#বিন্নি_ধানের_খইশেষ_পর্ব

0
876

#বিন্নি_ধানের_খইশেষ_পর্ব
#মিদহাদ_আহমদ

ননাসের বিয়ে হয়ে গেলো। ননাসের নতুন করে ঘর হলো, সংসার হলো, জীবন হলো। মা হতে না পারার যে অপূর্ণতা, সেই অপূর্ণতাও তার পূর্ণ হলো। মুন্নি ননাসের কোল জুড়ে বিছিয়ে নিলো তার মায়াজাল। গল্প ধীরেধীরে মানিয়ে নিলো নিজেকে আমার সাথে। আমি যেনো নতুন করে ফিরে পেলাম আমার অস্তিত্ব, আমার সন্তান, আমার পৃথিবী। আসিফ তার কাজে মন দিলো। অফিস বড় হলো। আসিফের আগ থেকে থাকা সুখ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়লো। মানুষটা ধীরেধীরে আমার হয়ে উঠলো যেনো। আমার চারপাশের সবকিছু কেমন যেনো গুছিয়ে উঠলো। এভাবে কেটে গেলো আরও ষোলটা বছর। এই ষোল বছরে অনেককিছু ঘটে গিয়েছে আমাদের জীবনে। তামান্নার স্বামী রাফসান আমেরিকায় রোড এক্সিডেন্ট করে মারা যায় সাত বছর আগে। ওর বাচ্চারা তখন ছোট। তামান্না নিজ হাতে শক্তকরে হাল ধরে পরিবারের, নিজের। শ্বশুর তাকে বারবার দেশে ফিরে আসতে বললেও সে রাজি হয়নি। বাচ্চাদের নিয়ে সেখানেই থেকে গিয়েছে। গতবছর দেশে এসেছিলো ভেকেশনে। দুই সপ্তাহ থেকে আবার ব্যাক করেছে আমেরিকা। তামান্নার মতো শক্ত মেয়ে আমি খুব কমই দেখেছি।
এখন তো সে পুরোদমে সংসারী।

আরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে এই কয়েক বছরে। পরিবর্তন না, এ যেনো এক বিশাল স্বপ্নের সত্য হয়ে উঠা। দেখতে দেখতে আমার ছোটছোট ভাই দুইটাও বড় হয়ে গিয়েছে। আমার বড় ভাইর বিসিএস হয়েছে প্রথমবারেই। পুলিশ প্রশাসনে। আমার গরীব, অভাবী মায়ের দুঃখ চিরতরে যেনো মহান আল্লাহ গুছিয়ে নিয়েছেন। আজীবন মাটির ঘরে দিন কাটানো আমার গরীব মায়ের জায়গা হয়েছে এখন ঢাকার একটা আলিশান ফ্ল্যাটে। ভাইকে বিয়ে করানোর আলাপ চলছে। কিন্তু সে রাজি হচ্ছে না। মাকে সে দেখে রাখতে চায়। এই দেখে রাখতে রাখতেই সে তার জীবন কাটিয়ে দিতে চায়। বোন হিসাবে নিজের ভাইদের এমন উন্নতি দেখতে পেরে কার না ভালো লাগে? ছোট ভাইটা এই বছর স্কলারশিপ নিয়ে মাস্টার্স করতে গিয়েছে কানাডায়। আমার বাবা হয়তো কবর দেশ থেকে দেখছেন তার ছেলেদের এতো এতো উন্নতি, এতো এতো স্বাচ্ছন্দ। গল্প শুধু নামে গল্প না, সে যেনো এক ভিন্ন রূপকথা। আমার স্বপ্ন, আমার প্রত্যাশা, আমার জন্মজয় যেনো সে পূর্ণ করতে এসেছে নতুনভাবে। এইচ এস সি পরীক্ষা চলছে গল্পের। আমার মনে পড়ে গেলো আজ থেকে ঠিক বিশ বছর আগের কথা। সেই ছোট্ট আমি যখন এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, আর আসিফ যখন আমার হাল ধরেছিলো শক্তভাবে ঠিক তখন আমি কেমন সংগ্রাম করে গড়ে উঠেছিলাম! নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম নিজের জীবনের সাথে!

শাশুড়ির শরীরে নানা রোগের বাসা। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। বিকালের দিকে শাশুড়ির রুমে গিয়ে ওনার পাশে বসে বসে গল্প করি আমি৷ গল্পের পাতাটনে গল্প জুড়ে দেন শাশুড়ি। বলে উঠেন হেসে হেসে,

‘মনে পড়ে কি এই বাড়ির বউ হয়ে আসার সময়টা? কত নাজুক আর কতোই না সহজ সরল ছিলা তুমি বউমা।’

আমিও হেসে উঠি। হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ি শাশুড়ির উপর। শাশুড়ি আবার একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। হাতের কাছে থাকা পানের বাটা থেকে দুইটা খিলি বানিয়ে একটা আমার দিকে বাড়িয়ে দেন। তারপর বলে উঠেন,

‘সেই মানুষটাও আজ নেই৷ যে মানুষটা সবার বিপরীতে গিয়ে তোকে আগলে রেখেছিলো তাইনা রে নুপুর? মানুষটা আজ থাকলে কতোই না হাসিখুশিতে থাকতো৷ বলে উঠতো তোর হাতের চা খাওয়ার তার বড্ড প্রিয় ছিলো।

আমার চোখটা ভিজে আসে। বাবাকে হারানোর পর যে ব্যথা আমি পেয়েছিলাম, সেই ব্যথা নতুন করে পেয়েছি দুই বছর আগে আবারো। আমার বাবা সমান শ্বশুর হুট করেই আল্লাহর মেহমান হয়ে যায়। আমার চোখের কোণে জল দেখে শাশুড়ি ধমকের সুরে বলে বসেন,

‘দেখো মেয়ের নমুনা! চুল যে সাদা হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কি খেয়াল আছে তোর? আমার না হয় নাতি নাতনিরা আছে, আমি দাদি নানি হয়েছি। কিন্তু তোর? তুই তো এখনও নানি হলি না। তার আগেই চুলে পাক? এসবে কলফ লাগিয়ে ঢেকে রাখতে হয় বুঝলা?’

শাশুড়ির এসব কথায় আমি হেসে উঠি। গভীর রাতে যখন আমি জায়নামাজে বসে বসে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকি কোনকিছু তখন সবসময় আসিফ পাশের ইজি চেয়ারে বসে থাকে। আজও এর ব্যতিক্রম হলো না। নামাজ শেষে মোনাজাত শেষ করতেই আসিফ বললো,

‘আমাদের স্বপ্ন দেখো নুপুর, সত্যি সত্যিই হবে। আমাদের যা হয়নি, আমাদের মেয়ের তা হবে।’

আমি আসিফের দিকে চেয়ে, কায়মনোবাক্যে খোদার কাছে বলি, তাই যেনো হয় মালিক, তাই যেনো হয়।

আসিফ আবার বলে উঠে,

‘গল্পের পড়ালেখা চলছে তো ঠিকঠাক? এইচ এস সি’র রেজাল্ট আজ সকালে দিবে তাইনা?’

‘হ্যাঁ। মেয়েটা অনেক ভয়ে আছে। রেজাল্ট কী দিবে, কী হবে তা নিয়ে।’

‘ভয় দিও না। আমাদের মেয়ে দেখবা ভালো কিছুই করবে। সব তার ভালো হবে।’

‘আল্লাহ যেনো তাই করেন।’

সকালে ঘুম থেকে উঠেছি সাতটার দিকে। আসিফ রেডি হয়ে অফিসে চলে যায় সকাল নয়টার ভেতর। আমি শাশুড়িকে কর্ণফ্লাক্স আর ওষুধ দিয়ে এসে রুমে এসি অন করে বসি। কিছুক্ষণ কুরআন পড়ি। দশটা নাগাদ থেকে গল্পকে পেরেশান দেখতে পাই। আমি গল্পকে কাছে টানি। গল্প আমার পাশে বসে। বসতেই হেলে পড়ে আমার হাঁটুর উপর। চুল বিছানা গড়িয়ে ফ্লোর পর্যন্ত চলে যায়। ইষৎ লম্বা চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে আমি বলি মেয়েটাকে,

‘এতো টেনশনের কিছু নাই রে মা। দেখবি সব ভালো হবে। কোন অঘটন ঘটবে না। আর রেজাল্ট তো এখনও দেয়নিরে মা। দিয়ে দিলেই তো শান্তি। এতো টেনশনের কী আছে?’

‘যদি খারাপ কিছু হয় মা?’

আমার দিকে চেয়ে একদম নব্য নবজাতকের বলার ভঙ্গিমায় বললো গল্প। আমি চুলে বিলি কাটতে কাটতে মেয়েটাকে বললাম,

‘যাই হবে, মা মেনে নিবো। ভালো হলেও আলহামদুলিল্লাহ, মন্দ হলেও আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছুতেই আল্লাহ ভালো রেখেছেন মা। কোন টেনশনের কারণ নেই।’

আমার মোবাইল বেজে উঠলো। আসিফ কল দিয়েছে। কল ধরতেই সে জিজ্ঞেস করলো মেয়ে কোথায়। আমি গল্পের কানে মোবাইল ধরলাম স্পিকার দিয়ে। আসিফ বললো,

‘মা রেজাল্ট যাই হোক, বাবা মিষ্টির অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। এত টেনশনের কোন কারণ নেই। আমরা সব রেজাল্টেই মিষ্টি খাবো।’

‘লাভ ইউ বাবা। লাভ ইউ সো মাচ’

বাবা মেয়ের কথা চলতে থাকে এভাবে। আসিফের কল রাখার পর মায়ের নাম্বার থেকে কল এসে ঢুকে আমার নাম্বারে। কল রিসিভ করলাম। আমার বড় ভাইটা কল করেছে। সেও ভাগ্নিকে কলে বলে দিলো, মামা অপেক্ষা করছে রেজাল্টের। আমি মনেমনে মহান আল্লাহর কাছে বললাম, আল্লাহ যেনো একটা বিহিত করেন। এত মানুষের আশা যেনো তিনি পূর্ণ করেন।

রেজাল্ট দিতে দিতে দুপুর দুইটা বেজে গেলো। আমি নামাজে ছিলাম। গল্প দৌঁড়ে এসে জানালো, তার সব বিষয়ে জিপিএ ফাইভ এসেছে। আমি শুকরিয়া জানালাম আল্লাহর কাছে। আরেক স্বপ্ন চোখের সামনে ভেসে উঠলো, যে সাদা এপ্রোন আমি গায়ে জড়াতে পারিনি, সেই সাদা এপ্রোন কি আমার মেয়ে গায়ে জড়াতে পারবে? আল্লাহ কি সেই সুযোগ করে দিবেন আমাকে?

ননাসের নাম্বার থেকে কল এলো। মুন্নির ও জিপিএ ফাইভ এসেছে। আসিফ আগে থেকেই মিষ্টি অর্ডার করে রেখেছিলো। পুরো বাসায় খুশির বন্যা বয়ে গেল। আর আমি আল্লাহর কাছে চাইলাম, আজ থেকে দুইমাস পরে যেনো তিনি আমাকে আমার চাওয়া, আমার সুখ, আমার সবকিছুর যে মূল গন্তব্য সেই গন্তব্য যেনো হাতে এনে দেন। আর কিছুই আমার চাওয়ার নেই তার কাছে।

রেজাল্টের পর থেকে গল্প আরও মন দিয়ে পড়তে লাগলো। রাত বিরাতে আমার জায়নামাজ আর আল্লাহর কাছে চাওয়া দেখতে দেখতে আসিফ আমাকে অভয় দিয়ে বলতো,

‘দেখো নুপুর, সবকিছু ভালো হবে এবং আল্লাহ আমাদের স্বপ্নও পূর্ণ করবেন। দেখবে আমাদের মেয়ের চান্স হবেই। আর নাহলে আমার টাকার কি কমতি আছে বলো? আমরা আমাদের মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবোই।’

‘না আসিফ৷ আমি চাই আমার মেয়ে তার বাবার টাকায় না, তার যোগ্যতায় পড়ুক। সে ভালো একটা মেডিকেলে চান্স পাক। আমার আল্লাহ আমার এই কথাটা রাখবেন। অবশ্যই রাখবেন দেখো তুমি।’

দেখতে দেখতে চলে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দুইদিনের মাথায় রেজাল্ট দিয়ে দিলো। আমার গল্প, আমাদের গল্প ময়মনসিংহ মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। ৭৮.২৫ পেয়েছে। আমার কাছে এরচেয়ে সুখের, এরচেয়ে বড় প্রাপ্তির দিন আর হয় না। আমার অধরা স্বপ্ন আমার মেয়ের মাধ্যমে পূর্ণ হতে যাচ্ছে!

শাশুড়ি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,

‘দেখলি নুপুর, এক জনমের চাওয়া আল্লাহ এক জনমেই পূর্ণ করে দেন। তাইনা মা?’

গল্প তার রেজাল্ট জানতে পেরেই গাড়ি বের করে চলে যায় ননাসের বাসায়৷ আমাকেও সাথে নেয়। ননাসকে আসিফ কল করে রেজাল্ট জানিয়ে দিয়েছিলো আগেই। ননাসের বাসায় ঢুকেই গল্প জড়িয়ে ধরে ননাসকে। ননাসের চোখ বেয়ে কান্না। এ যেনো নব্য শিশুর মাতৃভগ্ন হৃদয় থেকে উৎসারিত হওয়া স্রোত। ননাস আমার গল্পের মাথায় হাত বুলাচ্ছে আর বারবার বলছে,

‘আমার মেয়েটা আজ এতবড় হয়ে গেলো! মায়ের রোগ হলে চিকিৎসা করবি তোরে মা?’

‘না। করবো না। আমার মায়েদের কোন রোগ হতেই পারে না। মুন্নি কোথায়? তাকে দেখছি না তো।’

‘সে কোচিংয়ে আছে গল্প। তার তো নেক্সট উইকে বুয়েটের পরীক্ষা।’

‘অহ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আঙ্কেল কোথায়?’

‘ড্রইংরুমে বসে আছে। যা গিয়ে কথা বলে আয়।’

গল্প চলে গেলো ড্রইংরুমে। আমি ননাসের সাথে রান্নাঘরে গেলাম। চুলায় পায়েস পাতানো আছে। ননাসের হাত চেপে ধরে আমি ননাসকে বললাম,

‘আপা, আপনি যদি না থাকতেন তাহলে আমি আজ এই দিন দেখতে পেতাম না। আমার না, গল্প আপনার হাতে গড়া। আপনার আদতে গড়া। আর আপনার জন্যই আজকের এই গল্প। ‘

ননাস আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো। ননাস কান্নাভেজা গলায় আমাকে বললেন,

‘আমার গল্প মানুষের মতো মানুষ হলে, এই মায়ের আসল প্রাপ্তি হবে নুপুর। দোয়া করি আমার গল্প যেনো আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’

গল্প মাইগ্রেশন করে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চলে আসলো। গল্পের গায়ে সাদা এপ্রোন উঠলো। দেখতে দেখতে গল্পের এমবিবিএস শেষ হলো। আমার মানুষটার হয়ে গেলো ক্যান্সার। গল্পকে পরিপূর্ণ ডাক্তার বানানোর বছরেই আল্লাহ তাকে তার নিজের কাছে নিয়ে নিলেন৷ আমার এই সংগ্রামের জীবন পূর্ণ হয়েও কোথায় যেনো আমার সংগ্রামে ঢলে পড়লো নতুন কর। টাকাপয়সার সংগ্রাম না, এই সংগ্রাম আমার একাকীত্বের। আমার নবজীবনের। এই আলিশানে যে মানুষটার হাত ধরে এসেছিলাম কোন এক বসন্তের দুপুরে, কোন এক অজপাড়া গায়ের গরীব দুঃখী বাবার মেয়ে হয়ে, সেই আলিশানের আজ সম্রাজ্ঞী করে মানুষটাই চলে গেলো। এক হাত ধরে রেখে এসেছিলাম ঠিকই, আরেক হাত অবলম্বন দিয়ে মানুষটা চিরবিদায় নিলো। আমার এই ভাঙ্গা গড়ার জীবনে, জীবনের গল্প এরচেয়ে কি সুখের হয়?

এক জীবনে বহুজীবন এসে যোগ দেয়, পাওয়ার মধ্যেও যেনো হারানোর ভয় থাকে, হারানোর মধ্যেও যেনো পাওয়ার আশা থাকে। এইতো জীবন, এইতো জীবনের গল্প৷ শাশুড়ি ডাক দিয়ে তার রুমে নেন। একটু কেশে জিজ্ঞেস করেন,

‘আজকের খাবারে কী রান্না হচ্ছে নুপুর?’

‘কাচকলা দিয়ে আইড় মাছ আর শিমের ভর্তা।’

‘এদিকে আসো তো। ‘

আমি শাশুড়ির কাছে গেলাম। তিনি মোবাইলে কী যেনো ঘাটাঘাটি করছেন। মোবাইল স্ক্রিনে একটা সুদর্শন ছেলের ছবি এনে আমার দিকে দেখিয়ে বললেন,

‘আমাদের গল্পের জন্য এই ছেলেটা ভালো হবে না? ডাক্তার। ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করা। বিসিএস হয়েছে গতবার।’

আমার মুখে আলতো করে খুশির রেখা বয়ে যায়। আজ থেকে সাতাশ বছর আগে যে জায়গায় আমার মা দাঁড়িয়ে ছিলেন, যে জায়গায় আমার শাশুড়ি দাঁড়িয়ে ছিলেন, আজ সেই জায়গায় এসে আমাকেও দাঁড়াতে হচ্ছে। এ যেনো জীবন ঘুরেফিরে আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ে বারবার।

(সমাপ্ত)

প্রিয় পাঠক, আপনাদের বিন্নি ধানের খই গল্প এখানেই শেষ। আজ আর কমেন্টে নেক্সট নেক্সট করবেন না। আর এই গল্প পাওয়া যাবে না। নতুন গল্প আগামীকাল ঠিক সন্ধ্যা ৭ টায় গ্রুপে পোস্ট করা হবে। আপনারা সবাই প্লিজ রিভিউ দিয়েন সম্ভব হলে গ্রুপে। আর কমেন্ট করে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত জানাবেন। অনেকদিনের জার্ণি আজ শেষ হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here