#অপ্রিয়_প্রেয়সী পর্ব – ২২

0
570

#অপ্রিয়_প্রেয়সী পর্ব – ২২
#লিখা_তানজিলা

সকালের দিকে একে একে নিজের শাড়ি গুলো ছুড়ে বিছানায় ফেলছে আইজা। অনেকদিন হয়ে গেছে শাড়ি পড়া হয় না। সবগুলো শাড়ি ড্রাইক্লিনিং করাতে হবে। আনমনে গুনগুন করতে করতে নিজ হাতে বিছানা অগোছালো করে যাচ্ছে আইজা। শাড়ি গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার হয়ে আছে।

-“এসব কী করছেন?”
হঠাৎ সীমান্তর কন্ঠ কানে যেতেই লাফিয়ে উঠলো আইজা। না সীমান্তর কন্ঠ শুনে না বরং তার কন্ঠের ধরণ শুনে। একবার বিছানায় তাকিয়ে দেখলো আইজা। তারপর সীমান্তর দিকে।

হঠাৎ কী যেন হলো আইজার লাল শাড়িটা দেখতেই সাথে সাথে বিছানার কাছে এসে আইজাকে উপেক্ষা করে সে শাড়িটা বারান্দার দিকে ছুড়ে মারলো সীমান্ত। নিজের সবচেয়ে প্রিয় শাড়িটা বারান্দা পেড়িয়ে নিচে পড়ে যেতে দেখে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আইজা।

-“এরপর রুমে এসে যদি বিছানা এমন অগোছালো দেখি তাহলে সবগুলো শাড়ি জ্বা*লিয়ে দেয়া হবে!”
আইজা সীমান্তর হুমকির জবাবে কিছু না বলে বুকে দুই হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। চোখটা বন্ধ করেই রুম থেকে চলে গেলো সীমান্ত।

আইজা জানে অগোছালো কোন কিছুই সীমান্ত পছন্দ করে না। পছন্দ করে না বললে ভুল হবে বরং মনে প্রানে ঘৃণা করে। সেটা টেবিল হোক বা বিছানা সবকিছু যদি গোছালো অবস্থায় না থাকে অস্থির হয়ে ওঠে সে। আইজার মনে আছে সেদিন রাতের কথা। বাবার সাথে দেখা করতে ডিপ ডার্ক সিক্রেট নামক ক্লাবে গিয়েছিলো ও। ঐ রাতে স্টাডি রুমে ক্রোধের তাড়নায় সীমান্ত একটা কাঁচের বোতল ভেঙেছিলো। আর সেই বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁচগুলোর দিকে চোখ পড়তেই এরকমই অস্থির হয়ে উঠেছিলো সে। যদিও আইজাকে সেটা বুঝতে দিতে চায়নি সে। হাত ধরে টেনে ওকে স্টাডি রুম থেকে বের করে দিয়েছিলো সীমান্ত। বিষয়টা ভাবতেই ভ্রু কুঁচকে এলো আইজার। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগোছালো জিনিসপত্র সহ্য হয় না আবার কিছু ভাঙতেও হাত কাপে না। অদ্ভুত মানুষ!

আজ সে আইজার প্রিয় শাড়িটা ফেলে দিয়েছে। ভাবতেই রুমে একা একাই উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করলো ও। পরক্ষণেই সীমান্তর সবগুলো শার্ট, কোর্ট, বিশেষ করে ব্র্যান্ডেডগুলো আগে বের করে নিলো আইজা। সেগুলো নিয়ে হনহন করে বেরিয়ে পড়লো ও। সোজা বাড়ির পেছনের দিকে গিয়ে থামলো। তারপর কেরোসিন এনে ঢেলে দিলো নিচে পড়ে থাকা সীমান্তর বস্ত্রগুলোর ওপর।

অতঃপর ম্যাচের জ্ব*লন্ত কাঠি ছুড়ে মারতেই আইজার চোখের সামনে ছাই হতে শুরু করলো সবকিছু। যদিও বেশিক্ষণ তা দেখার সুযোগ পেলো না আইজা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ এসে ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতেই নিভে গেলো সে আ*গুন। কিন্তু লাভ হয়নি। যা হওয়ার তা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।

সীমান্ত এসে আইজার বাহু চেপে ধরে অনেকটা ঝাঁকিয়েই নিজের সামনে এনে দাঁড় করালো। আইজা হাতে মৃদু ব্যথা অনুভব করলেও সীমান্তর ক্রোধান্বিত চাহনি দেখে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাকালো ও।

-“আপনার সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে!”
সীমান্তর মুখ দেখে মনে হচ্ছে তার যেন কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
আইজা ঠান্ডা গলায় বললো,

-“দিন দিন সাহস বাড়েনি। আগে থেকেই ছিলো। আপনি বরং আমার ওপর রাগ না দেখিয়ে নিজের জন্য কিছু শপিং করে আনুন। নাকি এভাবেই আজ অফিস যাওয়ার প্ল্যান আছে!”

সীমান্তর ঘর্মাক্ত শরীরে চিপকে থাকা টিশার্টের দিকে ইশারা করলো ও। আইজার কথায় সীমান্তর চাহনিতে লেগে থাকা ক্রোধের রেশ যেন কিছুটা দমে এলো। সাথে সাথে আইজার হাত টাও ছেড়ে দিলো সে। পুড়ে যাওয়া জামা কাপড়ের দিকে লক্ষ্য রেখে আইজার কানের কাছে গিয়ে ধীর কন্ঠে বললো,
-“আপনি প্রচন্ড প্রতিশোধপ্রেমী! তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি একাই কিন্তু এ দোষে দোষী না! আজ নিজের বাকি শাড়ি গুলো সামলে রাখবেন! সাথে নিজের ভাই-বোনকেও!

কথাগুলো বলে আইজাকে চিন্তার রাজ্যে ফেলে চলে গেলো সে। সীমান্তর এ হুমকি কখনো হেলা ফেলায় দেখবে না ও! যতদ্রুত সম্ভব আরফান আর সিমিকে এ বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাতে হবে!

***

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যবয়স্ক ব্যাক্তিকে একটা কোর্ড নাম্বার দেখাতেই পাশের দেয়াল রূপী দরজাটা খুলে দেয়া হলো। ডিপ ডার্ক সিক্রেট নামক গোপন অন্ধকার ক্লাবে প্রবেশ করতেই চারদিকে চোখ বুলাতে শুরু করলো রায়হান। ক্লাব ম্যানেজারের রুমে প্রবেশ করে কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তির খোঁজ পেতেই হনহন করে সেদিকে গেলো ও। রায়হানের ক্ষুব্ধ দৃষ্টি দেখে ওপর ব্যাক্তির চোখে ফুটে ওঠা সংশয়ের রেখাকে উপেক্ষা করে সজোরে ঘু*ষি বসিয়ে দিলো তার নাক মুখ বরাবর। অতঃপর বিশ্রি কিছু গা*লি উচ্চারণ করে ঐ ব্যাক্তির কলার চেপে ধরলো রায়হান।
-“তোরা তো বলেছিলি এখানে যা হয় তা কখনো বাইরে যায় না! তাহলে আমার বাড়িতে এসব গেলো কী করে!!”

রায়হানের হাতটা বেশ শান্ত ভঙ্গিতেই ছাড়িয়ে নিলো সে। নাক থেকে মৃদু রক্ত ঝড়ছে। তবুও লোকটা সম্পূর্ণ শীতল কন্ঠে বললো,
-“এখানে আসা কেউই নিজের মুখ খুলে না! নইলে তো কবেই ধরা পড়ে যেতাম। এমনও হয়েছে বাবা আর ছেলে দুজনই এখানে এসেছে কিন্তু কেউ কারও খবর জানতো না। আপনি আরেকটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। হয়তো কেউ আপনাকে ফলো করেছে!”

-“একদম চুপ! এটা সম্ভব না। আমি গত সাত মাস যাবৎ এখানে কদম রাখিনি। আর ঐ মহিলা আমাদের বাড়ি এসেছে..!”

-“দেখুন স্যার, আপনাদের পারিবারিক ঝামেলায় আমাদের কিছু নেই। আজকের পর থেকে আপনি এখানে আর কখনো আসবেন না।”

বিপরীতে আর কিছু বলার সুযোগ পেলো না রায়হান। তার আগেই চারজন গার্ড এসে রায়হানকে একপ্রকার বেঁধেই ফেললো। রায়হান নিজের ক্ষুব্ধ প্রচেষ্টা দ্বারাও চারজনকে দমাতে পারলো না। হাতের উল্টোপিঠ দ্বারা নিজের নাক মুখ পরিষ্কার করে নিলো সেই ক্লাব ম্যানেজার। তারপর চারজনকে ইশারা করতেই রায়হানকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে শুরু করলো তারা।

একটা ঠান্ডা শীতল রুমে এনে ফেলে দেয়া হলো রায়হানকে। ওর মনে হচ্ছে পুরো শরীরটা যেন এখানেই জমে যাবে! মুখ বেঁ*ধে রাখায় কিছু বলতেও পারছে না ও। ক্লাবের ম্যানেজার এসে রায়হানের এ অবস্থা দেখে বললো,

-“এতো কষ্ট করে এসেছেন। কিছুক্ষণ এখানেই বিশ্রাম নিন। এরপর এরা আপনাকে সসম্মানে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসবে!”
স্বাস্থ্যবান সেই চারজন গার্ডের দিকে ইশারা করলো লোকটি! রায়হানের গো*ঙানির আওয়াজেও থামলো না তারা। ঐ হাড় কাঁপানো শীতল কক্ষেই ফেলে গেলো রায়হানকে।

কয়েক সেকেন্ড শব্দ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে থেমে গেলো রায়হান। কয়েকদিন এক বন্ধুর প্ররোচনায় এসেছিলো এ ক্লাবে। গ্রুপ স্টাডির নাম করে প্রায়ই এ ক্লাবে আসার অভ্যেস হয়ে গেছিলো ওর। এরপর এ নে*শা কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েকদিন বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া হতো না। যদিও ধরা পড়েনি কখনো। বাবা আর বড় ভাই কারও কাছেই তো সময় ছিলো না রায়হানের জন্য। তারা তাদের জীবন নিয়েই ব্যস্ত!

কিন্তু সেই কয়েকদিনের ভিডিও ফুটেজ আইজার কাছে কী করে গেলো বুঝতে পারছে না রায়হান। ক্রমাগত সেসব নিয়ে ব্ল্যা*কমেইল করা হচ্ছে ওকে। রায়হান জানে ওর বাবাকে। এসব যদি বাইরে যায় ওর বাবা ওকে আসলেই রাস্তায় ছু*ড়ে মারবে।

সীমান্ত ভাইয়ের জন্যও বাবার ভরসা জেতা সহজ ছিলো না। তাই হয়তো আইজার মতো জঘন্য মহিলাকে বিয়ে করলো সে। আর এই মুহুর্তে সবকিছুর ফায়দা উঠাচ্ছে আইজা!

এই দুই মাস দাঁতে দাঁত চেপে সবটা সহ্য করে গেছে রায়হান। কিন্তু ইদানিং এসব আর হজম হচ্ছে না। তাই সত্যিটা জানতে এ ক্লাবে এসেছিলো ও। কিন্তু এখন বের হবে কী করে! কাউকে তো বলেও আসেনি। এখানে মে*রে ফেলে রাখলেও হয়তো এ খবর বাইরে যাবে না। ধুর!

***

আজ অফিসে যায়নি সীমান্ত। আইজাকেও যেতে দেয়নি। একা অফিসে ছাড়লে আবার কী করে বসে বলা যায় না! শহর থেকে কিছুদূর রাস্তার একপাশে বাইক রেখে তার ওপর বসে আছে সীমান্ত। নিজের প্রিয় টংএর দোকানের চা খেতে অপেক্ষা করছে ও। রিয়াদ দুই কাপ চা এনে এক কাপ সীমান্তর হাতে ধরিয়ে দিলো।

-“আপনি ভাবিকে কেন বিয়ে করেছেন বলুন তো! আমি যতই চিন্তা করি কোন যুক্তিই এই পরিস্থিতির সাথে মেলে না! আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি ভাবিকে ভালোবাসেন।”

হঠাৎ রিয়াদের কৌতুহলী ভঙ্গিতে বলা কথা শুনে মৃদু হেসে উঠলো সীমান্ত। ব্যাঙ্গার্ত্বক ভঙ্গিতে বললো,
-“রিয়াদ সাহেব, সারাদিন উদ্ভট উদ্ভট ড্রামা সিরিজ দেখলে মাথা খারাপ তো হবেই। একটা কথা মনে রাখবেন, সবকিছুকেই এতো সহজে ভালোবাসা ভাবতে যাবেন না। মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকে সে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে। আইজাকে যদি আমি ভালোই বাসতাম তাহলে বিয়ে করে ঐ বাড়িতে নিয়ে যেতাম না! তাই এসব আজাইরা চিন্তা বাদ দিয়ে রায়হানের দিকে একটু নজর রাখবেন! এই সবকিছুতে রায়হানের ওপর থেকে আমার নজর সরে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন আইজা আর রায়হানের মতিগতি কেমন যেন সন্দেহজনক লাগছে!”

রিয়াদ চায়ে চুমুক দিয়ে উঠলো। কিছুটা বিরক্তি নিয়েই বললো,
-“একসাথে দশ বারোটা প্রেম করছে আপনার ভাই। এতটুকুই জানি আমি!”

সীমান্ত এর জবাবে কিছু না বলে নিজের চায়ে মনোযোগ দিলো। রিয়াদ আঁড়চোখে একটু পর পর সীমান্তর দিকে তাকাচ্ছে। সীমান্ত বুঝতে পারছে রিয়াদ হয়তো কিছু বলতে চায় কিন্তু সাহস পাচ্ছে না। তাই নিজেই প্রশ্ন করলো,

-“কিছু বলার আছে আপনার?”

রিয়াদ যেন এরই অপেক্ষায় ছিলো। অতঃপর কয়েকবার শুকনো কেঁশে বলতে শুরু করলো,
-“স্যার, এই ইনফরমেশন বের করাটা নাজিম স্যারের জন্য এতটাও সহজ হয়নি। যেখানে আন্টি আর আপনাকে আটকে রাখা হয়েছিলো সে জায়গাটা খুব অল্প সময়ের জন্য আরমান আজাদ ভাড়া নিয়েছিলো। কিন্তু ঐ সময় কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এতো বড় একটা বিষয় বছরের পর বছর ইনভেস্টিগেশনেও সামনে এলো না! ব্যপারটা মোটেও সুবিধার না। আর আপনি নিজেও সেদিন একটা চার কী পাঁচ বছরের ছোট মেয়েকে দেখেছিলেন। আপনার ধারণা অনুযায়ী সে মেয়েটা ভাবি ছিলো। আমার মনে হচ্ছে না আপনার বাবার ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আপনার মায়ের খুনের পেছনে ভাবির বাবা মানে আরমানের জড়িত থাকার সম্ভবনা প্রবল।”

-“জানি।”
সীমান্তর সোজাসাপটা কথা। রিয়াদ এবার সীমান্তর চোখে চোখ রেখে বলে উঠলো,
-“কিন্তু আপনার ধারণা অনুযায়ী আরমান খুনি না!’

-“আপনার কেন মনে হচ্ছে আমার ধারণা এমন?”
অনেকটা শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো সীমান্ত।

-“আপনার কাজকারবারেই সেটা প্রকাশ পায়। আপনার চোখে আরমান অথবা ভাবির জন্য কোন ঘৃণা নেই স্যার।

-“আমার কাছে আইজাকে ঘৃণা করার মতো কোন কারণ নেই। আরমান যদি খুনি হয়, তবুও না। এসব কিছু শেষ হলে হয়তো আমি ওকে ধরে রাখবো না!”

-“হয়তো!!”

-“দেখুন আমি এসব নিয়ে আপনার সাথে আর কোন কথা বলতে চাই না রিয়াদ। আমার মূল লক্ষ্য আসল খুনিকে বের করা। আর আমার ধারণা সে কোন না কোন ভাবে আরমান আজাদের সাথে জড়িত!”

রিয়াদ কিছুটা ইতস্ততভাবে বললো,
-“আসলে ভাবির মায়ের এক্সিডেন্টটা আমার বেশ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমি জানি নাজিম স্যার তার স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। কিন্তু তাই বলে একজন নির্দোষ মানুষকে…!”

-“না! বাবার যত শত্রুতা আরমানের সাথে। তাকে দেখে হয়তো কঠোর মনে হয়। কিন্তু আমি আমার বাবাকে বেশ ভালো করেই চিনি। তিনি কখনও এরকম কাজ করবেন না।”
অনেকটা জোর গলায় কথাগুলো বললো সীমান্ত। কন্ঠে লেগে আছে ক্ষুব্ধতার আভাস। রিয়াদ সীমান্তর চোখ দেখে কয়েক সেকেন্ড চুপ তো ছিলো কিন্তু পরক্ষণেই আবার বলে উঠলো,

-“বেশিরভাগ মানুষের কাছেই তার বাবা হীরো। ভাবির কাছেও। সে তো নিজের বাবাকে নির্দোষ মনে করে যেমনটা এই মুহুর্তে আপনি করছেন। নাজিম স্যার তো এমনি এমনি আপনাকে আরমান আজাদের মেয়েকে বিয়ে করতে বলেননি। প্রতিশোধের তাড়নায় করেছেন। ভাবিকে তার বাবার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে। আর এখন আপনার স্ত্রী যে পথে চলছে আপনার বাবা কিন্তু তাকেও…!”

-“মুখ সামলে কথা বলুন।”

-“দেখুন, আমি আজ আপনার বন্ধু হিসেবেই বলছি স্যার। সবকিছুর লাগাম ছুটে গেছে। আপনার ভাবির সাথে একবার কথা বলা উচিত। সে হয়তো মনে করছে আপনি তার ক্ষতি করবেন। আর এভাবে সবকিছু ধোঁয়াশায় রেখে চললে আপনারা আসলেই একে অপরের শুধু ক্ষতিই করে যাবেন। নিজেদের জীবনটা এভাবে অন্ধকারে ফেলবেন না! বেশি দেরি করলে পস্তাবেন।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here