#বিন্নি_ধানের_খইপর্ব_২৯

0
659

#বিন্নি_ধানের_খইপর্ব_২৯

#মিদহাদ_আহমদ

খাবার খেতে খেতে জামাইয়ের বড় বোন বললো,

‘আমরা আসলে একটা সংসারী মেয়ে চাচ্ছিলাম। আমাদের বিশাল বড় বাড়ি, আমাদের বিশাল পরিবার এসব নিয়ে যে ধরে রাখতে পারবে, এমন একটা মেয়ে। আমার মায়ের এজন্য শহরের মেয়ে একেবারে না পছন্দ। শহুরে মেয়েরা নাকি কামচোর হয়।’

সরাসরি কারো বাসায় এসে এমন ‘কামচোর’ শব্দটা বলায় আমার কেমন জানি গায়ে ধরলো। আমি বললাম,

‘আমি তো গ্রামের মেয়ে। কই শহরে এসে তো কাজকাম কোনকিছু করা লাগছে না। আমাদের পরিবারের সদস্য কম হলেও, কাজের মানুষও তিনজন রাখা আছে। বিয়ে করিয়ে কি কেউ কাজের মানুষ নিয়ে আসে বলেন? আর ঘরের লোক ‘কামচোর’ হয় কখনো?’

ছেলের বোন আমতা আমতা করে বললো,

‘না আসলে এমন না। আমি বুঝিয়েছি যে শহরের মেয়েরা অলস প্রকৃতির আরকি। হা হা হা।’

কেমন জানি এক বীভৎস হাসি হাসলো মেয়েটা! শাশুড়ি আমার পাশে এসে উনার পায়ের কানি আঙুল দিয়ে আমার পায়ের বুড়ো আঙুলে একটা চাপ দিলেন। আমি পা সরিয়ে নিতেই আরও একবার চাপ দিলেন। বুঝতে অসুবিধা রইলো না যে তিনি আমাকে চুপ করতে বলছেন। এদিকে আমার ননাস শুরু করলেন,

‘আরে আমার বোনের কথা কী বলবো! যেমন দেখতে তেমন তার গুণও। কোন দিক দিয়ে কম বলেন? কী পারে না! গতবার আমাদের বাসার সামনের আমগাছ হেলে পড়েছিলো। তারপরের কাহিনী তো গোটা এলাকা জানে। একা একা একশো সতেরোটা আমের আমসত্ত্ব তুলেছিলো সে। সব একা এক হাতে। এখন বুঝেন মেয়ে কেমন কর্মের! ভাত, পোলাও, মাছ, তরকারী, ঝোল, শাক, লতা, চিংড়ি, ইন্ডিয়ান, চায়নিজ কিংবা কোরিয়ান, আসলে যতো বলবো ততো কম। কোন অংশে কমতি নেই।’
আমি এই গল্পের লেখক মিদহাদ আহমদ বলছি। গল্পটা সর্বপ্রথম আমার midhad’s monograph গ্রুপে সন্ধ্যা ৭ টায় পোস্ট করা হয়৷ যে বা যারা অন্য কোথাও গল্পটা পড়ছেন বা পড়বেন, আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন। আমার অনুমতি ব্যতীত কিছু অমানুষ, চোর, এই গল্পটা অন্য গ্রুপে দিয়ে থাকে। তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন।

ছেলের মা বললেন,

‘বাহ বাহ। মাশাআল্লাহ। এমন গুণবতী মেয়েই তো আমার চাই। আমার সাত সাতটা মেয়ে। ছয়টা মেয়ের পর একমাত্র ছেলে, তারপর ছোট মেয়ে। সব মেয়েদের বিয়ে শেষ। পাঁচ মেয়ে তো বছরের বারো মাসে ঘুরেফিরে তিন চারবার আসেই। এক মেয়ের স্বামী বিদেশ, তাই সে আমার সাথেই থাকে। দুই নাম্বারটাকে নিয়ে এসেছি। জামাই আল্লাহ নিয়ে নিয়েছেন। এখন আমার এত বড় ঘর ছেড়ে মেয়ে একা একা থাকবে বলেন? ছেলে তো থাকবে বিদেশ। এখন এতবড় ঘরের সব কাজকর্ম, দেখেশুনে রাখার জন্য একটা সংসারী মেয়ে আমাদের লাগবে। মাশাআল্লাহ তামান্না একেবারে দেখতেও খোদার মায়া লাগানিয়া চেহারা।’

আমি এসব শুনে যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। আমার ননাস আমার ননদের সম্পর্কে একী বলছে! যে মেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বানিয়ে খায় না, সেই মেয়ে কিনা এসব একে একে সবকিছু পারে? খাবার রান্না করতে পারে?

এদিকে তানিয়া চিন্তা করছে মনে মনে, যে করেই হোক বোনকে বিদায় করতে হবে এই ঘর থেকে। তারপর আসিফও চলে যাবে৷ একা একা মায়ের আর কোন শক্তিও থাকবে না। সে সুযোগে যত সকাল সম্ভব সবকিছু হাতিয়ে নিতে হবে। কোন হেয়ালি করলে চলবে না।

তামান্নাকে দেখে যাবার সময় ছেলের মা মুঠো করে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে গেলেন আমার ননদের হাতে৷ হ্যাঁ বা না কোনকিছু বললেন না। যাবার সময় শুধু আমার শাশুড়িকে বলে গেলেন,

‘আসলে কনফার্ম করছি না এখন। আমাদের আরেক জায়গায় মেয়ে দেখা আছে। ওইটা দেখে আমি রাতে আপনাকে জানাবোনে।’

ওনি কী সুন্দর একটা হাসি দিয়ে চলে গেলেন কথাটা বলে!
তারা যাওয়ার পর আমি শাশুড়িকে বললাম,

‘মা এমন ঘরে কি তানিয়াকে বিয়ে দিয়ে দিবেন আপনি? যে ঘরের মেয়েরা আরেকটা ঘরের মেয়েকে সম্মান দেয়া শিখেনি, তারা কি আগলে রাখতে পারবে আমার মেয়েকে? জানেন ওদের সাথে আসা মহিলা একজন আমাকে ওই কোণার দিকে নিয়ে গিয়ে কি জিজ্ঞেস করেছিলো? জিজ্ঞেস করছিলো তামান্না মেয়ে হিসাবে কেমন। ঘরের পুত্রবধূরা নাকি ঘরের মেয়ে কেমন এইটা সবচাইতে ভালো জানে।’

‘অহ আচ্ছা! এজন্যই তো বলি তারা এখানে পেন্ডিং রেখে চলে গেলো কেন৷ আমাদের এতবড় ঘর, এতবড় আয়োজন, এতকিছু দেখে তো কেউ না করে চলে যাওয়ার কথা না। নিশ্চয়ই এই মেয়েটা কিছু বলে দিয়েছে গোপনে। এখন আবার এখানে এসে ভালো মানুষি করা হচ্ছে তাইনা?’

কথাগুলো বললো আমার ননাস। আমি একেবারে আকাশ থেকে পড়লাম যেনো। কী বলছেন উনি!

তামান্না এগিয়ে এসে বললো,

‘আপু সব সময় একটু বাড়াবাড়ি না করলেই নয়? তিল কে তাল সব সময় বানাতেই হবে?’

নাও উলটা বইছে দেখে তানিয়া হেসে হেসে তামান্নাকে বললো,

‘আরে আমি কি একটু রসিকতা করতে পারি না? সব সময় সিরিয়াস হলে হবে?’

শাশুড়ি আমাকে ডাক দিয়ে তার রুমে নিয়ে গেলেন। আমি মুখে হাসি এনে শাশুড়ির সাথে গেলাম। শাশুড়ি আমাকে বিছানায় বসিয়ে বললেন,

‘শোন নুপুর, আমি বুঝতে পারছি তোমার মনের কথা। তোমাকে তো অনেকদিন ধরেই দেখছি। নীতিতে তুমি সব সময় অটল থাকো। কিন্তু নুপুর, আমরা কি আমাদের সমাজ বদলাতে পারবো বলো? সমাজের বাইরে কি যেতে পারবো বলো? সামান্য টুনকো কারণে তোমার চোখের সামনেই তামান্নার আগের বিয়েটা ভেঙ্গে গেলো। এখন যেখানে ঠিক করতে চাচ্ছি, তারাও এখন পর্যন্ত হা বা না কোনকিছু জানায়নি। একজন মা হিসাবে আমি বুঝি, মেয়ে পার করা কত বড় দায়িত্ব। তুমি আমার কথাগুলো বুঝবে নুপুর আশাকরি। তোমার মাও তো তোমাকে বিয়ে দিয়েছেন শুধু তোমার ভালো চেয়ে। মা হিসাবে এই চাওয়াটুকুতে তো কোন ভুল নেই।’

শাশুড়ি মায়ের কথাগুলো আমি গভীর মনোযোগী হয়ে শুনলাম। আমাদের সমাজে নারীরা এতোটা অসহায় যে তাকে সমাজের নিয়ম বিরুদ্ধ কোনকিছু করতে নেই? এই ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে রইলাম। শাশুড়ি করুন স্মরে আমাকে বললেন,

‘তুমি আশাকরি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছো নুপুর।’

আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালাম।

শাশুড়ির রুম থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখি পুরানো সিন্দুক নিয়ে দুই বোনের কথা কাটাকাটি। সামনে গিয়ে বুঝতে পারলাম, আমাদের স্টোর রুমে রাখা সিন্দুক তানিয়া আপা খুলেছেন। তিনি সিন্দুক থেকে আগের দিনের নকশি করা কাঁথা একে একে আলাদা করছেন। সতেরোটা কাঁথা আলাদা করে একটা ব্যাগেও ভরে ফেলেছেন। এসে বাধ সাধলো তামান্না। সে এগুলো সব নিতে দিবে না। ননাসও জো ধরে বসে রইলেন। এগুলো তামান্নার কোন দরকারের? তামান্না বললো,

‘আমার নতুন বিয়ে হবে। আর এগুলো তো তোমার বা আমার কোনকিছু নয়। সব ই তো আমাদের দাদির হাতের বানানো। আজকাল কি এসব পুরোনো দিনের নকশিকাঁথার দেখা মিলে বলো?’

ননাস জোর গলায় বললেন,

‘আরে এজন্যই তো বলছি। তোর নতুন বিয়ে হবে। তুই এগুলো নিয়ে কী করবি? এগুলো তোর দরকার বা কাজের কোনটাই না। মানুষ এগুলো দেখলে হাসাহাসি করবে। আমি একা আছি এখন, এজন্য এগুলো নিয়ে নিচ্ছি। তোকে তো নতুন কিনে দেয়া হবে৷ কাঁথা নিতে হবে কেন আবার?’

তামান্না বললো,

‘ওসব তোমার বুঝা লাগবে না। দরকার হলে অর্ধেক অর্ধেক করো। তার পরও সব তুমি নিতে পারবে না।’

চোখের সামনে দুই বোনের এমন আচরণ দেখে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। রুমে চলে এলাম। আসিফ সিগারেট টানছিলো। আমাকে ডেকে বললো,

‘কাল বিকালে চলে যাচ্ছি। কাপড় যা এনেছিলে ব্যাগে ভরে নাও। আর পরীক্ষার পাঁচদিন আছে। তোমাকে তোমার বাড়িতে রেখে আসবো। ডেইলি দুই ঘন্টা জার্ণি করে তো আর পরীক্ষা দেয়া যায় না। কেন্দ্র তোমার কলেজের পাশের স্কুলে দিয়েছে’

‘তাই বলে আমি তোমাকে ছেড়ে…’

‘তো? তাতে কী হয়েছে? এক মাসেই পরীক্ষা শেষ৷ আর আমি গিয়ে দেখে আসবোনে। আমি তো যেতে পারবো না। আমার হোটেল আছে। ডিউটি না করলে বউর খরচ চালাবো কেমনে?’

আমি মুখ গুমোট করে বসে রইলাম। আসিফ গেয়ে উঠলো,

‘বাড়ৈ রে
যাকনা জাতি হোকনা ক্ষতি
দুঃখ নাইরে আর
সত্য করে কওরে বাড়ৈ
তুমি নি আমার
তোমার প্রেমের আবদুল করিম মরে যদি ভালো…’

আসিফের মুখের সামনে আমি আমার হাত দিয়ে দিলাম। রাগান্বিত গলায় বললাম,

‘এসব কী বলছো তুমি? এসব মরা বাঁচার কথা আর কখনো বলবা না।’

জড়িয়ে ধরলাম আসিফকে। ইদানীং আসিফ আমার প্রতি অন্যরকম কেয়ার নেয়া শুরু করেছে। মানুষটা যতো দিন যাচ্ছে, ততোই যেনো আগ্রহভরে আমার দিকে তার প্রেম-ভালোবাসা ঢেলে দিচ্ছে। আসিফ বললো,

‘বোকা মেয়ে! সবাই কি আজীবন এক সাথে? আজ নাহয় কাল আমাদের একজনের না একজনের তো অন্যজনকে রেখে চলে যেতে হবে তাইনা?’

‘তাই বলে যখন সময় আসবে তখন দেখা যাবে। যেইসেই কথাবার্তা সব সময় বলবে না আর।’

‘বাচ্চা রয়ে গেলা। এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে দিচ্ছো, তবুও বাচ্চামো গেলো না তোমার।’

রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে আমি টেবিলে বসেছি বই নিয়ে মাত্র! দরজায় টোকা দিয়ে শাশুড়ি মা আমাদের রুমে আসলেন। এসে আসিফকে বললেন,

‘তারা বিয়েতে রাজি হয়েছে। মাত্র কল করে জানালো।’

‘অহ আচ্ছা। যাক ভালোই।’

শাশুড়ি আসিফের কাছে গিয়ে তার হাতে হাত রেখে বললেন,

‘বাবা, মাকে একা রেখে আর যাস না। দেখ, তোর ছোট বোনও তোর মাকে একা ফেলে চলে যাচ্ছে। এখন আমার সব বলতে তুই আর নুপুর। মা একা ঘরে একা একা কীভাবে জীবন কাটাবো বল? আমি এই কয়েকটা মাস কীভাবে কাটিয়েছিলাম একা একা শুধু আমিই জানি।’

শাশুড়ি মায়ের কথাগুলো আসিফ যেনো শুনেও না শোনার বাহানা ধরলো। শাশুড়ি মা আমার সামনে এসে আমার হাত ধরে বললেন,

‘নুপুর, আমার এখন কেউ নাই নিজের বলে। দুইটা মেয়ে তাদের সংসার সাজাবে আল্লাহর হুকুমে। এই সময়ে যদি আমি আমার একমাত্র ছেলে আর একমাত্র ছেলের বউকে আমার কাছে না পাই, তাহলে আমার বাকি জীবন কীভাবে কাটবে? আমি জানি, তুমি যে করেই হোক আসিফকে মানাবে। যে করেই হোক।’

শাশুড়ি মা রুম থেকে চলে গেলেন। আসিফ আমাকে বললো,

‘এখন তুমিও চলে এসো আমাকে বুঝাতে’

আমি কোন উত্তর দিলাম না। পড়ায় মনোযোগী হলাম।

কিছুক্ষণ পর আমার ননাস রুমে এলেন। ইনিয়ে বিনিয়ে আসিফকে বললেন,

‘দেখ ভাই, তুই জীবনে নিজের বলে কিছু করতে পেরেছিস। আজ তুই স্বাধীন ভাবে নিজের জীবনে কিছু করছিস। জানিস, এই ঘরে থেকে তোর কোন স্বপ্ন পূরণ হয়নাই? এই ঘরের আবদ্ধ জীবন তোর নিজ থেকে তোর স্বপ্ন, তোর ইচ্ছা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে? আজ যখন নুপুরকে অবলম্বন করে এই ঘর ছেড়ে তুই বাঁচতে শিখেছিস, তখন কোনভাবেই আর নিজের স্বপ্নকে মেরে ফেলিস না। যেকোন ভাবেই হোক নিজেকে নিজের স্বপ্নের কাছে নিয়ে যা। এই ঘর, এই বিত্ত বৈভব তোর কাজে আসবে না। তোকে আবার তোর জীবন ধ্বংসের দিকে নিয়ে আসবে।’

আসিফের মুখের ভাবে বুঝা গেলো সে আমার ননাসের কথাগুলো পজেটিভভাবে গ্রহণ করছে। কিন্তু আমার কাছে ওনার কথাগুলো কেমন জানি লাগলো।

দরজার দাঁড়িয়ে বড় বোনের সব কথা শুনে ফেললো তামান্না।

[অনেকে বলছেন সিলেটে বন্যা ও আমার অসুস্থতার এই সময়ে গল্প না দিতে। আমি জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। তার পরও আপনাদের ভালোবাসা থেকেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি গল্পটা নিয়মিত কন্টিনিউ করার৷ কারণ আমার জন্যও নিয়মিত না হলে গল্পটা খাপছাড়া হয়ে যাবে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি এখনও আগের মতোই। দোয়া রাখবেন। ভালো থাকবেন।]

(চলবে)

*গ্রুপে মডারেটর নিয়োগ*

দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ আমার গ্রুপটাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমি কয়েকজন মডারেটর চাচ্ছি৷ পরিচিত অন্য কাওকে মডারেটর না বানিয়ে যারা আমার নিয়মিত পাঠক, আমি তাঁদের থেকে কয়েকজনকে গ্রুপের দায়িত্ব দিতে চাই। কাজ বেশিকিছু না। এর আগে অনেকেই আমাকে ইনবক্স করেছেন মডারেটর হওয়ার জন্য। তখন গ্রুপে অন্য কারো দরকার হয়নি বিধায় কাওকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এখন কয়েকজন মডারেটর নিচ্ছি। কাজ বলতে গ্রুপটা দেখে রাখা এটুকুই। আপনারা যারা যারা গ্রুপের মডারেটর হতে আগ্রহী, অনুগ্রহ করে আমার এই লেখাটা পড়ে আমাকে ইনবক্সে একবার জানাবেন। এখানে কমেন্ট করার প্রয়োজন নেই। ইনবক্স করবেন। ]

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here