানে হাত পা ঘামা শুরু। এখন কিছুতেই কল রিসিভ করা যাবে না। করলে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়া লাগবে।
বিশেষ করে ও যখন বুঝে যাবে আমি বাইরে কোথাও আছি তখন বিষয়টা খারাপ পর্যায়ে যাবে। তারচেয়ে চুপ থাকাই ভালো।
পরপর দুইবার কল এলো।
আমি মোবাইল ভাইব্রেট করে রেখেছি।
এক একটা ভাইব্রেট বুকের মাঝখানে হাতুড়ি পেটাচ্ছে।
হাতুড়ি পেটানো আপাতত বন্ধ। আমি মোবাইল রেখে কফির অর্ডার করলাম। বেহুদা বসে বসে কি করব।
কফি এলো। দারুন ফ্লেবারের মুহুর্ত। মন ভালো হচ্ছে। এমন সময় মেসেজ এলো।
” plz wait just 30 minute ”
উফ! আরো আধ ঘন্টা। কি করে সময় পার হবে বুঝছি না। লোকটা কি ধুরন্ধর নাকি সুবিধাবাদী।
নাকি আমায় নিয়ে নতুন কোন প্লান করছে যা আমি জানি না।
চিন্তাটা মাথায় ঢুকে গেছে ইতিমধ্যে। কেমন দ্বিধায় জড়িয়ে যাচ্ছে পুরো বিষয়টা।
আচ্ছা শেহনাজকে একটা ফোন দিলে কেমন হয়। ওর সাথে তো যোগাযোগ করা হয়নি। তাছাড়া তাশরিফের সাথে আমার কাজ করার বিষয়টা আদৌ ফাইনাল কিনা ওকে জানানো দরকার।
দুম করে শেহনাজকে কল দিয়ে বসি।
: হ্যালো ইরা কি অবস্থা তোমার, হঠাৎ কল দিলে?
আমি কেমন জানি বিব্রত হচ্ছি। কথাটা বলবো কিনা।
তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।
: ভালো, তুমি কি ব্যস্ত?
: হুম খুব ব্যস্ত।
আমি আচমকা বেকায়দায় পড়ে যাই।
: ওহ, তাহলে ফোনটা রেখে দিই।
: না না তুমি বলো কেন ফোন করেছো?
: না মানে তাশরিফ রায়হানের সাথে কি তোমার কোন কথা হয়েছে?
শেহনাজকে উদ্বিগ্ন মনে হল।
: কেন কি বিষয়ে?
আমি পড়লাম আরেক লজ্জায়। তার মানে তাশরিফ এসবের কিছুই শেহনাজকে জানায়নি।
অথচ আমি বিষয়টাকে অনেক বড় করে দেখছি।
কিন্ত এখন কি এটা বলা ঠিক হবে?
নাকি ঠিক হবে না।
: না কিছু না।
ওপাশে শেহনাজকে মনে হলো একটু তাড়াহুড়ো করছে। নাকি বিরক্ত হয়েছে।
: ঠিক আছে ইরা তাহলে রাখি, আমার একটু তাড়া আছে।
আমি একটা কিছু বলার আগেই লাইন কেটে দিলো।
আমি কেমন জানি বোকা হয়ে গেলাম। অযথাই নিজের ব্যাপারে অন্যকে বলা উচিত হয়নি।
ধুর। কালো মুখে বসে আছি। ঘড়ি দেখলাম আরও বিশ মিনিট বাকী আধঘন্টা হতে।
সময় কাটছে না।
এদিকে ভরপুর আড্ডায় জমে গেছে আশপাশ। কেবল আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখছি।
মনের ভেতর অনেক প্রশ্ন। আসলেই কি ঠিক হলো তাশরিফের সাথে এভাবে দেখা করার বিষয়টা।
নাকি সুযোগটা এলো বলে রাতারাতি লোভী হয়ে গেলাম।
লোভী হই আর সুযোগী হই আমাকে এভাবে কেউ বলেনি আগে। তাই মনের মাঝের লুকানো ইচ্ছেটা আজ এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
সময় খুব বড় নিয়ামক। সময়ের চাহিদাও কতটা ভিন্ন হয়।
একসময় যা ভাবতেই পারিনি আজ তা ভেবে বসে আছি। সংসারের চোরাবালিতে মেয়েরা ডুবে যায় বলে নিজের অপুর্নতারা মুখ চাপা দিয়ে থাকে।
কিন্ত
কই রাতুল তো কোনদিন আমায় এভাবে বলেনি যে ইরা তুমি একটা কিছু করো কিংবা যাই ভালো লাগে সেটা করো।
গান যে আমি গাই রাতুল ভালো করে জানে। আমিও ওর সাথে আমার জীবনের স্মরণীয় সময়গুলোর কথা শেয়ার করেছি।
আবেগে মনে করতাম পুরানো দিনের কথা কিন্ত রাতুল কখনও বলত না ” তোমার ইচ্ছে হলে আবার গান করো “।
অথচ বহুদিন ঠিক এই কথাটাই আমি শুনতে চেয়েছি। কিন্ত শোনা হয়নি। আমার সপ্ত রঙিন আকাশটা তারপর ধীরে ধীরে ধুসর হল। রঙিন মেঘের দল বর্ণহীন হল। তারপর আমি ভুলে যেতে বসেছি ধীরে ধীরে রঙের আকাশটাকে।
কিন্ত আজ এতদিন পর নতুন রঙে আকাশটা দেখতে ইচ্ছে হল।
রাতুল না বলুক।
আমি নিজেই এখন তুলির আচঁড়ে রাঙিয়ে দিবো আমার আকাশকে।
আধঘন্টা পার হয়েছে কিন্ত তাশরিফ এলো না।
প্রচন্ড অফ মুডে বসে আছি। এমন সময় ছোট্ট একটা মেসেজ ” সরি, আজ চলে যান “।
কয়েক সেকেন্ডে মনে হলো মাথার উপর বাজ পড়েছে। মানে কি এসবের। ঘটা করে ডেকে এনে এভাবে কি অপমান না করলে হত না।
খুব লজ্জা লাগছে আমার। খুব।
আমার শিরা উপশিরায় লজ্জার স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
তার মানে লোকটা আমাকে বাজিয়ে দেখার জন্যই এখানে ডেকে এনেছে।
লজ্জার আগুন ভেতরে পুড়ে ছাই করে দিচ্ছে আমাকে। কেন আমি এত বড় কাজটা করতে এলাম। এখন এই কথা অনেকেই জানবে। শেহনাজ জানবে। ছিঃ! । তারপর রাতুলও জেনে যাবে। তারপর আমার সন্মানটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
অপমানের জ্বালা এখন চোখ বেয়ে ঝরছে।
নোনাজল হয়ে। আমি কেঁদে ফেললাম। তারপর হঠাৎ কি মনে করে নিজেকে সামলে নিলাম।
চট করে হাতব্যাগটা নিয়ে কাউন্টারে বিল মিটিয়ে ডোর খুলতেই চোখ ছানাবড়া।
বিশাল একটা ফুলের তোড়া আমার সামনে।
বিস্মিত আমি হতবাক হয়ে ঠায় দাড়িয়ে রইলাম।
এসব কি হচ্ছে।
“শুভ কামনা ইরা” পরিচিত একটা উচ্ছসিত কন্ঠের চিৎকারে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। তখনও তোড়াটা আমার সামনে। পেছনে কে বা কারা কিছুই দেখতে পারছিলাম না।
এক ঝটকায় তোড়াটা সরে যেতেই দেখি তাশরিফ শেহনাজ এবং আরো দুজন অপরিচিত ব্যক্তি।
ওরা সবাই মিটিমিটি হাসছে। আমি পুরাই বোকা হয়ে গেছি।
: কি কেমন চমকে দিলাম তোমায়?
শেহনাজ হাসছে। ওর হাসিটা এই মুহুর্তে আমার কাছে সেরা উপহার। আমার মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। অফুরান আনন্দের একটা স্বপ্ন। কিন্ত স্বপ্ন কি বাস্তবে এসে দাঁড়ায়? যা এই মুহুর্তে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
তাশরিফ রায়হান হাত ইশারায় সরি বললো।
: বিশ্বাস করুন এতে আমার কোন হাত ছিল না, আমি শুধু রোল প্লে করেছি।
আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে এই অপ্রত্যাশিত পাওয়ার কারনে।
পুরো রেস্টুরেন্টে সবাই মুগ্ধ হয়ে এই দৃশ্য দেখছে।
সবার দৃষ্টিতে দারুন একটা ব্যাপার ছিল। যেটা আমার জন্য ক্ষনিকের এক বিশাল প্রাপ্তি। যেন এটাই হওয়া উচিত ছিল।
তাশরিফ চট করে বাকী দুজনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
একজন আবির আহমেদ। তিনি গান লিখেন। আর অন্যজন রিশাদ ইমতিয়াজ। তিনি মিউজিক ডিরেক্টর।
: হ্যালো।
: হাই।
পরিচয় পর্ব শেষে আমরা একটা কর্নারে বসি। এটা আগেই বুকড করা ছিল। খুব সুন্দর করে কর্নারটা ডেকোরেশন করা। আমি প্রতি মুহুর্তে অবাক হচ্ছিলাম। এটা কি করে সম্ভব। এতটা সৌভাগ্য আমার পাওনা ছিল।
শেহনাজ আমার পাশে বসেছে।
আমরা বসার সাথে সাথে ওয়েটার এসে হাজির। খাবারের মেনু হাতে।
শেহনাজ মেনু দেখে খাবার অর্ডার করল।
তাশরিফ এর সাথে বাকী দুজন কি নিয়ে যেন কথা বলছিল।
শেহনাজ ফিসফস করে আমাকে খোচা মেরে নানা কথা বলছে।
: কি কেমন সারপ্রাইজড হলে?
আমি ঠোঁটের কোনে ভালো লাগাটা আটকে রাখি।
: খুব বেশী মন খারাপ হয়েছিল না?
: না, বেশী হয়নি তবে,
শেহনাজ কলকল সুরে কথা বলছিল। আর আমি তা শুনছিলাম। শুনছিলাম ওদের প্লানের কথা।
ভালোই লাগছিল শুনতে।
একটা খাম তাশরিফের হাতে। সে ওটা আমার দিকে বাড়িয়ে ধরেছে।
: প্লিজ টেক ইট।
: কি এটা?
আমি প্রশ্নটা করতেই তাশরিফ সাথে সাথেই বললো।
: আপনার সন্মানী।
আমার মুখে কোন কথা নেই। ভাষাহীন অপলক চোখে একরাশ কৃতজ্ঞতা। সৃষ্টাকে কেবল বললাম ভালো থাকাটা সবই তোমার কৃপা।
তাশরিফ হাসছে। ওর চোখেও কৃতজ্ঞতা তবে তা আমাকে পরিপূর্ন একটা অধ্যায় শুরু করিয়ে দেবার জন্য।
কিন্ত এতকিছু রাতুল জেনে গেলে এরপর কি হবে,,
চিন্তাটা মাথায় আসতেই আমার অস্বস্তি, শুরু হয়ে গেলো। পারবো কি আমি রাতুল সংসার সব মানিয়ে নিজের চাওয়াটা সত্য করতে। অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছি।
কিন্ত হঠাৎ অপরিচিত কন্ঠটা শুনে ফিরে তাকাই।
: ইরা তাবাসসুম আপনার সাথে চুক্তিনামাটা তাহলে করে নিই কি বলেন?
রিশাদ ইমতিয়াজ একটা কাগজ বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে।
কাগজটা আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। কিন্ত আমার মনে হচ্ছিল ওটা কাগজ নয় এক টুকরো স্বপ্নের দলিল।
বি: দ্র- প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার ভালবাসার পাঠকের কাছ থেকে দেরী করে পর্ব দেবার ইচ্ছে একদমই নেই। কিন্ত অনিচ্ছাকৃত এই দেরীর জন্য সত্যি আমি দুঃখিত।
আবারও ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতা প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্য,, পাশে আছেন, কাছে রয়েছেন,, আর উজাড় করা সমর্থন দিয়েছেন আমার এই লেখার জন্য বলে❤️❤️❤️
….. তামান্না হাসান