#তোমার_পিছু_পিছুপর্ব- ১৩

0
349

#তোমার_পিছু_পিছুপর্ব- ১৩

বর্নর খুব আনইজি লাগছে….. এভাবে কতক্ষন বসে থাকতে হবে কে জানে!!! মিলন সাহেব খুব গভীর আলোচনায় মগ্ন হয়ে আছেন তার ক্লায়েন্টের সাথে….. এবং পারভিন বেগম গভীর মনোযোগ দিয়ে চাইনিজ টি সেট কালেকশনগুলো দেখছেন….. বর্নরা যেই লিভিং রুমটায় বসে আছে….. সেই রুমের একপাশের দেয়ালজুরে বড়সড় একটা ওয়াল সো কেস,,,,,… সেই ওয়াল সো কেসের ভিতরেই নানা সাইজ এবং ডিজাইনের চাইনিজ টি সেটগুলো সযত্নে ঠাই পেয়েছে….. শুধু তাই নয় কিছু খুব সুন্দর সুন্দর মালোয়েশিয়ান ফ্লাওয়ার ভাজও আছে…. এছাড়াও রুমের চারপাশে…. বড় বড় চারটা মাটির ফ্লাওয়ার ভাজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে……

পারভিন বেগম বেশকিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে ছেলের পাশে বসলেন….
-বাপ দেখ… কি সুন্দর সুন্দর চায়ের কাপ….. ভাবছি আমি কয়েকটা আনাবো বাহির থেকে…. গেস্টদের চা-টা দিলে পুরোই অবাক হয়ে যাবে….
বর্ন শুধু ভাবলেশহীন ভাবে মায়ের দিকে তাকালো…. এই মুহুর্তে মা’কে বুঝনোর ঝামেলা নিতে ইচ্ছা করছে না… যে চাইনিজ টিপটে চা করা আর বাংলাদেশের গ্যাসের চুলায় কেটলিতে চা করা দু’টা সম্পুর্ণ ভিন্ন ব্যাপার…..

মিলন সাহেব আর তার ক্লাইন্টের কথাবার্তায় মিলন সাহেব খেয়াল করলেন বর্ন সোফা ছেড়ে উঠে দাড়িয়েছে…. তারপর হেটে গিয়ে দাড়ালো কাচের স্লাইডিং দরজার সামনে….. দরজার ওপাশে একটা খুব সুন্দর বাগান……
-তোমার বোধহয় খুব বোর ফিল হচ্ছে,,,,তাই না!?….
বর্ন ফিরে তাকালো….. মিলন সাহেবের ক্লায়েন্ট মিড ফরটিসের লোকটা যাকে ওর বাবা মাহমুদ বলে সম্বন্ধন করছেন.….. হাসি হাসি মুখ করে বর্নর দিকে তাকিয়ে আছে….. বর্নও কেবল জবাবে হাসলো…..
-তুমি একটু বসো আমি আমার মেয়েকে ডেকে দিচ্ছি….. ওর সাথে নাহয় তুমি একটু ঘুরে-টুরে দেখলে………
বলতে বলতে মাহমুদ সাহেব কলি বলে ডেকে উঠলেন…. ভিতর থেকে একজন ১৪/১৫ বছরের মেয়ে সামনে এসে দাড়ালো…..
-কলি,,, যেয়ে তোর আপা মনিকে ডেকে নিয় আয়,,,,বলবি খালু ডাকছে…..
মেয়েটা মাথা নেড়ে দৌড়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো…… এবং কিছুক্ষন পরেই গোমড়া মুখ করে নিচে নেমে এলো….
-আফায় ধমকায় খালু…..
মাহমুদ সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন….
-আসলে আমার মেয়েটা একটু পাগলাটে স্বভাবের,,,,, মনমর্জি মত চলে…. যখন মন চাইবে সারাদিন টোই টোই করে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়াবে… আর যখন মন চাইবে দুইদিনেও নিজের মুখ দেখাবে না….,,,, আচ্ছা বাবা,, তুমি একটু বসো… আমি যেয়ে ওকে নিয়ে আসছি….
-ও যখন আসতে চাইছে না,,,তখন নাহয় থাক,,,,এক কাজ কর বর্ন,,, তুই যেয়ে নাহয় কথা বলে আয়…… ওর ও আসতে হবে না… তোরও বোরিং লাগবে না…..
স্ত্রীর এমন বকবকানি তে মিলন সাহেব কড়া দৃষ্টিতে তাকালেন পারভিন বেগমের দিকে….. সেই চাহনি সম্পুর্ণ উপেক্ষা করেই পারভিন বেগম আবার বললেন…..
-নিশ্চয়ই এতে কোন অসুবিধা হবে না…. কি বলেন ভাই!?..
-হ্যা!!! হ্যা হ্যা,,,তাও করা যায়…. বাবা তুমি সিড়ি বেয়ে দোতালায় গেলেই দেখবে বারান্দার সাথের রুমটা,,,,
বর্ন কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে… অপ্রস্তুতের মত এগুলো সিড়ির দিকে…

(আসছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here