#বিন্নি_ধানের_খইপর্ব_৫৭
#মিদহাদ_আহমদ
নর্থ ইস্ট মেডিকেলের চার তলার ৪০৮ নাম্বার কেবিনে ফারুক স্যার তার মেয়েকে নিয়ে আছেন৷ প্রেয়সী ম্যাডামকে নিয়ে তানিয়া রুমে ঢুকলো। সাথে করে নিয়ে আসা আঙুর, স্ট্রবেরি, বাটার, ড্রাগন ফলের ব্যাগ একপাশে রাখলো৷ প্রেয়সী ম্যাডাম ইশারায় ফারুক স্যারের মেয়ের দিকে দেখিয়ে দিলেন তানিয়াকে। তারপর বললেন,
‘জ্বর বেশি আর ডায়রিয়া হয়ে যাওয়ায় ডাক্তার ভর্তি দিয়ে দিয়েছে। এখন ঘুমাচ্ছে মেয়েটা।’
তানিয়া পাশে গিয়ে বসলো। হুরহুর করে কান্না শুরু করে দিলো। বাচ্চা মেয়েটার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে তানিয়া প্রেয়সী ম্যাডামকে বললো,
‘আই এম সরি। আমি আসলে বুঝতে পারিনি…’
ফারুক স্যার বললেন,
‘কোন সমস্যা নেই। আমার গল্পের আর্ট ক্লাস কি আজ ভালোমতো হয়েছে? আমি আগামীকাল আপনাদের বাসায় যাবো। কোন টেনশন নিয়েন না।’
তানিয়া স্যারকে বললো,
‘আমি আসলে তখন হাইপার হয়ে গিয়েছিলাম। বাচ্চাটা যে এতটা অসুস্থ আমি বুঝতে পারিনি। আমার বুঝা উচিত ছিলো। আমি নিজের কাছে নিজে এখন লজ্জিত।’
ফারুক স্যার একটা ওয়ান টাইম গ্লাসে জুস ঢালতে ঢালতে কিছুটা হেসে হেসে বললেন,
‘জীবন চলছে এমন। আজ রোদ, কাল ঝড় তো পর্শু বৃষ্টি। মেয়েটার মা আমার একার উপর সব দায়িত্ব দিয়ে চলে গেলো। আল্লাহ রেখেছেন। মেয়েটার সামান্য কিছু হলে আমি সহ্য করতে পারি না। আমার দুনিয়া বলতেই আমার এই মেয়ে।’
প্রেয়সী ম্যাডাম ফারুক স্যারের সাথে সাথে বললেন
‘স্যার এই কয়েক বছর ধরেই তো আপনাকে চিনি আমরা। আমাদের এই পুচকে মেয়েটাকে নিয়েই তো আপনার জীবন। মেয়েটার কোনকিছু হলে আপনার আর কোনদিকে মন থাকে না। এই না থাকাটাই তো স্বাভাবিক। আর আজ গল্পের মাও কিছুটা হাইপার হয়ে গিয়েছিলেন৷ আমাকে কল করে বললেন, তিনি হসপিটালে আসতে চান মেয়েটাকে দেখতে। আমিও সাথে চলে এলাম। আপনি কিছু মনে…’
‘আরে কী বলেন ম্যাডাম৷ কিছু মনে করার কী আছে বলেন? আমার মেয়ের যদি এক্সিবিশন হতো, আর স্যার যদি এভাবে না আসতেন, তাহলে বাবা হিসাবে আমার নিজেরও এই একই অবস্থা হতো। সব সময় আসলে নিজের হাতে থাকে না। আমাদেরকে হ্যান্ডেল করার ক্ষমতাও আমাদের মস্তিষ্ক প্রদান করে না। আমি কোনকিছু মনে করিনি।’
এরমাঝে ফারুক স্যারের মেয়ে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসলো। তানিয়া জিজ্ঞেস করলো,
‘কেমন আছো মা? শরীর কেমন আছে এখন?’
মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলো,
‘ভালো।’
ফারুক স্যার মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়েটাও তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। ফারুক স্যার তখন ড্রাগন ফলের দিকে ইশারা করিয়ে বললেন,
‘মুন্নি মা আমার, এই ফলটা তোমার পছন্দের না? দেখো তোমার আন্টি নিয়ে এসেছেন তোমার জন্য।’
স্যারের মেয়ে তখন কোল থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে ড্রাগন ফলের ব্যাগ হাতে নিয়ে আবার বেডে চলে এলো। তানিয়া তাকে কোলে করে বিছানায় বসিয়ে দিলো৷ তানিয়াকে নিজ থেকেই জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু খেলো মুন্নি। তানিয়াও জড়িয়ে ধরলো মেয়েটাকে। চুলে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে তারপর ব্যাগ থেকে একটা কিটকাট বের করে হাতে দিলো মুন্নির। কিটকাট দেখে মেয়েটার সে কী আনন্দ!
আরও কয়েক মিনিট বসে প্রেয়সী ম্যাডাম আর তানিয়া নর্থ ইস্ট মেডিকেল থেকে বের হয়ে এলেন। গাড়িতে বসে প্রেয়সী ম্যাডাম তানিয়াকে বললেন,
‘স্যার ওনার ওয়াইফকে অনেক ভালোবাসতেন। আর এই ভালোবাসা থেকেই উনি সেকেন্ড বিয়ে করেননি। পাছে যদি নতুন বউ এসে বাচ্চাটার সাথে অবিচার করে! আর মেয়েটাকে তো দেখেছেন ই। বাপের আদরের মেয়ে। কখনো কোন অযত্ন হয়না মেয়েটার। দিব্যি ভালোমতোন স্যার ওর দেখভাল করেন। মেয়েটার বাপও স্যার, আবার মাও স্যার।’
প্রেয়সী ম্যাডামের কথা শুনে মন ভরে উঠলো তানিয়ার। পুরুষ জাতির উপর তার একপ্রকার ক্ষোভ ছিলো এতদিনের। এই ক্ষোভ যেনো নিমিষেই মিথ্যা হয়ে গেলো আজ!
এদিকে তানিয়া আর প্রেয়সী ম্যাডাম হসপিটাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মুন্নি তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো,
‘বাবা বাবা ওইযে শাড়ি পরা আন্টি উনি তো পুষি আন্টি। আর নতুন আন্টি কে?’
‘কোনজন বাবা?’
‘ওইযে যে আমাকে এত এত ফ্রুটস আর চকোলেট দিয়ে গিয়েছে। জানো বাবা সেই আন্টি আমাকে যখন জড়িয়ে ধরেছিলো তখন আমার খুব ভালো লেগেছিলো। তার চুল থেকে মিত্তি মিত্তি গন্ধ আসছিলো।’
ফারুক স্যার মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন। দুই চোখ দিয়ে তার পানি পড়লো। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে আল্লাহর কাছে বললেন, কেন আল্লাহ তার এই মাসুম বাচ্চাটাকে এতিম করে দিলেন! কেন তার এই মাসুম বাচ্চাটা মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত!
এদিকে আসিফ গল্পকে নিয়ে আর্ট করতে বসেছে। শাশুড়ি মা আমকে ডেকে বললেন,
‘আসলে হয়েছে কি নুপুর, রক্তের একটা টান আছে না? এই টানের কারণেই দেখো গল্প দাদুভাই তার বাবার মতো আর্ট শিখে নিয়েছে অল্প সময়েই। আর আমরা তো ভুলেই গিয়েছিলাম আমাদের বাসায় এতবড় একজন চিত্রশিল্পী থাকতে, দাদুভাইকে বাইরে গিয়ে কেন আর্ট শিখা লাগবে! দেখো দেখো মেয়েটা কত সুন্দর আর্ট রপ্ত করে নিয়েছে!’
আমি হাসলাম শাশুড়ি মায়ের কথায়। হেসে হেসে বললাম,
‘শুধু কি আপনার ছেলে? ও যখন পেটে ছিলো, তখন আপনার ছেলে তো আমাকেও আর্ট শিখিয়েছে হাতে ধরে ধরে৷ এই শিখানোটাই এখন আমার মেয়ে পেয়েছে।’
আমি রুমে ঢুকলাম। আসিফ আর তার মেয়ের মাঝখানে গিয়ে বললাম,
‘ ‘আমাকেও আর্ট শেখাও তোমরা। শেখাবে তো?’
গল্প তার দুই হাত দিয়ে আমার গালে ধরে বললো,
‘বসো বসো। আমার বাবার কাছে বসো৷ বাবা অনেক সুন্দর রঙ করে।’
আসিফ গল্পকে বললো,
‘ও তোমার কে হয় বাবা?’
‘সে?’
‘হ্যাঁ।’
‘কে হয়?’
‘আম্মু হয় বাবা’
‘কিন্তু মামুণি যে বললো সে আমার আন্টি হয়? সে ইয়া বড় বড় মুখ করে আমার সব রক্ত খেয়ে নিবে।’
আসিফ আর আমার বুঝত বাকি রইলো না ননাস আমার সম্পর্কে কী কী বলেছেন আমাদের মেয়েকে। শাশুড়ি কথা কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে বললেন,
‘না না৷ রাক্ষুসি তো গল্পে হয় দাদুভাই। মামুণি তো তোমার মামুণি, আর ও তোমার আম্মু হয়।’
‘আম্মু হয়?’
‘হ্যাঁ দাদুভাই। ও তোমার আম্মু হয়।’
গল্প এবার আমার দিকে তাকালো একবার। ভালোকরে তাকালো। আরেকবার তার বাবার দিকে তাকালো। তারপর তার বাবা বললো,
‘কী? তোমার আম্মু হয় সে। দেখো দেখো সে তোমাকে রান্না করে দেয়, আর্ট ও শেখাবে। হারমোনিয়াম ও শেখায়। সে তোমাকে চকোলেট ও দেয়।’
‘এসব তো মামুণিও দেয় আমাকে। মামুণি আমার এত্তোটা ভালোবাসে।’
‘সে মামুণি, আর সে তোমার আম্মু হয়। বুঝেছো বাবা?’
‘আম্মু?’
‘হ্যাঁ আম্মু।’
গল্প এবার আমার দিকে তাকালো। চোখের সাথে মুখের কথা এক করে আগ্রহভরে সে জিজ্ঞেস করলো,
‘তুমি কি আমার আম্মু হও?’
আমার ভেতর শিহরণ জাগতে শুরু করলো। নিজের পেটের সন্তানের মুখে আম্মু ডাকটা শুনতে পেয়ে নিজেকে আর সামাল দিতে পারলাম না। কান্না করতে করতে জড়িয়ে ধরলাম আমার গল্পকে। গল্প আমার কান্না দেখে বললো,
‘তুমি কি বাচ্চা? আমাদের ক্লাসের সিনথিয়াও তোমার মতো বাচ্চা। সেও এমন কান্না করে।’
আমি চোখ মুছলাম। নিজেকে সামলে নিলাম। গল্পকে বললাম,
‘হয়েছে হয়েছে। এবার বাবার সাথে বসে ছবি আঁকায় মনোযোগ দাও।’
‘মামুণি কোথায়?’
শাশুড়ি মা বললেন,
‘মামুণি এসে যাবে দাদুভাই। তুমি তোমার বাবা আর আম্মুর কাছে বসে বসে ড্রইং করো। আমি তোমার জন্য হরলিক্স নিয়ে আসছি কেমন?’
শাশুড়ি চলে গেলেন। ছোট গল্প আমাদের দুজনের সাথে গল্প করতে করতে ছবি আঁকায় মনোযোগ দিলো। আমি গভীরভাবে আমার মেয়েকে দেখলে লাগলাম। শুধু জন্ম দিয়েছি, এরপর থেকে কখন কীভাবে আমার মেয়েটা এতবড় হয়ে গেলো টেরই পেলাম না!
সেদিন সন্ধ্যার সময় ননাস বাসায় আসার পর গল্প ননাসকে ডেকে এনে আমার সামনে দাঁড় করিয়ে বললো,
‘মামুণি মামুণি, এই দেখো আমি আমার আম্মু পেয়ে গিয়েছি। আম্মু তোমার মতো আমাকে আদর করে, আমাকে ভাত খাইয়ে দেয়, আমাকে গল্প বলে। আর জানো, মামুণি আর আব্বু আমাদের ফারুক স্যারের মতো আর্ট জানে। কী মজা কী মজা তাইনা? তুমি কি আমার চকোলেট এনেছো? আজ সারাদিন তোমাকে মিস করেছি মামুণি।’
বলেই ননাসকে জড়িয়ে ধরলো গল্প। ননাস হাঁটু গেড়ে বসে আমার গল্পকে তার ওড়না দিয়ে চোখ মুখ মুছিয়ে দিলো। কাজের মেয়েকে ডেকে বললো গল্পের জন্য কুসুম গরম পানি নিয়ে আসতে। গল্পের নাকি গলা ধরেছে। অথচ আমরা কেউ ধরতেও পারিনি। ননাস ঠিকই ধরে নিয়েছে। ভেতরে ভেতরে অনুভব করতে লাগলাম, ননাস আমার গল্পের মা হয়ে উঠেছে আসলেই। আমার থেকেও এক ছটাক হলেও যেনো বেশি!
এদিকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফারুক স্যারের মেয়ে মুন্নি, তার বাবাকে বললো,
‘বাবা বাবা ওই আন্টির কাছে আমাকে নিয়ে যাবা একবার? আমি তাকে আবার জড়িয়ে ধরতে চাই। নিয়ে যাবা বলো?’
ফারুক স্যার ভেতরে ভেতরে এক চাপা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
‘আচ্ছা মা। তোমার যদি তাকে দেখতে মনে চায়, তাহলে তার কাছে আগামীকাল নিয়ে যাবো তোমায়। তুমি এখন ঘুমিয়ে যাও কেমন?’
গল্প যেমন পড়েন, এই লেখাটাও তেমন পড়বেন প্রিয় পাঠক। শুরুতেই একটা আনন্দ সংবাদ দেই। এই গ্রুপের একজন ডাক্তার আপু ওনার কুরবানির একটা ভাগ আমার মাধ্যমে একটা ছোটখাটো এতিমখানায় কুরবানি করে দিতে বলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আমার কাছে এরচেয়ে বড় খুশির সংবাদ এই ঈদে আর দ্বিতীয়টা হবে না। আমি শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতা মহান রবের প্রতি, তিনি আমার কলমে শক্তি দিয়েছেন, যে কলমের শক্তিতে আমি আপনাদের পর্যন্ত পৌঁছেছি এবং তিনি আমার পায়েও শক্তি দিয়েছেন যে শক্তিতে আপনাদের আমানত আমি সঠিকভাবে পৌঁছিয়ে দিচ্ছি মানুষের কাছে। বাদবাকি কবুল করার মালিক আল্লাহ৷
গতদিন যে এতিমখানায় গিয়েছিলাম, আজ আবারও সেই এতিমখানায় পুরো এক সপ্তাহের বাজার নিয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আজ যা যা দিয়েছি তা হলো,
১. চাল ২ বস্তা
২. ডাল ৮ কেজি
৩. আলু ২০ কেজি
৪. পেয়াজ ৫ কেজি
৫. রসুন ১ কেজি
৬. লবণ ১ কেজি
৭. তেল ৫ লিটার
৮. মরিচ ২০০ গ্রাম
৯. হলুদ ১০০ গ্রাম
১০. ধনিয়া ১০০ গ্রাম
১১. ডিম ৪ কেইস
১২. ব্রেড বড় সাইজের ৫ প্যাকেট
১৩. মোরগ ১০ কেজি
১৪. আদা ১ কেজি
সব হয়েছে এই গ্রুপের মাধ্যমেই। গ্রুপের বাইরের কারো এক পয়সাও এর মধ্যে এড নেই। আজ এতিমখানায় যাওয়ার পর প্রিন্সিপাল সাহেব আমাকে ওনার রুম দেখালেন। পানি নেমে গেলেও, রুমের প্রায় তিন ফুট সমান পানির দাগ এখনও রয়ে গিয়েছে। পুরো রুমে গন্ধ করছে পানির। বিছানা, বালিশ এসবও পানির কবলে পড়েছিলো। রুমগুলো সব গুছানো হয়েছে৷ প্রিন্সিপাল সাহেব আপনাদের ডোনেশন গ্রহণ করে আমাকে মাদ্রাসার রুমগুলো দেখে আসতে বললেন। সব কয়টা রুমে গেলাম। গিয়ে অবস্থা দেখলাম খুব শোচনীয়। তিনি আমার কাছে আরেকটা আবদার জানালেন। যদি সম্ভব হয়, তাহলে যেনো এতিমখানার রুমের নিচে দেয়ার জন্য চারটা কার্পেটের ব্যবস্থা করি। বন্যার পানিতে প্লাস্টিকের কার্পেট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছিড়েও গিয়েছে। দুইটা রুমে এজন্য ক্লাসও হচ্ছে না। বাচ্চারা পাশের মসজিদে ক্লাস করছে। কথাগুলো আমার বুকে বিধলো। কুরআনের পাখিরা স্রেফ ভাঙ্গা ফ্লোরে বসে বসে কুরআন অধ্যয়ন করছে। পাশের মসজিদে বসে বসে ক্লাস করছে। আল্লাহ আমাকে সেই এবিলিটি দিলে, আমি সেই মুহূর্তেই কার্পেট চারটা কেনার টাকা দিয়ে আসতাম। আমি শুধু দাম জিজ্ঞেস করে এসেছি। আমি শুধু বলে এসেছি, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ চাইলে ম্যানেজ হয়ে যাবে। আমি আবারও বলছি, আল্লাহ চাইলে ম্যানেজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা শুধু দোয়া দিয়েন যারা এই লেখাটা পড়ছেন। আল্লাহর কুরআন অধ্যয়নরত এতিম বাচ্চাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আল্লাহর নিজের। ছোট ছোট বাচ্চাদের আজ পড়তে দেখে এসেছি। তারা গভীর মনোযোগে পড়ছে। মাটিতে বসেই পড়ছে। আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন, সম্মানিত করুন। সেইসাথে যিনি আমাকে এই ডোনেশন দিয়ে মাদ্রাসা পর্যন্ত আবার যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, আল্লাহ তাঁকেও সম্মানিত করুন, কবুল করুন। এবার এতিমখানায় কুরবানির ঈদের দিন কুরবানির গোশত পৌঁছিয়ে দিয়ে আসার আগ পর্যন্ত আল্লাহ যেনো আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন, এই দোয়াটা করবেন৷ বন্যাদুর্গত এই এতিমখানার জন্য যদি কেউ ডোনেশন দিতে চান অথবা কার্পেট দিতে চান, আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের এই ডোনেশন গ্রহণ করবো। আল্লাহ সবাইকে সম্মানিত করুন, কবুল করুন৷
আমার বিকাশ নাম্বারঃ 01762095729 (personal)
(চলবে)