সুখ নীড় পর্ব-৫

0
302

#সুখ_নীড়
#পর্ব_৫

বারবার জয়ীতার নাম্বারে কল দিয়েও পাচ্ছে না তার মা। তাই বাধ্য হয়ে পল্লবের নাম্বারে কল করল। পল্লব খানিকটা বিরক্তি নিয়েই শাশুড়ির কলটা রিসিভ করল।

– আসসালামু আলাইকুম, বাবা। কেমন আছেন?

– জ্বি, ভালো। কিছু কি বলবেন? আমি একটু ব্যস্ত।

– দুঃখিত বাবা। জয়ীকে বারবার কল দিয়ে পাচ্ছি না তো! তাই…. ভয়ে ভয়ে বলল, জয়ীতার মা।

– আমি একটু বাইরে আছি। আবার চেষ্টা করতে থাকেন পেয়ে যাবেন হয়তো । ফোন রাখছি। পরে কথা হবে।

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কলটা কেটে দিলো পল্লব।

কল কাটতেই মনে পড়ল তার তো জয়ীতাকে হসপিটাল থেকে নিয়ে আসাবার কথা। জয়ীতা তো হাসপাতালে। দ্রুত সময় দেখল।

চোখ কটমট করে তাকাল হান্নান সাহেবের দিকে। তারা একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চের জন্য বসেছে মাত্র। এই সুযোগে প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনাও সেরে নিচ্ছিল তারা।

– কী ব্যাপার? এনিথিং রং?

– জয়ীতাকে রিলিজ করানোর কথা ছিল!

– ড্রাইভারকে কল করে বলে দাও। এসে নিয়ে যাবে।

এই মুহূর্তে এছাড়া উপায়ই বা কী! সে ড্রাইভার মতিনকে কল করে বলল, জয়ীতাকে বাসাতে নিয়ে যেতে।

– যা বলছিলাম, তুমি এখন কী করতে চাচ্ছ? ওই প্রজেক্ট তো হাতছাড়া হয়ে গেল। দেওয়ান বিল্ডার্সের কাছ থেকে আর ফেরানোর কোনো সুযোগ আছে কি?

– জানি না।

– ‘জানি না’… বললে তো হবে না। বসে থাকলে কোনো সমাধান আসবে না। তুমি তোমার মাকে বোঝাও। যে করে হোক ল্যান্ডটা আমাদের চাই। আমি আমার পার্টনারকে কথা দিয়েছি। তোমার ভরসাতেই কথা দিয়েছি। আর তুমি কিনা সব তালগোল পাকিয়ে বসে আছ। উফ!

– আপনি কেন কথা দিয়েছেন। আমি আপনাকে ল্যান্ড দিব এমন কথা তো দেইনি। বলেছি যোগ্য মনে হলে দিব। আপনি কনফার্ম হলেন কী করে যে আপনাদেরকেই দিতাম? আমি অনেস্টি পছন্দ করি।
টেন্ডার আহ্বান এর পর যার ভাগ্যে থাকত সেই পেত।

– সবকিছুতে তোমার বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ি।
এতকিছু জানিনা। আমি ল্যান্ড চাই। মাগনা তো নিচ্ছি না। আর হ্যা, নিজের অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে শেখো নইলে একদিন পস্তানো ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না। কল্লোল তার স্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেছে এর মাঝেই। সামনে ইলেকশানে হয়ত তোমার মা নমিনাশান পাচ্ছে। সে রাজনীতির মাঠে ব্যস্ত থাকবে আর বিজনেসের হাল ধরবে তুমি এটাই আমার প্রত্যাশা।

– এসবে আমার কোনো রুচি নেই। যার জন্মের ইতিহাসই শুরু হয়েছে নোংরা মানসিকতার ভেতর দিয়ে তার আবার পস্তাতে বাকী কি! আম্মি যা খুশি করুক আমি কিছুতে আগ্রহী না। বর্তমানকে সহজ করতে চাইলেও সহজ করে আমাকে থাকতে দিচ্ছেন কোথায়? আমি কি তবে ধরে নিবো যে আপনাদের এনজয়মেন্টর রেজাল্ট আমি? ঘৃণ্য দৃষ্টিতে হান্নান সাহেবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, পল্লব

– হান্নান সাহেব কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে পল্লবের দিকে তাকিয়ে ধীরকণ্ঠে বললেন, জন্মের দায় বাবা মায়ের। এর দায় সন্তানের ঘাড়ে কখনোই বর্তায় না। শুধুশুধু নিজেকে দোষারোপ না করে বর্তমানটাকে সাজাও। আর এমন কিছু করো না যাতে কল্লোল একটা সুযোগ পেয়ে যায়। সে কিন্তু সব সময় তোমাকে নিচু দেখানোর সুযোগ খোঁজে।

পল্লব কোনো কথা বলছে না দেখে সে আবার বলল,

পল্লব, তুমি খুব রেগে আছ। মাথা ঠান্ডা করো। আমরা যে টপিক নিয়ে কথা বলতে এসেছি সেই টপিক নিয়ে কথা বলতে গেলে এত রাগ থাকলে কথা সামনে আগানো যাবে না। নিজেকে কন্ট্রোল করো পেছনে কী হয়েছে না হয়েছে সেটা নিয়ে যদি মাথা ঘামাতে থাকো তাহলে সামনে এক পা ফেলতে পারবে না। জীবনটা বড় অদ্ভুত। জীবন জীবনের গতিতেই সামনে এগিয়ে চলবে। ওই যে উপরে একজন আছে তাঁর লীলা বোঝার ক্ষমতা আমাদের কারো নেই। যদি বুঝতাম তাহলে আমরাই তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতাম। এই পৃথিবীতে কার জন্ম কীভাবে হবে, কে কার পেটে জন্ম নেবে এগুলো উনি ডিসাইড করেন। তাই জন্মকে কখনো নিজের পাপ বা বোঝা মনে না করে বা আজন্ম বয়ে না বেরিয়ে সামনে কীভাবে জীবনটাকে সুন্দর করা যায় সেটা নিয়ে ভাবো।

– ওহ আই সি! এখন আমাকে আমার ফিউচার নিয়ে ভাবতে বলছেন? ফিউচার নিয়ে ভাবার কি আছে? আমি কাজী খালেকুজ্জমান এবং সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে। দ্যাটস এনাফ ফর মি। ওই যে উপরওয়ালা কে দোষারোপ করলেন। উনি বুঝেশুনেই আমাকে এই ফ্যামিলিতে পাঠিয়েছে। যেহেতু আমাকে আমার পাস্ট নিয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন, ওকে ফাইন। আমি আমার পাস্ট নিয়ে ভাবব না, তাহলে আমাকে ফিউচার নিয়ে কেন ভাবতে হবে? আমার ফিউচার তিনি নিজের হাতে গড়েই পাঠিয়েছেন।
কড়া গলায় আঙুল ঝুলাতে ঝুলাতে কথাগুলি শোনালো হান্নান সাহেবকে।

– তুমি খুবই ইমম্যাচিওর আচরণ করছ, পল্লব। তুমি নিজেও জানো কেন আমি তোমাকে তোমার ফিউচার নিয়ে ভাবতে বলছি। এক কথা আর কতবার তোমাকে বুঝিয়ে বলব। তুমি বাবা হিসেবে যে খালেকুজ্জামানের নাম বলেছ, হ্যাঁ! মানছি তুমি তার ছেলে। তবে সেটা ইলিগ্যাল। একবার যদি কল্লোলের কানে যায় বাবার সম্পত্তিতে একটা ফুটো কড়িও তুমি পাবে না। এটুকু তোমাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

– সো হোয়াট? আমার মায়ের কি কম আছে? বাবার থেকে আরও বেশি আছে আমার মায়ের। এক নামে তাকে সবাই চেনে। অঢেল প্রপার্টির মালিক সে। যেহেতু আমি আমার মায়ের ছেলে, সেখান থেকে তো আমাকে কেউ তাড়াতে পারবে না।

– আবারো একটা মিসটেক করে ফেললে। হ্যাঁ, তুমি তোমার মায়ের ছেলে। বাট, এটা তুমি ভুলে যেও না কল্লোল এমন কোনো একটা সুযোগ হাতছাড়া করবে না যাতে তোমাকে পুরো সম্পত্তি থেকে বের করতে পারে। তোমার বিরুদ্ধে তোমার মায়ের কানে এত পরিমান সীসা অলরেডি সে ঢেলেছে যে তোমার মায়ের চোখে তুমি কমপ্লিটলি একটা আগাছায় পরিণত হয়েছ। এবং এর পেছনে সবচাইতে বেশি দায়ী কে জানো? তোমার স্ত্রী, জয়ীতা।
তুমি এই মেয়েকে তোমার মায়ের বিরুদ্ধে যেয়ে বিয়ে করেছ। এতে তোমার মা কতটা আঘাত পেয়েছে সেটা নিশ্চয়ই তোমার অজানা নয়। কল্লোল তোমার বড় ভাই হলেও ভুলে যেওনা তোমাদের রক্ত কিন্তু এক নয়। সে কোনো একটা সুযোগকে হাতছাড়া করবে না। অলরেডি সে তার চাল চালা শুরু করে দিয়েছে এবং যার রেজাল্ট তুমিও পাওয়া শুরু করেছো। যে সাজেদা চৌধুরী তোমাকে চোখে হারাত সে এখন তোমার থেকে কল্লোলকে বেশি প্রায়োরিটি দেয় এটা কি তোমার কাছে একটু কেমন যেন লাগছে না?

জয়ীতার কথা বলতেই পল্লবের মাথায় খুন চেপে গেল।
সে ঘড়ির তাকিয়ে বলল, কথায় কথায় ঘুরিয়ে পেচিয়ে ঐ একটা জায়গায় না এলে আপনার হয় না, না?

– মাঝে মাঝে আমি তোমাকে বুঝতে পারি না। এদিক থেকে তুমি অবশ্য তোমার মায়ের মতোই হয়েছ। তোমার মাও ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। একদিকে মেয়েটার উপর তুমি টর্চার চালিয়ে যাচ্ছ। ওর সাথে রিলেশন রাখবে না বলছ, অন্যদিকে তার জন্য দরদ উথলে উঠছে। আসলে চলছে কী তোমার মনের মধ্যে?

– আমার মনের মধ্যে কী চলছে, কী না চলছে ততটুকু না জানলেও চলবে। এখন বলুন এখানে এত জরুরি ডেকেছেন কেন? কথা শেষ হলে আমি উঠতে চাই। আমাকে যেতে হবে!

– বললামই তো। তোমার আম্মি এবার নির্বাচনে আসছে জানোই তো। এতদিন ধরে তো বড় বড় রাজনীতিবিদদেরকে পেলে পুষে রেখেছে এবার সে নিজেই মাঠে নামছে!

– ফাইনাল এমনটা কিছুই জানিনা। তবে যদি আম্মি ঠিক করে সে পলিটিকসে একটিভ হতে চায় সমস্যা কি? পলিটিক্স করার জন্য যে যে যোগ্যতা থাকা দরকার সবটাই আছে। তাছাড়া আমার নানাভাইতো একসময় মিনিস্টার ছিলেন। তার মেয়ে হিসেবে আমৃত্যু একটা অগ্রাধিকার রয়েই গিয়েছে আম্মির।

– ভুল বললে। অগ্রাধিকার কিন্তু তোমার বড় খালার।

– বড় খালা তো বেঁচে নেই। সে ক্ষেত্রে আম্মিই নানার একমাত্র ওয়ারিশ ।

– তোমার বড় খালা বেঁচে নাই তাতে কি হয়েছে? তোমার বড় খালার দুই ছেলে কিন্তু আছে এবং তারা কিন্তু মাঠে বেশ একটিভ। বিশেষ করে তোমার বড় খালার বড় ছেলে শাহীন। তালুকদারদেরও কম জোর নেই কিন্তু। তোমাদের সাথে তাদের সম্পর্ক সাপে নেউলে সে কথা ভুলছ কেনো! তারাও যে সুযোগের অপেক্ষায়-এই কথা কিন্তু তোমার আম্মিও জানে। আর তোমার আম্মি আর শাহীন দুই জন কেউ কোনোদিক দিয়ে কারো চেয়ে কম নয়। বয়সে আর অভিজ্ঞতায়ও সে তোমার আম্মির মতই সিনিয়র।

– আপনার কি মনে হয় আম্মির সামনে শাহীন ভাই টিকতে পারবে? হোয়াট এভার! শাহীন ভাই পলিটিক্সে যাক আর আম্মিই যাক এটা নিয়ে আমার কোনো হেডেক নেই! পার্টি যাকে চেয়ারের জন্য এলিজিবল মনে করবে তাকেই নমিনেশন দিবে!

এখন আসল কথায় আসেন। আপনার ধান্দা কী এ সবে? এবং আমাকে এর মধ্যে কেন টানছেন আমিই বা কী করতে পারি?

– একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হান্নান সাহেব বললেন, আমার কোন ধান্ধা নেই। আমি তোমার জন্য ভাবছি।

– যেমন?

– তোমার আম্মি যদি পলিটিক্সে একটিভ হয়ে যায় তাহলে তার পুরো বিজনেসের হাল তোমাদের হাতে তাকে ছাড়তে হবে কারণ দুই হাতে চারদিকে সামলানো যায় না। তোমার আম্মির নানান ধরনের ব্যবসা। কোনটা রেখে কোনটা সে ধরবে তবে তার সবচাইতে বড় ব্যবসা হচ্ছে শিপিংয়ের আর গার্মেন্টসের। আমি চাই তোমার আম্মির অবর্তমানে তার জায়গাটা তোমার হাতে আসুক।

– অসম্ভব ভাইয়া থাকতে আমাকে কেন? এবং আমিই বা সেটা চাইবো কেনো?

– কারণ কল্লোলের হাতে যদি সমস্ত পাওয়ার একবার চলে যায় তাহলে তোমাকে তোমার মায়ের সম্পত্তি থেকে বেদখল হতে মুহূর্ত সময় লাগবে না। তুমি কল্লোলের মত গুটিবাজকে এখনো চিনতে পারোনি। আমি চিনি। ওর খুব ছোটবেলা থেকে ওকে আমি চিনি। এবং তখন থেকেই দেখেছি প্রত্যেকটা মুহূর্তে সে তোমাকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার উপায় খুঁজে ফিরত এবং তোমাকে কি করে ছোট দেখাবে তোমার মায়ের সামনে সেটাও তার একটা রেগুলার কাজ।

– হতে পারে। আই ডোন্ট কেয়ার।

– এত বোঝালাম কাকে এতক্ষণ ধরে? ডিসগাস্টিং। তোমার পরিবারের মানুষেরা স্বার্থের জন্য কতটা নীচে নামতে পারে সেটা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। আমার তিন পুরুষ ধরে তোমাদের ওই বাড়ির মানুষের সেবা করে এসেছে। আমরা জানি চৌধুরীরা কতটা ভয়ংকর! তোমার ভালোর জন্য বলছি বাবা। আমাকে একবারের জন্য বিশ্বাস করে দেখো। একবারের জন্য আমার কথাগুলো আমলে নিয়ে দেখো। আমি তোমার ভালো চাই। ভালো চাই। বলতে বলতে হান্নান সাহেব ইমোশনাল হয়ে পড়লেন।

– পল্লব, খানিকক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, কী করতে হবে আমাকে?

– প্রথম কাজ জয়ীতাকে ডিভোর্স দেয়া। তোমার মায়ের চোখে সেই পুরানো পল্লবকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এর জন্য এটাই তোমার প্রথম স্টেপ।

পল্লব বিরক্তির দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাল।

বিরক্ত হওয়ার কিছুই নেই। জীবনের প্রয়োজনে অনেক সময় বিষও খেয়ে হজম করতে হয়। হজম করতে শেখো। সময় সুযোগ হলে অনেক কিছুই শোনাব তোমাকে। একটাই তো হজম করতে পারছ না। আর শুনতে পারবে না। তাই নিজেকে শক্ত করো।
আমি তোমার শত্রু না, বাবা। আমি তোমার ভালো চাই। একবার আমার কথা শুনে দেখো।

রাত দশটা বেজে গেছে। বাইরে বেশ ঠান্ডাও পড়েছে। জয়ীতার সম্বল পড়নের ড্রেস আর হাতব্যাগে কয়েকটা কাপড়। ব্যাগ হাতড়ে দেখল একটা পাতলা চাদর রয়েছে ব্যাগে। চাদরটা বের করে শরীরে জড়াল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়। শীত তো থাকবেই। এ ক’দিন হসপিটালে ছিল তাই কিছুই টের পায়নি। একটা যাত্রী ছাউনি দেখে এগিয়ে গিয়ে কোণার দিকে বসল। কোথায় কোনদিকে যাবে বুঝতে পারছে না। কার কাছে যাবে? আত্মীয় স্বজনের কাছে সে যেতে চায় না। এমন কোথাও যেতে চায় যেখানে গেলে মনটাতে শান্তি মিলবে। যেখানে কেউ তাকে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করবে না।
মায়ের কাছে গেলে নানান কথার উত্তর দিতে দিতে সে ক্লান্ত হয়ে যাবে, তাই সেখানে সে যেতে চায় না।
পার্সে হাত দিয়ে দেখল ব্যাগের এক কর্ণারে পাঁচশ টাকার একটা নোট পড়ে আছে। এটাই তার একমাত্র সম্বল। এ নিয়ে কতক্ষণ আর চলবে? সামনের দিনগুলোর কথা ভেবে সে শিউরে ওঠে। কীভাবে একা একা জীবনের এতটা পথ সে পাড়ি দিবে? এত এত স্বার্থপর মানুষের মানুষের ভীড়ে নিজেকে নিয়ে কতদূরই বা যেতে পারবে সে? মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল চেহারাগুলিকে আর দেখতে চায় না জয়ীতা। চোখের কোণে জমে থাকা জলটুকু টুপ করে গড়িয়ে পড়ল তার হাতের তালুতে।

চাদরটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিলো। রাত যত বাড়ছে চারপাশে অন্ধকার আর কুয়াশাজড়ানো একটা দুঃস্বপ্নও তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরছে যেনো।

চলবে…….

পর্ব- ১

https://www.facebook.com/111576077291737/posts/446338670482141/

পর্ব- ৪

https://www.facebook.com/111576077291737/posts/459459252503416/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here