বন্ধ দরজায় তুমি🖤পর্ব-৪৪

0
655

#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr [ Mêhèr ]
#Part: 44…..

🖤
তাইয়্যান বেশ খুশি হয়ে চলে গেল রিদ্ধের সাথে। এদিকে তীব্রের মেজাজ প্রচন্ড বিগড়ে আছে। আজকে তুরের কিছু একটা ব্যবস্থা করবেই। বড্ড বেশি বাড় বেড়েছে। ইচ্ছে করে ওকে বিরক্ত করার জন্য এসব করছে ও।

তীব্র ভিতরে ঢুকতেই দেখে তুর সেভাবেই বিছানায় বসে আছে।তীব্র কিছু বলতে যাবে তার আগেই তুর বলে উঠে, “ আপনি কী বিয়ে-টিয়ে কিছু করেছেন নাকি? “ নখ দেখতে দেখতে বলে ওর দিকে তাকায়।

ওর কথায় হতবাক তীব্র! কী সব বলছে তুর?

“ কী বলতে চাইছ তুমি? “

তুর বিছানা থেকে উঠে ওর কাছে এসে দাঁড়ায়। ওর চোখে চোখ রেখে বলে, “ নাহ তেমন কিছু না। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে। তা দরজার ওপাশে কে ছিল ? “

তীব্র ওর দিক থেকে নজর ঘুড়িয়ে ওয়্যার-ড্রপ দিকে কিছু খুঁজতে থাকে।

“ কী হলো বলছেন না যে বাইরে কে ছিল? “

“ তোমার কি মনে হয় আমার আরেকটা বউ এসেছে তোমার জন্য তাকে ঘরে ডুকতে দেইনি । “

এটা শুনে তুর বিছানায় গা মেলে শুয়ে এক পাশ ফিরে বাম হাতের পাতায় মাথা রেখে বলে, “ সেটা নিয়ে চিন্তিত নই। কারন আমি জানি আমি কতটা স্পেশাল। সো আপনার আরেকটা বিয়ে করার প্রশ্ন আসে না। “

কথাটা শুনে থমকে যায় তীব্র। জিজ্ঞাসুর দৃষ্টিতে তাকায় ওর দিকে, “ নিজেকে কী ভাব তুমি তুর? এতই দামী তুমি? ”

এটা শুনে বড়সড় হাই তুলে দু`হাতের ভাজে মাথা দিয়ে বলে,
আমাকে আপনার সত্যি আগের মত বোকা মনে হয় তীব্র। আপনি যা বুঝাবেন তাই বুঝব। “

নিশ্চুপ তীব্র। এটা দেখে তুর বিছানা ছেড়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়। তুর আয়নার মধ্যে দেখে। তারপর বলে, “ আয়নার দিকে তাকান তীব্র। “

তীব্র আয়নার দিকে তাকাতেই তীব্র আর তুরের চোখাচোখি হয়। রহস্যময় হাশি ফুটে উঠে তুরের মুখে। তা দেখে বিস্মিত তীব্র। তুর শীতল কন্ঠে বলে, “ কাল রাতে আপনি যেমন তুরের মন পড়ে নিয়েছিলেন। তুর কী চায়? তুর ও তীব্রের মন বুঝেছে। ড. রায়হানের কথা জানিনা। কিন্তু তীব্রের কাছে তুর খুব দামী। তুর ছাড়া তার কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না। ”

” তুমি কী চেঞ্জ করবে না? ” বেশ ঝাঝাল কণ্ঠে। তীব্র বেড়িয়ে যেতে নেয়। তার আগেই হাত ধরে তীব্রের।

” পালিয়ে যাচ্ছেন? সত্যিটা মানতে কষ্ট হচ্ছে? ”

” তুমি কী বলতে চাইছ? ”

” আপনার মত ব্রেন ওয়াস করে নিজের ভালোবাসা বীজ বুনব না। আর না নিজেকে আপনার কাছে নিজেকে ইমপোর্টেন্ট প্রুফ করতে চাইব। কেন জানেন? ”

নিশ্চুপ তীব্র।

” কারন… ( তীব্রের গলা পেচিয়ে) আমি জানি আমি আপনার জন্য কতটা ইমপোর্টেন্ট। আলাদা করে বলতে হবে না। আপনার দুর্বলতা, আপনার ভালো-খারাপ সব আমি। তাই না? ”

আলত হাসে তীব্র। ” প্রেমে দুজনের মধ্যে কাউকে খেলনা হতেই হয় তুর। আর যুদ্ধে প্রতিপক্ষ সমান না হলে মজা নেই। তুমি যা বলছ তা ঠিক। সত্যিই তো এত বছরেও এমন কাউকে পেলাম না যে তোমার মত আমার বন্দিনী হয়ে থাকতে পারবে। তোমার মত বন্দিনী হয়ে আমার সব চাওয়া-পাওয়া পূরন করতে পারবে। ”

কথাটা শুনেই তুরের হাত আগলা হয়ে আসে। তীব্রকে কথার জালে ফেলতে গেলে নিজেই জড়িয়ে গেল। ও মুখ শক্ত করে তীব্রের গলা ছেড়ে দিতেই তীব্র একহাতে ওর কোমর জড়িয়ে নিজের মাঝে মিশিয়ে নিয়ে আরেকহাতে ওর থুঁতনি ধরে। তুর অন্যদিকে মুখ করে ওকে ছাড়াতে চাইলে কিন্তু তীব্র বাঁকা হেসে ওর গালে নাক দিয়ে স্লাইড করে বলল, ” সত্যি বলছি তুর। তুমি ঠিক। তুমি ছাড়া আমার কোন গতি নেই। তোমার মত করে কেউ আমাকে ভালোবাসতে পারবে না। তুমি যেভাবে এতকিছু করার পর আমাকে মেনে নিয়েছিলে, আমাকে ভালোবেসেছিলে, আমার ঘুমের সঙ্গী হয়ে আমার সকল ক্লান্তি দূর করেছ। অন্য কেউ চাইলেও তা পারত। তাইত তুমি আমার বন্দিনি জন্য পারফেক্ট। সো তোমাকে ছাড়া আসলেই আমি অচল। আমার সমস্ত চাওয়া-পূরনে অচল। ”

তীব্রকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বলে, ” দরজায় রিদ্ধ্বের সাথে কে ছিল? আর কীসব বলছিল? ”

এবার তীব্রের মনে ভয় ঢোকে। ও কী তাইয়্যানের কথা শুনেছে?

” কী বলতে চাইছ? ”

” মনে হলো কোন বাচ্চা পাপা পাপা করছিল? ”

কথাটা শোনা মাত্রই তীব্রের বুকে কাঁমর লাগে। ” আসলে রিদ্ধ… ”

ভ্রু-কুঁচকায় তুর। ” রিদ্ধ কী বিয়ের আগেই? ”

” রিদ্ধ কাকে নিয়ে এসেছিল আর সে এখানে পাপা পাপা যাই করুক না কেন? আমি অবশ্যই এই অবস্থায় তাদের সামনে তোমাকে যেতে দেব না। আর এইটা বিয়ে বাড়ি সো… যাও চেঞ্জ করে আসো। ”

” আচ্ছা তীব্র, আপনি মাঝে মাঝে এমন অবুঝের মত কথা কেন বলেন? এখানে কী আমার ড্রেস আছে? এখন আপনার ড্রেস পড়ব। আপনার ড্রেস হবে আমার? দুইটা তুর আটবে তাতে। ” বেশ বিরক্তির সুরে।

তীব্র ওর কথায় বুঝল সত্যি ভুল হয়ে গেছে। এতে ওর কোন দোষ নেই। কারন একটু আগে কিছু ভাবনা চিন্তার পর্যায়ে ছিল না তীব্র।

” আচ্ছা আমি তোমার ড্রেস আনিয়ে দিচ্ছি। ”

” তাই ভালো। তবে সেই ড্রেস যা আমি পরতে চাই।”

রেগে তুরের দিকে তাকায়। তুর ভাবলেশহীন ভাবে বলে, ” রেগে লাভ নেই। আপনি চাইলে আমাকে জোর করে আর যাই হোক ড্রেস পরাতে পারবেন না। আর হ্যা… ( ইনোসেন্ট ফেস করে তীব্রের কাছে গিয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরে।) আর আমি জানি মি. তীব্র কখনো চাইবে না আমি এই অবস্থায় বাইরে যাই। নিজের কথা রাখতে আমি সব করতে পারি। ”

” এইজন্য বলছ তো আমি তোমাকে এই অবস্থায় বাইরে যেতে দেব না। ”

” একদম রাইট। আর তাই বলতে পারি যা আমি বলব আপনি তাই করবেন। সো… ”

তীব্র আর কথা বাড়ায় না।

———————–

প্রায় ১ঘন্টা পর…

তীব্র কতগুলো শপিং ব্যাগ ওর দিকে ছুঁড়ে মারে। তুর এখনো সেই অবস্থায় ছিল। ব্যাগ গুলো নিয়ে বের করে দেখে। মুচকি হাসি দেয়। তারপর বলে, ” ওকে এখন রুম থেকে যান। আমি চেঞ্জ করব। ”

” বাথরুমে যাও। ”

” সরি। আবার ভেজার ইচ্ছে নেই। তবে আপনি যদি বাইরে না যান তাহলেও সমস্যা নেই। আমি চেঞ্জ করতে পারব। মনে আছে যখন বন্দীনি ছিলাম কী করেছিলেন? ”

” তুর…” রেগে যায় তীব্র।

” ক্লেম ডাউন তীব্র। শান্ত হোন। আপনি বাইরে যাবেন কী না?”

তীব্র রাগে গটগট করতে বেড়িয়ে যায়। এটা দেখে তুর শরীর দুলিয়ে হাসে। ” কী সব ব্যাপার রে বাবা? এইগুলো বলে আগে ভয় দেখাত। আর এখন ভয় পাই না বলে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে।

তীব্র বাইরে চলে গেলে তুর শপিং ব্যাগ থেকে ড্রেসগুলো বের করে নেয়। যা চেয়েছিল সেরকম নেই। তবে যা এনেছে তাতেই হবে। তুর কালো একটা টপস আর জিন্স পরে ওড়না হিজাব গলায় ঝুলিয়ে রাখে। মাথায় একটা ঝুটি করে বেড়িয়ে আসে বাইরে। সবাই ব্যস্ত হয়ে কাজ করছে। তুর বাইরে সবার কাজ গুলো দেখতে থাকে। ও বাইরে বেড়োতে চায়। ও বাগানের ওখানে যায়। বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। হঠাৎ চোখ পরে ওখানে থাকা ফলের ঝুড়ির দিকে। সেখান থেকে একটা পেয়ারা তুলে নেয়। ক্ষিদে পেয়েছে। পেয়ারায় নিয়ে এদিক-ওদিক দেখে পেয়ারায় বাইট করতেই…

” তোমার বাবা খেতে দেয় না বলে চুরি করে খাচ্ছ? ”

” এই কে রে? ”

ঠিক তখনি ওর সামনে তাইয়্যান এসে দাঁড়ায়। থমকে যায় তুর। ভালোভাবে দেখেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে, ” এই তুই সেই পিচ্চিটা না?”

” হ্যা… ” মাথা নাড়ায় তাইয়্যান।

” এখানে কী করছিস? ”

” তোমার চুরি করা দেখছি? চুরি করে পেয়ারা খাচ্ছ? ”

” এইটা কী রে বাব… ( মনে মনে বলল) ওই শোন চুরি করে খাচ্ছি না। এখানে খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল তাই খাচ্ছি। তোর সমস্যা? সমস্যা হলেই কী? তুই বললেও খাব আর না বললেও। ” তাইয়্যানকে ভেংচি কেটে পেয়ারায় বাইট করে।

তাইয়্যান ওর এই অবস্থা দেখে গাল ফুলিয়ে আছে। এটা দেখে তুর নাকটা ঘষে নেয়। তারপর বলে, ” তুই খাবি? ” মাথা নাড়িয়ে না জানায় তাইয়্যান।

” না খেলে না খা। আমার কী? ”

” ও তুমিই খাও। আমার পাপাই আমাকে খাওয়ায়। তোমার পাপাই তো খাওয়ায় না। তাই কেমন তাল-পাতার সিপাহি হয়ে আছ। তাই তো চুরি করে খাচ্ছ। যাও তাই মাফ করে দিলাম। ”

এটা শুনে তুরের মুখের পেয়ারা পরে যায়। ও রেগে গিয়ে চেচিয়ে বলে, ” এই তোর কী মনে হয়? খেতে পাইনা বলে চুরি করে খাই। ”

” তারমানে স্বীকার করলে তুমি চুরি করে খাচ্ছ। তা যে কারনেই খাও। ”

তুর থ… এটা কেমন পিচ্চিরে বাবা। এত পাকনা।

” এই দেখ.. আমি পেয়ারা খাব। এখন চুরি করি, ছিনতাই করি তোর কী? আর সামান্য পেয়ারা নিয়ে খোটা দিচ্ছিস। এই পেয়ারা কী তোর বাপের? আমি আমার ব… ধূর তোকে কেন বলব? কার পেয়ারা খাচ্ছি।”

ওর কথায় রেগে যায় তাইয়্যান। ” মাথা নিচে নামাও.. ”

” কেন? আবার চুমা দিবি নাকি। ”

” হ্যা… ” মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয় তাইয়্যান।

” ওকে… ” তুর বসে পড়ে। আর তাইয়্যান ওর গালে একটা চুমো দেয়। হেসে উঠে তুর।

” চুরির শাস্তি চুমো দিয়েছিস এবার আমি যাই? ”

” শুনো.. ”

” “কী? ” চলে যেতে গিয়েও ওর দিকে ফিরে তাকায়।

” তুমি কী বিয়ে করবে? ”

এটা শুনে ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে হাটু গেড়ে ওর সামনে বসে। হাঁটুতে এক’হাত দিয়ে আরেকহাতে পেয়ারায় কাঁমর দিতে দিতে বলে, ” আমার বিয়ে নিয়ে তুই কেন পরলি? ছেলে দেখেছিস নাকি? ” মজা করে।

মাথা নাড়ায় তাইয়্যান।

” বাহ! শেষ পর্যন্ত এই পিচ্চি আমার বিয়ের ঘটক। ” মনে মনে।

” কী হল? বিয়ে করবে? ”

” হ্যা করব। কিন্তু ছেলে সুন্দর হতে হবে। একদম তোর মত কিউটের ডিব্বা। তা ছেলেটা কে? ”

” আমার পাপা। ”

এইটা শুনে তুর কিছুক্ষন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর ঘাসে মধ্যে আসন দিয়ে বসে তাইয়্যানকেও বসিয়ে দেয়। ” শেষ পর্যন্ত তোর বাবার জন্য বিয়ের প্রস্তাব। ভাবনার বিষয়। এই প্রথম কোন পিচ্চিকে বাবার বউ খুঁজতে দেখছি। ” গালে আঙুল দিয়ে ভাবতে ভাবতে।

” আমার বাবা খুব হ্যান্ডসাম। তোমার পছন্দ হবে। ”

“সেটা তোকে দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু ব্যাপারটা কেমন না? আচ্ছা তোর মা কই? ”

” জানিনা। তাইত বাবা নতুন মা এনে দেবে। আর আমার তোমাকে অনেক ভালো লেগেছে? ”

বুঝতে পারল ওর মা নেই। ” তা আমাকে কেন ভালো লেগেছে? ”

” তুমি ডিজনি প্রিন্সেস রুপাঞ্জেলের মত তাই। ”

হেসে উঠে তুর। ” দেখ তোর মা হওয়া নিয়ে সমস্যা নাই। কিন্তু তোর বাপের বউ হওয়া নিয়ে সমস্যা আছে। আর জানিস তো আমার লাইফে একটা ভিলেন আছে। ও আমাকে বিয়ে করতে দেবে না। ”

” আমার পাপা তাকে মেরে তোমায় বিয়ে করবে। ”

” তাই নাকি! তা বেশ! কিন্তু কথা সেইটা না আমাকে দেখে কী তোর আন্টি মনে হয়? ”

তাইয়্যান ওকে ভালো মত দেখে নেয়। ঠোঁট উল্টে বলে, ” তোমাকে দেখতে আমার স্কুলের এনিয়া আপুর মত লাগে। ”

” তাহলে তোর বুড়ো বাবকে আমি কেন বিয়ে করব? তুই ভাবত তোকে কী আমার ছেলের মত লাগে? ”

” কেন? ”

” এমা! বলে কী ছেলে? বেশি পকপক করবি না। বুড়ো বাপের জন্য বউ খুঁজতে আসছে। যা ভাগ… ”

” তুমি পাপাইকে বুড়ো বললে? ” উঠে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ায় তাইয়্যান।

” হ্যা, বললাম। এবার যা করার করে নে। ” আঙুল দিয়ে নাকের নিচে ঘষে চলে যায় পেয়ারা খেতে।

তাইয়্যান রাগে ফুঁসছে। ওর হ্যান্ডসাম পাপাকে তুর বুড়ো বলেছে বলে কথা। দৌড়ে তীব্রের কাছে চলে যায়।

তীব্র কাছে গিয়ে জড়িয়ে কান্না জুড়ে দেয়। তাইয়্যানের হঠাৎ এমন কাজে হতবাক তীব্র। ও দ্রুত ছেলের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে তাইয়্যানের চোখের পানি মুছতে মুছতে দিশেহারা হয়ে যায়। বার বার তাইয়্যানকে জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে কিন্তু তাইয়্যান কোন কথা না বলে কাঁদতে থাকে।

” কি হয়েছে পাপা? কাঁদছ কেন? ”

” পাপা তুমি কী বুড়ো? ”

ছেলের কথায় হতবাক তীব্র। নিজেকে যতদূর দেখেছে বুড়ো বলে মনে হয়নি। ও কী বলবে বুঝতে পারে না। ” নাহহ কেন? ”

” ওই তাল পাতার সিপাহি বলেছে তুমি বুড়ো তোমাকে বিয়ে করবে না? ”

” কিহহ? কার এত বড় সাহস?… কিন্তু পাপা তুমি কার কাছে আমার বিয়ের কথা বলছ? ”

” ওই তাল পাতার সিপাহির কাছে। ”

” আবার সেই তাল পাতার সিপাহি। ( মাথা চুলকে) তা বাবা কে সে? আর তুমি কেন তার কাছে এসব বলেছ? ”

” পাপাই আমার একটা কথা রাখবে? ”

” একটা না সবটা রাখব। বল কী? ”

” প্রমিস.. ” হাত এগিয়ে দিয়ে।

” প্রমিস… ” তাইয়্যানের হাত ধরে। ” এবার বলো। ”

” তুমি তাল পাতার সিপাইকে বিয়ে করবে। ”

কথাটা শুনেই তীব্রের মাথায় চক্কর কাটে। কী বলছে ছেলে? ওর তাল পাতার সিপাহি কে? যাকে বিয়ে করতে হবে। হায় হায় এই ছেলে মায়ের জন্য সতীন আনতে চাইছে। তীব্র গো-বেচারা মুখ করে বলে, ” পাপাই কিন্তু..? ”

” তুমি প্রমিস করেছ? ”

” আচ্ছা দেখছি। ”

” সত্যি… ” খুশিতে আটখানা তাইয়্যান। ” চলো তোমাকে ওর কাছে নিয়ে যাই। ” কিন্তু তাওয়্যান… ”

তীব্রকে টানতে টানতে টানতে নিয়ে গেল। তীব্র কিছু বলতে চেয়েও পারল না।

” ওইযে দেখ… ”

তীব্র বেশ বিরক্ত নিয়েই তাকাল আর যা দেখল তাতে থ…

” এইটা তোমার পছন্দ। এই মহিলাকে। বাবা একে আমি বিয়ের কথা বললে এর ছেলে-মেয়েরা আমাকে পেটাবে। ”

” ধুর। আমি ওনার কথা না ওই কালো ড্রেস পরা মেয়েটার কথা বলছি। ”

” উহুহ.. এই ছেলে আসলেই তুর… ” তখনি ওই মহিলঅর পাশে থাকা মেয়েটার দিকে চোখ যায়।আর দেখেই অবাক। হ্যা তুর। তারমানে তাইয়্যানের তাল পাতার সিপাহি অন্যকেউ নয় তুর।
“পাপা..”
তাইয়্যানকে জড়িয়ে ধরে।

” বাবা তোমার ঠিক করা মেয়ে আমার পছন্দ। এই তোমার মা হবে। ”

” সত্যি… ”

” হম.. কিন্তু ও তোমার মা হলে তুমি কী করবে? ”

” ওর সাথে ঝগড়া করব। ”

” এ্য… ঝগ..ড়া। ”

” হা।”

” হুমম। আসলেই বিশ্বাস হয়ে গেছে ছেলেরা মায়ের মত। আমি খুশি। তুমি আপাতত তোমার মা… না মানে তাল পাতার সিপাহিকে জালাও। আরেকটা কথা। ”

” কিহহ? ”

” ওর পিছ ছাড়বে না। যেখানে যাবে ছায়ার মত থাকবা। নাহলে কিন্তু মা পাবা না। ”

” আচ্ছা। ”

বলেই দৌড়।

” যাক। ছেলের পছন্দ তাহলে আমার পছন্দ। সো তুর বেবি নিজের বেবির কাছে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। ”

তাইয়্যান ওর কাছে যেতেই তুর ভ্রু-কুঁচকে কী জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তাইয়্যান একটা হাসি দেয়। সারাটা সময় তুর তাইয়্যানের পিছ ছাডাতে চায়। কিন্তু কোনমতেই তা পারে না। প্রতিটা কাজে তাইয়্যান ওকে বিরক্ত করে। তাইয়্যানও ওর পিছ ছাড়বে না। বাবা বলেছা নাহলে মা পাবে না। সো তুরকে কোন মতেই ও ছাড়ছে না।

,
,
,
,

সন্ধ্যার পর… রিদ্ধের গায়ে হলুদ হচ্ছে। রিদ্ধ এখনো মেয়েটাকে দেখেনি। না ওকে কেউ দেখতে দেয়নি।

বাড়িতে তুরের মা‘সহ আরো অনেকে এসেছে। কিন্তু ওর বাবা আসনি। এখানে এসে তোয়ার সাথে ওর কথাকাটি হয়েছে। কারন তুরকে এসব ছেড়ে শাড়ি পরতে বলেছিল। কিন্তু তুর তা করেনি। এইটা দেখে অনেকে আবার ওকে জ্ঞান দেওয়া শুরু করে যার কারনে প্রচন্ড রেগে যায়। আর সাথে সাথে ভাংচুর শুরু করে। কেউ যখন সামলাতে না পারে তখন তীব্রকে খবর দেয়। তীব্র এসে ওর ওই অবস্থা দেখে প্রচন্ড রেগে যায়। ও গিয়ে তুরকে শান্ত করতে চাইলে তুর ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। কারনটা সবার কাছে স্পষ্ট না হলেও তীব্রের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু তুরের মা রেগে গিয়ে তুরকে প্রচন্ড জোরে একটা থাপ্পাড় মারে।

” কী শুরু করেছিস তুই? ”

তুর কোন কথা না বলে ওখানে আবার ভাংচুর শুরু করল। এসব দেখে ওর মা আরেকটা থাপ্পাড় মারতেই তুর গিয়ে তীব্রের পায়ের উপর পরে যায়। তীব্র এতক্ষন দাঁডিয়ে থাকলেও এবার আর পারল না। তুর উঠে ওদের কাছে যেতে ধরলেই তীব্র ওর বাহু ধরে নেয়।

” ছাড়ুন আমাকে… ”

তীব্র ভারী কণ্ঠে বলল, ” আপনারা সবাই যান এখান থেকে। ”

সবাই চলে গেলেও ওর মা আর তোয়া গেল না।

” ওনারা কেন যাবে? আর আপনি কেন ধরে রেখেছেন আমাকে? ছাড়ুন। ”

ওনারা কিছু বলতে গেলেই তীব্র তুরের বাহু ঝাকিয়ে বলল,” প্লিজ আপনারা যান। ”

ওনারা আর চেয়েও কিছু বলতে পারল না। রুম থেকে বেড়িয়ে গেল। ওরা বেড়িয়ে গেলে তীব্র ওকে রুমে ফেলে দরজা লক করে দিল।

” আমাকে ছাড়ুন তীব্র। যেতে দিন প্লিজ। আমি পারছি না। ”

উঠে আবার দরজার দিকে যেতে চায়। কিন্তু তীব্র দেয় না। ” প্লিজ যেতে দিন। ”

” তুর শান্ত হও। ”

” আমাকে বাইরে যেতে দিন। এখানে দম বন্ধ হয়ে আসছে।

তুর কথাটা বলেই আরো বেশি ভাইলেন্ট হয়ে গেল। তীব্র ওকে ওভাবেই রেখে রুম লক করে বেড়িয়ে এলো।

রিদ্ধের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু করে ওদিকে সব কিছু ঠিক করে নেয় তীব্র। সবাই বেশ ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

প্রায় রাত ১০টার দিকে তীব্র রুমে যায়। কিন্তু রুমে তুর নেই। মানে কেউ দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু কে? তীব্রের কথা অমান্য করে। আর তুর বা গেছে কোথায়? এই মূহুর্তে রাগের চেয়ে টেনশন বেশি হচ্ছে। তুরের অবস্থা ভালো নয়। তীব্র দ্রুত বের হয়ে রুম থেকে গার্ডসদের কাছে তুরের কথা জিজ্ঞেস করে কিন্তু তারা জানায় তুর বাইরে যায়নি। তীব্র ওদের কথা শুনে কিছুটা শান্ত হয়। কারন এখানের সিকিউরিটি অনেক টাইড।আর এমন কোন পথ তুরের জানা নেই যা দিয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া যায়। তারমানে তুর বাড়ির ভিতরের আছে। ও দ্রুত বাড়ির সিসিটিভি চেক করতে যায়।

সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে গিয়ে তীব্র চমকে উঠে। হ্যা, তুর বাড়ির ভিতরেই আছে। বাড়ির পিছনের নির্জন দিকটায় বেঞ্চের উপর শুয়ে আছে। আর অবাক করা বিষয় ওর সাথে তাইয়্যানও আছে। দুজনকে এক সাথে এভাবে দেখে থমকে যায় ও। আর দেরি করে না দ্রুত যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় সেদিকে।

তীব্র দক্ষিন কোনের বাগানের মধ্যে ওদের পিছনের দিকটায় গিয়ে থামে। আর সামনে এগোয় না। বাগানের চারদিকে মাঝারি গুল্মলতা। পাশে একটা ল্যাম্পপোস্ট থেকে আলো দিচ্ছে। আর বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো হয়েছে চারদিক। ছোটছোট রঙিন বাতি সারা গুল্মলতা গুলোকে জ্বলজ্বল করাচ্ছে।

তীব্র সে ল্যাম্পপোস্টের নিচে একটি বেলি ফুল গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। শান্ত,স্থীর চাওনীতে বুকে হাত বেঁধে সামনে থাকা বেঞ্চে মা-ছেলের দিকে তাকিয়ে। এই মুহুর্তে ওর মধ্যে প্রশান্তি না বিস্ময় কোনটা তীব্র তা হয়ত জানা নেই। যতটা না প্রশান্তি তার চেয়েও বেশি হতবাক ও। মা-ছেলের এমন কাহিনী সত্যি ওর কাম্য ছিল কিনা জানা নেই ওর। তুর বেঞ্চে তাইয়্যানের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। আর তাইয়্যান তুরের মাথার উপর মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। কেউ কাউকে চেনে না অথচ… বন্ধনের মানে কী এটাই। কিন্তু ওরা এখানে কীভাবে…

ফ্লাশব্যাক.. …

সন্ধ্যার পর….
তুর প্রচন্ড ভাইলেন্ট হওয়ার পর তীব্র বুঝতে পারে এখন ওকে সামলানো যাবে না। তাই ও তুরকে রুমে আটকে রেখে চলে যায়। আর দরজা খুলতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু সবাই যখন ওদিকে ব্যস্ত তখন তাইয়্যান ওদিক দিয়েই যাচ্ছিল। তখনি দরজায় প্রচন্ড ধাক্কানোর আওয়াজে ও সেখানে যায়। দরজার আওয়াজে ছোট তাইয়্যান কিছু না ভেবেই দরজা খুলে দেয়। কিন্তু তুর সেটা না দেখেই দৌড়ে বাইরে চলে আসে। তুরকে ওভাবে ছুটতে দেখে তাইয়্যান ছুটে যায় ওর পিছে। কিন্তু গেটে গার্ডস থাকার কারনে বাইরে যেতে পারে না। ও চেয়েছিল বাড়ির পিছনে কোন দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে। কিন্তু তাইয়্যানের জন্য পারেনা। যখনি তুর কাটাযুক্ত দেয়ালের উঠতে যাবে ঠিক তখনি তাইয়্যান ওর হাত ধরে নেয়। ওর হাত ধরায় প্রচন্ড ভয় পায় তুর। কিন্তু যখন হাত ধরা মানুষটির দিকে তাকায় তখন তীব্র নয় ছোট একটা বাচ্চা ছেলেকে আবিষ্কার করে। হ্যা, সেই ছেলেটাই যে ওকে মা হবার কথা বলেছে। তুর রেগে ছেলেটাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাইয়্যান কাদো কাদো মুখ করে বলে,

” তুমি এভাবে কেন ছুটছ? ” কান্না কান্না গলায়। তুর রেগে গিয়ে ওকে কিছু বলবে তার আগেই তাইয়্যান ওর হাতের দিকে তাকিয়ে করুন কান্না কণ্ঠে আবার বলে উঠল, ” কিহল বলছ না কেন? দেখ না তোমার হাতের থেকে রক্ত পরছে। অনেক ব্যাথা পাচ্ছ তাই না? ”

তুর নিজের হাতের দিকে তাকাল। হ্যা, দেয়ালে উঠতে গিয়ে কাঁটায় বেঁধে কেঁটেছে। তাই রক্ত পরছে। ও তবুও চাইল বাচ্চাটাকে সরাতে কিন্তু ওর জন্য কেউ কাঁদছে। ও ব্যাথা পেয়েছে বলে। তাই তুর চেয়েও কিছু বলতে পারল না। কিন্তু নিজের যে অস্বস্তি লাগছে।

” কিহল কথা বলছ না কেন? ”

“দেখ আমি তোকে… ” তুর কিছু বলতে পারছে না। কাঁপছে ও। কেমন করছে ওর শরীর। বার বার গলা শুকিয়ে আসছে। তুর নিজের মুখ থেকে ঘাম মুছে শান্ত হয়ে বলল, ” প্লিজ যা তুই। নাহলে আমি কী করব নিজেও জানিনা? ”

তুর ওদিকে চলে যেতে নিলেই তাইয়্যান ওর হাত ধরে। তুর ওর দিকে তাকালেই না চাইতেও কেমন এক অদ্ভুত মায়ায় আভাস পায়। ও বসে পরে মাটিতে। তাইয়্যান ওর কাছে এসে ওর কপালে হাত দিয়ে বলে, ” তোমার কী শরীর খারাপ করছে? ”

মাথা নাড়ায় তুর।

” কী হয়েছ আমাকে বলো? ”

” তুই বুঝবিনা? ”

” বলো না। ”

ওর কথায় তুরের চোখে পানি ছলছল করছে। ওর কাছ থেকে কেউ ওর নিজের কথা জানতে চাইছে। ওর কী হয়েছে জানতে চাইছে?

” বলো.. ” তুরের হাত ঝাকিয়ে ।

” আমার মাথাটা ছিড়ে যাচ্ছে। অস্বস্তি লাগছে। আর কিছু শুনবি? ”

এটা শুনে তাইয়্যান নিজের আশ-পাশ দেখে। তারপর ওকে সামনে থাকা একটা বেঞ্চে নিয়ে বসায় তুরকে। তুরের প্রচন্ড খারাপ লাগলেও নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাচ্চা ছেলেটাকে কিছু বলতে চায় না।

” তুর কিছুটা শ্বাস টেনে তাইয়্যানকে জিজ্ঞেস করল, ” এখানে নিয়ে এসেছিস কেন? ”

” তুমি তো বললে তোমার নাকি খারাপ লাগছে ”

” তো… ”

” তুমি এখানে শোও। আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দি? জানোত আমার পাপাইয়ের এর ও মাথা ব্যাথা হয়। তখন আমি পাপাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দি। দেখবে তোমারও ভালো লাগবে। ”

তুর কিছুক্ষন তাইয়্যানের দিকে চেয়ে থাকে থাকে। এটা দেখে তাইয়্যান বলে, ” কীহল কথা শুনছ না যে? ”

তুর কী বলবে জানে না। তার আগেই তাইয়্যান ওর ছোট ছোট হাত গুলো তুরের মাথা ধরে নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে আসে। তারপর সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঙুল ওর ঝুঁটি করা চুলের মধ্যে আলত করে বুলাতে থাকে। যদিও বার বার পেচিয়ে যাচ্ছে তবুও ক্রমাগত হাত বুলিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ওর লম্বা চুলগুলো কর বড় তাও দেখছে। তুরের অস্বস্তি না কাটলেও অন্যরকম এক স্থবিরতা অনুভব করছে। তাইয়্যান ওর চুলে হাঁতরে দিচ্ছে। আর তুর নিজের অজন্তেই চোখ বন্ধ করে গুঁটিশুঁটি মেরে শুয়ে আছে। এভাবে ওরা কতক্ষন ছিল জানা নেই। এক পর্যায়ে তাইয়্যান নিজেও ঘুমিয়ে যায় তুরের কপালে মাথা দিয়ে।

তাইয়্যান বেঞ্চে বসে আছে। আর তুর ওর কোলে মাথা দিয়ে আছে। তাইয়্যান তুরের মাথা আঁকড়ে ওর মাথার উপরেই ঘুমিয়ে গেছে। ওর ভাবনাটা খুবই ছোট। এই তাল-পাতার সিপাহিকে ওর বাবা বিয়ে করে ওর মা করে দিবে। আর ও তার সাথে ঝগড়া করবে। সবচেয়ে বড় কথা তীরের মত ওর ও মা হবে। তুরকে দেখিয়ে ও তীরকে জ্বালাবে। যে তাইয়্যানের মা ওর মায়ের চেয়েও সুন্দর। তীরের মত ওর কাছেও মাম্মা-পাপা থাকবে। ওর ছোট চোখে এটাই স্বপ্ন।

তুর-তাইয়্যান বেঞ্চে এভাবে ঘুমাতে দেখে তীব্র থ হয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে। কেন জানি ওর ইচ্ছে করছে না। থাকুক না। ওদের কী সম্পর্ক ওরা জানেনা। কিন্তু তবুও মায়ার বাঁধনে বাঁধা। হ্যা, খুব দ্রুত তুরকে নিজের দামী জিনিস ফিরিয়ে দেবে আর তাইয়্যানকে ফিরিয়ে দেবে ওর মা।

পরক্ষনেই তীব্র ভাবল না এভাবে বাইরে থাকলে তাইয়্যান অসুস্থ্য হয়ে পড়বে। আবহাওয়া ভালো না। ঠান্ডা ঠান্ডা পরছে। বাতাসের দিক, আদ্রতা দেখে বুঝাই যাচ্ছে বৃষ্টি নামতে পারে। ও মোবাইল বের করে একটা কল দিলো…

তারপর তুর-তাইয়্যানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,“ অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। আমার যা চাওয়া খুব দ্রুতই পাব আমি। সারাংশর ব্যাক্ষা সম্প্রসারনের রুপেই এবার শেষ হবে। ”

.
.
.
.
.
[ বাকিটা পরের পর্বগুলোতে জানবেন। 🖤]

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here