বন্ধ দরজায় তুমি🖤পর্ব-১০

0
796

#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 10…….

হঠাৎ তুর ফিল করল ওর পিছনে কারো অস্তিত্ব। ধীরে ধীরে তুর নিজের পিঠে গরম নিশ্বাস ফিল করতে পারল। তুর সরে যাবে তখনি তুরের দুহাত টেনে নিজের মধ্যে ওকে আবদ্ধ করতে চাইলো কেউ। ভয়ে কুকড়ে উঠল তিল…. তুর এবার নিজেকে আটকাতে না পেরে ভয়ে পাগলের মত কান্না করতে থাকে……

— প্লিজ ছাড়ুন আমাকে। এমনটা করবেন না আমার সাথে। কে আপনি?

তুর দুর্বল শরীরেও নিজেকে, ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তুরের কোনো কথাই যেন তীব্রের কানে গেল না। হঠাৎ করে তীব্রের কি হয়ে গেল তীব্র নিজেও জানেনা। তুরের স্পর্শ পেয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারে না তীব্র…. ও তুরকে ওভাবেই কাছে টেনে ওর বুকের মাঝে তুরের পিঠ ঠেকিয়ে তুরের ঘাড়ে আলত করে ঠোঁট বুলাতে থাকে। তুর অঝোরে চিতকার দিয়ে কাদতে শুরু করে। কিন্তু ওর আওয়াজ এই বন্ধ ঘরের বাইরে যাবে না। যা শুধু একজনের কানেই যায়। আর সে হচ্ছে তীব্র…. তুরের কান্নায় তীব্রের হুশ ফেরে। তুরকে কাদতে দেখে অন্ধকারের মাঝেই তুরকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নেয়। তুর নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চায় কিন্তু পারে না। তীব্র একহাত দিয়ে ওর কোমর পেচিয়ে আরেকহাত দিয়ে জোর করেই ওর চোখের পানি মুছিয়ে দেয়…. তারপর নরম গলায় বলে উঠে….

-_ সামান্য ছোয়াতে যদি এভাবে চোখের পানি ফেলো তাহলে তো সারাজিবনে এই চোখের পানি শেষই হবে না। এভাবে পানি ফেলে অপচয় করো না। খুব বেশি দামী তোমার চোখের পানি। এত সহজে ফেল না সস্তা লাগে আমার কাছে আর সস্তা জিনিস আমার একদম পছন্দ নয়। তোমার চোখে পানি দেখার জন্য আমি এত কিছু করব তা তুমি ভাবতেও পারবে না। কারন… তোমার চোখ থেকে ঝরা মুক্ত দানা আমার মনের শান্তির খোড়াক।

লোকটির কন্ঠস্বর শুনে তুর থমকে গেল। সবটা ধোয়াসার মত লাগল। এত সুন্দর মিষ্টি কন্ঠ কোনো পুরুষের হতে পারে। জানা ছিল না তুরের। শান্ত গলা শান্ত সমুদ্রের মত শোনা গেলেও কথাগুলো উত্তাল সমুদ্রের চেয়েও বেশি ভয়ানক।

এতক্ষন সবটা শান্ত হলেও এবার তুর আরো ভয় পেয়ে গেল। নিজের গালে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে। তুরের ছটফটানি আরো বেড়ে গেল। কিন্তু এই ছায়ারুপি মানুষটার থেকে কিছুতেই ছাড়া পাচ্ছে না। তুর ফিল করতে পারল তুরের ঠোঁটের দিকেই লোকটির বিচরন হতে চলেছে। আর এটাও বুঝতে পারল এই দুর্বল শরীর নিয়ে ও চাইলেও কিছু করতে পারবে না। তবুও নিজের শেষ চেষ্টা দিয়ে ট্রাই করল নিজেকে ছাড়ানোর। কিন্তু কোনো লাভ হলো না। তুরের হিচকি উঠে কান্নার বেগ বেড়ে গেল। কিন্তু শব্দ হলো না। লোকটির গরম শ্বাস তুরের ঠোঁটে…. তুর হাল ছেড়ে ভাগ্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতেই হঠাৎ মোবাইলের রিংটন বেজে উঠল। হ্যা ওই লোকটির মোবাইলের রিংটন। তীব্র তুরকে একহাত দিয়ে ধরে রাখা অবস্থায় মোবাইলটা বের করে দেখল…..

মোবাইলটা দেখা মাত্রই ও খুব দ্রুত তুরকে ছাড়িয়ে নিল নিজের থেকে। মোবাইলের আলোতে যতটুকু বুঝল তুর তাতে মনে হলো লোকটি নাম্বারটি দেখা মাত্র ঘামতে শুরু করেছে। লোকটি নিজের চোখ মুখ মুছে খুব উত্তেজিত হয়ে কলটা ধরে জিজ্ঞেস করল…

_- কি হয়েছে? [ ভয় মাখা কন্ঠে ]

— স্যার তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে আসুন। ওনার অবস্থা ভালো না।

কথাটা শুনে লোকটার কন্ঠে অদ্ভুত এক ভয় শুনতে পায় তুর।

— আমি এখনি আসছি।

মোবাইলটা কেটে লোকটা একটা ঘুশি মারে। বোঝাই যাচ্ছে এটা দেয়ালে লেগেছে তাই এমন ধুম শব্দ হয়েছে। এবার তীব্রের চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসে। এতক্ষন ও তুরকে ভয় দেখানোর জন্য কাজ গুলো করলেও এবার ও রেগে গেছে। তুরের নিশ্বাসের শব্দতেই তীব্র বুঝতে পারল ও কোথায়……

তীব্র গিয়েও ওর চুলের গুলো নিজের মুঠোয় প্রচন্ড জোরে চেপে ধরে। ব্যাথায় তুর ছটফট করছে কিন্তু কিছু বলতে পারল না। শুধু বুঝল লোকটির রাগান্বিত নিশ্বাস তুরের মুখে পরছে।

— তোকে আমি ছাড়ব না। তোর জন্য যা হয়েছে তার সবটার মুল্য তোকে দিতে হবে। ওর যদি কিছু হয় তাহলে……

— ছাড়ুন লাগছে আমার….

তীব্র কিছু বলতে গিয়েও বলল না। শুধু এটাই বলল….

— ব্যাথা কাকে বলে? আর কষ্ট কি এবার তুই বুঝবি।

তুরকে খুব জোরে ধাক্কা মেরে বেড়িয়ে যায় তীব্র। তীব্রের ধাক্কায় অন্ধকারে দেয়ালের সাথে বাড়ি খায় তুর। তীব্র দরজা খুলে বেড়োনের সময় হালকা আলো বের হলেও ও যাওয়ার পর সবটা অন্ধকার হয়ে যায়। আর তুর লোকটার কথার আগা মাথা না পেয়ে ওখনেই মুখ গুজে কাদতে থাকে….
,
,
,

,
,
তীব্র হসপিটালের জন্য বেড়িয়ে যাওয়ার পর তুর অন্ধকারে ওখানেই কাদতে থাকে। তুর খুব ভয় পায় অন্ধকারে কিন্তু এখন ওর জিবন থেকে যেন অন্ধকার শেষ হতে চাচ্ছে না।
,
,
,
,

,
,
,
,
,

— আচ্ছা তুমি কি কোনোদিন আমাকে একটু বিশ্বাস করতে পারো না নাকি😡।

— আমি কি বলেছি বিশ্বাস করি না। তুমি সেদিন রাতে কই ছিলা বললেই তো হয়।

— হানিমুন করতে গেছিলাম।😡😡 [ বিড়বিড় করে ] আরে শোনা কাজে গেছিলাম।

— কি এমন কাজ যে রাতেও ফোন ধরতে পারোনাই।

— [ সালার এই মাইয়াদের সাথে প্রেম করে মানসে করে ]

— দেখ রিদ্ধ তুমি কোথায় ছিলা যদি না বলো তাইলে কিন্তু ব্রেক-আপ….

— এই না না… জান, মান, বেবি, শোনা, আপদ-বিপদ সব তুই এমন কথা বলে না।

— আপদ-বিপদ মানে😡😡

— হায় হায় কি বললাম🤕 আপদ বিপদ মানে… দুঃখ- কষ্টের সাথি….

— চুপ কর মিথ্যুক…

— এই জান না। শোনো আমার ক…. যাহ কেটে দিল….

তারপর ফোন কেটে দেয়। আর রিদ্ধ মাথায় হাত দেয়…..

— ওরে কেউ থাকলে আমারে মারো। মারো মুঝে মারো😭😭 এ আমি কার সাথে প্রেম করি। সালা এই স্যারের চাকরি করতে গেলে গার্লফ্রেন্ড থাকে না। আর চাকরি গেলে গার্লফ্রেন্ড আর বউ হবে না। আর যদি এইটা বউ হয় তাহলে আমি থাকমু না😭 এখন আমি কি করতাম….. সালার এই সন্দেহ বাদী গার্লফ্রেন্ডের সাথে প্রেম করা যায়। ২৪ ঘন্টায় ৪৮ বার সন্দেহ। আর তিনবার করে ব্রেক-আপ… মন চায় সন্যাস নিয়া নেই.. 😤😤😤 যত্তসব ব্রেক-আপ ওয়ালি…

তারপর আশেপাশে দেখে নিজের চুল গুলো ঠিক করে নিজের বাড়ি ফেরে রিদ্ধ….
,
,
,
,
,

,
,,
,
,,
ওদিকে মাঝ রাতের দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরে তীব্র….. তীব্রের চোখে রক্ত জমে আছে। ও হাসপাতালে রাতে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। ওকে ডা. অরুন এলাও করেনি। তাতে তীব্রের ক্ষতি হবে বেশি।

, তীব্র সোজা নিজের রুমে যায়। নিজের ড্রয়ার থেকে একটা গান বের করে….. তারপর তুরের রুমের দিকে পা বাড়ায়। দরজা খুলতেই ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসে পরে তুর…. তীব্র রুমে ঢুকে লাইট জালায়। আর তুর বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। তীব্র সোজা রুমের ভিতরে ঢুকে তুরের কপাল বড়াবড় বন্দুক তাক করে।

এই প্রথম বার তুর তীব্রকে দেখতে পেল। দুজনেই এই প্রথম সামনাসামনি হলো। তীব্র বন্দুক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আর তুরের ঠোঁটসহ শরীর প্রচন্ড কাপছে। তখনি তীব্র বিন্দুকের টিগারে আঙুল দেয়। তুর লোকটার আগা মাথা কিছুই খুজে পায় না। কিন্তু বুঝতে পারে লোকটি ওর উপর প্রচন্ড রেগে আছে। গলা শুকিয়ে আসছে তুরের সত্যি লোকটি ওকে মেরে ফেলবে নাকি…. উত্তর খুজে পায় না তুর….

তখনি তীব্র টিগার প্রেস করে। আর তুর ভয়ে চোখ বন্ধ করে চিতকার করে উঠে…… কিন্তু কিছুক্ষন পর যখন কোনো কিছুর আভাস পায় না তখন চেয়ে দেখে…. ওই লোকটি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে বন্দুকটা নিজের কপালে স্লাইড করতে করতে…..

তুর তীব্রের দিকে তাকিয়ে ঢোগ গিলতেই তীব্র রক্তলাল চোখে তুরের দিকে তাকায়….. তুরের নজর ওর নজরে পরলে তুর পিছিয়ে যায়। আর তীব্র ওর দিকে এগোতে থাকে। একসময় তুর দেয়ালের সাথে মিশে যায়। আর তীব্র একহাত দেয়ালে ভর দিয়ে বন্দুকটা তুরের কপালে বেশ জোরেই চেপে ধরে ……

তীব্রের চোখ রাগে রক্তলাল হয়ে আছে আর তুরের চোখ পানিতে ভরে গেছে কিন্তু শব্দ করতে পারছে না। অসম্ভব কাপছে তুরের ঠোঁট জোরা। এইটা দেখে তীব্র বন্দুকটা ধীরে ধীরে তুরের কপাল থেকে ঠোঁটের কাছে এনে বন্দুক দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। বন্দুকের ধারালো অংশের খোচায় ব্যাথা পায় তুর যাতে আলত কেটে যায় ঠোঁটটা। তুর কিছু মুখ খুলতে যাবে… তার আগেই তীব্র বলে…

— হুসস… ঠোঁট দিয়ে যেন তিল পরিমান আওয়াজ না হয়। তাহলে কিন্তু [ গানটা লোড করে আবার তাক করে ]….

তুর আর কিছু বলতে পারে না। কিন্তু কান্নার বেগটা বেড়ে কাপতে থাকে…… তীব্র তখন ওর মুখের আরো কাছে যায়। তখনি একটা বাজে গন্ধ তুরের নাকে আসে। হ্যা তীব্র ড্রাংক। তবে খুব বেশি না। কন্ট্রোল করার মত…… কিন্তু তুর তা সহ্য করতে পারল না।

— প্লিজ আমি গন্ধটা সহ্য করতে পারছি না। সরে দাড়ান আমার থেকে। [ খুব জোরে চিতকার করে ]

তুরের মুখে এটা শুনে তীব্র তুরের কোমর পেচিয়ে ওকে নিজের একবারে কাছে নিয়ে আসে। তুরের মুখে ইচ্ছে করেই ফু দিতে থাকে। তুর সহ্য করতে না পেরে পাগলের মত ছুটাছুটি করতে থাকে। কিন্তু তীব্রকে ছাড়তে পারে না। ও যত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে তীব্র ততটাই ওকে নিজের মাঝে টেনে নিচ্ছে…..

এবার তুর সহ্য করতে না পেরে বমি করার অবস্থায় চলে এলো। কিন্তু তার জন্য পেটে কিছু থাকতে হবে। বিগত কয়েকদিন যাবত তুরের পেটে কিছুই পরেনি। বমি করতে পারলে হয়ত ভালো হত। কিন্তু না পারার কারনে পেট থেকে সব উগড়ে চলে আসছে। কিন্তু মুখে শুধু তিতার অনুভব হচ্ছে আর কিছু না। যা সহ্য করার মত না। আর না পেরে উত্তেজিত হয়ে তুর বলে উঠল……

— প্লিজ এই বন্দুকটা দিয়ে আমাকে মেরে ফেলুন তবুও আমাকে ছেড়ে দিন দোহাই লাগে….

কিন্তু ওর চিতকার তীব্রের কানে গেলেও ওর হৃদয় স্পর্শ করতে পারে না। ইচ্ছে করেই ও তুরের হাত আরো জোরে চেপে ধরে। যাতে তুরের কান্নার পরিমান টাও বেড়ে যায়…. তাতে অদ্ভুত আনন্দ পায় তীব্র…..

— খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার… যদি মেরে ফেলি তাহলে….

— দয়া করে তাই করুন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আপনার মুখে মদের বাজে গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

কথাটা শুনে তীব্র তুরের ঠোঁটের কোনে আলত করে ঠোঁট বুলায়….

— এতটাই খারাপ লাগছে এই সামান্য গন্ধটা।

— তার চেয়েও জঘন্য লাগছে আপনার প্রতিটি স্পর্শ।বিষের চেয়েও বিষাক্ত লাগছে তা। প্লিজ মারার হলে আমাকে মেরে ফেলুন কিন্তু আমাকে প্লিজ ছোবেন না
ছাড়ুন আমাকে…..

তীব্রকে ধাক্কা দিয়ে বমি করার চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না। কিন্তু তুরের শেষ কথাটা যেন তীব্রের কানে বাজতে থাকে যে তীব্রের ছোয়া মেয়েটার কাছে বিষের চেয়েও বিষাক্ত লাগছে…….

তুরের দিকে তাকাতেই দেখে ও পেটে হাত দিয়ে বমি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। তীব্র বুঝতে পারছে। তাতে বেশ উপভোগ করছে ও….. জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে তীব্রের দিকে তাকাতেই তীব্র একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। তুরের মনে হলো তুরের এসব লোকটার কাছে নাটক মনে হলো।

তীব্র ওর থেকে একটু দুরে যায়….. এটা দেখে তুর এবার আর ভয় পায় না। কিন্তু পেটের ব্যাথায় পেটে হাত দিয়ে থাকে। তীব্র ওর থেকে দুরে দেয়ালে হেলান দিয়ে আপাদমস্তক তুরকে দেখে নেয়। এবার তুর নিজের দিকে তাকায়। যা দেখে ও আকাশ থেকে পরে। কারন ওর শরীরে শুধু একটা ঢিলা সাদা শার্ট, যা হাটু অবধি রয়েছে। এটা দেখে ও তীব্রের দিকে তাকায়। তীব্র তখনো বাকা ঠোঁটে হাসছিল আর ওকে দেখছিল…… তুর আশে পাশে কিছু পায় না। তবে বিছানায় একটা চাদর পায়….. ওইটাকে উঠিয়ে নিজের গায়ে জড়িয়ে ওখানেই দেয়াল গেষে বসে পরে। ও এটা ভেবে স্তব্ধ ও একটা লোকের সামনে এতক্ষন এভাবে দাড়িয়ে ছিল। তবে এটা ভাবার অবস্থায় নেই যে ওর ড্রেস কে চেঞ্জ করেছে। চাদর জড়িয়ে নিজেকে গুটিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে ওভাবেই কাপতে থাকে তুর।

এটা দেখে তীব্র ওর কাছে যায়। তারপর ওর পাশে নিজেও দেয়াল গেষে বসে পড়ে একটা সিগারেট জালায়…. তারপর তা টানতে থাকে। পুরো রুম ধোয়ায় ভরে গেছে। তুরের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু সেটা ফিল করার অবস্থায় ও নেই। শ্বাস টানতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বুঝতে পারছে না তুর…… তীব্র এটা দেখে আরেকটা সিগারেট ধরালো। সিগারেটে একটা ফু দিয়ে নিজেই থেকেই বলল…..

— মিষ্টি মিষ্টি হয়। জোর করে মিষ্টি খাওয়ালে কিন্তু তা তেতো লাগে না। এখন যদি তুমি সেটা সহ্য করতে না পারো সেই দোষ অন্য কাউকে দিতে পারো না।

তুর কিছু শুনছে কিনা নিজেই জানেনা।

ওকে চুপচাপ দেখে তীব্র নিজের মনেই ভেবে মুচকি হেসে উঠে …..

— চাইছিলাম মৃত্যু দিব তোমায়। কিন্তু তোমার তো মৃত্যুর চেয়েও আমার ছোয়া বেশি যন্ত্রণাদায়ক মনে হচ্ছে। তাহলে দরকার কি মেরে ফেলার। তুমি নিজেও তোমার নিজের কষ্টের রাস্তা আমাকে বলেছো। আমার ছোয়া তোমার কাছে বিষ হলে এই বিষ দিয়েই মারব আমি তোমায়। তোমার দেওয়া বিষেই আমি আমার মনের বিষক্ষয় করব।

তুরের দিকে তাকিয়ে লাইট নিভিয়ে দিল তীব্র…..

,
,
,
,

,
,
,,
,
,[বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]

বেশি না একটা কথা, অতীত না জানলে বুঝতেন না গল্পের আগা মাথা…

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr
Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here