এক মুঠো রোদ পর্ব-৪৪

0
667

#এক_মুঠো_রোদ
#Writer_নৌশিন_আহমেদ_রোদেলা
#part_44
#collected Sk Galib
—” আমার কিছু কথার উত্তর দাও আরু নয়তো এখান থেকে এক পাও নড়তে পারবে না। তুমি কি সত্যিই আমাকে চিনতে পারছো না নাকি পারছো ?”
আরু হালকা গলায় বললো,
—” পারছি।”
—” আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা মনে আছে নাকি ভুলে গেছো?”
—“মনে আছে।”
রাফিন এবার বেশ অবাক হলো। বিস্মিত গলায় বললো,
—” তাহলে ডক্টরের সামনে এমনটা কেন বলেছিলে যে তুমি আমায় চেনো না? হুয়াই?”
আরুর সহজ স্বীকারোক্তি,
—” কারণ আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না।”
—” আমার প্রতি কিসের ভয় তোমার? কেন ভয় পাও আমায়?”
জবাব দিলো না আরু। আবারও আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলো সে। রাফিন রাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলো। সবকিছু কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে তার। এমন সময় আসিফ এসে বললো,
—” ভাই? ডক্টর আনোয়ার এসেছেন। অফিস রুমে ওয়েট করছেন।”
রাফিন মাথা নেড়ে অফিস রুমের দিকে পা বাড়ালো। আনোয়ার হোসেনের সাথে কুশল বিনিময়ের পর সরাসরি কথা পাড়লেন উনি,
—” মিষ্টার.চৌধুরী? আপনার কাছ থেকে আমি সব সত্য কথায় আশা করছি। বলবেন তো?”
রাফিন স্পষ্ট গলায় বললো,
—” জি।”
আনোয়ার হোসেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,
—” আপনি কি অন্য কাউকে ভালোবাসেন?যার জন্য আপনার স্ত্রী আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।”
রাফিন সোজাসাপ্টা জবাব দিলো,
—“না। অন্য কাউকে ভালোবাসি না আমি। একটা সময় অনেক মেয়ের সাথেই ফিজিক্যাল রিলেশন ছিলো কিন্তু তখন আরু আমার জীবনে ছিলো না। আরু আর আমার বিয়েটা এক্সিডেন্টলি হয়। বলতে গেলে আমি জোর করেই বিয়ে করেছি ওকে। ভালোবাসা শব্দটা আমার জীবনে নতুন৷ এর আগে একটা মেয়েকে ভালো লেগেছিলো কিন্তু ওকে কাছে পাওয়া নিয়ে কোনো আকর্ষন বোধ করি নি কখনো। মেয়েটার কথাগুলো ভালো লাগতো জাস্ট আর কিছুই না। আরুকে ভালোবেসে বিয়ে না করলেও রিসেন্টলি ওর প্রতি আকর্ষন অনুভব করছি আমি। আর সেটা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। ওর জন্য অস্থিরতাটাও বাড়ছে। এই অস্থিরতাটা আমার জীবনে প্রথম ডক্টর। আমার মনে হয় আমি আরুর প্রেমে পড়ছি। প্রথম প্রেম!”
—” প্রেমে পড়ছেন। তারমানে আপনাদের মাঝে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই? আপনার স্ত্রী কি আপনাকে ভালোবাসে না? আমার তো মনে হয় আপনি উনার ভয় হলেও উনি আপনাকে ভালোবাসেন।”
—” একসময় বাসতো। এখন ভালোবাসে কিনা জানি না। তবে, আমাদের মধ্যে ফিজিক্যাল রিলেশন হয়েছে কিন্তু…”
আনোয়ার হোসেন ভ্রু কুঁচকে বললেন,
—” কিন্তু কি?”
—” ওটা এক্সিডেন্টলি হয়েছে। ওর অনুমতি নেওয়ার মতো পজিশনে ছিলাম না আমি। এমন কিছু করে ফেলবো তা আমি নিজেও বুঝতে পারি নি।”
—” ওহ্। আপনার ওয়াইফ ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবে নেন নি।”
—” না নেওয়ারই কথা। কোনো মেয়েই নিবে না।”
—” ডক্টর.চৌধুরী?উনি কোনো কারণে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। অবিশ্বাস থেকেই ভয়,অনিশ্চয়তা। আপনি এই ভয় দূর করতে পারলেই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।”
রাফিন অধৈর্য গলায় বললো,
—” কিন্তু ওর এই ভয় কি করে দূর করবো আমি?”
—” তা তো আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে ডক্টর চৌধুরী। ”
রাফিন নিশ্চুপ। কিছু একটা ভাবছে সে। তার কাছে মনে হচ্ছে আরুর কথা না বলাটা তার অসুস্থতা নয়৷ সে ইচ্ছে করেই কথা বলছে না। নয়তো আজকে কেন কথা বললো সে ? কি চলছে ওর মনে? রাফিনের এই মুহূর্তে বাবা-মার প্রতি ভীষণ রাগ লাগছে। তার একটা বোন থাকলে এতো ঝামেলা পোহাতে হতো না তাকে। মেয়েদের মনে কি চলে মেয়েরা কি আন্দাজ করতে পারে না? অবশ্যই পারে। রাফিন উঠে দাঁড়ালো। মাথা কাজ করছে না তার। তার এমন কোনো বিশ্বাসর্যোগ্য মেয়ে বন্ধুও নেই যাকে সবটা খুলে বলতে পারে রাফিন। রাফিনের মনে হচ্ছে লাইফে ভালো কোনো ফ্রেন্ড না বানানোটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
_______________
সকাল দশটা কি এগারোটা রাফিনের গাড়ি ছুঁটছে নতুন কনস্ট্রাকশন সেক্টরের দিকে। মনে চলছে হাজারও ভাবনা। আরু জনিত সমস্যাটা কি করে সমাধান করবে সে? কি করে?হঠাৎই ব্রেক কষলো রাফিন। গাড়ির গ্লাসটা তাড়াহুড়ো করে নামিয়ে জানালা দিয়ে মুখ বের করেই ডেকে উঠলো সে,
—” রোজা?”
রোজা হাতের ডায়েরিতে কিছু একটা দেখছিলো। হঠাৎ নিজের নাম শুনে ফিরে তাকালো সে। রাফিনকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে বেশ অবাক হলো সে। রাফিন খানিকটা এগিয়ে এসে দ্বিধা ভরা গলায় বললো,
—” কেমন আছেন রোজা?”
রোজা ইতস্তত গলায় বললো,
—” ভালো৷ আপনি কেমন আছেন মিষ্টার. চৌধুরী? ”
রাফিন হাসার চেষ্টা করে বললো,
—” জি ভালো। আপনি কি বিজি?”
রোজা ভ্রু কুঁচকে বললো,
—” কেনো?”
—” এক কাপ কফি খাওয়া যাবে?”
এবার বেশ অবাক হলো রোজা । নিজের বিস্ময়কে চেপে হাসার চেষ্টা করে বললো,
—” আমার সাথে? দি রাফিন চৌধুরী আমার সাথে কফি খাবে?”
রাফিন অস্বস্তি নিয়ে বললো,
—” প্লিজ! রাফিন চৌধুরী হিসেবে নয়। এজ আ পার্সন আপনার একটু হেল্প প্রয়োজন আমার। প্লিজ!”
রোজা খানিক ভরকে গেলো। বেশ কিছুক্ষণ সময় মুখে কথা খুঁজে পেলো না সে। নিজেকে সামলে নিয়ে দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বিরবির করে বললো,
—” হেল্প! আমি কি করে হেল্প করবো আপনাকে?”
—“সরি?”
রোজা হাসার চেষ্টা করে বললো,
—” কিছু না। ভাবছিলাম আপনার সাথে কফি খাওয়া যেতেই পারে বাট একটা কন্ডিশন। রেস্টুরেন্টে নয় রোড সাইড কফি খেতে হবে। চলবে?”
রাফিন না ভেবেই বললো,
—” অবশ্যই চলুন।”
রোজা জোরপূর্বক হাসি দিয়ে বললো,
—” চলুন।”
পার্কের একটা ব্রেঞ্চে গিয়ে বসলো রাফিন-রোজা। রোজা ডায়েরিটা পাশে রেখে একটা পিচ্চি ছেলেকে ইশারায় ডাকলো। পিচ্চিটা কাছে আসতেই গালে হালকা চাপড় দিয়ে বললো,
—” কি রে বল্টু মিয়া? স্কুলে যাওয়া হয়?”
বল্টু নামের ছেলেটি হেসে বললো,
—” হপ্তায় একদিন যাই আফা। শনিবার দিন।”
রোজা হেসে উঠে বললো,
—” সপ্তাহে একদিন গেলে কি বড় চাকরি করতে পারবি নাকি রে? প্রতিদিন যেতে হবে। আপাতত দু’কাপ স্পেশাল কফি দে।”
বল্টু মাথা দুলিয়ে বললো,
—” আইচ্ছা।”
দু’ মিনিটের মাথায় ওদের হাতে কফি দিয়ে গেলো বল্টু। এতোক্ষণ নিশ্চুপ থাকা রাফিন এবার অদ্ভুত একটা প্রশ্ন করলো,
—” আচ্ছা? আপনার কাছে কি সব সমস্যার সমাধান হয় মিস.রোজা? সব সমস্যা?”
রোজা প্রথম দফায় অবাক হলেও পরবর্তীতে হেসে বললো,
—” আমার কাছে শুধু সমস্যাগুলো থাকে মিষ্টার.চৌধুরী। কোনো সমাধান থাকে না। আমি এতোটাই অলস যে রেস্ট টেস্ট নিয়ে সমস্যার সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিতে নিতে সমস্যা বেচারা বিরক্ত হয়ে নিজেই সমাধান হয়ে যায়।”
কথাটা বলে নিজেই হেসে ফেললো রোজা। রাফিনও হালকা হেসে বললো,
—” তাই নাকি?”
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে উত্তর দিলো রোজা,
—” অবশ্যই।”
রাফিন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আরুর ব্যাপারটা কি করে শুরু করবে ঠিক বুঝতে পারছে না সে। রোজা যথেষ্ট বুদ্ধিমতি মেয়ে রাফিনকে একটা সমাধান কি দিতে পারবে না সে? রাফিন জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে কোনো বনিতা না করেই বললো,
—” আমি আমার প্রিয় মানুষটির সাথে খুব অন্যায় করেছি রোজা। যে অন্যায়টা প্রতি মুহূর্তে তিলে তিলে পোড়াচ্ছে আমায়। শ্বাস নেওয়াটাও কষ্টকর হয়ে উঠছে আমার জন্য। আমার এই সমস্যাটার কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না আমি। হয়তো, এই সমস্যার কোনো সমাধানই নেই।”
রাফিনের কথার মাঝেই মৃদু গলায় ডাকলো রোজা,
—” মিষ্টার চৌধুরী? ”
রোজার ডাকে ফিরে তাকালো রাফিন। সাথে সাথেই একটা ভাজ করা কাগজ তার দিকে এগিয়ে দিলো রোজা। রাফিন কাগজটা হাতে নিয়ে বললো,
—” কি এটা?”
রোজা স্বাভাবিক গলায় জবাব দিলো,
—” এটা একটা কাগজ।”
—” তা তো বুঝতে পারছি। কিন্তু কি আছে এতে? আর আমাকেই বা কেন দিচ্ছেন?”
রোজা হেসে ফেললো। চোখ দিয়ে ইশারা করে বললো,
—” খুলেই দেখুন না।”
রাফিন দ্বিধা নিয়ে কাগজটি খুললো। কাগজটি খুলেই বিস্মিত কন্ঠে বললো,
—” কাগজটা তো ফাঁকা।”
রোজা পা দুলাতে দুলাতে বললো,
—” তো? আমি কি বলেছিলাম যে এর মাঝে কিছু আছে?”
রাফিন অবাক হয়ে বললো,
—” মানে?”
রোজা হাসিমুখে বললো,
—” দেখুন, আপনাকে আমি একটা কাগজ দিলাম। কাগজটা আপনি হাতে নিয়ে প্রথমেই যদি খুলে দেখতেন তাহলে প্রথমেই কাগজের রহস্যটা জানতে পারতেন। এই সহজ কাজটা না করে আপনি কি করলেন? কাগজটা দ্বারা এতোটাই প্রভাবিত হলেন যে কাগজটা আপনার হাতে থাকা সত্ত্বেও আমাকে জিগ্যেস করতে লাগলেন, কি আছে এতে? কেন দিলাম? তার সাথে সাথে আপনার মাথাতেও ঘুরতে লাগলো হাজারও প্রশ্ন। কাগজটা কেন দিলাম? কি আছে এতে? কোনো স্পেশাল কিছু? স্পেশাল কিছু হলেও সেটা কি? নাকি অন্যকিছু? ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে সময়ের সাথে সাথে আপনার কিউরিয়াস মাইন্ড নতুন নতুন প্রশ্ন তৈরি করতে লাগলো এবং আপনি সেগুলো নিয়ে ভাবতে বসে গেলেন। অথচ, এতো এতো প্রশ্নের সমাধান আপনার হাতেই ছিলো। কিন্তু হাজার প্রশ্নের বেড়াজালে সমাধানটাকে সমাধান নয় আস্ত একটা প্রশ্নের গোডাউন মনে হতে লাগলো আপনার। আমাদের জীবনটাও তাই। আমাদের লাইফে যখন হঠাৎ কোনো সমস্যা চলে আসে। আমরা চমকে উঠি। সমস্যাটা নিয়ে হাজারটা চিন্তা করে ফেলি। হাজার ধরনের কথায় প্রভাবিত হই। অন্য কারো সাথে শেয়ার করি৷ সে আরো কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। আমরা আবারও সেই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে বসি। এতোকিছু নিয়ে ভাবতে গিয়ে আসল সমস্যাটাকেই পাশে ফেলে রাখি।”
এটুকু বলে রাফিনের হাত থেকে কাগজটা নিয়ে ধুমলে মুচড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিলো রোজা। তারপর বললো,
—” এইযে কাগজটি পাশে ফেলে দিলাম ঠিক তেমনি আমাদের সমস্যাগুলোর ভাজ না খুলেই ভয়ে বা হতাশায় পাশে ফেলে রাখি। ধীরে ধীরে সেই সমস্যার ভাজগুলো বাড়তে থাকে আর আমরাও ধীরে ধীরে অধৈর্য হতে থাকি। আর চিন্তা করে ফেলি, নাহ! এই সমস্যার কোনো সমাধান হতে পারে না। কখনো পারে না। কিন্তু সত্যটা কি জানেন? সমাধান ছাড়া কোনো সমস্যা এই পৃথিবীতে নেই। সব সমস্যারই কোনো না কোনো সমাধান অবশ্যই আছে। সমস্যা আর সমাধান একে অপরের পরিপূরক। শুধুমাত্র ভাজটা খোলা বাকি। তাই আমাদের উচিত সমস্যাটার ভাজটা খুলে ভেতরটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন কাগজটার মতো আপনার সমস্যাটাও ফাঁকা। পাশে ফেলে রেখেছিলেন বলেই তা এতোটা গোলমেলে। চৌধুরী সাহেব? সমস্যার ভাজটা খুলুন। শুরু থেকে ভাবুন। সমস্যার তলায় সমাধানটাও ঠিক পেয়ে যাবেন।”
এটুকু বলে থামলো রোজা। ডায়েরীটা হাতে তুলে নিয়ে ওয়ানটাইম কফি কাপটা ডাস্টবিনে ফেলে উঠে দাঁড়ালো। রাফিন চিন্তিত ভঙ্গিতে রোজার কথাগুলোই ভাবছে। সত্যিই কি কাগজটার মতো তার সমস্যাটাও ফাঁকা? একদমই সাধারণ? রোজার ডাকে রাফিনের ভাবনার সুঁতো ছিঁড়লো। সচেতন চোখে তাকাতেই হালকা হেসে বলে উঠলো রোজা,
—” আমার ক্লাস আছে মিষ্টার চৌধুরী। আর বসতে পারছি না বলে সরি। আর হ্যাঁ, আপনার প্রিয় মানুষটি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষ হয় তাহলে তাকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে ভুলবেন না।”
রাফিন হেসে বললো,
—” অবশ্যই জানাবো। আর আপনার অভিনন্দনের জন্য সে আপনাকে ধন্যবাদ অবশ্যই জানাবে তাই এডভান্স থেংক্স!”
রোজা হেসে ফেললো। দাঁত বের করে হেসে বললো,
—” মোষ্ট ওয়েলকাম স্যার। কফির দামটা দিয়ে দিবেন প্লিজ। আর হ্যাঁ, অল দ্যা বেস্ট বস।”
কথাটা শেষ করেই দ্রুত পায়ে সরে গেলো রোজা। রাফিন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বিরবির করে বললো,
—” থেংকিউ রোজা। আমি হয়তো সমাধানটা পেয়ে গেছে।”
# চলবে….
(প্রত্যেকটা চরিত্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি আমি। তবুও যদি ইনবক্সে বার বার এক কথা বলা হয় এই ক্যারেক্টারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি ওই ক্যারেক্টারে দিচ্ছি না তাহলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে৷ মাঝে মাঝে নিজের প্রতিই রাগ লাগে। সেই রাগের রেশ ধরেই আগের পর্বে কিছু ঝাঁঝালো কথা বলেছিলাম। তার জন্য সরি! কেউ পার্সোনালি নিবেন না প্লিজ। ধন্যবাদ সকলকে]

#part_45
https://m.facebook.com/groups/459470204903112/permalink/943516303165164/

#part_43
https://m.facebook.com/groups/459470204903112/permalink/943515423165252/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here