বন্ধ দরজায় তুমি🖤পর্ব-২০

0
765

#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 20…….

ওদিকে…. গাড়ি দ্রুত ব্রেক করার কারনে বাড়ি খেয়ে তুর নিচে পরে যেতেই গাড়ি থেকে একটা ছেলে দ্রুত নেমে আসে…. তুর ঝাপসা চোখে কোনো ছেলেকে দেখে….

— এইযে শুনছেন..

কিন্তু তুর কোন জবাব দিতে না পেরে জ্ঞান হারায়।

আর ওদিকে তীব্র রুমে থেকে বেড়িয়ে প্রচন্ড জোরে চিতকার করতে থাকে। বাড়ির সবাই জরো হয়ে যায়। সবাই ভয়ে মাথা নিচু করে আছে….. রিদ্ধ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস বলল….

— স্যার…

— এতো টাইট সিকিউরিটির পর তুর পালালো কিভাবে…

— স্যার আমি ভাবিনি তুর পালাবে। তাছাড়া আমি তো….

— তোমার কি মনে হয় আমি কারো ভয়ে তোমাকে সিকিউরিটি ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। 😡

— সরি স্যার….

— আমি জানতে চাই তুর কিভাবে পালালো।

তখনি একজন রান্নার লোক এসে বলল…. ম্যাম রান্না ঘরে দিকে গিয়েছিল। আমি কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করতে সে বলল…. তাকে শরবত করে দিতে। আমি বললাম রান্না ঘরে থাকা ড্রাম গুলো বুঝিয়ে আসি। তারপর আমি আমার কাজ শেষ করে রান্নার ওনার জন্য শরবত বানিয়েছি। কিন্তু দোতলার রুমে গিয়ে তাকে পাইনি।

তীব্রের বুঝতে বাকি রইল না তুর কিভাবে বাড়ির বাইরে গেছে। ও দ্রুত বাড়ির বাইরে ড্রামের গাড়ির কাছে যায়। আর একটা ড্রাম হেলানো দেখে… তারমানে ওর ধারনা সঠিক ও এই ড্রামের ভিতরে ঢুকেই বাইরে এসেছে।

— তুর ভাগ্যের জোরে তুমি আজ আমার থেকে পালালে। দেখি এই ভাগ্য কতক্ষন সাথ দেয় তোমায়। ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে তোমার নজরে পবিত্র করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি তা হতে দিলে না। এবার তীব্রের হিংস্র রুপটাও তুমি দেখবে…. রিদ্ধ…

— স্যার….

— ওর যত আত্নীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব কাছের যারা আছে সবার বাসায় লোক পাঠাও এখান থেকে পালালেও যেন ওদের কাছে পৌঁছাতে না পারে।

[ তুরকে খোজার নাম করে তোয়ার কাছ থেকে সব ইনফরমেশন নিয়েছে তীব্র। তাই আর কোনো সমস্যা নেই এইটুকু সময়ে সবটা ব্যবস্থা করার….]

ওর লোক অনেক আগেই তুরকে খোজার জন্য গেছে। তীব্র নিজেও বেড়িয়ে যায়। আজকে তুরকে হাতে পেলে যে ও কি করবে তার ধারনা তীব্রের নিজেরো নেই। ওর একটাই কথা ওর তুর চাই। তাও যেকোনো মুল্যে…..

,
,
,
,

ওদিকে তুরের কপাল থেকে রক্ত পরতে দেখে ছেলেটা ঘাবড়ে গেল।

— আচ্ছা আপদ জুটলো তো। আরে ভাই মরার জন্য আমার গাড়ি পেলে। আর কাউকে পেলে না। এখন যদি পুলিশ জানতে পারে তাহলে কি হবে। ড্রাংক করে ড্রাইভ করলে কান ধরিয়ে ছেড়ে দেয় কিন্তু এখন..

আশেপাশে কেউ আছে কিনা দেখে নেয়। না কেউ নেই।

— তাইলে আর কি ঝামেলা না নেওয়াই ভালো। কেটে পর…

তখনি ছেলেটা চলে যেতে নেয়। কিন্তু আবার কি ভেবে তুরের দিকে ফিরে তাকায়…

— নাহহ এভাবে মেয়েটাকে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না। অপরাধ যখন করছি তাইলে আরকি… [ আকাশের দিকে মুখ তুলে ] হে আল্লাহ এইসব মুছিবতে আমাকেই ফেলতে হয়। কেন অন্য কেউ ছিল না। এমনি কম ঝামেলায় আছি. আচ্ছা এক্সিডেন্ট করাবা করাবা একটা ছেলেকেই করাতে। হ্যা জানি তুমি নিজের মর্জির মালিক। তাই বলে মেয়ে… দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ে থেকে ভাগছে এখন যদি ওর বাড়ির লোকেরা আমার কাছে পায় তখন। এই নিয়ে কয়টা কেস হলো???

তখনি কয়েকটা গাড়ি আসতে দেখে….

— ওরে তাড়াতাড়ি ভাগ এরা বুঝতে পারলে ডায়রেক্ট জেলে।।

তুরকে কোনো মতে পাজা কোলে তুলে গাড়িতে শুইয়ে দেয়। তারপর দ্রুত ড্রাইভ করে বেড়িয়ে যায়৷ ওদিকে পাগলের মত তীব্র ওকে খুজতে থাকে…..
,
,

,
,
,
,
,
,
,
,

তুরকে নিয়ে কি করবে ভেবে পায় না ছেলেটা। তাই গাড়িতে বসেই ডক্টরকে ফোন দেয় ও…..

— হ্যালো… এত রাতে…

— আংকেল প্লিজ আপনি বাসায় চলে আসেন। একটা বড় সড় সমস্যা হয়ে গেছে।

— কিন্তু..…

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ও লাইনটা কেটে দেয়। তারপর ড্রাইভ করে কয়েকঘন্টার মাঝেই নিজের বাড়িতে চলে যায়। তুরকে নিয়ে বাসায় যাবে কিনা ভাবতেই মনে পরে আজ মা বাসায় নেই। তাই ও একটু ভয়েই বাসায় ঢোকে….

— সানিয়াদ এটা কি ধরনের মজা 😡 আমাকে আসতে বলে…

তখনি ওর কোলে বিয়ের সাজে একটা মেয়েকে দেখতে পায়….

— এই মেয়েটি কে?

সানিয়াদ এবার মুশকিলে পরে যায়। কি বলবে ভেবে পায় না। যদি বলি এক্সিডেন্ট করেছে তাহলে খবর আছে…..

-_ [ সানিরে সানি ভাব কি বলবি। আইডিয়া.. ] গা.. গা.. গার্লফ্রেন্ড… হা ও আমার গার্লফ্রেন্ড… 😬😬

তারপর তুরকে বিছানায় শুইয়ে দিতেই ডক্টর ওর মাথায় ব্যান্ডেজ করতে করতে বলে..

— তা গার্লফ্রেন্ড এই অবস্থায় কেন?

— আসলে ওর মা বাবা জোর করে বিয়ে দিতে গিয়েছিল তো। তাই পালিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি বুকে পাথর চেপে ওর বাবা মায়ের কথা ভেবে বললাম..” তোমার বাবা মায়ের কথা রেখে বিয়ে করে নেও” বর্তমানের মেয়েদের তো জানেন। ব্যস হয়ে গেল বিশ খেতে গেলো….

— কিন্তু চোট তো মাথায় লেগেছে..

— লাগবেই তো… বিষ খেতে চেয়েছিল বলে থাপ্পড় মেরেছি তাই পরে গিয়ে চোট পেয়েছে। এই গাল দেখতে যাবেন না। মেকাপ করেছে তাই বোঝা যাচ্ছে না। 😁😁

ডক্টর একবার তুরকে দেখে নিল। তারপর বলল….

— সানিয়াদ যদিও তোমার কথা আমার বরাবরের মতই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তবুও বলব… মেয়েটা কিন্তু খুব কিউট তোমার জন্য পার্রফেক্ট বিয়ে করে নেও। তাছাড়া এতটা ভালোবাসে তোমাকে….

— নেব বিয়ে করে নেব। কিন্তু এই কথা মাকে বলবেন না। তাইলে….

— কি??

— কিছুনা।

ডক্টর একগাল হেসে বেড়িয়ে গেল…. আর যাওয়ার আগে বলে গেল ওর মাথায় যেন প্রেসার না পরে। তাইলে কিন্তু সমস্যা হবে।
,
,
,
,
,

,,

,
সকালে কলিংবেল বেজে উঠতেই সানিয়াদ মাটি থেকে উঠে বসল। তুর ওর বিছানায় তাই ও মাটিতে শুয়ে ছিল। কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলো। ও দরজা খুলতেই শকড…

— মা তুমি তোমার না না ফেরার কথা ছিল। না মানে কয়দিন পর আসার কথা ছিল।।

ওর মা কোন কথা না বলে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে সোজা সানিয়াদের রুমে… সানিয়াদ আটকানোর জন্য গেলেও লাভ হলো না।

— মেয়েটা কে সানি😡😡

— কাজের মেয়ে… 🙄 তোমার জন্য এনেছি।

— কাজের মেয়ের শরীরে এরকম দামী শাড়ি গয়না। বল কে? 😡😡

— তা আমার বউ… [ রেগে গিয়ে ]

— তারমানে আমাকে ছাড়াই বিয়ে করে নিলি।।😭 কি ছেলে পেটে ধরলাম রে…. ডক্টর আহসান তারমানে ঠিকি বলছে।

তখনি সানি ওর মায়ের মুখ চেপে ধরে…

— আরে ধ্যাত বউ না গার্লফ্রেন্ড… [ বিরক্তি নিয়ে। কারন মায়ের খবর জানে। গার্লফ্রেন্ড শুনলে শান্ত হবে। আর বউ শুনলে এখনি বাসর করিয়ে নাতিপুতি জন্য লাফাবে। ]

— আমাকে আগে বলিসনি কেন? তোকে কত বলছি বউ নিয়ে আয়। আর এতসুন্দর একটা মেয়ে একে কিনা😡😡

— আগে বলিস নি কেন… [ ব্যাঙ্গ করে ] এইজন্য বলিনি… গার্লফ্রেন্ড আমার। বিয়েটা আমার গার্লফ্রেন্ডের হবে তোমাকে কেন বলব?

তখনি তুর হালকা চোখ মেলে উঠে বসে।

— চুপ করবি তুই…. মেয়েটা উঠে গেছে।

— আপনারা কারা..

— আমি সানির মা…

— কে সানি…

— এই সানি তোর গার্লফ্রেন্ড তোকে চিনতে পারছে না।

— কি বলো তাই নাকি। তাহলে এটা আমার না। বাইরে বের করে দিয়ে আসি… 😤😤

— চুপ বদজাত ছেলে… 😡 তা মা তোমার নাম কি?

— আমার নাম…. আমার নাম কি?

এটা দেখে শব্দ করে সানি হেসে বলে…

— এলো এনি দেহি নিজের নাম ভুলে গেছে আমার নাম কি মনে রাখব। আসলে মনে হচ্ছে মাথায় আঘাত পেয়ে সব ভুলে গেছে এসব হয়।

তখন ও ডক্টরকে ফোন দিয়ে বলে…

— আংকেল গার্লফ্রেন্ড আমার নিজের নাম ভুলে গেছে।

— এটা শর্ট ট্রাম মেমোরি লস হতে পারে। মাথায় আঘাত লাগার কারনে। তবে ভয় লাওয়ার কিছু নেই। ১ বা ২ সপ্তাহে ঠিক হয়ে যাবে।

— আচ্ছা…

তুর অবাক হয়ে ওদের দেখতে লাগল। এইটা দেখে সানি ওর মাকে বলল এই আগে খাবার দাওতো।

ওর মা চলে যায়। তখন ও তুরের কাছে যায়। তুরের কাছে যেতেই একটু ভয় পায় তারপর বলে…

— তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড….

— ঠিক বলতে পারছি না। কিন্তু আমার মায় যখন জানছে কপাল যে দুঃখ আছে তা বুঝতে পারছি। নাম কি তোমার।

— আমার তো মনে পরছে না।।

— তোমার দোষ নাই। দোশ এই কপালের।এই পাগলা গারতে ভালো মানুষ পাগল হয় সেখানে তুমি এখনো সুস্থ্য।

— তুমি তো আমার।বয়ফ্রেন্ড হয়ে আমার নাম জানো না।

_- কেন জানব না। [ একটা দিয়া দেই। নিজের নাম মনে নাই তার আবার নাম। ] তোমার নাম চুকলি…

— চুকলি কারো নাম হয় নাকি?

— আরে মাইয়া এইটাই তো কথা চুকলি কারো নাম হয় নাকি। কিন্তু তোমার নাম হয়। আর এই বাড়িতে যারা থাকে তাদের নাম হয়। 😡[ রেগে চলে গেল ]

সানি ইঞ্জিনিয়ারিং পরছে। মায়ের বিয়ের পর নাতিপুতি দেখবে। কিন্তু সানি সেটা চায় না।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,

এভাবে দেখতে দেখতে কেটে গেল ১ সপ্তাহ তুর এখনসুস্থ। তবে ব্যান্ডেজ এখনো খোলা বাকি। কিন্তু সানি শান্তিতে নেই। এতদিন শুধু মায়ের পাগলামি সহ্য করলেও এখন তুরের বয়ফ্রেন্ডের পাগলামি ওকে আরো অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ওর এত ন্যাকামি একদম সহ্য করার মত না। কিন্তু মায়ের জন্য কিছু বলতে পারছে না। নিজেকে কেমন ফাকা আমের আটি মনে হচ্ছে…. তুর আর ওর মা মিশে গেছে কিন্তু ওর কোনো কখর নেই। ওদিকে বিয়ের কথা বলে পাগল করে দিচ্ছে সানিকে….

৭ দিন পর সানি আজ ভার্রসিটিতে যাবে। তখনি ওর মা ওকে ডাকে…

— ওই চুকলিকে নিয়ে যা তোর সাথে। বাইরে থেকে ঘুরে আসলে ভালো লাগবে…

— কেন এখন কি খারাপ লাগছে ডাক্তার ডাকব😡😡

— চুপ কর সবসময় শুধু বাজে কথা। যা বলেছি তাই…

— আরে আমার লেট হয়ে যাচ্ছে.… আরেকদিন নিয়ে যাব।

— কই আমিতো রেডি😁😁

— – এই মেয়েকে তো😠😠 জালা সহ্য করতে না পেরে ভার্রসিটিতে যাচ্ছি আর ওইখানেও… ওই আমি পারব না।

— মা…. 😭😭😭

— সানি😡😠😡……..

— ওই আগে চল…

তরের হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। তারপর বাইকে উঠতেই তুর ক্যাবলা হাসি দিয়ে। এটা দেখে আরো রেগে যায় সানি….

— কিছু বলার আগেই দাত কেলায় আর কিছু বললেই ছাগলের বাচ্চার মত ম্যা ম্যা করে। যেন ফিটার খাওয়াতে হবে। ম্যা ম্যা।।। যত্তসব.।। 😠😠

— কিহল চলো… 😘😘

সানি ওকে নিয়ে ভার্রসিটির গেটে ঢুকতেই একটা মেয়ে এসে সানিকে জড়িয়ে ধরল…

— বেবি তুমি এতদিন কই ছিলে জান কত মিস করেছি তোমায়। আমাকে একবার বলতে আমি তোমার কাছে চলে যেতাম।

— পারতে না গো আমি জাহান্নামে গেছিলাম। সবে মাত্র ল্যান্ডিং করছি.….

— what… 🙄🙄

— ও কিছুনা.।।

তখনি তুর এসে ধাক্কা মেরে ওকে সরিয়ে দেয়।

— তোমার সাহস হয় কি করে আমার বয়ফ্রেন্ডকে টাচ করার।

-_ ও তোমার বয়ফ্রেন্ড মানে.।। সানি বেবি.. 😭

— এই সানি তোমার মা লাগে নাকি। বেবি বলছে না।

— আরে চুকলি এটা সেই বেবি না।

— ওও.. এই তোর বয়ফ্রেন্ড মানে। সানি আমার বিএফ.।।

— তাইলে আমি কে?

— সত্যি তো কে তুই…

সানির এই প্রথম মজা লাগল। দুইটা মেয়ে ওর জন্য চুলছিড়াছিড়ি করছে এইটা দেখে ও বাইকে বসে বাদাম খাচ্ছে। আর মজা নিচ্ছে… তার এক পর্যায়ে দেখল ওই মেয়েটি তুরের গালে চড় মারতে চাইল.।।।

— ঠিক তখনি ওর হাত ধরে ফেলল..

— সিনিন… এইটা না…

-_ তুমি এই মেয়েটার জন্য আমাকে।।। তারমানে ও সত্যি তোমার গার্লফ্রেন্ড। তাহলে আমার সাথে রিলেশন….

— দেখ সিনিন আমি আগেই তোমাকে বলেছি। কিন্তু তুমি জোর করে আমাকে নিজের বিএফ বানিয়েছ। তেমনি ও আমাকে জোর করে বিএফ বানিয়েছে। এতে আমি কি করতে পারি…

— ঠিক আছে তাহলে আজ ব্রেকাপ… [ বলে চলে গেল। ]

— আলহামদুলিল্লাহ…. বইনা চুকলি এই প্রথম তোকে ধন্যবাদ দিতে মন চাইছে। এদিকে আয় একক্ষান চুমা দি…

ওর কাছে যেতেই তুর খুব জোরে ঠাটিয়ে একটা চড় দিল। এটা দেখে সানি অবাকের শীর্ষে। সারাদিন বিএফ বিএফ করে মরে যায়। অথচ সামান্য কথাতেই এইটা করল।

_- আরে আমি কি তোকে সত্যি সত্যি চুমা দিতাম নাকি… আজব তো…

— এই আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড হলে ওইটা কে? এখন শুধু থাপ্পড় মারছি এবার তো… [ পাশে থেকে একটা লাঠি নিয়ে মারা শুরু করল। ]

— হায় আল্লাহ এইটা দেখি ওইটার চেয়েও ডেঞ্জারাস। ওইটা তাও মিষ্টি কথা বলত… ওই থাম থাম… তোরে আইস্ক্রিম খাওয়ামু তাও থাম। আসলে ওইটা প্যারা ছিল তাই আর কি? আর তুই তো আমার জিএফ মানে গুড৷ ফ্রেন্ড নাইলে এত বড় উপকার করতি…

য়ুরের নাক টেনে।

— ঠিক আছে চলো…..

এরপর দুজনে আইসক্রিম পার্লারে গিয়ে আইসক্রিম খেতে লাগল। তবে সানির কেন জানিনা তুরের অনেক কাজে কেমন কেমন লাগে… মাঝে মাঝে মনে হয় ও জেনে বুঝে ইচ্ছে করে করছে। এই কয়দিনে বিএফ বিএফ করে মরেছে। অথচ ভুলেও সানির সামান্য স্পর্শ ওর গায়ে লাগেনি। এমনকি ভুলেও যদি সানি কাছে চলে আসে ও চিল্লিয়ে একসাথ করে। সেটা প্রথম প্রথম গায়ে না মাখলেও পরে ব্যাপারটা ভাবায়। যদি সত্যি বিএফ ভাবে তাহলে এমন করবে কেন? কিন্তু ওর মায়ের জন্য কিছু বলে না। ওর কি ও মা খুশি হলেই খুশি…..

,
,
,
,

ওরা আইসক্রিম খাচ্ছিল। ঠিক তখনি রাস্তার সিগনেলের মধ্যে বসে ছিল তীব্র। এই কয়দিন পাগলের মত খুজেছে ও তুরকে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সব জায়গায় কোথাও বাদ রাখেনি… ক্লান্ত তীব্র এখনো অক্লান্ত ভাবে তার তীব্রকে খুজে বেরাচ্ছে। ঠিক তখনি তীব্রের নজর যায় আইসক্রিম পার্লারের দিকে… হঠাৎ মনে হল ও যেন তুরকে দেখছে…. কিন্তু প্রথমে ভুল ভাবলেও বঝতে পারল এটা ভুল নয়… সত্যি তুর.. ওকে দেখে নিজের রাগটা আরো বেড়ে গেল। কারন ও একটা ছেলের সাথে। তাও এমনি এমনি নয় বেশ হেসে খেলেই আছে… সিগন্যাল ছেড়ে দিতেই তীব্র ওদের দিকে গাড়ি নিয়ে যেতে লাগল….

— এইযে চলুন…

তারপর তুর আর সানি বাইকে উঠে বাইকে স্টার্ট দিল.।। তীব্র ওখানে পৌছানোর আগেই ওরা চলে গেল। কিন্তু তীব্র ওকে ধরার জন্য ওর পিছু নিল…. ওর মাথায় একটাই চিন্তা আজকে তুরকে পেলে তীব্রকে ছেড়ে আসার শাস্তি ওদের হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবে।। তবে তীব্রের রাগটা বাড়িয়ে দিচ্ছে তুরের সাথে থাকা ছেলেটা….
,
,

,

,,

,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্ব জানবেন ]

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here