#ভুলবশত_প্রেম পর্ব ৪৯

0
464

#ভুলবশত_প্রেম পর্ব ৪৯
#লেখনীতে:সারা মেহেক

৪৯

রোহান ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। কিন্তু আমার পিছিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। উনার চোখেমুখে এ মুহূর্তে যে হিংস্রতা ফুটে উঠেছে তা ভেতর থেকে আমাকে কাঁপিয়ে দিলো। আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাসে চোখের সামনে সব কিছু ঝাপসা হতে শুরু করলো। কিন্তু হতবুদ্ধিকর পরিস্থিতিতে পরার পূর্বেই আমি নিজেকে শক্ত করলাম। মস্তিষ্ককে সচল হতে কঠিন চাপ দিলাম। যেনো সে আমায় সাহায্য করে। আমার এখন সাহায্যের দরকার। অন্য কারোর নয়, নিজের। এ মুহূর্তে নিজেই নিজের একমাত্র ভরসাস্থল।

রোহান ভাইয়ার অগ্রসরমান পদক্ষেপে আমি শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে উনাকে ধাক্কা দিলাম৷ রোহান ভাইয়া আচমকা প্রতীয়মান ঘটনায় টাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে পড়ে যান৷ তৎক্ষণাৎ কাল বিলম্ব না করে আমি উঠে দাঁড়ালাম। মেঝে থেকে উঠে দাঁড়াতে আমাকে বেগ পেতে হলো। হাত দুটো পিছনে বাঁধা থাকায় শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। তবুও ক্ষণিকের চেষ্টায় উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হলাম। দরজার লক্ষ্য করে দৌড়াতে নিলেই আচমকা রোহান ভাইয়া আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরেন। কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই ধাক্কা দিয়ে আমাকে মেঝেতে ফেলে দিলেন উনি। হাত পেছনে থাকায় প্রথম দফায় আঘাত লাগলো হাতে। প্রচণ্ড জোরে। মনে হলো হাতের আঙুলগুলো মড়মড় করে ভেঙে গেলো৷ ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলাম আমি। রোহান ভাইয়া আমার দিকে চেয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন,
” ভালোই চালাকি করতে পারসি তো তুই! কিন্তু এসবের আগে তোর এটা মনে রাখা উচিত, এমন পরিস্থিতিতে একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ে কখনোই পেরে উঠতে পারে না।”

এই বলে উনি পুনরায় আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন৷ এদিকে ব্যাথার চোটে আত্মরক্ষা করার মতো শক্তিটুকু পাচ্ছি না। ঠোঁট কামড়ে ধরে উঠে বসার চেষ্টা করলাম। ততক্ষণে রোহান ভাইয়া প্রায় আমার কাছে চলে এসেছেন৷ উনার হিংস্র ধাবা আমার দিকে এগিয়ে দিতেই আমি কোমড়ের ব্যাথা উপেক্ষা করে পাশে সরে এলাম। রোহান ভাইয়া তীক্ষ্ণ হাসি দিয়ে বললেন,
” কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারবি? এই রুমের বাইরে যাওয়ার মতো ক্ষমতা তোর নেই, এটুকু জেনে নে।”
এই বলে রোহান ভাইয়া আমার দিকে পুনরায় এগিয়ে আসতে নিলেন। এ পর্যায়ে উনার ভারসাম্য টালমাটাল করে দিতে এক পা দিয়ে উনার পায়ের মাঝ বরাবর লাথি দিলাম। তৎক্ষনাৎ উনি ভারসাম্য হারিয়ে পুনরায় মেঝেতে পড়ে গেলেন। হয়তো পায়ে বেশ ব্যাথা পেয়েছেন উনি৷ ফলে ব্যাথায় ককিয়ে উঠে অ’শ্রাব্য ভাষায় আমাকে গা’লি দিলেন উনি। আমি সেদিকে তোয়াক্কা না করে কষ্টেসৃষ্টে উঠে দাঁড়ালাম। এ মুহূর্তে হাতের বাঁধন খোলা আবশ্যক হয়ে গিয়েছে আমার জন্য। কিন্তু এ কাপড়ের বাঁধন কেউ খুলে না দেওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই খোলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। ঐ অবস্থাতেই আমি দরজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কোনোমতে দৌড়ে দরজার কাছে যেতেই রোহান ভাইয়া পুনরায় আমাকে পিছন থেকে জাপটে ধরলেন৷ উনার বাঁধন হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে প্রাণপণে চেষ্টা করে চলছি আমি৷ কিন্তু উনার শক্তির সাথে কিছুতেই পেরে উঠতে পারছি না। আমার এ প্রচেষ্টা দেখে রোহান ভাইয়া পূর্বের তুলনায় আরো শক্ত করে জাপটে ধরলেন আমায়। দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
” এতো তেজ আসে কোথা থেকে? আমাকে এতো ঘুরানোর পরিণাম তোকে আজ ভোগ করতে হবে। আমার সাথে এতো চালাকি হবে না। ”

এই রোহান ভাইয়া আমাকে বাজেভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করলেন। উনার এ স্পর্শে আমার গা গুলিয়ে বমি আসতে লাগলো। নিজের শরীরের প্রতি নিজেরই ঘৃণা ধরে গেলো।
নিজেকে বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে আমার পা দিয়ে রোহান ভাইয়ার পায়ে শক্ত করে চাপা দিলাম। অতর্কিতে আক্রমণ হওয়ায় রোহান ভাইয়ার বাঁধন আলগা হয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ সুযোগ বুঝে দরজার কাছে চলে আসি আমি৷ দরজা হালকা ভিড়িয়ে দেওয়া থাকায় সহজেই পা দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসি আমি। লম্বা করিডোর ধরে দৌড়াতে থাকি৷ করিডোরের শেষপ্রান্তে পৌঁছাতেই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম রোহান ভাইয়া রুম থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ উনাকে দেখে আমার মাঝে চাপা ভয়টা পুনরায় জেগে উঠলো। এতক্ষণ আমার মাঝে ভয়টা যেনো প্রায় না-ই হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বেঁচে ফেরার পথ পেয়ে এবং উনাকে আমার পিছু নিতে দেখে আমার মাঝে ভয়ের সঞ্চার হলো।
আমি প্রাণপণে ছুটে চলছি। দৌড়াতে দৌড়াতে বিল্ডিং এর প্রধান গেটের সামনে চলে এসেছি। ভেবেছিলাম গেটে হয়তো দারোয়ান থাকবে এবং আমি তার কাছ থেকে সাহায্য নিবো। কিন্তু গেটের আশেপাশে কোনো দারোয়ানকে দেখতে পেলাম না আমি। সাহায্যের শেষ আশাটুকুও ক্ষীণ হতে শুরু করলো। আমি গেট পেরিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলাম। রোহান ভাইয়া দৌড়াতে দৌড়াতে আমার নাগালে চলে এসেছেন।
কয়েক কদম যেতেই আচমকা আদ্রিশের গাড়ি দেখতে পেলাম। মুহূর্তমধ্যেই খুশিতে আমার চোখজোড়া চকচক করে উঠলো। স্পষ্ট অনুভব করলাম, আদ্রিশের গাড়ি দেখে আমার ঠোঁটের কোনে বিজয়ী হাসি ফুটে উঠেছে। সাথে আমার দু চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো। হয়তো আদ্রিশকে এ মুহূর্তে এখানে পেয়ে। কিন্তু আমি স্বস্তি অনুভব করলাম৷
আমায় দেখামাত্র আদ্রিশ গাড়িতে ব্রেক কষলেন। হন্তদন্ত করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার কাছে ছুটে এলেন। আমায় দেখে মলিন হেসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। উনাকে কাছে পেয়ে আমার নিঃশব্দের কান্না তখন আওয়াজ তুলে আমার বুক চিড়ে বেরিয়ে এলো। আমি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলাম। সে মুহূর্তে আদ্রিশকে অনেক কিছু বলার থাকলেও কান্নার দমকে কিছুই বলতে পারলাম না৷ উনি মলিন হেসে বললেন,
” অবশেষে পেলাম তোমায়। আমি ভেবেছিলাম…..”

আদ্রিশের কথা সম্পূর্ণ শেষ হতে না হতেই রোহান ভাইয়া গলা উঁচিয়ে বললেন,
” তোকে এখানে মোটেও আশা করিনি আদ্রিশ।”

আদ্রিশ রোহান ভাইয়ার কথা কানে তুললেন না৷ আমার দিকে ক্ষণিকের জন্য উদ্বিগ্ন চাহনিতে চেয়ে রইলেন। অতঃপর আমার হাতের বাঁধন খুলে দিতে দিতে শান্ত গলা বললেন,
” গাড়িতে গিয়ে বসো। আমি না বলা পর্যন্ত বের হবে না। ”

আমি বাধ্য মেয়ের মতো আদ্রিশের কথা শুনে ফুঁপাতে ফুঁপাতে গাড়িতে গিয়ে বসলাম। আদ্রিশ আমাকে গাড়িতে রেখে গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। মুহূর্তমধ্যেই কোমড়ের পিছন থেকে পিস্তল বের করে রোহান ভাইয়ার দিকে তাক করলেন। রোহান ভাইয়া আদ্রিশের বরাবর দাঁড়িয়ে আছেন। আদ্রিশের হাতে পিস্তল দেখে উনার চেহারা মুহূর্তেই পাংশুটে বর্ণ ধারণ করলো। উনি আমতা আমতা করে বললেন,
” এটা কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে আদ্রিশ। এভাবে কথা নেই বার্তা নেই হুট করে পিস্তল তাক করলি কেনো?”

আদ্রিশ শক্ত কণ্ঠে বললেন,
” তোর মতো মানুষের জন্য শুধু পিস্তল তাক করে রাখলে হবে না। পিস্তলের সব ক’টা গুলি তোর বুকের মধ্যে বিঁধিয়ে তবেই শান্ত হতে হবে।”

রোহান ভাইয়া ভীতসন্ত্রস্ত চাহনিতে আদ্রিশের দিকে চাইলেন। দূর থেকেই হাত উঁচিয়ে আদ্রিশকে বাঁধা দেওয়ার ইশারায় বললেন,
” দেখ আদ্রিশ, পিস্তল নামা৷ ভালো হবে না বলছি।”

” কি ভালো হবে কি হবে না তা তোর ভাবার দরকার নেই। তুই যে কত বড় জা’নো** তা ভালো করে টের পেয়েছি আমি৷ তোর শরীরের অবস্থা দেখেই টের পাচ্ছি, তুই ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে ওকে কিডন্যাপ করিসনি। ”

” তুই জানলি কি করে যে আমরা এখানে আছি?”

” সে কথা তোর জানতে হবে না। আপাতত এখন নিজের প্রাণ বাঁচানোর কথা চিন্তা কর।”
এই বলে চোখের পলকেই আদ্রিশ রোহান ভাইয়ার পেটের ডান দিকে শুট করে দিলেন। উনার তাৎক্ষণিক এ কাজে আমি থ বনে রোহান ভাইয়ার দিকে চেয়ে রইলাম। রোহান ভাইয়া ততক্ষণে গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। ব্যাথায় ককিয়ে উঠে বললেন,
” এটা তুই ঠিক করলি না আদ্রিশ। এর ফল ভালো হবে না বলছি। ”

আদ্রিশের এহেন কাজে আমি কিয়ৎক্ষণ থ বনে বসে রইলাম৷ অতঃপর বড় কিছু ঘটে যাওয়ার ভয়ে উনাকে বাঁধা দিতে আমি গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। কিন্তু উনাকে বাঁধা দেওয়ার পূর্বেই উনি রোহান ভাইয়ার কথার তোয়াক্কা না করে সেদিকে খানিক এগিয়ে গেলেন। আচমকা কিছু বুঝে উঠার আগেই উনি রোহান ভাইয়ার দু পায়ের মাঝ বরাবর গুলি চালিয়ে দিলেন। উনার এহেন কাজে বিস্ময়ে আমার মুখে হাত চলে এলো। আমি বিস্ফোরিত নয়নে একবার আদ্রিশের দিকে, তো একবার রোহান ভাইয়ার দিকে তাকালাম। আদ্রিশের দৃষ্টি কঠিন, চোখমুখ শক্ত। উনি রোহান ভাইয়ার দিকেই পিস্তল তাক করে বললেন,
” কি? মজা লাগলো? খুব তো শখ করেছিলো পুরুষত্ব খাটানোর তাই না? কিন্তু এখন? এখন কি হবে? ”
এই বলে উনি আবারো রোহান ভাইয়ার দু পায়ে দুটো গুলি চালিয়ে দিলেন। পরপর চারবার শুটিং করতে দেখে আমি রীতিমতো ঘাবড়ে গেলাম। বিস্ময়ে কিয়ৎক্ষণের জন্য কথা বলতে ভুলে গেলাম।

রোহান ভাইয়ার পায়ে গুলি করে আদ্রিশ কিয়ৎক্ষণ উনার দিকে চাইলেন। বললেন,
” পিস্তলের চারটা গুলিই বোধহয় তোর ভাগ্যে ছিলো। যাই হোক, এতোদিন পর শুটিং করে বেশ আনন্দ পেলাম। থ্যাংকস ফর দা অপরচুনেটি ইয়ার।”
এই বলে উনি উল্টো পায়ে গাড়ির দিকে এগুতে এগুতে শক্ত কণ্ঠে আমায় উদ্দেশ্য করে বললেন,
” গাড়িতে বসো মিশমিশ। ”

আদ্রিশের এ রূপ আমার কাছে অপরিচিত। উনি যে এভাবে রোহান ভাইয়াকে শুট করবে তা কল্পনাতেও ছিলো না। আমি হতভম্ব চাহনিতে উনার দিকে কিয়ৎক্ষণ চেয়ে রইলাম। উনি ততক্ষণে গাড়ির কাছে চলে এসেছেন৷ গাড়ির দরজা খুলতে খুলতে কঠিন দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে বললেন,
” কি হলো? কথা শুনোনি?”

আমি শুকনো একটা ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বললাম,
” হ্যাঁ বসছি। বসছি।”
এই বলে আমি গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম। ক্ষণিকের জন্য ঘাড় ঘুরিয়ে রোহান ভাইয়াকে এক নজর দেখে নিলাম। প্রচণ্ড ব্যাথায় উনি ছটফট করছেন। গোঙাচ্ছেন। উনার এ দূর্দশা দেখে একটু হলেও খারাপ লাগলো আমার৷ যদিও উনি আমার সাথে যা করেছেন তাতে বিন্দুমাত্র সহানুভূতিও আসার কথা না।

আমি ঘাড় ফিরিয়ে আদ্রিশের দিকে চেয়ে বললাম,
” উনি কি এখানেই থাকবে?”

আদ্রিশ ততক্ষণে গাড়িতে বসে পড়েছেন। আচমকা আমায় ধমক দিয়ে বললেন,
” এতো কথা বলো কেনো? গাড়ি থেকে বের হতে বলিনি তাও বের হয়েছো। এখন বসতে বলছি তো বসছো না কেনো?”

আদ্রিশের ধমক শুনে আমি একটু কেঁপে উঠলাম। তৎক্ষনাৎ গাড়িতে বসে পড়লাম। আমার বসা মাত্র আদ্রিশ গাড়ি স্টার্ট দিলেন। বললেন,
” রোহানকে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না। ”

আমি তৎক্ষনাৎ উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললাম,
” উনাকে যেভাবে গুলি মেরেছেন, এতে যদি উনি মারা যায়?”

” মরবে না। আর মরলেও শান্তি। অন্তত সমাজ থেকে একটা কিট তো মরবে। ”

আমি এবার জোর গলায় বললাম,
” আদ্রিশ, ভেবেচিন্তে কথা বলুন। রোহান ভাইয়া মারা গেলে আপনার নামে মা’র্ডা’রের কেস হতে পারে। ভেবে দেখেছেন এটা?”

আদ্রিশ চট করে আমার দিকে ফিরে তাকালেন। ঠাণ্ডা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,
” তোমায় এতো চিন্তা করতে বলিনি৷ ওর বাঁচুক, মরুক, ব্যাপারটা আমি সামলে নিবো। শাহেদ সাহেবের টিম অন দা ওয়ে। উনারা এসে রোহানকে হসপিটালে নিয়ে যাবে। এখন আর একটা কথাও যেনো তোমার মুখ দিয়ে না বের হয়। মাইন্ড ইট।”

এই বলে উনি গাড়ি ঘুরিয়ে বাসার দিকে নিলেন। উনার এ আদেশে আমি একদম নিশ্চুপ বসে রইলাম।
®সারা মেহেক

#চলবে
(দ্রুতই ৫০ তম অর্থাৎ শেষ পর্ব পোস্ট করবো। গল্পটা আর বাড়ানো সম্ভব নয়)
ছবি ক্রেডিট : @nurunnahar tithi আপু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here