গল্প – ইরার কথা
পর্ব – ৫
রাত্রি এগারটা।
উত্তরা থেকে গাড়ি হু হু করে ছুটছে। গ্লাস লক করা। কিন্ত আমার গরম লাগছে। যদিও এখন মার্চের শেষ। খুব সহনীয় গরম। এই সহনীয় গরমে আমি বিপাকে আছি। হঠাৎ করে এতদিন পর গান করেছি আর সেই গানের রিএক্যশান রাতুলকে নাস্তানাবুদ করছে। এরপর সেটার পরবর্তী ধাক্কাটা সামলে নিতে কি কি করা যায় ভাবা দরকার। আড়ে আড়ে রাতুলকে দেখলাম। বেচারা শকড হয়ে আছে। চোখ মুখ তাই বলে। রাগ দুঃখের মিশ্র ছাপ। ইয়ারফোন কানে গোজা। কি জানি দুঃখের গান শুনছে কিনা।
এসির বাতাস গায়ে লাগছে না আমার। কুলকুল হিম বাতাসকে মরুভুমির বাতাস মনে হচ্ছে।
মিনুর সাথে আরিয়ান বসেছে সামনের সিটে। ড্রাইভারের পাশে। তার কাজ হল একটু পর পর পেছনের দিকে তাকানো। উদ্দেশ্য মাকে দেখা। যতবার এভাবে মাকে দেখে ততবার গাল ভরা একটা হাসি দেবে। শান্তির হাসি।
আমিও শান্তির আশায় আনিসকে অর্ডার করি।
: আনিস গ্লাসটা নামিয়ে দাও।
কিন্ত সে পাল্টা জবাব দেয়।
: ম্যাডাম এসি বাড়িয়ে দিই?
বাড়তি কথা আমার ভালো লাগে না। কিছুই বলিনি আর। ড্রাইভার ছেলেটা অতি ভদ্র।অতি ভদ্রতার বাড়াবাড়িও আছে। আনিস সেটা প্রায় করে। এটা বিরক্তকর।
অন্যদিন হলে হয়তো রাগ নিয়ে তাকাতাম। আমার রাগের প্রকাশ আবার ভিন্ন।
আজ সেসবের কিছু করলাম না। নিজেকে কন্ট্রোল করি।
আমার চুপ থাকা দেখে রাতুল আনিসকে বলে এসি বন্ধ করে গ্লাস খুলতে বলে। রাতুল হঠাৎ করে আমাকে কেয়ারিং করছে। করুক গিয়ে। কেন কি কারনে অত জানার ইচ্ছেটা নাই।
শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে পেছনে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করি। খুব টায়ার্ড লাগছে।
: তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে?
আমি চোখ বন্ধ অবস্থায় মাথা নাড়ি।
: মানে কি?
রাতুলের এমন উদ্বেগ নতুন নয়। কোথাও গেলে কারোর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে সে খুবই অস্থির থাকে।
: গাড়ি থামাবো?
: কেন সমস্যা নাই তো।
তবুও তার অস্থিরতা কমে না।
অন্ধকারে সে আমার হাত টেনে নেয়। তারপর পেছন থেকে একহাতে আকঁড়ে ধরে।
ওর শরীরের গন্ধ পাচ্ছি। তীব্র নেশা ধরা। আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে। চেনা মানুষের চেনা ঘ্রানে।
: কফি খাবে ইরা?
রাতের আঁধারে রাতুলকে কেমন অচেনা লাগল। মনে হল অনেক দুরের কেউ।
: না, লাগবে না।
এয়ারপোর্ট রোডে শুনশান নিরবতা। এখানে রাত্রির রূপটা কেমন জানি ভিন্ন। অত ফাঁকা নিরিবিলিতে এলেও গা ছমছম করে। দু পাশে গাড়ির সংখ্যা কম। বাইকের সংখ্যা বেশী। বেশী মেয়ের সংখ্যাও। একটা বাইকে দুইটা ছেলেমেয়ের খুনসুটি চোখে পড়ল। মেয়েটির পরনে টিশার্ট আর ট্রাউজার।। চুল খোলা। এলোমেলো ভাবভঙি। ছেলেটিকে অহেতুক জড়িয়ে ধরে রেখেছে সে। বিষয়টা বাজে। এগুলো শুধু রাত নয় দিনের আলোতেও হয়। তখন কারোর মাঝে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় না এতে। বিষয়টা হল আমরা দিনে দিনে এসবে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। যেটাকে বলে মেনে নেয়া মানিয়ে নেয়া অথবা সয়ে যাওয়া। আমরা খারাপ কিছুকে মানিয়ে নিচ্ছি। সবাইকে।মানতে বলছি। যেন এইটাই স্বাভাবিক। অথচ হওয়া উচিত এর উল্টোটা।
যেমন লোকজন এমন ধরনের কিছু দেখলে এদের ডেকে বলবে এটা কেন করছো বা এসব বন্ধ করো। বাড়ি যাও।
রাস্তায় বা পাবলিক প্লেসে ন্যুনতম ভদ্রতা বজায় রাখো।
আমি এই মুহুর্তে ভাবলাম এদের থামিয়ে জেরা করি। বিষয়টা কি বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে?
নোংরা কাজে বাড়াবাড়ি যদি ঠিক বলে ধরে নেয়া হয় তবে ভালো কাজের বাড়াবাড়ি দোষ হবে কেন।
দোষ হলে হোক তবুও আমি জিজ্ঞেস করবো।
আমি নড়েচড়ে বসেছি। রাতুলকে ডেকে বললাম।
: এ্যাই রাতুল ঐ বাইকটাকে ফলো করতে বলো আনিসকে। তারপর বাইকটার সামনে গিয়ে ওটাকে থামাও। আমি ঐ ছেলেমেয়েগুলোকে কিছু জিজ্ঞাস করবো।
রাতুলের প্রতিক্রিয়া ভয়ংকর হল।
সে ইয়ারফোন খুলে বিশ্রী রকম কথাবার্তা বলা শুরু করল।
: পাগল হয়ে গেছো ইরা?
আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছি। কিন্ত রাতুল করছে এর বিপরীত। সে এমনই। অল্পতে রেগে যায়। কুৎসিত ব্যবহার করে। এবং তার মনমতো না হলে আরো ভয়াবহ বিষয়।
: পাগল আমি রাতুল নাকি ওরা, তুমিই বলো তো,এই যে অত রাতে ওরা রাস্তায় ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে যা খুশী করছে অথচ আমরা তাকিয়ে দেখছি আমাদের উচিত কি বলো তো?
আমার কথা শুনে রাতুল তাচ্ছিল্য নয় খুশী খুশী ভাব নিয়ে তাকাচ্ছে ওদের দিকে।
: অসুবিধা কি তোমার ? এরা লাইফটা এনজয় করছে করুক।
আর শোনো অত নীতি কথা শুনিয়ো না। তোমার নীতিতে জগত চলবে না।
নিজে মানো ভালো কথা। নিজেকে আইডল করে দেখাও। তখন বুঝবা মানুষের কথা কত রকম হতে পারে।
আমার রাগ হল খুব। অনেক কিছু বলতে চাইলাম। কিন্ত এখানে বলাটা অনুচিত।
অনেক রাত পর্যন্ত রাতুল ব্যলকনিতে বসেছিল। সিগারেট টানছে একের পর এক। দিন দিন সে চেইন স্মোকার হয়ে যাচ্ছে। আমি শুয়ে পড়েছি। ঘুম আসছে না একটুও। এপাশ ওপাশ করছি। কিছুটা ঘুম ঘুম ভাব আসতেই ফোন বেজে উঠে।
নীল আলোতে দেখি অচেনা নাম্বার। তাই কল রিসিভ করলাম না।
কিছুক্ষন পর আবার কল এলো।
ব্যালকনি থেকে রাতুল চেঁচিয়ে উঠে।
: এত রাতে কে ফোন দিছে ইরা?
: চিনি না।
: চিনো না তাহলে এতবার ফোন দিচ্ছে কেন?
আমি চুপ করে পড়ে আছি। চুলটা আলুথালু হয়ে আছে।
বিছানা থেকে নেমে চিরুনি নিয়ে পাশের রুমে চলে যাই। ছেলেটাকে একবার দেখেও আসি। নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
এমন সময় আবার কল এলো। আমি দ্রুত পায়ে রুমে ঢুকতেই দেখি রাতুল।
ওর চোখে চোখ পড়ল। বিরক্ত রাগ সব মেশানো সেই চোখে।
আমি ফোন হাতে নিয়ে দেখি তাশরিফ রায়হানের কল।
রিসিভ করলাম।
: হাই?
: হ্যালো।
: সরি এত রাতে কল দেবার জন্য।
আমি ঠিক স্বাভাবিক হতে পারছি না। গলা কেঁপে কেঁপে যাচ্ছে।
: না না ঠিক আছে। বলুন কেন ফোন করেছেন?
ওপাশে তাশরিফ হাসল। খানিকটা দম নিয়ে কথা বলছে।
: আপনার সাথে কাজ করতে চাই। যদি আপনি রাজী থাকেন।
আমি এতটা দুর চিন্তা করিনি। তাই সাথে সাথে কি বলবো মাথায় আসছে না। আমাকে চুপ থাকতে দেখে তাশরিফ আবারও একই কথা বললো।
: আপনার গানের গলাটা অসাধারন। অথচ কতটা অবহেলা করছেন। আশ্চর্য!
মন খারাপ করা কথা কিন্ত চরম সত্য। আমি অবহেলার ঝাপিতে সুন্দরকে চাপা দিয়েছি। না বুঝেই। নিজের ভালোলাগাকে যত্ন করিনি। নিজেকেও না। কর্তব্য দায়িত্ব এই শব্দগুলো রোজ শুনতাম বলে।
তাই যন্ত্রের মত সকাল দুপুর রাত তেল নুনের ফর্দ করে রাতুলকে বোঝাতে চেয়েছি আমি সব পারি।
দক্ষতার চাবি হাতের মুঠোয় নিয়েছি শুধুমাত্র রাতুলের মন জোগাতে। আমরা মেয়েরা মনের ঘরে দৌড়াই মনের কথাও লুকাই কিন্ত নিজের মনকে কখনও জিজ্ঞাস করি না ” তুই আসলে কি চাস “। আক্ষরিক অর্থে আসলেই আমরা অনুভূতিহীন।
নইলে একবার হলেও নিজের চাওয়ার মূল্যটুকু বুঝতে চাইতাম।
পুরুষদের চাওয়ার লিস্টে আমাদের অনুভুতির কতটুকু মূল্য আছে এটাও জানি না।
হায় রে বোকা।
কিন্ত বোকা নির্বোধ হলে এতটা হতে নেই।
সংসার সমুদ্রে আমি ডুবে গেছি ভালবাসার কাঙাল হয়ে। আমার সংকীর্ন চিন্তাটা সবসময় রাতুলকে নিয়ে ঘুরতো। ভাবতাম ওকে সন্তষ্ট করাই আমার কাজ।
দিনের পর দিন আমি চাইতাম রাতুল আমায় বলুক তোমায় নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
কিন্ত এটা কখনও ভেবে দেখিনি রাতুল কেন আমায় নিয়ে ভাবে না। কেন ও আমায় বলে না
তুমি কি আমায় নিয়ে ভালো আছো?
একতরফা সন্তষ্টি বা এক তরফা ভালবাসা দিয়ে আদতে কি সংসার হয়। হয় নাতো।
মেয়েরা ঘর পায় সংসার পায়। কিন্ত সেটা নিজের ঘর নয়, নিজের সংসারও নয়।
পরের ঘর, পরের সংসার।
মিছে এই জীবনের সব।
সবই।
সংসারে সব থাকে। দোষগুনের যাচাই থাকে। ভালবাসা ঘৃনার হিসাব থাকে। তাই বলে বাটখারার ওজনে তুমি আমি মাপা যায় কি।
কিন্ত আমাদের মেয়েগুলো সবসময় দাঁড়িপাল্লার ওজনে সংসারে দুলতে থাকে।
ওজনহীন বস্তুর মত মেয়েগুলো মূল্যহীন হতে হতে তলানিতে পড়ে যায়।তবে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হল ওরা সেটা টেরই পায় না।
বুঝেও না।
যেমন আমি বুঝিনি।
বুক চিরে বেরিয়ে এল একটা দীর্ঘশ্বাস। নিঃশব্দ রাত্রিতে সেই শব্দটা নিজের কানে বড় বাজল।
: আপনি কি চিন্তিত?
আমি অতলে ডুবে গেছি ক্ষনিকের জন্য।
; নাতো।
আমি জোর করে হাসলাম।
: ওকে। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আমাকে কনফার্ম করবেন। লিরিকস তেরী আছে।
: ঠিক আছে।
: ফোন দিবেন কিন্ত আমি অপেক্ষায় থাকব।
ছেলেটা যথেষ্ট ভদ্র। তাই অন্তত মনে হল।
হঠাৎ খট করে একটা শব্দ। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাইনি। কিন্ত রাতুল এখানে কেন। ওর তো রুমে থাকার কথা। আমি হাঁটতে হাঁটতে গেস্টরুমে চলে এসেছিলাম। তার মানে রাতুলও পেছনে এসেছে।
: এত কথা কার সাথে ইরা?
অন্ধকারে রাতুলের চোখে অবিশ্বাসের ছায়া দেখছি।
: গানের বিষয়ে কথা হচ্ছিল।
: আহা জানি তো। বলছিলাম লোকটা কে?
: সবই যখন জানো তাহলে এটাও তো জানো কার সাথে কথা হয়েছে।
রাতুল রেগে গেছে।
: ফাইজলামি করো না ইরা, বেশ বলতে শিখে গেছো দেখছি।
সমঝোতা সমঝোতা। সংসার মানেই সমঝোতা।
এসব আচরন কি সমঝোতার নমুনা। কি বলব নিজেকে।
: তুমি অত বাজে বিহেভ করছো কেন রাতুল।
মুখটা কানের কাছে এনে রাতুল ফিসফিস করে বললো।
: একদিনেই তোমার ভালো উন্নতি হয়ে গেছে ইরা।
আমি নিজের মধ্যে আটকে গেছি। এটাই সত্য।
: তুমি কি চাও না আমি গান করি?
: কিসের গান ইরা, সংসার করতে এসে তুমি নিশ্চয় আজেবাজে করবা না। আরিয়ানকে টেক কেয়ার করা তোমার একমাত্র কাজ।
আমার মন বিষিয়ে যাচ্ছে। আশ্চর্য। এগুলো কোন টাইপের কথা।
আমি নরম সুরে কথা বলছি
: সংসারটাও আমার। সবার সবকিছু যদি আমার দায়িত্ব হয় তবে আমার চাওয়াটাও তোমায় দেখতে হবে রাতুল।
এক টানে রাতুল আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। ওর শক্তিতে পেরে উঠা কঠিন।
আমি উত্তাপে জ্বলে যাচ্ছি। রোদ্দুর উত্তাপে নয়। রাতুলের উত্তাপে। কর্তব্যের খেরোখাতায় রোজই মাঝরাত্রির লাগামহীন উত্তাপে আমি পুড়ে যাই।
শরীর সুখ মনের সুখ সংসারের সুখ সব দায়ভার একার আমার।
এখানে আমার আমি বলতে কেউ নেই।
আমার চাওয়া নেই।
নেই কোন ভালো লাগা।
নেই এতটুকু আত্নতৃপ্তি।
আলো নিভিয়ে দিয়েছে রাতুল। পূর্নিমার জ্বলজ্বল সুখের পশরা এখন আমার বিছানা জুড়ে। একটা ঢেউ বয়ে যাচ্ছে পুরো শরীর বেয়ে। তীব্র স্রোতের আলোড়ন সেই ঢেউশে। কাঁপন ধরেছে আমার মন শরীরে। আধো স্বপ্ন আধো সুখের সেই ঢেউয়ে রাতুল আমাকে ভাসিয়ে নেয় রোজই। কখনও আমার ইচ্ছায় কখনও অনিচ্ছায় কখনও জোর করে।
: রাতুল তুমি আমায়,,
কথাটা বলা হলো না। ওর ভেজা ঠোঁটের স্পর্শে আমি থেমে গেলাম।
বি: দ্র- প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে।নিচ্ছি অনিচ্ছাকৃত দেরী করে এই পর্বটা দেবার জন্য।
একটা জরুরী প্রয়োজনে খুব বিজি ছিলাম আর তার উপর নেট সমস্যা ছিল ভয়াবহ।
টাইপিং করতেই পারছিলাম না। পুরো একটা দিন এমন ছিল।
অনেকে বারবার নক করে পর্বটা চাইছিলেন। আমি সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ আমার ভালবাসার পাঠকদের কাছে।❤️❤️❤️❤️
এতটা প্রাপ্তি আমার সৌভাগ্য।
তাই শুকরিয়া উপরওয়ালার প্রতিও।
তবে অদ্ভুত রকম একটা সত্য তুলে ধরতে চাই।
আজকের পর্বে প্রথম প্যারা যখন লিখলাম।
সেটা ছিল “উত্তরা থেকে গাড়ি হু হু করে ছুটছে ”
আমি সত্যি সত্যিই গত পরশু উত্তরা থেকে ছুটছিলাম আমার গন্তব্যে। গাড়িতে বসেই লেখা হয়েছে প্রথম অংশটুকু।
এরপর এয়ারপোর্ট রোডে যা যা ঘটেছে সবটাই তুলে এনেছি।
আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছু দেখি যা নাড়া দেয়। মনকে বিষিয়ে দেয়। প্রশ্ন জাগায়। চেষ্টা করি সমাজের ভুলগুলো দেখিয়ে দিতে। চাই শুধরে যাক সব খারাপ।
হয় না।
তবে হবে।
হবে কোন একদিন।
অপেক্ষায় সেই সময়ের।
আবারও ভালবাসা প্রিয় সব পাঠকদের জন্য।
সবার এতো সুন্দর সুন্দর কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া সম্ভব হয় না বলে মন থেকে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
কিন্ত এই কমেন্টগুলো আমার লেখার মূল শক্তি।
এটাই সত্য।
…. তামান্না হাসান